চিন-ভারত সম্পর্কের উন্নতির বিষয়ে সাম্প্রতিক আশাবাদকে বাড়াবাড়ির পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া উচিত নয়। প্রতিবেদনগুলি ইঙ্গিত করে যে ভারত ও চিন তাদের পার্থক্যকে "সঙ্কুচিত" করেছে, যার কূটনৈতিক ভাষায় অর্থ "প্রগতি"। সর্বশেষ বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রী (ইএএম) এস জয়শঙ্কর বলেছেন যে, "পারস্পরিক পশ্চাদপসরণ" সংক্রান্ত ৭৫ শতাংশ সমস্যার সমাধান হয়েছে৷ এই অগ্রগতির অর্থ কী তা যাচাই করা দরকার।
যদি পূর্ববর্তী আলোচনার রেকর্ড এবং "পারস্পরিক পশ্চাদপসরণ" আসন্ন বিষয়গুলির কোনও সূচক হয়, তবে ভারতের জন্য ফলাফলগুলি আদর্শ স্তরের নিচেই থাকবে। প্রকৃতপক্ষে, এই বছরের মে মাসে, ইএএম এস জয়শঙ্কর স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে "টহল অধিকার" বা "টহল দেওয়ার ক্ষমতা"র মতো বিষয় মুলতুবি রয়েছে, এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চিন (পিআরসি)-কে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে হবে। এর মৌলিক অর্থ হল, পিআরসি-কে সম্পূর্ণভাবে পিছিয়ে যেতে হবে এবং তাদের ২০২০ সালের প্রাক-এপ্রিলের মোতায়েনরেখা বা গ্যারিসনে সমস্ত বাহিনী প্রত্যাহার করতে হবে, উভয় পক্ষের জন্য টহল অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে, এবং ১৯৯৩ ও ১৯৯৬ সালের চুক্তিকে সম্মান করতে হবে। আসুন আমরা ১৯৯৩ সালের চুক্তি বিবেচনা করি, যা স্পষ্টভাবে সেই সব শর্তাবলি নির্ধারণ করে যার ভিত্তিতে উভয় পক্ষের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কার্যকর করা হবে। চুক্তিটি উভয় পক্ষকে এলএসি সম্পর্কে তাদের ধারণাগত এলাকায় সেনা টহল পরিচালনা করার অনুমতি দেয়। যদি তারা একে অপরের ধারণাগত লাইন অতিক্রম করে, উভয় পক্ষের উচিত সেখানেই বিষয়টি সমাধান করা এবং তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করা। যেখানে সীমানা সারিবদ্ধকরণ নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেবে, উভয় পক্ষকে যৌথভাবে তার সমাধান করতে হবে। ১৯৯৩ সালের চুক্তির অধীনে কোনও পক্ষই শক্তি প্রয়োগ করতে বা হুমকি দিতে পারে না। ভারত ও চিনের মধ্যে পরবর্তী ১৯৯৬ সীমানা চুক্তিতে ১২টি অনুচ্ছেদ রয়েছে যা প্রতিটি নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করে। এর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য হল, কোনও পক্ষের ক্ষমতা অন্যের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না। যদি কোনও পক্ষ ব্রিগেড-আকারের বাহিনী নিয়ে এলএসি-র কাছাকাছি সামরিক মহড়া করে, তাকে অন্য পক্ষকে অবহিত করতে হবে। এলএসি জুড়ে বায়ুসেনার অনুপ্রবেশও নিষিদ্ধ। এলএসি-র দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোনও অস্ত্র ছোড়া বা বিস্ফোরক ব্যবহার করা যাবে না। এলএসি-র কাছাকাছি বড় বাহিনী মোতায়েন করা যায় না এবং শুধুমাত্র হালকা টহল দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়, যা লঙ্ঘন করে চিন এলএসি-র দিকে ভারতের অংশে ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাসে বিশাল সংখ্যক সৈন্য মোতায়েন করেছিল।
পিআরসি-কে সম্পূর্ণভাবে পিছিয়ে যেতে হবে এবং তাদের ২০২০ সালের প্রাক-এপ্রিলের মোতায়েনরেখা বা গ্যারিসনে সমস্ত বাহিনী প্রত্যাহার করতে হবে, উভয় পক্ষের জন্য টহল অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে, এবং ১৯৯৩ ও ১৯৯৬ সালের চুক্তিকে সম্মান করতে হবে।
স্থিতাবস্থা পুনরুদ্ধার: মোদী সরকারের ব্যাপক জয়?
প্রকৃতপক্ষে, চিন যদি ১৯৯৩ ও ১৯৯৬ সালের চুক্তিকে সম্মান করে এলএসি বরাবর পূর্বের অবস্থানে ফিরে যায়, তবে এর অর্থ হবে ২০২০ সালের জুনে গালওয়ানের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সৈন্যের এবং চার চিনা সেনার মৃত্যুর পরেও পিআরসি-র বিরুদ্ধে ভারতের একটি ব্যাপক জয়। প্রাক-এপ্রিল ২০২০ স্থিতাবস্থা পুনরুদ্ধার মোদী সরকারের জন্য একটি বিশাল কূটনৈতিক ও অভ্যন্তরীণ জয় হিসাবে সূচিত হবে। মৌলিকভাবে, এর অর্থ হবে পূর্ব লাদাখে ডেপসাং বালজ, গোগরা-হট স্প্রিংস, গালওয়ান, প্যামগং সো-র উত্তর ও দক্ষিণের অঞ্চল এবং ডেমচক দখল করে এই পাঁচটি সংঘাত অঞ্চল বরাবর পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র জবরদস্তির বিরুদ্ধে ভারতের পাল্টা বলপ্রয়োগের চাপ কার্যকরভাবে কাজ করেছে। যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি এবং তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই ফলাফলটি কার্গিলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ের সঙ্গে তুলনীয় হবে।
কিন্তু, পিআরসি এবং এর নেতা চেয়ারম্যান শি জিনপিংয়ের জন্য পূর্বের স্থিতাবস্থা পুনরুদ্ধারের অর্থ কী হবে? এই মাত্রার একটি অবরোহণের প্রতিক্রিয়া হবে। এর অর্থ হবে শি এবং তাঁর অনুগত লেফটেন্যান্টদের একটি ছোট দলের মর্যাদাহানি, এবং শি-র নেতৃত্বাধীন সরকারের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অবস্থানকে সম্ভাব্যভাবে হুমকির মুখে ফেলে দেওয়া। অন্ততপক্ষে, শি যথেষ্ট দুর্বল হবেন না এমন কথা কল্পনা করা কঠিন। সর্বাধিক, এর অর্থ হতে পারে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) চেয়ারম্যান ও নেতা হিসাবে শি-র পদচ্যুতি। এই ধরনের চরম পরিণতি হবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে। শি জিনপিং তাঁর এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা শাসনকালে যে ব্যাপক শুদ্ধিগুলি কার্যকর করেছেন, তার কারণে চিনা রাষ্ট্রের উপর তাঁর শক্ত দখল তাঁকে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারে। তবে এই দৃশ্য বা ফলাফল, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং নয়াদিল্লির জন্য আদর্শ, কারণ এটি প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্য একটি বিশাল বিজয় সূচিত করবে, এখনও অনুমানমূলক। আরেকটি সম্ভাবনা আছে।
প্রাক-এপ্রিল ২০২০ স্থিতাবস্থা পুনরুদ্ধার মোদী সরকারের জন্য একটি বিশাল কূটনৈতিক ও অভ্যন্তরীণ জয় হিসাবে সূচিত হবে।
সেনা পশ্চাদাপসরণ মানে কী?
"পশ্চাদপসরণ" ঘটার সম্ভাবনা, যা এখন আলোচিত হচ্ছে, তাতে সেগুলোই বিষয়বস্তু হতে পারে যা নিয়ে ভারত ও চিন জুলাই ২০২০, আগস্ট ২০২১, এবং ফেব্রুয়ারি ২০২১-এ আলোচনা করেছিল। গালওয়ান থেকে উভয় পক্ষ ২০২০ সালের জুলাইয়ের শুরুতে ১.৫-কিলোমিটার বাফার জোন রেখে পারস্পরিক শক্তি প্রত্যাহার করে। এটি ছিল প্রথম "পশ্চাদপসরণ"। ২০২১ সালের আগস্টের শুরুতে গোগরা পোস্ট-পিপি-১৭ পিএলএ ও আইএ পারস্পরিকভাবে খালি করেছিল একটি পাঁচ কিলোমিটার বাফার জোন তৈরি করে। পরবর্তী চুক্তিতে চিনা বাহিনী প্যাংগং সো-এর দক্ষিণ ও উত্তর উভয় তীর থেকে পিছু হটে, এবং কৈলাস রেঞ্জ হাইট থেকে ভারতও সেনা প্রত্যাহার করে। এটি ভারতীয় বাহিনী আগস্ট ২০২০-র শেষের দিকে দখল করেছিল, যা তাদের উচ্চতর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে সহায়তা করেছিল। প্যাংগং সো-এর ক্ষেত্রে, ২০২০ সালের এপ্রিলের আগে ভারতীয় সেনাবাহিনী (আইএ) প্যাংগং সো-র পশ্চিমতম প্রান্তের ফিঙ্গার ১ থেকে হ্রদের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত ফিঙ্গার ৪ পর্যন্ত টহল দিত। ভারত দাবি করে যে এলএসি ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত বিস্তৃত, যেখানে তার টহল-সীমা শেষ হয়। এপ্রিল ২০২০-র আগে, ফিঙ্গার ৩-এর কাছাকাছি অবস্থিত তাদের ধন সিং থাপা পোস্ট থেকে ভারতীয় সৈন্যরা সরাসরি ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত টহল দিত। চিন বিশ্বাস করে যে এলএসি ফিঙ্গার ৮-এ শেষ হওয়ার ভারতীয় দাবির বিপরীতে শেষ হয় ফিঙ্গার ৪-এ। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফিঙ্গার ৪ এবং ফিঙ্গার ৮-এর মধ্যে একটি ৮ কিলোমিটার বাফার জোন তৈরির সিদ্ধান্ত হয়, যা উভয় পক্ষের টহলকে বাধা দেয় এবং নয়াদিল্লিও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ কৈলাস রেঞ্জ হাইটে তার দখল ছেড়ে দেয়। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সামরিক কোর কমান্ডারদের ১৬ তম রাউন্ডের বৈঠকের পরে আরেকটি পারস্পরিক পশ্চাদপসারণ ঘটে হটস্প্রিংস বা পিপি-১৫-এ। পারস্পরিক দর কষাকষি করা বাফার জোনের কারণে এই সমস্ত পশ্চাদপসারণ ভারতকে সেই পয়েন্টগুলিতে কোনও শারীরিক প্রবেশাধিকার না দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে যেখানে এটি ২০২০ সালের এপ্রিলের আগে টহল দিতে পারত।
পরবর্তী চুক্তিতে চিনা বাহিনী প্যাংগং সো-এর দক্ষিণ ও উত্তর উভয় তীর থেকে পিছু হটে, এবং কৈলাস রেঞ্জ হাইট থেকে ভারতও সেনা প্রত্যাহার করে। এটি ভারতীয় বাহিনী আগস্ট ২০২০-র শেষের দিকে দখল করেছিল, যা তাদের উচ্চতর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে সহায়তা করেছিল।
এখন সরকার যদি ডেপসাং বাল্জ এবং ডেমচোকের অবশিষ্ট দুটি সংঘাতবিন্দু থেকে "পশ্চাদপসরণ" নিয়ে আলোচনার জন্য এগিয়ে যায়, তবে এখানেও অন্যান্য সংঘাতবিন্দুর মতো একইভাবে বাফার জোন তৈরি করার ঝুঁকি থাকবে। এর মৌলিক অর্থ হল ভারতীয় বাহিনীর জন্য টহল দেওয়ার অধিকার পুনরুদ্ধার করা যাবে না। আর ২০২০ সালের এপ্রিল-পূর্ব অবস্থানে চিনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং বেজিংয়ের ১৯৯৩ এবং ১৯৯৬ চুক্তিকে সম্মান করার প্রতিশ্রুতির কথা না-হয় বাদই থাকল। বিদেশমন্ত্রক তার সাম্প্রতিক বিবৃতিতে স্পষ্ট করেছে: "উভয় পক্ষকেই অবশ্যই [এখনও সম্মত নয়] প্রাসঙ্গিক চুক্তি, প্রোটোকল এবং দুই সরকারের দ্বারা অতীতে পৌঁছনো সমঝোতাগুলি সম্পূর্ণরূপে মেনে চলতে হবে।" সংক্ষেপে বলা যায়, ভারত ও চিন একই ধরনের আলোচনা শেষ করবে যা তারা পূর্বে করেছে, এবং ভারতের প্রাক্তন আইএ প্রধান জেনারেল ভিপি মালিকের কথায় ভারতের কাছে থাকবে "অ-শারীরিক নজরদারি"।
এই ধরনের সমাধান শুধুমাত্র একটি উপশমকারী হিসাবে কাজ করবে, কারণ ভারতের মতোই চিনের এখনও গভীরভাবে যথেষ্ট সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। তবে বেজিং তার পশ্চাদপসরণের অংশ হিসাবে খালি করা অঞ্চল ফের দখল করতে চাইলে দ্রুত তার বাহিনীকে একত্রিত করতে পারে। পিএলএ-উদ্যোগে বেশ কয়েকটি পরিকাঠামোগত ও লজিস্টিক ব্যবস্থা একে পূর্ব লাদাখে এলএসি-তে দ্রুত প্রবেশাধিকার প্রদান করে। ২০১৭ সালের ডোকলাম সঙ্কটের পর থেকে এবং এপ্রিল-মে ২০২০ থেকে চিনারা ভারতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সীমানা বরাবর একটি নতুন রেল, সড়ক ও যোগাযোগ নেটওয়ার্ক আধুনিকীকৃত ও উন্নত করেছে। এর পাশাপাশি পূর্ব লাদাখের সংলগ্ন এলাকায় নিজেদের দিকে চিনারা রাস্তার পরিকাঠামো তৈরি করেছে। তারা একটি নতুন জি২১৬ হাইওয়ে তৈরি করেছে, যা তাদের পূর্ব লাদাখের বিরোধপূর্ণ সমস্ত এলাকায় সহজে প্রবেশাধিকার দেয়। জি২১৬ বর্তমান হাইওয়ে জিজে১৯-এর সমান্তরাল বা বিকল্প হিসাবে কাজ করবে, যেখানে বেজিং মনে করে তার গুরুত্বপূর্ণ দুর্বলতা রয়েছে। এই দুটি মহাসড়কের পরিপূরক হল জিজে৬৯৫ নামে আরেকটি পথ, যেটি নির্মাণাধীন। এটি এলএসি থেকে প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার দূরে চিনা বাহিনীকে ভবিষ্যতের সংঘাতে দ্রুত একত্রিত হতে সক্ষম করবে, এবং এলএসি বা তার বাইরের এলাকা দ্রুত দখল করতে ও আইএ-র সম্ভাব্য প্রতিরোধ মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে। এতেই না-থেমে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত স্যাটেলাইট চিত্রগুলি প্রকাশ করে যে, চিনারা এখন একটি সেতু তৈরি করেছে যা প্যাংগং সো-র উত্তর ও দক্ষিণ তীরকে সংযুক্ত করেছে। ভারতকে টহল দেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা এবং বাধ্যতামূলক পশ্চাদপসরণ, যা বাফার জোন প্রতিষ্ঠার দিকে চালিত করেছে, সেগুলি ছাড়াও চিনাদের জন্য আসল লাভের মধ্যে রয়েছে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে বিশাল পরিকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে সেনা-যাতায়াতের সময় সঙ্কুচিত করা। নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে বর্তমান আলোচনাকে ঘিরে আশাবাদের পরিবেশ নির্বিশেষে ভারতকে অকাল উদযাপন না করার পরামর্শ দেওয়াই উচিত হবে, কারণ পারস্পরিক পশ্চাদপসরণ সংজ্ঞাগতভাবে একটি ব্যান্ড-এড, স্থিতাবস্থার পূর্ববর্তী অবস্থার পুনরুদ্ধার নয়।
কার্তিক ব্যোমকান্তি অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের সিনিয়র ফেলো
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.