Published on Oct 21, 2024 Updated 0 Hours ago

সূর্য ঘর প্রকল্প ২০২৭ সালের মধ্যে ১০ মিলিয়ন পরিবারকে সোলার রুফটপ প্রদান করবে, যার লক্ষ্য উল্লেখযোগ্যভাবে নির্গমন হ্রাস করা।

সূর্য ঘর: খুঁটিনাটি সমস্যা

পটভূমি

সূর্য ঘর মুফত বিজলি যোজনা (সৌর বাড়ি: বিনামূল্যে বিদ্যুৎ কর্মসূচি) হল একটি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মসূচি যা ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছিল, এবং এর লক্ষ্য ২০২৭ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ১০ মিলিয়নেরও বেশি পরিবারের জন্য সোলার রুফ টপ সিস্টেম সরবরাহ করা। এটি পরিবার পিছু প্রতি মাসে ৩০০ কিলোওয়াট ঘণ্টা (কেডাবলুএইচ) বিদ্যুৎ দেবে বিনামূল্যে। প্রোগ্রামটির লক্ষ্য হল ১ টেরাওয়াট-ঘণ্টা (টিডাবলুএইচ) বিদ্যুৎ উৎপাদন করা, যা ২৫ বছরে (স্থাপিত সৌর প্যানেলের আনুমানিক জীবন) ৭২০ মিলিয়ন টন কার্বন ডাইঅক্সাইড সমতুল্য (সিওটু ইকুইভ্যালেন্ট) কার্বন নির্গমন কমাতে পারে।

যদিও প্রোগ্রামটির পিছনে যুক্তিটি সহজ এবং লক্ষ্যটি প্রশংসনীয়, প্রোগ্রামটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে। একটি বিস্তৃত স্তরে, দরিদ্র
পরিবারগুলির প্রোগ্রামটি গ্রহণে সমস্যা হতে পারে, যাদের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া এর প্রাথমিক লক্ষ্য। অনেক রাজ্যে ১০০-৩০০ কেডাবলুএইচ  গ্রিডভিত্তিক বিদ্যুৎ বিনামূল্যে পাওয়া যায়, এবং তারা লেনদেন খরচের দীর্ঘ শর্তযুক্ত বিরতিহীন বিদ্যুৎকে মূল্য নাও দিতে পারে। ভর্তুকি পেতে এবং রুফটপ সোলার (আরটিএস) সিস্টেম বসাতে যে প্রয়াসের প্রয়োজন তা ভীতিজনক হতে পারে, এমনকি ধনী এবং আরও সচেতন গ্রাহকদের জন্যও।

বিশ্বব্যাপী মোট সোলার ইনস্টলেশনের ৪০ শতাংশের বেশি হল আরটিএস-‌এর অবদান, যেখানে ভারতে তা মোটের উপর ১০-১৫ শতাংশ। ভারতের বর্তমান আরটিএস-এর ইনস্টল করা বা প্রতিষ্ঠিত ক্ষমতা ২০২৩ সালে প্রায় ১২.৮ গিগাওয়াট (জিডাবলু), যা এশিয়ার অন্য দেশগুলির তুলনায় কম। চিনে আরটিএস–এর একার ক্ষমতার পরিমাণ
২৫৪ গিগাওয়াট, যা মোট স্থাপিত সৌর ক্ষমতার প্রায় ৩৫ শতাংশ। চিনের আরটিএস ক্ষমতা ভারতের মোট (জীবাশ্ম জ্বালানি ও অ-জীবাশ্ম জ্বালানি-ভিত্তিক) বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার প্রায় অর্ধেক। যদিও চিন পর্যায়ক্রমে জাতীয় ভর্তুকি কমিয়ে দিয়েছে, তবু স্থানীয় পর্যায়ের প্রণোদনা, সোলার পিভি সিস্টেমের মূল্য প্রতিযোগিতা ক্ষমতা, এবং দূষণের বিষয়ে উদ্বেগ আরটিএস সিস্টেম গ্রহণকে প্রসারিত করছে। তাইওয়ানের মতো এশিয়ার ধনী দেশগুলি দেখিয়েছে যে আরটিএস ব্যাপকভাবে গৃহীত হতে পারে এমনকি উঁচু ভবনগুলিতেও, যা সেই দেশের মোট স্থাপিত সৌর ক্ষমতার ৬৩ শতাংশ।

ছোটখাট খুঁটিনাটি

প্রোগ্রামটি চালু হওয়ার (মে ২০২৪) তিন মাস পরে সূর্য ঘর প্রোগ্রামে
১২ মিলিয়ন নিবন্ধন হয়েছিল, ৮০০,০০০-‌এর বেশি আবেদন জমা পড়েছিল, এবং ৫৬,০০০ ইনস্টলেশন হয়েছিল। কার্যকরভাবে, শুধুমাত্র ০.৪ শতাংশ নিবন্ধন ইনস্টলেশনে পরিণত হয়েছে। যদিও কারণগুলি নির্ধারণ করার জন্য সময়টি কম, তবে সম্ভবত সংখ্যা হ্রাসের অনেক কারণের মধ্যে রয়েছে নিবন্ধন ও ইনস্টলেশনের মধ্যে অসংখ্য ছোট প্রযুক্তিগত, অর্থনৈতিক ও পদ্ধতিগত খুঁটিনাটি। শুরুতে, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শৃঙ্খলে জড়িত রয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকগুলির মধ্যে নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রক (এমএনআরই) নীতি নির্দেশিকা তৈরি করে, বিদ্যুৎ মন্ত্রক (এমওপি) প্রযোজ্য শুল্ক কাঠামো স্থির করে, এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক পুরনো সৌর প্যানেলগুলির আয়ু শেষ হওয়ার পর নিষ্পত্তির পদ্ধতি নির্ধারণ করে৷ অর্থ মন্ত্রকও ভর্তুকি দেওয়ার সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িত। কেন্দ্রীয় ভর্তুকি প্রদানে বিলম্ব ইতিমধ্যেই আরটিএস ইনস্টলেশনের গতি কমিয়ে দেওয়ার একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


কেন্দ্রীয় মন্ত্রকগুলির মধ্যে নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রক (এমএনআরই) নীতি নির্দেশিকা তৈরি করে, বিদ্যুৎ মন্ত্রক (এমওপি) প্রযোজ্য শুল্ক কাঠামো স্থির করে, এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক পুরনো সৌর প্যানেলগুলির আয়ু শেষ হওয়ার পর নিষ্পত্তির পদ্ধতি নির্ধারণ করে৷



সম্ভাব্য গ্রাহককে নিবন্ধনের জন্য অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হবে আরইসি ইন্ডিয়া (পূর্বে গ্রামীণ বিদ্যুদয়ন কর্পোরেশন, একটি নন-ব্যাঙ্কিং ফাইন্যান্স কোম্পানি)-‌র সঙ্গে, যেটি জাতীয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা।  আরটিএস সিস্টেমের ব্যয়ের ৬০ শতাংশ অর্থায়নের অভাব পূরণের জন্য ভর্তুকিযুক্ত হারে ঋণ পেতে মনোনীত ব্যাঙ্কের কাছে যেতে হবে। কিছু রাজ্য রাষ্ট্রীয় আর্থিক সহায়তা প্রদান করে, যা আরটিএস ইনস্টলেশনের পথে আরেকটি সংস্থা। সূর্য ঘর কর্মসূচি উচ্চ আয়ের গ্রাহকদের জন্য বেশি উন্মুক্ত, এবং তাঁরাই উদ্দিষ্ট সুবিধাভোগী দরিদ্র পরিবারের পরিবর্তে সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী হয়ে দাঁড়াতে পারেন। অন্যান্য ভর্তুকি কর্মসূচির মতোই এক্ষেত্রেও ধনী গ্রাহকেরা, যাঁদের প্রোগ্রামের জটিলতাগুলির মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এবং ঋণ না-‌নিয়ে আরটিএস সরঞ্জামগুলিতে বিনিয়োগ করার ক্ষমতা রয়েছে, তাঁরা এই প্রোগ্রামের জন্য বরাদ্দকৃত
অর্থের বেশিরভাগ ব্যবহারের জন্য সম্ভাব্যভাবে উপযুক্ত হতে পারে্ন। ব্যাঙ্কগুলি কম ঝুঁকির জন্য বড় এবং তুলনায় ধনী গ্রাহকদের পছন্দ করতে পারে। যদিও ইন্সটলেশনের বর্ধিত ক্ষমতার সাথে সাথে ভর্তুকি কমে যায়, প্রোগ্রামটি দরিদ্র পরিবারের পক্ষে কাজ না-‌ও করতে পারে। উচ্চ পর্যায়ের গ্রাহকেরা স্বেচ্ছায় ভর্তুকি উপাদান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন, তবে ভর্তুকি এই প্রোগ্রামের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হওয়ায় তাঁদের তা করার সম্ভাবনা কম। সূর্য ঘর প্রোগ্রাম-‌এ, তার বর্তমান আকারে, গ্রাউন্ড-মাউন্টেড সোলার সিস্টেমের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই। আরটিএস সিস্টেম সমর্থন করতে পারে এমন একটি উপযুক্ত ছাদ-‌সহ বাড়ি নেই এমন পরিবারের জন্য গ্রাউন্ড মাউন্টেড সোলার সিস্টেমের বিকল্পটি প্রোগ্রামটিতে অনেক বেশি মানুষকে যুক্ত করতে পারে।

 

তারপরে আছে রাষ্ট্রীয় বিতরণ সংস্থা (ডিসকম), যারা গ্রাহককে উপযুক্ত ট্যারিফ ও মিটারিং বিকল্পগুলি দেবে। ডিসকম পালাক্রমে আরটিএস গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুতের রপ্তানি এবং আমদানির জন্য শুল্ক নির্ধারণে রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশনের (এসইআরসি) উপর নির্ভর করে। যদি ডিসকম নেট মিটারিং ব্যবহার করে, তাহলে গ্রাহক গ্রিডে যে বিদ্যুৎ ফিড করেন তা গ্রাহক গ্রিড থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের মূল্যের সমান হবে। যদি এটি নেট বিলিং হয়, গ্রিডে রপ্তানি করা বিদ্যুতের শুল্ক গ্রিড থেকে ব্যবহৃত বিদ্যুতের জন্য চার্জ করা শুল্কের চেয়ে কম হবে। যদি এটি গ্রস মিটারিং যুক্ত করে, আরটিএস উৎপাদিত বিদ্যুৎ একটি নির্দিষ্ট হারে (ফিট বা ফিড-ইন-ট্যারিফ) গ্রিডে রপ্তানি করা হবে, এবং ডিসকমের চার্জ করা শুল্কে ভোক্তা বিদ্যুৎ পাবেন। গ্রস মিটারিং কম ধনী গ্রাহকদের জন্য আরটিএস প্রোগ্রামকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। আরেকটি সমস্যা হল যে এসইআরসি ট্যারিফ সংশোধন বার্ষিক ভিত্তিতে করা হয়, যার অর্থ গ্রাহক তাঁর দীর্ঘমেয়াদি রাজস্ব প্রবাহ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেন না। এটি সেই গ্রাহকদের নিরুৎসাহিত করবে যাঁরা আরটিএস সিস্টেম বসানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নেবেন। আরটিএস ইনস্টলেশনের জন্য ভোক্তাকে যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে সেই সময়ের জন্য সম্মত শুল্ক সুরক্ষিত না থাকলে, গ্রাহক বিকল্পটিকে বস্তুগতভাবে উপকারী হিসাবে নাও দেখতে পারেন। তাইওয়ানে, যেখানে আরটিএস ইনস্টল করা ক্ষমতার ৬০ শতাংশের বেশি, সেখানে শুল্ক ২০ বছরের জন্য নির্ধারণ করা হয়। ডিসকমগুলি ৫ কিলোওয়াট পর্যন্ত লোডের জন্য নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস প্রদানের মূলধন সংগ্রহ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি নগদের সঙ্কটে থাকা ডিসকমগুলি ভালভাবে গ্রহণ নাও করতে পারে৷


সূর্য ঘর প্রোগ্রাম এমনভাবে আরটিএস ইনস্টলেশনের অনুমতি দেয় যেখানে সিস্টেমে মূলধন ব্যয় একটি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি পরিষেবা সংস্থার (রেসকো) অধীনে গ্রাহক ব্যতীত তৃতীয় পক্ষ দ্বারা করা হয়।
রেসকো এই আরটিএস সিস্টেমের মালিক হবে, এবং ছাদ ব্যবহারের বিনিময়ে রেসকো ছাদের মালিককে ক্ষতিপূরণ দেবে। সূর্য ঘরের জন্য রেসকো মডেলের অধীনে তৃতীয় পক্ষ হল কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা (সিপিএসইউ), যার আরটিএস সিস্টেমের অর্থায়ন, প্রতিষ্ঠা, মালিকানা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকবে। এই মডেলটি প্রভাবশালী হয়ে উঠলে, আয়তন অর্থনীতি সরকার ও গ্রাহক উভয়ের জন্যই যথেষ্ট খরচ হ্রাস করতে সক্ষম হবে। সিপিএসইউ গ্রাহকের উপর আরোপিত ৪০ শতাংশ খরচ বহন করবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং এই ঋণটি ১০ বছর মেয়াদে নেট মিটারিং ব্যবস্থার অধীনে গ্রিডে বিদ্যুৎ রপ্তানির মাধ্যমে গ্রাহকের দ্বারা পরিশোধ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রেসকো মডেলের সঙ্গে অতীতের অভিজ্ঞতা দেখায় যে বাস্তবায়ন যতটা সহজ মনে হচ্ছে ততটা সহজ নয়।



সূর্য ঘরের জন্য রেসকো মডেলের অধীনে তৃতীয় পক্ষ হল কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা (সিপিএসইউ), যার আরটিএস সিস্টেমের অর্থায়ন, প্রতিষ্ঠা, মালিকানা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকবে।



রিভ্যাম্পড ডিস্ট্রিবিউশন সেক্টর স্কিম (আরডিএসএস)-‌এর অধীনে, এমওপি ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে কৃষি গ্রাহক ব্যতীত
সমস্ত গ্রাহকের জন্য প্রিপেড মিটার স্থাপন করবে। নেট মিটার ও প্রিপেড মিটারের মধ্যে সামঞ্জস্যতা অস্পষ্ট। এমওপি এসইআরসি-কে টাইম-অফ-ডে (টিওডি) সোলার ট্যারিফ নিয়মিত শুল্কের চেয়ে অন্তত ২০ শতাংশ কম করার নির্দেশ দিয়েছে। এতে গ্রিডে বিদ্যুৎ রপ্তানির শুল্ক কমবে। শিল্প-‌লোডবিহীন রাজ্যগুলিতে দিনের বেলা উচ্চ সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের কারণে প্রেরণে সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডিসকমগুলিকে ইনসেনটিভ অফার ব্যবহার করে পিক লোড অফ-পিক সময়ে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা তৈরি করতে হতে পারে। আরটিএস গ্রাহকদের জন্য ক্রস-সাবসিডি সারচার্জের প্রযোজ্যতা নিয়েও কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে।


তারপরে, ভেন্ডরের সোলার ফটোভোলটাইক (পিভি) সিস্টেমের জন্য
গার্হস্থ্য উৎপাদন ক্ষমতা থাকতে হবে। সৌর প্যানেলগুলির অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধি না-‌পাওয়া পর্যন্ত, ঘরোয়া প্যানেলের প্রাপ্যতা ইনস্টলেশনের গতি কমানোর কারণ হিসাবে আবির্ভূত হবে। সৌর প্যানেলের দাম, যা আমদানিকৃত কাঁচামাল ও উপাদানগুলির মূল্যের উপর নির্ভর করে, প্রোগ্রামের অগ্রগতিকে প্রভাবিত করার মতো একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আরটিএস কর্মসূচি ঘোষণার পর দেশীয় নির্মাতারা প্যানেলের দাম বাড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধির পর সম্ভবত কর্মসূচির জন্য বরাদ্দকৃত বেশিরভাগ তহবিল দেশীয় নির্মাতাদের বরাদ্দ করা হবে, যা এই কর্মসূচির লক্ষ্যগুলিকে দুর্বল করতে পারে। এটি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক, কারণ দেশীয় নির্মাতারাও উৎপাদন সংযুক্ত প্রণোদনা (পিআইএল) পায়। উপলব্ধ প্যানেলের গুণমানও উদ্বেগের কারণ হতে পারে। যদিও সোলার প্যানেলগুলি প্রায় ২৫ বছরের গ্যারান্টিযুক্ত হতে পারে, সিস্টেমের উপাদানগুলি, যেমন ইনভার্টারগুলির আয়ু বা গ্যারান্টির মেয়াদ কম হতে পারে, যা প্রোগ্রামটির কার্যকারিতা হ্রাস করবে। নেট মিটার ও সোলার মিটারের প্রাপ্যতাও ইনস্টলেশনে বিলম্ব ঘটাতে পারে, এবং একই কথা প্রযোজ্য সোলার সিস্টেম ইনস্টলেশন ও পরিষেবা দেওয়ার জন্য দক্ষ প্রযুক্তিবিদদের প্রাপ্যতা সম্পর্কেও। প্রচলিত জেনারেটরের নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ছাড়াই গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত ৩০ গিগাওয়াট বিতরণকৃত উৎপাদন আগুন লাগা বা অন্যান্য ঝুঁকিও বহন করতে পারে, যা গ্রিডের স্থিতিশীলতাকে গুরুতরভাবে সমস্যার মুখে ফেলতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ায় ১ মেগাওয়াট এবং তার উপরের আরটিএস সিস্টেমগুলিকে পাইকারি বিদ্যুতের বাজারে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়, যার জন্য প্রোটোকল ও পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। বিতরণকৃত বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রির বিকল্প প্রস্তাব করার আগে ভারতকে প্রথমে বিদ্যুতের একটি পাইকারি বাজার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।


ভাবার মতো বিষয়গুলি

সূর্য ঘর কর্মসূচির সাফল্য গুরুত্বপূর্ণভাবে নির্ভর করে
রাজ্য সরকারগুলির উপর, যেগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্যগুলির শরিক হতে পারে বা নাও হতে পারে৷ কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্যগুলির মধ্যে রয়েছে বহুপাক্ষিক কার্বন হ্রাস প্রতিশ্রুতি পূরণ, শক্তি সুরক্ষা বৃদ্ধি, শুল্ক ভর্তুকিকে এককালীন মূলধন ভর্তুকিতে স্থানান্তর করা এবং দেশীয় উৎপাদনের প্রসার। কিছু রাজ্য তাদের পুনর্নবীকরণযোগ্য ক্রয় বাধ্যবাধকতা (আরপিও) পূরণের উপায়  হিসাবে সূর্য ঘর প্রোগ্রামকে মূল্য দিতে পারে না, কারণ তাদের জলবিদ্যুতের প্রাপ্যতা রয়েছে যা কম খরচে আরপিও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারে। কিছু রাজ্য আরটিএস-কে স্বল্পমূল্যের বিদ্যুৎ পাওয়ার উপায় হিসাবে নাও দেখতে পারে, কারণ তাদের আরটিএস গ্রাহকদের যা দিতে হয় তার তুলনায় অনেক কম ট্যারিফে তাদের প্রেরণযোগ্য পিট-হেড পাওয়ার-‌এর ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। গ্রাহকের কাছে প্রতিশ্রুত আর্থিক লাভগুলি আসবে ডিসকম-‌এর আর্থিক অবস্থার মূল্যে, যা রাজ্য সরকারগুলি সমর্থন নাও করতে পারে৷ উচ্চ আবাসিক বিদ্যুতের শুল্ক (শিল্প শুল্কের তুলনায়) ধনী দেশগুলিতে আরটিএস-এর সাফল্যের পিছনে অন্যতম চালক হলেও ভারতে আবাসিক শুল্ক হল বিদ্যুতের সরবরাহের ব্যয়ের মোটের উপর ৮০ শতাংশ এবং কৃষি শুল্ক হল সরবরাহের ব্যয়ের প্রায় ২৫ শতাংশ। শিল্প ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে তা সরবরাহের খরচের ১৫০ শতাংশ  ভারতে শিল্প ও বাণিজ্যিক গ্রাহকদের আরটিএস সিস্টেম বেছে নেওয়ার মূল কারণগুলির মধ্যে রয়েছে উচ্চ শুল্ক। যদি তাই হয়, পরিবারের জন্য প্রচলিত বিদ্যুতের শুল্ক বৃদ্ধি আরটিএস সিস্টেমের ব্যাপক গ্রহণের জন্য একটি পূর্বশর্ত হয়ে উঠতে পারে।



সূত্র: ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি




লিডিয়া পাওয়েল অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডিস্টিংগুইশড ফেলো।

অখিলেশ সতী অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার।

বিনোদ কুমার তোমর অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সহকারী ব্যবস্থাপক।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Lydia Powell

Lydia Powell

Ms Powell has been with the ORF Centre for Resources Management for over eight years working on policy issues in Energy and Climate Change. Her ...

Read More +
Akhilesh Sati

Akhilesh Sati

Akhilesh Sati is a Programme Manager working under ORFs Energy Initiative for more than fifteen years. With Statistics as academic background his core area of ...

Read More +
Vinod Kumar Tomar

Vinod Kumar Tomar

Vinod Kumar, Assistant Manager, Energy and Climate Change Content Development of the Energy News Monitor Energy and Climate Change. Member of the Energy News Monitor production ...

Read More +