ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা পরিসর ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংঘর্ষবিন্দু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। দক্ষিণ চিন সাগরে (এসসিএস) ক্রমবর্ধমান চিনা নৌ আগ্রাসন এই অঞ্চলে কৌশলগত অংশীদার দেশগুলির জন্য দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য সমমনস্ক দেশ চিনের বর্ধিত নৌ তৎপরতার কারণে আসন্ন হুমকি মোকাবিলার প্রচেষ্টাকে ক্রমবর্ধমান ভাবে জোরদার করছে। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চিন মার্কিন চুক্তি মিত্র ফিলিপিন্সকে লক্ষ্যবস্তু করে তুলেছে এবং ফিলিপিন্স নিয়মিত ভাবে এসসিএস-এ বেজিংয়ের তরফে সামুদ্রিক অসদাচরণের সম্মুখীন হচ্ছে। তাই ফিলিপিন্সের সামুদ্রিক নিরাপত্তা আরও জোরদার করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ফিলিপিন্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা সামুদ্রিক সহযোগিতার অগ্রগতি এবং তা অব্যাহত রাখার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে হাওয়াইতে মিলিত হন। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেন্টাগনের কর্মকর্তারা চার পক্ষের এই গোষ্ঠীটির নাম দিয়েছেন ‘স্কোয়াড’।
স্কোয়াড, নিরাপত্তা এবং দক্ষিণ চিন সাগর
এসসিএস-এ আক্রমণাত্মক নৌ ভঙ্গিমার মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সামুদ্রিক অঞ্চলগুলিকে পুনরুদ্ধার করার জন্য বেজিংয়ের অব্যাহত প্রচেষ্টা এই অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতাকে তীব্র করার জন্য সহায়ক হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে চিন এবং ফিলিপিন্সের মধ্যে উত্তেজনা এসসিএস-এ বিকশিত ভূ-রাজনীতি সম্পর্কে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। পশ্চিম ফিলিপাইন সাগর - যেটির উপর ম্যানিলার এক্তিয়ার রয়েছে বলে ফিলিপিন্স দাবি করে আসছে - চিন-ফিলিপিনো প্রতিযোগিতার কেন্দ্রস্থল হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। তবে চিন ও ফিলিপিন্সের মধ্যে সংঘর্ষ নতুন কিছু নয়। ২০১৬ সালে ম্যানিলা বাণিজ্য ও সম্পদের অবাধ প্রবাহের জন্য চিনা সামুদ্রিক স্বার্থের চাবিকাঠি অর্থাৎ বিতর্কিত সামুদ্রিক অক্ষ নাইন-ড্যাশ লাইনের উপর চিনের চিরাচরিত দাবিকে চ্যালেঞ্জ করে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে স্থায়ী সালিশি আদালতে নালিশ জানায়। চিনা এবং ফিলিপিনো সৈন্যদের মধ্যে শারীরিক সংঘর্ষের দরুন মার্চ মাসের শুরুতে উত্তেজনা চরমে উঠেছিল, যেখানে ম্যানিলার সৈন্যদের চিনা সৈন্যরা আহত করেছিল এবং ফিলিপিনো জাহাজগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। এটি ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রকে বিতর্কিত জলপথে চিনা আগ্রাসনের সমানুপাতিক পাল্টা ব্যবস্থা শুরু করার বিষয়ে প্ররোচনা জুগিয়েছে।
পশ্চিম ফিলিপাইন সাগর - যেটির উপর ম্যানিলার এক্তিয়ার রয়েছে বলে ফিলিপিন্স দাবি করে আসছে - চিন-ফিলিপিনো প্রতিযোগিতার কেন্দ্রস্থল হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।
২০২২ সালে ক্ষমতায় আসা প্রেসিডেন্ট মার্কোস জুনিয়র চিনের মোকাবিলা করার জন্য ম্যানিলার কৌশলে পরিবর্তন এনেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কোস জুনিয়র চিনকে মোকাবিলা করার প্রচেষ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও নিবিড় হয়েছেন। বিদ্যমান উত্তেজনার মধ্যেই ম্যানিলা ২০২৪ সালে মার্কিন-জাপান-ফিলিপিন্স ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে যোগদানের মাধ্যমে চিনকে মোকাবিলা করার জন্য একটি শক্তিশালী পন্থা অনুসরণ করতে ইচ্ছুক বলে মনে হয়েছে। ২০২৪ সালের ১১ এপ্রিল ওয়াশিংটনে ফার্স্ট লিডারস সামিট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ডিফেন্স সেক্রেটারি লয়েড অস্টিন ২০২৪ সালের ৩ মে অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং ফিলিপিন্সের প্রতিপক্ষের সঙ্গে একটি সভা আহ্বান করে দক্ষিণ চিন সাগরে ফিলিপিন্সের নৌ চলাচলের স্বাধীনতাকে বাধা দেওয়ার জন্য চিনা আচরণের বিরুদ্ধে অগ্রসর সহযোগিতার উদ্দেশ্যে নিজেদের সম্মিলিত প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেন। এই গোষ্ঠীর একত্রিত হওয়াকে ‘স্কোয়াড’-এর গঠন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও, স্কোয়াড দেশগুলির প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের মধ্যে ২০২৩ সালের ৩ জুন হওয়া প্রথম বৈঠকের পরে দ্বিতীয় বৈঠক আয়োজিত হয়, যেখানে তাঁরা একই বিষয়ে আলোচনা করেন।
স্কোয়াড ছাড়াও ফিলিপিন্সের সামুদ্রিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ভাবনায় অন্যান্য ক্ষুদ্রপাক্ষিক ও দ্বিপাক্ষিক গোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মার্কিন-জাপান-ফিলিপিন্স ত্রিপাক্ষিক জোট এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে ফিলিপিন্সের দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক। অস্ট্রেলিয়ার সংযোজন কেবল যৌথ সামরিক মহড়ার সীমা অতিক্রম করেনি, যেটিকে গোষ্ঠীটি সামুদ্রিক সহযোগিতামূলক কার্যকলাপ বলে উল্লেখ করেছে।
সুতরাং, স্কোয়াডের উত্থানকে দু’টি আলোকে দেখা উচিত। প্রথমটি হল এই অঞ্চলে আসিয়ান-এর মতো বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতা এবং চিনের জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপকে সরাসরি নিন্দা করতে অনেক আসিয়ান সদস্যের অনিচ্ছা; দ্বিতীয়ত, দ্বিপাক্ষিক এবং ত্রিপাক্ষিক উভয় ক্ষেত্রেই একটি কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে পশ্চিম ফিলিপিন্স সাগরে সামুদ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য নতুন পরিপূরক কাঠামোর প্রতিষ্ঠা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে স্কোয়াডের ভূমিকা বিদ্যমান অন্যান্য কাঠামোর তুলনায় সুযোগ এবং পরিসরের ক্ষেত্রে সীমিত।
ক্ষুদ্রপাক্ষিকতাবাদ এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তার যুক্তি
এই নতুন ক্ষুদ্রপাক্ষিক গোষ্ঠীটির উত্থান কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। কেন এই ধরনের কাঠামো ইন্দো-প্যাসিফিকে উদ্ভূত হচ্ছে? এই অঞ্চলে ক্ষুদ্রপাক্ষিকতাবাদের উত্থানের নেপথ্যে কী ব্যাখ্যা দেওয়া যেতে পারে? এর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া এই গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত এবং সেই গোষ্ঠীর নামকরণ ‘স্কোয়াড’ হওয়ার দরুন স্বাভাবিক ভাবেই ইতিমধ্যে বিদ্যমান কোয়াড গোষ্ঠীর সঙ্গে তুলনা টানা হয়েছে।
স্কোয়াডকে নির্দিষ্ট প্রতিযোগিতার প্রেক্ষাপটে দেখা উচিত যা এসসিএস অঞ্চলকে এবং আরও নির্দিষ্ট ভাবে পশ্চিম ফিলিপিন্স সাগরকে চিহ্নিত করেছে।
প্রথমত, ইতিমধ্যে বিদ্যমান কোয়াডের মূল্যে স্কোয়াডের উত্থানকে একটি ফলাফল হিসাবে দেখা ভুল হবে। একই সঙ্গে ওয়াশিংটন, ক্যানবেরার নেতৃত্বের কথা বলাও বাহুল্য। টোকিও এবং নয়াদিল্লি কোয়াডের গুরুত্ব তুলে ধরে চলেছে এবং এর বিপরীতে কোনও ইঙ্গিত এখনও পাওয়া যায়নি। কোয়াড দেশগুলির মধ্যে সমন্বয় একটি নিরাপদ এবং স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিক গড়ে তোলার দিকে চালিত হয়। অন্য দিকে, স্কোয়াডকে নির্দিষ্ট প্রতিযোগিতার প্রেক্ষাপটে দেখা উচিত যা এসসিএস অঞ্চলকে এবং আরও নির্দিষ্ট ভাবে পশ্চিম ফিলিপিন্স সাগরকে চিহ্নিত করেছে। ভারত এবং বর্ধিত ভাবে এসসিএস-এ কোয়াডের ভূমিকা প্রাসঙ্গিক হলেও নির্দিষ্ট উপ-ভৌগোলিক অঞ্চলে সীমাবদ্ধ। যে কোনও ক্ষুদ্রপাক্ষিক গোষ্ঠীর কার্যক্রমের মনোযোগ তাদের সম্মিলিত স্বার্থের ভৌগোলিকতার উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। কোয়াড সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্য সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও সে ক্ষেত্রে অগ্রগতি করেছে। এটি মালাবার মহড়ার মতো যৌথ নৌ সহযোগিতার দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে, যা ইন্দো-প্যাসিফিকের গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অঞ্চলে নিয়মিত ভাবে কোয়াড দেশগুলির নৌবাহিনী দ্বারা পরিচালিত হয়।
দ্বিতীয়ত, ক্রমবর্ধমান ক্ষুদ্রপাক্ষিকের প্রশ্নটি বিশ্লেষণী মনোযোগের দাবি রাখে। ইন্দো-প্যাসিফিক একটি বিশাল সামুদ্রিক ভৌগোলিক পরিসর। এই প্রেক্ষাপটে, এটি খুবই স্বাভাবিক যে বেশ কয়েকটি দেশের নির্দিষ্ট উপ-অঞ্চলের উপর বৈচিত্র্যময় মনোযোগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে যা বিভিন্ন কারণ দ্বারা নির্ধারিত হয়। প্রথমত, ভৌগোলিক অবস্থান একটি মূল পরিবর্তনশীল বিষয় যা বিভিন্ন দেশের কৌশলগত মনোযোগের রূপরেখা তৈরি করে। দ্বিতীয়ত, কৌশলগত অংশীদারিত্বের আওতাধীন ভৌগোলিক অঞ্চলগুলি – যা একটি দেশ অনুসরণ করে - তা পরিবর্তনশীল। তৃতীয়ত, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং সামুদ্রিক সম্পদের স্বার্থগুলিও নির্দিষ্ট উপ-অঞ্চলকে নির্দেশ করে যেখানে একটি দেশ সক্রিয় হওয়ার বিষয়টিকে বেছে নেয়। ইন্দো-প্যাসিফিকের ক্ষেত্রেও তা স্পষ্ট। উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার বেশির ভাগ মনোযোগ প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে ইন্দো-প্যাসিফিকের উপ-অঞ্চলের উপর নিবদ্ধ করেছে। অন্য দিকে, ভারতের জন্য, পশ্চিম ভারত মহাসাগর-সহ ভারত মহাসাগর তার নিরাপত্তা স্বার্থের প্রাথমিক মঞ্চ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অধীনে ভারত মহাসাগরের দিকে তার মনোযোগ প্রসারিত করছে বলে মনে হচ্ছে। একই ভাবে, ফিলিপিন্সের জন্য এর অব্যবহিত সামুদ্রিক পরিধি অর্থাৎ এসসিএস ইন্দো-প্যাসিফিক প্রেক্ষাপটে তার সামুদ্রিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ভাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। সর্বোপরি অউকাস-এর মতো স্কোয়াডের ক্ষেত্রেও জড়িত সমস্ত দেশই মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা চুক্তির অংশীদার। অতএব, একটি উপ-অঞ্চলের উপর নির্দিষ্ট মনোযোগ সহ একটি নিরাপত্তা-ভিত্তিক ব্যবস্থার উত্থান ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
ক্ষুদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য সহযোগিতা জোরদার করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসাবেও ক্ষুদ্রপাক্ষিকতাবাদ আবির্ভূত হয়েছে, যারা প্রায়শই মহান শক্তি প্রতিযোগিতার মোড়কে নিজেদের অবস্থান স্থির না করার বিষয়ে সচেতন থাকে।
সর্বোপরি, কার্যকারিতার সীমিত ভৌগোলিক সুযোগের কারণে ক্ষুদ্রপাক্ষিক গোষ্ঠীগুলির জন্য কম সংখ্যক শক্তি জড়িত থাকার দরুন একটি নির্দিষ্ট মনোযোগের প্রয়োজন। একটি ক্ষুদ্রপাক্ষিক গোষ্ঠীতে জড়িত সমস্ত শক্তিগুলি একই রকম হুমকির সম্মুখীন হওয়ার কারণে সহযোগিতার দায়বদ্ধতাও সমান। এগুলি তাদের অভিন্ন সাধারণ লক্ষ্যগুলির কারণে সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে ক্ষুদ্রতর উদ্যোগে শক্তিগুলির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসাবে কাজ করে। বিভিন্ন উপায়ে এটি একটি বৃহত্তর বহুপাক্ষিক গোষ্ঠীর পরিবর্তে বিভিন্ন কৌশলগত এবং নিরাপত্তা স্বার্থ সমন্বিত ভৌগোলিক অঞ্চলসম্পন্ন দেশগুলির পরিবর্তে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্ষুদ্রপাক্ষিক গোষ্ঠীর উত্থানকে ব্যাখ্যা করে। উপরন্তু, ক্ষুদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য সহযোগিতা জোরদার করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসাবেও ক্ষুদ্রপাক্ষিকতাবাদ আবির্ভূত হয়েছে, যারা প্রায়শই মহান শক্তি প্রতিযোগিতার মোড়কে নিজেদের অবস্থান স্থির না করার বিষয়ে সচেতন থাকে। এই ভাবে এই অঞ্চলের সঙ্গে জড়িত শক্তিদের সামুদ্রিক নিরাপত্তা স্বার্থের প্রতি সংবেদনশীল নির্দিষ্ট উপ-অঞ্চলে নিরাপত্তা কাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রেও ক্ষুদ্রপাক্ষিক গোষ্ঠীগুলি কার্যকর।
অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে স্কোয়াডের উত্থান ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্ষুদ্রপাক্ষিকতার উত্থানের নিরিখে একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিতর্ককে উস্কে দিয়েছে। এই ধরনের গোষ্ঠীগুলির বিস্তার এই অঞ্চলে আগত বৃহত্তর ভূ-রাজনীতিতে জড়িত বেশ কয়েকটি দেশের জন্য আশীর্বাদসম। এই অঞ্চলে জড়িত শক্তিগুলির কৌশলগত এবং নিরাপত্তা বাধ্যবাধকতার উপর ভিত্তি করে সামুদ্রিক নিরাপত্তা কাঠামো তৈরিতে সাহায্য করার জন্য ক্ষুদ্রপাক্ষিক গোষ্ঠীগুলিকে সহায়ক হিসাবে দেখা হয়, যা তাদের সমুদ্রে জটিল চ্যালেঞ্জগুলিকে চালিত করার জন্য আরও পরিসর এবং ক্ষমতা প্রদান করে। এটি সেই প্রকৃতির একটি স্বাভাবিক ফলাফল, যেখানে ইন্দো-প্যাসিফিকের ভূ-রাজনীতি বিবর্তিত হয়েছে এবং বিভিন্ন কৌশলগত পরিবেশের সঙ্গে সামুদ্রিক পরিসর এবং বিস্তৃত স্বার্থের দেশগুলিকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
সায়ন্তন হালদার অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট।
অভিষেক শর্মা অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.