রাজনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেশ কয়েক বছর ধরে টানাপড়েনের পর, নেপাল ও ভারত এখন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনর্নবীকরণের জন্য দুই দেশের মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলার দিকে মনোনিবেশ করছে। সম্প্রতি উভয় দেশ আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য, পর্যটন এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ সহজ করার জন্য একটি ক্রস-বর্ডার ই-পেমেন্ট মেকানিজম চালু করার মাধ্যমে ডিজিটাল আর্থিক সংযোগ শক্তিশালী করেছে। গত কয়েক বছরে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট (আইসিপি), ক্রস-বর্ডার রেলওয়ে এবং বিদ্যুৎ পরিবহণ লাইন-সহ অন্যান্য সংযোগ অংশীদারিত্বের পর এই অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়েছে। তার উপর, ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই)-এর ক্ষেত্রে ভারতের সাফল্য এবং ডিজিটাল পরিকাঠামোতে আরও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সম্ভাবনা ব্যাপক অর্থনৈতিক একীকরণের সম্ভাবনা বাড়ায়, এবং নেপালের সঙ্গে ভারতের জনগণের-সঙ্গে-জনগণের সম্পর্ককে শক্তিশালী করে। আন্তঃসীমান্ত ডিজিটাল পরিকাঠামো ডিজিটালাইজড কাস্টম পদ্ধতির মাধ্যমে আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যকে উন্নত করতে পারে, ই-কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসা ও স্টার্টআপগুলির জন্য বৃহত্তর গ্রাহকভিত্তিকে মজবুত করতে পারে, এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পর্যটনকে উন্নত করতে পারে।
রাজনৈতিক টানাপড়েন
২০১৪ সালে নেপালে তাঁর প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী ‘নেপালের জন্য একটি 'এইচআইটি' দৃষ্টিভঙ্গির পরামর্শ দিয়েছিলেন, যেখানে হাইওয়ে, তথ্য পথ এবং ট্রান্সওয়ে-ট্রান্সমিশন লাইনে সহযোগিতার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছিল। যাই হোক, ২০১৫-র পরে রাজনৈতিক সম্পর্কের মন্দার সময় নেপাল-ভারত সম্পর্ক ঐতিহাসিক নিম্ন পর্যায়ে চলে যায়। সম্পর্ক আরও খারাপ হয় যখন দিল্লি ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে কালাপানি ও লিপুলেখের বিতর্কিত এলাকাসহ একটি নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র জারি করে, এবং লিপুলেখ হয়ে কৈলাস মানসরোবর পর্যন্ত একটি সড়ক সংযোগ খুলে দেয়। জবাবে নেপালও কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পিয়াধুরার বিতর্কিত অঞ্চলগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র বার করে। নেপাল টাকা দিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে কোভিড-১৯ তরঙ্গের মাঝামাঝি অভ্যন্তরীণ চাহিদার কারণ দেখিয়ে ভারত ১ মিলিয়ন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ করে দিলে নেপালিরা আরও বেশি অসন্তুষ্ট হয়ে ওঠেন।
নেপাল এমনকি অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে নেপালি যুবকদের নিয়োগ না-করার জন্য ভারতকে অনুরোধ করেছিল, কারণ এটি নেপালিদের ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মজীবনের পূর্ণ বিকাশ থেকে বঞ্চিত করে এবং চার বছরের চাকরির পরে প্রত্যাবর্তনকারীদের উপর সম্ভাব্য সামাজিক প্রভাব ফেলতে পারে।
আরও, ২০২২ সালে, ভারতে সামরিক নিয়োগের জন্য অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রবর্তন দীর্ঘস্থায়ী গোর্খা রেজিমেন্টের ভাগ্য নিয়ে উদ্বেগ সামনে এনেছিল। নেপাল এমনকি অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে নেপালি যুবকদের নিয়োগ না-করার জন্য ভারতকে অনুরোধ করেছিল, কারণ এটি নেপালিদের ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মজীবনের পূর্ণ বিকাশ থেকে বঞ্চিত করে এবং চার বছরের চাকরির পরে প্রত্যাবর্তনকারীদের উপর সম্ভাব্য সামাজিক প্রভাব ফেলতে পারে। নেপাল ও ভারতের মধ্যে বিবাদের এই পর্বগুলি শুধু রাজনৈতিক স্তরে অবিশ্বাস ও সন্দেহের জন্ম দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি করেনি, সেইসঙ্গে নেপালিদের মধ্যে ভারতের জনসাধারণের ভাবমূর্তিকেও ম্লান করে দেয়।
আন্তঃসীমান্ত সংযোগ বিস্তৃত করা
সম্পর্কের অচলাবস্থার মধ্যেও কিন্তু উভয় দেশ সংযোগ পরিকাঠামো এবং অর্থনৈতিক একীকরণে সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বাস্তবসম্মত প্রচেষ্টা বাড়িয়েছে। আগামী ১০ বছরে নেপাল থেকে ১০,০০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ আমদানির জন্য দুই দেশ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ভারতীয় পরিবহণ পরিকাঠামোর মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি সহজতর করতে ভারত সম্মত হয়েছে। আরও, জ্বালানি ও বিনিয়োগ সহযোগিতা জোরদার করার জন্য নেপালে এনএইচপিসি লিমিটেড দ্বারা ৬৬৯ মেগাওয়াট লোয়ার অরুণ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উন্নয়নের জন্য একটি প্রকল্প উন্নয়ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২০২৩ সালের জুনে, উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে নেপালগঞ্জ-রূপাইডিহা সীমান্তে আইসিপি উদ্বোধন করেন, ভৈরহাওয়া-সুনাউলি সীমান্তে একটি আইসিপির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, এবং একটি আইসিপি নির্মাণের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেন। এছাড়া দোধারা-চাদানিতে ভারতীয় সহায়তায় ড্রাই পোর্ট নির্মিত হবে। ভারত আন্তঃসীমান্ত মোতিহারী-আমলেখগঞ্জ পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন প্রকল্প নির্মাণের দ্বিতীয় পর্যায়কেও সহায়তা দিচ্ছে, এবং পূর্ব নেপালের শিলিগুড়ি থেকে ঝাপা পর্যন্ত নতুন পাইপলাইন প্রকল্প নির্মাণের জন্য একটি চুক্তি হয়েছে। মধ্য নেপালের বিজলপুরায় জয়নগর-কুর্থা যাত্রিবাহী রেল পরিষেবা সম্প্রসারণের জন্য ভারতীয় সহায়তা বাণিজ্য ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ককে আরও নিবিড় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সম্পর্কের উত্তেজনা কমানো: আর্থিক ও ডিজিটাল সংযোগে সহযোগিতার দিকে
ভৌত পরিকাঠামোর পাশাপাশি আর্থিক ও ডিজিটাল সংযোগ ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। নেপাল ও ভারত নিরবচ্ছিন্ন আন্তঃদেশীয় আর্থিক লেনদেনের সুবিধার্থে একটি ক্রস-বর্ডার ডিজিটাল পেমেন্ট মেকানিজম চালু করেছে। ২০২৩ সালের জুন মাসে আন্তঃসীমান্ত ডিজিটাল লেনদেনের সুবিধার্থে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এনপিসিআই) ও নেপাল ক্লিয়ারিং হাউস লিমিটেড (এনসিএইচএল)-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল৷ এর বিকাশের পরে, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ থেকে, ভারতীয় নাগরিকরা ইউনাইটেড পেমেন্ট ইন্টারফেস (ইউপিআই) অ্যাপের মাধ্যমে নেপালে মোবাইলে তহবিল স্থানান্তর এবং কিউআর কোড স্ক্যান করে অর্থপ্রদান করতে পারছেন৷ যদিও নেপালের পক্ষ থেকে বিলম্বিত প্রস্তুতির কারণে নেপাল এখনও ভারতে তার ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম চালু করতে পারেনি, একটি ক্রস-বর্ডার ই-পেমেন্ট মেকানিজম প্রবর্তনের ফলে আন্তঃসীমান্ত অর্থপ্রদান সহজতর ও নিরাপদ হবে, এবং আন্তঃসীমান্ত রেমিট্যান্স, বাণিজ্য, ও পর্যটনে সুবিধা হবে।
নেপাল ও ভারত নিরবচ্ছিন্ন আন্তঃদেশীয় আর্থিক লেনদেনের সুবিধার্থে একটি ক্রস-বর্ডার ডিজিটাল পেমেন্ট মেকানিজম চালু করেছে।
নেপাল ও ভারতের মধ্যে মানুষের অবাধ বিচরণ উভয় দেশেই বিপুল সংখ্যক অভিবাসী জনগোষ্ঠীর সমাগম সহজতর করেছে। চাকরি, ব্যবসা, তীর্থযাত্রা, শিক্ষা এবং অন্যান্য উদ্দেশ্যে মরসুমি এবং দীর্ঘস্থায়ী অবস্থানের জন্য নেপালি অস্থায়ী অভিবাসীদের একটি বড় অংশের জন্য ভারত পছন্দের গন্তব্য। যদিও এক দেশ থেকে অন্য দেশে অভিবাসীদের সংখ্যা ট্র্যাক করার জন্য কোনও সরকারি রেকর্ড রাখার ব্যবস্থা নেই, তবে অনুমান করা হয় যে ৬০০,০০০ ভারতীয় নেপালে বাস করছেন, এবং প্রায় ৩-৪ মিলিয়ন নেপালি ভারতে বসবাস করছে্ন এবং কাজ করছেন। ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হওয়া সত্ত্বেও ক্রস-বর্ডার ডিজিটাল ফান্ড ট্রান্সফার মেকানিজমের অভাব সহজ ও তাৎক্ষণিক রেমিট্যান্স প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করেছে, এবং রেমিট্যান্স লেনদেনের জন্য উচ্চ ব্যয় বহন করতে হয়েছে।
একটি ক্রস-বর্ডার ডিজিটাল পেমেন্ট সুবিধা চালু করার ফলে নেপালের পর্যটন উৎসাহিত হবে, এবং কোভিড-১৯ অতি্মারির পরে নেপালের পর্যটনকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে। নেপাল ২০২৩ সালে ৩১৫,০০০-এরও বেশি ভারতীয় পর্যটকের আতিথেয়তা করেছিল, যা ভারতকে বিদেশী পর্যটকদের সবচেয়ে বড় উৎস করে তুলেছে। এই পরিসংখ্যানে শুধু সেই ভারতীয় পর্যটকদের অন্তর্ভুক্ত করা রয়েছে যাঁরা আকাশপথে ভ্রমণ করেন। স্থলপথে পর্যটকদের নেপালে প্রবেশের কোনও সরকারি রেকর্ড নেই। ২০১৭ সালে পর্যটন মন্ত্রকের একটি সরকারি সমীক্ষা অনুসারে, অন্তত ১.২ মিলিয়ন ভারতীয় পর্যটক বিনোদন এবং তীর্থযাত্রার উদ্দেশ্যে ল্যান্ড এন্ট্রি পয়েন্টের মাধ্যমে নেপালে প্রবেশ করেছিলেন। একইভাবে, নেপাল ২০২২ সালে ভারতে অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের সপ্তম বৃহত্তম উৎস ছিল৷ পর্যটন ক্ষেত্রের জন্য আন্তঃসীমান্ত অর্থপ্রদান একটি বড় সমস্যা ছিল, কারণ সমস্ত দেশ জুড়ে ভ্রমণকারী পর্যটক এবং ব্যবসায়ীদের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন করা কঠিন হত৷ নেপাল ২০১৬ সালে ভারতে বিমুদ্রাকরণের ঘটনার পর ১০০ ভারতীয় রুপির বেশি মূল্যের ভারতীয় ব্যাঙ্ক নোট নিষিদ্ধ করেছে ৷ এটি ভারতীয় পর্যটকদের নেপালে যাওয়ার সময় ১০০ রুপির নোটের বান্ডিল বহন করতে বাধ্য করেছিল৷ অধিকন্তু, শুধুমাত্র শহুরে এলাকায় ডেবিট কার্ড লেনদেনের প্রাপ্যতা আর্থিক লেনদেন পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করেছে। মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে ঝামেলা-মুক্ত, কম ব্যয়বহুল, রিয়েল-টাইম পেমেন্ট-সহ ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের প্রবর্তন মুদ্রা বিনিময়ের জন্য ব্যাঙ্কে যাওয়ার ঝামেলা দূর করে পর্যটক এবং তীর্থযাত্রীদের জন্য আর্থিক লেনদেন সহজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আন্তঃসীমান্ত ডিজিটাল সংযোগ আরও গভীর করা
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় যোগাযোগ মন্ত্রক তাঁদের ভারত ভ্রমণের সময় নেপালি নাগরিকদের মোবাইল সিম কার্ড পাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য তার বিধানগুলি সংশোধন করে। ২০২১ সালে সিম কার্ড বিতরণের ডিজিটাইজেশনের সময় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ২০১২ সালে মন্ত্রকের প্রবর্তিত বিধানের ভিত্তিতে বৈধ ভিসা ছাড়া বিদেশী নাগরিকদের সিম কার্ড দেওয়া বন্ধ করে দেয়। যেহেতু নেপালি নাগরিকদের ভারতে ভ্রমণের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয় না, তাই তাঁরা তা পেতে পারেন না। এইভাবে সিম কার্ড দেওয়া বন্ধ করায় ব্যবসা, তীর্থযাত্রা, অধ্যয়ন, চিকিৎসা এবং অন্যান্য উদ্দেশ্যে ভ্রমণকারীদের যোগাযোগে বাধা পড়েছিল। নতুন বিধানটি নেপালিদের নাগরিকত্ব, পাসপোর্ট, ভোটার আইডি বা নেপালি দূতাবাস দ্বারা জারি করা যে কোনও ফটো আইডি-সহ বৈধ আইডি প্রমাণের ভিত্তিতে সিম কার্ড পেতে অনুমতি দিয়েছে। এটি ১৯৫০ সালের শান্তি ও মৈত্রী চুক্তির উপর ভিত্তি করে সীমান্তের ওপারে যোগাযোগের সুবিধা দেবে এবং একইসঙ্গে অন্য দেশের ভূখণ্ডে এক দেশের নাগরিকদের সমান আচরণ এবং অনুরূপ সুযোগ-সুবিধার বিধান নিশ্চিত করবে।
যেহেতু নেপালি নাগরিকদের ভারতে ভ্রমণের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয় না, তাই তাঁরা তা পেতে পারেন না। এইভাবে সিম কার্ড দেওয়া বন্ধ করায় ব্যবসা, তীর্থযাত্রা, অধ্যয়ন, চিকিৎসা এবং অন্যান্য উদ্দেশ্যে ভ্রমণকারীদের যোগাযোগে বাধা পড়েছিল।
নেপাল-ভারত ডিজিটাল কানেক্টিভিটির আরও বর্ধিতকরণ দুই দেশের অর্থনৈতিক ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। ডিজিটাল পেমেন্ট ইন্টারফেসের একীকরণ সহজলভ্য, ঝামেলামুক্ত এবং কম খরচে তাৎক্ষণিক আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বিশাল ভারতীয় বাজার খুলে দেবে। এটি বিশেষ করে সারা দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং স্টার্ট-আপদের উপকৃত করবে। ডিপিআই-এ ভারতের সাফল্যকে নেপাল তার ডিজিটাইজেশন যাত্রায় সহযোগী করে দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক ও জনগণের-সঙ্গে-জনগণের সংযোগ থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য আন্তঃসীমান্ত অর্থনৈতিক একীকরণের লক্ষ্যে যৌথভাবে ইন্টারঅপারেবল ডিজিটাল সিস্টেমগুলিকে উৎসাহিত করতে পারে। যাইহোক, আন্তঃসীমান্ত ডেটা প্রবাহ সম্পর্কিত সম্ভাব্য ডেটা সুরক্ষা এবং গোপনীয়তার ঝুঁকিগুলির জন্য একটি সমন্বিত, নিরাপদ ও নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতির প্রয়োজন৷
উপসংহার
ডিজিটাল এবং আন্তঃসীমান্ত সংযোগের অন্যান্য ফ্রন্টে বর্ধিত সহযোগিতার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনর্নবীকরণের এই সাম্প্রতিক অগ্রগতিগুলি উভয় দেশের তাদের সম্পর্ক সংশোধন করার প্রচেষ্টাকে নির্দেশ করে, যা ২০১৫ সালে রাজনৈতিক সংকটের পরে নিম্নতম স্তরে পৌঁছেছিল। তবে, রাজনৈতিক আস্থার পরিবেশ পুনর্গঠন এবং নেপালিদের মধ্যে ভারতের জনসাধারণের ভাবমূর্তির উন্নতির জন্য ভারতের তরফে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিতর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করা এবং নেপালের স্বার্থ রক্ষা করার প্রশ্নে নমনীয়তা প্রদর্শন করা জরুরি। আপাতত ডিজিটাল সংযোগের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে সহযোগিতার নতুন উপায়ের মাধ্যমে সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা একটি স্বাগত পদক্ষেপ।
অর্পণ গেলাল নেপালের সেন্টার ফর সোশ্যাল ইনোভেশন অ্যান্ড ফরেন পলিসি (সিইএসআইএফ)-র একজন রিসার্চ অ্যান্ড প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.