Author : Manoj Joshi

Published on Sep 06, 2024 Updated 1 Days ago

সর্বশেষ সিপরি রিপোর্ট বিশ্বব্যাপী অস্ত্রাগারের আধুনিকীকরণ এবং বৃদ্ধির প্রবণতা নির্দেশ করে।

ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্রাগার ও কৌশলগত স্থিতিশীলতার আহ্বান

স্টকহলম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপরি)-‌এর ২০২৪ ইয়ারবুকের প্রকাশ ভারতে ব্যাপকভাবে রিপোর্ট করা হয়েছে, কিন্তু ভুল কারণে। এর পারমাণবিক অস্ত্রের ধরন ও সংখ্যা বৃদ্ধি বিষয়ক অধ্যায় বলছে যে, সিপরি-‌র হিসাব অনুযায়ী ভারতীয় পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার এখন পাকিস্তানের চেয়ে বড়, তবে ১৭২টি ওয়ারহেড নিয়ে দেশটির কাছে মাত্র দুটি বোমা বেশি রয়েছে।


যে বিষয়ে প্রকৃত মনোযোগ প্রয়োজন তা হল রিপোর্টের পর্যবেক্ষণ যে, বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক অস্ত্রাগারের ক্রমাগত আধুনিকীকরণ ও বৃদ্ধি ঘটেছে। রাশিয়া ও ন্যাটোর পরমাণু কথন ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। 
রাশিয়ানরা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিচ্ছে , এবং এখন ন্যাটো বলছে  যে তাদের স্টোরেজ থেকে পারমাণবিক অস্ত্রগুলি বার করতে হবে এবং স্ট্যান্ডবাই হিসাবে রাখতে হবে।


ভারতের জন্য যা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তা হল এই তথ্য যে গুণমান ও সংখ্যা উভয় ক্ষেত্রেই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি হয়েছে চিনে। যদিও চিনা অস্ত্রাগার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার চেয়ে ছোট, তবে এটি এখন ভারতীয় অস্ত্রের প্রায় তিনগুণ।  

 

নির্বাচিত দেশগুলির পারমাণবিক বাহিনী জানুয়ারি ২০২৪

মোতায়েন করা ওয়ারহেড

সংরক্ষিত ওয়ারহেড

সামরিক মজুদ 

মোট 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

১,৭৭০   

১,৯৩৮

৩,৭০৮ (অবসরপ্রাপ্ত ১,৩৩৬) 

৫,০৪৪

রাশিয়া 

১,৭১০  

২,৬৭০

৪,৩৮০ (‌অবসরপ্রাপ্ত‌ ১,২০০)‌  

৫,৫০০

চিন 

২৪  

৪৭৬

৫০০

৫০০


ভারত 

-

১৭২

১৭২

১৭২

পাকিস্তান 

-

১৭০

১৭০

১৭০

সূত্র:‌ সিপরি ইয়ারবুক ২০২৪, পৃ ২৭২


চিনের পারমাণবিক অস্ত্রাগার সম্পর্কে সিপরি-র অনুমান, ২০২৩ সালের জানুয়ারির ৪১০টি ওয়ারহেড বেড়ে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ৫০০ হয়েছে, এবং তা এভাবেই "বাড়তে থাকবে বলে ধরা হচ্ছে।" সর্বদা অভিযানগত সতর্কতায় চিন সম্ভবত এখন প্রায় দুই ডজন ওয়ারহেড ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করছে। পাকিস্তান ও ভারতের সবকটি-‌সহ চিনা ওয়ারহেডগুলির বেশিরভাগই নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে সংরক্ষণ করা হয়।

ভারতের অস্ত্রাগার

ভারতের অস্ত্রাগার ২০২৩ সালের ১৬৪ থেকে বেড়ে ১৭২ হয়েছে। এটি সামান্য বৃদ্ধির প্রতিনিধিত্ব করে, যদিও এর ফলে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ওয়ারহেডের সংখ্যা দুটি বেশি হয়েছে। মনে হচ্ছে এখন চিনকে লক্ষ্য করে দূরপাল্লার, এবং আরও সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করাই 
ভারতের প্রধান প্রচেষ্টা



ভারতের অস্ত্রাগার ২০২৩ সালের ১৬৪ থেকে বেড়ে ১৭২ হয়েছে। এটি সামান্য বৃদ্ধির প্রতিনিধিত্ব করে, যদিও এর ফলে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ওয়ারহেডের সংখ্যা দুটি বেশি হয়েছে। মনে হচ্ছে এখন চিনকে লক্ষ্য করে দূরপাল্লার, এবং আরও সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করাই ভারতের প্রধান প্রচেষ্টা।



মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকল (এমআইআরভি) প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি 
একক ক্ষেপণাস্ত্রে একাধিক পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম কয়েকটি দেশের মঞ্চে ভারতের প্রবেশের কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১১ মার্চ ঘোষণা করেছিলেন। এটি অগ্নি-৫-এর প্রথম পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছিল, যা হল ভারতের দীর্ঘতম পাল্লার—৫,০০০ কিমি-‌এরও বেশি—ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।


ভারতীয় অস্ত্রাগার, সিপরি অনুসারে, স্টোরেজে রয়েছে। তবে এগুলি "ডি-মেটেড"‌ কি না, যেখানে ওয়ারহেড ও ফিসাইল উপাদান আলাদা রাখা হয়, তা স্পষ্ট নয়। তবে এটি শুধুমাত্র একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা হতে পারে, কারণ 
ভারত এখন অগ্নি-পি-র মতো ক্যানিস্টারাইজড ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে, যেখানে পুরো ক্ষেপণাস্ত্র ও ওয়ারহেড উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত অবস্থায় একটি ক্যানিস্টারে সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু পারমাণবিক অস্ত্রাগারের উপর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য ভারতের মতো দেশগুলি ডি-মেটিং ব্যবহার করেছে। তাই ভারত সত্যিই রেডি-টু-ফায়ার মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় কি না তা দেখার বিষয়।


ভারতের পারমাণবিক ট্রায়াডের সমুদ্র বিভাগের বিশেষ প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। স্মরণ করুন যে ২০১৮ সালের নভেম্বরে, দেশের প্রথম ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিন (এসএসবিএন), আইএনএস অরিহন্ত, তার প্রথম প্রতিরোধ টহল শেষ করার পরে 
ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে তার পারমাণবিক ট্রায়াড কার্যকরী করার কথা ঘোষণা করেছিল। এর অর্থ হল অরিহন্ত পারমাণবিক ওয়ারহেড দিয়ে সজ্জিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে সমুদ্রে টহল শুরু করেছে।


নিয়ন্ত্রণের ডি-মেটিং কৌশল সমুদ্রে একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে কাজ করতে পারে না, কারণ তা জলের তলায় চলে গেলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এতে অবশ্যই সর্বদা ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা, এবং ক্যাপ্টেন ও/অথবা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে উৎক্ষেপণ সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের তরফে প্রাক-অর্পণ করা প্রয়োজন।

২০০৩ সালে একটি প্রেস রিলিজের মাধ্যমে প্রকাশিত ভারতীয় পারমাণবিক অস্ত্রের মতবাদটি প্রথম ব্যবহার না করার (‌নো ফার্স্ট ইউজ)‌ প্রতিশ্রুতি-‌সহ একটি "বিশ্বাসযোগ্য ন্যূনতম প্রতিরোধের" আহ্বান জানায়। বলা হয়, ভারতীয় অস্ত্র শুধুমাত্র ভারতীয় ভূখণ্ড বা বাহিনীর উপর পারমাণবিক, রাসায়নিক বা জৈবিক অস্ত্রের আক্রমণের প্রতিশোধ হিসেবে ব্যবহার করা হবে। "প্রথম আক্রমণের পরমাণু প্রতিশোধ ব্যাপক এবং অ-‌গ্রহণযোগ্য ক্ষতি করার জন্য তৈরি করা হবে।"


বছরের পর বছর ধরে, "প্রথম ব্যবহার না করার" অঙ্গীকারের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। 
অনেকে মনে করেন, যে ধরনের সক্ষমতা তৈরি করা হচ্ছিল এবং কর্মকর্তারা যে সব বিবৃতি দিচ্ছিলেন তা থেকে বোঝা যায় যে ভারত নো ফার্স্ট ইউজ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে, তাঁর নিয়োগের পরপরই, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে ভারত তার ভঙ্গি "বিশ্বাসযোগ্য ন্যূনতম প্রতিরোধ" থেকে "বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবন্ধকতা"য় পরিবর্তন করছে।


কিন্তু ১০ বছর পর, এখন এমনটাই মনে হয় যে ভারতের অস্ত্রভাণ্ডার ছোট রয়ে গিয়েছে, এবং এখনও এমন একটি পর্যায়ে রয়েছে যেখানে শুধুমাত্র সামরিক ও অর্থনৈতিক লক্ষ্যবস্তুকে আক্রমণ করা, অর্থাৎ পারমাণবিক তাত্ত্বিকেরা যাকে "পাল্টা-শক্তি" কৌশল বলেন,  তা অনুসরণ করা ভারতের পক্ষে অবাস্তব।

সংক্ষেপে, "ব্যাপক প্রতিশোধের" হুমকি ভারতীয় মতবাদের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

চিন: ভারতের জন্য ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ

ভারতের কাছে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হল চিনা অস্ত্রাগারের বিকাশ এবং এর "ন্যূনতম প্রতিরোধ" ও "প্রথম ব্যবহার না করা"র ভঙ্গি থেকে সম্ভাব্য পরিবর্তন। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উত্তর চিনের দুটি অঞ্চলে চিনের শত শত মিসাইল সাইলো নির্মাণ করার স্যাটেলাইট চিত্রগুলি গোটা বিশ্বকে কৌতূহলী করে তুলেছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে চিনা অস্ত্রাগার সম্পর্কে তাদের মূল্যায়নে 
বুলেটিন অফ অ্যাটমিক সায়েন্টিস্ট উল্লেখ করেছে যে, চিনা পারমাণবিক অস্ত্রাগারের আধুনিকীকরণ "সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ত্বরান্বিত ও প্রসারিত হয়েছে।"


তাদের অনুমান হল যে চিন স্থলভিত্তিক ও সমুদ্রভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং বোমারু বিমান দ্বারা ব্যবহারের জন্য আনুমানিক ৪৪০টি পারমাণবিক ওয়ারহেডের মজুদ তৈরি করেছে। সেইসঙ্গে সড়ক পথে পরিবহণযোগ্য ও ‘‌সাইলো’‌য় রাখার জন্য আরও ৬০টি ওয়ারহেড তৈরি করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত আরও অনেকগুলি উৎপাদন করা হচ্ছে।

চিন 
২০২৩ সালের বিবৃতিতে তার "প্রথম ব্যবহার না-‌করার" নীতির পুনরাবৃত্তি করেছে, এবং বলেছে যে তার অস্ত্রাগার আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম স্তরে রয়েছে। আরও, দেশটি জোর দিয়ে বলেছিল যে এটি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না, বা অ-পারমাণবিক অস্ত্র রাষ্ট্রগুলির বিরুদ্ধে ব্যবহার করার হুমকি দেবে না। এ ছাড়াও, এটি কোনও পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতায় জড়াবে না। যাইহোক, প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে চিন "ন্যূনতম" সামর্থ্য কী বা "অস্ত্র প্রতিযোগিতা" কী তা পুরোপুরি স্পষ্ট করেনি।


ভারতের জন্য এখানে সমস্যা আছে। 
 ২০১০ সালে, বুলেটিন অফ অ্যাটমিক সায়ান্টিস্টস অনুমান করেছিল যে চিনের কাছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, এবং বোমারু বিমানের জন্য প্রায় ১৭৫টি ওয়ারহেড রয়েছে। ২০১৫ সালে তারা অনুমান করেছিল যে ভারতীয় পারমাণবিক বাহিনীর কাছে বোমারু বিমানের জন্য প্রায় ১১৮টি ওয়ারহেড রয়েছে এবং কিছু ওয়ারহেড সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণের জন্য তৈরি করা হয়েছে।  


চিনারা এখন আরও বড় অস্ত্রাগার, সম্ভবত ১,০০০ ওয়ারহেড, তৈরির দিকে যাচ্ছে। এটি সহজেই ভারতের যে কোনো সামর্থ্যকে ছাপিয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে অন্যান্য বিভিন্ন ব্যবস্থা, যেমন সাইবার ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধ, অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, এবং সম্ভবত ভারতীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র স্টোরেজ এলাকা ও সাইলোতে প্রচলিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, এবং সেইসঙ্গে ভারত-মুখী পাকিস্তানি অস্ত্রাগারের কথা ধরা হয়েছে।


চিনারা এখন আরও বড় অস্ত্রাগার, সম্ভবত ১,০০০ ওয়ারহেড, তৈরির দিকে যাচ্ছে। এটি সহজেই ভারতের যে কোনো সামর্থ্যকে ছাপিয়ে যেতে পারে।



এমনকি এও সামলানো যেত যদি ভারত অন্য সমস্যার সম্মুখীন না হত — যেমন 
১৯৯৮ সালে আমাদের থার্মোনিউক্লিয়ার বা হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষার ব্যর্থতা। তিন বা চারটি থার্মোনিউক্লিয়ার অস্ত্র একটি বড় শহরকে ধ্বংস করতে পারে যার জন্য তাদের অবশ্যই ১০০-২০০ কিলোটন শক্তি থাকতে হবে। ১৯৯৮ সালে ভারত একটি থার্মোনিউক্লিয়ার ডিভাইস পরীক্ষা করে যার ক্ষমতা ২০০ কেটি পর্যন্ত যেতে পারে, কিন্তু আমরা যেমন উল্লেখ করেছি, পরীক্ষাটি ব্যর্থ হয়। ১২ কেটি শক্তিসম্পন্ন আরেকটি অর্থোডক্স ডিভাইস সফল হয়েছিল, সেইসঙ্গে একটি বর্ধিত ফিশন অস্ত্র সহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষামূলক ডিভাইস।    


বর্ধিত অস্ত্রাগারের ক্ষমতা-‌সহ একটি চকিত আক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে, যা ভারতকে রক্ষণহীন করে রাখতে পারে।

"মারভিং" হল একটি আংশিক সমাধান, কারণ এটি ওয়ারহেডগুলির তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছনোর সম্ভাবনা বাড়ায়। দ্বিতীয়ত, মারভ (‌এমআইআরভি)‌-‌গুলি নিশ্চিত করবে যে ভারত একটি লক্ষ্যকে ধ্বংস করার জন্য পর্যাপ্ত ফায়ার পাওয়ার সরবরাহ করতে পারে। অন্য কথায়, পাঁচটি ওয়ারহেড একটি একক থার্মোনিউক্লিয়ার বোমার অভাব পূরণ করতে পারে।

একটি পূর্ণাঙ্গ সমাধান হল ভারতের অস্ত্রাগার প্রসারিত করা, যার চিনের বিরুদ্ধে মৌলিক সরবরাহ ব্যবস্থা হবে মার্ভ ক্ষেপণাস্ত্র। চিনকে বোঝানোর জন্য তাদের পর্যাপ্ত সংখ্যা থাকা উচিত, যাতে স্পষ্ট হয় কোনও আকস্মিক আক্রমণ কাজ করবে না।  


একটি পূর্ণাঙ্গ সমাধান হল ভারতের অস্ত্রাগার প্রসারিত করা, যার চিনের বিরুদ্ধে মৌলিক সরবরাহ ব্যবস্থা হবে মার্ভ ক্ষেপণাস্ত্র। চিনকে বোঝানোর জন্য তাদের পর্যাপ্ত সংখ্যা থাকা উচিত, যাতে স্পষ্ট হয় কোনও আকস্মিক আক্রমণ কাজ করবে না। 



কিন্তু ভারতীয় সম্প্রসারণ প্রায় নিশ্চিতভাবেই পাকিস্তানের সম্প্রসারণের দিকে নিয়ে যাবে। তাই বৈশ্বিক পরিসরে পারমাণবিক অস্ত্র সীমিত করার কথা ভাবা দরকার। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া তাদের অস্ত্র ব্যাপকভাবে হ্রাস করেছে, তাদের অস্ত্রাগার এখনও বর্তমান অনুমিত চিনা অস্ত্রাগারের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। এবং অস্ত্র আরও কমানোর প্রক্রিয়াটি স্থবির হয়ে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে।

সামনের পথ

সমাধানের উপায় হল বৈশ্বিক আলোচনা যা 
"ন্যূনতম প্রতিরোধ"-এর ধারণাকে সংজ্ঞায়িত করবে — যার অর্থ মূলত আক্রমণকারীদের নাগরিক ও জাতীয় পরিকাঠামোর "অগ্রহণযোগ্য ক্ষতি" — এবং এইভাবে কৌশলগত স্থিতিশীলতাকে বর্তমান পরিস্থিতির মতো অস্থিতিশীল করার পরিবর্তে স্থিতিশীল পর্যায়ে উন্নীত করা হবে


একটি দেশ তার অস্ত্রাগার থেকে কী চায় তার উত্তরে পৌঁছতে, এবং তারপর সেই সমস্যাগুলি সমাধানের চেষ্টা করার জন্য, বহুপাক্ষিক কথোপকথনের প্রয়োজন হবে। এখানে বিষয়গুলো সহজ নয়; কিছু দেশের একক প্রতিপক্ষ আছে, অন্যদের একাধিক।

৫০০-১০০০ ওয়ারহেডের মধ্যে অস্ত্রাগারের উচ্চ সীমা নির্ধারণের কথা ভাবা সম্ভব। যাই হোক, এটি এমন কিছু হতে পারে যা শুধুমাত্র বৃহৎ শক্তিগুলোই চাইবে। অন্যদিকে ইজরায়েল, ফ্রান্স, ব্রিটেন, উত্তর কোরিয়া ও পাকিস্তানের মতো ছোটরা ছোট সংখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারে। কিন্তু আমরা যদি উচ্চতর সংখ্যা দ্রুত কমিয়ে আনতে পারি, তাহলে আমরা এমন একটি প্রক্রিয়া শুরু করতে পারি যা সময়ের সাথে সাথে সারা বিশ্বে অস্ত্রাগারের পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারে।



মনোজ যোশী অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডিস্টিংগুইশড ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.