Author : Akshay Joshi

Published on Jan 08, 2023 Updated 1 Days ago

গৃহহীনতার ক্রমবর্ধমান সমস্যা মোকাবিলায় রাষ্ট্র পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে

শহুরে গৃহহীনদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা

উত্তর ভারতের রাজ্যগুলি শীত ও গ্রীষ্মে চরম আবহাওয়ার সম্মুখীন হয়। শীতকালে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় এবং  গ্রীষ্মকালে অসহনীয় গরমে  শত শত গৃহহীন মানুষ মারা যান। গৃহহীনতার কারণে মৃত্যু গণনা করার সরকারি রেকর্ড নেই। এই পরিসংখ্যানের যুগে এই ঘটনা সংকটের মাত্রাকে ছোট করে দেখায় এবং রাষ্ট্রের উদাসীনতা প্রদর্শন করে।

গৃহহীনতা প্রান্তিকীকরণের সবচেয়ে খারাপ রূপগুলির মধ্যে একটি, কারণ বেশিরভাগ গৃহহীন ব্যক্তি অপুষ্টি ও চরম দারিদ্র্যের শিকার। স্বাস্থ্যসেবা সুবিধার প্রাপ্যতা এবং গৃহহীনদের ক্ষেত্রে তা উপলব্ধ করার অক্ষমতাও একটি বাধা। অত্যধিক চাপের মধ্যে থাকা অনেক ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। এই অবস্থা মাদক ও অ্যালকোহল সেবনের জন্ম দেয়। তাছাড়া এই অবস্থা মাদক অপব্যবহারের একটি অনুকূল পরিস্থিতিও তৈরি করে। এই ধরনের পরিস্থিতি একজন ব্যক্তির হিংসার শিকার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ক্ষেত্রে । কলঙ্ক ও সামাজিক প্রান্তিকীকরণ তাদের অনিশ্চিত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। সংক্ষেপে, গৃহহীনতা একজন ব্যক্তিকে সমস্ত মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করে।

গৃহহীনতার চালক

চরম দারিদ্র্য, অপ্রতুল সাশ্রয়ী আবাসন, উচ্চ মাত্রার অসাম্য ও বৈষম্য হল গৃহহীনতার প্রাথমিক চালক। শহরাঞ্চলে কম মজুরি, উচ্চ ভাড়া এবং জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় অনেককে খাদ্য বা আশ্রয়ের মধ্যে একটি বেছে নিতে বাধ্য করে। কর্মসংস্থানের সুযোগের অভাব অনেক ব্যক্তিকে শহরের দিকে ঠেলে দেয়, যাঁদের মধ্যে অনেকেই রাস্তায় জীবনযাপন করেন।

গৃহহীনতা প্রান্তিকীকরণের সবচেয়ে খারাপ রূপগুলির মধ্যে একটি, কারণ বেশিরভাগ গৃহহীন ব্যক্তি অপুষ্টি ও চরম দারিদ্র্যের শিকার।

পারিবারিক বিবাদ, গার্হস্থ্য অত্যাচার ও মাদকের অপব্যবহার, এবং শারীরিক ও মানসিক হিংসা অনেককে তাঁদের পরিবার থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে।

গৃহহীন ব্যক্তিদের অধিকার

ভারতীয় সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদ জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে মর্যাদাপূর্ণ আশ্রয়ের অধিকার জীবনের অধিকারের অংশ। এটি রাষ্ট্রকে আবাসন দেওয়ার দায়িত্ব অর্পণ করে। মানুষের আশ্রয়ের সুযোগ থাকলে গৃহহীনতার কারণজনিত বঞ্চনা এড়ানো সম্ভব। গৃহহীনতা নাগরিকদের পর্যাপ্ত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রদানে রাষ্ট্রের ব্যর্থতাকে তুলে ধরে।

ভারত সরকার ২০২২ সালের মধ্যে সকলের জন্য আবাসনের পরিকল্পনা করেছে, এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে নীতি এবং উপ–প্রকল্প তৈরি করেছে। গৃহহীন সমস্ত মানুষকে আবাসন না–দেওয়া পর্যন্ত সকলের জন্য আবাসন প্রদানের সরকারি লক্ষ্য অর্জিত হবে না।

শহুরে গৃহহীনদের জন্য আশ্রয় (‌এসইউএইচ)‌

নাম থেকে স্পষ্ট এই প্রকল্পটি শহুরে দরিদ্রদের আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করে। এসইউএইচ হল দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা–জাতীয় শহুরে জীবিকা মিশন (ডিএওয়াই–এনইউএলএম) এর অধীনে একটি উপ–প্রকল্প। এর নির্দেশিকা নিম্নলিখিত বিধানগুলি উল্লেখ করে:

১। সমস্ত ঋতুর উপযোগী স্থায়ী আশ্রয় ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।

২। প্রতি ১ লাখ জনসংখ্যার জন্য কমপক্ষে ১০০ জনের জন্য স্থায়ী কমিউনিটি সেন্টার।

৩। স্থানীয় অবস্থার উপর নির্ভর করে প্রত্যেকটিতে ৫০–১০০ জন লোককে জায়গা দেওয়া উচিত।

এসইউএইচ প্রকল্পের অগ্রগতি*

আশ্রয়স্থলের সংখ্যা আশ্রয়স্থলের ক্ষমতা শেল্টার ম্যানেজমেন্ট কমিটির গঠন শেল্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির প্রশিক্ষণ সিসিটিভি ক্যামেরা বসেছে
২৪৬২ ১২৪৪৯৮

১৪১৭

(৫৭.৫%)

১০৯৬

(৪৪.৫%

১৩৭১

(৫৫.৬%)

সূত্র: দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা–জাতীয় শহুরে জীবিকা মিশন (ডিএওয়াই–এনইউএলএম), আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রক- – সেপ্টেম্বর ২০২২

*এতে এনইউএলএম ও নন–এনইউএলএম আশ্রয়স্থল অন্তর্ভুক্ত

সমস্যার আয়তন

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুমান করেছিল যে প্রায় ১৭.৭ লক্ষ মানুষ গৃহহীন, যদিও আদমশুমারি সমগ্র গৃহহীন জনসংখ্যাকে ধরতে ব্যর্থ হয়েছিল। তাছাড়া যেহেতু প্রতি ১০ বছর অন্তর আদমশুমারি হয়, তাই এই তথ্যটি এক দশকের পুরনো। সুপ্রিম কোর্টের কমিশনারদের মতে শহুরে জনসংখ্যার ১ শতাংশ গৃহহীন,, এবং এমন জনসংখ্যা ~৩৭ লক্ষ। আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রক ২০১৯ সালে শহুরে গৃহহীনদের চিহ্নিত করার জন্য একটি তৃতীয় পাক্ষিক সমীক্ষা চালায়। এটি অনুমান করে যে প্রায় ২৩.৯৩ লক্ষ মানুষ গৃহহীন। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও কোভিড–১৯ অতিমারি গৃহহীন জনসংখ্যার বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করেছে। সর্বাধিক সংখ্যক গৃহহীন জনসংখ্যার পাঁচটি রাজ্য নিম্নরূপ:

ক্রমাঙ্ক রাজ্য/ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল শহুরে গৃহহীনদের সংখ্যা
 রাজস্থান ৩৯,৫১২
গুজরাট ৩৫,২৯৩
উত্তরপ্রদেশ ২৮,৪০৯
মহারাষ্ট্র ২১,৮৮২
হরিয়ানা ১৯,০১৫

সূত্র: আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রক

যাই হোক, শহুরে গৃহহীন প্রকল্পের অধীনে আশ্রয়কেন্দ্রের বর্তমান ক্ষমতা মাত্র ১.২ লক্ষ, যা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। এর উপর লিঙ্গভিত্তিক ক্ষমতা বিশ্লেষণ দেখায় যে পুরুষদের তুলনায় নারীদের আশ্রয়কেন্দ্রের সুযোগ নেওয়ার ক্ষমতা অত্যন্ত কম। একজন গৃহহীন নারীর জন্য আশ্রয় পাওয়া কঠিন কাজ।

সর্বোচ্চ ক্ষমতা সহ শীর্ষ ‌১০ রাজ্য। সূত্র:‌ দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা–জাতীয় নগর জীবিকা মিশন (ডিএওয়াই–এনইউএলএম), আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রক- – সেপ্টেম্বর ২০২২

২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের প্যানেল দেখেছে যে রাজ্য সরকারগুলি গৃহহীন প্রকল্পের জন্য ধার্য তহবিলের ৫০ শতাংশ ব্যবহার করেনি। রাষ্ট্রীয় তহবিলের অব্যবহার এখনও প্রকল্প বাস্তবায়নে একটি উল্লেখযোগ্য বাধা। এর পরে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল একটি রাজ্যস্তরের মনিটরিং কমিটি গঠন করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত এই বিষয়টি নিশ্চিত করা যে রাজ্য সরকারগুলি সমস্ত তহবিল পাওয়ার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত।

আশ্রয়কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা

আশ্রয়কেন্দ্রের সর্বজনীন ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও অনেক গৃহহীন মানুষ তা ব্যবহার করতে বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হন। এর মধ্যে রয়েছে:

১। গৃহহীনদের বেশিরভাগই অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতিতে কাজ করেন এবং তাঁদের ভোটার আইডি, আধার কার্ড ইত্যাদির মতো প্রয়োজনীয় নথির অভাব রয়েছে, যা তাঁদের শহর প্রশাসনের চোখে ‘‌অদৃশ্য’‌ করে তোলে এবং তাঁদের কণ্ঠস্বর শোনা যায় না। যেমন, চণ্ডীগড় মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন পরিচালিত ২০১৯ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ৪৯ শতাংশ গৃহহীনের কোনও শনাক্তকরণ নথি নেই। এঁদের সাধারণত শহরের জীবনের উপদ্রব হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বর্তমান প্রকল্পের নির্দেশিকাগুলি কাউকে বাদ দেওয়ার কথা বলে না। অতএব অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শহরের উপর গৃহহীন মানুষের অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হল গৃহহীনতার সমস্যা সমাধানের প্রথম পদক্ষেপ।

২। আশ্রয়ের অবস্থান, প্রবেশের ফি এবং যাচাইয়ের জন্য শনাক্তকরণ প্রমাণের মতো স্থানীয় সমস্যার কারণে গৃহহীন লোকেরা সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রবেশ–স্তরের বাধার সম্মুখীন হয়। খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ও জীবিকার সুযোগ বেশিরভাগ গৃহহীন মানুষের  জন্য একটি দূরের স্বপ্ন থেকে গেছে।

৩। গৃহহীন মানুষের জন্য সুযোগের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব স্থানীয় নগর সংস্থাগুলির উপর বর্তায়। গৃহহীন জনসংখ্যা নির্ধারণ করার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সমীক্ষা চালাতে হবে। নগরভিত্তিক সমীক্ষাগুলিতে বর্তমান অবস্থার উল্লেখ থাকা দরকার। এই সময়ের দাবি হল শহরভিত্তিক সমীক্ষার অগ্রগতির দৃশ্যমানতা নিশ্চিত করা, এবং সব শহরজুড়ে রূপায়িত করা।

আশ্রয়কেন্দ্রের বর্তমান অবস্থা

প্রকল্প নির্দেশিকা অনুসারে, একটি আশ্রয়ে নিম্নলিখিত দিকগুলি প্রয়োজন:

১। জলের ব্যবস্থা
২। রান্নার জায়গা ও শিশুদের যত্নের সুবিধা
৩। সঠিক আলো ও বায়ুচলাচল
৪। স্নান ও টয়লেটের ব্যবস্থা
৫। বিনোদনের স্থান
৬। অগ্নি সুরক্ষা যন্ত্র
৭। কীটপতঙ্গ প্রশমন ব্যবস্থা
৮। বিছানাপত্র
৯। প্রাথমিক চিকিৎসার উপকরণ
১০। অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ

উপরের সমস্ত উপাদানগুলি গৃহহীন ব্যক্তিদের বিশেষ চাহিদা বিবেচনা করে তৈরি করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের আশ্রয়কেন্দ্রগুলি নিয়ে ২০১৮ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ, রেফারেল সিস্টেম কুকিং এবং শিশু যত্নের সুবিধাগুলি আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাসকারী লোকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ যাই হোক, এই সুবিধাগুলি সাধারণত থাকে না। সমীক্ষাটি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রদত্ত সুবিধার নিম্ন মানেরও বিষয়টিও তুলে ধরে। ২০১৭ সালে অনুরূপ একটি সমীক্ষায় মান–সংক্রান্ত উদ্বেগ উত্থাপিত হয়েছিল, এবং বলা হয়েছিল যে মাত্র কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে অন্যান্য প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্তির সুবিধা রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে প্রদত্ত পরিষেবার গুণমান একটি উপেক্ষিত দিক, যে বিষয়ে জরুরি মনোযোগ প্রয়োজন।

উত্তরপ্রদেশের আশ্রয়কেন্দ্রগুলি নিয়ে ২০১৮ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ, রেফারেল সিস্টেম কুকিং এবং শিশু যত্নের সুবিধাগুলি আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাসকারী লোকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷

শেল্টার ম্যানেজমেন্ট কমিটি (এসএমসি) শহর পর্যায়ে আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনা করে। স্থানীয় পর্যায়ে সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধান নিশ্চিত করার জন্য কমিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মাত্র ৫৭.৫ শতাংশ আশ্রয়কেন্দ্র এসএমসি–র আওতাভুক্ত। তার উপর আবার এসএমসি সদস্যদের ৫৫.‌৫ শতাংশর এখনও প্রশিক্ষণ হয়নি।

ইউএলবি–র ক্ষমতায়ন

উপরোক্ত শর্তগুলি ৭৪তম সংবিধান সংশোধনী আইন বাস্তবায়নের আরও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়টিকেও তুলে ধরে, যা শাসনের বিকেন্দ্রীকরণে সহায়তা করেছিল। স্থানীয় সংস্থাগুলির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার দায়িত্ব ছিল রাজ্য সরকারের। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শহুরে স্থানীয় সংস্থাগুলি (ইউএলবি) রাজ্য সরকারের অনুষঙ্গ। প্যারাস্টেটাল সংস্থাসমূহ, যেমন হাউজিং বোর্ডগুলি, পৌরসভার মূল কার্য সম্পাদন করে। ইউএলবি–গুলি তহবিল, কার্যাবলি ও কার্যকারিতার জন্য রাজ্য সরকারগুলির উপর নির্ভরশীল, আর সেই কারণে ইউএলবি–গুলির মূল কাজগুলি সম্পাদন করার ক্ষমতা হ্রাস পায়, যার মধ্যে জনসাধারণের আশ্রয়কেন্দ্রগুলির রক্ষণাবেক্ষণও রয়েছে৷

রাজ্য সরকারগুলিকে অবশ্যই ৭৪তম সংবিধান সংশোধনীকে তার মূল ভাবনায় বাস্তবায়ন করতে হবে। এটির বাস্তবায়ন ইউএলবি–গুলির ক্ষমতায়ন করবে, যা তখন সমস্ত আশ্রয়কেন্দ্রকে এসএমসি–এর আওতায় আনতে পারে এবং স্থানীয় সমস্যাগুলি মোকাবিলা করার জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দিতে পারে। ইউএলবি এবং এসএমসি–কে শক্তিশালী করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা গৃহহীন মানুষের শনাক্তকরণ প্রমাণ সহ মৌলিক চাহিদাগুলি পূরণের প্রস্তুতি ও প্রাপ্তিতে সহায়তা করতে পারে। এটি গৃহহীনদের সুবিধাগুলি সুরক্ষিত করতে এবং বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পগুলির সঙ্গে সংযুক্তির নিশ্চয়তা দিতে সাহায্য করতে পারে। এইভাবে তারা হিংসা ও বর্জনের মতো গভীর মূল সমস্যাগুলিরও সমাধান করতে পারে।

ইউএলবি–গুলি তহবিল, কার্যাবলি ও কার্যকারিতার জন্য রাজ্য সরকারগুলির উপর নির্ভরশীল, আর সেই কারণে ইউএলবি–গুলির মূল কাজগুলি সম্পাদন করার ক্ষমতা হ্রাস পায়, যার মধ্যে জনসাধারণের আশ্রয়কেন্দ্রগুলির রক্ষণাবেক্ষণও রয়েছে৷

উপসংহার

গৃহহীনদের আওতাভুক্ত না–করলে সকলের জন্য আবাসন প্রদানের লক্ষ্য অনেক দূরের স্বপ্নই থেকে যাবে। গৃহহীনদের আশ্রয় দেওয়া সামগ্রিক আবাসন ধারাবাহিকতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র। শাসনের বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারগুলিকে পৌর সংস্থাগুলির ক্ষমতায়ন করতে হবে। সবচেয়ে অরক্ষিত মানুষের চাহিদাগুলির মোকাবিলা করতে ইউএলবি, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারগুলির একযোগে ও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ  করা অত্যাবশ্যক৷ গৃহহীন জনসংখ্যা একটি বহুমাত্রিক বঞ্চনার মুখোমুখি হয়, যা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পুনরুদ্ধার সহায়তা পরিষেবার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে। এই সময়ের দাবি হল এসইউএইচ প্রকল্পের অধীনে গুণমানের পরিমাপ সংশোধন করা এবং আশ্রয়কেন্দ্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.