Published on Nov 11, 2023 Updated 0 Hours ago

মস্কো আফগান অঞ্চলে তার নিরাপত্তা এবং কৌশলগত স্বার্থের ভারসাম্য বজায় রাখার পাশাপাশি কী ভাবে নিজের অর্থনৈতিক প্রভাব প্রসারিত করার চেষ্টা করে, আগামী মাসগুলিতেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে

নিজের প্রভাব (পুনঃ)প্রতিষ্ঠা: আফগানিস্তানে রাশিয়ার ভূমিকা

২০২১ সালের অগস্ট মাসে কাবুলের পতন দেশটিতে পশ্চিমী প্রভাবের অবসান সংক্রান্ত আলোচনাকে উস্কে দেয় এবং চিন ও রাশিয়ার জন্য সাম্রাজ্যের কবরখানাবা গ্রেভইয়ার্ড অফ এম্পায়ার্স’-এ নিজেদের জমি শক্ত করার সুযোগ করে দেয়। এর অব্যবহিত পরেই আফগানিস্তানের অন্য প্রতিবেশীদের মতো রাশিয়া কাবুলে নিজের দূতাবাস বন্ধ করেনিএবং একাধিক রুশ আধিকারিক কাবুলের পাশাপাশি মস্কোর জন্য তালিবান প্রশাসনের অর্থ ঠিক কী হতে পারে, সে সম্পর্কে একটি ইতিবাচক ধারণা বজায় রেখেছিলেন।

অতীত এবং বর্তমানের চাপ অর্থাৎ বিদ্যমান ইউক্রেন সঙ্কট আফগানিস্তানের বিষয়ে রাশিয়ার যে কোনও বিবেচনার উপরেই চাপ সৃষ্টি করবে এবং আসন্ন মাসগুলিতে মস্কো এই অঞ্চলে তার নিরাপত্তা ও কৌশলগত স্বার্থের ভারসাম্য বজায় রাখার প্রচেষ্টার পাশাপাশি কী ভাবে তার অর্থনৈতিক প্রভাব সম্প্রসারণ করে, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

 

মার্কিন-পরবর্তী আফগানিস্তানে রাশিয়ার ভূমিকা

জুলাই মাসে আফগানিস্তানে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি জিরনভ কাবুলে ইসলামিক এমিরেটের ভারপ্রাপ্ত বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে দেখা করেন। ইসলামিক এমিরেট অফ আফগানিস্তানের (আইইএ) ডেপুটি মুখপাত্রের মতে, রাষ্ট্রদূত মুত্তাকিকে আসন্ন মস্কো ফরম্যাট কনসালটেশন সম্পর্কে অবহিত করেন এবং তাঁকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা টিএএসএস আসন্ন দফার আলোচনায় তালিবানকে আমন্ত্রণ জানানোর সব প্রসঙ্গই এড়িয়ে গিয়েছে এবং শুধু মাত্র উল্লেখ করে যে, দুপক্ষ নিতান্তই সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছে।

 

এর অব্যবহিত পরেই আফগানিস্তানের অন্য প্রতিবেশীদের মতো রাশিয়া কাবুলে নিজের দূতাবাস বন্ধ করেনিএবং একাধিক রুশ আধিকারিক কাবুলের পাশাপাশি মস্কোর জন্য তালিবান প্রশাসনের অর্থ ঠিক কী হতে পারে, সে সম্পর্কে একটি ইতিবাচক ধারণা বজায় রেখেছিলেন।

 

তালিবান কাবুল দখলের কয়েক মাস পর মস্কো ২০২১ সালের অক্টোবরে মস্কো ফরম্যাট কনসালটেশনের তৃতীয় সংস্করণের আয়োজন করেছিল। এতে ১০টি আঞ্চলিক দেশ এবং আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্বকারী তালিবানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত পরবর্তী দফার আলোচনায় তালিবান গোষ্ঠীটিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সব অংশগ্রহণকারী দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন এবং মানবাধিকারকে সম্মান করার জন্য গোষ্ঠীটিকে চাপ দেয়। এই কূটনৈতিক আলোচনার উচ্চস্তরে অধিনায়কের পদে আসীন রাশিয়া অঞ্চলটির নেতা হিসাবে নিজের অবস্থানকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি নিজের স্বার্থকেই এগিয়ে নিয়ে যায়। এই আলাপ-আলোচনাগুলি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (ইউএস) বা পশ্চিমী দেশগুলির যে কোনও একটিকে স্পষ্টতই বাদ দেওয়ার লক্ষ্য হল সঙ্কট সংক্রান্ত আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গিকে একত্র করা। এ বছর আলোচনার জন্য মস্কো থেকে আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়ে তালিবান মুখপাত্রের দাবির উদ্দেশ্য এই হতে পারে, যখন তারা আমন্ত্রিত হবে, তখন আলোচনায় তালিবানের স্থানটি আগেভাগেই সুরক্ষিত করা সম্ভব হবে

 

আফগানিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক পরিসরে এই আমূল পরিবর্তনের প্রতি রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল পরিমিত এবং বাস্তবসম্মত। কাবুলের বেশির ভাগ বিদেশি দূতাবাসের মতো রুশ কূটনৈতিক মিশন বন্ধ ছিল না। ক্ষমতা দখলের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তালিবান প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ চলাকালীন হিংসার ঘটনায় নাটকীয় পতনের কথা স্বীকার করে জিরনভ মস্কোর তরফে নতুন তালিবান প্রশাসনের জন্য উষ্ণ বার্তাও দেন। পশ্চিমী দেশগুলি থেকে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়াকে আলাদা করার উদ্দেশ্যে এই প্রাথমিক সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল এবং পশ্চিমী শক্তি দ্বারা নির্ধারিত নিষেধাজ্ঞা ও নতুন প্রশাসনটিকে একঘরে করে রাখার সিদ্ধান্তকে কার্যতই অস্বীকার করা হয়েছিল।

 

রাশিয়া দি আফগানিস্তান ব্যাঙ্কের পুঁজি ফ্রিজ করার তীব্র নিন্দা করেছে এবং দেশটিকে স্থিতিশীল করে তোলাজন্য তা অবিলম্বে রিলিজ করার আহ্বান জানায়আফগান জনসাধারণকে খাদের কিনারায় ঠেলে দেওয়ার জন্য এ হেন নিষেধাজ্ঞার উপহাসও করে রাশিয়া

 

তালিবানের প্রতি মস্কোর প্রাথমিক পদক্ষেপ কেবল ২০ বছর পর দেশ থেকে ন্যাটো প্রত্যাহারের বিষয়ে রাশিয়ার উত্সাহ থেকেই উদ্ভূত নয়, বরং তালিবানের সঙ্গে রাশিয়ার দীর্ঘদিনের অনানুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্কেরও ফল ২০১১ সাল পর্যন্ত মস্কো সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সন্ত্রাসবিরোধী উপাদানের জন্য লজিস্টিক এবং গোয়েন্দা সহায়তা প্রদান করেছিল। তালিবানদের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা তখনও পর্যন্ত অত্যন্ত সীমিত ছিল। পশ্চিমী শক্তিগুলি যখন ২০১১ সালের মধ্যে দেশটিতে নিজেদের সম্পৃক্ততা হ্রাস করার প্রবণতা প্রকাশ করেছিল, তখনই রাশিয়া এই গোষ্ঠীটির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার পথে হাঁটে। সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে উদ্বেগ এবং আইএসকেপি-র দক্ষতা বৃদ্ধির দরুন সৃষ্ট অভিন্ন সাধারণ হুমকির কারণে মস্কো ২০১৫ সালে তালিবানদের সঙ্গে যোগাযোগের শৃঙ্খলের সূচনা করে। বেশ কিছু মার্কিন গোয়েন্দা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে যে, রুশ তাজিক সীমান্ত পেরিয়ে তালিবানদের কাছে আইএসআইএস এবং আল-কায়েদার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য গোপনে অস্ত্র পাচার করেছিল।

 

রাশিয়ার জন্য আফগানিস্তানের ভূ-কৌশলগত গুরুত্ব

২০২৩ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত তার ফরেন পলিসি ডক্ট্রিন বা বিদেশনীতি মতবাদে মস্কো সহযোগিতার জন্য আফগানিস্তানকে ইউরেশীয় পরিসরে সমন্বিত করার রুশ অভিপ্রায়ের রূপরেখা দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাশিয়ার তরফে বক্তব্য বিস্তৃত এবং রাশিয়ার আফগানিস্তানকে নিজের কৌশলগত বলয়ে অন্তর্ভুক্ত করার ইচ্ছা এবং ইউক্রেনের সঙ্কটের পরবর্তী সময়ে দেশটির ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের কথা তুলে ধরে।

 

সব অংশগ্রহণকারী দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন এবং মানবাধিকারকে সম্মান করার জন্য গোষ্ঠীটিকে চাপ দেয়।

রাশিয়ার জন্য আফগানিস্তানের গুরুত্বও ভৌগোলিক চাহিদা থেকে উদ্ভূত। যেহেতু কাবুল সেন্ট্রাল এশিয়ান রিপাবলিকস-এর (সিএআর) সঙ্গে সীমানা ভাগ করে নেয় - যাকে মস্কো তার প্রভাব বলয়ের অধীনস্থ বলে মনে করে তাই দেশের যে কোনও মাত্রার অস্থিতিশীলতা ক্রেমলিনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি প্রধানত সিএআর-এর মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ ও মাদকের ক্রমবর্ধমান অনুপ্রবেশের হুমকি নিয়ে উদ্বিগ্ন। এ ছাড়াও এ ক্ষেত্রে রাশিয়ার অর্থনৈতিক স্বার্থ বিদ্যমান। কারণ আফগানিস্তানের তেল থেকে সোনা হয়ে বিরল খনিজ সম্পদ অব্যবহৃত রয়ে গিয়েছেনিষেধাজ্ঞার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত রাশিয়া কাবুলকে একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য অংশীদার হিসাবে মনে করে তালিবান গত বছর পেট্রল, গ্যাস এবং গম আমদানির জন্য রাশিয়ার সঙ্গে একটি অস্থায়ী বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা কাবুলের প্রথম বড় আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক চুক্তি।

 

আঞ্চলিক দেশগুলির উপর রাশিয়ার নির্ভরতা

রাশিয়া গত দুবছর অগণিত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। তালিবানের পুনরুত্থান রাশিয়ার পূর্ব দিকের প্রতিবেশের পরিস্থিতি পরিবর্তন করলেও ইউক্রেনে তার আগ্রাসন ইউরোপে স্থিতাবস্থার সমীকরণ বদলে দিয়েছে। যেহেতু মস্কো তার আগ্রাসনের অনিচ্ছাকৃত পরিণতির মধ্যে দিয়েই পথ খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে, পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞার আরোপ রাশিয়ার জ্বালানি দুর্বলতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। পশ্চিমী জ্বালানি বাজারের উপর তার ক্রমবর্ধমান নির্ভরতা দেশটিকে বৈচিত্র্যকরণে, অ-পশ্চিমী বাজারগুলির প্রতি আগ্রহ প্রদর্শনে এবং নিজের প্রভাবের ক্ষেত্রগুলির সমন্বিতকরণকে সুনিশ্চিত করতে বাধ্য করে। ওয়াশিংটন এবং মস্কোর মধ্যে বিভেদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

 

আফগানিস্তানের জন্য রাশিয়ার বিশেষ দূত জামির কাবুলভ আঞ্চলিকতাবাদীদের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন অর্থাৎ ভারত, চিন, ইরান, পাকিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার প্রজাতন্ত্রের মতো দেশগুলি মস্কোর মতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের বর্জনীয় ভূমিকার বিপরীতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক উপায়ে সঙ্কট সমাধানে সহায়তা করবে। উল্লিখিত দেশগুলির সঙ্গে সমন্বিত ভাবে কাজ করার এই প্রসঙ্গটি রাশিয়া একাধিক বার পুনর্ব্যক্ত করেছে। একটি আঞ্চলিক পদ্ধতি প্রণয়নের পরামর্শ দেওয়ার বিষয়ে রাশিয়া আফগানিস্তানে তালিবান প্রশাসকদের তাদের দাবি তুলে ধরার ক্ষেত্রে একটি ঐকমত্যভিত্তিক পদ্ধতিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছেরাশিয়া বেশির ভাগ আঞ্চলিক আলাপ-আলোচনামূলক জোটে এই দেশগুলির সঙ্গে কাজ করে আসছে, যেগুলি মস্কো ফরম্যাট, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) গোষ্ঠী, আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলির টুনসি ইনিশিয়েটিভ ইত্যাদির একটি অংশ বা আয়োজক। রাশিয়াকে তার স্বার্থ চরিতার্থ করতে সক্ষম করার ক্ষেত্রে নিজেদের গুরুত্ব উপলব্ধি করার মাধ্যমে এই সহযোগিতার উদ্ভব হয়।

 

তালিবান গত বছর পেট্রল, গ্যাস এবং গম আমদানির জন্য রাশিয়ার সঙ্গে একটি অস্থায়ী বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা কাবুলের প্রথম বড় আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক চুক্তি।

 

চিন এবং ইরানের সঙ্গে আফগানিস্তানে রাশিয়ার দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের সংমিশ্রণ যা-ই হোক না কেন, এই অঞ্চলে অবশিষ্ট মার্কিন প্রভাব হ্রাস করাই হল তিনটি দেশেরই অভিন্ন সাধারণ লক্ষ্য। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য তারা পাকিস্তানের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক চালাচ্ছেআফগানিস্তান থেকে উদ্ভূত সন্ত্রাসবাদের হুমকি নিয়ে সকলের মধ্যেই অভিন্ন সাধারণ উদ্বেগ রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারের পরে বেজিং এবং মস্কো উভয়ই দেশটিতে শূন্য স্থান পূরণ করবে বলে আশা করা হয়েছিল। চিনা পক্ষও আফগানিস্তানে সমস্যা সমাধানে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। ২০১৮ সালে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে মস্কো এবং তেহরান সহযোগিতা করছে। তেহরান ও মস্কো একটি সর্বাঙ্গীন সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। রাশিয়া ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সমন্বয় জুন মাসে উভয় পক্ষের আলোচনাতেও স্পষ্ট হয়, যেখানে সন্ত্রাসবাদ, মাদক পাচার এবং সংগঠিত অপরাধের বিষয়ে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছিল। রাশিয়ার ডেপুটি এফএম এবং পাকিস্তানের প্রতিমন্ত্রী ও আফগানিস্তানে তাঁদের প্রতিনিধির মধ্যে হওয়া বৈঠকে উভয় পক্ষই আফগান সমস্যার সমাধানে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে।

 

নয়াদিল্লির সঙ্গে রাশিয়ার সহযোগিতা তালিবানের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার পরিমাণের পার্থক্যের দ্বারা প্রভাবিত হলেও সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে অভিন্ন সাধারণ উদ্বেগ সহযোগিতায় তা সহায়তা করবেভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত ডোভাল ফেব্রুয়ারি মাসে মস্কো সফর করেন এবং রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিকোল পাত্রুশেভের পাশাপাশি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন। উভয় পক্ষই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীমোকাবিলায় গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে।  এসসিও-র সর্বশেষ ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলন এই অঞ্চলের দেশগুলির সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে উপস্থিত সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জগুলিকে প্রতিফলিত করেছে।

 

রাশিয়ার জন্য আফগানিস্তান অদূর ভবিষ্যতে একটি কৌশলগত দ্বিধা হয়েই রয়ে যাবে। রাশিয়া তালিবানের সঙ্গে দ্বৈত পন্থা অব্যাহত রাখলেও সন্ত্রাসবাদের হুমকি সংক্রান্ত উদ্বেগ মস্কোকে অস্বস্তিতে রাখবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অন্যান্য অংশের মতো তালিবানকে একটি জাতিগত ভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানালেও রাশিয়া তালিবানের সঙ্গে ব্যাপক সহযোগিতার জন্য স্বীকৃতির অভাবকে একটি বাধা বলে মনে করে না। এই অঞ্চলের অন্য দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতা এবং ২০২১ সালের অগস্ট-পরবর্তী পরিস্থিতিতে যে কোনও মার্কিন সম্পৃক্ত বিষয়কে এড়িয়ে কাজ করার প্রচেষ্টাও অব্যাহত থাকবে তবে এই অঞ্চলের বেশির ভাগ দেশের অভিন্ন স্বার্থ না থাকায় একটি আঞ্চলিক ঐকমত্যে পৌঁছনোর কাজটি কঠিন হবে। অন্য দিকে তালিবানরা তাদের ক্রমবর্ধমান বিচ্ছিন্নকরণের কারণে মস্কোর প্রতিই  নির্ভরশীল হবে, যেমনটা রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং আইইএ-র ভারপ্রাপ্ত এফএম-এর মধ্যে সর্বশেষ বৈঠকে স্পষ্ট হয়েছে

 


শিবম শেখাওয়াত অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট।

অঞ্জলি বিড়লা ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসেঅফিসার (ব্যাচ ২০২০)। তিনি রেলমন্ত্রকে কর্মরত এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পলিটিক্যাল সায়েন্সে স্নাতক পাশ করেছেন।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Shivam Shekhawat

Shivam Shekhawat

Shivam Shekhawat is a Junior Fellow with ORF’s Strategic Studies Programme. Her research focuses primarily on India’s neighbourhood- particularly tracking the security, political and economic ...

Read More +
Anjali Birla

Anjali Birla

Anjali Birla is an Indian Civil Services Officer(Batch 2020) working in the Ministry of Railways and has done her graduation in Political Science from Delhi ...

Read More +