Published on Aug 09, 2024 Updated 0 Hours ago

একটি ভারতীয় বেসরকারি সংস্থাকে এক বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প প্রদানের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত শ্রীলঙ্কায় অভিযোগের ঝড় তুলেছে এবং এমনটা অনেকে মনে করছেন যে, ভারত দ্বীপদেশটিকে একটি ভার্চুয়াল প্রদেশে পরিণত করছে।

শ্রীলঙ্কা: ভারতের জন্য একটি ‘ভার্চুয়াল প্রদেশ’ না কি বিনিয়োগের ঝুঁকি?

এমন এক সময়ে যখন শ্রীলঙ্কার কিছু সংস্থা একটি ভারতীয় বেসরকারি সংস্থাকে বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প প্রদানের বিষয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছে, তখন কলম্বোভিত্তিক কিছু বিশেষজ্ঞ এই ধরনের বিনিয়োগের উদ্যোগকে এমন এক আলোকে দেখছেন যার লক্ষ্য হল দ্বীপদেশের নিরবচ্ছিন্ন অর্থনৈতিক দুর্দশার একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা যা দ্বীপদেশটিকে বৃহত্তর উত্তরের প্রতিবেশীর একটি ভার্চুয়াল প্রদেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা। বিশ্বের প্রাচীনতম পরিবেশ সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড নেচার প্রোটেকশন সোসাইটি (ডব্লিউএনপিএস) সুপ্রিম কোর্টে আবেদনটি দায়ের করেছিল। যার বিরুদ্ধে এই মামলা, সেই সংস্থাটি হল ভারতের আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড। জ্বালানির মূল্য-সহ একাধিক বিষয় সুপ্রিম কোর্টের সামনে রাখা পিটিশনগুলিতে উঠে এসেছে। এর অর্থ হল সম্ভবত পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দরুন বিচারগত প্রক্রিয়া কার্যপ্রণালী বিলম্বিত হতে পারে। তাই সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে চলা এমন একটি সুস্পষ্ট সরকারি সিদ্ধান্ত আসলে জোড়া নির্বাচনের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে। 

এই প্রশ্ন অবশ্য রয়েই গিয়েছে যে, নগদ অর্থ সঙ্কটে ভোগা শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্র থেকে ব্যাপক বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়ে নয়াদিল্লি দক্ষিণের প্রতিবেশীকে এক ভার্চুয়াল প্রদেশ’-এ পরিণত করার চেষ্টা করছে কি না। কিন্তু এ হেন আখ্যান একাধিক কারণে ত্রুটিপূর্ণ প্রথম এবং সর্বাগ্রে যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে তা হল, শ্রীলঙ্কা একটি সার্বভৌম দেশ এবং অন্য কোনো দেশ তার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না, বিশেষ করে যখন ঠান্ডা লড়াই’ শেষ হওয়ার পর থেকে বিশ্ব ব্যাপক ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, সিংহলিরা এই ধরনের পরিবর্তন নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং মনোভাব পরিবর্তন করেনি। এটি ২০২২ সালে দেশটিকে ঘটা অর্থনৈতিক সঙ্কটের অন্যতম প্রধান কারণও বটে।

 

এই প্রশ্ন অবশ্য রয়েই গিয়েছে যে, নগদ অর্থ সঙ্কটে ভোগা শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্র থেকে ব্যাপক বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়ে নয়াদিল্লি দক্ষিণের প্রতিবেশীকে এক ভার্চুয়াল প্রদেশ’-এ পরিণত করার চেষ্টা করছে কি না।

 

দ্বিতীয় বিষয়টি হল, ভারতীয়দের এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা উচিত যে, তাদের বিনিয়োগ আদৌ সুরক্ষিত কি না এবং তা সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই ভাগীদার এবং অংশীদারদের জন্য লাভজনক কি নাবরং, এই ধরনের বিনিয়োগের রিস্ক ফ্যাক্টর’ বা ‘ঝুঁকির মাত্রা’ আর্থিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সুবিশাল। এটি ভার্চুয়াল প্রদেশ গঠনের বিপরীত অবস্থাকেই দর্শায়। এক বার ভারতীয় অর্থ শ্রীলঙ্কায় অথবা, অন্য কোথাও বিনিয়োগ করা হলে সংস্থাগুলির উপর স্থানীয় সরকারের জোর খাটে।

এ ক্ষেত্রে সরকার অন্য কারণগুলির মধ্যে স্থানীয় রাজনীতি এবং সমাজ, প্রেসিডেন্ট পরিবর্তন পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দ্বারা প্রভাবিত হবে। তাই ভারত এবং ভারতীয়রা তাদের অর্থ এক খারাপ অর্থনৈতিক পরিবেশে বিনিয়োগ করতে চাওয়ার ঘটনায় শ্রীলঙ্কাবাসীদের খুশি হওয়াই উচিত এবং আশা করা উচিত যাতে সেই অর্থ নিরাপদ থাকে এবং স্বল্প, মাঝারি দীর্ঘ মেয়াদে তার বৃদ্ধি ঘটে। সহজ কথায় বললে, বিনিয়োগ করার পর এবং তা থেকে মুনাফা অর্জনের আগে পর্যন্ত ভারতীয় বিনিয়োগগুলি অনিশ্চয়তার সম্মুখীনই থাকবে।

 

দ্বিগুণ সতর্ক

আগে না হলেও, অন্তত ভার্চুয়াল প্রদেশ’-এর উদীয়মান ধারণার পরবর্তী সময়ে অন্যরা এ বিষয়ে দ্বিগুণ সতর্ক হয়ে উঠবে, বিশেষ করে এমন এক দেশে যেখানে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি এখনও আরাগালায় বিক্ষোভের সময় প্রেসিডেন্ট-সহ শতাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগকারীদের নাক্ত করতে এবং/অথবা গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়েছে। ভারতীয় বিনিয়োগকারী বা প্রকল্প নির্বিশেষে শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক শ্রেণি উন্নয়নমূলক তহবিলের ধারণার ক্ষেত্রে আদৌ পটু নয়।

আরাগালায় বিক্ষোভের আগে দীর্ঘ সময় ধরে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে সরকারের অধীনে কিছু মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী এবং অন্যান্য শাসক দলের এমপিরা ভবিষ্যতের জ্বালানি উন্নয়ন প্রকল্পগুলিতে ভারতকে সম্পৃক্ত করার বিষয়ে প্রকাশ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের শুরুতে শ্রীলঙ্কায় সপ্তাহব্যাপী সফরের সময় ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ভাবে রাস্তায় বিক্ষোভের কয়েক মাস আগে তৎকালীন ভারতীয় বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা দ্বীপরাষ্ট্রের প্রতি কোভিড-পরবর্তী প্রতি সমর্থন পুনর্নিশ্চিত করেছিলেন। এর পাশাপাশি একাধিক জ্বালানি ও সংযোগ প্রকল্প নিয়ে আলোচনা ফের শুরু করেছিলেন, যার লক্ষ্য হল স্থানীয় অর্থনীতিকে স্বনির্ভর ও স্থিতিস্থাপক করে তোলা।

 

আরাগালায় বিক্ষোভের আগে দীর্ঘ সময় ধরে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে সরকারের অধীনে কিছু মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী এবং অন্যান্য শাসক দলের এমপিরা ভবিষ্যতের জ্বালানি উন্নয়ন প্রকল্পগুলিতে ভারতকে সম্পৃক্ত করার বিষয়ে প্রকাশ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

 

২০২৩ সালের জুলাই মাসে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসঙ্গে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহের আলোচনার সময় তাঁরা পাঁচটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন, তার আগেকার চিহ্নিত সমস্ত প্রকল্প স্পষ্টতই অনুমোদন পেয়েছিল। দুই দেশের ভিশন ডকুমেন্ট’-এর একটি অংশ হিসাবে প্রস্তাবিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল দুই দেশকে সংযুক্ত করার জন্য একটি স্থলসেতুর প্রস্তাব, যা কিনা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয় মেয়াদে (২০০৩-০৪) বিক্রমসিংহের একটি প্রধান প্রকল্প। তিনি আগে যা কল্পনা করেছিলেন তার বিপরীতে হেঁটে এই জাতীয় সেতু শ্রীলঙ্কাকে শুধুমাত্র দক্ষিণ ভারতীয় বাজারের সঙ্গেই নয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক বৃহত্তর ইউরেশীয় ভূখণ্ডের সঙ্গেও সংযুক্ত করবে।

এর চেয়েও বড় অর্থনৈতিক তাত্পর্য বহন করতে পারে দুই দেশের মধ্যে হওয়া ত্রিনকোমালিতে দুটি সংস্কারকৃত তেল ট্যাঙ্ক খামার-সহ একটি তেলের পাইপলাইন নির্মাণের জন্য স্বাক্ষরিত মউ। এর অর্থ হল এই যে শ্রীলঙ্কা তৃতীয় কোনও দেশ থেকে পরিশোধিত তেল আমদানি করে নিজের বৈদেশিক ভাণ্ডার বৃদ্ধি করতে পারে যেমনটা মনে করা যেতে পারে, ডলারের নজিরবিহীন ঘাটতি অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধের আমদানি বন্ধ করে দিয়েছিল, যা দেশব্যাপী গণবিক্ষোভ এবং প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার বলপূর্বক অপসারণকে চালিত করেছিল।

 

বৃহত্তর টানাপড়েন

শ্রীলঙ্কার বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ভারত অর্থায়িত প্রকল্পগুলির সমালোচনা অতীতের ধারণাতেই সীমাবদ্ধ এবং সেগুলি তাঁরা পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক ন। তবুও, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ প্রায়শই বেশ কিছু বাস্তব সমস্যার কথাও তুলে ধরেন। উদাহরণস্বরূপ, জেলেদের বিরোধ এবং চলতে থাকা কচ্ছতিভু সমস্যাকে কেন্দ্র করে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সমস্যার মুখে পড়েছে। যাই হোক, দেশে তামিল জেলেদের জীবন-জীবিকা ও অধিকারের ক্ষতির কথা উল্লেখ করে তাঁদের যুক্তিগুলি ক্ষমতা হস্তান্তর বা ১৩তম সংশোধনীর পূর্ণ বাস্তবায়নের সামনে ফাঁপা বলে মনে হয়সংশোধনীটি ১৯৮৭ সাল থেকে ৪৫ বছর যাবৎ দেশের আইনের আওতায় রয়েছে।

শ্রীলঙ্কা নেভি (এসএলএন) এবং বিচার বিভাগ বিশেষ করে তামিলনাড়ু ভারতীয় জেলেদের তাদের জলসীমায় প্রবেশ করা এবং দ্বীপের উত্তরাঞ্চলের তামিল জেলেদের মাছের ভাণ্ডার দখল করতে নিরুৎসাহিত করার জন্য যথেষ্ট কাজ করছে। কলম্বো নয়াদিল্লি ১৯৭৪ এবং ১৯৭৬ সালে দুটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তির সফল বাস্তবায়ন, দুই দেশের মধ্যে অনির্ধারিত আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা রেখা (আইএমবিএল) নির্ধারণ এবং ছোট কচ্ছতিভু দ্বীপটিকে শ্রীলঙ্কার সীমানার মধ্যে রাখার বিষয়ে একে অপরের সঙ্গে ক্রমাগত আলোচনা চালাচ্ছে।

শ্রীলঙ্কায় যাঁরা প্রায়শই এই দুটি বিষয়কে গুলিয়ে ফেলেন, যেমনটা তাঁরা গোটা দেশকেও বিশ্বাস করাতে চান যে, ভারতীয় একাধিপত্যের একাংশ কেবল তাঁদের দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে ব্যাপক ক্ষতি করছে। ভারত কোভিড-১৯ অতিমারি এবং কোভিড-পরবর্তী অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময় দ্বীপদেশটির পাশে থেকেছে

 

শ্রীলঙ্কা নেভি (এসএলএন) এবং বিচার বিভাগ বিশেষ করে তামিলনাড়ু ভারতীয় জেলেদের তাদের জলসীমায় প্রবেশ করা এবং দ্বীপের উত্তরাঞ্চলের তামিল জেলেদের মাছের ভাণ্ডার দখল করতে নিরুৎসাহিত করার জন্য যথেষ্ট কাজ করছে।

 

যাই হোক, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক নির্বাচনকালীন অভিযোগ ছিল এই যে, তামিলনাড়ুতে ক্ষমতাসীন ডিএমকে এবং তাজোটশক্তি কংগ্রেস - যারা দ্বৈত চুক্তির সময় কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল রাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। এবং এর ফলে ‘কচ্ছতিভু সমস্যা’ সংক্রান্ত বেশ কিছু বিস্মৃত তথ্য স্পষ্ট হয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি সাবরি এই বলে প্রসঙ্গটির সমাপ্তি ঘটিয়েছেন যে, নয়াদিল্লি এ বিষয় নিয়ে শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভার সঙ্গে কোনও আলোচনা বসেনি। শ্রীলঙ্কা নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক আগ্রহও ন্যূনতম, যদিও কিছু বিশেষজ্ঞ এখনও ভারতীয় জেলেদের ‘বেআইনি শিকার’ নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন, যা এখনও বিষয়টিকে আলোচনার কেন্দ্রে রেখেছে।

তবে রাজনৈতিক শ্রেণি-সহ বেশিরভাগ মানুষ সম্ভবত প্রথম বারের মতো, ভারতের দক্ষিণতম প্রান্ত কন্যাকুমারীর দক্ষিণে ১০০০০ বর্গ কিমি বিস্তৃত সুবিশাল সমুদ্রের অস্তিত্বের কথা জানতে পেয়েছিলেন। ওয়েজ ব্যাঙ্ক নামে খনিজ ও পেট্রোলিয়াম সমৃদ্ধ জলরাশিটি কচ্ছতিভু চুক্তির অংশ হিসেবে ভারত পেয়েছে। এটিও উল্লেখ করা দরকার যে, চুক্তিটিতে উভয় পক্ষ এ বিষয়ে সহমত পোষণ করেছে যে, কেউই একে অপরের অংশ নেবে না নিজের অংশ ছেড়ে দেবে না। তবে বাস্তবায়িত হওয়ার বহু আগেই ইউএন কনভেনশন অন দ্য ল অব সি-এর (ইউএনসিএলওএস) অধীনে আইএমবিএল-কে প্রকাশ করবে।

কথা বলাই যথেষ্ট যে, এই দ্বিপাক্ষিক চুক্তি দর্শিয়েছে যে, দুই দেশকে সংযুক্তকারী পক প্রণালি এবং মান্নার উপসাগর দুই দেশের একচেটিয়া জলসীমা হয়ে থাকবে এবং তাতে অন্য কোনও তৃতীয় দেশ বা অঞ্চল বহির্ভূত শক্তি হস্তক্ষেপ করবে না। এটি দুই দেশের রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ এবং কৌশলগত সম্প্রদায়ের জন্য একে অপরের সরকার সম্পর্ক ভাঙা-গড়ার নিরিখে সরকারগুলির তরফে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি বুঝতে সাহায্য করবে।

এই ধরনের শক্তি, আত্মবিশ্বাস এবং বোঝাপড়ার উপর ভিত্তি করেই ভবিষ্য অর্থনৈতিক সহযোগিতা গড়ে তুলতে হবে। শ্রীলঙ্কার কাছে এমনটা করা ছাড়া উপায় নেই – বিশেষ করে তুলনামূলক ভাবে কম উপাদান, পরিবহণ বিমা খরচ, তাদের ভৌগোলিক নৈকট্য, সাংস্কৃতিক প্রাচীনতা এবং আবেগজনিত নির্ভরযোগ্যতার কারণে

 


এন সত্য মূর্তি চেন্নাইভিত্তিক নীতি বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকার।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.