Published on Feb 01, 2024 Updated 0 Hours ago

সর্বোত্তম বিকল্পের জন্য দীর্ঘকাল অপেক্ষা করার চেয়ে যা পাওয়া যাচ্ছে তা নিয়ে দৌড় শুরু করা ভাল। কাজেই নীল হাইড্রোজেন দিয়ে শুরু করা ভারতের শক্তি রূপান্তর ত্বরান্বিত করার জন্য আদর্শ হবে।

বাস্তবতা পরীক্ষা: কয়লা শক্তির রূপান্তর

কয়লা খনন ও কয়লা–ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন পর্যায়ক্রমে কমানোর বিষয়টি নিয়ে শক্তি রূপান্তর অনুমানগুলি অস্পষ্ট রয়ে গেছে। এটা আশ্চর্যের কথা নয় যে ভারতের জন্য উত্তরণের সবচেয়ে কঠিন অংশ হল এটি, কারণ কয়লার মজুদই হল একমাত্র জীবাশ্ম শক্তি সম্পদ যা ভারতের প্রচুর পরিমাণে আছে। দশটি কয়লা উৎপাদক দেশ বিশ্বব্যাপী প্রায় ৯০ শতাংশ কয়লা উৎপাদন করে:‌ চিন ৫০ শতাংশ, ভারত ১০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ৭ শতাংশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া উভয়েই ৬ শতাংশ, রাশিয়া ৫ শতাংশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ শতাংশ। জার্মানি, পোল্যান্ড ও কাজাখস্তান আরও ছোট উৎপাদক। এর মধ্যে শুধু চিন ও ভারতে প্রভাবশালী অভ্যন্তরীণ শক্তির উৎস হিসাবে কয়লা রয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরে ‘‌নিজস্ব ক্ষমতাবৃদ্ধি’র‌ প্রবণতাটি শক্তি সংস্থান হিসাবে শিল্প ক্ষেত্রে কয়লা ও কয়লা–ভিত্তিক বিদ্যুতের ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দেওয়া অব্যাহত রাখবে, যাতে করে ২০৫০ সাল পর্যন্ত প্রসারিত ভবিষ্যতের মধ্যে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ–প্রধান গ্রিডকে স্থিতিশীল করে তোলা যায়। সৌর ও বায়ু শক্তির জন্য ভারতের সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্য;‌ কিন্তু সমস্যা হল সরবরাহের ক্ষেত্রে তাদের সহজাত পরিবর্তনশীল কাঠামো। সরবরাহের ফাঁকগুলি অব্যর্থ ও অনুমানযোগ্য শক্তি সরবরাহের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে, এবং গ্রিডকে শক্তিশালী করতে হবে। এই দুটির জন্যই উল্লেখযোগ্য নতুন বিনিয়োগ প্রয়োজন।

পথের বাধাগুলি

সরবরাহের ব্যবধান মেটাতে দ্রুত গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি করা আদর্শ হবে। কিন্তু ভারতে অভ্যন্তরীণ গ্যাসের মজুদ কম, এবং আমদানি স্বনির্ভরতার নিজস্ব ক্ষমতাবৃদ্ধির নিয়ম লঙ্ঘন করে। পাম্প করা হাইড্রো স্টোরেজ ‘‌সময় স্থানান্তরিত সরবরাহের মাধ্যমে’‌ সাহায্য করতে পারে, যার অর্থ হল উদ্বৃত্ত শক্তিকে সর্বোচ্চ চাহিদার সময়ে ব্যবহারের জন্য সঞ্চয় করে রাখা। এটি তুলনামূলকভাবে সস্তা, তবে এর গার্হস্থ্য ক্ষমতা সীমিত। কাজেই গ্রিড–স্কেল ব্যাটারি স্টোরেজের জন্য অনুসন্ধান চলছে, যেগুলি বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ কিন্তু ব্যয়বহুল। যাই হোক, সরবরাহ করা শক্তি উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যেতে পারে:‌ প্রতি কেডব্লিউএইচ শক্তি সরবরাহের জন্য ২৭ থেকে ১৪ ভারতীয় রুপি (২০২০) থেকে ২০৪৫ সালের মধ্যে প্রতি কেডব্লিউএইচ শক্তি সরবরাহের জন্য ৭ থেকে ১৪ ভারতীয় রুপিতে।
ক্রমানুক্রমিক (‌কিউমুলেটিভ)‌ ক্ষমতা দ্বিগুণ করলে খরচ প্রায় ১৯ শতাংশ কমে যায়। একটি বড় সমস্যা হল যে ব্যাটারি রসায়নের প্রচলিত প্রবণতাগুলি এমন বিরল খনিজগুলির ব্যবহার অত্যাবশ্যক করে তোলে যা ভারতে পাওয়া যায় না। অর্থাৎ এটি স্বনির্ভরতার নিয়ম লঙ্ঘন করে। পরিস্থিতি আরও খারাপ করে এই ঘটনা যে, চিনের কাছে তার চুক্তিবদ্ধ সরবরাহ শৃঙ্খল এবং প্রভাবশালী পরিশোধন ক্ষমতার মাধ্যমে সেগুলি ব্যবহার করার চাবিকাঠি  আছে। চিন–ভারত সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে বাজি ধরা হল শক্তি পরিবর্তনের প্রবণতা পূর্বাভাসের চেয়েও বড় অনিশ্চয়তাপূর্ণ একটি অনুশীলন।


চিনের কাছে তার চুক্তিবদ্ধ সরবরাহ শৃঙ্খল এবং প্রভাবশালী পরিশোধন ক্ষমতার মাধ্যমে সেগুলি ব্যবহার করার চাবিকাঠি আছে।


সিসিইউএস–এর সঙ্গে কয়লা — অপ্রচলিত নীতিগত বিকল্প

পর্যাপ্ত শক্তি সঞ্চয় ক্ষমতা না–থাকলে পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুতের সংযোজন কমাতে হবে। কার্বন ক্যাপচার ইউজ বা স্টোরেজ (সিসিইউএস) সহ কয়লা–ভিত্তিক শক্তি ব্যাটারি স্টোরেজের একটি বিকল্প নিয়ে আসে। কয়লা শক্তি ইতিমধ্যে গ্রিড ব্যবস্থাপনায় একটি স্থিতিশীল ভূমিকা পালন করে। একমাত্র সমস্যা সহগামী কার্বন নির্গমন নিয়ে।

২০২০ সালের আগস্টে বিদ্যুৎ মন্ত্রক ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন টন কয়লা গ্যাসিফিকেশনের লক্ষ্য ঘোষণা করেছিল। একমাত্র বাণিজ্যিক আয়তনের সিসিইউএস প্লান্টটি আঙ্গুলের জিন্দাল স্টিল ওয়ার্কসে রয়েছে। কয়লা মন্ত্রকের মতে, কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড চারটি প্রকল্প স্থাপন করবে, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন যৌথ উদ্যোগ — দুটি ক্ষেত্রে ভেল–এর সঙ্গে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট তৈরির জন্য; তা ছাড়া আইওসি–র সঙ্গে ডাইমিথাইল ইথার (ডিএমই) ও গেল–এর সঙ্গে সিঙ্গাস (সিন্থেটিক গ্যাস) তৈরি করতে। আলাদাভাবে, নেভেলি লিগনাইট কর্পোরেশন একটি লিগনাইট থেকে মিথানল সিসিইউ প্রকল্প স্থাপনের পরিকল্পনা করছে। বেসরকারি খনি মালিকদের কয়লা উৎপাদনে সরকারের ‘‌রাজস্ব অংশে’‌ ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে যদি তারা কয়লা ডিকার্বনাইজেশন বাস্তবায়ন করে।

গ্লোবাল সিসিইউএস স্ক্যান

মার্কিন সরকারের অনুদান ১৯৭২ সাল থেকে সিসিইউএস প্রযুক্তিকে সমর্থন করে এসেছে ওয়েল রিজার্ভে সিওটু ইনজেক্ট করে তেল উত্তোলনের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বছরে প্রায় ২০ মিলিয়ন টন সিওটু ব্যবহার করা হয় বা সংরক্ষণ করা হয়। চিন বার্ষিক প্রায় ২ মিলিয়ন টন সিওটু ব্যবহার বা সংরক্ষণ করে ছোট সিসিইউএস পাইলট প্রকল্পগুলিকে সমর্থন করছে।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ঘোষণা করেছিলেন যে চিন শক্তির তীব্রতা (‌ইনটেনসিটি)‌ নিয়ন্ত্রণকে কার্বন ব্যবহারের তীব্রতা নিয়ন্ত্রণে রূপান্তর করবে, যার ফলে সম্ভাব্যভাবে কয়লা শক্তি ও যেখানে নির্গমন কমানো কঠিন সেই সব শিল্প ক্ষেত্রে সিসিইউএস–এর চাহিদা তৈরি করবে। ২০২৩ সালের মে মাসে, ভারত সরকার কার্বন শংসাপত্রের জন্য একটি প্রকল্প ঘোষণা করেছিল সিওটু নির্গমন কমানোর জন্য বাজার–ভিত্তিক প্রণোদনা হিসাবে। ভারতের অগ্রণী, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কর্পোরেশন (এনটিপিসি) বিন্ধ্যাচল (মধ্যপ্রদেশ)–এ একটি পাইলট সিসিইউএস বাস্তবায়ন করছে যাতে ক্যাপচার করা সিওটু–কে মিথানলে রূপান্তরিত করা হয়, যা একটি শিল্প ইনপুট৷ ভারতের অগ্রণী, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল অনুসন্ধান ও উন্নয়ন সংস্থা ওএনজিসি গুজরাটে একটি সিসিইউএস স্টোরেজ প্রকল্প পরিকল্পনা করছে৷

ভারতের বার্ষিক ১৪৪ মিলিয়ন টন অপরিশোধিত ইস্পাত ক্ষমতা এবং ২১০ গিগাওয়াট কয়লা–ভিত্তিক বিদ্যুৎ ক্ষমতার দুই–তৃতীয়াংশের বয়স ১৫ বছরের কম এবং একে চাইলেই বাদ দেওয়া যায় না।



২০২২ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত একটি
নীতি আয়োগ রিপোর্টে বলা হয়েছে যে সিসিইউএস প্রযুক্তি একটি প্রমাণিত, যদিও অব্যবহৃত, প্রযুক্তি যা কয়লা খনন ও কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদনকে জলবায়ু সক্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করতে পারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‌‘‌ভারতের বার্ষিক ১৪৪ মিলিয়ন টন অপরিশোধিত ইস্পাত ক্ষমতা এবং ২১০ গিগাওয়াট কয়লা–ভিত্তিক বিদ্যুৎ ক্ষমতার দুই–তৃতীয়াংশের বয়স ১৫ বছরের কম এবং একে চাইলেই বাদ দেওয়া যায় না।’‌’‌



সবুজ হাইড্রোজেনের আগে নীল

এটি সিসিইউএস–এর জন্য আরেকটি ব্যবহারের ক্ষেত্র নির্দেশ করে:‌ হাইড্রোজেন অর্থনীতিকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নীল হাইড্রোজেন, অর্থাৎ সিসিইউএস দ্বারা সিওটু নির্গমন ক্যাপচারের মাধ্যমে কয়লা থেকে প্রাপ্ত হাইড্রোজেন (এইচ২), যা শক্তি–নিবিড় শিল্পগুলিতে কয়লার বিকল্প হিসাবে সবুজ হাইড্রোজেনের থেকে বেশ এগিয়ে আছে। সবুজ হাইড্রোজেন হল নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ ব্যবহার করে জলের তড়িৎ বিশ্লেষণ (‌ইলেকট্রোলিসিস)‌ থেকে প্রাপ্ত এইচ২, যা ২০৪০ সাল নাগাদ কার্যকর হবে৷ বর্তমানে নীল হাইড্রোজেনের দাম সবুজ হাইড্রোজেনের এক–তৃতীয়াংশ। প্রথমে নীল হাইড্রোজেন দিয়ে শুরু করা, কাজের মাধ্যমে শেখা, পাইপলাইনের মতো সরবরাহের পরিকাঠামো গঠন করা, এবং শক্তিনিবিড় শিল্পের যে অংশে নির্গমন হ্রাস কঠিন সেখানে এইচ২–এর জন্য চাহিদা বিকাশ করা জরুরি। পরে তা সবুজ হাইড্রোজেন দিয়ে প্রতিস্থাপিত হতে পারে, যখন তা সাশ্রয়ী হবে।



কেন গোডো-র জন্য অপেক্ষা?

প্রতিবেদনের প্রধান লেখক ডক্টর ভি কে সারস্বত,  যিনি নীতি আয়োগের সদস্য এবং এর আগে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার মহাপরিচালক ছিলেন, তাঁর একটি বক্তব্য আছে:‌ সর্বোত্তম বিকল্পের জন্য দীর্ঘকাল অপেক্ষা করার চেয়ে যা পাওয়া যাচ্ছে তা নিয়ে দৌড় শুরু করা ভাল। প্রতিবেদনে ২০৫০ সালের মধ্যে ৭৫০ মিলিয়ন টন সিসিইউএস ক্ষমতার জন্য প্রতি বছরে ২.১ ট্রিলিয়ন ভারতীয় রুপি ভর্তুকি লাগবে বলে অনুমান করা হয়েছে। এটি অবশ্য স্পষ্ট নয় যে ২০৫০ সাল পর্যন্ত সিসিইউএস–এর জন্য ভর্তুকি দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাটারি স্টোরেজ বা সবুজ হাইড্রোজেন এর বিপরীতে নেট খরচ সুবিধা আছে কি না। সরকারের সামনে ভর্তুকি সহায়তার একটি দীর্ঘ তালিকা রয়েছে, যার মধ্যে পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ডিসকম–গুলির বিদ্যুতের দাম দিতে ব্যর্থতার থেকে বেসরকারি বিনিয়োগকে ঝুঁকিমুক্ত করা; যাত্রী পরিবহণ বিদ্যুদয়ন সমর্থন; সেমিকন্ডাক্টর  অ্যাসেম্বলি সমর্থন করা; বিদ্যুৎ গ্রিড শক্তিশালীকরণ; এবং ব্যাটারি স্টোরেজ উৎপাদনে সহায়তা দেওয়া। রাজকোষ ঘাটতি জিডিপি–র আদর্শ ৪ শতাংশের থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি হওয়ায় মূল রাজস্ব অগ্রাধিকার হল রাজস্ব ঘাটতি ও মূল্যস্ফীতি কমাতে ব্যয় সঙ্কোচন। একটি সর্বনিম্ন খরচের রূপান্তর নিশ্চিত করতে সর্বোত্তম বিকল্পগুলিকে আর্থিক সহায়তার জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।



আর্থিক সীমাবদ্ধতাগুলি কম ঝুঁকিপূর্ণ শক্তি রূপান্তর প্রযুক্তি নির্বাচনের আহ্বান জানায়

দুর্ভাগ্যবশত, নীতি রিপোর্ট সরকারের আর্থিক সঙ্কটকে স্বীকৃতি দেয়নি। পরিবর্তে, এটি কয়লা ডিকার্বনাইজেশনের জন্য পরিচ্ছন্ন কয়লা সেস বসানোর লক্ষ্যে একটি কেস তৈরি করে। এটি প্রযুক্তিগতভাবে সঠিক পরামর্শ, কিন্তু অর্থমন্ত্রকের অস্বস্তি সৃষ্টি করতে বাধ্য। সঠিকভাবেই অর্থমন্ত্রক অ–প্রতিস্থাপনযোগ্য কর প্রাপ্তিগুলি অপছন্দ করে। সিসিইউএস–এর জন্য আর্থিক অগ্রাধিকার দাবি করার একটি দৃঢ় ভিত্তি হতে হবে প্রযুক্তিগত পরিপক্বতা। যদি ২০৩৫ সালের মধ্যে ডিকার্বনাইজড কয়লা আনা সম্ভব হয়, তা হলে উচ্চ শক্তিনিবিড় সবুজ হাইড্রোজেনের (
১ কেজি জিএইচ২এর জন্য ৪৫ কেডব্লিউএইচ পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুতের প্রয়োজন ) জন্য তাড়াহুড়ো করা অপরিপক্ব কাজ হতে পারে। ইলেক্ট্রোলাইজারের কার্যকারিতা উন্নত না–হওয়া এবং দাম কম না–হওয়া পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করতে পারি, এবং সেগুলি ঘটলে প্রযুক্তি গ্রহণ করতে পারি। ইতিমধ্যে গ্রিডকে সবুজ করার জন্য নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ বরাদ্দ করা এবং প্রাথমিক গ্রিড স্টেবিলাইজার হিসাবে সিসিইউএস ব্যবহার করে কয়লা–ভিত্তিক বিদ্যুৎকে ডিকার্বনাইজ করা সর্বোত্তম। অসংগঠিত রূপান্তর আদর্শ নয়।

শক্তির স্থানান্তরের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ আরও প্রমাণভিত্তিক বিতর্ক ও সিদ্ধান্ত গ্রহণকে উৎসাহিত করতে পারে। কাজটি সরবরাহের দিকের থেকে ছয়টি মন্ত্রকে বিভক্ত করার চেয়ে একটি এজেন্সিকে অর্পণ করা ভাল, চাহিদার দিক থেকেও অন্তত একই সংখ্যা, এবং সেইসঙ্গে যুক্ত করা দরকার ভারতের রাজ্য সরকার, শহর, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের প্রতিষ্ঠান, শিল্প ও ভোক্তা পর্যন্ত বিস্তৃত বৃহত্তর অংশীদার গোষ্ঠীকে। একটি ন্যূনতম খরচে রূপান্তর নিশ্চিত করার জন্য প্রযুক্তি ও চাহিদা ক্ষেত্র জুড়ে যাচাইকৃত প্রযুক্তি–অর্থনৈতিক লেনদেনের উপর ভিত্তি করে নীতিগত সক্রিয়তাগুলি নির্ধারণ করা প্রয়োজন।


শক্তির স্থানান্তরের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ আরও প্রমাণভিত্তিক বিতর্ক ও সিদ্ধান্ত গ্রহণকে উৎসাহিত করতে পারে।



যে জায়গা ও ক্ষেত্রগুলি রূপান্তরে নেতৃত্ব দিতে পারে, সেখানে যার প্রযুক্তিগত শিকড় রয়েছে এমন একটি একক, পেশাগতভাবে সমৃদ্ধ ও প্রশাসনিকভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত এজেন্সি কয়েক দশক ধরে বিস্তৃত একটি প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় ওজন, দক্ষতা ও ধারাবাহিকতা আনবে। একটি প্রাতিষ্ঠানিক উদ্ভাবন দীর্ঘ সময় ধরে বকেয়া রয়েছে। 



সঞ্জীব অহলুওয়ালিয়া অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একজন উপদেষ্টা

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.