Published on Apr 13, 2023 Updated 0 Hours ago
মেটাভার্সে আধিপত্য এবং আন্তঃকার্যকারিতার মধ্যে সংঘর্ষ

এই প্রতিবেদনটি রাইসিনা ফাইলস ২০২৩ সিরিজের অংশ।


আদতে তা যা নয়, তা দিয়েই মেটাভার্সকে সংজ্ঞায়িত করা সহজ।(১) মেটাভার্স এআর/ভিআর নয়। কারণ ব্যবহারকারীরা অন্যান্য  ইন্টারফেস বা পরিসরের (স্মার্টফোন বা কম্পিউটার) সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেন; মেটাভার্স গেমিং থেকে উদ্ভূত নয়,যা ভার্চুয়াল গেম মঞ্চ দ্বারাই প্রদর্শিত হয়, যারা অন্য বাজার বা ব্যবসার দিকে ঝুঁকছে; মেটাভার্স ওয়েব ৩.০ নয় যেটি আগের থেকে ভিন্ন, বরং এটি শুধুমাত্র বিকেন্দ্রীভূত বিশ্বকেই অন্তর্ভুক্ত  করে। এবং সর্বোপরি ২০২২ সালে প্রত্যেক মাসে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারীর নথিবদ্ধ তথ্য থেকেই বোঝা যায় যে, মেটাভার্স মরুভূমির মতো মোটেও নির্জন কোনও পরিসর নয়।(২)

এ কথা সুনিশ্চিত করতে ‘মেটাভার্স’-এর কিছু বাধ্যতামূলক সংজ্ঞা রয়েছে, যেমন: ‘যা আমরা প্রাথমিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতাম, তার তুলনায় কোনও কিছুতে আরও বেশি করে নিমগ্ন হয়ে পড়াকেই বর্তমানে ইন্টারনেটের বিবর্তন বলা চলে।’(৩) অন্যথায় ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট এবং মেটাভার্স বিশেষজ্ঞ ম্যাথিউ বল উল্লেখ করেছেন, এটি একটি সম্ভাব্য ‘রিয়েল-টাইম ত্রিমাত্রিক ভার্চুয়াল বিশ্ব এবং পরিবেশের ইন্টারঅপারেবল বা আন্তঃকার্যকরী নেটওয়ার্ক যা একটি পৃথক উপস্থিতির অনুভূতি, তথ্যের ধারাবাহিকতা-সহ কার্যকরভাবে সীমাহীন সংখ্যক ব্যবহারকারী দ্বারা সমসাময়িক এবং অবিরাম অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে সক্ষম।’(৪)

মেটাভার্সের অনেক দিক সংজ্ঞায়িত করা কঠিন হলেও যে কথা অত্যন্ত স্পষ্ট, তা হল শুধুমাত্র একটিই মেটাভার্স রয়েছে। এটি বিভিন্ন ভার্চুয়াল জগৎকে ধারণ করে যা ভৌত জগতের সমান্তরালে বিদ্যমান— যেমন ডিসেন্ট্রাল্যান্ড, ফোর্টনাইট, রোব্লক্স, মাইনক্রাফ্ট এবং দ্য স্যান্ডবক্স। কিন্তু এ সব কিছুই একটি একক সত্তার অংশ।

মেটাভার্সের ধারণাটি আরও ভালভাবে বোঝার জন্য উপমা এবং রূপক ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্য আর একটি দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখলে, মেটাভার্স হল এক ধরনের শব্দার্থিক ক্ষেত্র বা একটি ভাষায় শব্দের এমন একটি গোষ্ঠী, যা অর্থের একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত। মেটাভার্সের ক্ষেত্রে এর মধ্যে থাকা মঞ্চগুলি তাদের নিমজ্জনের স্তর, তথ্যের ধারাবাহিকতা এবং অধ্যবসায়ের উপর ভিত্তি করে সংগঠিত হয়। যদিও একটি শব্দার্থিক ক্ষেত্রের মতো এই মঞ্চগুলির মধ্যে আন্তঃকার্যক্ষমতাকে সুনিশ্চিত করা হয় না। এগুলি সবই একটি একক সেটের অংশ হলেও তাদের মধ্যে তথ্য ভাগ করে নেওয়া হয় না বা ব্যবহার করা হয় না৷ এটি খানিক এমন ধরনেরই নামান্তর, যেখানে একটি আভিধানিক ক্ষেত্রে নানা শব্দের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ আধিপত্য বিস্তারের দাবিতে প্রতিযোগিতা করছে। মেটাভার্সে এই মঞ্চগুলির মধ্যে কোনও জোট বা আন্তঃকার্যকারিতা নেই।

ব্যবহারকারীদের মনোযোগ আকর্ষণের লড়াই

মেটাভার্সের প্রতিযোগিতামূলক পরিসরে মঞ্চগুলি তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের উপর সুবিধা অর্জনের উদ্দেশ্যে ক্রমাগত কৌশল চালায়। তারা নিজেদের বাহ্যিক হুমকি থেকে রক্ষা করে এবং ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করা ও ধরে রাখার জন্য ব্যবস্থা নির্মাণ করে। এটি অন্য যে কোনও যুদ্ধেরই অনুরূপ, যেখানে প্রতিটি পক্ষ তাদের প্রতিপক্ষের পদক্ষেপ অনুমান করার চেষ্টা করে, নিজেদের প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করে তোলে এবং যারা সরাসরি সংঘর্ষে জড়িত নয়, তাদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করে।

নীচে এমনই কিছু উদাহরণ দেওয়া হল।

  • ২০২২ সালের অগস্ট মাসে ইথেরিয়াম ব্লকচেনের উপর ভিত্তি করে একটি ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড দ্য স্যান্ডবক্স আলফা সিজন ৩ চালু করে। এই পরিসরে ২ লক্ষেরও বেশি মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী (যা নিঃসন্দেহে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক) নিবন্ধিত করেছে এবং অবিলম্বে প্রায় ৯০টি ‘এক্সপেরিয়েন্স’ বা ‘অভিজ্ঞতা’র উপস্থাপন করেছে, যার মধ্যে ২৭টি ওয়ার্নার মিউজিক গ্রুপের ক্যালিবারের অংশীদারদের কাছ থেকে এসেছে। এটি নতুন মিথস্ক্রিয়াসম্পন্ন প্লে-টু-আর্ন (খেলার ভিত্তিতে উপার্জন) গেমগুলিতে অংশগ্রহণের সুযোগ, একচেটিয়া অনুষ্ঠান এবং কর্মসূচিগুলিতে প্রবেশাধিকারের সুযোগ দেয় ও এর মাধ্যমে মঞ্চটির বিক্রয়ের পরিমাণ পূর্ববর্তী ত্রৈমাসিকের তুলনায় ১৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই উদ্যোগ গ্রহণের পর ব্যবহারকারীর সংখ্যাও ছিল আশ্চর্যজনক: মঞ্চটি প্রায় ৩৯ হাজার দৈনিক ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছেছে এবং ওয়েবসাইটটি গত মাসে ১.৬ মিলিয়ন দর্শক ব্যবহার করেছেন।(৫) আন্তঃকার্যকারিতার একমাত্র ইঙ্গিতটি ছিল এনএফটি-র সঙ্গে সম্পর্কিত: বোরড এপ ইয়ট ক্লাবের(৬) মতো নন-ফাঞ্জিবল টোকেনের বৃহত্তম সংগ্রহের মালিকরা আলফা সিজন ৩-এ টোকেনগুলিকে অবতার হিসাবে ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছিলেন। এই কৌশলগত জোট আরও একটি নির্দিষ্ট যুদ্ধকালীন পৃষ্ঠপোষকতা আধিপত্যের লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছিল।
  • ২০২২ সালের কিউ৩ তথ্যের উপর মন্তব্য করতে গিয়ে রোব্লক্স-এর সিইও ডেভিড বাসজুকি ডেভেলপারদের সমন্বয়মূলক পদক্ষেপ (প্রায় ৪ মিলিয়ন) এবং অভিজ্ঞতার (গেমিং এবং ইভেন্ট-সহ ৩০ মিলিয়ন) কারণে মঞ্চটির মূল অপারেটিং মেট্রিক্সে শক্তিশালী বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এই ইভেন্টগুলি ‘উচ্চ মানের অভিজ্ঞতা তৈরি করে যা একটি বিস্তৃত এবং আন্তর্জাতিক দর্শকদের কাছে আবেদনময়।’(৭) এর পাশাপাশি অবশ্য রোব্লক্স বলেছেন যে, এটি দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারদের মূল্য সর্বাধিক করার উপর নজর দিয়ে একটি প্রতিরক্ষামূলক মূলধন বরাদ্দ কৌশল চালিয়ে যাচ্ছে। তার পরেও তৃতীয় ত্রৈমাসিকের পরিসংখ্যান বেশ চিত্তাকর্ষক: সেই রাজস্বের পরিমাণ মোট ৫১৭.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের থেকে ২ শতাংশ বেশি; গড় দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল ৫৮.৮ মিলিয়ন, যা ২০২১ সাল থেকে ২৪ শতাংশের বৃদ্ধি রেকর্ড করে; এবং মঞ্চটিতে ব্যবহারকারীদের দ্বারা ব্যয় করা ঘণ্টার পরিমাণ ২০ শতাংশ বেড়ে ১৩.৪ বিলিয়ন হয়েছে।(৮)
  • ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ডিসেন্ট্রাল্যান্ড ৫৬০০০ দৈনিক ব্যবহারকারীকে স্বাগত জানিয়েছে, যা কিনা অগস্ট মাস থেকে ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার এর নেপথ্যে রয়েছে একটি সুনির্দিষ্ট কৌশল বাস্তবায়ন: মঞ্চটি জুন মাসে প্রাইড উইক, অগস্ট মাসে আর্ট উইক এবং নভেম্বর মাসে মিউজিক ফেস্টিভ্যালের মতো সাধারণ কৌশলের পাশাপাশি একই মাসে ফ্যাশন ইভেন্ট-সহ ১৬০টিরও বেশি অভিজ্ঞতার প্রস্তাব দিয়েছে।(৯)

অনুমান করা যেতে পারে, যত মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করা সম্ভব, বিজয় ততটাই স্পষ্ট। এনগেজমেন্ট রেট-এর মতোই একটি বিষয়বস্তুর অংশ থেকে প্রাপ্ত ব্যস্ততার উপর নির্ভরশীল আইবল ড্রিভেন হল এমন একটি ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া বা স্ট্রিমিং পরিষেবা দ্বারা গৃহীত একটি বিপণন কৌশল(১০) এবং মেটাভার্সে উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত, যা শুধুমাত্র কতজন দেখলেন সেই সংখ্যা থেকে মুনাফা অর্জন করে। যত বেশি ব্যবহারকারী মঞ্চটি ব্যবহার করবেন, সেটি তত বেশি দৃশ্যমানতা লাভ করবে। যত বেশি অভিজ্ঞতা এবং পরিষেবা যোগ করা হবে, তত বেশি ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। এটি মেটাভার্সের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে মঞ্চগুলিকে প্রথমে ব্যবহারকারীরা ‘জানা’র ও ‘বোঝা’র চেষ্টা করেন এবং তার পরে ব্যস্ততার হারগুলির মতো অন্যান্য মূল কর্মক্ষমতা সূচক দেখতে পান।

সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হলে মঞ্চগুলির জন্য লাভের (এবং অনিবার্য ভাবে ‘উইন্ডোয়’ প্রদর্শিত ব্র্যান্ডগুলির জন্য) পরিমাণ তীব্র হতে পারে। এর থেকে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, কেন ১৮ ডিসেম্বর টুইটার তার ব্যবহারকারীদের অন্য সামাজিক নেটওয়ার্কগুলিতে তাদের উপস্থিতি প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল— এটি এমন একটি নীতি যা ব্যবহারকারীদের আপত্তির পরে অবিলম্বে প্রত্যাহার করা নেওয়া হয়।(১১) এটিও মেটাভার্সে মঞ্চগুলির ক্রমবর্ধমান মেরুকরণ এবং বিশেষীকরণের কারণ, যা দর্শকদের ভার্চুয়াল ফুটপ্রিন্টগুলি থেকে অর্থ তৈরিতে সক্ষম।

প্রতিযোগিতামূলক চাপের ইতিবাচক দিক: ‘দ্য মেটা জব টু বি ডান’

২০১৬ সালে ক্লেটন ক্রিস্টেনসেন ম্যাকডোনাল্ডস-এ আরও বেশি পরিমাণে মিল্কশেক বিক্রি করার জন্য একটি কৌশল তৈরি করতে ভোক্তাদের আচরণ অধ্যয়ন করেছিলেন। যদি সকালে গাড়ি করে বাড়ি থেকে কাজে যাওয়ার পথে সবচেয়ে বেশি মিল্কশেক খাওয়া হয়, তা হলে কেন পানীয়টিকে আরও সান্দ্র করা হয় না, যাতে সেটি আরও দীর্ঘক্ষণ গ্রহণযোগ্য হয়, ড্রাইভ-ইনগুলিতে স্ব-পরিষেবাযোগ্য ডিসপেনসার তৈরি করে এবং আরও সুদৃঢ় প্যাকেজিং তৈরি করা হবে না? হার্ভার্ডের অধ্যাপক ‘জব টু বি ডান’-এর ধারণাটি তৈরি করেন(১২) এবং বলেন যে, ভোক্তারা একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য পূরণের জন্য কোনও পণ্য ক্রয় করেন। যদি সেই ক্রয়ে ভোক্তা সন্তুষ্ট হন, তা হলে তাঁরা সেই পণ্যটিকে ভবিষ্যতেও বেছে নিতে থাকবেন। এই ধারণাটি সংস্থাগুলির জন্য শুধুমাত্র তারা কী বিক্রি করছে এবং তাদের ভোক্তা কারা… তা বিবেচনা করার অপরিহার্যতার উপরেই নয়, তাদের পণ্যের প্রয়োজনীয়তার কারণের উপরেও জোর দেয়। ‘কেন’ শব্দটির নেপথ্যের নানা কারণ বুঝতে পারাই সংস্থাগুলিকে কার্যকরভাবে তাদের গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে এবং তাদের আনুগত্য ধরে রাখতে সাহায্য করতে পারে।

পোকেমন গো-র নির্মাতারাও সম্ভবত বিশ্বাস করতেন যে, একটি মিল্কশেক আদতে শুধু একটি মিল্কশেকই। পোকেমন গো-র অসাধারণ প্রাথমিক সাফল্য সত্ত্বেও কয়েক মাসের মধ্যে অগমেন্টেড রিয়্যালিটি গেম – যা মেটাভার্সের আক্ষরিক পূর্বসূরি – একটি বৃহৎ উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ব্যর্থ পরীক্ষা হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। কারণ এটিতে সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় ‘কেন’-র অভাব ছিল।(১৩)

প্রকৃতপক্ষে, ক্রিস্টেনসেনের মন্ত্রটি মেটাভার্সের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চগুলির মধ্যে প্রতিধ্বনিত হয়। একটি ফ্রি-টু-প্লে গেম ফোর্টনাইটের ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল প্লেয়ার বনাম প্লেয়ার (পিভিপি) লড়াইয়ের সম্ভাব্য সাফল্যকে প্লেয়ার বনাম এনভায়রনমেন্ট (পিভিই) আসল প্রোটোটাইপকে পরিবর্তন করে এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করা এবং বড় ইভেন্টগুলি উপস্থাপন করার কৌশলের জন্যও একটি কাজ সম্পূর্ণ রূপে পূরণ করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে, সমস্ত বড় মঞ্চ (মেটা, ডিসেন্ট্রাল্যান্ড, জেপেটো, দ্য স্যান্ডবক্স) অনুভব করেছে যে, কার্যকলাপগুলিকে আরও দক্ষ করে তোলা, বিনোদনের উপর মনোনিবেশ করে এবং সামাজিক মিথস্ক্রিয়াতে মূল্য যোগ করার মাধ্যমে জেটিবিডি অর্জন করা যেতে পারে, এবং এই কেন্দ্রবিন্দুটি যাতে কখনওই তাদের কর্মের সুযোগের পরিসরের বাইরে না যায়, সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে।

প্রতিযোগিতামূলক চাপের নেতিবাচক দিক: একজন ভোক্তার জন্য অনেক বিকল্প

কল্পনা করে নেওয়া যাক, কোনও ব্যক্তি এক জোড়া জুতো শুধুমাত্র যে শহরে বাস করেন বা দোকান থেকে কিনেছেন, শুধু সেখানেই পরতে পারেন অথবা এক দেশে ধনী হয়েও অন্য দেশে তার অর্থ ব্যবহার বা বিনিময় করতে অক্ষম। এটিই মেটাভার্সের বাস্তবতা, যেখানে কেউ ভার্চুয়াল মঞ্চগুলির মধ্যে প্রবেশ করার সময় নিজের সম্পদ, তথ্য বা এমনকি নিজের পরিচয়ও ফেলে রেখে আসেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আপনি রোব্লক্স থেকে এক জোড়া নির্দিষ্ট ভার্চুয়াল জুতো কিনতে সমর্থ হলেও ডিসেন্ট্রাল্যান্ডে আপনার অবতারকে ভিন্ন এক জোড়া জুতো পরতে হবে এবং সেটির জন্য রোব্লক্স-এর মুদ্রা (রোবক্স) ব্যবহার না করে একটি পৃথক, অ-পরিবর্তনযোগ্য মুদ্রা (এমএএনএ) ব্যবহার করে মূল্য চোকাতে হবে।

কেউ অনুমান করতে পারেন, প্রতিরক্ষা, পরোক্ষ আক্রমণ এবং আধিপত্যের জন্য মঞ্চগুলি দ্বারা উত্থাপিত প্রবেশ এবং প্রস্থানের বাধাগুলি সহজেই ব্যবহারকারীদের জন্য সীমাবদ্ধতা ডেকে আনতে পারে। এটি সংস্থার জন্য লাভের একটি অনন্য সুযোগ হাতছাড়া করতে পারে।

তাই কিছু বহিরাগত খেলোয়াড়, যাঁরা আন্তঃকার্যকারিতার অনুপস্থিতির সম্ভাব্য ক্ষতি সম্পর্কে সচেতন, “মৈত্রী” চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এমনটা ঘটতে দেখা গিয়েছে রেডি প্লেয়ার মি-র(১৪) ক্ষেত্রেও, যেখানে ব্যবহারকারীরা নিজের পছন্দসই অবতার তৈরি করতে এবং বিভিন্ন গেমিং মঞ্চে সেগুলি ব্যবহার করতে সক্ষম। এটি লুই-এর সঙ্গেও করা হয়েছিল: লুই ভিত্তো দ্বারা তৈরি করা গেমটি যেখানে ব্র্যান্ড গ্রাহকদের একটি গ্রাহক আনুগত্য প্রকল্পের অংশ হিসাবে বিভিন্ন মঞ্চ জুড়ে নানা ধরনের রূপ সংগ্রহ এবং পরিবহণ করার সুযোগ দেয়।(১৫)

‘আমরা যুদ্ধ শেষ না করলে যুদ্ধ আমাদের শেষ করে দেবে’(১৬)

প্রেম এবং যুদ্ধে সব কিছুই ন্যায়সঙ্গত… প্রায়শই এ কথা বলা হলেও উভয় ক্ষেত্রেই যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে। মেটাভার্সে আন্তঃকার্যকারিতা এবং প্রামাণিকীরণের অভাব একটি অভিন্ন নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। কারণ স্বতন্ত্র স্বাধীন বাস্তবতা তাদের নিজস্ব আইন দ্বারা পরিচালিত হয়।

এ কথাও লক্ষ্যণীয় যে, মেটাভার্সের মঞ্চগুলির মধ্যে সমন্বয়ের অভাব চরমপন্থী আন্দোলনের বিস্তারে অবদান রাখে, অর্থ পাচারের সুবিধা করে দেয় এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও কঠিন করে তোলে। ভৌত শক্তির বৈধ ব্যবহারের একাধিপত্য আধুনিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলেও মেটাভার্সের ভার্চুয়াল শক্তি ব্যবহারের একচেটিয়া অধিকার-সহ একটি প্রতিষ্ঠিত সংস্থার প্রয়োজন রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অনুপস্থিতি সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা সহজ করে তুলবে: উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বর্ধিত বাস্তবতা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা নিয়োগ সহজতর হবে, সম্ভাব্য উদ্দেশ্যগুলির ত্রিমাত্রিক পুনর্গঠনের মাধ্যমে সমন্বয় ও প্রশিক্ষণ ত্বরান্বিত হবে এবং মেটাভার্সের অস্তিত্বই আখেরে গতি লাভ করে ভার্চুয়াল স্পেস এবং বিল্ডিং-এর চরমপন্থীদের জন্য নতুন সম্ভাব্য লক্ষ্য তৈরি করবে।(১৭) বাস্তব জগতের মতোই মেটাভার্সে একটি অতি-জাতীয় সংস্থার প্রয়োজন রয়েছে, যা ঐচ্ছিক না হয়ে সমস্ত অংশগ্রহণকারীর জন্য নিয়মের ব্যবস্থার অংশ হয়ে ওঠে এমন সাধারণ এবং স্বতন্ত্র ব্যবস্থা জারি করার ক্ষমতা রাখে। এ ধরনের সংগঠন ছাড়া মেটাভার্সের মধ্যে একটি সুসংহত এবং সুশৃঙ্খল সমাজ প্রতিষ্ঠা করা আরও কঠিন।

বুদ্ধিবৃত্তিগত দিক দিয়ে সৎ হওয়া এবং স্বীকার করা গুরুত্বপূর্ণ, যখন আন্তঃকার্যকারিতা ব্যবহারকারীর আচরণ এবং পছন্দগুলিকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে তথ্যের অনুপযুক্ত ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এটি গোপনীয়তা, সুরক্ষা এবং তথ্য সুরক্ষার আরও ভাল নিয়ন্ত্রণ অর্জনেরও একটি উপায় হতে পারে। সম্মতির জন্য একটি উচ্চতর প্রোটোকল বাস্তব জগতে একটি ইউটোপিয়ান সমাধান হতে পারলেও এ জাতীয় সমাধান মেটাভার্সের মধ্যে ইউটোপিয়ার ভার্চুয়াল জগতে প্রয়োগ করা যেতে পারে।

মেটা-যুদ্ধবিরতি এবং মেটা-শান্তি চুক্তি: সরকার এবং সংস্থাগুলির জন্য সুপারিশ

মেটাভার্সের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার উদ্দেশ্যে পৃথক মঞ্চ এবং অনুভূমিকভাবে সমন্বিত বাস্তুতন্ত্রের উপস্থিতির পাশাপাশি এই নতুন ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী বৃহৎ প্রযুক্তির সংস্থাগুলির আধিপত্য নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, অ্যাপল ২০২৩ সালে একটি ভিআর হেডসেট চালু করার ঘোষণা করে এবং ইতিমধ্যেই হার্ডওয়্যার থেকে বিপণন… পর্যন্ত বাজার বিভাগের জন্য একটি সম্পূর্ণ মূল্যশৃঙ্খল নিয়ন্ত্রণ করছে। গুগল বর্তমান পরিষেবাগুলির পাশাপাশি ভবিষ্যতের পরিষেবাগুলিকে সমন্বিত করার পরিকল্পনা রাখে এবং মাইক্রোসফট ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ব্লিজার্ড অধিগ্রহণ করেছে।(১৮) হস্তক্ষেপ ছাড়া মেটাভার্স একটি বাজারে পরিণত হতে পারে, যা ভেতর থেকে কিছু ক্ষমতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার পাশাপাশি বাইরে থেকে সীমিত সংখ্যক বৃহৎ প্রযুক্তি সংস্থাগুলি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, যা ইতিমধ্যেই ভৌত জগতে কেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য বাজার ক্ষমতা অর্জন করেছে।

মেটাভার্স পরিসরকে প্রধান ‘শক্তি’ এবং উদীয়মান স্বাধীন খেলোয়াড়দের মধ্যে ন্যায্যভাবে বিতরণ করার উদ্দেশ্যে কোনও ‘শান্তি চুক্তি’ প্রয়োগ করা কি আদৌ দরকার? সরকার এবং সংস্থাগুলি কি পছন্দসই আন্তঃকার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং উদ্দীপিত করতে সক্ষম?

প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ। মেটাভার্সের উন্নতির জন্য একটি সুরক্ষিত, স্বচ্ছ এবং সর্বজনীনভাবে যাচাইযোগ্য প্রক্রিয়া হিসাবে ব্লকচেন প্রযুক্তি ব্যবহার করার উপর বিশেষ জোর দিয়ে সমন্বয় এবং সংযোগ ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

একাধিক গুণমানসম্পন্ন স্তর নির্মাণ আন্তঃকার্যকারিতার প্রতিটি স্তম্ভ তৈরি করা দরকার: একটি আদর্শ মডেল, সম্পদ এবং জ্যামিতি পুনরুত্পাদন করার জন্য ভার্চুয়াল পরিবেশের বৈশিষ্ট্য; ব্যবহারকারী এবং সার্ভারের মধ্যে ইন্টারেক্টিভ  এবং লেনদেন চুক্তির সুবিধার্থে একটি প্রোটোকল মান; একাধিক বিশ্বে অনন্য শংসাপত্র প্রদান করতে ব্যবহারযোগ্য একটি পরিচয় মান; ভার্চুয়াল জগতে স্থান এবং ল্যান্ডমার্ক অনুসন্ধান করতে (ইউআরএলের একটি বিবর্তন) একটি অবস্থানের মান; এবং বাণিজ্য ও মুদ্রা বিনিময়কে সহজতর করার জন্য একটি মুদ্রার মান।

মেটাভার্সসহ ডিজিটাল বাজারগুলিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। অনাস্থা, প্রতিযোগিতা, তথ্য সুরক্ষা এবং জিডিপিআর প্রয়োগের বিষয়ে বৃহৎ প্রযুক্তি এবং মঞ্চগুলি নিয়ন্ত্রণের জন্য আইনের খসড়া তৈরি করা দরকার। ২০২২ সালের জুলাই মাসে ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট এবং ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট(১৯) ইউরোপীয় পার্লামেন্ট দ্বারা অনুমোদিত হওয়ার পরে ইতিমধ্যেই এই দিকে অগ্রসর হচ্ছে৷

মুক্ত মেটাভার্স প্রকল্পগুলিকে শক্ত করা বিদ্যমান প্রমিতকরণ উদ্যোগগুলিকে সমর্থন করা এবং সেগুলিকে তীব্রতর করে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল, ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের ডিফাইনিং অ্যান্ড বিল্ডিং দ্য মেটাভার্স(২০) যা নিরাপদ এবং অর্থনৈতিক ভাবে কার্যকর আন্তঃকার্যকারিতার জন্য অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিকাঠামো তৈরি করার চেষ্টা করে। এ ছাড়াও রয়েছে মেটা, গুগল এবং মাইক্রোসফটের মতো কোম্পানি দ্বারা সমর্থিত মেটাভার্স স্ট্যান্ডার্ড ফোরাম(২১), যা এই প্রকল্পের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সংস্থা এবং ব্যবসার মধ্যে একটি সমবায় সংস্থা হিসেবে কাজ করে।

এ ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল মেটাভার্স কি মুষ্টিমেয় কয়েকটি খেলোয়াড়ের আধিপত্যযুক্ত বদ্ধ পরিসর হিসেবেই রয়ে যাবে (যারা বর্তমানে বৃহৎ প্রযুক্তি সংস্থা হিসেবে বর্তমানে ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়া শাসন করে), না কি ছোট সংস্থাগুলির সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

ইনভেসকোতে থট লিডারশিপ অ্যান্ড মার্কেট স্ট্র্যাটেজি-র গ্লোবাল হেড হেনিং স্টেন পর্যবেক্ষণ করেছেন যে, সম্ভবত বিনিয়োগকারীরা নিজেরাই আরও স্থিতিশীল মহাবিশ্বের সুবিধা নিতে চাইবে যেখানে ‘বৃহৎ শক্তিগুলি তাদের শাসনকে স্থায়ী করতে সক্ষম হয়।’(২২) একই সময়ে এটি অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, একটি একক বিড প্রভাবশালী হওয়ার সম্ভাবনার কারণে একটি মুক্ত পরিসর ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা আরও প্রবল। দীর্ঘমেয়াদে যদিও এই পরিস্থিতি উদ্ভাবনকে ধ্বংস করতে পারে, যা সংঘাত বা সহযোগিতা ছাড়া অসম্ভব কিন্তু ভার্চুয়াল জগতে বেশি প্রয়োজনীয়।

উল্লিখিত প্রমিতকরণের উদ্যোগগুলি মেটাভার্স খোলার পক্ষে অগ্রগতির জন্য একটি উর্বর স্থল; তারা শুধুমাত্র নিয়ন্ত্রণই নয় সংস্থাগুলিকে সংযুক্ত করারও কাজ করে। এ ক্ষেত্রে আরও সহায়ক হল অনাস্থামূলক সংস্থা, যেগুলি ডিজিটাল মহাবিশ্বের যে কোনও সেক্টরে ব্যবহৃত একই নিয়মগুলি প্রয়োগ করার প্রবণতা রাখে৷ ২০২২ সালের জুলাই মাসে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট এবং ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট(২৩) অনুমোদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইইউ ইতিমধ্যেই সেই লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হল বৃহৎ প্রযুক্তির ক্ষমতার ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করা। অন্তর্ভুক্তি, স্বচ্ছতা এবং ব্যবহারকারী সুরক্ষার স্বার্থে এই উদাহরণটি অন্য দেশগুলি অনুসরণ করতে পারে।

শব্দার্থিক ক্ষেত্রের রূপকটিকে স্মরণ করে পৃথক মঞ্চগুলিকে অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং মেটাভার্সের জন্য একটি অভিন্ন অর্থ নির্মাণে সহযোগিতা করতে হবে। এই ধরনের সমন্বয় শীঘ্রই আশার সীমা ছাড়িয়ে একটি প্রয়োজনীয়তায় পরিণত হবে। এবং এটি মেটাভার্সকে এমন একটি জায়গা করে তুলবে যেখানে একাধিক বিভাজন থাকা সত্ত্বেও কোনও ব্যক্তি সর্বদা এবং সর্বত্র ভার্চুয়াল পরিসরে নিজের পরিচয় বজায় রাখতে সক্ষম হন। 


পাদটীকা

১) ম্যাককিনসে অ্যান্ড কোম্পানি, ভ্যালু ক্রিয়েশন ইন দ্য মেটাভার্স: দ্য রিয়েল বিজনেস অব দ্য ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড, জুন ২০২২

২) দ্য মেটাভার্স ইউনিভার্স, মেটাভার্সড

৩) ম্যাককিনসে অ্যান্ড কোম্পানি, ভ্যালু ক্রিয়েশন ইন দ্য মেটাভার্স: দ্য রিয়েল বিজনেস অব দ্য ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড, জুন ২০২২

৪) ম্যাথিউ বল, ‘ফ্রেমওয়ার্ক ফর দ্য মেটাভার্স’, জুন ২০২১

৫) সারা ঘেরঘেলাস, ‘মেটাভার্স রিপোর্ট #২: ডিমান্ড ফর মেটাভার্স রিমেনস অ্যামিডস্ট ক্রিপ্টো টারময়েল’, ড্যাপর‍্যাডার, অক্টোবর ২০, ২০২২

৬) জেড গাও, ‘বোরড এপ মেটাভার্স ইজ হিয়ার: সি ইউ অন দি আদারসাইড’, ড্যাপর‍্যাডার, মার্চ ২০২২

৭) সারা পেরেজ, ‘রোব্লক্স স্টক ড্রপস অন ওয়াইডেনিং লসেস ইন কিউ৩, বাট আদার গ্রোথ মেট্রিকস রিমেন স্ট্রং’, টেকক্রাঞ্চ, নভেম্বর ২০২২

৮) রোব্লক্স, ‘রোব্লক্স রিপোর্টস থার্ড কোয়ার্টার ২০২২ ফিন্যান্সিয়াল রেজাল্টস’, সেপ্টেম্বর ২০২২

৯) ঘেরঘেলাস, ‘মেটাভার্স রিপোর্ট #২: ডিমান্ড ফর মেটাভার্স রিমেনস অ্যামিডস্ট ক্রিপ্টো টারময়েল’

১০) ফিল পিয়ারসন, ‘আইবল ভার্সেস এনগেজমেন্ট: দ্য স্ট্রাগল অব ডিজিটাল অ্যাডভার্টাইজিং’, মিডিয়াম, মে ২০১৫; সাইমন পি অ্যান্ডারসন, ওয়েস্টাইন ফোরোস এবং হানস হার্লে কাইন্ড, ‘কম্পিটিশন ফর অ্যাডভার্টাইজারস অ্যান্ড ফর ভিউয়ার্স ইন মিডিয়া মার্কেটস’, দি ইকনমিক জার্নাল (সেপ্টেম্বর ২০১৬); জিনা কেটিং, নেটফ্লিক্সড: দি এপিক ব্যাটন ফর আমেরিকাস আইবলস (লন্ডন: পেঙ্গুইন গ্রুপ, ২০১৩)

১১) ব্রায়ান ফাং, ‘ইলন মাস্ক সেজ টুইটার উইল ব্যান সাম লিংকস টু আদার সোশ্যাল মিডিয়া সাইটস, স্পার্কিং ব্যাকল্যাশ!’ সিএনএন বিজনেস, ডিসেম্বর ২০২২

১২) ক্লেটন এম ক্রিস্টেনসেন, ট্যাডি হল, ক্যারেন ডিলন এবং ডেভিস এস ডানকান, ‘নো ইয়োর কাস্টমারস, জব টু বি ডান’, হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ ৯৪ (সেপ্টেম্বর ২০১৬)

১৩) ক্রিস লারসন, ‘পোকমনস্টার: আ জব টু বি ডান?’ বিজনেস ইনসাইটস ব্লগ, জুলাই ১২, ২০১৬

১৪) রাইনার সেলভেত, ‘দি ইন্টারঅপারেবিলিটি লেয়ারস ফর দ্য মেটাভার্স। অ্যানাউন্সিং অ্যাভাটার এপিআই,’ রেডি প্লেয়ার মে ব্লগ, অক্টোবর ২০২২

১৫) মেগান ম্যাকডোয়েল এবং মোলিহা শোয়েব, ‘লুই ভিত্তোঁ টু রিলিজ নিউ এনএফটিস’, ভোগবিজনেস, এপ্রিল ২০২২

১৬) এইচ জি ওয়েলস, দি ওয়ার অ্যান্ড দি ওয়ার্ল্ডস (উইলিয়াম হ্যানেমান লিমিটেড, ১৮৯৮)

১৭) জোয়েল এস এলসন, অস্টিন সি ডক্টর এবং স্যাম হান্টার, ‘দ্য মেটাভার্স অফারস মাচ পোটেনশিয়াল – ফর টেররিস্টস অ্যান্ড এক্সট্রিমিস্টস’, দ্য কনভারসেশন, জানুয়ারি ২০২২

১৮) জান এম ভোলপিচেল্লি, ‘বিগ টেক নিডস টু স্টপ ট্রায়িং টু মেক দেয়ার মেটাভার্স হ্যাপেন’, ওয়ারড, জানুয়ারি ৩১, ২০২২

১৯) ‘দ্য ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট প্যাকেজ’, ইউরোপিয়ান কমিশন

২০) ‘ডিফাইনিং অ্যান্ড বিল্ডিং দ্য মেটাভার্স’, ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম

২১) দ্য মেটাভার্স স্ট্যান্ডার্ডস ফোরাম

২২) হেনিং স্টেন, ‘হোয়াই ইনভেস্টরস শুড সাপোর্ট অ্যান ওপেন মেটাভার্স’, লিঙ্কডিন, জুলাই ২০২২

২৩) ইউরোপিয়ান কমিশন, ‘দ্য ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট প্যাকেজ’

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.