Published on Mar 12, 2024 Updated 0 Hours ago

২০২৪ সালটি একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত, যা অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই সর্বাঙ্গীন পরিবর্তন দ্বারা চিহ্নিত

পট পরিবর্তন: ২০২৪ সালে নতুন ভূ-রাজনৈতিক পরিসরে পথ খুঁজে নেওয়া

এই প্রতিবেদনটি ‘হোয়াট টু এক্সপেক্ট ইন ২০২৪’ সিরিজের অংশ।

 


আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। ঠান্ডা লড়াইয়ের পর থেকে পৃথিবী সর্বোচ্চ সংখ্যক সামরিক সংঘাতের সম্মুখীন হয়েছে। এই বৃদ্ধি বিশ্বব্যাপী অনুভূত হয়েছে এবং উল্লেখযোগ্য রকম ভাবে প্রতিটি মহাদেশে আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করেছেএ ক্ষেত্রে দুটি বড় দ্বন্দ্ব আরও আধিপত্য বিস্তার করবে: রাশিয়ার হামলার ফলে ইউক্রেনে বিদ্যমান যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষ। এই দ্বন্দ্বগুলির অবসান এখনই ঘটবে না বলে মনে হলেও সম্ভাব্য কূটনৈতিক আলোচনা ২০২৪ সালে প্রথম যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনা হওয়ার লক্ষণ রয়েছে বিশেষ করে চিন এবং রাশিয়ার সমর্থনে আরব দেশগুলি থেকে মধ্যপ্রাচ্যে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপ দেওয়া হচ্ছে। আবার অন্য দিকে ইউক্রেনকে সম্পূর্ণ রূপে অধীনস্থ করার জন্য রাশিয়ার অদম্য উচ্চাকাঙ্ক্ষা ইউরোপীয় মহাদেশের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলবে। কিয়েভের জন্য পশ্চিমীদেতরফে সামরিক সাহায্য আর্থিক সহায়তা হ্রাস এই বছরে মস্কোকে আরও আঞ্চলিক সম্প্রসারণের দিকে চালিত করতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যে এমনকি একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য কূটনৈতিক আলোচনা গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির উপশম করবে না এবং প্যালেস্তাইনিরা আগামী বছরগুলিতে নিজের দেশ পুনর্গঠনের পাহাড়প্রমাণ কাজেই বাধ্য থাকবেন।

সর্বোপরি, ২০২৩ সালটি নাগর্নো-কারাবাখে জাতিগত নির্মূলের একটি ভয়াবহ পর্বকে চিহ্নিত করেছে এবং জাতিগত আর্মেনিয় ছিটমহলে আজারবাইজানের সামরিক পদক্ষেপের কারণে প্রায় এক লক্ষ ২০ হাজার আর্মেনিয় বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যাই হোক, এই বছরে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সম্পর্কের সম্ভাব্য স্বাভাবিকীকরণ ভূ-রাজনীতিতে একটি বিরল ইতিবাচক উন্নয়নের সুযোগ করে দিতে পারে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক পথের জন্য, বিশেষ করে ইরান ও মধ্য এশিয়া হয়ে রাশিয়া পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল নর্থ সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডোর-এর (আইএনএসটিসি) জন্য উপকারী। যদিও রায়েল-হামাস সংঘর্ষের পর উপসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক উত্তেজনা এবং লোহিত সাগরে গ্লোবাল চোকপয়েন্ট বাব-আল-মান্দেবের ব্যাঘাতের কারণে ইন্ডিয়া-মিডল ইস্ট-ইউরোপ করিডোর (আইএমইসি) প্রকল্পটিকে আটকে রাখা হয়েছিল।

উপরন্তু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করতে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিন ও রাশিয়ার তৃতীয় ফ্রন্ট খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে পাওয়ার বিনিময়ে রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে রকেট ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তি সরবরাহ করার বিষয়টি অব্যাহত রাখবে। এ দিকে, চিন দক্ষিণ ও পূর্ব চিন সাগরে সামরিক উত্তেজনাকে তীব্রতর করে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে। এই জটিল প্রেক্ষাপটটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চি রাশিয়াকে সম্পৃক্ত করে একটি ঠান্ডা লড়াই ২.০-র মতো পরিস্থিতির সূচনা ঘটাতে পারে, যেখানে প্রত্যক্ষ সামরিক সংঘর্ষের ঝুঁকি রয়েছে ন্যূনতম ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রযুক্তিগত পরিসর এবং আন্তর্জাতিক প্রশাসন, নিয়ম গুণমানগুলির বিবর্তনকে উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রভাবিত করবে এবং ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্ব জোটগুলির ফের পুনর্নির্মাণ ঘটাবে।

এই প্রেক্ষিতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এবং রাশিয়ার বিরোধপূর্ণ স্বার্থের মধ্যে কৌশলগত ভাবে অবস্থানরত ভারত এই ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি সম্ভাব্য প্রধান সুবিধাভোগী হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে২০২৪ সালের নির্বাচনের পরে অভ্যন্তরীণ এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার উপর ভারতের আরও বেশি করে মনোযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খল বিঘ্নিত হওয়া এবং মার্কিন-চিন পারস্পরিক ডি-কাপলিং বা ঝুঁকিমুক্তকরণের মতো প্রয়াসের মধ্যেভারত পুনঃনির্দেশিত আন্তর্জাতিক পুঁজি, নতুন প্রযুক্তিগত বিনিয়োগ এবং উন্নত বিশ্ব ও আঞ্চলিক অংশীদারিত্বের জন্য একটি প্রধান গন্তব্য হয়ে উঠতে প্রস্তুত। ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্বের পূর্বাভাস এবং স্থিতিশীলতা, পশ্চিম থেকে এবং ব্রিকস ও জি২০-র মতো কাঠামোর মধ্যে বর্ধিত সম্পৃক্ততা নিজের অবস্থানকে সুদৃঢ় করবেযদিও ভারত এই বছর সন্ত্রাসবাদ এবং জলবায়ু-সম্পর্কিত ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে।

 

চিন দক্ষিণ ও পূর্ব চিন সাগরে সামরিক উত্তেজনাকে তীব্রতর করে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে।

 

এর বিপরীতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বর্তমান রূপান্তরে ইউরোপ একটি প্রাথমিক ভূ-রাজনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির সাক্ষী থেকেছে, বিশেষত মহাদেশটিতে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার বিভাজন স্পষ্টতই চিহ্নিত হয়েছে। ২০২২ সালটি ইউরোপের জন্য সবচেয়ে অস্থির সময়ের সূচনা হিসাবে চিহ্নিত এবং এই প্রবণতা জনসংখ্যা, কাঠামো পদ্ধতিগত চ্যালেঞ্জের কারণে ২০২৪ সালেও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি, ইউরোপ ২০২৪ সালের নির্বাচনী চক্রের সময় উচ্চতর রাজনৈতিক মেরুকরণের সম্মুখীন হতে পারে, যা সম্ভাব্য ভাবে ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য রদবদলের পাশাপাশি দক্ষিণ ও বাম… উভয় জনপ্রিয় পন্থার প্রত্যাশিত উত্থানকে চালিত করবে। এই সময়কাল প্রভাবশালী ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রিয়বাদী দলগুলির যুগের একটি নির্দিষ্ট সমাপ্তির ইঙ্গিত দেয়, যা চিরাচরিত ভাবে মধ্যবিত্ত শ্রেণির একটি বড় অংশকে প্রতিনিধিত্ব করে। এই রাজনৈতিক উত্থান পরিস্থিতিতে আরও জটিল করে তুলেছে এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির পাশাপাশি চিনের সঙ্গে জটিল সম্পর্কের কারণে ইউরোপ একটি অবনতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে। এই পতনটি ২০২৪ সালে একটি নতুন আয়রন কার্টেন’-এর উত্থানের সঙ্গে সমাপতিত হয়, যা স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলি থেকে বল্টিক, মধ্য এবং পূর্ব ইউরোপ হয়ে কৃষ্ণসাগর তুর্কিয়ে পর্যন্ত বিস্তৃত এবং তা একটি উল্লেখযোগ্য ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনকে চিহ্নিত করে

এই পরিসরে ‘মধ্য শক্তিবা সুইং স্টেটগুলি (কোনও দলেরই স্থায়ী পক্ষাবলম্বনকারী দেশ নয় যারা) বর্ধিত ভূ-রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা অর্জনের জন্য প্রস্তুত এবং তাদের কৌশলগত অবস্থান, প্রযুক্তিগত দক্ষতা বা গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল বিরল খনিজ পদার্থের ভাণ্ডার হওয়ার দরুন বেশ উত্সাহিত বোধ করছে। মেক্সিকো, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল এবং তুর্কিয়ের মতো দেশগুলি আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের উপস্থিতি বৃদ্ধি করতে প্রস্তুত এবং এই প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটিই আবার গ্লোবাল সাউথ-এ অবস্থিত। ভবিষ্যতের দিকে তাকালে এ কথা স্পষ্ট যে, ২০২৪ সালটি আরও একটি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করবে এবং পাঁচটি প্রধান ভূ-রাজনৈতিক প্রবণতা দ্বারা আকার পাবে। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার বিদ্যমান বিভাজন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যে অপরিবর্তনীয় বিভাজন, যা বিশ্ব অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ শৃঙ্খল চোকপয়েন্টগুলিকে ব্যাহত করতে প্রস্তুত। যে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলির দিকে নজর থাকবে, সেগুলি হল লোহিত সাগর, হরমুজ প্রণালী, মালাক্কা প্রণালী, কৃষ্ণসাগর, তাইওয়ান প্রণালী, পানামা সুয়েজ খাল। এর পাশাপাশি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিনের মধ্যে দোদুল্যমান মধ্যম শক্তিগুলির ভূ-রাজনৈতিক সাযুজ্যতার দরুন কোনও শক্তিই সুস্পষ্ট পক্ষ না নেওয়ার ফলে আন্তর্জাতিক সংস্থা শৃঙ্খলগুলির সমন্বয় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এশিয়ার প্রধান শক্তি, বিশেষ করে চিন ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক তাৎপর্য অর্জন করবে। ২০২৪ সালে দুই দেশের মধ্যেই উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও উভয় দেশই আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে সুনিশ্চিত করার জন্য নিজেদের সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালাবে বলে আশা করা হচ্ছে। শেষ হলেও যা মোটেও অনপেক্ষিত নয়, তা হল ড্রাগনবিয়ার মোডাস ভিভেন্ডির উত্থান, যা আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতিতে চি রাশিয়ার মধ্যে একটি কৌশলগত সমন্বয় এবং ইন্দো-প্যাসিফিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলী পদ্ধতির বিপরীতে এই দুই শক্তির উত্থান ইউরোপের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বকে নিঃসন্দেহে আরও হ্রাস করে দেবে

 

এশিয়ার প্রধান শক্তি, বিশেষ করে চিন ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক তাৎপর্য অর্জন করবে।

 

বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার ব্যাপক আন্তঃসংযোগের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ড্রাগনবিয়ার’-এর মধ্যে ঠান্ডা লড়াই ২.০-এর নযুগ অনেক বেশি প্রত্যাশিত, পরিবর্তনশীল এবং অস্থির হবে বলে মনে করা যেতে পারে। আন্তঃযুদ্ধ সময়ের মতো সমসাময়িক যুগ প্রথম দ্বিতীয় ঠান্ডা লড়াইয়ের মধ্যে একটি নেহাতই সংক্ষিপ্ত অবকাশ বর্তমান সময়টি তার রূপান্তরমূলক প্রকৃতিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর যুগের প্রথম পর্যায়ের প্রতিবিম্বসমতবে নানাবিধ অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও ২০২৪-এর জন্য কিছু আশাবাদও রয়েছে। অর্থাৎ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন এবং রাশিয়ার মধ্যে প্রত্যক্ষ সামরিক সংঘর্ষ হবে না; তাইওয়ানের উপর চিনের সামরিক আক্রমণের ঝুঁকি কম; এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার তরফে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা নেই।

এই ভঙ্গুর আন্তর্জাতিক পরিসরে বিশ্ব ব্যবস্থাকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে, যা মধ্যশক্তির জোট এবং ভারতের মতো উদীয়মান ভূ-রাজনৈতিক শক্তির ফলে কূল পেতে পারে। এমনটা করতে ব্যর্থ হলে বিশ্বসমাজ ভেঙে যেতে পারে, ভূ-রাজনীতি মেরুকৃত হতে পারে এবং অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিভাজন ঘটতে দেখা যেতে পারে। ঠিক লেনিন যেমনটা বলেছিলেন, ‘এমন কিছু দশক আছে, যেখানে কিছুই ঘটে না এবং এমন কয়েকটি সপ্তাহ রয়েছে যেখানে দশক নাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে।’ আজকাল সেই কথাই গভীর ভাবে অনুরণিত হয়। ২০২৪ সাল একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সময়কাল হয়ে উঠতে প্রস্তুত, যা অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই আরও সর্বাত্মক পরিবর্তন দ্বারা চিহ্নিত

 


ভেলিনা চাকারোভা অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ভিজিটিং ফেলো এবং ফেস-এর প্রতিষ্ঠাতা।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.