Author : Gurjit Singh

Published on Aug 27, 2024 Updated 0 Hours ago

যদিও দক্ষিণ কোরিয়া আফ্রিকায় তার উপস্থিতি প্রসারিত করতে চায়, তার নির্দেশিত নীতিগুলি দেশটিকে "নব্য-ঔপনিবেশিক" অভিধায় চিহ্নিত করার ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে

দক্ষিণ কোরিয়া আফ্রিকার দিকে মনোনিবেশ করছে

Image Source: Reuters

৪-৫ জুন ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত কোরিয়া-আফ্রিকা শীর্ষ সম্মেলনটি উভয় অংশীদারের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল। এই শীর্ষ সম্মেলনের লক্ষ্য ছিল সহযোগিতা প্রসার, আর থিম ছিল 'যে ভবিষ্যৎ আমরা একসঙ্গে তৈরি করব: ভাগ করে নেওয়া বৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা ও সংহতি।' এর  যুগ্ম সভাপতিত্বে ছিলেন কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল ও মরিটানিয়ার প্রেসিডেন্ট তথা আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ)-‌এর এখনকার সভাপতি মোহাম্মদ ওউলদ গাজোয়ানি। এতে এইউ-‌এর প্রশ্র‌য়ে বানজুল ফরম্যাট অনুসরণ না করে ২৫ জন নেতাসহ ৪৮টি আফ্রিকান দেশের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেছিল।

এটি ছিল প্রথম কোরিয়া-আফ্রিকা শীর্ষ সম্মেলন। দক্ষিণ কোরিয়া আফ্রিকার নেতৃস্থানীয় অংশীদারদের মধ্যে নেই। এমন শীর্ষ সম্মেলন তার নিয়মিত  সময়সূচিতেও নেই। ২০২১ সাল থেকে এইউ চিনের সঙ্গে নিয়মিত শীর্ষ সম্মেলন করেছে, বা মন্ত্রী-পর্যায়ের বৈঠক (২০২১) করেছে। এই বছর আবার সেগুলি হওয়ার কথা আছে। জাপানের সঙ্গে এটি ২০২২ সালে টাইস্যাড-এর আয়োজন করেছিল, এবং এই বছর তা আবার অনুষ্ঠিত হবে। এইউ ২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে এবং ২০২৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। যদিও আরব শীর্ষ সম্মেলনটি কাজে রূপান্তরিত হয়নি, তবে সৌদি আরবের সঙ্গে ২০২৩ সালে একটি শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সৌদি আরব, তুর্কিয়ে (২০২১), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (২০২২) এবং এখন কোরিয়ার সঙ্গে অনিয়মিত শীর্ষ সম্মেলন হলেও ভারত, আরব লিগ ও লাতিন আমেরিকার সঙ্গে এইউ-এর নিয়মিত শীর্ষ সম্মেলনগুলি স্থগিত রয়েছে।

শীর্ষ সম্মেলনের প্রধান নজর ছিল সরবরাহ শৃঙ্খলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বাড়ানো। সম্পদসমৃদ্ধ আফ্রিকার দেশগুলোর উন্নয়নের দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ইউন আফ্রিকায় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের গুরুত্বের উপর জোর দেন, এবং একে অনুসরণ করার জন্য অনেক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন ওডিএ দেবে, এবং আফ্রিকায় কোরিয়ার কোম্পানিগুলির কার্যকলাপকে সমর্থন করার জন্য ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি অর্থায়নের ব্যবস্থা করবে। এগুলি কোরিয়ার রপ্তানি অর্থায়নে এবং আফ্রিকায় কোরিয়ান প্রকল্পগুলিকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে সমর্থন করার আগ্রহ চিহ্নিত করে।

গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, ডিজিটাল রূপান্তর, জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্যের উপর বিশেষ নজর রয়েছে।
কোরিয়া-আফ্রিকা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সংলাপ এই বছর উদ্বোধন করা হবে। এটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ নিষ্কাশন ও প্রক্রিয়াকরণে তথ্য ও দক্ষতার আদান-প্রদানকে সহজতর করবে।

দক্ষিণ কোরিয়া অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে আফ্রিকায় ও আফ্রিকা মহাদেশীয় মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলে (আফসিএফটিএ) অর্থনৈতিক সংহতিকরণকে সমর্থন করা, এবং শুল্ক কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা তৈরি করতে ও একটি ওয়ান-স্টপ অরিজিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওওএমএস) প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

মানুষের-‌সঙ্গে-‌মানুষের সহযোগিতার অন্যান্য উপাদান হল উচ্চসংখ্যক বৃত্তি প্রদান এবং আফ্রিকায় আরও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা। পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি এবং সংহতি জোরদার করার জন্য সরকারি কর্মকর্তা, অগ্রণী ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং পার্লামেন্ট সদস্য সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিময় কর্মসূচির কথা বলা হয়েছে।

যৌথ ঘোষণায় জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তা, সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত, ও স্বাস্থ্য সংকটের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

কোরিয়া এখন আফ্রিকায় তার ২১টি দূতাবাস সম্প্রসারিত করতে প্রস্তুত। এর মধ্যে ছয়টি মিশন আছে উত্তর আফ্রিকায়, চারটি পূর্ব, দক্ষিণ ও মধ্য আফ্রিকায়, এবং বাকি তিনটি পশ্চিম আফ্রিকায়। এর আর্থিক সহায়তা আসে প্রধানত আফ্রিকা উন্নয়ন ব্যাঙ্ক (আফডিবি)-‌এর মাধ্যমে।


কোরিয়া এখন আফ্রিকায় তার ২১টি দূতাবাস সম্প্রসারিত করতে প্রস্তুত। এর মধ্যে ছয়টি মিশন আছে উত্তর আফ্রিকায়, চারটি পূর্ব, দক্ষিণ ও মধ্য আফ্রিকায়, এবং বাকি তিনটি পশ্চিম আফ্রিকায়। এর আর্থিক সহায়তা আসে প্রধানত আফ্রিকা উন্নয়ন ব্যাঙ্ক (আফডিবি)-‌এর মাধ্যমে।



দক্ষিণ কোরিয়াকে আফডিবি-‌র রেয়াতি ব্যবস্থা আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের আসন্ন ১৭ তম পুনঃপূরণে,এবং সেইসঙ্গে অ্যালায়েন্স ফর গ্রিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইন আফ্রিকা (এজিআইএ)-র জন্য আরও অবদান রাখতে উৎসাহিত করা হয়েছিল। এজিআইএ আফ্রিকার সবুজ পরিকাঠামোর জন্য ব্যক্তিগত অর্থায়ন একত্রিত করার লক্ষ্যে যৌথভাবে এইউ ও আফ্রিকা৫০-কে নিয়ে একটি নতুন  উদ্যোগ।
আফডিবি-র ১৭টি সক্রিয় দ্বিপাক্ষিক ট্রাস্ট ফান্ডের মধ্যে বৃহত্তম হল ২০০৭ সালে কোরিয়ার প্রতিষ্ঠিত ১১৫.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কোরিয়া-আফ্রিকা ইকনমিক কোঅপারেশন (কেওএএফ) ট্রাস্ট ফান্ড (কেটিএফ)

তবে সরাসরি বাণিজ্য ও বিনিয়োগে দক্ষিণ কোরিয়া পিছিয়ে রয়েছে। যদি এর উন্নতি না হয়, সমগ্র আফ্রিকাকে তুষ্ট করার জন্য তাদের প্রচেষ্টা সফল হবে না।

শীর্ষ সম্মেলনের আলোচনায়, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক ফোরামে বা যৌথ বিবৃতিতে বাণিজ্য পরিসংখ্যানের উল্লেখ নেই। এ বিষয়ে শুধু এইউসি চেয়ারম্যান কথা বলেছেন। এশিয়ায় আফ্রিকার বাণিজ্যের ৪০ শতাংশ থাকলেও তা কোরিয়ার বৈশ্বিক বাণিজ্যের মাত্র ২ শতাংশ।
 এর মধ্যে ১.২ শতাংশই কোরিয়া থেকে আফ্রিকায় রপ্তানি। আফ্রিকা থেকে কোরিয়ার আমদানি কম। কোরিয়া আফ্রিকার শীর্ষ ব্যবসায়িক অংশীদারদের তালিকায় নেই। এখন, যেহেতু কোরিয়া গ্লোবাল সাউথের দিকে বেশি করে তাকায়, এর শিল্প চায় তার অটোমোবাইল, বৈদ্যুতিক যানবাহন, সেমিকন্ডাক্টর ও সম্পর্কিত উৎপাদনের জন্য আরও বেশি সমর্থন, যার জন্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলি জরুরি। বিশ শতকে ইউরোপীয়রা যা করেছিল, এবং তার পরে চিন, এখন সেভাবেই কোরিয়া আফ্রিকার সঙ্গে একটি নতুন অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে, যা মূলত গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।

তাই তাদের আগ্রহ সেই সব দেশে যেখান থেকে খনিজ আমদানি করা যায়। জাম্বিয়া, ডিআর কঙ্গো ও ঘানা বিশেষভাবে নজরে ছিল। কোরিয়ার উন্নয়ন সহযোগিতা এদের লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। যেহেতু প্যান-আফ্রিকান গুরুত্বপূর্ণ খনিজ নীতি নেই, তাই প্রচেষ্টা হল সহযোগিতার এমন একটি দৃষ্টান্ত তৈরি করা যা কোরিয়াকে এক অংশীদার বলে মনে করে। বাস্তবে,  
কোরিয়াকে তার উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলি ফের পরীক্ষা করতে হবে, যাতে এটি 'নিওকলোনিয়াল' ট্যাগ অর্জন না করে

সম্মেলনে উপস্থিত আফ্রিকার কয়েকজন সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হয়েছিল। মরক্কো ও কেনিয়ার মতো তানজানিয়াকেও একটি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তানজানিয়া কোরিয়ান ইকনমিক ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন ফান্ড (ইসিডিএফ) থেকে পাঁচ বছরের জন্য ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ নিয়েছে। তানজানিয়া দুটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যাতে দক্ষিণ কোরিয়া তার সমুদ্র সম্পদ ও নিকেল, লিথিয়াম ও গ্রাফাইটের মতো খনিজগুলির সুযোগ পেয়েছে। এগুলি পরিচ্ছন্ন শক্তি প্রযুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রুয়ান্ডা ও ইথিওপিয়ার সঙ্গে একটি পরিকাঠামো উন্নয়ন এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইথিওপিয়ার সঙ্গে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন সুবিধা স্বাক্ষরিত হয়েছে। রুয়ান্ডা বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের জন্য ৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ নেওয়ার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
২৩টি দেশের সঙ্গে প্রকল্প ও খনিজ নিয়ে ৪৭টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে

ঘানা, মালাউই, রুয়ান্ডা ও জিম্বাবোয়ে-‌সহ আটটি আফ্রিকান দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসার কাঠামো ও ডিটিএএ স্বাক্ষরিত হয়েছে।


ঘানা, মালাউই, রুয়ান্ডা ও জিম্বাবোয়ে-‌সহ আটটি আফ্রিকান দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসার কাঠামো ও ডিটিএএ স্বাক্ষরিত হয়েছে।



শীর্ষ সম্মেলন কোরিয়া-আফ্রিকা অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্মেলন এবং কোরিয়া-আফ্রিকা কৃষিমন্ত্রীদের বৈঠকের কার্যক্রমকে পুনরুজ্জীবিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এগুলি পর্যায়ক্রমে পর্যালোচনা করবে এবং সম্মেলনে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলি অনুসরণ করবে। প্রেসিডেন্ট ইউন ও প্রেসিডেন্ট গাজোয়ানির যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে শীর্ষ সম্মেলন শেষ হয়। এটি আফ্রিকান ইউনিয়নের অ্যাজেন্ডা ২০৬৩-তে অন্তর্ভুক্ত একটি 'গ্লোবাল পিভোটাল স্টেট' হিসেবে কাজ করার লক্ষ্যে কোরিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি এবং একটি সমন্বিত, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ আফ্রিকার দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে পরিপূরকতা তৈরি করেছে। তারা তিনটি স্তম্ভের চারপাশে গঠিত একটি শক্তিশালী এবং পারস্পরিকভাবে উপকারী অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একসঙ্গে একটি ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার দৃঢ় সংকল্প প্রকাশ করেছে: ভাগ করে নেওয়া বৃদ্ধি, স্থিতিশীলতা ও সংহতি।

'স্মার্ট পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সহযোগিতা, যেমন স্মার্ট শহর ও বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন পরিবহণ ব্যবস্থা', এবং কৃষি ও স্বাস্থ্যসেবা সহ সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত ডিজিটাল প্রযুক্তির সংহতিকরণ কার্যকর হতে পারে। আফ্রিকার যুবকদের ডিজিটাল ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কোরিয়ার 'টেক৪আফ্রিকা ইনিশিয়েটিভ' তৈরি করার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। এই উদ্যোগগুলি তরুণদের লালন করতে সাহায্য করবে, যারা আফ্রিকা মহাদেশের উন্নয়নের চালিকাশক্তি।

পূর্ব আফ্রিকার নেতারা — কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট রুটো, তানজানিয়ার সামিয়া হাসান, রুয়ান্ডার কাগামে এবং উগান্ডার ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলুপো — তাঁদের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে
খনিজ প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তি স্থানান্তর, সুষম বাণিজ্য এবং বহুপাক্ষিক ঋণ হ্রাসের দাবি জানিয়েছেন। কোরিয়ার প্রতিশ্রুতি অবশ্য 'টেক৪আফ্রিকা ইনিশিয়েটিভ' সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নির্দেশিত ছিল, খনিজ প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তির বাণিজ্যিক স্থানান্তরে নয়।

ঘোষণাটি ‘আফ্রিকার চাহিদার প্রতি সংবেদনশীল একটি জলবায়ু অর্থায়ন স্থাপত্য তৈরি করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করার’ অভিপ্রায় ঘোষণা করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজনে উন্নত কৃষিপ্রযুক্তির প্রয়োগ বা সেচ সুবিধা সম্প্রসারণের কথা ভাবা হয়েছে।
কৃষি বিষয়ে একটি উচ্চ-স্তরের সাইড ইভেন্ট এ পর্যন্ত সফল সহযোগিতার বেশ কয়েকটি উদাহরণের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। আফ্রিকান নেতারা তাঁদের চাহিদা ও নীতি ব্যাখ্যা করেছেন। লক্ষ্যমাত্রা ছিল উঁচু।

আফ্রিকার প্রতি কোরিয়ার নিম্নপর্যায়ের অথচ নির্দেশিত নীতি রয়েছে। দেশটি কখনই কৌশলগত উদ্বেগ বা উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য মহাদেশটির সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে চায়নি। এর মনোযোগ শুধুমাত্র রপ্তানির, বিশেষ করে অটোমোবাইল এবং প্রকৌশল পণ্যের জন্য আফ্রিকায় প্রবেশ করেছে। যখন রাষ্ট্রপুঞ্জ বা এর সংস্থাগুলিতে ভোটের জন্য আফ্রিকার রাজনৈতিক সমর্থনের প্রয়োজন হয়, তখন এটি সেই দেশগুলির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যাদের এই বিষয়ে ভোটাধিকার রয়েছে।


আফ্রিকার প্রতি কোরিয়ার নিম্নপর্যায়ের অথচ নির্দেশিত নীতি রয়েছে। দেশটি কখনই কৌশলগত উদ্বেগ বা উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য মহাদেশটির সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে চায়নি। এর মনোযোগ শুধুমাত্র রপ্তানির, বিশেষ করে অটোমোবাইল এবং প্রকৌশল পণ্যের জন্য আফ্রিকায় প্রবেশ করেছে।



বান কি মুনকে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব নির্বাচিত করার জন্য ২০০৬ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে কীভাবে তারা তিনটি আফ্রিকান দেশকে প্ররোচিত করেছিল, সেই ঘটনাটি এর সবচেয়ে উজ্জ্বল উদাহরণ। আফ্রিকার প্রতি কোরিয়ার আগ্রহ দেখায় যে, এটি মহাদেশে দেরীতে আগমনকারী হলেও তার উদ্দেশ্যগুলি পিছনে পড়ে যায় না। তারা সঠিক সরবরাহ লাইন স্থাপন করতে, এবং যদি সম্ভব হয় কোরিয়ার শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির সরবরাহ শৃঙ্খল তৈরি করতে চায়। শীর্ষ সম্মেলনটি পছন্দের খনিজগুলির অধিকার সুরক্ষিত করতে, এবং বৃহত্তরভাবে সে সবের সরবরাহকারী দেশগুলিকে সমর্থন করতে সহায়তা করেছিল। এটি একটি প্যান-আফ্রিকান প্রচেষ্টা নয়।
মো ইব্রাহিম ফাউন্ডেশন বলেছে:

'পণ্য-নেতৃত্বাধীন রপ্তানি মডেলের অধ্যবসায় ইঙ্গিত দেয় যে আফ্রিকার বাণিজ্য অংশীদাররা বদলে গেলেও অন্তর্নিহিত অর্থনৈতিক কাঠামোতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি। যদি মহাদেশটি কাঁচামাল রপ্তানি এবং সমাপ্ত পণ্য আমদানিতে ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে থাকে, তবে এটি তার অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য ও উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে। কোরিয়াকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তবে আফ্রিকার বেশিরভাগ অংশে তাদের কূটনৈতিক উপস্থিতির অভাব রয়েছে, এবং তাই উন্নয়ন সহযোগিতা সীমিত রয়েছে।



গুরজিৎ সিং জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, ইথিওপিয়া, আসিয়ান ও আফ্রিকান ইউনিয়নে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.