Published on Jun 17, 2024 Updated 0 Hours ago

মায়ানমার সঙ্কটের কারণে তাইল্যান্ডে ব্যাপক শরণার্থী-প্রবাহের বিষয়টি নিয়ে আসিয়ান-এর অভ্যন্তরে একটি মৌলিক বিভাজন অব্যাহত রয়েছে।

তাইল্যান্ডের কৌশলী চাল: মায়ানমার সঙ্কটের প্রতিক্রিয়া

জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি, মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি এবং তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির মধ্যে হওয়া একটি জোট অর্থাৎ থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স-এর নেতৃত্বে অপারেশন ১০২৭ গত অক্টোবর মাসে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেওয়ার পর মায়ানমার দ্বন্দ্ব ও হিংসায় জর্জরিত। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে সংঘর্ষ প্রায় ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ প্রতিরোধী গোষ্ঠীগুলি সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতা থেকে বিচ্যুত করার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে৷

এই বিবর্তিত পরিসরে প্রতিরোধ বাহিনী উল্লেখযোগ্য স্থিতিস্থাপকতা প্রদর্শন করেছে, যথেষ্ট প্রাদেশিক লাভ অর্জন করেছে, অসংখ্য সাফল্য পেয়েছে এবং অতিরিক্ত জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে (ইএও) জোটে যোগ দিতে প্রলুব্ধ করেছে। এটি হুন্তার উপর চাপ বৃদ্ধি করেছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ১১ এপ্রিল মায়াওয়াদ্দির  প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্রের সাম্প্রতিক দখল এবং এপ্রিল মাসের শেষের দিকে হুন্তা বাহিনীর দ্বারা এটি পুনরুদ্ধার করা এই সংঘাতের গতিশীল প্রকৃতিকেই দর্শায়।

মায়ানমারের কাইন/কারেন স্টেট-এ অবস্থিত এবং তাইল্যান্ডের মায়ে সোটের সীমান্তবর্তী মায়াওয়াদ্দি অপরিসীম প্রতীকী এবং কৌশলগত তাৎপর্য বহন করে। সীমিত আকার সত্ত্বেও এটি বার্ষিক বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যের সুবিধা দেয়মায়াওয়াদ্দির উপর নিয়ন্ত্রণ হুন্তাকে তাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্যের এক উল্লেখযোগ্য সুবিধা প্রদান করে।

বাণিজ্যিক গুরুত্বের ঊর্ধ্বে উঠে মায়াওয়াদ্দি মায়ানমারে সামরিক শাসনের  বিরোধিতাকারী বিভিন্ন জাতিগত ও গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে। এর কৌশলগত অবস্থান এটিকে সেই সকল দলের জন্য একটি সমাবেশস্থল করে তুলেছে, যাঁরা দেশের মধ্যে পরিবর্তন এবং স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই চালাচ্ছেন।

 

বাণিজ্যিক গুরুত্বের ঊর্ধ্বে উঠে মায়াওয়াদ্দি মায়ানমারে সামরিক শাসনের বিরোধিতাকারী বিভিন্ন জাতিগত ও গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে। এর কৌশলগত অবস্থান এটিকে সেই সকল দলের জন্য একটি সমাবেশস্থল করে তুলেছে, যাঁরা দেশের মধ্যে পরিবর্তন এবং স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই চালাচ্ছেন।

 

সশস্ত্র দলগুলিপরিবর্তিত সমীকরণ

মায়ানমারের ৫৮ মিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় শতাংশ গঠনকারী কারেন দেশের তৃতীয় বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী হিসাবে স্থান পেয়েছে। সীমান্ত অঞ্চলে বসবাসকারী অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মতো কারেনও মায়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে স্বায়ত্তশাসন বৃদ্ধির জন্য ক্রমাগত সওয়াল করে আসছে। তারা হুন্তা বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত প্রান্তিকীকরণ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের সম্মুখীন হয়েছে, যার ফলে সীমান্ত সংলগ্ন তাই অঞ্চলটি বড় ধরনের বাস্তুচ্যুতির সাক্ষী থেকেছে। তাইল্যান্ডের নটি প্রতিষ্ঠিত শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত মায়ানমার থেকে আগত প্রায় ৯০০০০ শরণার্থীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কারেন অঞ্চলে বসবাসকারী ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত, যাঁরা পূর্ববর্তী সংঘাতের কারণে পালিয়ে এসেছিলেন।

কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) এবং তার সশস্ত্র দল কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) জাতিগত কারেন সম্প্রদায়ের পক্ষে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ৭৪ বছর ব্যাপী দীর্ঘ সংগ্রামে নিযুক্ত রয়েছে। তারা ২০২১ সালের অভ্যুত্থানকে প্রতিহত করার জন্য প্রাথমিক বিদ্রোহী দলগুলির মধ্যে ছিল অন্যতম। সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের কিছু পরেই কেএনইউ পূর্বের যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করে এবং দক্ষিণ-পূর্ব মায়ানমার জুড়ে সামরিক চৌকিতে পুনরায় হামলা শুরু করে। কেএনইউ নেতৃত্ব বিভিন্ন জাতিগত পটভূমি থেকে উঠে আসা অসংখ্য বিদ্রোহীকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। অভ্যুত্থানের পর থেকে, কেএনএলএ তার আয়তন বাড়িয়ে ১০,০০০ সৈন্য মোতায়েন করেছে।

এই গোষ্ঠীগুলি এপ্রিল মাসের শুরু থেকে মায়াওয়াদ্দি শহরকে লক্ষ্যবস্তু করে তুলেছে এবং ১১ এপ্রিল কেএনএলএ  অন্তিম সামরিক ঘাঁটিটি দখল করেছে। ১৯ এপ্রিল কেএনএলএ দ্বারা একটি ড্রোনচালিত আক্রমণ এবং ২০ এপ্রিল মায়াওয়াদ্দির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে তীব্র আক্রমণ চালানো হয়। একই সঙ্গে হুন্তা নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার এবং স্থিতিশীলতা সুনিশ্চিত করতে অপারেশন অং জেয়ার অংশ হিসাবে বিমান হামলা চালায়।

হুন্তা ২৪ এপ্রিল কারেন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) সহায়তায় মায়াওয়াদ্দি পুনরুদ্ধারের কথা ঘোষণা করে। ফলে কেএনএর আনুগত্য আসলে কোন দিকে, সেই প্রশ্ন উঠেছে। কাইন/কারেন স্টেটের বর্ডার গার্ড ফোর্স ইউনিটগুলি সম্প্রতি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে, নিজেদের কেএনএ-এর অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং আপাতদৃষ্টিতে বর্তমান যুদ্ধে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গেই যোগ দিয়েছে।

২০১০ সালে কেএনএলএ গোষ্ঠী থেকে উদ্ভূত এবং পূর্বে স চিট থু-র নেতৃত্বে বর্ডার গার্ড ফোর্স নামে পরিচিত কেএনএ মানব পাচারে জড়িত থাকার কারণে ব্রিটিশ নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়। মায়াওয়াদ্দিতে স চিট থু-র ব্যাপক ব্যবসায়িক স্বার্থ - যার মধ্যে জুয়া এবং প্রতারণামূলক কার্যকলাপ রয়েছে - পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, তাই-মায়ানমার সীমান্তে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলহিসেবে পরিচিত শে কোকো জুয়া দুর্নীতি কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছে এবং কেএনএ এই কার্যকলাপগুলি থেকে বার্ষিক ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উপার্জন করে বলে জানা গিয়েছে

২০২২ সালের নভেম্বর মাসে হুন্তা জেনারেলের কাছ থেকে তাঁর সম্মানসূচক উপাধি প্রাপ্তির ঘটনা চিট থু-র সঙ্গে মায়ানমারের সামরিক শাসকদের সম্পর্ককে স্পষ্ট করে তোলে। এই সম্মান এবং অর্থনৈতিক স্বার্থগুলি একে অপরের সঙ্গে জড়িত, বিদ্যমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সম্ভাব্য ভাবে কেএনএ-ভারসাম্যকে প্রভাবিত করে সীমান্ত অঞ্চলের সংবেদনশীল অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের উদ্বেগকে উস্কে দেয় এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার উপর অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে।

 

২০২২ সালের নভেম্বর মাসে হুন্তা জেনারেলের কাছ থেকে তাঁর সম্মানসূচক উপাধি প্রাপ্তির ঘটনা চিট থু-র সঙ্গে মায়ানমারের সামরিক শাসকদের সম্পর্ককে স্পষ্ট করে তোলে। এই সম্মান এবং অর্থনৈতিক স্বার্থগুলি একে অপরের সঙ্গে জড়িত, বিদ্যমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সম্ভাব্য ভাবে কেএনএ-ভারসাম্যকে প্রভাবিত করে

 

বাস্তুচ্যুতি সংক্রান্ত সমস্যা

বিদ্যমান সংঘর্ষের কারণে প্রতিবেশী দেশগুলিতে নাগরিকদের বাস্তুচ্যুতি ঘটেছে, মায়ানমারের হুন্তা বাহিনী এবং জাতিগত কারেন সৈন্যদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষের মাঝেই মায়ানমারের কাইন/কারেন স্টেটের হাজার হাজার মানুষ তাইল্যান্ডে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। ২০ এপ্রিল মায়ানমার থেকে প্রায় ৩০০০  জন মানুষ তাইল্যান্ডে প্রবেশ করেছেন। সংঘাত হ্রাস পাওয়ার ফলে শরণার্থীদের সংখ্যা কিছুটা কমে গেলেও, ভবিষ্যতে তা আবার বৃদ্ধি পাবে। সর্বোপরি, মায়ানমারের নিয়োগ আইন হাজার হাজার যুবককে প্রতিবেশী দেশে চলে যেতে বাধ্য করছে।

মার্চ মাসে তাই সরকার গৃহযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদানের জন্য মায়ানমারের সঙ্গে একটি মানবিক করিডোর চালু করেছিল। প্রায় ১৩৮০০০ মার্কিন ডলার মূল্যের এই ত্রাণের মধ্যে প্রধানত খাদ্য, তাত্ক্ষণিক পানীয় প্রসাধন সামগ্রী রয়েছে এবং এগুলো কান/কারেন স্টেটের তিনটি শহরে বিতরণ করা হয়েছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জের সূত্র অনুসারে, মায়ানমারে ২.৮ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, যার বেশির ভাগই সেনাবাহিনীর দখলের পরে যে লড়াই শুরু হয়েছিল, তার ফলে ঘটেছে। তাই কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেন যে, আসিয়ান শান্তি পরিকল্পনার অন্যতম অংশ হিসেবে সকল ব্যক্তির কাছে ন্যায়সঙ্গত ও নিরপেক্ষ ত্রাণ সুনিশ্চিত করতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় মানবিক সহায়তার জন্য আসিয়ান সমন্বয়কারী কেন্দ্র বিতরণ প্রক্রিয়ার তত্ত্বাবধান করবে। যাই হোক, বিভিন্ন মহল থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, সামরিক শাসক তাদের কর্তৃত্বাধীন অঞ্চলগুলিতে একচেটিয়া ভাবে পরিষেবাগুলি বরাদ্দ করার জন্য এই পদ্ধতিতে হেরফের করতে পারে।

ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে অবগত থাকার জন্য তাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা একটি কমিটি একটি উপকমিটি গঠন করেছেন, যার নেতৃত্বে রয়েছেন খোদ তিনি। এই কমিটি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ, বিদেশমন্ত্রএবং বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত। পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে প্রতিনিধিরা ২২ এপ্রিল মায়ে সোট পরিদর্শন করেছিলেনতাইল্যান্ডের আকাশসীমায় যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এপ্রিল মাসের শুরুতে তাইল্যান্ড মায়ানমার থেকে আশ্রয় নেওয়া ১০০০০০ ব্যক্তিকে স্বাগত জানাতে নিজেদের প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছে এবং যদি বাস্তুচ্যুতি অব্যাহত থাকে, তা হলে তাইল্যান্ড আরও শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। পালিয়ে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য তাইল্যান্ডের সীমান্ত অঞ্চলে শিবির স্থাপন করা হয়েছে। যাই হোক, ন্যাশনাল স্ক্রিনিং মেকানিজম বা জাতীয় বাছাই ব্যবস্থাপনার অধীনে শরণার্থীদের থাকার সময়কাল এবং ‘প্রোটেক্টেড পার্সন’ বা ‘সুরক্ষিত ব্যক্তি’ তকমার জন্য যোগ্যতা সম্পর্কিত বিশদটি এখনও অনিশ্চিত রয়ে গিয়েছে।

শরণার্থী আগমনের বিষয়ে তাইল্যান্ডের প্রতিক্রিয়া তাত্ক্ষণিক চ্যালেঞ্জ এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব উভয়কেই প্রতিফলিত করে। যদি পরিস্থিতি আগামী বছরগুলিতে অস্থিতিশীল রয়ে যায়, তা হলে শরণার্থীদের জন্য সামাজিক সমন্বিতকরণ, অর্থনৈতিক সুযোগ এবং স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশাধিকারকে অগ্রাধিকার দেওয়া অত্যাবশ্যক হয়ে উঠবে। সর্বোপরি, আন্তঃসীমান্ত নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য প্রতিবেশী দেশ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে সহযোগিতা অপরিহার্য হবে।

আসিয়ান-এর সভাপতি হওয়ার সুবাদকে লাওসকে তাইল্যান্ড আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে এবং মায়ানমার সঙ্কট সমাধানের লক্ষ্যে একটি বৈঠক আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে। আসিয়ান পাঁচ দফা ঐকমত্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় শান্তিপূর্ণ সংলাপ সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি কাঠামো প্রদান করে। যাই হোক, বাস্তব সমাধানের জন্য সামরিক শাসন এবং অন্যান্য মূল শক্তি-সহ সকল  অংশীদারের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন, যা এখন পর্যন্ত অনুপস্থিত। একটি ভিন্ন গতিপথ পরিচালনা করার জন্য বর্তমান সভাপতি হিসাবে লাওসের ভূমিকা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।

মায়ানমার পরিস্থিতির যথাযথ প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আসিয়ান ব্লকের মধ্যে একটি মৌলিক বিভাজন বিদ্যমান। কেউ কেউ হুন্তাকে সম্পূর্ণ ভাবে দায়বদ্ধ রাখার এবং শান্তি পরিকল্পনা মেনে না চলা পর্যন্ত মায়ানমারকে আসিয়ান থেকে বাদ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেও তাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়ার মতো অন্য দেশগুলি মায়ানমারকে তার সদস্যপদ বজায় রাখার অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি ‘হুন্তাকে উপস্থাপনযোগ্য করে তুলতে চায়।

 

মায়ানমার পরিস্থিতির যথাযথ প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আসিয়ান ব্লকের মধ্যে একটি মৌলিক বিভাজন বিদ্যমান। কেউ কেউ হুন্তাকে সম্পূর্ণ ভাবে দায়বদ্ধ রাখার এবং শান্তি পরিকল্পনা মেনে না চলা পর্যন্ত মায়ানমারকে আসিয়ান থেকে বাদ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেও তাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়ার মতো অন্য দেশগুলি মায়ানমারকে তার সদস্যপদ বজায় রাখার অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি ‘হুন্তাকে উপস্থাপনযোগ্য করে তুলতে চায়।

 

তাইল্যান্ড সঙ্কটের বহুমুখী প্রকৃতিকে স্বীকার করে নিয়ে ও মানবিক নীতি বজায় রাখতে এবং সহায়তা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্থিতিশীল অভ্যন্তরীণ আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে তাইল্যান্ড শরণার্থী সঙ্কট মোকাবিলা করতে এবং দেশ ও অঞ্চলের উপর তার প্রভাব কমানোর জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ করছে। তবে, এই প্রচেষ্টা কতটা কার্যকর হবে, সেটাই এখন দেখার।

 


শ্রীপর্ণা ব্যানার্জি অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের জুনিয়র ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.