পথ দুর্ঘটনার ফলে ঘটা মৃত্যুর নিরিখে বহু বছর ধরেই ভারতীয় সড়কগুলি আন্তর্জাতিক তালিকার শীর্ষে রয়েছে। সড়ক পরিবহণ এবং মহাসড়ক মন্ত্রকের (২০২১-২২) বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ২০১৯ সালে মোট ৪,৪৯,০০২টি পথ দুর্ঘটনা ঘটে এবং তাতে ১,৫১,১১৩ জন মানুষ প্রাণ হারান; ২০০৫ সালে মোট ৪,৩৯,২৫৫টি পথ দুর্ঘটনার ফলে হওয়া ৯৪,৯৬৮টি মৃত্যুর তুলনায় এই সংখ্যা অনেকটাই বেশি। এই পরিসংখ্যান থেকে আর যে জিনিসটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে, তা হল পথ দুর্ঘটনার তীব্রতা বৃদ্ধি। অর্থাৎ প্রতি ১০০টি পথ দুর্ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা ২০০৫ সালের ২১.৬ থেকে ৩৩.৭-এ পৌঁছেছে। এই প্রতিবেদনে অতিমারির বছরের পরিসংখ্যানকে গ্রাহ্য করা হয়নি। কারণ শহর, রাজ্য ও জাতীয় স্তরে আরোপিত লকডাউন ও বিধিনিষেধের জন্য সংশ্লিষ্ট সময়ের তথ্য বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে অক্ষম।
‘অন্য সড়কগুলিতে’ ঘটা মৃত্যুর শতাংশ সর্বাধিক হলেও এ কথা তাৎপর্যপূর্ণ যে, জাতীয় মহাসড়ক ও রাজ্য মহাসড়কগুলি মোট সড়কের মাত্র ৫.০৪% স্থান দখল করে থাকা সত্ত্বেও পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ৬১.১১% এগুলিতেই ঘটে থাকে।
পূর্বোল্লিখিত মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত ‘২০১৯ সালে ভারতে পথ দুর্ঘটনা’ শীর্ষক আর একটি রিপোর্টে পথ দুর্ঘটনার বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এটিতে স্বীকার করা হয়েছে যে, ২০১৮ সালের ওয়ার্ল্ড রোড স্ট্যাটিস্টিকস বা বিশ্ব সড়ক পরিসংখ্যান অনুযায়ী পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর নিরিখে ১৯৯টি দেশের মধ্যে ভারত প্রথম স্থানে রয়েছে। তার ঠিক পর পরই রয়েছে চিন এবং আমেরিকা। দেশের অভ্যন্তরে পথ দুর্ঘটনায় ঘটা মৃত্যুর ৩৫.৬৫% ঘটে জাতীয় মহাসড়কগুলিতে, ২৫.৪৬% ঘটে রাজ্য মহাসড়কগুলিতে এবং ৩৮.৮৯% ঘটে অন্য সড়কগুলিতে। ‘অন্য সড়কগুলিতে’ ঘটা মৃত্যুর শতাংশ সর্বাধিক হলেও এ কথা তাৎপর্যপূর্ণ যে, জাতীয় মহাসড়ক ও রাজ্য মহাসড়কগুলি মোট সড়কের মাত্র ৫.০৪% স্থান দখল করে থাকা সত্ত্বেও পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ৬১.১১% এগুলিতেই ঘটে থাকে।
২০১৯ সালে দু’চাকার যানগুলি সর্বাধিক অর্থাৎ ৩৫% পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সঙ্গে যুক্ত ছিল। তার ঠিক পরেই ১৮.৬% পথ দুর্ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল গাড়ি, ট্যাক্সি, ভ্যান ও হালকা মোটরযান (এল এ ভি-গুলি)। এর পরে ক্রমান্বয়ে ছিল পথচারীদের দুর্ঘটনা- ১৩.৯%, ট্রাক ও লরি দুর্ঘটনা- ১০.৭%, বাস দুর্ঘটনা- ৪.৯% এবং অটোরিকশা দুর্ঘটনা- ৪%। অন্যান্য একাধিক ধরনের অবশিষ্ট পথ দুর্ঘটনার মধ্যে পশুচালিত যান এবং হাতে-টানা গাড়ির দুর্ঘটনার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, নিহতদের মধ্যে ৭০%-এর বয়স ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। রিপোর্টটিতে ২০১৯ সালে ঘটা পথ দুর্ঘটনার রাজ্যভিত্তিক পরিসংখ্যানের উপরেও আলোকপাত করা হয়েছে। ১০,০০০-এরও বেশি সংখ্যক মৃত্যুর পরিসংখ্যান-সহ রাজ্যগুলির শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। সে রাজ্যে পথ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২২,৬৬৫ জন। এর ঠিক পরেই রয়েছে যথাক্রমে মহারাষ্ট্র (১২,৭৮৮ জন), মধ্যপ্রদেশ (১১,২৪৯ জন), কর্নাটক (১০,৯৫৮ জন) রাজস্থান (১০,৫৬৩ জন) এবং তামিলনাড়ু (১০,৫২৫ জন)।
জাতীয় মহাসড়ক এবং রাজ্য মহাসড়কগুলি বরাবর অবস্থিত হাসপাতালগুলিকে ট্রমা কেয়ার এবং পুনর্বাসন প্রদানে সক্ষম করার জন্য পর্যাপ্ত ভাবে সুসজ্জিত করা হবে।
পথ দুর্ঘটনার উচ্চ সংখ্যা দ্বারা উদ্বিগ্ন হয়ে ভারত সরকার এই বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য ২০০৫ সালে একটি কমিটি গঠন করে। কমিটি ২০০৭ সালে তার রিপোর্ট জমা দেয় এবং জাতীয় পথ সুরক্ষা নীতির একটি খসড়া পেশ করে। ২০১০ সালে ভারত সরকার জাতীয় পথ সুরক্ষা নীতি (এন আর এস পি) অনুমোদন করে। এটিতে এ কথা স্বীকার করা হয় যে, পথ দুর্ঘটনার ফলে প্রাথমিক ভাবে যুব, দরিদ্র এবং অরক্ষিত পথ ব্যবহারকারীরা প্রভাবিত হয়েছেন এবং এটি একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
এন আর এস পি ভারত সরকারকে সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে এবং তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহের জন্য রাজ্য ও স্থানীয় প্রশাসনগুলিকে সহায়তা প্রদানে বাধ্য করে। এটিতে রাস্তার নকশা নিয়ন্ত্রণকারী গুণমান ও যানবাহনের রক্ষণাবেক্ষণ পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া এটিতে অ-মোটরচালিত পরিবহণের নিরিখে ড্রাইভিং লাইসেন্স (গাড়ি চালানোর অনুমতিপত্র) এবং প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এটিতে প্রচারমূলক অভিযানের মাধ্যমে পথ সুরক্ষার অনুকূল চর্চাগুলি সম্পর্কে নাগরিকদের অবগত করার উপরে জোর দেওয়া হয়। এর ফলে প্রয়োগ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে এবং টহলদারি ও উদ্ধারকার্যের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। জাতীয় মহাসড়ক এবং রাজ্য মহাসড়কগুলি বরাবর অবস্থিত হাসপাতালগুলিকে ট্রমা কেয়ার এবং পুনর্বাসন প্রদানে সক্ষম করার জন্য পর্যাপ্ত ভাবে সুসজ্জিত করা হবে। সর্বোপরি ভারত সরকার জাতীয় পথ সুরক্ষা বোর্ড এবং জাতীয় পথ সুরক্ষা তহবিল স্থাপনের ঘোষণাও করেছে। এগুলির মধ্যে প্রথমটিকে পথ সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলির তদারকি করার জন্য এবং দ্বিতীয়টিকে গ্যাসোলিন ও ডিজেল থেকে অর্জিত সেস-এর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পথ কর্মসূচির অর্থায়নের কাজে বরাদ্দ করার জন্য নির্ধারিত করা হয়।
এ ছাড়াও, মোটর ভেহিকল অ্যাক্ট, ১৯৮৮-এর ২১৫তম ধারার অধীনে দেশের প্রতিটি জেলায় জেলা পথ সুরক্ষা কমিটি (ডি আর এস সি) গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রশাসনিক পরিকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করা হয়। ডি আর এস সি-গুলি জেলায় ঘটা পথ দুর্ঘটনাগুলির পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনা চালাবে এবং পথ দুর্ঘটনা, সেগুলির কারণ, দুর্ঘটনার স্থান এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে। এর পাশাপাশি, ডি আর এস সি-গুলিকে জেলা পথ সুরক্ষা পরিকল্পনা, একটি জরুরি চিকিৎসা পরিকল্পনা, অ্যাম্বুলেন্সের লভ্যতা সুনিশ্চিত করা এবং হাসপাতালগুলির সঙ্গে সংযুক্তিকরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সঠিক ভাবে সড়ক নির্মাণ না হওয়ার দরুন রাস্তায় দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান সৃষ্টি হওয়া এবং হঠাৎ সামনে খানাখন্দ চলে আসার ফলেও পথ দুর্ঘটনা ঘটে। সময়সীমা উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া যানবাহন এবং অতিরিক্ত মাল বোঝাইয়ের কারণেও ব্যাপক সংখ্যক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
দেশ জুড়ে বিস্তৃত প্রশাসনিক এবং পর্যালোচনা প্রক্রিয়া গড়ে তোলা সত্ত্বেও পথ দুর্ঘটনা এবং সংশ্লিষ্ট মৃত্যুসংখ্যার উপরে কোনও তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব পড়েনি। যদিও আমরা এ কথা অস্বীকার করতে পারি না যে, বিগত দশকে আরও বেশি সংখ্যক সড়ক নির্মিত হয়েছে এবং একই সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুণ। ২০১৩-১৪ সালে দেশে জাতীয় মহাসড়কের পরিমাণ ছিল প্রায় ৯১০০০ কিমি। ২০২১-২২ সালে এই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১,৪০,৯৯৫ কিলোমিটারে। সাধারণ ভাবে রাস্তার মানও উন্নত হয়েছে, যার ফলে গতি ও গতিশীলতা উভয়েই বৃদ্ধি পেয়েছে। একই রকম ভাবে ২০০৩ সালের ৬৭ মিলিয়ন বা ৬ কোটি ৭০ লক্ষ নথিবদ্ধ মোটরচালিত যানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯ সালে ২,৯৫,৭৭২ মিলিয়ন বা ২৯,৫৭৭ কোটি ২০ লক্ষে এসে পৌঁছেছে। উল্লিখিত সব ক’টি বিষয়ই পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
একটি বিস্তারিত বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে যে, পথ দুর্ঘটনার একাধিক কারণ বর্তমান। এগুলির মধ্যে মানবিক ভুল, গতিসীমা অতিক্রম করা, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, রাস্তার ভুল দিক দিয়ে গাড়ি চালানো, লাল আলো না মেনে এগিয়ে যাওয়া, গাড়ি চালানোর সময়ে মোবাইল ফোনে কথা বলা, সিট বেল্ট না লাগানো, অনুমতিপত্র বা লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো এবং অন্যান্য যান চলাচলের নিয়ম লঙ্ঘন করা উল্লেখযোগ্য। সঠিক ভাবে সড়ক নির্মাণ না হওয়ার দরুন রাস্তায় দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান সৃষ্টি হওয়া এবং হঠাৎ সামনে খানাখন্দ চলে আসার ফলেও পথ দুর্ঘটনা ঘটে। সময়সীমা উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া যানবাহন এবং অতিরিক্ত মাল বোঝাইয়ের কারণেও ব্যাপক সংখ্যক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
সাধারণ ভাবে এ কথা মনে করা হয় যে, পথ দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য চারটি উপাদান বর্তমান। সেগুলি হল- শিক্ষা, প্রয়োগ, প্রকৌশল ও পরিবেশ এবং আপৎকালীন সেবা। এর মধ্যে শিক্ষার গুরুত্ব হল পথ সুরক্ষা ও অভ্যাস প্রসঙ্গে জনমানসে সচেতনতার সঞ্চার করা। প্রয়োগের অর্থ হল মোটর ভেহিকল অ্যাক্ট, ১৯৮৮-র প্রবিধানগুলি ও সেগুলির অধীনে নির্ধারিত আইনগুলির বাস্তবায়ন এবং প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা। প্রকৌশলবিদ্যার কাজ হল রাস্তার যথার্থ পরিকল্পনা করা, দুর্ঘটনাপ্রবণ বিন্দুগুলি নির্মূল করা, সঠিক পথচিহ্নের ব্যবহার, মহাসড়কের যানবাহনগুলিকে স্থানীয় যানবাহন থেকে পৃথক করা, যানবাহনের দৌরাত্ম্যকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং সুরক্ষা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। সর্বোপরি, পরিবেশ এবং জরুরি সেবার ক্ষেত্রটি আধুনিক জীবনরক্ষাকারী অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের প্রবিধান এবং আহত ব্যক্তিকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতাল ও ট্রমা কেয়ার কেন্দ্রগুলিতে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে যুক্ত।
সুরক্ষার দিকটিকে যদি সড়ক পরিকল্পনার অনস্বীকার্য উদ্বেগের কারণ হিসেবে ধরা হয়, তা হলে পথ নির্মাণের জন্য আরও বেশি পরিমাণে জমি অধিগ্রহণ করা প্রয়োজনীয়, যাতে পথচারী, সাইকেল এবং মোটর সাইকেল চলাচলের রাস্তাগুলিকে দ্রুত গতিসম্পন্ন মোটরচালিত যানবাহন চলাচলের রাস্তা থেকে পৃথক রাখা যায়।
এক দিকে যখন দেশে তড়িৎ গতিতে নতুন রাস্তা নির্মাণের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, তখন যে অপরিহার্য বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে সেটি হল- গতিশীলতার সংযোজন এবং উচ্চগুণমানসম্পন্ন রাস্তা স্বয়ংক্রিয় ভাবে পথ সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে পারবে না, যত দিন না পরিকল্পনা স্তরেই পথ সুরক্ষা অডিটের কাজটি নির্বাহ করা হচ্ছে। ভারত একটি ঘন জনবসতিপূর্ণ দেশ এবং দেশের রাস্তাগুলি নানা ধরনের যানবাহন, সাইকেল, পথচারী এবং পশুচালিত গাড়ি দ্বারা ব্যবহৃত হয়। গ্রামের দিকে রাস্তাগুলি প্রায়শই বসতি ও কৃষিজ্মিকে অথবা একাধিক বসতির মধ্যে পৃথকীকরণ রেখার কাজ করে। শহরগুলিতে রাস্তার বিভিন্ন অংশ পার্কিং (যানবাহন রাখা) এবং মালপত্র বিক্রি করার মতো একাধিক কাজে ব্যবহার করা হয়। সুরক্ষার দিকটিকে যদি সড়ক পরিকল্পনার অনস্বীকার্য উদ্বেগের কারণ হিসেবে ধরা হয়, তা হলে পথ নির্মাণের জন্য আরও বেশি পরিমাণে জমি অধিগ্রহণ করা প্রয়োজনীয়, যাতে পথচারী, সাইকেল এবং মোটর সাইকেল চলাচলের রাস্তাগুলিকে দ্রুত গতিসম্পন্ন মোটরচালিত যানবাহন চলাচলের রাস্তা থেকে পৃথক রাখা যায়। পাশাপাশি ভূ-গর্ভস্থ পথ বা আন্ডারপাসের সংখ্যাও অনেক বাড়ান দরকার। এর ফলে স্থানীয় মানুষেরা প্রধান সড়ক বা রাস্তা ব্যবহার বা অতিক্রম না করেই চলাচল করতে পারবেন।
সড়ক পরিকল্পনার সময়ে এই সব সুরক্ষা সংক্রান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে নির্মাণের খরচ বৃদ্ধি পাবে অথবা স্বল্প দৈর্ঘ্যের নতুন রাস্তাই নির্মাণ করা যাবে। যদিও সুরক্ষার জন্যও মূল্য চোকানো আবশ্যিক। যে সকল সুরক্ষা সরঞ্জামের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলি বিশেষ করে জাতীয় ও রাজ্য মহাসড়কের জন্য প্রয়োজনীয়। উক্ত সড়কগুলিতে ঘটা পথ মৃত্যুর উচ্চ শতাংশ সে কথার দিকেই ইঙ্গিত করে। প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রিত এক্সপ্রেসওয়ের তুলনায় জাতীয় বা রাজ্য মহাসড়কগুলিতে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে কোনও বাধানিষেধ নেই এবং এগুলিতে সব ধরনের যানবাহনই চলাচল করতে পারে। তাই এই উল্লিখিত অতিরিক্ত সুরক্ষা পদক্ষেপগুলি আরও বেশি করে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.