Published on Sep 22, 2023 Updated 0 Hours ago

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের চলতি বিশ্বব্যাপী ভূ–রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার মধ্যে তাদের উভয়ের সঙ্গে সহযোগিতার সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রেখে চলা তাইল্যান্ডের সদ্য প্রতিষ্ঠিত প্রশাসনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি চ্যালেঞ্জ

তাইল্যান্ডের ভূ–রাজনৈতিক দ্বিধা: আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেও চিনের দিকে ঝুঁকে থাকা

এটি ‘‌দ্য চায়না ক্রনিকলস’‌ সিরিজের ১৫০তম নিবন্ধ।


তাইল্যান্ডের ৩০তম প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায় এসেছেন ফেউ তাই পার্টির স্রেত্থা তাভিসিন। ১১ সেপ্টেম্বরের উদ্বোধনী ভাষণ অনুসারে, তাঁর প্রাথমিক নজর  থাকবে দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের উপর। স্রেত্থা যখন অবিলম্বে অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের দিকে তাঁর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করছেন, সেই সময়ে অবশ্যই তাঁকে এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা গতিশীলতার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। তাইল্যান্ডের বৈদেশিক নীতি জটিল স্রোতের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, যা অঞ্চলে্র পরিবর্তনশীল গতিশীলতার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, বিশেষ করে চিনের সঙ্গে এর সম্পর্ক এবং বৃহত্তর এশিয়া–প্যাসিফিক নিরাপত্তা ভূ–চিত্র।

তাইল্যান্ড দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার একটি প্রাণবন্ত দেশ, কৌশলগতভাবে তার অবস্থানও গুরুত্বপূর্ণ। সে দীর্ঘকাল ধরে চিনের প্রতি একটি বাস্তববাদী ও সূক্ষ্ম বৈদেশিক নীতি দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখেছে। এই সম্পর্ক বিকশিত হয়েছে আঞ্চলিক  রাজনীতি, অর্থনীতি ও নিরাপত্তা উদ্বেগের জটিল গতিশীলতাকে প্রতিফলিত করে। চিনের সঙ্গে তার গভীর সম্পৃক্ততা প্রাথমিকভাবে অর্থনৈতিক বিবেচনাপ্রসূত, কারণ বেজিং হল ব্যাংককের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যবসায়িক অংশীদার। ২০২২ সালে চিন কৃষি পণ্যের জন্য তাইল্যান্ডের শীর্ষ গন্তব্য হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল, এবং দুই দেশের মধ্যে মোট কৃষি বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য ১৩.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছিল। চিনে তাইল্যান্ডের রপ্তানি ছিল ১০.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৩.১ শতাংশের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি প্রতিফলিত করে।

তাইল্যান্ডের বৈদেশিক নীতি জটিল স্রোতের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, যা অঞ্চলে পরিবর্তনশীল গতিশীলতার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, বিশেষ করে চিনের সঙ্গে এর সম্পর্ক এবং বৃহত্তর এশিয়া–প্যাসিফিক নিরাপত্তা ভূ–চিত্র।

চিন চাকরি, ব্যবসার সম্ভাবনা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সুযোগ প্রদান করে। ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে, চিন তাইল্যান্ডে নেতৃস্থানীয় বিদেশী বিনিয়োগকারী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, এবং বিভিন্ন প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য ১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সিঙ্গাপুর ও জাপান ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করেছে যথাক্রমে ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের সঙ্গে। তা সত্ত্বেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে, যা হাই–স্পিড রেলওয়ে প্রকল্পের বিলম্বিত অগ্রগতি, একটি সাবমেরিন চুক্তিতে চ্যালেঞ্জ, এবং পর্যটনের প্রভাব থেকে উদ্ভূত।

২০২২ সালে এশিয়া–প্যাসিফিক ইকনমিক কো–অপারেশন (অ্যাপেক)‌ বৈঠকের সাইডলাইনে আলোচনা করে উভয় পক্ষ তাদের অনেক মতপার্থক্য মিটিয়ে ফেলেছে। তারা যৌথভাবে ২০২২–২৬–এর জন্য চিন–তাইল্যান্ড কৌশলগত সহযোগিতার রূপরেখা সম্বলিত একটি যৌথ কর্ম পরিকল্পনা সহ বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তারা সিল্ক রোড ইকনমিক বেল্ট এবং ২১ শতকের মেরিটাইম সিল্ক রোডের প্রসারের জন্য একটি সহযোগিতা পরিকল্পনাও শুরু করেছে। এই চুক্তিগুলি তাই–লাও–চিন রেল সংযোগ ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে, যা ২০২৭–২৮ সালে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অধিকন্তু, উভয় দেশ অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, ই–কমার্স এবং বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের বিভিন্ন দিক সম্বলিত সহযোগিতার নথিতে স্বাক্ষর করেছে।

যৌথ সামরিক মহড়া

সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে, উভয় দেশ তাদের সামরিক, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ধারাবাহিক যৌথ মহড়ায় সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জুলাই ২০২৩–এ অনুষ্ঠিত একটি বিমান যুদ্ধ অনুশীলন ফ্যালকন স্ট্রাইক ২০২৩, এবং অ্যাসল্ট ২০২৩, বা জয়েন্ট স্ট্রাইক ২০২৩, যেটিতে ২১ দিনব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধী সামরিক মহড়া হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে চিন–তাইল্যান্ড ব্লু স্ট্রাইক ২০২৩ যৌথ নৌ–প্রশিক্ষণ অনুশীলন হয়েছে, যা তাই কর্মকর্তাদের তরফে একটি এস২৬টি ইউয়ান শ্রেণির সাবমেরিনের জন্য চিনের তৈরি সিএইচডি৬২০ ইঞ্জিন ব্যবহার অনুমোদনের কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তটি সাবমেরিন ক্রয় বিলম্বিত করেছে, এবং যৌথ নৌ–প্রশিক্ষণ চিনা সাবমেরিনের ক্ষমতা সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি অর্জনের চেষ্টা করেছে। সম্পূর্ণ সাবমেরিনটি ৪০ মাসের মধ্যে সরবরাহ করা হতে পারে। তারপরও বিশদগুলি, যেমন চায়না শিপবিল্ডিং অ্যান্ড অফশোর ইন্টারন্যাশনাল কোং লিমিটেডের কাছ থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে দীর্ঘ সময়ের গ্যারান্টি এবং ইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষণ সহায়তার বিষয়গুলি নির্ধারণ করতে হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সাবমেরিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।

আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে পরিচালিত এই অনুশীলনগুলি, বিশেষ করে দক্ষিণ চিন সাগরে, সতর্কভাবে করা হয়েছিল চলতি বিরোধ এবং মার্কিন–চিন সম্পর্কের উপর এর প্রভাবের কথা বিবেচনা করে। এই অনুশীলনগুলি আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রতি তাইল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি এবং চিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার আকাঙ্ক্ষার উপর জোর দিলেও সেগুলি এই অঞ্চলে বৃহত্তর ভূ–রাজনৈতিক প্রতিযোগিতাকেও প্রতিফলিত করে। আয়তন ও সুযোগের বিষয়ে, কিছু বিশ্লেষক উল্লেখ করেছেন যে, দক্ষিণ–পূর্ব এশীয় অঞ্চলে চিনের যৌথ মহড়াকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত অনুশীলনের সঙ্গে তুলনা করা যায় না, যেমন কোবরা গোল্ড, যার সঙ্গে সাধারণত অনেক দেশ ও সৈন্য বা ফ্লাইট জড়িত থাকে। যাই হোক, চিনও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় বহুপাক্ষিক কার্যক্রম অর্জনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

সেপ্টেম্বরে চিন–তাইল্যান্ড ব্লু স্ট্রাইক ২০২৩ যৌথ নৌ–প্রশিক্ষণ অনুশীলন হয়েছে, যা তাই কর্মকর্তাদের তরফে একটি এস২৬টি ইউয়ান শ্রেণির সাবমেরিনের জন্য চিনের তৈরি সিএইচডি৬২০ ইঞ্জিন ব্যবহার অনুমোদনের কারণে তাৎপর্যপূর্ণ।

বর্তমানে নভেম্বরে নির্ধারিত শান্তি ও বন্ধুত্ব ২০২৩ অনুশীলনে চিন, কম্বোডিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, তাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম–এর সামরিক কর্মীরা অংশগ্রহণ করবে — যা হবে প্রথম বারের মতো একটি বড় গোষ্ঠী। এই যৌথ মহড়ার লক্ষ্য এশিয়া–প্যাসিফিক নিরাপত্তার উপর ‘‌জিরো–সাম গেম ব্লক সিকিউরিটি কনসেপ্ট’‌–এর প্রতিকূল প্রভাব মোকাবিলা করা, বিশেষ করে এশিয়া–প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন ড্রিলিং কার্যক্রম এবং সাম্প্রতিক অস্ট্রেলিয়া–ব্রিটেন–যুক্তরাষ্ট্র (অওকাস) চুক্তি। এই চুক্তি অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়াকে পরমাণুচালিত সাবমেরিন সরবরাহ করবে, যা নিয়ে চিন  উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তার উপর আমেরিকার কোরীয় উপদ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে এবং মার্চ ও এপ্রিলে ফিলিপিনসের সঙ্গে তার সর্বকালের সর্ববৃহৎ যৌথ সামরিক মহড়া চিনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মার্কিন–তাই অনুশীলন

তাইল্যান্ড বিখ্যাত কোবরা গোল্ড ড্রিল সহ বিভিন্ন অনুশীলনের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শক্তিশালী সামরিক সম্পর্ক বজায় রাখে। তার উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাইল্যান্ড থেকে বিমান বাহিনীর ইউনিট নিয়ে একটি উদ্বোধনী এনডিউরিং পার্টনারস এনগেজমেন্ট ১১ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে৷ এর লক্ষ্য রয়্যাল তাই এয়ার ফোর্স, ওয়াশিংটন এয়ার ন্যাশনাল গার্ড ও ওরেগন এয়ার ন্যাশনাল গার্ডের লড়াইয়ের প্রস্তুতি ও আন্তঃকার্যক্ষমতা বাড়ানো, এবং সেইসঙ্গেই দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ও রাষ্ট্রীয় অংশীদারিত্ব কর্মসূচি শক্তিশালী করা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আটটি এফ–৩৫এ লাইটনিং ২ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য তাইল্যান্ডের অনুরোধ জোটের শক্তির একটি উল্লেখযোগ্য সূচক। যাই হোক, চিনা সামরিক বাহিনী এর ফলে উন্নত প্রযুক্তি খতিয়ে দেখার সম্ভাব্য সুযোগ পেতে পারে বলে উদ্বেগের কারণে এই অনুরোধের অনুমোদন অনিশ্চিত। তাইল্যান্ডের একটি চুক্তি মিত্র হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিনের সাথে তাইল্যান্ডের যোগাযোগ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করে, এবং নিশ্চিত করে যে তারা নিরাপত্তার সাথে আপস করবে না বা তাদের জোটের শর্তাবলী লঙ্ঘন করবে না।

তাইল্যান্ড বিখ্যাত কোবরা গোল্ড ড্রিল সহ বিভিন্ন অনুশীলনের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শক্তিশালী সামরিক সম্পর্ক বজায় রাখে।

উভয় দেশই সম্প্রতি কোভিড–১৯ অতিমারির পরে টিআইএফএ জয়েন্ট কাউন্সিল মিটিং পুনরায় শুরু করাকে স্বাগত জানিয়েছে, এবং তাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে। তারা ইন্দো–প্যাসিফিক ইকনমিক ফ্রেমওয়ার্ক ফর প্রসপারিটি (আইপিইএফ) এবং এশিয়া–প্যাসিফিক ইকনমিক কোঅপারেশন (অ্যাপেক) ফোরামের মতো বহুপাক্ষিক উদ্যোগে তাদের সহযোগিতার কথাও তুলে ধরেছে।

বিদেশী নীতির স্থাপত্যের বিবেচনা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের চলতি বিশ্বব্যাপী ভূ–রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার মধ্যে তাদের উভয়ের সঙ্গে সহযোগিতার সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রেখে চলা তাইল্যান্ডের সদ্যপ্রতিষ্ঠিত প্রশাসনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করে। দেশটিকে তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে এবং পরিবর্তনশীল ভূ–রাজনৈতিক ভূচিত্রে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা উন্নীত করতে কূটনৈতিক দক্ষতা ও কৌশলগত দূরদর্শিতা ব্যবহার করতে হবে। তাইল্যান্ডকে অবশ্যই বিভিন্ন মাত্রার বিশ্বব্যাপী প্রভাবের দেশগুলির সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানজনক বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে হবে। ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট তাইল্যান্ডকে আর আন্তর্জাতিক যোগাযোগের সময় একটি নিষ্ক্রিয় ভূমিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ করে না।

আসিয়ান–এর মধ্যে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা দক্ষিণ চিন সাগর সম্পর্কিত আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ ও বিরোধগুলি মোকাবিলায় একটি ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট প্রস্তাব করে।

যাই হোক, যে কোনও একক দেশের উপর নির্ভরতা কমাতে তাইল্যান্ড চিনের প্রদত্ত উল্লেখযোগ্য সুযোগ সত্ত্বেও তার অর্থনৈতিক অংশীদারিতে বৈচিত্র্য আনছে। জাপান, ভারত ও রাশিয়ার মতো দেশগুলির সঙ্গে যুক্ত হ‌লে তা বিকল্প অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও বিনিয়োগের পথ খুলে দিতে পারে। আঞ্চলিক ব্লকে, বিশেষ করে  আসিয়ানে, তাইল্যান্ডের সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসিয়ান–এর মধ্যে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা দক্ষিণ চিন সাগর সম্পর্কিত আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ ও বিরোধগুলি মোকাবিলায় একটি ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট প্রস্তাব করে। তাইল্যান্ড নিজেকে দক্ষিণ চিন সাগর, পূর্ব চিন সাগর, বা চিন–তাইওয়ান সম্পর্ক সংক্রান্ত বিতর্কে একটি অংশীদার হিসাবে না–দেখলেও আঞ্চলিক কূটনীতিতে তার সক্রিয় দৃষ্টিভঙ্গি এশিয়া–প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতার প্রতি তার প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরতে পারে।

যাই হোক, দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বিকশিত গতিশীলতা এবং বৃহত্তর বৈশ্বিক পরিমণ্ডল ক্রমাগতভাবে চিনের প্রতি তাইল্যান্ডের দৃষ্টিভঙ্গিকে গঠন করবে, এবং একে এই অঞ্চলের জটিল ভূ–রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করবে। বিশ্ব বিকশিত হওয়ার সঙ্গেসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চিনের প্রতি তাইল্যান্ডের বৈদেশিক নীতিকে ঘনিষ্ঠভাবে যাচাই করবে।


শ্রীপর্ণা ব্যানার্জি অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের জুনিয়র ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.