মায়ানমারে হুন্তা কর্তৃক নিয়োগ আইন পুনঃস্থাপনকে অনেকে ক্ষমতার রাশ ক্রমশ দুর্বল হওয়ার লক্ষণ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছেন। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পরে সেনাবাহিনী এবং গণতন্ত্রপন্থী দলগুলির মধ্যে সংঘর্ষ, তার পরবর্তী সময়ে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি যোগ দেওয়ার দরুন অঞ্চল, অর্থনৈতিক পরিসর এবং কর্মীদের উপর প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ খর্ব হয়েছে।
হুন্তা বাহিনী ক্রমশ উল্লেখযোগ্য রকমের হ্রাস পেয়েছে। ২০২১ সালের প্রথম দিকে হুন্তা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ১,৫০,০০০ বলে অনুমান করা হলেও ২০২৩ সালের শেষের দিকে তা হ্রাস পেয়ে ১৩০০০০-এ এসে দাঁড়িয়েছে। ভুল রিপোর্টিং এই পরিসংখ্যানগুলিকে চালিত করেছে এবং নেতৃত্বের মধ্যে আত্মতুষ্টির অনুভূতি তৈরি করেছে। যাই হোক, বিশেষ করে অপারেশন ১০২৭-এর পরে ক্রমাগত পরাজয় প্রশাসনকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বাধ্য করেছে। জীবন, সম্পদ এবং প্রভাবের ক্ষয়ক্ষতি সামরিক সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে এবং সদস্যদের অনেকেই ভারত ও তাইল্যান্ডের মতো প্রতিবেশী দেশে চলে গিয়েছেন।
এই চ্যালেঞ্জগুলির প্রতিক্রিয়া হিসাবে সামরিক বাহিনী ২০১০ সালের পিপলস মিলিটারি সার্ভিস ল-র অধীনে নিয়োগের পূর্ববর্তী কৌশল গ্রহণ করেছে, যা দেশের যুবকদের মধ্যে ভয় ও বিরক্তির উদ্রেক করেছে। এপ্রিল মাসে প্রয়োগ করা আইনটি ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী পুরুষদের এবং ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী মহিলাদের দু’বছরের জন্য সামরিক বাহিনীতে চাকরি করার বিষয়টিকে বাধ্যতামূলক করেছে। পেশাগত ভাবে কেউ চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত থাকলে বাধ্যতামূলক ভাবে তিন বছর সামরিক বাহিনীতে কর্মরত থাকতে হবে, এমন আইনও পাশ করা হয়েছে।
ভুল রিপোর্টিং এই পরিসংখ্যানগুলিকে চালিত করেছে এবং নেতৃত্বের মধ্যে আত্মতুষ্টির অনুভূতি তৈরি করেছে। যাই হোক, বিশেষ করে অপারেশন ১০২৭-এর পরে ক্রমাগত পরাজয় প্রশাসনকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বাধ্য করেছে।
প্রশাসনের উদ্দেশ্য হল হতাশ সৈন্যদের মনোবল উন্নত করার জন্য বার্ষিক ৬০০০০ জন মানুষ নিয়োগ করা। কারণ সৈন্যরা নিজেদের ঘাঁটির মধ্যেও অরক্ষিত বোধ করছেন। এই উদ্যোগ আসলে পরিস্থিতির জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য ও নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য শাসনব্যবস্থা কত দূর যেতে পারে, সেই বিষয়কেই দর্শায়।
কেউ আইন অনুযায়ী এই নিয়োগ এড়ালে তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং জরিমানা হতে পারে। ধর্মীয় আদেশের সঙ্গে সংযুক্ত সদস্যদের ছাড় দেওয়া হয় এবং বেসামরিক কর্মচারী, ছাত্র এবং গুরুতর স্বাস্থ্যগত অবস্থায় থাকা মানুষদের সাময়িক ছাড় প্রদান করা যেতে পারে। এই ছাড় থাকা সত্ত্বেও বলপূর্বক নিয়োগ, অনিচ্ছাকৃত নিয়োগের রিপোর্ট এবং অভিযোগ ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, বিশেষ করে জাতিগত সংখ্যালঘু অঞ্চলে এমনটা ঘটছে, যেখানে সশস্ত্র সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের নিয়োগ
সেনাবাহিনী দ্বারা নিযুক্ত একটি সন্দেহজনক কৌশল হল রোহিঙ্গা ব্যক্তিদের নিয়োগ করা, যাঁরা ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনের অধীনে নাগরিকত্বের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। হাস্যকর ভাবে, নিয়োগ আইন একচেটিয়া ভাবে রাষ্ট্রহীন সম্প্রদায় বাদ দিয়ে দেশের নাগরিকদের সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রাথমিক ভাবে, সামরিক সরকার দাবি করেছিল যে, রোহিঙ্গাদের নিয়োগের আওতায় আনা হলেও অন্যান্য নাগরিকের মতো তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। যাই হোক, নানাবিধ ভিডিয়ো এবং প্রমাণ দর্শায় যে, রোহিঙ্গাদের অন্যান্য নাগরিকের সঙ্গেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের সাক্ষ্য অনুসারে, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মায়ানমারের সামরিক বাহিনী কিয়াউকফিউ, সিটওয়ে, মংডু এবং বুথিডুয়াং শহরে বাস্তুচ্যুতদের শিবির থেকে ১০০০-এরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম পুরুষ এবং ছেলেদের বলপূর্বক নিয়োগ করেছে এবং এই সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিবার এবং ভুক্তভোগীদের রাতের অভিযানের সময় আটক করা হয়েছে, নাগরিকত্বের অধিকার ও চলাফেরার স্বাধীনতার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে এবং তাঁরা প্রতিরোধ করা বা পালানোর চেষ্টা করলে গ্রেফতার, অপহরণ এবং শারীরিক নির্যাতনের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এই জবরদস্তিমূলক কৌশলগুলিকে কাজে লাগানোর পর সামরিক বাহিনী বাস্তুচ্যুত যুবকদের মোতায়েন করার আগে দু’সপ্তাহ স্থায়ী অবমাননাকর প্রশিক্ষণ নিতে বাধ্য করে। হুন্তা এবং আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বের সামনে প্রথম সারিতে দাঁড়াতে অনেককে বাধ্য করা হয়, যার ফলে অসংখ্য হতাহতের ঘটনা ঘটে। এই ভাবে রাষ্ট্রহীন পুরুষ এবং ছেলেদের সামরিক প্রয়োজনে মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
পরিবার এবং ভুক্তভোগীদের রাতের অভিযানের সময় আটক করা হয়েছে, নাগরিকত্বের অধিকার ও চলাফেরার স্বাধীনতার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে এবং তাঁরা প্রতিরোধ করার বা পালানোর চেষ্টা করলে গ্রেফতার, অপহরণ এবং শারীরিক নির্যাতনের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর সামরিক হুন্তার জবরদস্তি ও ভয়ভীতি ছাড়াও এএ বাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গাদের উপরে চাঁদাবাজি এবং তাঁদের লক্ষ্য করে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। এএ রোহিঙ্গা বেসামরিকদের লক্ষ্য করে হত্যার এই অভিযোগগুলি অস্বীকার করে নিলেও সেখানে রোহিঙ্গা এবং অন্য জাতিগত সম্প্রদায়গুলিকে তাদের নিরাপত্তার জন্য বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সমর্থন করার বিষয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে বিস্তৃত রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। এ কথাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, এএ যোদ্ধারা প্রায়শই রোহিঙ্গা গ্রামে অনুপ্রবেশ করে, যা পরবর্তী কালে হুন্তাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। ফলস্বরূপ, বাস্তুচ্যুত সম্প্রদায় প্রায়শই দুই দলের সংঘর্ষের মুখে অরক্ষিত হয়ে পড়েন।
বাংলাদেশ শিবিরের মধ্য থেকেও নিয়োগ
বাংলাদেশ বর্তমানে ২০১৭ সালে সামরিক হামলা থেকে পালিয়ে আসা ১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা পুরুষ, মহিলা এবং শিশুদের আশ্রয় দিয়েছে। যত দিন না তাঁদের সম্পূর্ণ নাগরিকত্বের অধিকার দিয়ে মায়ানমারে প্রত্যাবাসন করা হয়, তত দিন পর্যন্ত তাঁরা কক্সবাজার অঞ্চলে আশ্রয়ে রয়েছেন। যাই হোক, এই প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা বর্তমানে দূরবর্তী বলে মনে হচ্ছে।
শিবির এলাকায় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন-এর (আরএসও) মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাঝে নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন রয়েছেন। এআরএসএ রাখাইন স্টেটে ২০১৭ সালের হামলায় ভূমিকার জন্য পরিচিত এবং শিবিরগুলিতে পুনরুত্থিত আরএসও-র তুলনায় তারা বেশি প্রভাব বিস্তার করছে। তবে উভয় গোষ্ঠীই চাঁদাবাজি, অপহরণ ও পাচারে জড়িত থাকার মাধ্যমে অসহায় মানুষকে প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। কিছু রোহিঙ্গা পুরুষ নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য এথনিক অ্যান্ড আর্মড অর্গানাইজেশন (ইএও) থাকার সম্ভাব্য সুবিধাগুলি দেখলেও রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভাব তাঁদের হুন্তা-বিরোধী প্রতিরোধে সম্পৃক্ত হওয়া থেকে বিরত রাখে। প্রতিরোধের জন্য আরএসও-র প্রবল সমর্থন সত্ত্বেও সংঘাতে এর সম্পৃক্ততা সীমিত রয়ে গিয়েছে এবং শিবিরে প্রাথমিক ভাবে অপরাধমূলক কার্যকলাপের কারণে ইএও হিসাবে গোষ্ঠীটির বৈধতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
প্রকাশ্যে এসেছে যে, এআরএসএ-র সদস্যরা হুন্তার আদেশে মায়ানমারের বাহিনীতে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে সেনা প্রশিক্ষণের জন্য শিবির থেকে রোহিঙ্গা পুরুষ ও ছেলেদের নিয়ে গিয়েছে। শিবিরের এক বাসিন্দার মতে, এই ব্যক্তিদের ২৯ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত শিবিরে আটক করে রাখা হয়েছিল, যাদের বেশির ভাগের বয়স ছিল ১৪ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
কিছু রোহিঙ্গা পুরুষ নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য এথনিক অ্যান্ড আর্মড অর্গানাইজেশন (ইএও) থাকার সম্ভাব্য সুবিধাগুলি দেখলেও রাজনৈতিক নেতৃত্বের অভাব তাঁদের হুন্তা-বিরোধী প্রতিরোধে সম্পৃক্ত হওয়া থেকে বিরত রাখে।
বর্তমান পরিস্থিতি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন করেছে এবং অর্থমন্ত্রী হাসান মাহমুদ সম্প্রতি জোর দিয়ে বলেছেন যে, মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিলম্বিত করার ন্যায্যতা হিসাবে কাজ করতে পারে না। যাই হোক, বিদ্যমান সংশয় নিরাপত্তামূলক আশঙ্কার কারণে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের প্রত্যাবর্তনকে অসম্ভব করে তোলে, যা নাগরিকত্বের অধিকার, সুরক্ষা এবং নিয়োগ সংক্রান্ত উদ্বেগের নিশ্চয়তা দিতে মায়ানমার সরকারের ব্যর্থতার কারণে জটিল হয়ে পড়েছে।
মায়ানমারের সংঘাতে রোহিঙ্গা ব্যক্তিদের ব্যবহার তাঁদের বিদ্যমান পদ্ধতিগত নিপীড়নের একটি করুণ চিত্র তুলে ধরে। সামরিক হুন্তা এবং জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি-সহ বিভিন্ন শক্তি নিজেদের স্বার্থের জন্য তাঁদের দুর্বল অবস্থাকে কাজে লাগায়, রোহিঙ্গাদের দুর্দশার পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তোলে এবং মায়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে অস্থিতিশীলতাকে স্থায়ী করে।
অব্যাহত প্রতিবন্ধকতা
আন্তর্জাতিক মানবিক আইন রাষ্ট্রহীন ব্যক্তিদের যুদ্ধে বা মানব ঢাল হিসেবে জড়িত হওয়াকে স্পষ্টতই নিষিদ্ধ করেছে। সশস্ত্র সংঘাতের সময় জেনেভা কনভেনশন অ্যান্ড অ্যাডিশনাল প্রোটোকল বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার রূপরেখা দেয়, যার মধ্যে রাষ্ট্রহীন ব্যক্তিও রয়েছেন। রাষ্ট্রহীন ব্যক্তি-সহ বেসামরিক নাগরিকদের সামরিক সুবিধার জন্য ব্যবহার করা বা ইচ্ছাকৃত ভাবে ক্ষতির পথে তাঁদের চালিত করা যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তা শাস্তিযোগ্য।
মায়ানমারের সংঘাতে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জাতিগত সম্প্রদায়ের শোষণের মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বহন করে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুয়েতেরেস ক্রমবর্ধমান সংঘাত এবং রোহিঙ্গা ব্যক্তিদের বলপূর্বক আটক ও নিয়োগের রিপোর্ট নিয়ে উদ্বেগ উত্থাপন করা সত্ত্বেও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপগুলি অধরা রয়ে গিয়েছে। অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ভাবে জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থার অভাব হিংসা ও অবিচারের চক্রকে স্থায়ী করে এবং মায়ানমারে শান্তি ও পুনর্মিলনের প্রচেষ্টাকে বাধা দেয়।
মায়ানমারের সংঘাতে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জাতিগত সম্প্রদায়ের শোষণের মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বহন করে।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য হুন্তাকে দায়ী করেছে এবং ২০২২ সালে জনসংখ্যাকে রক্ষা করার জন্য নির্দেশ জারি করেছে। তা সত্ত্বেও এর প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অভাব পৃথক দেশগুলির কাছ থেকে সম্মতি সুনিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ইচ্ছার গুরুত্বকে বোঝায় এবং এই উপাদানের বর্তমানে অভাব রয়েছে। আঞ্চলিক ব্লক অ্যাসোসিয়েশন ফর সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস-এর সঙ্কট পরিস্থিতিতে বাস্তব সমাধান প্রদানে, বিশেষ করে রোহিঙ্গা দৃষ্টিভঙ্গি উপেক্ষা করার জন্য, রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবিলায় বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলি তুলে ধরার অক্ষমতার সমালোচনা করা হয়েছে। উদ্বাস্তু সঙ্কট মোকাবিলায় একটি আঞ্চলিক কাঠামোর অনুপস্থিতি তীব্র উদ্বেগের বিষয়।
অনিশ্চয়তা অব্যাহত থাকায় সঙ্কট মোকাবিলার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়ার অভাব একটি সমাধানের দৃষ্টিভঙ্গিকে জটিল করে তোলে এবং সামরিক শাসন ও জাতিগত গোষ্ঠী উভয়ই তাদের অনুশীলন ছাড়তে নারাজ থাকার দরুন পরিস্থিতিকে একটি জটিল সন্ধিক্ষণে ফেলে দেয়।
শ্রীপর্ণা ব্যানার্জি অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের জুনিয়র ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.