-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
এই কঠিন সময়ে শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করা ভারতের জন্য কৌশলগত এবং ভূ-রাজনৈতিক ভাবে বিচক্ষণতার কাজ হবে।
এই নিবন্ধটি ‘দি আনফোল্ডিং ক্রাইসিস ইন শ্রীলঙ্কা’ সিরিজের অংশ।
২ কোটি ২০ লক্ষ জনসংখ্যার দেশ শ্রীলঙ্কা এখন একটি অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন, যার ফলে ২০০৯ সালে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে যে অগ্রগতি হয়েছিল তার অনেকটাই নষ্ট হতে বসেছে। আকাশছোঁয়া মূল্যস্ফীতি (যা ২০২২–এর মার্চে ২১ শতাংশেরও বেশি ছিল), ১০ ঘণ্টারও বেশি স্থায়ী বিদ্যুৎ ছাঁটাই, এবং খাদ্য, জ্বালানি ও জীবনদায়ী ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যগুলির ঘাটতির পর সঙ্কটটি নতুন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। দ্বীপরাষ্ট্রটি এখন মুখোমুখি হয়েছে একটি রাজনৈতিক সংকটের, যেখানে এখনও পর্যন্ত সরকার সমর্থক এবং বিরোধী বিক্ষোভকারীদের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে পদত্যাগ করেছেন, একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে, জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে (সেনাবাহিনীকে দেখামাত্র
গুলি চালানোর ক্ষমতা সহ) এবং সামাজিক মিডিয়া ব্যবহারের উপর নাটকীয় নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছে। সুতরাং, যে প্রশ্নটি উঠছে তা হল: এই অবস্থা হল কী করে?
অনেক অর্থনীতিবিদ এবং নীতিনির্ধারক সমস্যাটির প্রধান কারণ হিসেবে অতিমারির দিকে ইঙ্গিত করেছেন, যা পর্যটন ক্ষেত্র থেকে (শ্রীলঙ্কার জিডিপি–তে যে সব ক্ষেত্রের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য অবদান আছে এটি তার অন্যতম) ২০১৮ সালের ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়কে সঙ্কুচিত করে ২০২১ সালে ১৫০ মিলিয়ন ডলারে নামিয়ে এনেছিল, এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় কমিয়ে দিয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে কিন্তু এই সংকট দীর্ঘদিন ধরে তৈরি হচ্ছিল। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে শ্রীলঙ্কার বাণিজ্য ঘাটতি ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ১২ বিলিয়ন হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, কিছু নীতিগত পদক্ষেপের কারণে অর্থনীতিকে একাধিক আঘাত সহ্য করতে হয়েছে, যেমন রাজাপক্ষে আমলে বিশাল কর হ্রাস, সুদের হারে নিম্নমুখী সংশোধন, এবং সমস্ত সার ও কীটনাশক আমদানির উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে জৈব চাষে ‘বিপর্যয়কর ’ প্রবেশ। অতি সম্প্রতি ইউক্রেনীয় সংকটের দরুন মূল্যস্ফীতির কারণে আমদানি বিলের অপ্রত্যাশিত বৃদ্ধির সঙ্গেও লড়াই করতে হয়েছে। এই সমস্ত কিছুর মধ্যে যে ঘটনা দেশটির সমস্যা অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে তা হল অতিমারির অব্যবহিত পরে দেশটির ক্রেডিট রেটিং নাটকীয় ভাবে হ্রাসের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট মার্কেট থেকে শ্রীলঙ্কাকে কার্যত বর্জন করা। এর ফলে কলম্বোর পক্ষে বছরের পর বছর ধরে জমে ওঠা ঋণ পরিশোধের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবস্থা করার উপায় খুঁজে পাওয়া অসম্ভব হয়ে উঠেছে, এবং তার ফলে দেশটি আজ যে সংকটের মধ্যে রয়েছে তা আরও ঘনীভূত হয়েছে।
কিছু নীতিগত পদক্ষেপের কারণে অর্থনীতিকে একাধিক আঘাত সহ্য করতে হয়েছে, যেমন রাজাপক্ষে আমলের বিশাল কর হ্রাস, সুদের হারে নিম্নমুখী সংশোধন, এবং সমস্ত সার ও কীটনাশক আমদানির উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে জৈব চাষে ‘বিপর্যয়কর’ প্রবেশ।
এখন শ্রীলঙ্কার বকেয়া বৈদেশিক ঋণ ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি, যার সবচেয়ে বড় অংশ (প্রায় ৪৭ শতাংশ) বাজার থেকে ধার করা হয়েছে, বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক সার্বভৌম বন্ড (আইএসবি)–এর মাধ্যমে, আর বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় দাঁড়িয়েছে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামান্য বেশি (যা দিয়ে মাত্র দু’ মাসের আমদানির ব্যবস্থা হতে পারে)। দেশটি যে তার সমস্ত ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হবে, তা ক্রমেই বেশি করে অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। এই প্রবন্ধে আমরা কেন এই সংকটের দ্রুত সমাধানে ভারতের সহায়তা করা উচিত তা দেখব, এবং কী ভাবে ভারত তার প্রতিবেশীকে ঘিরে থাকা চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করতে পারে তার কিছু উপায় অন্বেষণ করব।
এই সংকট ভারতকে কেন প্রভাবিত করবে তার তিনটি প্রাথমিক কারণ রয়েছে: চিন, বাণিজ্য, এবং সম্ভাব্য রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা।
যদিও শ্রীলঙ্কা ভারতের প্রতিবেশী প্রথম নীতিতে একটি অবিচ্ছেদ্য স্থান দখল করে আছে, তবুও নতুন দিল্লি এবং কলম্বোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য ও উন্নয়নমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রশ্নে কয়েক বছর ধরে কিছুটা অবহেলা লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে মনে হচ্ছে, এবং তার ফলে বেজিং প্রভাবশালী বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে উঠে এসেছে। বিষয়টি এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট যে অন্তত ২০১৫ সাল থেকেই চিন ওই দেশের শীর্ষ একক ঋণদাতা এবং প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় উৎস। এমনকি বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও শ্রীলঙ্কা ভারতের চেয়ে চিন থেকে বেশি আমদানি করে।
বেজিং সম্পর্কে ভারতের উদ্বেগ দ্বীপরাষ্ট্রে চিনা বিনিয়োগের প্রকৃতি এবং এই সংকটের প্রেক্ষাপটে এর অর্থ কী হতে পারে তা থেকে উদ্ভূত। রাজনৈতিক ‘কিকব্যাক’-এর বিনিময়ে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ এবং পর্যালোচনা ও মূল্যায়নের প্রশ্নে প্রয়োজনীয় স্বচ্ছতার অভাবের জন্য প্রায়শই সমালোচিত শ্রীলঙ্কায় চিনা বিনিয়োগগুলি কিন্তু ঋণের ন্যায্যতা প্রমাণ করতে পারেনি, অর্থাৎ সেগুলির থেকে যে ধরনের স্থানীয় কর্মসংস্থান বা রাজস্ব প্রত্যাশিত ছিল তার ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে প্রায়শই শ্রীলঙ্কা সরকার ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে, এবং তার বিনিময়ে কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অবস্থিত হাম্বানটোটার মতো বন্দর বা শহরাঞ্চল চিনকে হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা চিনা বিনিয়োগের বিনিময়ে জমি ইজারা দিয়েছে, যেমন পোর্ট সিটি অফ কলম্বো প্রকল্পের ক্ষেত্রে বেজিং ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের বিনিময়ে ১০০ হেক্টরের বেশি জমি পেয়েছে৷ এই ধরনের ব্যবস্থার মাধ্যমে চিন সে দেশে ক্রমশ বেশি করে পা রাখার জায়গা পেয়েছে। এখন, অর্থনৈতিক সঙ্কট আরও বাড়তে থাকায় শ্রীলঙ্কা কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অবস্থিত বন্দর শহরগুলিতে তার আরও বেশি ভূমির নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ার কিছু ব্যস্ততম শিপিং রুটের সান্নিধ্যের কারণে এই অঞ্চলে বৃহত্তর চিনা উপস্থিতি ভারতের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলবে, বিশেষ করে যে হেতু ভারত দ্বীপরাষ্ট্রটিকে তার ‘প্রভাব ক্ষেত্র’-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করে।
ও স্বল্পমেয়াদে, সংকটের কারণে কলম্বো বন্দরের স্বাভাবিক কাজকর্মে যে কোনও বড় ব্যাঘাত ভারতের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হবে, কারণ সেখান দিয়ে ভারতের ৩০ শতাংশের বেশি কনটেনার ট্র্যাফিক যাতায়াত করে এবং ৬০ শতাংশ ট্রান্স–শিপমেন্ট সেখানেই হয়। শ্রীলঙ্কা ভারতীয় রফতানির একটি প্রধান গন্তব্য, এবং দেশটি ভারত থেকে বার্ষিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য কেনে। অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হলে ভারতীয় রফতানিকারকদের উপর তার বড় প্রভাব পড়বে, এবং তাদের পণ্যের বিকল্প বাজার খুঁজে বার করতে হবে। বাণিজ্য ছাড়াও রিয়েল এস্টেট, উৎপাদন, পেট্রোলিয়াম পরিশোধন ইত্যাদি ক্ষেত্রে দ্বীপরাষ্ট্রে ভারতের যথেষ্ট বিনিয়োগ রয়েছে, যা সবই সংকটের কারণে বিরূপ ভাবে প্রভাবিত হবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের ধারণা, এই সংকট চলতে থাকলে ২০০০–এরও বেশি এমন ‘অর্থনৈতিক’ শরণার্থী ভারতে চলে আসবেন, এবং এটি উদ্বেগের একটি বড় কারণ হওয়া উচিত।
বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং ভূ-রাজনীতির পাশাপাশি বর্তমান সংকট থেকে উদ্ভূত তাৎক্ষণিক রাজনৈতিক অ–স্থিতিশীলতাও ভারতের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হতে পারে। গত কয়েক সপ্তাহে বহু মানুষ শ্রীলঙ্কা থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছেন। সরকারি কর্মকর্তাদের ধারণা, এই সংকট চলতে থাকলে ২০০০–এরও বেশি এমন ‘অর্থনৈতিক’ শরণার্থী ভারতে চলে আসবেন, এবং এটি উদ্বেগের একটি বড় কারণ হওয়া উচিত। শরণার্থীদের সংখ্যায় কোনও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি জননিরাপত্তা ও শরণার্থী পুনর্বাসনের বিষয়ে রাষ্ট্রের উদ্বেগের কারণ হতে পারে, এবং সাধারণ সম্পদের ব্যবহার নিয়ে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করতে পারে। তা ছাড়া এর থেকে তামিল–সিংহলি দ্বন্দ্বের (শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধের দিনগুলি থেকে) প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা থাকবে, এবং ভারতে এর সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কাও থাকবে। অতএব, ভারতকে নিজের স্বার্থেই শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটের দ্রুত অবসান নিশ্চিত করতে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।
যাদের কাছে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বেশি ঋণ রয়েছে এমন দেশের তালিকায় চিন ও জাপানের পরেই তৃতীয় স্থানে আছে ভারত। কাজেই এই প্রয়োজনের সময়ে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে তার আর্থিক প্রতিশ্রুতি পূরণে সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাকে অবশ্যই শ্রীলঙ্কাকে ঋণ পরিশোধের কিস্তি কিছুকাল স্থগিত রাখার সুযোগ দিতে হবে, এবং/অথবা ঋণ পুনর্গঠনের বিকল্প বিবেচনা করতে দিতে হবে। এটি কলম্বোকে শুধু খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির মতো মানুষের তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটানোর জন্য তার সীমিত রাজস্ব বরাদ্দ করতেই সাহায্য করবে না, বরং দেশটির নেতৃত্বের মধ্যে কিছু অতি–প্রয়োজনীয় সদিচ্ছা তৈরিতেও অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এর ফলে কোনও না কোনও ভাবে বছরের পর বছর ধরে বিপুল চিনা বিনিয়োগের প্রভাব ক্ষুণ্ণ করা সম্ভব হবে। তা ছাড়া ঋণ পুনর্গঠনের কথা বিবেচনা করার জন্য প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের অনুরোধ চিন প্রত্যাখ্যান করার পটভূমিতে এই ধরনের পদক্ষেপ শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক নেতৃত্ব আরও সাদরে গ্রহণ করবে । অবশ্যই, ভারত যে উন্নয়নমূলক ও মানবিক সহায়তা দিচ্ছে তার পাশাপাশি এই কাজটা করা উচিত।
শরণার্থীদের সংখ্যায় কোনও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি জননিরাপত্তা ও শরণার্থী পুনর্বাসনের বিষয়ে রাষ্ট্রের উদ্বেগের কারণ হতে পারে, এবং সাধারণ সম্পদের ব্যবহার নিয়ে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করতে পারে।
দীর্ঘ মেয়াদে, ভারতকে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় যে কোনও সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। যে হেতু চিনের উপর শ্রীলঙ্কার নির্ভরতা হ্রাস করাই ভারতের স্বার্থসম্মত, তাই দ্বীপরাষ্ট্রটিকে বিশ্ব অর্থনীতিতে ঘনিষ্ঠ ভাবে যুক্ত করতে অবদান রাখতে হবে। এখানে, শুরু করার জন্য একটি ভাল জায়গা হবে নতুন দিল্লি ও কলম্বোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ । ভারত–শ্রীলঙ্কা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (আই এস এফ টি এ)–কে এই লক্ষ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। ২০০৫ সালের ৯০ শতাংশেরও বেশি থেকে কমিয়ে ২০১৯ সালে ভারতে শ্রীলঙ্কার সমস্ত রফতানির মাত্র ৬৪ শতাংশ আই এস এফ টি এ–র আওতায় আনা হয়েছিল৷ আমদানির দিক থেকে, সমস্ত ভারতীয় আমদানির মাত্র ৫ শতাংশ চুক্তির আওতায় ছিল৷ এর অর্থ হল দুই দেশের মধ্যে বৃহত্তর বাণিজ্যভিত্তিক সহযোগিতাকে উৎসাহিত করার জন্য চুক্তির কিছু মূল অন্তর্ভুক্তির শর্তাবলি নিয়ে পুনরায় আলোচনার সুযোগ রয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে এই মুহূর্তে সঙ্কট যাতে আরও খারাপ জায়গায় না–পৌঁছয় তার জন্য ভারতকে যথাসাধ্য করতে হবে।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.