Published on Dec 13, 2024 Updated 0 Hours ago
ভারত-জাপান সম্পর্কের ক্ষেত্রে চিন প্রসঙ্গ

সংঘাত কৌশলগত প্রতিযোগিতার ছায়া ইন্দো-প্যাসিফিকের উপর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। দক্ষিণ চিন সাগরে ভিয়েতনাম ইন্দোনেশিয়ার মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলি তাদের আঞ্চলিক জলসীমায় চিনের ক্রমবর্ধমান অনুপ্রবেশ ঘটতে দেখছে। আরও উত্তর দিকে বিতর্কিত সেনকাকু/দিয়াওয়ু দ্বীপপুঞ্জ একটি উল্লেখযোগ্য আঞ্চলিক চ্যুতিরেখা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, যেখানে চিনিজেদের জাহাজ নোঙর করছে এবং এটি জাপানের অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছেচিনের অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তির পূর্ণ মাত্রাকে এই অঞ্চলে মোকাবিলা করার জন্যভারত ও জাপান ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়াসে আরও কাছাকাছি এসেছে। এই সম্পর্ক নিঃসন্দেহে সঙ্কটপূর্ণ এক অভিন্ন সাধারণ প্রতিযোগীর বিরুদ্ধে একত্রিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষার ফলস্বরূপ গড়ে উঠেছে। তবে সম্পর্কটি নিঃসন্দেহে একটি অভিন্ন সাধারণ প্রতিবন্ধকতার ঊর্ধ্বে উঠে নিবিড় হয়েছে এবং বর্তমানে অর্থনৈতিক, বহুপাক্ষিক নিরাপত্তা বিষয়গুলি জুড়ে স্বার্থের সংমিশ্রণকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

কৌশলগত পরিসরের প্রেক্ষিতে যা সত্য তা অনুযায়ী, চিনের অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তির উত্থানের ইতিহাসে কোনও কিছুই আর সমান্তরাল পথে এগোয় না। ভারত জাপান চিনের প্রতিবেশী এবং এক সময়ের তার উল্কাসম উত্থানের সমর্থকও বটে। চিনের উত্তরোত্তর বৃদ্ধি এই দু’টি দেশের অস্থিরতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাপানের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের অবনতির নেপথ্যে রয়েছে তিনটি প্রাথমিক কারণ: চিনের ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা স্বার্থ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জাপানের জোট এবং উভয় শক্তির দ্বারা পরিচালিত যুদ্ধের জটিল ইতিহাস।

এই অঞ্চলে চিনের সীমিত সামরিক স্বার্থ তার উত্থানের কয়েক দশক ধরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দেওয়ার অর্থ হল, বেশির ভাগ অংশে জাপান ভারতের সঙ্গে সম্পর্কগুলি পরিচালনাযোগ্য সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল।

প্রথমত, চিনের উত্থান তার জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ সম্বন্ধে তার উপলব্ধি সেই স্বার্থ রক্ষায় তার আস্থা ও ক্ষমতাকে ব্যাপক ভাবে প্রসারিত করেছে। এই অঞ্চলে চিনের সীমিত সামরিক স্বার্থ তার উত্থানের কয়েক দশক ধরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দেওয়ার অর্থ হল, বেশির ভাগ অংশে জাপান ভারতের সঙ্গে সম্পর্কগুলি পরিচালনাযোগ্য সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। জাপানের প্রেক্ষিতে ১৯৯০-এর দশকে চিনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে কারণ সে সময় জাপানের অর্থনীতি এক লহমায় থমকে যায় এবং চিনের অর্থনীতি ভয়ঙ্কর বৃদ্ধির হার অনুভব করতে শুরু করেছিল, যা কার্যকর ভাবে সম্পর্কের ক্ষমতার অর্থনৈতিক ভারসাম্যকে পরিবর্তন করেছে এবং জাপানি বিনিয়োগের উপর চিনের এক সময়ের নির্ভরতা হ্রাস করেছে। ১৯৯০-এর দশক থেকে শুরু করে তাইওয়ানে এবং দক্ষিণ চিন সাগরে বিরোধীদের ভয় দেখানোর জন্য চিনের ক্রমবর্ধমান সামরিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবের ব্যবহার চিন সম্পর্কে জাপানিদের চিন্তাধারায় একটি আমূল পরিবর্তন এনেছিল কারণ নীতিনির্ধারকরা তাঁদের পশ্চিমী প্রতিবেশীর দ্বারা সৃষ্ট হুমকির বিষয়ে ধীরে ধীরে অনিচ্ছুক বাস্তববাদী হয়ে উঠছিলেন

২০১০ সালের আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে চিনের বিদেশমন্ত্রী ইয়াং জিচির আসিয়ান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের সমালোচনার প্রতিক্রিয়া বিষয়টিকে আরও জটিল করে তোলে, যেখানে তিনি স্পষ্ট ভাবে বলেছিলেন যে, ‘চিন একটি বড় দেশ এবং অন্য দেশগুলি ছোটকথা সত্য। ২০১০-এর দশক জুড়ে চিন-জাপান সম্পর্ক খারাপ থেকে খারাপতর হয়েছিল। কারণ বিতর্কিত সেনকাকু/দিয়াওয়ু দ্বীপপুঞ্জ থেকে শুরু করে দক্ষিণ চিন সাগরে দ্বীপগুলির উপর চিনের দখলকে ঘিরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল। দীর্ঘদিনের প্রাইম মিনিস্টার শিনজো আবের নেতৃত্বে জাপানের রক্ষণশীলদের রাজনৈতিক উত্থানের পাশাপাশি চিনের কর্মকাণ্ড পূর্ব এশিয়ার এই দুই বৃহৎ শক্তির মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে।

দ্বিতীয়ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জাপানের জোট বেজিংয়ের হুমকির ধারণাকে প্রসারিত করেছে। এক সময় চিনা কৌশলগত অভিজাতরা মার্কিন জোটকে জাপানি সামরিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি বলে মনে করলেও পরবর্তী সময়ে জাপান মার্কিন কর্মকাণ্ডের অংশীদার হয়ে উঠেছে। মার্কিন নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাপান তাইওয়ানকে ‘এক অভিন্ন সাধারণ স্বার্থের বলয়’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং দক্ষিণ ও পূর্ব চিন সাগরে চিনা কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। আবের শাসনামলে জাপান একটি স্বাভাবিক দেশ’ হয়ে ওঠার দিকে অগ্রসর হয়েছিল কারণ জাপানের রাজনীতিতে অনেকেই শান্তিবাদের প্রতি দ্বীপরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির জরুরি পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেছিলেনএটি এমন একটি পদক্ষেপ যাকে ওয়াশিংটন অনুমোদন করেছে। বেজিংয়ের জন্য শক্তিশালী নিরাপত্তা ক্ষমতাসম্পন্ন জাপান এই অঞ্চলে একটি বৃহত্তর নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল কৌশলের কেন্দ্রীয় লক্ষ্যে চিনের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে একটি বৃহত্তর ভূমিকা পালন করতে পারে

দীর্ঘদিনের প্রাইম মিনিস্টার শিনজো আবের নেতৃত্বে জাপানের রক্ষণশীলদের রাজনৈতিক উত্থানের পাশাপাশি চিনের কর্মকাণ্ড পূর্ব এশিয়ার এই দুই বৃহৎ শক্তির মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে।

তৃতীয়ত, পূর্ব এশিয়ার যুদ্ধের ইতিহাসের বহুবর্ষব্যাপী সমস্যা রয়েছে, যা বিংশ শতাব্দীতে চিনের বিরুদ্ধে জাপানের নৃশংসতাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল। ইতিহাসকে মুছে দেওয়ার জন্য অসংখ্য রক্ষণশীল গোষ্ঠীর প্রচেষ্টার মাধ্যমে জাপান প্রথম পদক্ষেপ নিলেও চিবিষয়টিকে দীর্ঘস্থায়ী করে তুলতে সমর্থ হয়। ১৯৮৯ সালের তিয়ানআনমেন স্কোয়্যারের বিক্ষোভের ঝাঁকুনিতে সিসিপি দেশাত্মবোধক শিক্ষার প্রচারে ব্রতী হয়, যা জাপানি সামরিক বাহিনীর হাতে চিনের লাঞ্ছিত হওয়ার গল্পকে কাজে লাগায়। এশিয়া সংক্রান্ত প্রবীণ পর্যবেক্ষক রিচার্ড ম্যাকগ্রেগর উল্লেখ করেছেন যে, এই সিদ্ধান্ত চিনা জনগণের মধ্যে শক্তিশালী জাপান-বিরোধী মনোভাব দৃঢ় করেছে, যা জনসাধারণের ক্ষোভ বৃদ্ধি পাওয়ার ভয়ে চিন ও জাপানের পুনর্মিলনের সম্ভাবনাকে প্রায় অসম্ভব করে তুলেছে।

চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের ভারসাম্য বজায় রাখতে সক্ষম অন্য মহাদেশীয় শক্তি হিসেবে ভারতকেও কৌশলগত প্রবাহের মোকাবিলা করতে হয়েছে, যা এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে বর্তমান মুহূর্তটিকে আকার দিয়েছে। এই দুটি শক্তির মধ্যে উত্তেজনা বিভিন্ন কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে: অল্প সময়ের মধ্যে দুই দেশের উত্থান, অমীমাংসিত সীমানা বিরোধ, পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের বন্ধুত্ব এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান ক্ষমতার পার্থক্য। ভারতের সঙ্গে সীমান্তে সামরিক সম্পদ ও অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ থেকে জলদস্যুতা বিরোধী অভিযান পর্যন্ত নানা বিষয়ে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনা নৌ প্রক্ষেপণের মাধ্যমে সামরিক সক্ষমতায় চিনের দ্রুত সম্প্রসারণ ভারতে অস্থিরতার জন্ম দিয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ, পারমাণবিক সরবরাহকারী গোষ্ঠী ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি ব্যবস্থার মতো বহুপাক্ষিক মঞ্চে যোগদানের বিরোধিতা করে চিন সক্রিয় ভাবে ভারতের বিদেশনীতির লক্ষ্যগুলিকে ব্যর্থ করার উদ্দেশ্যে ব্রতী হয়েছে। এর পাশাপাশি চিন চেষ্টা চালিয়েছে, যাতে ভারতের কার্যসিদ্ধি না হয়। নয়াদিল্লির কাছে এটি প্রকাশ্য দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, বেজিং ভারতের উত্থানকে মোটেও ভাল চোখে দেখছে না। সর্বোপরি, পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের ঘনিষ্ঠতার অর্থ হল যে, চিন কাশ্মীরের বিতর্কিত অঞ্চলে চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইসি) প্রকল্প থেকে শুরু করে মাসুদ আজহারের মতো সন্ত্রাসবাদীকে কালো তালিকাভুক্ত করার ভারতীয় প্রচেষ্টাকে বাধা দেওয়া জন্য ভারতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। সর্বোপরি, অমীমাংসিত সীমান্ত নিয়ে বিরোধ এবং ফলস্বরূপ আঞ্চলিক দাবি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর কালো মেঘের মতো ঘনিয়ে এসেছে। আঞ্চলিক দাবিগুলি সমাধান করা এবং উত্তেজনা হ্রাস করার জন্য বহুবিধ প্রচেষ্টা চালানো হলেও ভুল বোঝাবুঝি এবং বিরক্তি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে হিমালয়ের আলপাইন উচ্চতায় একটি সংঘর্ষের পর চার দশকেরও বেশি সময় ধরে চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্তে এই প্রথম কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটে। ফলে ভারতীয় কৌশলগত অভিজাতরা চিন সম্পর্কে তাঁদের হুমকির ধারণাকে আকার দিতে এবং অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ভাবে আরও শক্তিশালী নীতি গ্রহণ করতে বাধ্য হন।

এই দুটি শক্তির মধ্যে উত্তেজনা বিভিন্ন কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে: অল্প সময়ের মধ্যে দুই দেশের উত্থান, অমীমাংসিত সীমানা বিরোধ, পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের বন্ধুত্ব এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান ক্ষমতার পার্থক্য। ভারতের সঙ্গে সীমান্তে সামরিক সম্পদ ও অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ থেকে জলদস্যুতা বিরোধী অভিযান পর্যন্ত নানা বিষয়ে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনা নৌ প্রক্ষেপণের মাধ্যমে সামরিক সক্ষমতায় চিনের দ্রুত সম্প্রসারণ ভারতে অস্থিরতার জন্ম দিয়েছে।

অভিন্ন সাধারণ প্রধান বিষয়গুলিকে কেন্দ্র করে ভারত ও জাপানের উদ্বেগ হয়ে দাঁড়িয়েছে চিন: আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ, উচ্চ সমুদ্রে অবাধ ও উন্মুক্ত নৌচলাচলের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা, বিস্তৃত সামুদ্রিক ও সামরিক পদচিহ্নের মাধ্যমে এই অঞ্চলে স্থিতাবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করার চিনের অভিপ্রায় এবং চিনের সঙ্গে শক্তির ফারাককে ঘুচিয়ে দিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা। এর সঙ্গেই রয়েছে গণতন্ত্র, অর্থনৈতিক উদারতাবাদ একটি নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় অভিন্ন সাধারণ বিশ্বাস এবং একটি শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব।

২০১২ সালে শিনজো আবের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন এবং ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচন ভারত-জাপান সম্পর্কের সূচনা করে, যা এই অঞ্চলে চিনের প্রতি একটি শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্রিয় ভাবে কাজ করেছিল। ২০০০ এবং ২০১০-এর দশকের প্রথম দিকে উভয় পক্ষই মোকাবিলার একটি নীতি অনুশীলন করেছিল, যা ২০১৩ সাল থেকে চিনের বিরুদ্ধে ভারসাম্য রক্ষার কৌশলের সমস্ত বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছে। ২০১২ সালে ‘এশিয়া’জ ডেমোক্র্যাটিক সিকিউরিটি ডায়মন্ড শীর্ষক একটি নিবন্ধে আবে এ কথাই স্পষ্ট করে দেন, যেখানে তিনি দক্ষিণ চিন সাগর লেক বেজিংহয়ে ওঠা এবং সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জের উত্তেজনা নিয়ে তাঁর উদ্বেগের কথা বিস্তারিত বর্ণনা করেছিলেন। এআলোকে তিনি ভারত-জাপান সম্পর্কের প্রতি তাঁর পূর্বের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন, যা প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগর জুড়ে নৌচলাচলের স্বাধীনতার অভিভাবক হিসাবে আরও দায়িত্ব নিতে পারে। তাকেনোরি হোরিমোয়ো মনে করেন যে, উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং একটি প্রধান সামরিক শক্তি হিসাবে চিনের নতুন অবস্থানের সঙ্গে মোকাবিলা করা দুই দেশের জন্য শীর্ষ অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে। তাই ‘জাপান-ভারত সমঝোতার একটি প্রধান বিষয়’-এর প্রেক্ষিতে ‘চিনকে মোকাবিলা করার নীতি’ সংক্রান্ত হোরিমোতোর দাবিকে উপেক্ষা করার সত্যিই কোনও অবকাশ নেই।

 


এই প্রতিবেদনটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় স্ক্রল ডট ইন-এ।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.