Author : Madhavi Jha

Published on Mar 04, 2025 Updated 0 Hours ago

ভারতে নীতি পরিবর্তন, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রাথমিক নাক্তকরণ এবং সচেতনতার উপর জোর দিয়ে ব্রেস্ট ক্যানসারের চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা রয়েছে

ভারতে ক্রমশ বাড়তে থাকা ব্রেস্ট ক্যানসার: চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ

প্রতি চার মিনিটে ভারতে একজন মহিলার ব্রেস্ট ক্যানসার ধরা পড়ে, যা এই রোগের ক্রমবর্ধমান বিস্তারের একটি উদ্বেগজনক সূচক। ব্রেস্ট ক্যানসার - যা পূর্বে ১৯৯০-এর দশকে চতুর্থ সর্বাধিক পরিলক্ষিত ক্যানসার ছিল - এখন ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে সাধারণ সমস্যা এবং একটি প্রধান বিশ্ব জনস্বাস্থ্য উদ্বেগ হয়ে উঠেছে

নেচার জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন সমীক্ষা অনুসারে, আগামী ১০ বছরে ব্রেস্ট ক্যানসারে চিকিৎসাধীন ভারতীয় মহিলাদের সংখ্যা প্রতি বছর ৫০,০০০ বৃদ্ধি পাবে, যার গড় বার্ষিক খরচ হবে ১৯.৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বংশগত স্থূলতা, দরিদ্র জীবনযাত্রা, অত্যধিক প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণ, ধূমপান ও মদ্যপান এই আকস্মিক বৃদ্ধির জন্য দায়ী। সমস্যাটি ভারতে আরও জটিল হয়ে ওঠে কারণ পশ্চিমি দেশগুলির তুলনায় ভারতে বহু মহিলা অনেক কম বয়সে ব্রেস্ট ক্যানসারে ভোগেন। ব্রেস্ট ক্যানসারেসঙ্গে সম্পর্কিত জৈবিক বৈশিষ্ট্যগুলি অল্পবয়সি মহিলাদের মধ্যে আরও আক্রমণাত্মক এবং সেই রোগের ফিরে আসা ও মেটাস্ট্যাসিস বা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেশি, যা বয়স্ক মহিলাদের তুলনায় খারাপ ফলাফলের দিকে চালিত করে। এই জাতীয় সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য বিদ্যমান পরিস্থিতি, প্রধান চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য সমাধানের পুঙ্খানুপুঙ্খ উপলব্ধি প্রয়োজন।

ব্রেস্ট ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্কিত জৈবিক বৈশিষ্ট্যগুলি অল্পবয়সি মহিলাদের মধ্যে আরও আক্রমণাত্মক এবং সেই রোগের ফিরে আসা ও মেটাস্ট্যাসিস বা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও বেশি, যা বয়স্ক মহিলাদের তুলনায় খারাপ ফলাফলের দিকে চালিত করে।

২০২৪ সালে প্রকাশিত একটি লোকসভা নথিতে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মহিলাদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসারের আনুমানিক সংখ্যা মৃত্যুর হার প্রদান করা হয়েছে। চিত্র ১-এ দেখানো হয়েছে, ব্রেস্ট ক্যানসারের ঘটনার সংখ্যা ২০১৯ সালের ২০০,২১৮ থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে ২২১,৫৭৯ হয়েছে এবং একই সময়ে ভারতে এই রোগে মৃত্যুর সংখ্যা ৭৪,৪৮১ থেকে বেড়ে ৮২,৪২৯ হয়েছে। এমনকি রোগীর হার মৃত্যুর চেয়ে অনেক বেশি হলেও মৃত্যুর হার ক্রমশ বাড়ছে, যা প্রাথমিক নাক্তকরণ, চিকিত্সার সুযোগ ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার সমস্যাগুলির প্রয়োজনীয়তাকে দর্শায়।

চিত্র ১ : ভারতে মহিলাদের মধ্যে (২০১৯-২০২৩) ব্রেস্ট ক্যানসারের ঘটনা মৃত্যুর হারের আনুমানিক সংখ্যা

 Rising Breast Cancer In India Challenges And Opportunities

সূত্র: সংসদের নথি

ব্রেস্ট ক্যানসারেএই ক্রমশ বাড়তে থাকার ঘটনা সবে শুরু হয়েছে মাত্র। এই বাড়তে থাকা সমস্যাটি সচেতনতার অভাব, জীবনযাত্রার পরিবর্তন, ভৌগোলিক বাধা, অর্থনৈতিক বাধা দেরিতে লম্বিত রোগ নির্ণয়ের মতো অসংখ্য অন্তর্নিহিত সমস্যার ফলাফল। পশ্চিমি দেশগুলির তুলনায় ভারতে ব্রেস্ট ক্যানসারে বেঁচে থাকার হার উল্লেখযোগ্য রকমের কম। স্টেজ ১-এ ক্যানসার নির্ণয় হয়েছে এমন রোগীদের বেঁচে থাকার হার মোটামুটি ৯৩.৩ শতাংশ, যেখানে স্টেজ ৪-এ ক্যানসার নির্ণয় হলে রোগীদের বেঁচে থাকার হার কমে গিয়ে ২৪.৫ শতাংশ হতে পারে। ভারতে প্রায় ৬০ শতাংশ ব্রেস্ট ক্যানসার রোগীদের ক্ষেত্রে অসুস্থতার তৃতীয় বা চতুর্থ পর্যায়ে রোগ ধরা পড়ে। ব্রেস্ট ক্যানসার, রোগের লক্ষণ নিয়মিত নিরীক্ষণের মূল্য সম্পর্কে ভারতে মহিলাদের সাধারণ অজ্ঞতা এই রোগের প্রাথমিক নাক্তকরণে একটি উল্লেখযোগ্য বাধাএকাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, দারিদ্র্য, স্বল্প শিক্ষা অর্জন, সচেতনতার অভাব, দুর্গম প্রত্যন্ত জায়গায় বসবাস এবং যত্নের অপ্রতুল সুযোগই আসলে শেষ পর্যায়ে ব্রেস্ট ক্যানসার ধরা পড়ার সঙ্গে যুক্ত, বিশেষ করে নিম্ন আর্থ-সামাজিক পটভূমি এবং গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের জন্য এ কথা ভীষণ ভাবে প্রযোজ্য

ব্রেস্ট ক্যানসার, রোগের লক্ষণ ও নিয়মিত নিরীক্ষণের মূল্য সম্পর্কে ভারতে মহিলাদের সাধারণ অজ্ঞতা এই রোগের প্রাথমিক শনাক্তকরণে একটি উল্লেখযোগ্য বাধা।

২০১৯-২০২১ সালের এনএফএইচএস তথ্য দর্শিয়েছে যে, ৩০-৪৯ বছর বয়সি মহিলাদের মধ্যে মাত্র ০.৯ শতাংশ ব্রেস্ট ক্যানসারেনিরীক্ষণ করিয়েছেন। বিপুল সংখ্যক মহিলা লক্ষণ নিয়মিত পরীক্ষার তাৎপর্য সম্পর্কে সচেতন ন। স্তনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত সাংস্কৃতিক নিষেধাজ্ঞা দুর্নামের ভয় এই সমস্যাটিকে আরও গুরুতর করে তোলে কারণ উপসর্গ দেখা দিলেও অনেক সময়ে মহিলারা চিকিৎসা গ্রহণ করতে বিলম্ব করেপিঙ্ক মান্থ প্রচারের মতো একটি উদ্যোগ ব্রেস্ট ক্যানসার সম্পর্কে মহিলাদের জ্ঞান বাড়াতে এবং তাঁদের প্রয়োজনে সাহায্য পেতে অনুপ্রাণিত করতে চালু করা হয়েছে

প্রথম দিকে ব্রেস্ট ক্যানসার শনাক্তকরণের ক্রমবর্ধমান প্রয়োজন ভারতের নিরীক্ষণ পরিকাঠামো দ্বারাই পূরণ করা যায় না কারণ ব্রেস্ট ক্যানসারের দক্ষ নিরীক্ষণ বা নির্ণায়ক প্রক্রিয়ার জন্য ভারতে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সা সুবিধা পর্যাপ্ত ম্যামোগ্রাফি সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। একটি বহুল ব্যবহৃত নিরীক্ষণ পদ্ধতি হওয়া সত্ত্বেও, প্রাপ্যতা ও ভৌগোলিক পার্থক্য ম্যামোগ্রাফির কার্যকারিতাকে সীমিত করে। প্রশিক্ষিত কর্মী উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবের কারণে এই সমস্যাটি আরও তীব্র হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে স্তনের ঘনত্ব বেশি হওয়ার কারণে ম্যামোগ্রাফি সংবেদনশীলতার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটে, যার ফলে অতিরিক্ত রোগ নির্ণয় এবং ভুয়ো ফল আসতে পারে। প্রায় ৪০ শতাংশ ভারতীয় হাসপাতালে অত্যাধুনিক ক্যানসার চিকিত্সা প্রযুক্তির পর্যাপ্ত সুবিধার অভাব রয়েছে এবং দেশে শুধুমাত্র অল্প সংখ্যক কেন্দ্রে ব্রেস্ট ক্যানসারের জন্য সম্মিলিত কেমোরেডিয়েশন সার্জারির সুযোগ রয়েছে। ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত অনেক মহিলার জন্য সবচেয়ে বড় বাধা হল চিকিত্সার খরচ, যা বিভিন্ন উপাদানের উপর নির্ভর করে এক লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা বা তার বেশি হতে পারে। অপ্রতুল বিমা প্রতিদান, সাধ্যাতীত বিপর্যয়মূলক খরচ অসম চিকিত্সার গুণমান হল ব্রেস্ট ক্যানসারের চিকিত্সায় উচ্চ হারে ব্যয়ের প্রধান কারণ, যা নিম্ন আয়ের পরিবারগুলিকে একটি কঠিন আর্থিক পরিস্থিতির মুখে ফেলে। উপরন্তু, গ্রামীণ জনসংখ্যা সম্পদের অভাব (১০ মিলিয়ন রোগীর জন্য শুধুমাত্র ২,০০০ অঙ্কোলজিস্ট আছে) বিচ্ছিন্ন ভাবে কেন্দ্রের ণ্টন (কেন্দ্রের প্রায় ৯৫ শতাংশই শহর বা শহরতলিতে অবস্থিত) দ্বারা অসম ভাবে প্রভাবিত হয়, যা পরিষেবা পাওয়ার সুযোগকে আরও খারাপ করে তোলে। এমনটা দেখা গিয়েছে যে, ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের কিছু উপগোষ্ঠী ইমিউনোথেরাপি এবং বিশেষ ওষুধ-সহ নতুন চিকিত্সার বিকল্পগুলিতে আরও ভাল সাড়া দেয়। যাই হোক, ভারতের মতো নিম্ন থেকে মধ্যম আয়ের দেশে এই ধরনের ব্যয়বহুল বিকল্পগুলির সুযোগ অত্যন্ত সীমিত।

প্রায় ৪০ শতাংশ ভারতীয় হাসপাতালে অত্যাধুনিক ক্যানসার চিকিত্সা প্রযুক্তির পর্যাপ্ত সুবিধার অভাব রয়েছে এবং দেশে শুধুমাত্র অল্প সংখ্যক কেন্দ্রে ব্রেস্ট ক্যানসারের জন্য সম্মিলিত কেমোরেডিয়েশন ও সার্জারির সুযোগ রয়েছে।

ব্রেস্ট ক্যানসারের নির্ণয় জীবন বা অস্তিত্ব সঙ্কটের আখ্যানকেই দর্শায়, যার জন্য ব্যাপক স্থিতিস্থাপকতা প্রয়োজন এবং এই সমস্যা রোগীর উপর সরাসরি মানসিক প্রভাব ফেলে। রোগ নির্ণয়ের ফলে রোগীরা মানসিক অস্বস্তি অনুভব করেন, যার মধ্যে রয়েছে অনিশ্চয়তা, অবিশ্বাস, হতাশা, রাগ, ভয়, উদ্বেগ শোকের মতো অনুভূতি। তাঁদের দৈনন্দিন জীবন পরিবার এই আকস্মিক পরিবর্তন দ্বারা প্রভাবিত হয়।

এই গুরুত্বপূর্ণ বাধাসমূহ নির্বিশেষে ভারতে ব্রেস্ট ক্যানসারের চিকিত্সা ফলাফল বাড়াতে পারে, এমন অগ্রগতির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। ব্রেস্ট ক্যানসার সংক্রান্ত সচেতনতা জনস্বাস্থ্য প্রচারের উপর অনেক বেশি নির্ভর করে। সামাজিক গণমাধ্যমে প্রচারাভিযান কমিউনিটি ওয়ার্কশপের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে অংশীদারিত্বের সাহায্যে এ হেন প্রচারমূলক উদ্যোগ জোরদার করা যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে, নিরীক্ষণ প্রক্রিয়ার সুযোগ দিয়ে এবং স্কুল ও কমিউনিটি কর্মসূচিতে ব্রেস্ট ক্যানসারকে পাঠ্যক্রমের একটি অপরিহার্য অংশ করে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

জাতীয় নিরীক্ষণমূলক কর্মসূচি সম্প্রদায়ভিত্তিক সচেতনতা প্রাথমিক ভাবে রোগ শনাক্তকরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণতাই সমস্যাটি কার্যকর ভাবে সমাধান করার জন্য চিকিৎসা পেশাদারদের জ্ঞান দক্ষতার প্রয়োজন। ইউনিভার্সিটি অফ ইস্ট অ্যাংলিয়া (ইউইএ), সংযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অফ অঙ্কোপ্লাস্টি (আইএসওএস), প্রশান্তি ক্যানসার কেয়ার মিশন-এর (পিসিসিএম) দক্ষতা বৃদ্ধিকারী শাখা একজোটে ভারতীয় উপমহাদেশে অঙ্কোপ্লাস্টির উপর জোর দিয়ে উন্নত ব্রেস্ট ক্যানসার ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই ক্ষেত্রে অগ্রগতি করেছে। একটি কাঠামোভিত্তিক ফেলোশিপের মাধ্যমে এই কর্মসূচিটি স্তন সংক্রান্ত সংরক্ষণমূলক ধারণা প্রচার করার সময় এবং অঙ্কোপ্লাস্টিক সহায়তার মাধ্যমে সেই ধারণা প্রসারিত করার সময় অস্ত্রোপচারের ফলাফল এবং রোগীর পরিষেবায় উন্নতি করতে পারে

ব্যক্তিবিশেষে ওষুধ, ওষুধের বিকাশ, দূর থেকে রোগীর পর্যবেক্ষণ এবং উন্নত চিত্র বিশ্লেষণ… এই সবই ব্রেস্ট ক্যানসার নির্ণয় চিকিত্সায় রিজেনারেটিভ এআই-এর দরুন বিপ্লব আনতে সাহায্য করেছে। এটি এমআরআই স্ক্যান, আল্ট্রাসাউন্ড এবং ম্যামোগ্রামের মতো প্রচুর পরিমাণে চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য পরীক্ষা করার জন্য জটিল অ্যালগরিদম ব্যবহার করতে পারে এবং স্পট মিনিট প্যাটার্ন অস্বাভাবিকতা নিরীক্ষণের সাহায্যে ক্যানসারের অস্তিত্ব নির্দেশ করতে পারে। ম্যামোঅ্যাসিস্ট এবং অন্য পুনরুত্পাদনকারী এআই ব্যবস্থাগুলি আরও কার্যকর ম্যামোগ্রাফি বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিরীক্ষণ সংক্রান্ত নির্ভুলতা বৃদ্ধি করার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে। এই ঘটনাপ্রবাহ চিকিৎসা পেশাদারদের উপর কিছুটা হলেও চাপ কমিয়ে রোগীর ফলাফল উন্নত করার সম্ভাবনা রাখে।

ম্যামোঅ্যাসিস্ট এবং অন্য পুনরুত্পাদনকারী এআই ব্যবস্থাগুলি আরও কার্যকর ম্যামোগ্রাফি বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিরীক্ষণ সংক্রান্ত নির্ভুলতা বৃদ্ধি করার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে।

ব্রেস্ট হেলথ ইনিশিয়েটিভ (বিএইচআই) যে উদ্দেশ্যে শুরু করা হয়েছিল তা হল, কী ভাবে একটি পরিমাপযোগ্য দৃষ্টান্ত ব্যবহার করে প্রাথমিক ব্রেস্ট ক্যানসার নির্ণয় এবং চিকিত্সার সুযোগ বৃদ্ধি করা যায়। বিএইচআই বাস্তবায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসাবে প্রাথমিক পরিচর্যা প্রদানের কেন্দ্রগুলিতে অক্সিলারি নার্স মিডওয়াইফ (এএনএম), স্টাফ নার্স মেডিকেল অফিসাররা গুণমানসম্পন্ন ক্লিনিকাল ব্রেস্ট এক্সামিনেশন (সিবিই) প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। এর পাশাপাশি উইমেন কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার বা নারী গোষ্ঠীভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মীদের  - যাঁরা অ্যাক্রেডিটেড সোশ্যাল হেলথ অ্যাক্টিভিস্ট [আশা] নামে পরিচিত — ৩০ থেকে ৬৫ বছরের মহিলাদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসার সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে মোতায়েন করা হয়েছিল তা সত্ত্বেও, চিকিৎসা থেকে শুরু করে ক্যানসারের যত্ন প্রদানের বিষয়ে সর্বাত্মক জাতীয় নীতিগুলিতে সমস্ত আর্থ-সামাজিক পরিসরের মানুষদের জন্য ন্যায্য সুযোগ পাওয়ার দিকটিও দেখা জরুরি।

ভারতে বাড়তে থাকা ব্রেস্ট ক্যানসারের হার দ্রুত বহুমুখী সমাধানের প্রয়োজনীয়তা দর্শিয়েছে। যথেষ্ট বাধা সত্ত্বেও এখনও অগ্রগতির জন্য প্রতিশ্রুতিশীল সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের কাছে নীতি পরিবর্তন, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রাথমিক নাক্তকরণ সচেতনতার উপর জোর দিয়ে ব্রেস্ট ক্যানসারের চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা রয়েছে আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি নির্বিশেষে কৌশলগত স্বাস্থ্যসেবা বিনিয়োগ সম্প্রদায়-চালিত উদ্যোগের মাধ্যমে সমস্ত মহিলাদের জন্য ব্রেস্ট ক্যানসার সহনীয় করে তোলা যায় এবং এই ভাবেই ব্রেস্ট ক্যানসার হলেও প্রাণরক্ষা সম্ভব।

 


মাধবী ঝা অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের রিসার্চ ইন্টার্ন।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.