Published on Aug 07, 2023 Updated 0 Hours ago

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে স্বার্থের সম্পৃক্ততা নিয়ে চিনের কৌশলগত সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে

প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ভারত সফরের প্রাক্কালে চিনা বাগাড়ম্বর

চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল লি শাংফু সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে ভারত সফরে আসায় ভারত সম্পর্কে তাঁর বক্তব্যের সুর অনেকাংশে নৈরাশ্যবাদকেই তুলে ধরেছে। এমনকি কেউ কেউ ‘চিন-ভারত সীমান্ত সংঘাতকে এসসিও-র আওতায় আনার জন্য ভারতের তার সভাপতিত্বকে ব্যবহার করা’ এবং ‘এলএসি বরাবর চিনা ও অন্যান্য পক্ষ দ্বারা পিএলএ-র আক্রমণের সাক্ষ্যপ্রমাণ তুলে ধরার মাধ্যমে (লিখিত প্রমাণ ও স্যাটেলাইট চিত্র) নিজেকে শিকার হিসেবে চিত্রিত করা ও একটি আন্তর্জাতিক বহুপাক্ষিক মঞ্চে চিনের নিন্দা করা’র বিষয়ে সরব হয়েছেন।

এমনকি এই কথাও বলা হচ্ছে যে, বিগত কিছু দিন যাবৎ ভারতের ‘ছলচাতুরি’র বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তকে স্থিতিশীল করতে চিন ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ আপৎকালীন পদক্ষেপ করেছে। এই পদক্ষেপগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল চিন-ভুটান সীমান্ত সংলাপের প্রচার, অরুণাচল প্রদেশের মধ্যে স্থানগুলির নাম পরিবর্তন করা এবং ভারতীয় সাংবাদিকদের ভিসা রদ করা ইত্যাদি। এর মধ্যে যে পদক্ষেপটি চিনা গণমাধ্যমে সবচেয়ে বেশি আলোচিত এবং প্রশংসিত হয়েছে (তবে ভারতীয়/আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সে খবর তেমন ভাবে প্রকাশ্যে আসেনি), তা হল ভুটানের প্রধানমন্ত্রী একটি বিতর্কিত বিবৃতি জারি করা এবং চিনা কর্তৃপক্ষ অরুণাচল প্রদেশের মধ্যে সদ্য ‘নামাঙ্কিত’ স্থানের নাম-সহ একটি নতুন মানচিত্র প্রকাশ করার কয়েক দিন পরে কী ভাবে ৩ এপ্রিল তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সরকার একটি বিবৃতি জারি করে এলএসি বরাবর তিব্বতের দু’টি সীমান্ত শহর মিলিন ও কুয়োনাকে শহর-রাষ্ট্রে উন্নীত করেছে এবং আঞ্চলিক সরকারের সরাসরি প্রশাসনের আওতাভুক্ত করেছে। শুধু তা-ই নয়, কুয়োনা সিটির জন্য নগর প্রশাসনের কেন্দ্রটিও মূল কুয়োনা শহর থেকে সরিয়ে চিন-লেবুগৌ সীমান্ত অঞ্চলের মামা মেনবা এথনিক টাউনশিপে (মামা টাউনশিপ) স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

শুধু তা-ই নয়, কুয়োনা সিটির জন্য নগর প্রশাসনের কেন্দ্রটিও মূল কুয়োনা শহর থেকে সরিয়ে চিন-লেবুগৌ সীমান্ত অঞ্চলের মামা মেনবা এথনিক টাউনশিপে (মামা টাউনশিপ) স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

চিনা মূল্যায়নে এই পদক্ষেপটি অত্যন্ত কৌশলগত তাত্পর্যপূর্ণ। কারণ মিলিন ও কুয়োনার দু’টি সদ্য প্রতিষ্ঠিত শহর ম্যাকমাহন লাইন দ্বারা বিভক্ত এবং ‘মিলিন শহরের কিছু অংশ ভারতে অবস্থিত, যখন কুয়োনা শহরের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই প্রকৃতপক্ষে ভারত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।’ এ দিকে কুয়োনা সিটির প্রশাসনিক কেন্দ্র যে মামা টাউনশিপে স্থানান্তরিত হয়েছে, সেটি এলএসি-র খুব কাছে এবং পশ্চিমে ভুটানের সীমান্তে অবস্থিত। এটি ছিল ১৯৬২ সালের চিন-ভারত যুদ্ধের সময় লেবুগৌতে যুদ্ধরত পিপলস লিবারেশন আর্মির ফ্রন্ট লাইন। সেই সময় পিএলএ-র কম্যান্ড পোস্টের অবস্থানও ছিল সেখানে। তাওয়াং এলাকা এবং শিশানকৌ পাস মামা টাউনশিপের কাছাকাছি অবস্থিত। কিছু চিনা কৌশলবিদ মনে করেন যে, এই পদক্ষেপটি দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের সানশা সিটি প্রতিষ্ঠার অনুরূপ এবং চিন সরকার বর্তমানে ‘দক্ষিণ তিব্বত’ বিবাদে দক্ষিণ চিন সাগরে (পুনরুদ্ধার ও দ্বীপ নির্মাণ, পরিকাঠামো নির্মাণ শক্তিশালীকরণ এবং প্রশাসনিক বিভাগের সংস্কার ইত্যাদি) সফল অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি করতে আগ্রহী। চিনা মূল্যায়ন অনুযায়ী, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে এক ঢিলে তিন পাখি মারা যাবে!

প্রথমত, এর লক্ষ্য চিন-ভারত সীমান্তের পূর্ব অংশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা বৃদ্ধি করা এবং অরুণাচল প্রদেশের ওপর চিনের সার্বভৌমত্বের দাবিকে শক্তিশালী করা। এখন করণীয় হল নগর নির্মাণ; বিমানবন্দর ও রাস্তা-সহ এই নতুন প্রতিষ্ঠিত শহরগুলিতে বড় আকারের পরিকাঠামো নির্মাণ; এই অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ পর্বত, নদী ও গিরিপথকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা বিকাশ; এবং এই অল্প জনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে স্থিতিশীল জনপ্রবাহ সুনিশ্চিত করা। আসল লক্ষ্য হল ভারতের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতের সংগ্রামে এই শহরগুলিকে ব্যবহার করা। এ দিকে তুলনামূলক ভাবে শান্তিপূর্ণ সময়ে অঞ্চলগুলি ভুটানের সঙ্গে অর্থনৈতিক আদান-প্রদান এবং ভারতের বাজারে ভুটানের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত প্রবেশাধিকারকে কাজে লাগানোর জন্য চিনের দীর্ঘমেয়াদি উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা ভারতের অর্থনৈতিক পশ্চিমাঞ্চলকে তার নিজস্ব ভূখণ্ডবেষ্টিত পশ্চিম প্রদেশগুলির জন্য উন্মুক্ত করে দেবে।

দ্বিতীয়ত, অরুণাচল প্রদেশে তার দাবিকে দ্বিগুণ জোরালো করে চিন ভারতকে চিন-ভারত সীমান্ত প্রসঙ্গে ‘বৃহত্তর সুবিধা’ আদায় করতে চিন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইউএস) সম্পর্কের অবনতি থেকে লাভ তোলার বিরুদ্ধে সতর্ক করতে চায়। ১৮ মার্চ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বক্তৃতা এবং ২৯ মার্চ সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডের বক্তৃতা উল্লেখ করে বিভিন্ন চিনা পর্যবেক্ষকের অভিমত এই যে, ভারত এখনও পর্যন্ত দশ দফা সামরিক কম্যান্ডার পর্যায়ের সীমান্ত আলোচনায় চিনা উদ্যোগের খুব কমই প্রশংসা করেছে এবং ভারত সেখানে চিনের শর্ত মেনে সমস্যার সমাধান করা থেকে এবং চিনের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলকে শান্ত রাখা থেকে বঞ্চিত করেছে। তার পরিবর্তে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমের স্বার্থ পূরণ করছে, ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করেছে এবং মার্কিন-চিন বিরোধকে ব্যবহার করে তার উত্থানকে উস্কানি দিচ্ছে (যেমন উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকার যুদ্ধ জাপানের উত্থানকে পরিচালিত করেছিল এবং ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে আমেরিকার যুদ্ধ দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি অর্থনৈতিক অত্যাশ্চর্য অবস্থার সুযোগ করে দিয়েছিল)। এ ভাবে অরুণাচল প্রসঙ্গকে উত্থাপন করার মাধ্যমে এবং চিন আসলে এই অঞ্চলকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এমন বার্তা পৌঁছে দিয়ে চিনের বিরুদ্ধে তার অবস্থান নরম করার জন্য দেশটি ভারতকে চাপ দিতে চায়।

তুলনামূলক ভাবে শান্তিপূর্ণ সময়ে অঞ্চলগুলি ভুটানের সঙ্গে অর্থনৈতিক আদান-প্রদান এবং ভারতের বাজারে ভুটানের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত প্রবেশাধিকারকে কাজে লাগানোর জন্য চিনের দীর্ঘমেয়াদি উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা ভারতের অর্থনৈতিক পশ্চিমাঞ্চলকে তার নিজস্ব ভূখণ্ডবেষ্টিত পশ্চিম প্রদেশগুলির জন্য উন্মুক্ত করে দেবে।

তৃতীয়টি হল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝানো যে, ম্যাকমাহন লাইনটি ‘অবৈধ ও অকার্যকর’ এবং এটিকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত নয়। ১৪ মার্চ মার্কিন দ্বিদলীয় সেনেট একটি প্রস্তাব পাস করে যে, ‘ম্যাকমাহন লাইন’ চিন এবং অরুণাচল প্রদেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমানা এবং এটি ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বেশির ভাগ চিনা পর্যবেক্ষকের অভিমত যে, এলএসি-র পূর্ব প্রদেশে চিনের বর্তমান পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ‘উস্কানিমূলক অবস্থান’-এর প্রেক্ষিতে প্রত্যক্ষ প্রতিক্রিয়া। অন্যান্য সাম্প্রতিক ঘটনা যা চিনা কৌশলগত সম্প্রদায়ের মধ্যে বেশ শঙ্কার সৃষ্টি করেছে এবং অনলাইনে নানাবিধ আলোচনার জন্ম দিয়েছে, তা হল ২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর চিন-ভারত সীমান্ত সংঘাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ভূমিকা সম্পর্কে। বিশেষ করে দুই দেশের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের ব্যবস্থা, ভূ-স্থানিক সহযোগিতার জন্য মৌলিক বিনিময় ও সহযোগিতা চুক্তির অংশ হিসেবে (বিইসিএ) চিনের মূল উদ্বেগের বিষয়গুলি উত্থাপিত হয়েছে। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত আমেরিকানদের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ক্ষমতা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ও দক্ষ ভারতীয় সেনাবাহিনীর পার্বত্য অঞ্চলের যুদ্ধদক্ষতার সঙ্গে সমন্বিত হলে তা বিতর্কিত চিন-ভারত সীমান্তে টহলরত পিএলএ সেনার জন্য ব্যাপক ঝুঁকি হয়ে উঠতে পারে। গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় ছাড়াও ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা ভারতের কাছে আরও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র উপলব্ধ করার সম্ভাবনা নিয়েও সমূহ উদ্বেগ এবং চিন-ভারত সীমান্তের কাছে আরও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সামরিক মহড়া চিনা স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়। এই পদক্ষেপগুলি আসলে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের উত্থানের এখন পর্যন্ত স্থির গতিকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রতিহত করতে পারে। সুতরাং ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ঝাং জিয়াডং-এর মতে, এই বিষয়ে চিন অনুমান করেছে যে, এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কখনও চিন-ভারত সীমান্ত বিরোধে হস্তক্ষেপ করেনি। কিন্তু বর্তমানে যখন চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ততর হয়েছে, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে পক্ষাবলম্বন করছে এবং চিনের মোকাবিলা করার জন্য ভারতের সঙ্গত দিচ্ছে। তর্কসাপেক্ষ ভাবে এর নেপথ্যে প্রধান কারণ হল ভারতকে চিনের মুখোমুখি হওয়ার প্রেক্ষিতে আরও বেশি করে আত্মবিশ্বাসী করে তোলা, দুই এশীয় বৃহৎ শক্তির মধ্যে বিরোধের ‘আগুনকে উস্কে দেওয়া’ এবং পরিস্থিতি থেকে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করা।

গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় ছাড়াও ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা ভারতের কাছে আরও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র উপলব্ধ করার সম্ভাবনা নিয়েও সমূহ উদ্বেগ এবং চিন-ভারত সীমান্তের কাছে আরও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সামরিক মহড়া চিনা স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়।

সামগ্রিক ভাবে ভারত সম্পর্কে বর্তমান চিনা আখ্যানের দিকে নজর ফেরালে এ কথা বেশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, চিনের তরফে ভারতের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যটি – উচ্চ পর্যায়ের সফরের মাধ্যমে এই আখ্যানের প্রচার চালানো যে ‘সীমান্ত সমস্যা আসলে একটি অচলাবস্থা থেকে স্বাভাবিক ব্যবস্থাপনার দিকে স্থানান্তরিত করা’ বা ‘ভারতের বিরুদ্ধে এলএসি-র পূর্ব ক্ষেত্রে কম্বিনেশন স্ট্রাইক (组合拳) চালানো’ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে স্বার্থের সমন্বয়ের ফলে সৃষ্ট গভীর চিনা উদ্বেগ দ্বারা চালিত। এই প্রেক্ষিতে প্রায়শই পুনরুক্ত দৃষ্টিভঙ্গি হল যে, এখনও পর্যন্ত চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিযোগিতা একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে, যেখানে কোনও পক্ষই নিরঙ্কুশ সুবিধা বা সম্পূর্ণ অসুবিধার মধ্যে নেই। ভারত যদি চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার প্রতিযোগিতায় হস্তক্ষেপ করে, তবে সেই সূক্ষ্ম ভারসাম্যের পালা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পার্থক্যগুলি মূলত দক্ষিণ চিন সাগর এবং তাইওয়ান প্রণালীতে কেন্দ্রীভূত এবং অনেকের দাবি অনুযায়ী চিন বর্তমানে তা সহজেই পরিচালনা করছে। তবে দক্ষিণ চিন সাগর বা তাইওয়ান প্রণালীতে পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটলে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত অস্থিতিশীল থাকলে চিন পরিস্থিতির সঙ্গে কতটা সহজে মানিয়ে নিতে পারবে, তা বলা মুশকিল। ভারতের মতো একটি ‘কঠিন প্রতিপক্ষ’-র সঙ্গে কী ভাবে মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে দ্বিধা রয়েছে, যেখানে চিনকে এলএসি-তে তার (ভারতের) দাবিগুলিকে (বিশেষ করে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে পূর্ববর্তী অবস্থানে প্রত্যাবর্তনের দাবি্র পরে) অন্তর্ভুক্ত করতে হবে না। তবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও অবনতিও হবে না, যার ফলে চিন একটি দ্বিমুখী দ্বন্দ্বের সম্মুখীন হয়। যখন চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসেন, তখন এই প্রশ্নই চিনা কৌশলগত সম্প্রদায়ের মনে ঘুরপাক খায়।


অন্তরা ঘোষাল সিং অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.