Published on Oct 22, 2024 Updated 0 Hours ago

বিআরআই-এর মাধ্যমে কম্বোডিয়ায় চিনের কৌশলগত পরিকাঠামো উন্নয়ন দ্রুতগতিতে সম্প্রসারিত হয়েছে। যদিও কম্বোডিয়া এ থেকে অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হয়, দেশটি নির্ভরতা কমাতে তার বৈদেশিক নীতিকে বৈচিত্র্যময় করতে চায়

রিম নৌঘাঁটি: কম্বোডিয়ায় চিনের প্রভাব বাড়ছে

গত দুই দশকে চিন-কম্বোডিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রাথমিকভাবে সামরিক অংশীদারি থেকে বহুমুখী হয়ে বাণিজ্য, উন্নয়ন অর্থ, সামরিক বন্ধন, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ককে গভীরতর করার ক্ষেত্রে স্থানান্তরিত হয়েছে। চিন সরকারের সঙ্গে বর্তমান কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক গভীর। দ্বিপাক্ষিক অংশীদারদের মধ্যে বিআরআই সহযোগিতা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কম্বোডিয়ার অবনতিশীল সম্পর্কের কারণে এই ঘটনা সহজতর হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে কম্বোডিয়ান রিম নৌঘাঁটির অর্থায়ন ও নির্মাণে পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভি (পিএলএএন)-‌র সম্পৃক্ততা এবং ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে দুটি চিনা নৌ-‌যুদ্ধ জাহাজের উপস্থিতি চিন-কম্বোডিয়ার সম্পর্কের গভীরতার একটি বড় উদাহরণ। এটাও উল্লেখযোগ্য যে চিনা নৌবাহিনী বন্দর উন্নয়ন শুরু করার আগে কম্বোডিয়ান সরকার নৌ-‌বন্দরে মার্কিন ও অস্ট্রেলিয়া-সমর্থিত চারটি কাঠামো ভেঙে দিয়েছে।

রিম নৌঘাঁটি চিনের জন্য ভূ-কৌশলগত ও ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করে। এটি একটি জটিল চোকপয়েন্ট মালাক্কা প্রণালীর কাছাকাছি অবস্থিত, যার মাধ্যমে চিনের শক্তি আমদানির ৭০ শতাংশ আসে। তাইল্যান্ড উপসাগর ও দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের কৌশলগত পরিকাঠামো উন্নয়নও এই অঞ্চলে তার ক্রমবর্ধমান শক্তি প্রক্ষেপণের অংশ, যে অঞ্চলটিকে চিন তার এক্তিয়ারভুক্ত হিসাবে দাবি করে। কৌশলগত পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যও হল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মার্কিন নিরাপত্তা স্থাপত্য ও ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ভারতের থেকে ঝুঁকি কমানোর জন্য বিভিন্ন দেশকে ব্যবহারের ব্যবস্থা করা।


রিম নৌঘাঁটি চিনের জন্য ভূ-কৌশলগত ও ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করে। এটি  একটি জটিল চোকপয়েন্ট মালাক্কা প্রণালীর কাছাকাছি অবস্থিত, যার মাধ্যমে চিনের শক্তি আমদানির ৭০ শতাংশ আসে।



এই নিবন্ধটি কম্বোডিয়ায় বিআরআই-এর মাধ্যমে চিনের কৌশলগত পরিকাঠামো উন্নয়ন বিশ্লেষণ করে এবং এর ভূ-রাজনৈতিক ও ভূ-কৌশলগত প্রভাব বর্ণনা করে।

কম্বোডিয়ায় চিনের অর্থনৈতিক পদচিহ্ন

কম্বোডিয়া ও চিন ২০১৩ সালে বেজিংয়ে প্রথম বিআরআই শীর্ষ সম্মেলনে তাদের বিআরআই সহযোগিতা চুক্তি
স্বাক্ষর করে। তারপর থেকে, চিন কম্বোডিয়ায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে, ঋণ দিয়েছে বা চুক্তি করেছে। ২০১৩ ও ২০২৩-এর মধ্যে পরিবহণ ও জ্বালানি ক্ষেত্র হল কম্বোডিয়ায় মোট বিআরআই নিযুক্তির ৬৮ শতাংশ, যথাক্রমে ৮.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ৩.৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিআরআই-এর কারণে ব্যয় বৃদ্ধি, স্থানচ্যুতি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির নিম্ন হারের জন্য চিন কম্বোডিয়ার জনগণের প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হলেও কম্বোডিয়া সরকার কম্বোডিয়ায় বিআরআই-এর সম্প্রসারণকে সমর্থন করেছে। বিআরআই-এর ১০ বছর পর চিন হল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী (২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং ঋণদাতা (৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। সম্পৃক্ততা এখন এতটাই যে ২০২৩ অর্থবর্ষে চিনা এফডিআই (২.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) ও সাহায্য মোট অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের (৪.৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) ৫০ শতাংশ, এবং কম্বোডিয়াকে দেওয়া মোট সাহায্যের (২.৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) ৮৪ শতাংশ (২.৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। ২০০৭ সাল থেকে কম্বোডিয়ার বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার হওয়ার পাশাপাশি অর্থপ্রদানের ভারসাম্য (‌ব্যালান্স অফ পেমেন্ট)‌ বেজিংয়ের পক্ষে প্রবলভাবে ঝুঁকে রয়েছে। ২০২৩ সালে চিন-কম্বোডিয়া বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে চিনা রপ্তানি ছিল ৮.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।


এই ডেটা পরিসংখ্যানগুলি চিনের উপর কম্বোডিয়ার অর্থনৈতিক নির্ভরতার একটি ধরনকে চিত্রিত করে। যাই হোক, এ হল এমন নির্ভরতা যা কম্বোডিয়ান সরকার স্বেচ্ছায় তৈরি করেছে।



এই ডেটা পরিসংখ্যানগুলি চিনের উপর কম্বোডিয়ার অর্থনৈতিক নির্ভরতার একটি ধরনকে চিত্রিত করে। যাই হোক, এ হল এমন নির্ভরতা যা কম্বোডিয়ান সরকার স্বেচ্ছায় তৈরি করেছে। এর পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। দক্ষিণ চিন সাগর ও তাইল্যান্ড উপসাগরে চিনের সঙ্গে কম্বোডিয়ার কোনও ভূখণ্ডগত বিরোধ নেই, মাও জে দং-‌এর সময় থেকে কম্বোডিয়ার সরকার ও রাজপরিবারের সঙ্গে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ ও গভীর, এবং চিনের বিশাল অর্থনৈতিক পদচিহ্ন কম্বোডিয়ায় এত বেশি যে সমষ্টিগতভাবে চিনের বকেয়া
ঋণ (৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং ২০১০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে চলমান ও সমাপ্ত বিনিয়োগ (২১.২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) মিলিতভাবে কম্বোডিয়ার নমিনাল জিডিপির (৪৫.১৫ বিলিয়ন) ৬৪ শতাংশ।

সারণি ১: কম্বোডিয়ায় চিনের দ্বৈত-ব্যবহারের বৈদেশিক  পরিকাঠামো
Table 1
(This table is not visible and so I do not know whether it is in words or graphics)‌
সূত্র:
এডডেটা

এই বহুমুখী ও গভীর সম্পর্কের কারণে কম্বোডিয়ায় চিনের বিআরআই কৌশলের ফোকাস হল চিনের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের 'বেসামরিক-সামরিক' মিশ্রণের ধারণাকে প্রচার করা, এবং এর জন্য চিন দ্বৈত-ব্যবহারের পরিকাঠামো নির্মাণের দিকে মনোনিবেশ করে। অনেক প্রাপক দেশেই বিআরআই প্রকল্পগুলির জন্য একটি বাধ্যতামূলক শর্ত হল চিনা বিদেশি প্রকল্পগুলির সামরিক মানপূরণ। বিআরআই-এর অধীনে বিনিয়োগকৃত ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে ৯.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের চিন-অর্থায়নকৃত প্রকল্প তাদের নির্মাণে দ্বৈত-ব্যবহারের বাস্তবায়ন পদ্ধতি অনুসরণ করেছে (টেবিল ১ দেখুন)। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে দুটি বিমানবন্দর, একটি সড়ক নেটওয়ার্ক, একটি খাল, দুটি বন্দর এবং দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। এগুলি মূলত ১০টি চিনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি দ্বারা নির্মিত এবং আটটি চিনা রাষ্ট্রীয় নীতি ব্যাঙ্ক দ্বারা অর্থায়িত (সারণী ১ দেখুন)। দ্বৈত-ব্যবহারের পরিকাঠামোর উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে টেকো খাল, যা নমপেন শহরকে তাইল্যান্ড উপসাগরের কাম্পোট, রিম ও টেক বন্দরগুলির সঙ্গে সংযুক্ত করে। এটি এশিয়ার বৃহত্তম জলপথগুলির একটির মোহনায় ভিয়েতনামের ঐতিহ্যগত নিয়ন্ত্রণকে এড়িয়ে যায়, এবং আঞ্চলিক সন্দেহের জন্ম দেয় যে খালটি চিনা নৌবাহিনীকে কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের মূল ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে প্রবেশাধিকার দিতে পারে। একইভাবে, চিন-নির্মিত বা সংস্কার করা বিমানবন্দরগুলিতে যুদ্ধবিমান অবতরণ ও ওড়ার জন্য দীর্ঘ, প্রশস্ত রানওয়ে রয়েছে। বাণিজ্যিক বন্দরগুলিরও সংস্কার করা হয়েছে, এবং যুদ্ধজাহাজের যথেষ্ট গভীর ও প্রশস্ত বার্থ রাখার জন্য সেগুলিকে তৈরি করা হয়েছে।


এই বহুমুখী ও গভীর সম্পর্কের কারণে কম্বোডিয়ায় চিনের বিআরআই কৌশলের ফোকাস হল চিনের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের 'বেসামরিক-সামরিক' মিশ্রণের ধারণাকে প্রচার করা, এবং এর জন্য চিন দ্বৈত-ব্যবহারের পরিকাঠামো নির্মাণের দিকে মনোনিবেশ করে।



এছাড়া, সাতটি প্রকল্পের মধ্যে পাঁচটি সিহানুকভিল এসইজেড-এ রয়েছে (টেবিল ১ দেখুন), এবং এগুলি চারটি চিনা রাষ্ট্রীয় কোম্পানি ও একটি কম্বোডিয়ান কোম্পানির একটি কনসোর্টিয়ামের মালিকানাধীন, যা কম্বোডিয়ার এই প্রদেশে চিনা প্রভাবকে সুসংহত করছে। এই ঘটনাগুলি হ্যানয় ও ওয়াশিংটন ডিসিতে উদ্বেগ বাড়িয়েছে, কারণ এরা তাইল্যান্ড উপসাগরে চিনের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী এবং চিনের দখলদারি এরা নিজেদের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করে।

বেজিংয়ের ভূ-রাজনৈতিক প্রেরণা এবং কম্বোডিয়ার হেজিং বৈদেশিক নীতি

২০১৭ সালের পরে চিনের কৌশলটি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রেখে যাওয়া শূন্যতা থেকে লাভ তোলা, এখানে বিআরআই-সংযুক্ত অর্থনৈতিক বিনিয়োগের পাশাপাশি রাজনৈতিক সমর্থন ও সহায়তা দিয়ে শূন্যতা পূরণ করা, এবং শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সহযোগিতা গড়ে তোলার জন্য ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক ব্যবহার করা। নম পেন ও ওয়াশিংটনের মধ্যে ক্রমাবনত সম্পর্ককে বেজিং তার বাজি নিরাপদ করার একটি সংকেত হিসাবে দেখেছে, এবং দক্ষিণ চিন সাগরে কৌশলগত অবস্থানসহ একটি দেশে আরও বিনিয়োগের দিকে এগিয়েছে৷ এই উন্নয়নশীল সম্পর্কের মধ্যে বেশিরভাগ
বিআরআই প্রকল্প অস্বচ্ছতা ও অনিয়মের শিকার হয়েছে। পাকিস্তান, গ্যাবন, ইকোয়েটরিয়াল গিনি, শ্রীলঙ্কা এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জগুলিও বেজিংয়ের দ্বৈত-ব্যবহারের বিনিয়োগ কৌশল অনুকরণ করে (চিত্র ১ দেখুন)। চিন রিম নৌঘাঁটি অধিগ্রহণের সম্ভাবনাকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেনি  ; বরং তার দ্বৈত-ব্যবহারের পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ থেকে মনোযোগ সরাতে কম্বোডিয়ার সার্বভৌমত্ব কার্ড ব্যবহার করেছে। এমন হতেই পারে যে এই বিনিয়োগগুলি কৌশলগত, এবং দক্ষিণ চিন সাগরে হুমকি বৃদ্ধির কারণে লজিস্টিক সহায়তার জন্য করা হয়েছে।

চিত্র ১: চিনের বিদেশী ঘাঁটি সম্প্রসারিত হচ্ছে
Figure 1
(this too does not open)
সূত্র:
ফাউন্ডেশন অফ ডিফেন্স অফ ডেমোক্র‌্যাসিস

বিপরীতভাবে, কম্বোডিয়ার জন্য চিন থেকে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ হান শাসনের স্থিতিশীলতার জন্য সমর্থন বজায় রাখার পাশাপাশি নিজের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে ক্রমাগত বিনিয়োগ প্রবাহ নিশ্চিত করার একটি উপায়। দেশটি তার অগণতান্ত্রিক প্রবণতার কারণে পশ্চিমী রাজধানীগুলি থেকে অতীতে সমর্থন পায়নি। অতএব, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপের প্রেক্ষিতে কম্বোডিয়ার পূর্বের পদক্ষেপগুলিকে একটি ছোট রাষ্ট্রের পরিপ্রেক্ষিতে দেখতে হবে। দেশটি সব পথ খোলা রাখার বিকল্প ত্যাগ করে বেজিংয়ের
ব্যান্ডওয়াগনে উঠে তার শাসনের নিরাপত্তা জোরদার করার চেষ্টা করেছে। যাই হোক, হান সেনের পুত্র হান মানেত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কম্বোডিয়ার বৈদেশিক নীতিকে বৈচিত্র্যময় করার চেষ্টা করেছেন, এবং পৌঁছনোর চেষ্টা করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে। তিনি পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক প্রবণতা উপলব্ধি করেছেন, এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে কম্বোডিয়ার স্বাধীন, নিয়মভিত্তিক  ও সপ্রতিভ বৈদেশিক নীতিকে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছেন। এই পটভূমিতে কম্বোডিয়া আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য দরজা খুলছে। মার্কিন বিদেশ সচিব ও সিআইএ প্রধান  সে দেশে গিয়েছিলেন প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করতে। এই ঘটনাকে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে পথ পরিবর্তন এবং কম্বোডিয়ার তরফে ঝুঁকিহ্রাসের কৌশলে ফিরে আসার চেষ্টা বলে মনে হচ্ছে। কম্বোডিয়ার এই পরিবর্তন ভিয়েতনামের সঙ্গে মার্কিন অংশীদারিত্ব ঘনিষ্ঠতর হওয়া এবং দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের ক্রমবর্ধমান জবরদস্তিমূলক কর্মকাণ্ডের ফলাফল। এই বৈদেশিক নীতির পরিবর্তনের মাধ্যমে কম্বোডিয়া তার প্রতিবেশী ভিয়েতনাম  তাইল্যান্ড
কে ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তারা সম্পর্ক জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং মহাশক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বোড়ে হতে চায় না। কম্বোডিয়ার জাতীয় স্বার্থ সর্বাধিক করার জন্য এই সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পুনর্বিন্যাস সত্ত্বেও, চিনের সঙ্গে সহযোগিতা সম্ভবত বৃদ্ধি পাবে এবং একই সঙ্গে বৈচিত্র্যময় বৈদেশিক নীতি অব্যাহত থাকবে। 

উপসংহার

বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) দ্বারা চালিত কম্বোডিয়ায় চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ‌দু’‌দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর করেছে। রিম নৌঘাটির মতো দ্বৈত-ব্যবহারের প্রকল্পসহ যথেষ্ট পরিকাঠামো বিনিয়োগ অর্থনৈতিক ও কৌশলগত উভয় ক্ষেত্রেই কাজ করে। এ থেকে কম্বোডিয়া অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হলেও ঋণ নিয়ে উদ্বেগ এবং চিনের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা অব্যাহত রয়েছে। যাই হোক, পশ্চিমী শক্তিগুলির সাম্প্রতিক কূটনৈতিক পন্থাগুলি আরও ভারসাম্যপূর্ণ বৈদেশিক নীতির আকাঙ্ক্ষার ইঙ্গিত দেয়। যেহেতু কম্বোডিয়া এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তাই তার পক্ষে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের সঙ্গে অর্থনৈতিক লাভের ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ হবে।



পৃথ্বী গুপ্ত অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের জুনিয়র ফেলো।

অভিষেক শর্মা অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের গবেষণা সহকারী।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Authors

Prithvi Gupta

Prithvi Gupta

Prithvi Gupta is a Junior Fellow with the Observer Research Foundation’s Strategic Studies Programme. Prithvi works out of ORF’s Mumbai centre, and his research focuses ...

Read More +
Abhishek Sharma

Abhishek Sharma

Abhishek Sharma is a Research Assistant with ORF’s Strategic Studies Programme. His research focuses on the Indo-Pacific regional security and geopolitical developments with a special ...

Read More +