Published on Jun 24, 2024 Updated 0 Hours ago

মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরকে কার্যকর ভাবে পরিচালনা করা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে ভারতকে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের সুযোগ করে দেবে এবং মূল্যবান অংশীদারিত্ব গঠনে সাহায্য করবে।

রূপান্তরশীল প্রবণতা: মায়ানমারের বন্দরে ভারতীয় আধিপত্য

ভারত সরকার ২০২৪ সালের ৬ এপ্রিল মায়ানমারের রাখাইন স্টেটের কালাদান নদীর উপর সিটওয়ে বন্দরের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য ইন্ডিয়া পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড-এর (আইপিজিএল) প্রস্তাবকে অনুমোদন দিয়েছে এবং এটি নিঃসন্দেহে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। ইরানের চাবাহার শহিদ বেহেশতি বন্দরের পরে এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের দরুন সিটওয়ে বন্দরটি এমন দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক  বন্দর হয়ে উঠেছে, যা আইপিজিএল দ্বারা পরিচালিত হবে। আইপিজিএল হল সাগরমালা ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের একটি শাখা সংস্থা, যা কেন্দ্রীয় বন্দর, নৌপরিবহণ এবং জলপথ মন্ত্রক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ভারত চাবাহার বন্দরে শুধু মাত্র দুটি টার্মিনালের তত্ত্বাবধান করলেও সিওয়ে বন্দরের উপর ভারতের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে এবং এটি অন্যান্য অভ্যন্তরীণ বন্দরের মতো কার্যকর থাকবে।

সাম্প্রতিক চুক্তি অনুযায়ী ভারতের কাছে বন্দরের একটি বর্ধিত ইজারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা প্রতি তিন বছরে পুনর্নবীকরণ করা হবে। আইপিজিএল বন্দরটিকে আরও উন্নত করার জন্য তহবিল সংগ্রহ করবে এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভারতীয় টাকায় লেনদেন করার ব্যবস্থা করবে।

 

ভারত চাবাহার বন্দরে শুধু মাত্র দুটি টার্মিনালের তত্ত্বাবধান করলেও সিওয়ে বন্দরের উপর ভারতের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে এবং এটি অন্যান্য অভ্যন্তরীণ বন্দরের মতো কার্যকর থাকবে।

কালাদান নদীর বদ্বীপে অবস্থিত সিটওয়ে বন্দরটি কালাদান মাল্টিমোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের (কেএমটিটিপি) একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা ২০০৮ সালে অনুমোদিত হয়েছিল২০০০০ ডেড ওয়েট টনেজ (ডিডব্লিউটি) পর্যন্ত গভীর সমুদ্রের জাহাজগুলি পরিচালনা করার জন্য পরিকল্পিত এই বন্দরটি বর্তমানে কাজ করতে প্রস্তুত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার বাড়ার দরুন ভারী জাহাজের ভবিষ্যতের চাহিদা মেটাতে এই বন্দরটি কাজ করবে

২০২৩ সালের ৯ মে কেন্দ্রীয় বন্দর, নৌপরিবহণ, জলপথ এবং আয়ুশ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল আনুষ্ঠানিক ভাবে বন্দরটি উদ্বোধন করেন। তিনি কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর থেকে সিটওয়ে বন্দরগামী সিমেন্ট বহনকারী প্রথম ভারতীয় কার্গো জাহাজটিকে স্বাগত জানান।

ভারত মায়ানমারের মাঝে বর্তমান বাণিজ্যের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে ভারতের তরফে সিমেন্ট, ইস্পাত এবং ইটের মতো নির্মাণ সামগ্রী রফতানি করা হয়, যেখানে মায়ানমার থেকে আমদানি করা হয় চাল, কাঠ, মাছ এবং সামুদ্রিক খাদ্য। বন্দর সম্প্রসারণের সঙ্গে সঙ্গে এই বাণিজ্য পণ্যগুলি উচ্চ মূল্য সংযোজন পণ্য দ্বারা প্রতিস্থাপিত হতে পারে।

বন্দরের উন্নয়নের ফলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে ভারতের মিজোরাম ত্রিপুরা রাজ্য ত্রিপুরা সরকার কালাদান নদীর মাধ্যমে রাজ্য মায়ানমারের মধ্যে সংযোগ তৈরির উদ্যোগ শুরু করেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ পরিবহণ সংযোগ স্থাপনের সুবিধার্থে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। কলকাতা থেকে আগরতলা যেতে সড়ক পথে প্রায় চার দিন সময় লাগে। যাই হোক, জল ও স্থলপথে সিওয়ে-চট্টগ্রাম-সাব্রুম-আগরতলা পথ ব্যবহার করা হলে পরিবহণের সময়কাল নেমে আসবে মাত্র দু’দিনে। ফলে অর্থ ও সময় দুই-ই বাঁচবে এবং কার্বন নিঃসরণ কমবে। এ লক্ষ্যে একটি ডিটেলড প্রজেক্ট রিপোর্ট বা বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন (ডিপিআর) এখনও মুলতুবি রয়েছে।

 

ত্রিপুরা সরকার কালাদান নদীর মাধ্যমে রাজ্য মায়ানমারের মধ্যে সংযোগ তৈরির উদ্যোগ শুরু করেছে। এই গুরুত্বপূর্ণ পরিবহণ সংযোগ স্থাপনের সুবিধার্থে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।

 

সংযোগের অভাব

যদি সামুদ্রিক পথটি গতিশীল হয়ে ওঠে, তা হলে কালাদান প্রকল্পের বহুমুখী আঙ্গিকটির উন্নতি সাধনের জন্য রাস্তার অংশের কাজ সম্পূর্ণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তাটি কলকাতা বাংলাদেশি বাজারকে সিটওয়ে বন্দরের মাধ্যমে মিজোরামের সঙ্গে যুক্ত করবে, যার ফলে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার অংশ এবং মহাসড়কগুলি নির্মাণের বাকি থাকা অংশ নানাবিধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, যার মধ্যে রয়েছে সীমান্ত সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয়ের অভাব, বন্ধুর ভূখণ্ড, জমির ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত সমস্যা এবং অঞ্চলটিতে বিদ্রোহের কারণে উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা উদ্বেগের মতো কারণঅতিমারি এবং ২০২১ সালের অভ্যুত্থান অগ্রগতিকে আরও বাধা দিয়েছে।

ইরকন ইন্টারন্যাশনাল রাস্তার অংশের নির্মাণ পরিচালনা করতে, স্থানীয় ঠিকাদারদের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে এবং কালাদান প্রকল্পে বিদ্রোহীদের আক্রমণ সংক্রান্ত ঝুঁকি কমাতে নিযুক্ত। মায়ানমার নিউ পাওয়ার কনস্ট্রাকশন লিমিটেড এবং সু হতু সেন মহাসড়কের বিভিন্ন অংশ সম্পূর্ণ করতে প্রস্তুত। যাই হোক, চুক্তিতে পরিবেশগত, রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জের কারণে সম্ভাব্য বিলম্ব বিবেচনা করে মোট তিন বছর চার মাসের সমাপ্তির সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদ্যমান হিংসা এবং সামরিক পদক্ষেপগুলি অস্থির পরিস্থিতিতে একটি সুনির্দিষ্ট সমাপ্তির তারিখের পূর্বাভাস দেওয়ার বিষয়টিকে কঠিন করে তোলে।

 

১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার অংশ এবং মহাসড়কগুলি নির্মাণের বাকি থাকা অংশ নানাবিধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, যার মধ্যে রয়েছে সীমান্ত সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয়ের অভাব, বন্ধুর ভূখণ্ড, জমির ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত সমস্যা এবং অঞ্চলটিতে বিদ্রোহের কারণে উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা উদ্বেগের মতো কারণ

 

এর পাশাপাশি, সিটওয়ে বন্দরটির ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে (এনইআর) পণ্য, গ্যাস বা তেল পরিবহণের জন্য উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যিক সম্ভাবনা থাকলেও তখন এনইআর-এ একটি যথার্থ মূল্যে নিয়মিত পরিবহণ পথ হিসাবে এর কার্যকারিতা নির্ধারণ করা বাকি রয়েছে। এই অনিশ্চয়তা প্রধানত ঘন ঘন বাল্ক ব্রেকিং (জাহাজে পণ্য তোলার বিশেষ ব্যবস্থা) এবং ট্রান্সশিপমেন্টের প্রত্যাশিত উচ্চ ব্যয় থেকে সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও, পালেতোয়া টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শেষ হলেও এর কার্যকারিতা সিওয়ে পালেতোয়ার মধ্যে কালাদান নদী বরাবর রক্ষণাবেক্ষণের ড্রেজিং সম্পূর্ণ করার উপর নির্ভর করে। পণ্যবাহী জাহাজগুলিকে শুধুমাত্র সিটওয়ে বন্দরে পণ্য পরিবহণের আগে এই কাজটি অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে।

 

ক্ষমতা স্থানান্তর

সামরিক হুন্তা এবং থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব যার মধ্যে গণতন্ত্রপন্থী বাহিনী ড্রোন হামলা এবং অপারেশন ১০২৭-এর অংশ হিসাবে লড়াই অন্তর্ভুক্ত – মায়ানমারে ক্ষমতার সমীকরণ অনেকটাই বদলে দিয়েছে। জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি ভারত, বাংলাদেশ, তাইল্যান্ড এবং চিন সীমান্ত অঞ্চলের শহর বাণিজ্য রুটের নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছে।

রাখাইন ও চিন স্টেট এবং সাগাইং অঞ্চলে ভারত ও মায়ানমারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলি এখন জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির নিয়ন্ত্রণের অধীন। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের রাখাইন স্টেটে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে ২৫ মার্চ আরাকান আর্মির (এএ) ঘোষণা মায়ানমার হুন্তাকে ছাপিয়ে যাওয়ার বিষয়ে এএ-র আত্মবিশ্বাসকেই দর্শায়। এএ চিন সমর্থিত কায়ুকফু বন্দর বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) এবং ভারত সমর্থিত কেএমটিটিপি-র মতো বিদ্যমান বিদেশি প্রকল্পগুলিকে আহ্বান জানিয়েছে এবং তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করা তাদের সঙ্গে মিলে কাজ করার কথাও বলেছে।

 

এএ বর্তমানে রাখাইন স্টেটের একাধিক শহরতলি নিয়ন্ত্রণ করে এবং সক্রিয় ভাবে হুন্তার সামরিক ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ করে নিজেদের দখলে আনার কাজে রত।

 

বেজিং সিটওয়ে থেকে মাত্র ১২০ কিলোমিটার দূরে কায়ুকফু গভীর সমুদ্র বন্দর এবং এসইজেড নির্মাণে বিনিয়োগ করছে। সমাপ্তির পরে প্রকল্পটি ১৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ চিন-মায়ানমার অর্থনৈতিক করিডোরের (সিএমইসি) দক্ষিণ প্রান্ত হিসাবে কাজ করবে এবং এটিকে চিনের কুনমিং শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এই করিডোরটি ভূখণ্ডবেষ্টিত ইউনান প্রদেশকে ভারত মহাসাগরে সরাসরি প্রবেশ করার সুযোগ করে দেবে। সর্বোপরি, এটি চিনা শিপিংয়ের জন্য একটি কৌশলগত বিকল্প পথ, যা ঘনবসতিপূর্ণ মালাক্কা প্রণালীর পরিবর্তে অন্য পথ প্রদান করবে। এই বিকল্প মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং ইউরোপের সঙ্গে সমস্যাহীন বাণিজ্য পথকে সহজতর করবে।

এএ-র বিজয় নিশ্চিত না হলেও তাদের আত্মবিশ্বাস মায়ানমারের বিদ্যমান অশান্তি এবং ক্রমবর্ধমান সংঘাতকেই দর্শায়। এএ বর্তমানে রাখাইন স্টেটের একাধিক শহরতলি নিয়ন্ত্রণ করে এবং সক্রিয় ভাবে হুন্তার সামরিক ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ করে নিজেদের দখলে আনার কাজে রত। এই পরিস্থিতি হুন্তার ক্ষয়িষ্ণু নিয়ন্ত্রণকেই দর্শায়। এটি ভারত এবং চিনের মতো প্রধান বিদেশী অংশীদারদের কাছে এই ইঙ্গিত দেয় যে, দেশগুলির উচিত নেপিডো হুন্তার পরিবর্তে বাস্তবের শক্তিগুলির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া।

 

সম্পৃক্ততার রূপান্তর

চিন চিরাচরিত ভাবে তার সীমান্তে জাতিগত গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং মাঝে মাঝে সেই গোষ্ঠীগুলির উদ্যোগে অর্থায়ন করেছে। আবার ভারতও আলোচনা শুরু করার মাধ্যমে তাদের পদ্ধতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। রাজ্যসভা থেকে মাননীয় ভানলালভেনা ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে কেএমটিটিপিতে ভূমি সম্প্রসারণের অবনতিশীল অবস্থার মূল্যায়ন করার জন্য একটি দলকে নেতৃত্ব দেন এবং এএ-সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনায় নিযুক্ত ছিলেন। যাই হোক, চিন স্টেটে জাতিগত সমীকরণের পরিপ্রেক্ষিতে চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট/আর্মি (সিএনএফ/এ) আধিপত্য দর্শায় যে, নয়াদিল্লিকে অবশ্যই তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে হবে, যাতে তাদের সংযোগ প্রকল্পগুলি সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করা যায়। নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের জন্য অ-রাষ্ট্রীয় শক্তিগুলির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

 

চিন চিরাচরিত ভাবে তার সীমান্তে জাতিগত গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং মাঝে মাঝে সেই গোষ্ঠীগুলির উদ্যোগে অর্থায়ন করেছে। আবার ভারতও আলোচনা শুরু করার মাধ্যমে তাদের পদ্ধতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে।

 

উপরন্তু, এই অঞ্চলে অন্তর্ভুক্তি স্থিতিশীলতা জন্য সিএনএফ/এ-সঙ্গে আলোচনা চালানো গুরুত্বপূর্ণ। প্রধান জাতিগত গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার মাধ্যমে ভারত দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও সমৃদ্ধিতে অবদান রাখা এবং সকল অংশীদারের জন্য লাভজনক সংযোগ প্রকল্পগুলিকে সুনিশ্চিত করতে পারে।

মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরকে কার্যকর ভাবে পরিচালনা করা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে ভারতকে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের সুযোগ করে দেবে এবং মূল্যবান অংশীদারিত্ব গঠনে সাহায্য করবে। যাই হোক, রাস্তার বিভিন্ন অংশের সফল সমাপ্তি সুনিশ্চিত করার জন্য বিরোধগুলি মোকাবিলা করা জরুরি, যা সম্পূর্ণ কালাদান প্রকল্পটিকে চালু করার জন্য অত্যন্ত অপরিহার্য। এই বিরোধগুলি সমাধান করা শুধু মাত্র প্রকল্পের সমাপ্তিকে সহজতর করবে না, বরং আঞ্চলিক সংযোগ এবং বাণিজ্য বৃদ্ধিতে কেএমটিটিপি-র তাৎপর্যকেও তুলে ধরবে

 


শ্রীপর্ণা ব্যানার্জি অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের জুনিয়র ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.