Author : Snehashish Mitra

Published on Jan 17, 2024 Updated 0 Hours ago

খেলাধুলার জায়গাগুলিতে অ্যাস্ট্রোটার্ফ ব্যবহার মানুষের জন্য স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তৈরি করে, জলবায়ু সমস্যাগুলিকে আরও বাড়িয়ে তোলে, এবং এই কারণে নগর পরিকল্পনাকে অবশ্যই জনসম্প্রদায়ের জন্য সবুজ খোলা জায়গাগুলিতে দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে

ভারতীয় শহরে খেলাধুলা: অ্যাস্ট্রোটার্ফের ব্যবহার পুনর্বিবেচনা

২০০০–এর দশকের গোড়ার দিক থেকে ভারতীয় শহরগুলির খেলার মাঠে অ্যাস্ট্রোটার্ফের ব্যবহার ছড়িয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় কিন্তু বলা হয়েছে যে, অ্যাস্ট্রোটার্ফের একাধিক স্বাস্থ্যগত প্রভাব রয়েছে। যেখানে ক্রীড়া কার্যক্রমের জন্য (প্রধানত ফুটবল) অ্যাস্ট্রোটার্ফ প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই নেদারল্যান্ডস–সহ একাধিক ইউরোপীয় দেশ অ্যাস্ট্রোটার্ফ প্রতিস্থাপন করতে শুরু করেছে। যেহেতু অনেক ভারতীয় শহর বাণিজ্যিক ক্ষমতায় অ্যাস্ট্রোটার্ফ–ভিত্তিক খেলাধুলার জায়গাগুলি তৈরি করেছে, তাই নগর পরিকল্পনাবিদদের অ্যাস্ট্রোটার্ফের ব্যবহারের মূল্যায়ন করতে হবে, এবং এমন সবুজ স্থানগুলিকে বাড়ানোর জন্য  হস্তক্ষেপ করতে হবে যা ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় এবং খেলাধুলার জন্য মানুষের কাছে প্রাপ্তিযোগ্য। শহুরে ক্রীড়া দৃশ্যকল্প ভারতের ক্রীড়া লক্ষ্যের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।


খেলাধুলায় ভারতের সাম্প্রতিক উত্থান এবং নীতি–কেন্দ্রিকতা

আউটডোর গেমস ও খেলাধুলার অনুশীলন মানুষের মন, শরীর ও আত্মার  সামগ্রিক বিকাশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। ভারতের বিশিষ্ট আধ্যাত্মিক নেতা স্বামী বিবেকানন্দ একবার মন্তব্য করেছিলেন যে ফুটবল খেলা ভারতের যুবকদের জন্য ভগবদগীতা পড়ার মতোই গুরুত্বপূর্ণ, এবং এইভাবে আধ্যাত্মিক সুস্থতা অর্জনের জন্য তিনি ভাল শারীরিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছিলেন। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত ক্রিকেটে একটি শক্তিশালী জায়গা বজায় রাখার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্পোর্টস অঙ্গনে তার পারফরম্যান্সের উন্নতি করছে। টোকিও ২০২০ অলিম্পিকে ভারত সাতটি পদক জিতে চার দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে তার সর্বকালের সেরা ফলাফল অর্জন করেছে। একইভাবে, ভারত হ্যাংজু ২০২৩ এশিয়ান গেমসে তার সর্বকালের সেরা ১০৭টি পদক পেয়েছে। টোকিও প্যারালিম্পিক গেম ২০২০–তেও ভারত তার সর্বোচ্চ পদক অর্জন করেছিল।


যেহেতু অনেক ভারতীয় শহর বাণিজ্যিক ক্ষমতায় অ্যাস্ট্রোটার্ফ–ভিত্তিক খেলাধুলার জায়গাগুলি তৈরি করেছে, তাই নগর পরিকল্পনাবিদদের অ্যাস্ট্রোটার্ফের ব্যবহার মূল্যায়ন করতে হবে, এবং এমন সবুজ স্থানগুলিকে বাড়ানোর জন্য হস্তক্ষেপ করতে হবে যা ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় এবং খেলাধুলার জন্য মানুষের কাছে প্রাপ্তিযোগ্য।

ভারত সরকার দেশের ক্রীড়ানীতি পুনর্নির্মাণের দিকে একটি সক্রিয় অবস্থান নিয়েছে: পূর্ববর্তী রাজীব গান্ধী খেল অভিযান (আরজিকেএ), আরবান স্পোর্টস ইনফ্রাস্ট্রাকচার স্কিম (ইউএসআইএস) এবং ন্যাশনাল স্পোর্টস ট্যালেন্ট স্কিম (এনএসটিএস) প্রকল্পগুলিকে একত্র করে ‘‌খেলো ইন্ডিয়া’‌ প্রকল্পটি তৈরি করা হয়েছিল। খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্প হল যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রকের অগ্রণী কেন্দ্রীয় ক্ষেত্রীয় প্রকল্প, যা ১২টি উল্লম্বের সংমিশ্রণের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী নরম শক্তির মর্যাদা অর্জনের উপায় হিসাবে খেলাধুলাকে দেখে থাকে। এই ১২টির মধ্যে কয়েকটি হল প্রতিভা অনুসন্ধান ও উন্নয়ন, রাজ্যপর্যায়ে খেলো ইন্ডিয়া সেন্টার, খেলার মাঠের উন্নয়ন, মহিলাদের জন্য খেলাধুলা, এবং শান্তি ও উন্নয়নের জন্য খেলাধুলা। সাম্প্রতিক অতীতে, ভারত ২০১৭ সালের ফিফা অনূর্ধ্ব–১৭ ফুটবল বিশ্বকাপের মতো বড় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টের আয়োজন করেছে, এবং ২০৩৬ সালের অলিম্পিক আয়োজনের জন্য বিড করছে। নিয়মিতভাবে প্রধান ক্রীড়া ইভেন্টগুলি আয়োজনের ক্ষেত্রে এই ধরনের অর্জন ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার পরিপূরক হিসাবে ভারতের শহর ও গ্রাম জুড়ে একটি সামগ্রিক ক্রীড়া পরিবেশ তৈরির বিষয়টি থাকতে হবে, যা যুবকদের খেলাধুলা ও শারীরিক কার্যকলাপে জড়িত করবে।


ক্ষয়িষ্ণু শহুরে খেলার মাঠ এবং বিকল্প হিসেবে অ্যাস্ট্রোটার্ফের আবির্ভাব

যদিও ভারতের বেশিরভাগ প্রধান ক্রীড়া ইভেন্টগুলি প্রধান শহরগুলিতে সংঘটিত হয়, ভারতীয় শহরগুলি সময়ের সঙ্গেসঙ্গে খেলার মাঠের সঙ্কোচন প্রত্যক্ষ করেছে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতে একটি শক্তিশালী শহুরে ক্রীড়া সংস্কৃতির বিকাশকে হ্রাস করেছে। অনেক শহরে খেলার মাঠ কেড়ে নিয়ে তা সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প, রিয়েল এস্টেট, পার্কিংয়ের উদ্দেশ্যে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। ফলস্বরূপ, শিশুদের একত্র হওয়া এবং শহরগুলিতে খেলাধুলার ইভেন্টগুলি তীব্রভাবে হ্রাস পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে শহুরে মধ্যবিত্তরা ক্রিকেট ছাড়া মূলত খেলাধুলা থেকে দূরে সরে গিয়েছে।


অনেক শহরে খেলার মাঠ কেড়ে নিয়ে তা সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প, রিয়েল এস্টেট ও পার্কিংয়ের উদ্দেশ্যে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।

ভারতীয় শহরগুলিতে খেলার মাঠের সঙ্কোচনের পাশাপাশি বাণিজ্যিক অ্যাস্ট্রোটার্ফের বৃদ্ধি ঘটেছে। বেশ কিছু জনপ্রিয় খেলার স্থানও অ্যাস্ট্রোটার্ফ গ্রহণ করেছে। ২০০৭ সালে ভারতের প্রধান ফুটবল মাঠ বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন (ভিওয়াইবিকে), কলকাতা (সাধারণত সল্টলেক স্টেডিয়াম নামে পরিচিত) ঘাসের মাঠ প্রতিস্থাপন করে অ্যাস্ট্রোটার্ফ স্থাপন করে। ২০১০ সালে মুম্বইয়ের ভাশিতে ফাদার অ্যাগনেস স্কুল তাদের ছাত্রদের মধ্যে খেলাধুলার ক্রিয়াকলাপকে শক্তিশালী করার জন্য অ্যাস্ট্রোটার্ফে বিনিয়োগকারী ভারতের প্রথম স্কুল হয়ে ওঠে। বছরের পর বছর ধরে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, কলকাতা ও হায়দরাবাদের মতো অনেক শহরে অ্যাস্ট্রোটার্ফ–ভিত্তিক বাণিজ্যিক খেলার মাঠ তৈরি হয়েছে। এই মাঠগুলি ক্রিকেট এবং ফুটবল খেলতে আগ্রহীদের ভাড়া দেওয়া হয়, এবং এই ধরনের উদ্যোগগুলি শহরবাসীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে। মেট্রো শহরগুলিতে, যেখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যুবক–যুবতী অন্যান্য স্থান থেকে অভিবাসিত হয়ে আসে, সেখানে ক্রীড়া গোষ্ঠীগুলি আবির্ভূত হয়েছে। এরা তাদের প্রচার ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অ্যাস্ট্রোটার্ফে খেলতে আগ্রহী মানুষদের একত্র করে, যা মানুষকে সামাজিক হওয়ার জন্য একটি জায়গা দেয়। অ্যাস্ট্রোটার্ফ যেহেতু আবহাওয়া প্রতিরোধী এবং অসমতা–বিহীন, তাই সময়সীমাবদ্ধ স্লট এবং অন্যান্য সম্পর্কিত খেলাধুলার সুবিধার মতো কারণগুলি অ্যাস্ট্রোটার্ফের ব্যবহার ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির দিকে চালিত করেছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, বিভিন্ন উন্নয়ন ক্রিয়াকলাপের কারণে (যেমন পরিকাঠামো ও রিয়েল এস্টেট) ভারতীয় শহরগুলিতে সঙ্কুচিত সবুজ স্থান অ্যাস্ট্রোটার্ফকে অনেক শহুরে ক্রীড়া উৎসাহীদের জন্য একটি প্রাসঙ্গিক পছন্দ করে তুলেছে।


অ্যাস্ট্রোটার্ফ থেকে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনা করা প্রয়োজন

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, অ্যাস্ট্রোটার্ফ ও কৃত্রিম টার্ফ–এর মানুষের জন্য সম্ভাব্য স্বাস্থ্যের ঝুঁকি রয়েছে, এবং তা আশেপাশের পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক। অ্যাস্ট্রোটার্ফের মূল উপাদানগুলির মধ্যে একটি হল গ্র‌্যানিউলেট, যা ইনফিল হিসাবে ব্যবহৃত হয়; এই ধরনের গ্র‌্যানিউলেট বাতিল হয়ে যাওয়া টায়ার, অ্যাথলেটিক জুতোর গ্রাউন্ড–আপ সোল, সিলিকা বালি এবং/অথবা নতুন থার্মোপ্লাস্টিক বা রাবার উপাদান প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে উৎপাদিত হয়। ফলস্বরূপ জিঙ্ক, সিসা, আর্সেনিক ও ক্যাডমিয়ামের মতো একাধিক বিষাক্ত ধাতু অ্যাস্ট্রোটার্ফে উপস্থিত থাকে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। প্রাকৃতিক স্থলের বিপরীতে  অ্যাস্ট্রোটার্ফগুলি উদ্ভিদ বা প্রাণীজগতের জন্য কোনও প্রাকৃতিক আবাসস্থলকে সমর্থন করে না, বরং আবাসস্থলের ক্ষতির দিকে পরিচালিত করে। এছাড়াও, অ্যাস্ট্রোটার্ফগুলির প্রাকৃতিক জায়গার তুলনায় বেশি গরম হওয়ার প্রবণতা রয়েছে, যা পরবর্তীতে তাপদ্বীপ সৃষ্টির দিকে চালিত করে, এবং নগরায়িত অঞ্চলগুলি দূরবর্তী এলাকার তুলনায় উচ্চ তাপমাত্রা অনুভব করে। যেহেতু বেশিরভাগ ভারতীয় শহর ইতিমধ্যেই উচ্চ তাপ ও আর্দ্রতায় ভুগছে, তাই আরও অ্যাস্ট্রোটার্ফ খেলাধুলার উদ্যোগ অবিলম্বে বন্ধ করার কথা বিবেচনা করা উচিত। অ্যাস্ট্রোটার্ফের উচ্চ তাপ অ্যাথলেটদের জন্য জ্বলন, ক্লান্তি ও ডিহাইড্রেশনের কারণ হয়। একাধিক অনুষ্ঠানে ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা অ্যাস্ট্রোটার্ফ নিয়ে তাঁদের অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন। বিশ্বের অনেক সিটি কাউন্সিল অ্যাস্ট্রোটার্ফ নিষিদ্ধ করেছে, এবং ঘাসের খেলার মাঠ পুনরুদ্ধার করার উদ্যোগ নিয়েছে। নেদারল্যান্ডসে, যেখানে অ্যাস্ট্রোটার্ফ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, ফুটবল ক্লাবগুলি ২০২৫/২০২৬ মরসুম থেকে প্লাস্টিকের মাঠ নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।


অ্যাস্ট্রোটার্ফগুলির প্রাকৃতিক জায়গার তুলনায় বেশি গরম হওয়ার প্রবণতা রয়েছে, যা পরবর্তীতে তাপদ্বীপ সৃষ্টির দিকে চালিত করে, এবং নগরায়িত অঞ্চলগুলি দূরবর্তী এলাকার তুলনায় উচ্চ তাপমাত্রা অনুভব করে।

 

এই ধরনের ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতকে অবশ্যই ক্রীড়া অঙ্গনে অ্যাস্ট্রোটার্ফের প্রচলিত ব্যবহার পুনর্বিবেচনা করতে হবে। বিদেশ থেকে অ্যাস্ট্রোটার্ফ নিয়ে গবেষণা থেকে ইঙ্গিত নেওয়ার সময় এবং অন্য কোথাও থেকে শাসনের পাঠ নেওয়ার সময়, ভারতকে অবশ্যই অ্যাস্ট্রোটার্ফের প্রভাব সম্পর্কে নিজস্ব স্বাধীন অধ্যয়ন করতে হবে, যা তারপরে খেলাধুলায় আরও নীতিগত সক্রিয়তাকে সমর্থন করবে। অ্যাস্ট্রোটার্ফ বিতর্ক থেকে মূল শিক্ষা হল যে, নগর পরিকল্পনাকে অবশ্যই জনসম্প্রদায়ের জন্য সবুজ খোলা জায়গাগুলিতে ফোকাস করতে হবে, যা শহুরে যুবকদের জন্য ক্রীড়া কার্যক্রমকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি জনসম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের জন্য একটি জায়গাও প্রদান করে। বাণিজ্যিক ও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য একটি কঠোর জমির সীমানা অবশ্যই প্রয়োগ করতে হবে, যাতে শহরগুলিতে বিদ্যমান খেলার মাঠগুলিকে ধরে রাখার পাশাপাশি খোলা জায়গাগুলি বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালানো যায়। পরিকল্পনাকারীদের চণ্ডীগড় (পঞ্জাব ও হরিয়ানা) ও সল্টলেক (পশ্চিমবঙ্গ)–এর মতো খোলা জায়গার অন্তর্ভুক্তি–সহ সফল নগর পরিকল্পনা অনুসরণ করতে হবে। ভারতীয় শহরগুলিতে সবুজ খেলার মাঠের অংশীদারি বাড়ানোর জন্য নগর পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও রূপান্তরের ক্ষেত্রে সরকারের প্রাসঙ্গিক ক্রীড়া সংস্থা ও নীতি কাঠামোকে (যেমন খেলো ইন্ডিয়া) বক্তব্য রাখার অনুমতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। এটি নিশ্চিত করবে যে শহুরে যুবকরা খেলাধুলায় তাদের প্রতিভা প্রকাশ করার একটি পথ খুঁজে পাবে এবং তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের বিকাশ ঘটাবে, যা পরবর্তীতে বড় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টগুলিতে ভারতের ধারাবাহিক বিশ্বাসযোগ্য পারফরম্যান্সের দিকে চালিত করবে।



স্নেহাশিস মিত্র অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের আরবান স্টাডিজের ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.