সামুদ্রিক নিরাপত্তা ধারণাগতভাবে জটিল ও আন্তঃবিভাগীয়। সামুদ্রিক বাণিজ্য ও সংযোগের কারণে দেশগুলি সামুদ্রিক পরিসরে ক্রমবর্ধিত মনোযোগ দিয়েছে, এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলি প্রশমনের প্রস্তুতিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি অগ্রাধিকার হিসাবে অনুসরণ করেছে। যাই হোক, সামুদ্রিক নিরাপত্তা বলতে শুধুমাত্র সামুদ্রিক পরিসর সুরক্ষিত করা বোঝায় না। সামুদ্রিক ভূগোল হল আন্তঃবিভাগীয় স্থান, যেখানে ক্রমশ বেশি আন্তঃসংযোগ তৈরি হচ্ছে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানিক পরিসরের সঙ্গে, যেমন ভূখণ্ডগত পরিসর, মেরু অঞ্চল, দূর মহাকাশ, এবং সমুদ্রের নিচের পরিসর। অতএব, এই পরিসরের নিরাপত্তার সঙ্গে সামুদ্রিক নিরাপত্তার একটি উল্লেখযোগ্য সমাপতন রয়েছে।
সমুদ্রের নিচের পরিসরটি ক্রমবর্ধমানভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসাবে বিকশিত হয়েছে, যা সামুদ্রিক নিরাপত্তা চিন্তার উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। এই আলোকে, সমুদ্রের তলদেশে পরিকাঠামোর সুরক্ষা সামুদ্রিক নিরাপত্তার বৃহত্তর চিন্তাধারায় একটি প্রধান অগ্রাধিকার বলে মনে হয়। প্রশ্ন হল, সমুদ্রের নিচের পরিকাঠামো বলতে কী বোঝায়? সহজ কথায়, সমুদ্রের তলদেশের পরিকাঠামো বলতে বোঝায় সমুদ্রের তলদেশে স্থাপন করা বা নোঙ্গর করা যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি, যেমন টেলিযোগাযোগের জন্য কেবল অথবা পাওয়ার ট্রান্সমিশন বা বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য সরঞ্জাম। একটি ক্রমবর্ধমানভাবে বিশ্বায়িত বিশ্বে ডিজিটাল যোগাযোগ ও শক্তি সুরক্ষার উপর বর্ধিত নির্ভরতার সময় সমুদ্রতলের পরিকাঠামোর গুরুত্ব স্পষ্ট। এই ধরনের পরিকাঠামো আধুনিক ডিজিটাল যোগাযোগের ভিত্তি হিসাবে কাজ করে।
সমুদ্রের নিচের পরিসরটি ক্রমবর্ধমানভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসাবে বিকশিত হয়েছে, যা সামুদ্রিক নিরাপত্তা চিন্তার উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। এই আলোকে, সমুদ্রের তলদেশে পরিকাঠামোর সুরক্ষা সামুদ্রিক নিরাপত্তার বৃহত্তর চিন্তাধারায় একটি প্রধান অগ্রাধিকার বলে মনে হয়।
তর্কাতীতভাবে, ইউরোপের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সমুদ্রের নিচের পরিকাঠামোকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। ন্যাটোর অ্যালায়েড মেরিটাইম কমান্ডের (মার্কম) ডেপুটি কমান্ডার ভাইস অ্যাডমিরাল দিদিয়ের ম্যালেটের-এর রিপোর্টের পর সমুদ্রের তলদেশের পরিকাঠামো সুরক্ষিত করার প্রয়োজনীয়তা সম্প্রতি আরও গুরুত্ব পেয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, রাশিয়ার 'হাইব্রিড ওয়ারফেয়ার' পশ্চিমের জলের নিচের পরিকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে, যার ফলে এই সম্পদগুলির অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ধারণাটি অনুসরণ করে ন্যাটো একটি নতুন মেরিটাইম সেন্টার ফর সিকিউরিটি অফ ক্রিটিকাল আন্ডারসি ইনফ্রাস্ট্রাকচার চালু করেছে। এটি একটি নেটওয়ার্কিং ও জ্ঞান কেন্দ্র যা সমুদ্রের তলদেশের গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এই নতুন কেন্দ্রটির দায়িত্ব সমুদ্রের তলদেশের পরিকাঠামোর উপর আগ্রাসন নিরীক্ষণ ও তা প্রতিরোধ করার জন্য বাহিনীগুলির সমন্বয় ও মোতায়েনে ন্যাটোর মার্কমকে সহায়তা করা৷
এটি সামুদ্রিক নিরাপত্তার পরিবর্তনশীল প্রকৃতির উপর বিস্তৃত নজর দেওয়ার প্রয়োজন তুলে ধরে। সমুদ্রবাহিত বাণিজ্য ও সংযোগের উপর রাষ্ট্রগুলির ক্রমবর্ধমান নির্ভরতার কারণে সামুদ্রিক পরিসরটি ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার একটি প্রধান স্থান হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তার ফলে সমুদ্রে সম্পদ সুরক্ষিত করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। এই সম্পদগুলিকে বিস্তৃতভাবে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে: প্রথমটি হল চলমান সম্পদ, যেমন নৌযান, জাহাজ, সাবমেরিন ইত্যাদি। দ্বিতীয়টি হল অনড় সম্পদ, যেমন দ্বীপের উপর নিয়ন্ত্রণ, বন্দর, সমুদ্রে সামরিক সুবিধা ইত্যাদি। সমুদ্রের নিচের গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। সমুদ্রতলের উপর দিয়ে বিছানো কেবলগুলিকে ক্রমবর্ধমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসাবে দেখা হচ্ছে, যেগুলির ক্রমশ বাড়তে থাকা হুমকির কারণে সুরক্ষা প্রয়োজন। সামুদ্রিক পরিসর ক্রমবর্ধমান ভাবে একটি অস্থির স্থান হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি দেখিয়েছে যে কীভাবে রাষ্ট্রগুলিকে আরো বেশি করে সমুদ্রের চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করতে হচ্ছে, যা এমন সম্পদ ধ্বংসের ঝুঁকি বয়ে এনেছে যা তাদের জাতীয় স্বার্থের চাবিকাঠি। এই আগ্রাসনগুলি পুরনো ও অপ্রথাগত উভয় ধরনের খেলোয়াড়দের থেকে ঝুঁকি বহন করে। যদিও এটা সত্য যে সমুদ্রের তলদেশের পরিকাঠামো ধ্বংসের জন্য আধুনিক ও সূক্ষ্ম অস্ত্রের প্রয়োজন, যা সাধারণত রাষ্ট্রীয় খেলোয়াড়দের কাছে থাকে, তবু অ-রাষ্ট্রীয় খেলোয়াড়দের সম্ভাব্য হুমকিগুলিকে ধর্তব্যের বাইরে রাখা উচিত নয়। লোহিত সাগরের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি প্রমাণ করেছে যে, সমুদ্রের অপ্রচলিত খেলোয়াড়েরা — যেমন জলদস্যু ও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি — আধুনিক ও অত্যাধুনিক অস্ত্রসহ রাষ্ট্রগুলির জন্য প্রক্সি হিসাবে কাজ করছে। এটি সমুদ্রের তলদেশের পরিকাঠামোর ঝুঁকিকে আরও জটিল করে তুলেছে। গুরুত্বপূর্ণভাবে, সমুদ্রের তলদেশে পরিকাঠামোগত সম্পদ সব রাষ্ট্রের কাজে লাগে। সমুদ্রের তলদেশে থাকা কেবলগুলি সংযোগ ও শক্তি সম্পদের প্রাপ্যতা সহজতর করতে সহায়তা করে। এগুলি দ্বীপরাষ্ট্রগুলির জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যেগুলি প্রায়শই ডিজিটাল যোগাযোগের জন্য উল্লেখযোগ্যভাবে এই সম্পদগুলির উপর নির্ভরশীল। অতএব, এই ধরনের সম্পদের অংশীদারদের পরিধি বিশাল ও বিস্তৃত। এইভাবে, এই সম্পদগুলির সুরক্ষা সমস্ত রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সমুদ্রবাহিত বাণিজ্য ও সংযোগের উপর রাষ্ট্রগুলির ক্রমবর্ধমান নির্ভরতার কারণে সামুদ্রিক পরিসরটি ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার একটি প্রধান স্থান হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তার ফলে সমুদ্রে সম্পদ সুরক্ষিত করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
এর পরেই আসে এই প্রশ্ন: কীভাবে সমুদ্রের নিচের গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়? এর জন্য সমুদ্রের তলদেশের পরিকাঠামোর উপর হুমকির প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিরোধের উপায় দ্বারা চালিত একটি পদ্ধতির প্রয়োজন। সমুদ্রের নিচের গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো সুরক্ষিত করার জন্য ন্যাটোর দৃষ্টিভঙ্গিতেও এটি তুলে ধরা হয়েছে। এর জন্য রাষ্ট্রগুলিকে সামুদ্রিক নিরাপত্তার প্রযুক্তিগত মান বাড়ানো, নৌবাহিনীর মধ্যে আন্তঃকার্যক্ষমতা সহজতর করা, এবং তথ্য প্রচারে সমন্বয় তৈরির দিকে কাজ করার লক্ষ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা করতে হবে। এই লক্ষ্যে, মূল অংশীদারদের সম্পৃক্ততা সর্বাধিক করা প্রয়োজন। এখানে ছোট রাষ্ট্র এবং বড় শক্তিগুলিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ছোট রাষ্ট্রগুলি তাদের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সমুদ্রের নীচে গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো সুরক্ষিত করার প্রচেষ্টায় অবদান রাখতে পারে, এবং বড় শক্তিগুলি প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ভাগ করে অবদান রাখতে পারে। এর জন্য, দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরিসর যেগুলির দিকে গুরুত্বপূর্ণ মনোযোগ প্রয়োজন তা হল তথ্য আদান-প্রদান এবং দূর সমুদ্রে টহলদারি। সমুদ্রের তলদেশের পরিকাঠামোগত সম্পদ সুরক্ষিত করার প্রচেষ্টায় বিনিয়োগ করার ক্ষমতা ও প্রযুক্তিগত প্রসার রয়েছে এমন প্রধান শক্তিগুলিকে এই পরিসরে বর্ধিত মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে হবে।
সমুদ্রের তলদেশের পরিকাঠামোর উপর হুমকির প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিরোধের উপায় দ্বারা চালিত একটি পদ্ধতির প্রয়োজন।
ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রেক্ষাপটে সমুদ্রের তলদেশে গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোর বিঘ্নের চ্যালেঞ্জ অনেক বড়। চিনের ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক নৌ-অগ্রগতি ও ভঙ্গির কারণে ইন্দো-প্যাসিফিক নানাভাবে ভূ-রাজনৈতিক ও কৌশলগত প্রতিযোগিতার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। চিন ও ফিলিপিনসের মতো এই অঞ্চলের অন্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে নৌ-সংঘাতের ক্রমবর্ধমান দৃষ্টান্তগুলি সমুদ্রকে সুরক্ষিত করার প্রচেষ্টায় গতি আনার প্রয়োজনীয়তা প্রদর্শন করে। অন্যদিকে, জলদস্যু হামলার ক্রমবর্ধমান ঘটনার কারণে পশ্চিম ভারত মহাসাগর স্পটলাইটে ফিরে এসেছে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সামুদ্রিক নিরাপত্তা স্থাপত্যটি মূলত খণ্ডিত রয়ে গিয়েছে, কারণ রাষ্ট্রগুলি নৌ-নিরাপত্তার উপ-আঞ্চলিক ক্ষুদ্রপাক্ষিক উদ্যোগের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। সমুদ্রের তলদেশে গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোর সুরক্ষা ও নিরাপত্তার উপর ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলা করার জন্য কিন্তু অংশীদারদের একটি বৃহত্তর সম্মিলিত স্তরে প্রচেষ্টাকে গভীর ও প্রসারিত করতে হবে। ইন্দো-প্যাসিফিক ভূগোলে বড় শক্তির পাশাপাশি ছোট রাষ্ট্র রয়েছে, এবং উভয়কেই তাদের শক্তি নিরাপত্তা ও সংযোগের স্বার্থ পূরণের জন্য সমুদ্রের তলদেশের পরিকাঠামো সুরক্ষার সমন্বয় বাড়াতে হবে। এই প্রেক্ষাপটে ভারতের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্রের তলদেশে পরিকাঠামোর সুরক্ষায় নয়াদিল্লির অংশীদারি অত্যাবশ্যক, কারণ এসসিএস এবং সেইসঙ্গে পশ্চিম ভারত মহাসাগর-সহ বিঘ্নিত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা এই ধরনের সম্পদের আবাসন অঞ্চলে এর মূল স্বার্থ নিহিত রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, সমুদ্রের তলদেশে পরিকাঠামো সুরক্ষিত করার প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করার জন্য ভারত উপযুক্ত অবস্থানে আছে। ভারতের ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ইনফরমেশন ফিউশন সেন্টার—ইন্ডিয়ান ওশন রিজিয়ন সামুদ্রিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য প্রচার ও সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। সমুদ্রের তলদেশে গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোর নিরাপত্তার মতো সামুদ্রিক নিরাপত্তার উদীয়মান মাত্রার সঙ্গে এই ধরনের কেন্দ্রগুলির পরিধি প্রসারিত করা অপরিহার্য।
যাই হোক, এটি সামুদ্রিক নিরাপত্তা চিন্তার একটি বিস্তৃত পরিবর্তনের পরেই বাস্তবায়িত হতে পারে। সমুদ্রের নিরাপত্তার ধারণা প্রায়ই দূর সমুদ্রের একক প্রিজমের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু ক্রমবর্ধমানভাবে নতুন পরিসরগুলি বিকশিত হয়েছে, যা সামুদ্রিক নিরাপত্তা স্থাপত্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ। এটি সমুদ্রসীমার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আন্তঃসংযোগের উত্থানের ফলে সবচেয়ে স্পষ্ট হয়, যেমন বাইরের মহাকাশ, মেরু অঞ্চল ও সেইসঙ্গে সমুদ্রের তলদেশের পরিকাঠামো। সামুদ্রিক নিরাপত্তাকে যেভাবে দেখা হত, তাতে এই অত্যাবশ্যক দিকগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি সামূহিক পরিবর্তন প্রয়োজন। সামুদ্রিক পরিসরে উদ্ভূত হুমকি আর শুধু নৌ-সম্পদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, টেলিকমিউনিকেশন ও পাওয়ার ট্রান্সমিশন কেবলের মতো সমুদ্রের নিচের পরিকাঠামোও তার অন্তর্ভুক্ত। এই ধরনের সম্পদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার উপর উল্লেখযোগ্য জোর দেওয়া প্রয়োজন। এর জন্য, এই ধরনের সম্পদের নিরীক্ষণ বাড়ানোর প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ এবং এইভাবে তথ্য প্রচার ও টহলদারির জন্য একটি সমন্বিত পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
সায়ন্তন হালদার অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের গবেষণা সহকারী।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.