Author : Premesha Saha

Published on Jun 14, 2024 Updated 0 Hours ago

দক্ষিণ চিন সাগরের বিতর্কিত জলসীমায় ক্রমবর্ধমান ঘটনাপ্রবাহ একটি আচরণবিধি স্থাপনেউদ্দেশ্যে চিনেসঙ্গে আলাপ-আলোচনার বিষয়ে আসিয়ান-এর জরুরি প্রয়োজনকে তুলে ধরে।

আসিয়ান-এর দক্ষিণ চিন সাগর সংক্রান্ত সমস্যা

স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের সেকেন্ড টমাস শোলের আশপাশে জলসীমায় ফিলিপিন্স  এবং চিনের মধ্যে বিদ্যমান সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উভয় দেশই সামুদ্রিক  দাবি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রত হয়েছে, যা আবারও আসিয়ান-কে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিপিন্স ও চিনের মধ্যে এই ধরনের সংঘর্ষ বারংবার ঘটেছে। যেমন ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে চিনা ফিলিপিনো উপকূলরক্ষী জাহাজের সংঘর্ষ এবং ওই একই বছরের ডিসেম্বর মাসে ফিলিপিন্স আবার চিনকে ফিলিপিনো সামরিক প্রধানকে বহনকারী নৌকায় জল কামান দাগা এবং অন্যান্য নৌকায় ইচ্ছাকৃত ভাবে ধাক্কা দিয়ে সেগুলির ইঞ্জিন গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত করার দায়ে অভিযুক্ত করেছে। আসিয়ান ২০০২ সাল থেকে চিনের সঙ্গে একটি কোড অফ কন্ডাক্ট বা আচরণবিধি (সিওসি) নিয়ে আলোচনার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে এবং ফিলিপিন্স ও চিনের মধ্যে বিতর্কিত জলরাশিতে এই সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি আসিয়ান-এর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেছে।

 

আসিয়ান ২০০২ সাল থেকে চিনের সঙ্গে একটি কোড অফ কন্ডাক্ট বা আচরণবিধি (সিওসি) নিয়ে আলোচনার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে এবং ফিলিপিন্স ও চিনের মধ্যে বিতর্কিত জলরাশিতে এই সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি আসিয়ান-এর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেছে।

 

আসিয়ান-এর সাম্প্রতিক পদক্ষেপ

দুই দেশের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের সাক্ষী থাকার দরুন আসিয়ান-এর বিদেশমন্ত্রীরা ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সমুদ্রক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং তার প্রচার চালানো’ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কী ভাবে দক্ষিণ চিন সাগরের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি এই অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।টিতে বিরোধকে জটিলতর করে তোলে বা তার মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতার উপর প্রভাব ফেলে এমন কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে আত্মসংযম অনুশীলন করা, পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে এ হেন পদক্ষেপগুলি এড়িয়ে চলা এবং আন্তর্জাতিক আইনের নীতি অনুসারে বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান, বিশেষ করে আনক্লজ অনুসরণ করার প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। এটি ছিল আসিয়ান কর্তৃক জারি করা এই ধরনের প্রথম বিবৃতি এবং দক্ষিণ চিন সাগর প্রসঙ্গে আসিয়ান সদস্য দেশগুলির মধ্যে মতপার্থক্যের কারণে এটিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসাবে দেখা যেতে পারে। আসিয়ান-এর সভাপতিত্বের সময়  ইন্দোনেশিয়ার বিদেশমন্ত্রক ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ঘোষণা করেছিল যে, আসিয়ান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চিন (পিআরসি) দক্ষিণ চিন সাগরে আচরণবিধির জন্য আলোচনাকে ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা মেনে চলতে সম্মত হয়েছে। এই নির্দেশিকাগুলির লক্ষ্য ছিল আলোচনার প্রক্রিয়াকে গতিশীল করা। তবে এই নির্দেশিকাগুলি বিশদে এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

 

ফিলিপিন্স কোস্ট গার্ডের মুখপাত্র চিনা পক্ষকে বিপজ্জনক কূটকৌশল চালানো এবং বিআরপি সিন্দানগানকে অবরুদ্ধ করার দোষে অভিযুক্ত করেছেন। বিআরপি সিন্দানগান এমন একটি ফিলিপিনো কোস্ট গার্ড জাহাজ, যা ম্যানিলার সেকেন্ড টমাস শোলে পুনর্সরবরাহ মিশনে রত ছিল।’

 

এই বিবৃতি এবং ঘটনাপ্রবাহ সত্ত্বেও ফিলিপিন্স এবং চিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুধু মাত্র বৃদ্ধি পেয়েছে। কোস্টগার্ড জাহাজের মধ্যে সাম্প্রতিকতম সংঘর্ষ এ হেন ঘটনা অন্যতম উদাহরণ। ফিলিপিন্স কোস্ট গার্ডের মুখপাত্র চিনা পক্ষকে বিপজ্জনক কূটকৌশল চালানো এবং বিআরপি সিন্দানগানকে অবরুদ্ধ করার দোষে অভিযুক্ত করেছেন বিআরপি সিন্দানগান এমন একটি ফিলিপিনো কোস্ট গার্ড জাহাজ, যা ম্যানিলার সেকেন্ড টমাস শোলে পুনর্সরবরাহ মিশনে রত ছিল।’ অতএব প্রশ্ন উঠছে যে, এই পদক্ষেপগুলি এবং আসিয়ান প্রক্রিয়া বিদ্যমান সঙ্কট মোকাবিলায় আঞ্চলিক ব্লককে আদৌ কোনভাবে সাহায্য করতে সক্ষম কি না। আসিয়ান-এর বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য মায়ানমার সঙ্কট এবং দক্ষিণ চিন সাগর সঙ্কটের মতো সমস্যাগুলি প্রশমিত করতে না পারার জন্য আসিয়ান-এর ঐক্য সম্পর্কে প্রায়শই তৈরি হওয়া বিতর্ক প্রশ্নগুলির জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রে এক সঠিক পদক্ষেপ। বিবৃতিটি দর্শিয়েছে যে, আসিয়ান অবশেষে আন্তর্জাতিক আইনের নীতিগুলিকে সমুন্নত রাখার বিষয়ে একটি সম্মিলিত অবস্থান গ্রহণ করেছে। প্রকৃতপক্ষে, বিবৃতিতে কোনও নির্দিষ্ট দেশকে তার কর্মের জন্য দায়ী করা হয়নিতবে বিতর্কিত জলরাশিতে ফিলিপিন্স এবং চিনের মধ্যে সংঘর্ষ বৃদ্ধি পাওয়ার পরে এই জাতীয় বিবৃতি জারি করা হয়েছে। ফলে এই সব কিছুই দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের আগ্রাসী কৌশলগুলির দিকে ইঙ্গিত করে। কিন্তু এখনও আসিয়ান-এর এ বিষয়ে আরও কিছু করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং একই সঙ্গে এ কথাও স্বীকার করে নেওয়া জরুরি যে, আসিয়ান প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিতে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

 

প্রাচীন উপায় বনাম নবীন ভাবনা

সেই দাবিদার দেশগুলিকে ছাড় দেওয়া জরুরি, যেগুলি তাদের নিজস্ব স্বার্থ রক্ষার জন্য নতুন উপায় বা বিকল্প কৌশলগুলি অন্বেষণ করার উদ্দেশ্যে চিনা আগ্রাসী সীমাবদ্ধতার দরুন প্রান্তিক অবস্থায় রয়েছে এবং এই নতুন উপায় এবং বিকল্প কৌশলগুলিকে সর্বদা আসিয়ান-এর প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায় বা আসিয়ানের কেন্দ্রীয়তাকে হ্রাস করে… এ হেন আলোকে দেখা উচিত নয়

দক্ষিণ চিন সাগর প্রসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেওয়ার ক্ষেত্রে আসিয়ান-এর অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হল জোটটির অ-দাবিদার দেশগুলি, যাদের চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এবং যারা চিনের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক অবস্থান গ্রহণ করতে আগ্রহী নয়। কারণ সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলি কোনভাবেই তাদের স্বার্থকে ক্ষুণ্ণ করে না। নাতুনা সাগরে চিনের আরও আক্রমণাত্মক অবস্থানের কারণে নিজের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং নিজের হৃতগৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য আসিয়ান-কে আরও ঐক্যবদ্ধ করে তোলার লক্ষ্যে প্রাক্তন আসিয়ান চেয়ার ইন্দোনেশিয়া বরাবরই নিজেকে আসিয়ান-এর অভ্যন্তরে অগ্রণী বলে বিবেচনা করে এসেছে। আর এই কারণেই তার সভাপতিত্বের সময়ে ইন্দোনেশিয়া সামুদ্রিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে অনেক বেশি মনোযোগ দিয়েছিল। আসিয়ান নৌ মহড়া, আসিয়ান মেরিটাইম আউটলুক, সম্প্রসারিত আসিয়ান মেরিটাইম ফোরামের আয়োজন এবং একটি স্থিতিশীল সামুদ্রিক ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার জন্য আসিয়ান ফরেন মিনিস্টারস স্টেটমেন্টস-এর মতো উদ্যোগগুলি এই সব কিছুরই প্রতিফলন। যেহেতু লাওস একটি অ-দাবিদার দেশ এবং বর্তমানে আসিয়ানের চেয়ার, তাই আসিয়ান-এর জন্য এমনটা করাই সমীচীন হবে যে, দাবিদার দেশগুলি যেন বিকল্প কৌশলগুলির চেষ্টা অনুসরণ করে যা দীর্ঘমেয়াদে সিওসি-দ্রুত সমাপ্তিতে সাহায্য করবে এবং একই সঙ্গে আরও শক্তিশালী চিনকে মোকাবিলা করার সময় শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

 

দক্ষিণ চিন সাগর প্রসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেওয়ার ক্ষেত্রে আসিয়ান-এর অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হল জোটটির অ-দাবিদার দেশগুলি, যাদের চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এবং যারা চিনের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক অবস্থান গ্রহণ করতে আগ্রহী নয়। কারণ সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলি কোনভাবেই তাদের স্বার্থকে ক্ষুণ্ণ করে না।

 

বিকল্প কৌশলগুলি আদতে কেমন?

প্রথমে এ বিষয়টিকে স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি যে, দক্ষিণ চিন সাগরের সমস্যাটি কেবল দাবিদার দেশগুলিকেই প্রভাবিত করে না, বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং অন্য সমস্ত অংশীদার দেশের উপরেও প্রভাব ফেলে, যারা একটি মুক্ত, স্বাধীন ও স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিকের লক্ষ্যে ব্রতী। অতএব, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান অস্ট্রেলিয়ার মতো আসিয়ান-এআলোচনাকারী অংশীদাররা ফিলিপিন্স ভিয়েতনামের মতো দেশগুলির সঙ্গে একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং এখন জাপানের সঙ্গেও যৌথ মহড়া চালাচ্ছে। এর পাশাপাশি টহলদার নৌকা সরবরাহের মাধ্যমে এই দাবিদার দেশগুলির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে এবং দক্ষিণ চিন সাগরে তার অবৈধ আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য চিনকে দায়ী করেছে (অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত উভয়ই সেকেন্ড টমাস  শোলে চিনা কার্যকলাপের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে)এটিকে শুধু মাত্র একটি বিকল্প কৌশল হিসাবে দেখা উচিত, যা এই দেশগুলি তাদের নিজ নিজ স্বার্থ রক্ষার জন্য বেছে নিয়েছে। এগুলিকে আসিয়ান বা তার প্রক্রিয়াকে বাধা প্রদানকারী উপায় কিংবা চিনা আখ্যানের অনুকূল বলে মনে করা উচিত নয়

ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ আসিয়ান-এআলোচনামূলক অংশীদার এবং পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের (ইএএস) একটি অংশও বটে। ইএএস এমন আসিয়ান-নেতৃত্বাধীন প্রক্রিয়া, যেটিকে কিছু দাবিদার দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ভাবে কাজ করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মঞ্চগুলিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য উত্সাহ জোগানো উচিত। আর একটি উপায় হতে পারে দক্ষিণ চিন সাগর সমস্যায় ইএএস-এ একটি সামুদ্রিক আলোচনা শুরু করা। দক্ষিণ চিন সাগরে এখনও পর্যন্ত কোনও সর্বাত্মক সংঘর্ষ না হলেও সমুদ্র আইন প্রয়োগের বিষয়ে ইএএস স্তরে আলোচনা খতিয়ে দেখা জরুরি। বর্তমানে চিন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটি সামুদ্রিক আলোচনা আয়োজন করার প্রস্তাব দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ইতিমধ্যেই

২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি সামুদ্রিক আলোচনার আয়োজন করেছেতাই আসিয়ান দেশগুলির পাশাপাশি এর আলোচনা অংশীদারদের উচিত চিনকে ইএএস এবং আসিয়ান ডিফেন্স মিনিস্টারস মিটিং প্লাসের মতো মঞ্চে বহুপাক্ষিক বিন্যাসে আলোচনায় আয়োজক হতে উৎসাহ জোগানো

 

প্রথমে এ বিষয়টিকে স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি যে, দক্ষিণ চিন সাগরের সমস্যাটি কেবল দাবিদার দেশগুলিকেই প্রভাবিত করে না, বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং অন্য সমস্ত অংশীদার দেশের উপরেও প্রভাব ফেলে, যারা একটি মুক্ত, স্বাধীন ও স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিকের লক্ষ্যে ব্রতী

 

কয়েক দশক ধরে সিওসি নিয়ে আলোচনা চলছে এবং এর অগ্রগতি অত্যন্ত ধীর প্রকৃতির। তাই বিকল্প ব্যবস্থা বা কৌশলগুলি দ্বিপাক্ষিক ভাবে দাবিদার দেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ভারতের মতো বহিরাগত শক্তির পাশাপাশি বহুপাক্ষিক ফোরামেও উঠে এসেছে। যদি এই দেশগুলি সিওসি আলোচনার প্রক্রিয়ার পরিপূরক হয়ে উঠতে পারে এবং সেটিকে ত্বরান্বিত করতে পারে, তা হলে সেগুলিকে আসিয়ান প্রক্রিয়া এবং আসিয়ান কেন্দ্রীয়তাকে দুর্বলকারী বলে দেখা উচিত হবে না।

 


প্রেমেশা সাহা অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.