Published on Dec 20, 2024 Updated 6 Days ago

ক্ষমতা থেকে সরানো সত্ত্বেও পিটিআই পাকিস্তানে পিএমএল (এন)-এর নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোটের জন্য একটি বড় রাজনৈতিক হুমকি হয়ে উঠেছে

পাকিস্তান সরকারের জন্য পিটিআই-এর স্থায়ী চ্যালেঞ্জ

Image Source: Getty

১৫-১৬ অক্টোবর সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সরকার প্রধানদের ২৩তম বৈঠকের জন্য ভারতের বিদেশমন্ত্রী (ইএএম) এস জয়শঙ্করের পাকিস্তান সফরের প্রেক্ষিতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলটির সদস্য মোহাম্মদ আলি সাইফি বলেছেন যে, ভারতীয় ইএএম-এরও পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে পিটিআই-এর প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করা উচিত। পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন)-এর নেতৃত্বাধীন সরকার এই মন্তব্যকে পাকিস্তান সরকারের বৈঠক আয়োজনের উদ্যোগে অন্তর্ঘাত ঘটানোর প্রচেষ্টা বলে সমালোচনা করেছে এবং বিষয়টিকে পাকিস্তানবিরোধীবলে চিহ্নিত  করেছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ক্ষমতায় আসার পর থেকে পিএমএল-এন-এর নেতৃত্বাধীন জোট সরকার সমস্ত ক্ষেত্রেই সামাল দেওয়ার জন্য লড়াই করছে এবং পিটিআই তার নিজের অবস্থান সশক্ত করার জন্য দেশের একাধিক সঙ্কট মোকাবিলা করতে সরকারের অক্ষমতাকে কাজে লাগাচ্ছে।

পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন)-এর নেতৃত্বাধীন সরকার এই মন্তব্যকে পাকিস্তান সরকারের বৈঠক আয়োজনের উদ্যোগে অন্তর্ঘাত ঘটানোর প্রচেষ্টা বলে সমালোচনা করেছে এবং বিষয়টিকে পাকিস্তানবিরোধীবলে চিহ্নিত  করেছে।

পিটিআই বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে জনসমর্থন আদায়ের জন্য বিভিন্ন কৌশল নিয়েছে। গত বছর একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য ইমরান খানকে আটক করার পর থেকে দলটি সেনাবাহিনী ও বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে। কারচুপি ও দুর্নীতির অভিযোগের কারণে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচন কঠোর ভাবে সমালোচিত হয়েছিল। নির্বাচনের ঠিক আগে দলটির জন্য একটি বড় ধাক্কা ছিল তার প্রতীকের অপসারণ। ২০২৩ সালের ২২ ডিসেম্বর পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের মাত্র দুমাস আগে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) প্রযুক্তিগত কারণে  পিটিআই প্রতীক অর্থাৎ ক্রিকেট ব্যাটের চিহ্নটিকে বাদ দিয়েছিল এবং বলেছিল যে, আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় আন্তঃদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। অবাধ ও সুষ্ঠু না হওয়ায় ২০২৩ সালের জুন মাসে দলটির আন্তঃদলীয় নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি ইসিপি। ইসিপি আরও ১৩টি প্রান্তিক রাজনৈতিক দলের প্রতীক খারিজ করে দিয়েছে।

এর ফলে পিটিআই প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধ্য হন। যাই হোক, স্বতন্ত্ররা ৯৩টি আসনে জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছে, যেখানে পিএমএল-এন ৭৫টি আসন জিতেছে এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ৫৪টি আসনে জয়ী হয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। যেহেতু কোন দলই ১৩৩ আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাত্রা অতিক্রম করতে পারেনি, তাই পিএমএল-এন এবং পিপিপি, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদ (পিএমএল-কিউ), মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম-পি), বেলুচিস্তানি আওয়ামি পার্টি (বিএপি) জোট সরকার গঠন করে।

সরকার গঠন করে এবং কার্যকর ভাবে পিটিআই-কে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিলেও, পিএমএল-এন পিটিআই-এর সঙ্গে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা বজায় রেখেছে।

সরকার গঠন করে এবং কার্যকর ভাবে পিটিআই-কে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিলেও, পিএমএল-এন পিটিআই-এর সঙ্গে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা বজায় রেখেছে। ইমরান খানের বিদ্যমান জনপ্রিয়তা এবং পিটিআই-এর পুনরুত্থানের সম্ভাবনা শাসক দলকে উদ্বিগ্ন করেছে

পিএমএল-এন এখনও পিটিআই-এর সঙ্গে লড়ছে

ফেব্রুয়ারি মাসে যখন পিটিআই নির্বাচনের সময় ভোটের কারচুপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক দেয়, তখন ভোক্তারা সামাজিক মিডিয়া মঞ্চ এক্স (আগে টুইটার নামে পরিচিত) ব্যবহার করার সমস্যার কথা তুলে ধরেন। জাতীয় নিরাপত্তার  উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে পাকিস্তান সরকার এক্স-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এক্স-কে নিষিদ্ধ করার কথা উল্লেখ করে এবং পাকিস্তান সরকারের দেওয়া আইনানুগ নির্দেশনা মেনে চলার জন্য এই সামাজিক মিডিয়া মঞ্চটির ব্যর্থতার উল্লেখ করে। এ কথা অবশ্যই উল্লেখ করা জরুরি যে, দেশের ঐতিহ্যবাহী গণমাধ্যম তাঁর দলের সঙ্গে সম্পর্কিত সংবাদ কাটছাঁট করার পরে পিটিআই নেতা এবং ইমরান খানের সমর্থকরা এক্স মঞ্চটিকে উল্লেখযোগ্য ভাবে ব্যবহার করেছিলেন। এই নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জকারী কর্মীরা দাবি করেছেন যে, ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনের – যেখানে ভোট কারচুপির জন্য অবৈধ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল - পরে ক্রমবর্ধমান ভিন্নমতকে প্রত্যাহার করার জন্য এমনটা করা হয়েছিল এটিকে ‘আন্তর্জাতিক ও সোশ্যাল মিডিয়ানিরীক্ষণ সত্ত্বেও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে নির্লজ্জ ভাবে কারচুপি করা (নির্বাচন) বলে মনে করা হয়।

২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এক্স-কে নিষিদ্ধ করার কথা উল্লেখ করে এবং পাকিস্তান সরকারের দেওয়া আইনানুগ নির্দেশনা মেনে চলার জন্য এই সামাজিক মিডিয়া মঞ্চটির ব্যর্থতার উল্লেখ করে।

২০২৪ সালের জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পিটিআই একটি ব্যাপক আইনি বিজয় লাভ করে কারণ সুপ্রিম কোর্ট দলটিকে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে সংরক্ষিত আসন ভাগ করে নেওয়ার জন্য যোগ্য বলে ঘোষণা করে। আদালত এ কথাও নিশ্চিত করেছে যে, নির্বাচনী প্রতীক না থাকলে প্রার্থীদের প্রার্থী করার আইনগত অধিকারকে প্রভাবিত করা যায় না। পিটিআই এটিকে একটি বড় বিজয় হিসাবে দেখেছিলকিন্তু আদালতের রায়ের কয়েক ঘণ্টা পরে পিএমএল-এন সরকারের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সরকারি পরিকল্পনার কথা বলেন এবং এর জন্য তিনি গত বছরের সহিংস বিক্ষোভে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি গোপন তথ্য ফাঁসের বিষয়টিকে কারণ হিসেবে দর্শান। মন্ত্রী আরও বলেন যে, সরকার ইমরান খান পিটিআইয়ের দুই বর্ষীয়ান নেতা অর্থাৎ পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এবং জাতীয় পরিষদের প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনার পরিকল্পনা করছে। এ ছাড়াও সরকার আদালতের রুলিং-এর বিরুদ্ধে একটি রিভিউ পিটিশন দায়ের করার পরিকল্পনা করেছে, যে রুলিং পিটিআই-কে মহিলা এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত বিধানসভা আসন পাওয়ার অধিকার দেয়।

পিটিআই-এর বিরুদ্ধে সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ

প্রতিবাদের স্বাধীনতা রোধ করার জন্য সরকার সেপ্টেম্বর উচ্চ কক্ষে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পাবলিক অর্ডার বিল উত্থাপন করে। তাড়াহুড়ো করে প্রয়োজনীয় সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে এক সপ্তাহের মধ্যে এটিকে আইনে পরিণত করা হয়। আইনটি ইসলামাবাদে বেআইনি সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের তিন বছর পর্যন্ত শাস্তি বা/এবং জরিমানা নির্ধারণ করে। আইনটি অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারীকে অনুষ্ঠানের কমপক্ষে সাত দিন আগে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার বিষয়টিকে বাধ্যতামূলক করে এবং সরকারকে ইসলামাবাদের একটি নির্দিষ্ট এলাকাকে রেড জোন' বা 'উচ্চ নিরাপত্তা অঞ্চলহিসাবে মনোনীত করার ক্ষমতা দেয়, যাতে সেই অঞ্চলে সবরকম সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা যায়।

উভয় কক্ষে বিরোধী দলের সদস্যরা পাবলিক অর্ডার বিলটি প্রত্যাখ্যান  করেছিলেন। কারণ তাঁরা এটিকে একটি পিটিআই-নির্দিষ্ট আইনবলে দাবি করেছিলেন, যা সেপ্টেম্বর ইসলামাবাদে পিটিআই-এর পরিকল্পিত শক্তি প্রদর্শনের ঠিক আগে চালু করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও সরকার কঠোর শর্তে অনুমতি দিয়েছে। ইমরান খানকে গ্রেফতার করার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল এবং পিটিআই আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদ্যমান না থাকলেও অনুষ্ঠানে তাদের সমর্থক এবং উচ্চপদস্থ পিটিআই নেতাদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। সমাবেশ চলাকালীন পুলিশের ধরপাকড়ের খবর পাওয়া যায় এবং পিটিআই-এর অন্তর্বর্তী চেয়ারপার্সন গহর খান এবং পার্লামেন্ট সদস্য শের আফজল খান মারওয়াত শোয়েব শাহিনকে দ্রুত গ্রেফতার করা হলে পরিস্থিতি উত্তেজক মোড় নেয়।

পিটিআই-এর তরফে প্রতিক্রিয়া কেমন?

পিটিআই ইসলামাবাদ সমাবেশের পরে সরকারি দমন-পীড়ন এবং তাদের নেতাদের গ্রেফতারের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে। দলটি সরকারের কঠোর পাবলিক অর্ডার অ্যাক্টের মাধ্যমে একটি অঘোষিত সামরিক আইন জারি করার অভিযোগ করেছে। এই আইনের দরুন তাঁদের দলের অন্তত ১৩ জন জাতীয় নেতাকে গ্রেফতাকরা হয়েছে এবং অনেকে আত্মগোপন করেছে দলটি আইনটিকে ভুয়ো সংখ্যাগরিষ্ঠের অত্যাচার বলে বিবেচনা করে। প্রতিবাদী নেতা খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গন্ডাপুরের অক্টোবর সন্ধ্যায় রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হওয়ার পরে দলটি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

পিটিআই ইসলামাবাদ সমাবেশের পরে সরকারি দমন-পীড়ন এবং তাদের নেতাদের গ্রেফতারের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে।

র আগে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে দলটি পাকিস্তানে এক্স-এর উপর সরকারের নিষেধাজ্ঞার তীব্র বিরোধিতাও করেছিল। জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা দলটির পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়েছে। পিটিআই এই নিষেধাজ্ঞাকে অসাংবিধানিক এবং সরকারের একটি মরিয়া পদক্ষেপবলে অভিহিত করে বলেছে, সরকার রাজনৈতিক বিরোধিতা দমন করার চেষ্টা করছে এবং বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কাজে লাগাচ্ছে।

কেন পিটিআই এখনও পাকিস্তান সরকারের জন্য হুমকি?

উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও পিটিআই ক্ষমতাসীন জোট সরকারের জন্য যথেষ্ট হুমকি উপস্থাপন করে চলেছে। পাকিস্তানের রাজনীতিতে পিটিআই-এর অবিরাম প্রভাবের নেপথ্যে রয়েছে বেশ কিছু কারণ

প্রথমত, ইমরান খানের নেতৃত্বে পিটিআই পাকিস্তানের জনগণের কাছ থেকে জনপ্রিয় সমর্থন পেয়েছে। এমনকি ইমরান খানকে সরকার থেকে অপসারণ করার পরেও পরবর্তী নির্বাচনের সময় পিটিআই ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বৃহত্তম দল হিসাবে আবির্ভূত হয় এবং দলীয় প্রতীক হারানো সত্ত্বেও সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন জিতেছিল। দলটির জনপ্রিয়তা খুব বেশি, বিশেষ করে বৃহত্তম প্রদেশ ঞ্জাবে, যেখানে পিটিআই চিরাচরিত ভাবে পিএমএল-এন-এর বিরুদ্ধে ভাল ফল করেছে। এই জনপ্রিয়তা দুর্বল জোট সরকারের জন্য মোটেও ভাল নয়। এই দুর্বলতা বিশেষ করে দেখা গিয়েছিল, যখন পিএমএল-এন পিটিআই-কে নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেছিল। ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গে জোটবদ্ধ পিপিপি পিটিআই-এর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে এবং জোর দিয়ে বলেছে যে, তাদের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে এই বিষয়ে কোনও পরামর্শ করা হয়নি।

ইমরান খানকে সরকার থেকে অপসারণ করার পরেও পরবর্তী নির্বাচনের সময় পিটিআই ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বৃহত্তম দল হিসাবে আবির্ভূত হয় এবং দলীয় প্রতীক হারানো সত্ত্বেও সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন জিতেছিল।

দ্বিতীয়ত, সাম্প্রতিক সুপ্রিম কোর্টের রায় - যা পার্লামেন্টে সংরক্ষিত আসনের জন্য পিটিআই-এর যোগ্যতা পুনঃস্থাপন করেছে - দলের অবস্থানকে উন্নত করেছে। সুপ্রিম কোর্টের রায় পিটিআইকে একটি প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে তার মর্যাদা পুনরুদ্ধার করার অনুমতি দিয়েছে এবং বর্তমান সরকার দ্বারা পিটিআই-এর উপস্থিতিকে প্রান্তিক করার প্রচেষ্টাকে আরও দুর্বল করে দিয়েছে।

তৃতীয়ত, বর্তমান সরকার পাকিস্তানে অনেক গুরুতর সমস্যা মোকাবিলা করছে। বেলুচিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, দুর্নীতির অভিযোগ এবং রাজনৈতিক সমস্যা জনসাধারণের অসন্তোষকে উস্কে দিয়েছে। সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণের দিকে মনোনিবেশ করছে। সরকারের প্রথম বাজেট উচ্চ করসম্পন্ন এবং বেতনভোগী কর্মীদের উপর কর বৃদ্ধি করেছে। বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ২০২৩ সালের মে মাসে প্রায় ৩৮ শতাংশের সর্বকালের সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল যখন বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার অন্তর্বর্তী সরকার হিসাবে ক্ষমতায় ছিল এবং ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি ছিল ২৩ শতাংশ। পিটিআই এই অসন্তোষকে পুঁজি করে নিজেদের একটি ভাল বিকল্প হিসাবে তুলে ধরছে, যারা এই সমস্যাগুলি মোকাবিলা করতে সক্ষম এবং জনপ্রিয় সমর্থন-সহ আরও স্থিতিশীল বিকল্প হয়ে উঠতে পারে।

উপসংহারে বলা যায়, পিটিআই তার শক্তিশালী তৃণমূলস্তরের সমর্থন, কৌশলগত আইনি বিজয় এবং ক্ষমতাসীন জোটের দুর্বলতার কারণে পাকিস্তানের বর্তমান জোট সরকারের জন্য একটি শক্তিশালী হুমকি হয়ে উঠেছে। সরকারের বেশ কয়েকটি সরাসরি ধরপাকড়ই প্রমাণ করে যে, জোটের মনে এখনও পিটিআই-এর পুনরুত্থানের ভয় রয়েছে।

 


অভিষেক কুমার অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের রিসার্চ ইন্টার্ন।

শিবম শেখাওয়াত অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের জুনিয়র ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.