গত দেড় দশক সময় ধরে সেই সব দেশের গণতন্ত্রের গুণমান নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ লক্ষ করা গিয়েছে যারা গণতান্ত্রিক ভাবাদর্শের পথে হেঁটে গণতান্ত্রিক সরকার পরিচালনা করে বলে মনে করা হত। আশ্চর্যজনক ভাবে এই সময়কালের পূর্বে ঠিক এর বিপরীতটাই প্রত্যক্ষ করা যেত। ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীরের পতনের পরপরই ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হয়। এই দু’টি ঐতিহাসিক ঘটনা একযোগে ঠান্ডা লড়াইয়ের অবসান ঘটায় এবং পূর্ব ইউরোপে স্বৈরাচারী শাসনতন্ত্রের মৃত্যুঘণ্টা ধ্বনিত করে। এই ঘটনাগুলির প্রভাব ছিল নাটকীয়। এগুলির সম্মিলিত প্রভাবে শুধু মাত্র পূর্ব ইউরোপেই নয়, আমেরিকা, সাব-সাহারান আফ্রিকা এবং এশিয়ার মতো মহাদেশগুলি জুড়ে গণতন্ত্রীকরণের প্রবাহ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৯৮-২০০৫ সালের মধ্যে স্বাধীন দেশগুলির অংশ ৩৬ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৪৬ শতাংশ।
বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র কি বিপদের সম্মুখীন?
দুর্ভাগ্যবশত, ২০০৫ সালের পর বছরের পর বছর ধরে বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতার এক উদ্বেগজনক পতনের চিত্র ধরা পড়েছে অন্যতম বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক সমীক্ষায় (ফ্রিডম হাউস-এর ফ্রিডম ইন দ্য ওয়ার্ল্ড, দি ইকনমিস্টের দি ইকনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ডেমোক্রেসি ইনডেক্স)। বেশ কয়েকটি দেশে রাজনৈতিক অধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতার ক্ষেত্রে উদ্বেগজনক পিছু হটার ধারা লক্ষ করা গিয়েছে। আশ্চর্যজনক ভাবে স্বাধীনতা পতনের সাক্ষ্য বহন করা দেশগুলি কোনও নির্দিষ্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং তা ছড়িয়ে ছিল মহাদেশ জুড়ে। আরও উদ্বেগজনক এক সত্য হল যে, শক্তিশালী, দীর্ঘস্থায়ী গণতন্ত্রগুলি জনপ্রিয় রাজনৈতিক শক্তির এক চোরা স্রোতে নিমজ্জিত হতে শুরু করে। ফলে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতিষ্ঠিত মৌলিক ধারণাগুলি সঙ্কটের মুখে পড়েছিল।
এই আন্তর্জাতিক সমীক্ষাগুলির ফলাফল– যা বিশ্ব জুড়ে বেশ কয়েকটি গণতান্ত্রিক দেশে গণতান্ত্রিক শাসনের পশ্চাদপসরণের কথাই তুলে ধরেছে– তাতে উদ্বিগ্ন পশ্চিমী বিশ্বের বিশিষ্ট লেখক এবং চিন্তাবিদরা অবক্ষয়ের কারণগুলি চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন এবং গণতান্ত্রিক পতনের এই উদ্বেগজনক প্রবণতাকে রুখতে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন।
এই ঘটনাপ্রবাহ একনায়কতন্ত্রের জন্য উল্লাসের খবর বয়ে আনে। তাঁরা সেই দিকগুলির উপর আলোকপাত করতে শুরু করেন, যা তাঁদের মতে গণতন্ত্রের সহজাত দুর্বলতা এবং নিজেদের সীমানার বাইরেও স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার উত্থানের জন্য ও দেশগুলির অভ্যন্তরীণ ক্ষোভকে চূর্ণ করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এই আন্তর্জাতিক সমীক্ষাগুলির ফলাফল– যা বিশ্ব জুড়ে বেশ কয়েকটি গণতান্ত্রিক দেশে গণতান্ত্রিক শাসনের পশ্চাদপসরণের কথাই তুলে ধরেছে– তাতে উদ্বিগ্ন পশ্চিমী বিশ্বের বিশিষ্ট লেখক এবং চিন্তাবিদরা অবক্ষয়ের কারণগুলি চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন এবং গণতান্ত্রিক পতনের এই উদ্বেগজনক প্রবণতাকে রুখতে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন।
এই চিন্তাবিদরা ‘গণতান্ত্রিক অবক্ষয়’-এর নেপথ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কারণটিকে ‘নজরদারি পুঁজিবাদ’ নামে অভিহিত করেছেন। গুগল, ফেসবুক, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট এবং অ্যাপলের মতো নজরদারি পুঁজিবাদী মহাশক্তিধর সংস্থাগুলি বিশ্বের বেশির ভাগ অঞ্চলে মানুষের মধ্যকার তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রতিটি ক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ করে। তা সত্ত্বেও এই সংস্থাগুলি যে কোনও দেশের আইনি ব্যবস্থার কাছে যথেষ্ট দায়বদ্ধ নয়। এ কথা স্পষ্ট, যে নজরদারি সমাজ তারা গড়ে তুলেছে, তা আসলে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অগ্রগতির পথে অন্তরায়। সর্বোপরি, পাশ্চাত্যে শ্বেতাঙ্গ জনসংখ্যার শতাংশ হ্রাসের ঘটনা, যা আদতে অশ্বেতাঙ্গদের ব্যাপক হারে অভিবাসনকে ত্বরান্বিত করে, পশ্চিমী সমাজে বর্ণবৈষম্যের দিকে জনমত মেরুকরণের আগুনকে উস্কে দেয়। ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়া বিভাজনের এই আগুন ছড়িয়ে পড়ার নেপথ্যে এক তাৎপর্যপূর্ণ এবং অশুভ ভূমিকা পালন করেছে। এবং এটি দুর্ভাগ্যবশত অন্তর্ভুক্তিমূলক নাগরিকত্বের ধারণাকে ভেঙে দিচ্ছে। এর পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রপুঞ্জের (ইউ এন) মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি অপ্রতুল এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা করতে অক্ষম। এই ধরনের দুর্বলতার সামনে নির্বাচন, সরকারি আধিকারিকদের উপর জবরদস্তি এবং বলপূর্বক বিনিয়োগের মাধ্যমে টিকে থাকার জন্য লড়াই চালানো গণতন্ত্রকে বশ করার প্রচেষ্টার মতো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলিতে হস্তক্ষেপ করার ক্ষেত্রে স্বৈরাচারী প্রশাসন তাদের ক্রমবর্ধমান স্পর্ধা দেখিয়েছে। গণতন্ত্রে ক্রমবর্ধমান বৈষম্য এবং যুবসমাজের ক্ষোভের পাশাপাশি অস্বচ্ছ সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া লক্ষ করা গিয়েছে। স্বৈরাচারীরা যে গতিতে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে সক্ষম, তা গণতান্ত্রিক বিশ্বে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সমাজতন্ত্রের প্রতি ভালবাসাকে বিপদের মুখে ফেলেছে।
ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়া বিভাজনের এই আগুন ছড়িয়ে পড়ার নেপথ্যে এক তাৎপর্যপূর্ণ এবং অশুভ ভূমিকা পালন করেছে। এবং এটি দুর্ভাগ্যবশত অন্তর্ভুক্তিমূলক নাগরিকত্বের ধারণাকে ভেঙে দিচ্ছে।
সমাধানের সন্ধানে এই প্রতিবেদনের লেখকরা সতর্ক করেছেন যে অগণতান্ত্রিক প্রবাহ ঠেকানোর জন্য পৃথক গণতান্ত্রিক দেশ দ্বারা যে কোনও বিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা যথেষ্ট না-ও হতে পারে। প্রতিযোগিতাটি অবশ্যই সংকল্পবদ্ধ এবং ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, যাতে স্বৈরাচারী প্রশাসন দ্বারা কোনও দেশ আক্রান্ত হলে গণতান্ত্রিক বিশ্বের উচিত আক্রমণকারী দেশটির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোটবদ্ধ হয়ে পদক্ষেপ করা এবং একই সঙ্গে আক্রমণের মুখে পড়া দেশটি যাতে আবার নিজের পায়ে উঠে দাঁড়াতে পারে, তার জন্য তাকে যথাযোগ্য সাহায্য করা। একই সঙ্গে দেশগুলির প্রয়োজন দেশের আইনের পুনর্লিখনের মাধ্যমে তাদের আইনি ব্যবস্থাগুলিকে ঢেলে সাজা, যাতে দেশগুলি তথ্য প্রবাহের উপর কর্পোরেট নিয়ন্ত্রণে ইতি টানতে পারে। এ ছাড়াও দেশগুলির উচিত, রাজনীতি ও ব্যবসার ক্ষেত্রে যথেষ্ট স্বচ্ছতা বহাল রাখা এবং সেই স্বচ্ছতা বজায় রাখাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া। এই প্রতিবেদনের লেখকরা সাবধান করেছেন যে, পশ্চিমী গণতান্ত্রিক বিশ্ব যদি কালো টাকার প্রবাহ বন্ধ করতে তৎপর না হয়, তা হলে গণতন্ত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে। উদার গণতন্ত্রগুলিকে তাদের গৃহীত নীতির মাধ্যমে সুনিশ্চিত করতে হবে যেন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অধিকাংশ ভাগ নাগরিকের কাছে পৌঁছয় এবং সামাজিক সম্মানের দিকটি সর্বাত্মক হয়। গণতন্ত্রগুলিকে গুপ্তচরবৃত্তি ও হ্যাকিং সিস্টেমের সহায়ক এবং গোপনীয়তা ও স্বাধীনতার জন্য হানিকারক ইন্টেলিজেন্স গ্রেড সফটওয়্যার ও অন্যান্য প্রযুক্তির ব্যবসায়িক বাজারের ইতি ঘটাতে হবে। তারা গণতান্ত্রিক দেশগুলিতে এই সব সংস্থাকে স্বৈরাচারিতার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হয়ে উঠতে দিতে পারে না।
ভারতীয় গণতন্ত্রের বিপদ
গণতন্ত্রের স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে, ভারতীয় গণতন্ত্রকে সঙ্কটের মুখে ফেলছে, এমন বিপদগুলির প্রতি নজর দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ হবে। বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রগুলির সম্মুখে উপস্থিত অধিকাংশ বিপদই বহুলাংশে ভারতের জন্যও দুশ্চিন্তার কারণ। আন্তর্জাতিক যোগাযোগ সংস্থাগুলির সঙ্গে ভারত সরকারের সাম্প্রতিক অভিন্ন অবস্থানগুলি এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। ভারতীয় যোগাযোগ ব্যবস্থার সম্মুখে উপস্থিত চ্যালেঞ্জগুলির প্রেক্ষিতে ভারতীয় আইনবিধির পুনর্বিবেচনা, পুনর্বিন্যাস এবং সুদৃঢ়করণ প্রয়োজন। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সময়ে আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়া দরকার। পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক নাগরিকত্বের প্রেক্ষিতেও অনেক কিছুই করা বাকি আছে এখনও। ভারতের সামাজিক সমস্যাগুলির যত বৈচিত্র্য, তা পৃথিবীর অন্য কোনও দেশে দেখতে পাওয়া যায় না। এর মধ্যে অনেকগুলির উপরেই দীর্ঘদিন নজর দেওয়া হয়নি। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এই সমস্যাগুলির সমাধান খুঁজে বের করা এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল না করে তোলা এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি ধীর আইনি প্রক্রিয়া, ব্যাপক সংখ্যক মামলার বিচারের অচলাবস্থা এবং এই ধরনের মানুষদের জনপ্রতিনিধি রূপে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা দুর্বল আইনিকরণের ফলে চরম আকার ধারণ করেছে।
দেশের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে দু’টি অপ্রীতিকর ঘটনারও তাৎপর্য লক্ষ্যণীয়। এবং দেশের গণতন্ত্রের উপরে এগুলির প্রভাব উদ্বেগজনক। এর মধ্যে প্রথমটি হল রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন। রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমান লোকসভার প্রায় ৫০ শতাংশ সাংসদের বিরুদ্ধেই ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এই ঘটনা ২০০৯ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ফৌজদারি মামলার সঙ্গে জড়িত সাংসদ সংখ্যার ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধিকে দর্শায়৷ প্রসঙ্গত, অধিক আশঙ্কাজনক হল অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্রেটিক রিফর্মস-এর (এ ডি আর) রিপোর্ট, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০০৯ সালে লোকসভার ৫৪৩ জন সাংসদের মধ্যে ৭৬ জনের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ এবং ডাকাতির মতো গুরুতর আইনি অভিযোগ ছিল। অনেক রাজ্যের বিধানসভার পরিস্থিতিও একই রকম। এটি একটি বিপজ্জনক প্রবণতা। কারণ রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন জনগণকে তাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে অর্থবহ সম্পর্ক গড়ে তুলতে বাধা দেয়, গণতন্ত্র সংক্রান্ত মোহভঙ্গকে ত্বরান্বিত করে এবং উন্নত গণতান্ত্রিক প্রশাসনের মূলে আঘাত হানে। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতি ধীর আইনি প্রক্রিয়া, ব্যাপক সংখ্যক মামলা জমে থাকা এবং এই ধরনের মানুষদের জনপ্রতিনিধি রূপে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা দুর্বল আইনিকরণের ফলে চরম আকার ধারণ করেছে।
দ্বিতীয় কারণটি হল সংসদ ও রাজ্য বিধানসভায় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিজ নিজ প্রাথমিক দায়িত্ব পালনে ক্রমবর্ধমান অনীহা। এমনটা আশা করা স্বাভাবিক যে, এই সব জনপ্রতিনিধি তাঁদের দেশ ও রাজ্যগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে অধ্যয়ন করবেন এবং তাঁদের বক্তব্য পেশ করবেন। বিলের খসড়া তৈরি করার সময়েও তাঁদের তরফে একই রকমের মনোযোগ কাম্য। দুর্ভাগ্যবশত দেখা গিয়েছে যে, গত এক দশকে রাজ্য বিধানসভায় অধিবেশন সংখ্যার বার্ষিক গড় ছিল মাত্র ৩০ এবং পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং দিল্লির হার এ ক্ষেত্রে সর্বাধিক নেতিবাচক। উক্ত রাজ্যগুলির ঠিক পরেই রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলি। লোকসভার পরিসংখ্যানও বিশেষ আশাব্যঞ্জক নয়। গত ১০ বছরে বার্ষিক গড় অধিবেশনের সংখ্যা ছিল ৬৩টি। স্পষ্টতই আইন সংক্রান্ত যে কোনও বিতর্কই যথাযোগ্য মনোযোগ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এর ফলস্বরূপ বিধিবদ্ধ আইনের গুণমান হ্রাস পেয়েছে, যেমনটা ভারতের প্রধান বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছেন। এই সব কিছুই ভারতীয় গণতন্ত্রের গুণমানের অবক্ষয়ের প্রতিই ইঙ্গিত দেয় যা মোটেও ভাল লক্ষণ নয়। উত্থাপিত কিছু আন্তর্জাতিক স্তরে উদ্ভূত উদ্বেগের ক্ষেত্রে সরব হওয়ার পাশাপাশি ভারতকে তার গুণমান রক্ষা করার জন্য অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.