-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
বিএল ড্রামা ও পপ সংস্কৃতির উত্থানের সঙ্গে তাল মিলিয়েই তাইল্যান্ডের সফট পাওয়ার বা কূটনৈতিক শক্তির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বিশ্বব্যাপী আখ্যানে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দর্শকদের স্বীকৃতি পেয়েছে।
তাইল্যান্ডের কূটনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে
দীর্ঘকাল ধরে তাইল্যান্ড পর্যটন ও রন্ধনপ্রণালীর জন্য বিখ্যাত। তবে গত দশকে দেশটির চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন শিল্প তার কূটনৈতিক শক্তি সম্ভাবনার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। নতুন এই ক্ষেত্রটি কেবল তার বিশ্বব্যাপী দৃশ্যমানতাই বৃদ্ধি করেনি, বরং এটিকে বৃহৎ এশীয় শক্তি অর্থাৎ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মতো কূটনৈতিক শক্তির পাশাপাশি জায়গা করে দিয়েছে। এই উত্থানের নেপথ্যে রয়েছে বয়েজ লাভ-এর (বিএল) মতো জনপ্রিয় সিরিজ, যেটির মূল ভাবনা হল এলজিবিটি এবং এই সিরিজটি তাই পপ সঙ্গীতের উত্থানের উপর আলোকপাত করেছে। এই ধরনের ক্ষেত্রের উপর মনোযোগ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি আকর্ষণে সহায়তা করেছে এবং একটি প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ হিসেবে তাই সংস্কৃতির ইতিবাচক দিকগুলিকে তুলে ধরেছে। বিশেষ করে সম্প্রতি সমলিঙ্গের বিবাহ বৈধকরণ হওয়ার পর থেকেই এই সমস্ত সচেতনতা রেনবো ট্যুরিজম ক্ষেত্রের সম্প্রসারণ তাইল্যান্ডকে অর্থনৈতিক ভাবেও সাহায্য করেছে। যে সমস্ত এলজিবিটি+ ভ্রমণকারীরা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদ্যাপনমূলক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাইছেন, তাঁদের জন্য এই ধরনের রেনবো ট্যুরিজম উল্লেখযোগ্য।
এই উত্থানের নেপথ্যে রয়েছে বয়েজ লাভ-এর (বিএল) মতো জনপ্রিয় সিরিজ, যেটির মূল ভাবনা হল এলজিবিটি এবং এই সিরিজটি তাই পপ সঙ্গীতের উত্থানের উপর আলোকপাত করেছে।
আইএমডিবি ও মাইড্রামালিস্ট-এর মতে, তাই বিনোদনকে জনপ্রিয় করার নেপথ্যে বিএল সিরিজগুলির মধ্যে রয়েছে ‘টুগেদার’, ‘থার্নটাইপ’, ‘কিনপোরশে’ এবং ‘নট-মি’, যেগুলি বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ‘মাস্টার অফ দ্য হাউজ’ রিলিজ করার মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যে নেটফ্লিক্স-এর গ্লোবাল টপ ১০ টিভি (ইংরেজি ভাষা বহির্ভূত) তালিকার শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। তাই ড্রামার পাশাপাশি তাই সঙ্গীতও কূটনৈতিক শক্তির সম্ভাবনা প্রদর্শন করছে। বেশ কয়েক জন উল্লেখযোগ্য তাই শিল্পী তাঁদের সঙ্গীতের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন, যেমন তোবি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে টিকটক-এ ভাইরাল হয়েছিলেন এবং আইটিউনস-এর আরঅ্যান্ডবি/সোল তালিকায় তাঁর গান একেবারে প্রথমে জায়গা করে নিয়েছিল। ‘ব্ল্যাকপিঙ্ক’, ‘টু পিএম’ ও ‘জিওটি’ ব্যান্ডের লালিসা মানোবান, নিচকুন হর্ভেয়াকুল ও বামবাম-এর মতো তাই কে-পপ শিল্পীদের বিশিষ্টতার কারণে তাই পপের উত্থান সম্ভব হয়েছে। এই সমস্ত জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ডগুলি প্রভাবশালী সাংস্কৃতিক দূত হিসেবে কাজ করে, যা আসলে দর্শিয়েছে যে, তাই প্রতিভা কী ভাবে কে-পপ ও হলিউডের মতো অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক বিনোদন শিল্পেও সাফল্য অর্জন করতে পারে। আরও ভাল সুযোগের দরুন জেফ সাটুরের মতো আরও বেশি সংখ্যক তাই পপ শিল্পী এবং এলওয়াইকেএন ও জেসপার-এর মতো ব্যান্ড বা দলগুলি আরও বেশি মনোযোগ পাচ্ছে।
এই সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়ে সরকার আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য সঙ্গীত ও সংক্রানের মতো জাতীয় উৎসবগুলিকে কৌশলগত ভাবে ব্যবহার করছে এবং ঐতিহ্যবাহী উপাদানগুলির আধুনিক প্রচার কৌশলের সঙ্গে সংমেল ঘটিয়েছে। এই দ্বৈত পদ্ধতির পর্যটন রাজস্ব বৃদ্ধি করেছে এবং তাইল্যান্ডের কূটনৈতিক শক্তিকে আরও সশক্ত করেছে। সরকার ‘৫এফ’-এর মাধ্যমে একটি নীতিও প্রণয়ন করেছে, যার লক্ষ্য হল সংস্কৃতির প্রচার এবং তাইল্যান্ডের ভাবমূর্তি পুনর্নির্মাণ। এই ৫এফ হল ‘ফুড, ফিল্ম, ফেস্টিভ্যাল, ফাইটিং, ফ্যাশন’ অর্থাৎ খাদ্য, চলচ্চিত্র, উৎসব, লড়াই এবং ফ্যাশন। সর্বোপরি, শিল্প সম্পদ সংগ্রহের জন্য ন্যাশনাল সফট পাওয়ার স্ট্র্যাটেজি কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। নীতিগুলিকে আরও উন্নত করার জন্য তাই সরকার ‘ওয়ান ফ্যামিলি, ওয়ান সফট পাওয়ার’ (ওএফওএস) এবং তাইল্যান্ড ক্রিয়েটিভ কন্টেন্ট এজেন্সি (টিএইচএসিসিএ) চালু করেছে, যাতে ২০ মিলিয়নেরও বেশি তাই জনগণকে অত্যন্ত দক্ষ ও সৃজনশীল কর্মীতে রূপান্তরিত করা যায়। এই কৌশলটি ২০ মিলিয়নেরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে এবং স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। নীতির অধীনে এগারোটি সৃজনশীল শিল্পক্ষেত্র হল খাদ্য, গেমিং বা অনলাইন খেলা, উৎসব, সঙ্গীত, চলচ্চিত্র, সাহিত্য, শিল্প, নকশা, ক্রীড়া, ফ্যাশন ও পর্যটন।
ওটিটি-তে তাই বিনোদনের ও সরকারের ভূমিকা
বিশেষ করে অতিমারির পর থেকে বিশ্বব্যাপী বিনোদনের ডিজিটালকরণ তাই পপ সংস্কৃতির জন্য সুযোগ বৃদ্ধি করেছে। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলি এখন তাই চলচ্চিত্র, সিরিজ এবং সঙ্গীতের মূল পথ হিসেবে কাজ করে, যা এগুলিকে বৃহত্তর দর্শকদের কাছে উপলব্ধ করেছে। এই ডিজিটাল সম্প্রসারণ বিশ্বব্যাপী ভোগের ধরনগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে সুবিধা ও ব্যক্তিগত পছন্দ প্রাধান্য পায়।
আরও উদ্ভাবনী ও বিনিয়োগকারী-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণে পরিপূরক সংস্কারও আলোচনার অধীনে রয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদি শিল্প উন্নয়নের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতিকেই দর্শায়।
বিনোদন ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সরকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ ও স্থানীয় বিষয়বস্তু তৈরিকে উৎসাহিত করার জন্য কর প্রণোদনা চালু করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছে। এই প্রণোদনাগুলির লক্ষ্য হল আন্তর্জাতিক প্রযোজনা সংস্থাগুলিকে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে তাইল্যান্ডকে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য একটি বিশ্বব্যাপী কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা এবং একই সঙ্গে দেশীয় প্রতিভা ও অবকাঠামোর বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করা। আরও উদ্ভাবনী ও বিনিয়োগকারী-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণে পরিপূরক সংস্কারও আলোচনার অধীনে রয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদি শিল্প উন্নয়নের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতিকেই দর্শায়। উদাহরণস্বরূপ, ‘হোম বক্স অফিস’-এর (এইচবিও) ‘দ্য হোয়াইট লোটাস’ সিরিজের তৃতীয় সিজন তাইল্যান্ডে চিত্রায়িত হয়েছিল এবং এই সিরিজের দরুন দেশে পর্যটনের প্রসার ঘটেছে, যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পর্যটন ছাড়াও বিনোদন ক্ষেত্র তাইল্যান্ডের কূটনৈতিক শক্তি এবং অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতার একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে। সৃজনশীল শিল্পের মাধ্যমে ৪ ট্রিলিয়ন বাট রাজস্ব আয়ের সরকারের লক্ষ্য এই কৌশলগত উদ্যোগকেই প্রতিফলিত করে। দেশটি সাংস্কৃতিক রফতানিকে কাজে লাগিয়ে এবং পর্যটন উদ্যোগের সঙ্গে সংস্কৃতিকে সাযুজ্যপূর্ণ করে তুলে দেশের রাজস্ব প্রবাহকে বৈচিত্র্যময় করতে ও চিরাচরিত শিল্পের উপর নির্ভরতা কমাতেও চেষ্টা করছে। অর্থনৈতিক সুবিধার ঊর্ধ্বে উঠে এই প্রচেষ্টাগুলি তাইল্যান্ডের জাতীয় গর্ব এবং সাংস্কৃতিক পরিচিতিকে বৃদ্ধি করবে।
তাই পপ সংস্কৃতির উত্থানের ফলে উপজাতীয় পণ্য
বিনোদন ক্ষেত্রের পাশাপাশি, তাই ফ্যাশনও একটি নবজাগরণের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যা মূলত বুফেসান্নিওয়াতের মতো পপ ড্রামার প্রভাব দ্বারা পরিচালিত এবং এটি চিরাচরিত ও সমসাময়িক উভয় ধরনের পোশাকের প্রতি নতুন করে আগ্রহ জাগিয়ে তুলেছে। তাই ড্রামা আন্তর্জাতিক জনপ্রিয়তা অর্জনের পাশাপাশিই সেগুলি আকর্ষণীয় গল্পের মাধ্যমে দর্শকদের মোহিত করে এবং দেশের প্রাণবন্ত বয়ন শিল্পের ঐতিহ্যের প্রতি প্রশংসা জাগিয়ে তুলেছে। দেশীয় সাফল্যকে কাজে লাগিয়ে তাই বিএল অভিনেতারা প্রভাবশালী বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। বিনোদন ও ফ্যাশনের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরির জন্য বারবেরি, প্রাদা এবং ডিওরের মতো উচ্চ গুণমানসম্পন্ন ব্র্যান্ডগুলিতে তারকারা অভিনয় করার দরুন তাই দর্শকদের মধ্যেও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালে এই অংশীদারিত্বগুলি আর্নড মিডিয়া ভ্যালুতে চিত্তাকর্ষক ১০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে, যা তাই তারকা শক্তির প্রভাবকেই দর্শায়। যেহেতু তাই অভিনেতারা ফ্যাশন উইক এবং রেড কার্পেট জুড়ে আধিপত্য বিস্তার করেন, তাই তাঁরা সাংস্কৃতিক রাষ্ট্রদূত হিসেবেই কাজ করছেন। এর পাশাপাশি তাই নান্দনিকতার প্রচারও করছেন এবং বিশ্বব্যাপী বিলাসিতার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেশের সাংস্কৃতিক কূটনীতিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করছেন।
ক্রমবর্ধমান স্বীকৃতির পাওয়ার দরুন দেশটি বিশ্বের হেঁশেল হয়ে ওঠার লক্ষ্য রাখে, যেমনটা দেশের প্রাক্তন প্রাইম মিনিস্টার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে উল্লেখ করেছিলেন।
মনে রাখার মতো সংলাপ ও সাংস্কৃতিক উল্লেখের মাধ্যমে বিনোদন শিল্প আসলে দর্শকদের তাই ভাষায় নিজেদের নিমজ্জিত করার জন্য একটি প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করেছে। নেটফ্লিক্স ও ইউটিউবের মতো মঞ্চগুলির মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানগুলি সকলের কাছে সহজে উপলব্ধ হয়েছে, যা তাই সংস্কৃতি ও বিনোদনের বিশ্বব্যাপী প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি তাই ভাষা শিক্ষার জন্য সাধারণ মানুষের তরফে অনুসন্ধান ও নাম তালিকাভুক্তির সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ার কথা জানিয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ও ভাষাশিক্ষার স্কুলগুলিও চাহিদা পূরণের জন্য তাই ভাষা শেখার নানাবিধ সুযোগ এনেছে। সর্বোপরি, তাই বিনোদনের উত্থানের মাধ্যমে তাইল্যান্ডের রন্ধনপ্রণালী আবার আন্তর্জাতিক প্রশংসা অর্জন করছে এবং বিশ্বব্যাপী রেস্তরাঁগুলিতে তাই খাবার সমাদৃত হচ্ছে। বিনোদন ক্ষেত্রের সঙ্গে খাবারের সংযোগের পাশাপাশিই রন্ধনপ্রণালীও পুনঃপ্রবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, ‘হাঙ্গার’-এর মতো ড্রামায় দেশের রন্ধনপ্রণালীর ঐতিহ্যের গভীরে প্রবেশ করে খাবার ও রান্নার কৌশলগুলিকে তুলে ধরা হয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী দর্শকদের মনোমুগ্ধ করে। ক্রমবর্ধমান স্বীকৃতি পাওয়ার দরুন দেশটি বিশ্বের হেঁশেল হয়ে ওঠার লক্ষ্য রাখে, যেমনটা দেশের প্রাক্তন প্রাইম মিনিস্টার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে উল্লেখ করেছিলেন।
শিল্পের জন্য চ্যালেঞ্জ
তাইল্যান্ডের বিনোদন শিল্পের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তা উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা হিসেবে রয়ে গিয়েছে। কারণ ঘন ঘন সরকার পরিবর্তন সৃজনশীল ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়া্দি পরিকল্পনা ও বিনিয়োগকে ব্যাহত করে। একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ এমন একটি বাস্তুতন্ত্রের দাবি রাখে, যেখানে অপ্রত্যাশিত নিয়ন্ত্রক বাধার ভয় ছাড়াই সৃজনশীলতা বিকাশ লাভ করতে পারে। উপরন্তু, তাইল্যান্ড এমন দেশগুলির তরফে তীব্র প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়, যে দেশগুলি নিজেদের বিনোদন শিল্পকে কার্যকর ভাবে কূটনৈতিক শক্তির হাতিয়ারে রূপান্তরিত করেছে। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ কোরিয়ার ‘হালিউ ওয়েভ’ এমন এক উচ্চ মান নির্ধারণ করেছে, যা সু-কৌশলগত সাংস্কৃতিক রফতানির বিশ্বব্যাপী প্রভাবকেই দর্শায়। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য তাইল্যান্ডকে উদ্ভাবনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং আন্তর্জাতিক দর্শকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য নিজের বিষয়বস্তুকে বৈচিত্র্যময় করার পাশাপাশি নিজের অনন্য সাংস্কৃতিক পরিচয়কে কাজে লাগাতে হবে। যাই হোক, বিএল সিরিজের বিশ্বব্যাপী সাফল্য ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করলেও শিল্প বিশেষজ্ঞরা একটি একক ধারার উপর অতিরিক্ত নির্ভরতার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তাইল্যান্ডের বিস্তৃত সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সমৃদ্ধিতে প্রবেশকারী একটি বৈচিত্র্যময় বিষয়বস্তু কৌশল বিশ্বব্যাপী মঞ্চে আরও স্থিতিশীল ও বহুমাত্রিক প্রভাব ফেলতে পারে।
অভিষেক শর্মা অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট।
আদিত্যবিক্রম রানা অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের রিসার্চ ইন্টার্ন।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Abhishek Sharma is a Research Assistant with ORF’s Strategic Studies Programme. His research focuses on the Indo-Pacific regional security and geopolitical developments with a special ...
Read More +Aadityavikram Rana is a research intern with the Strategic Studies Programme at the Observer Research Foundation. ...
Read More +