Published on Mar 25, 2024 Updated 0 Hours ago

ভারতীয় এগ্রিটেক চিত্তাকর্ষক অগ্রগতি করছে এবং তার বিশ্বব্যাপী পদচিহ্ন প্রসারিত হচ্ছে, কিন্তু এটি এখনও একটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং তার সম্ভাব্য বাজার মূল্যের মাত্র ১ শতাংশে প্রবেশ করেছে৷

পরিবর্তনের অঙ্কুর: ভারতের এগ্রিটেক বিপ্লব

ভারতের কৃষি ক্ষেত্র তার অর্থনীতির মূল ভিত্তি। এটি মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৮.৩ শতাংশ, এবং ২০২২–২৩ সালে ১৫৮ মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থান করেছে। কৃষি শুধু একটি অর্থনৈতিক কার্যকলাপ নয়, বরং লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনযাত্রার একটি উপায়। ভারতের জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় — যা ২০৩০ সালে ১.৫১৫ বিলিয়ন স্পর্শ করবে বলে অনুমান করা হয়েছে এবং ভারতকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত করেছে — খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ক্রমবর্ধমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে৷ প্রকৃতপক্ষে, ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণির চাহিদা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে ভারতীয় কৃষি এখন একটি সন্ধিক্ষণে রয়েছে। এটি কৃষি দক্ষতা, স্থায়িত্ব এবং স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে প্রযুক্তির স্মার্ট ব্যবহারের দিকে যাত্রাকে প্ররোচিত করেছে।


এগ্রিটেকের জন্য সরকারি চাপ

এগ্রিটেক বলতে এন্টারপ্রাইজ, স্টার্টআপ ও সমাধানগুলির একটি বাস্তুতন্ত্রকে বোঝায় যা শস্যের বর্ধিত ফলনের প্রেক্ষিতে পণ্য বা পরিষেবাগুলি সরবরাহ করার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ব্যবহার করে, অনেক ধরনের দক্ষতা নিয়ে আসে, এবং শেষ পর্যন্ত কৃষি মূল্যশৃঙ্খল জুড়ে কৃষকদের জন্য লাভ বাড়ায়। ভারতে বর্তমানে 
৩,০০০টিরও বেশি এগ্রিটেক স্টার্টআপ রয়েছে, যার মধ্যে ১,৩০০টিরও বেশি   কৃষিকাজে সহায়তা করার জন্য উদীয়মান ও ঝুঁকিপূর্ণ প্রযুক্তি (ইডিটি) — যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), মেশিন লার্নিং, এবং ইন্টারনেট অফ থিংস — ব্যবহার করে ৷


ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণির চাহিদা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে ভারতীয় কৃষি এখন একটি সন্ধিক্ষণে রয়েছে।



এগ্রিটেকের দ্রুত সম্প্রসারণ এবং ক্রমবর্ধমান গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে ভারত সরকার এই ক্ষেত্রের উপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করেছে। ২০২৩ সালের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী এগ্রিটেক স্টার্টআপগুলিকে উৎসাহিত করতে এবং গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সরবরাহ করে তাঁদের সহায়তা করতে একটি
এক্সিলারেটর ফান্ড চালু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। ড্রোন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ব্লকচেন, রিমোট সেন্সিং এবং কৃষিতে ভৌগোলিক তথ্য–ব্যবস্থা সহ ইডিটি চালু করার জন্য ভারত সরকার এর আগে ২০২১–২২ এবং ২০২০–২১ সালে যথাক্রমে ২৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করেছিল। তা ছাড়া, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য বিশেষ উল্লেখযোগ্য ন্যাশনাল স্ট্র‌্যাটেজি ফর আর্টিফিশিয়াল ইনট্যালিজেন্স (২০১৮) স্পষ্টভাবে কৃষিকে এমন একটি পরিসর হিসাবে চিহ্নিত করে যেখানে এআই ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি বিস্তৃত বর্ণালী ক্ষেত্রীয় বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে পারে।

ভারতের
ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) অত্যন্ত সফল মডেলের ছত্র স্থাপত্য হিসাবে ইন্ডিয়া স্ট্যাক গণ–পরিষেবা প্রদানে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে এবং অভূতপূর্ব আয়তনে উদ্ভাবন নিয়ে এসেছে। প্রযুক্তিগত স্ট্যাকগুলি আধার ডিজিটাল আইডেন্টিটি (আইডি) ও ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেসের মতো ভিত্তিগত ডিপিআই তৈরি করতে সক্ষম করার পাশাপাশি ক্ষেত্রীয় ডিপিআই তৈরি করতেও ব্যবহৃত হচ্ছে। এর একটি প্রধান উদাহরণ হল এগ্রিস্ট্যাক, একটি অভিনব কৃষিকেন্দ্রিক ডিপিআই যা ভারত বর্তমানে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এগ্রিস্ট্যাক ফেডারেটেড কৃষকদের রেজিস্ট্রি এবং সম্পর্কিত ডিজিটাল কৃষি পরিষেবা ও প্রয়োগের জন্য গঠিত। সম্মিলিতভাবে, এই উপাদানগুলি একদিকে কৃষক এবং কৃষি শ্রমিকদের এবং অন্যদিকে সরকার ও কৃষি ব্যবসাকে সহায়তা করবে।


ভারতের ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) অত্যন্ত সফল মডেলের ছত্র স্থাপত্য হিসাবে ইন্ডিয়া স্ট্যাক গণ–পরিষেবা প্রদানে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে এবং অভূতপূর্ব আয়তনে উদ্ভাবন নিয়ে এসেছে।



এগ্রিস্ট্যাক–এর কৃষকদের জন্য ডিজিটাল ভাণ্ডার — যেখানে প্রতিটি কৃষককে তাঁর জমির রেকর্ডের সঙ্গে সংযুক্ত একটি আধার–এর মতো অনন্য আইডি বরাদ্দ করা হবে — ভর্তুকি ও পরিষেবাগুলির লক্ষ্যযুক্ত বিতরণকে প্রবাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত
৪৩ মিলিয়নেরও বেশি কৃষকের তথ্য যাচাই করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভারত সরকার একটি একীভূত কৃষক পরিষেবা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে, যা সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের দ্বারা কৃষি–পরিষেবা সরবরাহকে ডিজিটাল করবে। যদিও এগ্রিস্ট্যাক বাস্তুতন্ত্র ভারতের কৃষি কর্মশক্তির একটি বড় অংশ গঠনকারী ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের উপকৃত করবে বলে আশা করা হচ্ছে, দুই ধরনের উদ্বেগ উত্থাপিত হয়েছে এবং সেগুলির সমাধানের চেষ্টা চলছে। প্রথমত, অনেক কৃষকের জমির রেকর্ড হালনাগাদ করা হয় না, এবং তাই এই রেকর্ডগুলির সঙ্গে কৃষক আইডি সিস্টেমকে সংযুক্ত করা হয় না। দ্বিতীয়ত, কৃষকদের ব্যক্তিগত ডেটা বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে শেয়ার করার আশঙ্কা রয়েছে, যা সম্ভাব্য ডেটা অব্যবস্থাপনা, ডেটা লঙ্ঘন বা ব্যক্তিদের প্রোফাইলিংয়ে পর্যবসিত হতে পারে। ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন (ডিপিডিপি) আইন ২০২৩ কার্যকর করা হলে তা এই ঝুঁকিগুলির বিরুদ্ধে একটি বাধা হিসাবে কাজ করতে পারে।

রাজ্য সরকারগুলি এগ্রিটেক সমাধানগুলি কার্যকর করার জন্য বেসরকারি কুশীলব এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বে প্রবেশ করতে দ্রুত অগ্রসর হয়েছে৷ যেমন ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের এআই ফর এগ্রিকালচারাল ইনোভেশন (এআইফরএআই) উদ্যোগের অধীনে তেলেঙ্গানা সরকার কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য উদীয়মান প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে
সাগু বাগু[১] পাইলট প্রকল্প চালু করেছে। ২০২৩ সালের গোড়ার দিকে রাজ্যের ৭,০০০–এর বেশি মরিচ চাষি পরিষেবাগুলির সুযোগ পেয়েছিলেন, যার মধ্যে এআই–ভিত্তিক পরামর্শ, ই–কমার্স এবং প্রযুক্তিচালিত মাটি পরীক্ষা পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত ছিল।


বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্ব

ভারতের কৃষি প্রযুক্তির দক্ষতা ধীরে ধীরে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত হচ্ছে। ২০২৩–এর মাঝামাঝি সময়ে ভারতের প্রথম প্রিসিশন এগ্রিকালচার স্টার্টআপ ফাইলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও স্পেন জুড়ে ওয়াইন উৎপাদকদের উৎপাদনশীলতা উন্নত করতে স্পেনভিত্তিক একটি গ্লোবাল ক্লাইমেট সফ্টওয়্যার–অ্যাজ–আ–সার্ভিস ফার্ম টেরাভিউ–এর সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বে প্রবেশ করে। এই সহযোগিতা ফাইলো–কে বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারিত প্রথম ভারতীয় এগ্রিটেক কোম্পানিতে পরিণত করেছে, এবং এটি শীঘ্রই ইতালি, ফ্রান্স ও মেক্সিকোতেও দ্রাক্ষাক্ষেত্রে স্মার্ট কৃষি প্রক্রিয়া চালু করবে।

এর আগে, ২০২৩ সালে, আই২ইউ২ বিজনেস সামিটের পাশাপাশি ভারত যোগ দিয়েছে বিনিয়োগ ও সমর্থনকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (ইউএই) দ্বারা চালু করা 
জলবায়ুর জন্য কৃষি উদ্ভাবন মিশনে (এমফরসি), যার লক্ষ্য স্মার্ট কৃষি এবং খাদ্য ব্যবস্থা উদ্ভাবন। এমফরসি–র সদস্যপদ ভারতকে ২৭৫–টিরও বেশি অংশীদারের একটি বৈশ্বিক জোটের অংশ করে তোলে। গুরুত্বপূর্ণভাবে, এটি এমন একটি সময়ে ইন্দো–ইউএই কৃষি সহযোগিতাকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যখন সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ভারতে ফুড পার্ক তৈরিতে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা ভারতীয় কৃষকদের তাদের পণ্যের উচ্চ মূল্য খুঁজে পেতে এবং অ–কৃষি কাজের একটি নতুন প্রজন্ম তৈরি করতে সহায়তা করবে।

খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তার জন্য হাবটি ভারত থেকে বাংলাদেশ ও নেপালে কৃষি উদ্ভাবন স্থানান্তর করছে।



২০১৭ থেকে ২০২০–র মধ্যে ভারত ও ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএড) মিলে একটি স্বাধীনভাবে পরিচালিত ও আর্থিকভাবে কার্যকর দক্ষিণ এশিয়া এগটেক হাব ফর ইনোভেশন (
সাথী) ডিজাইন ও প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করেছে। খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তার জন্য হাবটি ভারত থেকে বাংলাদেশ ও নেপালে কৃষি উদ্ভাবন স্থানান্তর করছে। গ্লোবাল সাউথের অন্য দেশগুলিকে কৃষি–সহায়তা প্রদান ভারতের জন্য অগ্রাধিকার হিসাবে অব্যাহত রয়েছে।


সামনে কী আছে?

ভারতীয় এগ্রিটেকের আরও বৃদ্ধির জন্য প্রচুর সুযোগ রয়েছে। এ পর্যন্ত অগ্রগতি হওয়া সত্ত্বেও এবং ক্ষেত্রগত বিস্তৃত বৈশ্বিক পদচিহ্ন সত্ত্বেও দেশে এগ্রিটেক এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, এবং ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্ভাব্য বাজার মূল্যের মাত্র ১ শতাংশে প্রবেশ করেছে। এখনও অব্যবহৃত ভারতীয় বাজারের বিশালতার পরিপ্রেক্ষিতে স্টার্টআপ এবং অন্য নতুন কৃষি–উদ্যোগগুলির নিজস্ব পদচিহ্ন তৈরি করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে।


সমস্ত ইঙ্গিত রয়েছে যে এগ্রিস্ট্যাক একটি গেমচেঞ্জার হবে। একটি জাতীয় কৃষক রেজিস্ট্রি সংকলনের প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত হওয়ার সঙ্গেসঙ্গে, কৃষকদের জমির রেকর্ড আপডেট করা এবং জমির মালিকানা যাচাই করার বিশাল কাজটি ত্বরান্বিত করা উচিত। ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট (ডিপিডিপি)–কে অক্ষরে অক্ষরে মেনে শক্তিশালী ডেটা সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলিকেও কৃষকদের ব্যক্তিগত ডেটার নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা সম্পর্কে প্রচলিত ভয় দূর করতে হবে। এছাড়া নতুন ধরনের কৃষি পরিষেবা চালু করা যেতে পারে। যেমন, শস্য মান্ডি থেকে লেনদেনের ডেটা এগ্রিস্ট্যাক–এর ডিজিটাল বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে একত্রিত করা যেতে পারে, যা থেকে এমন অন্তর্দৃষ্টি পাওয়া যাবে যা ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই উপকার করবে।


ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট (ডিপিডিপি)–কে অক্ষরে অক্ষরে মেনে শক্তিশালী ডেটা সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলিকেও কৃষকদের ব্যক্তিগত ডেটার নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা সম্পর্কে প্রচলিত ভয় দূর করতে হবে।



কৃষি ক্ষেত্রে ডিজিটাল সাক্ষরতার প্রসারের জন্য কৃষি–উন্নয়ন অ্যাজেন্ডার শীর্ষে পৌঁছতে হবে। কৃষক উৎপাদক সংস্থা (এফপিও) ডিজিটাল সাক্ষরতার উদ্যোগ বাস্তবায়নে এবং কৃষকদের শিক্ষিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রাতিষ্ঠানিক খুচরা বিক্রেতা এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থাগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে, কৃষকদের তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান উন্নত করায় উৎসাহিত করতে, এবং এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এগ্রিটেক গ্রহণকে চালিত করতে এফপিওগুলি অনন্যভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত।

যেহেতু ভারত তার স্টার্টআপ বাস্তুতন্ত্রকে শক্তিশালী করে চলেছে, স্টার্টআপগুলিকে বিনিয়োগকারীদের কাছে দক্ষতা বজায় রেখে আয়তন বৃদ্ধির এবং উচ্চতর ইউনিট অর্থনীতি প্রদর্শনের জন্য প্রশিক্ষিত করা উচিত। এটি বিশেষ করে এগ্রিটেক স্টার্টআপগুলির জন্য সত্য, যারা প্রায়শই ঐতিহ্যগত চ্যানেলগুলিকে ব্যাহত না–করে কৃষি মূল্যশৃঙ্খলের মধ্যে উদ্ভাবন করা এবং সেইসঙ্গে শুরু থেকেই এফপিও, পরিবেশক ও খাদ্য প্রক্রিয়াকারীদের মতো অংশীদারদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক তৈরি করার অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়।

অবশেষে, জ্ঞান ভাগাভাগি করতে সহায়তা করার জন্য কৃষি প্রযুক্তি গবেষণার একটি শক্তিশালী সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে, যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক বিনিময় কর্মসূচিও যুক্ত করতে হবে। সহায়ক নীতি, কৌশলগত বিনিয়োগ, প্রযুক্তি প্রতিভার একটি পুল এবং সর্বোত্তম অনুশীলনের আন্তঃসীমান্ত ভাগাভাগির মাধ্যমে ভারতীয় কৃষি ক্ষেত্র তার নিজস্ব স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য ব্যবস্থায় অবদান রাখতে আরও ভালভাবে সজ্জিত হবে।



শ্রুষ্টি জয়ভায়ে অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন রিসার্চ ইন্টার্ন

অনির্বাণ শর্মা অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন ডেপুটি ডিরেক্টর ও সিনিয়র ফেলো

[১] তেলুগুতে এর অর্থ ‘‌কৃষি অগ্রগতি’‌।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Shrushti Jaybhaye

Shrushti Jaybhaye

Shrushti Jaybhaye is a Research Intern at the Observer Research Foundation ...

Read More +
Anirban Sarma

Anirban Sarma

Anirban Sarma is Deputy Director of ORF Kolkata and a Senior Fellow at ORF’s Centre for New Economic Diplomacy. He is also Chair of the ...

Read More +