Published on Aug 22, 2023 Updated 0 Hours ago

পাকিস্তান সম্প্রতি যা ঘোষণা করেছে তা কার্যত তার পারমাণবিক মতবাদ ও ভঙ্গি ঢেলে সাজার সামিল। এই পরিবর্তনের মূল বা অন্তত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থপতি এবং কৌশলগত পরিকল্পনা বিভাগের (এসপিডি) প্রাক্তন প্রধান লেফটেনান্ট জেনারেল খালিদ কিদোয়াই একে ফুল স্পেকট্রাম ডেটারেন্স (এফএসডি) বলে অভিহিত করেছেন। এফএসডি অবশ্য নতুন কিছু নয়;‌ ২০১০-এর দশকের শুরু থেকেই অন্তত কিছু-না-কিছু আকারে এর অস্তিত্ব আছে।

পাকিস্তানিরা বলে এফএসডি তৈরি হয়েছিল ভারতের কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি (সিএসডিএস)–র কারণে, যার লক্ষ্য সীমিত প্রথাগত আক্রমণের মাধ্যমে পাকিস্তানি ভূখণ্ডের ছোট ছোট অংশ দখল করে রাওয়ালপিন্ডিকে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করতে বাধ্য করা ও শাস্তি দেওয়া। এফএসডি–র অন্য কারণ হল ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ক্ষমতা, যা ভারত পারমাণবিক অস্ত্রের প্রথম ব্যবহার না–করার (এনএফইউ) নীতি মেনে চলে বলেই নয়াদিল্লি তৈরি ও মোতায়েন করেছে। ফলস্বরূপ, পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্রের প্রভাব হ্রাস করার চেষ্টায় এগিয়ে গিয়েছে এবং এফএসডি সেই প্রচেষ্টার সর্বশেষ রূপ। ভারতের সিএসডিএস কিন্তু শুধুমাত্র কাগজে–কলমে বিদ্যমান, এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কখনো তা ঘোষণাও করা হয়নি। ভারতীয় কৌশলগত সম্প্রদায়ের মধ্যে এনিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হলেও ভারত সিএসডিএস বাস্তবায়নের জন্য তার সক্ষমতার পুনর্বিন্যাসও ঘটায়নি। অন্যদিকে, পাকিস্তানের তৈরি নাসর ক্ষেপণাস্ত্র — একটি মাল্টি–টিউব ব্যালিস্টিক কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র  (টিএনডব্লিউ), যা ছোট পারমাণবিক বোমা বহন করার জন্য সজ্জিত — প্রথম পরীক্ষা করা হয়েছিল ২০১১ সালে এবং তারপর ২০১২ সালের মে মাসে, ২০১৩–র ফেব্রুয়ারি মাসে, ২০১৩–র নভেম্বরে, ২০১৪–র সেপ্টেম্বরে এবং ২০১৭–র জুলাই মাসে। বাহিনীতে এর প্রবেশ ঘটেছিল ২০১৩ সালে, এবং এটি ভারতের অস্তিত্বহীন সিএসডিএস–কে ‘‌ভোঁতা’‌ করার উদ্দেশ্যে পাকিস্তানের টিএনডব্লিউ অস্ত্রাগারের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে থেকে গিয়েছে।

পাকিস্তানের জেনারেলরা পারমাণবিক অস্ত্রকে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী অভিযানের বর্ম হিসেবে দেখেন, কারণ এটি তাদের ভারতের প্রচলিত উপায়ে প্রতিশোধ নেওয়া থেকে রক্ষা করে।

কিদোয়াইয়ের সাম্প্রতিক বক্তব্য তেমন অবাক করার মতো নয়, কারণ রাওয়ালপিন্ডি তার পারমাণবিক সক্ষমতা ও সেটির ক্রমাগত সম্প্রসারণকে শুধু প্রচলিত যুদ্ধে পাকিস্তানের তুলনায় ভারতের নামমাত্র সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের যন্ত্র হিসাবে  দেখে না, বরং তা আরও দুটি পরিপূরক লক্ষ্য পূরণ করে। প্রথমত, পাকিস্তানের জেনারেলরা পারমাণবিক অস্ত্রকে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী অভিযানের বর্ম হিসেবে দেখেন, কারণ এটি তাদের ভারতের প্রচলিত উপায়ে প্রতিশোধ নেওয়া থেকে রক্ষা করে। দ্বিতীয়ত, তাঁরা পারমাণবিক অস্ত্রকে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতার অস্ত্র হিসাবে দেখেন। এই কারণে পাকিস্তানি  সেনাবাহিনী এফএসডি–কে প্রয়োজনীয় বলে মনে করে। কিছু ভারতীয় বিশেষজ্ঞ পাকিস্তানের এফএসডি কৌশলের সর্বশেষ পরিবর্তনকে উদ্বেগজনক বলে মনে করেছেন, কারণ এতে কর্মক্ষমতাগত ও কৌশলগত স্তরে সক্ষমতা  অর্জনের কথা রয়েছে। সুনির্দিষ্ট পরিভাষায় এর অর্থ হল পাকিস্তানের পারমাণবিক সক্ষমতা স্থল, সমুদ্র ও বায়ুভিত্তিক সরবরাহ ব্যবস্থা জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। যাই হোক, এফএসডি ভারতের তথাকথিত সিএসডিএস বা অন্য কোনও প্রচলিত সামরিক আক্রমণের বিকল্পগুলির বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পারমাণবিক প্রতিরোধ শক্তিতে সামান্য কিছুই যোগ করে। এটি পাকিস্তান এতদিন যা করে আসছে তা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন করে না, যেমন ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা, যার জন্য তারা তাদের পারমাণবিক অস্ত্রাগার দ্বারা প্রদত্ত অনাক্রম্যতার কারণে ভারতের প্রচলিত পথে প্রতিশোধের মুখে পড়ে না। মৌলিকভাবে যা পরিবর্তিত হয়েছে তা ভারতের দিক থেকে, এবং আমরা নীচে তা দেখব।

ভারতের প্রতিক্রিয়া: দৃঢ়তা, সামর্থ্য ও কৌশল

বছরের পর বছর ধরে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার ভারতের কাছে একচেটিয়াভাবে মৌলিক চ্যালেঞ্জ ছিল না, বরং তার সঙ্গে যুক্ত ছিল এই বিষয়টি যে কীভাবে পাকিস্তানের পরমাণু সক্ষমতা তাদের ভারতে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালিয়ে  যেতে এবং এইভাবে কম খরচে সুবিধা পাওয়ার পথ করে দিচ্ছে। ভারতের পারমাণবিক অস্ত্র পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে কোনও কাজে আসে না। কিন্তু পাকিস্তানি পারমাণবিক অস্ত্রও যে তাদের  অনাক্রম্যতা নিশ্চিত করে না, তা দেখা গিয়েছে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও বালাকোট বিমান হামলায়, বিশেষ করে মোদী সরকারের অধীনে। পূর্ববর্তী ভারতীয় সরকারগুলির সময় এমন অভিযানের কথা জানা যায়নি, হয়ে থাকলেও তা বিজ্ঞাপিত হয়নি, এবং তা পাকিস্তানি আচরণে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনও আনেনি।

সন্ত্রাসবাদের এই প্রতিটি ঘটনার পর ভারতের তরফে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় পাকিস্তানিরা ধরেই নিয়েছিল যে পাক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার ব্যাপারে ভারতীয় নেতৃত্বের তেমন আগ্রহ নেই।

বাজপেয়ী বা মনমোহন সিং সরকার কেউই পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিক্রিয়া দেখায়নি, বিশেষ করে ডিসেম্বর ২০০১–এ ভারতীয় সংসদে পাকিস্তানি মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং নভেম্বর ২০০৮ সালে মুম্বইতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে লস্কর–এ–তৈবার হামলার পরে। সন্ত্রাসবাদের এই প্রতিটি ঘটনার পর ভারতের তরফে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় পাকিস্তানিরা ধরেই নিয়েছিল যে পাক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার ব্যাপারে ভারতীয় নেতৃত্বের তেমন আগ্রহ নেই। বিদেশ মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে এস জয়শঙ্কর, বর্তমান ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রী, মন্তব্য করেছিলেন যে পাকিস্তান কার্যকরভাবে ভারতকে নিয়ে ‘‌খেলছে’‌, এবং ‘‌…আগে থেকেই অনুমান করা যায় এমন আচরণ না–করা গুরুত্বপূর্ণ’‌‌। বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হামলার বিরুদ্ধে নয়াদিল্লির প্রতিক্রিয়াহীনতা পাকিস্তানিদের কাছে এ কথা স্পষ্ট করেছিল যে তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের বর্মের মধ্যেই ভারতের বিরুদ্ধে কার্যত নিখরচায় সন্ত্রাসবাদ পৃষ্ঠপোষকতার কৌশল রয়েছে।

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলের বালাকোটে জইশ–ই–মহম্মদ (জেএম) সন্ত্রাসবাদীদের শিবিরে ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ) পরিচালিত বিমান হামলাটি ভারতের তরফে বিমান শক্তি ব্যবহার করে উত্তেজনা বাড়ানো এবং সেইসঙ্গে জেএম–এর আত্মঘাতী সন্ত্রাসবাদী হামলার বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য ভারতের প্রস্তুতি প্রদর্শন করে। কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) কনভয়ের বিরুদ্ধে জেইএম–এর আক্রমণে, যা প্রকৃতিগতভাবে ছিল উত্তেজনা বাড়ানোর প্রয়াস, ৪০ জন সিআরপিএফ কর্মীর প্রাণ গিয়েছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণরেখা পার হয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীর বালাকোট বিমান হামলা ভারতের অপ্রত্যাশিত কৌশলগত প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ও কৌশলগত বিমান শক্তির ব্যবহার সিএসডিএস–এর বিকল্প হিসেবে কাজ করেছে। পাকিস্তানের টিএনডব্লিউ শুধুমাত্র পরেরটিকে নিরস্ত করতে সক্ষম, কিন্তু আগেরটিকে নয়। ভারতের প্রচলিত স্ট্রাইক বিকল্পগুলিকে ব্যাপকভাবে বেঁধে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের টিএনডব্লিউ দিয়ে, এবং এখন এফএসডি  দিয়ে, কারণ ভারতীয় নেতৃত্ব বিকল্পগুলি ব্যবহার করলে উত্তেজনা বাড়তে পারে। কিন্তু এফএসডি নয়াদিল্লিকে বিমান শক্তি ব্যবহার বা বিমান বাহিনীর বিশেষ অপারেশন বাহিনী দ্বারা আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে না।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণরেখা পার হয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীর বালাকোট বিমান হামলা ভারতের অপ্রত্যাশিত কৌশলগত প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।

যদি নয়াদিল্লি রাষ্ট্রীয় নীতির একটি হাতিয়ার হিসাবে রাওয়ালপিন্ডির সন্ত্রাসবাদের ব্যবহারকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে বা সীমাবদ্ধ করতে চায়, তাহলে ভারতীয় কৌশলের দৃষ্টিকোণ থেকে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের আড়ালে উপ–প্রচলিত হিংসার বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিত আচরণ করা অপরিহার্য। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিক্রিয়ার বেশিরভাগ বিকল্প রাজনৈতিক স্তরে ইচ্ছা ও সিদ্ধান্তহীনতার অনুপস্থিতির কারণে সীমাবদ্ধ ছিল, যা কিছুটা হলেও মোদী সরকার কাটিয়ে উঠেছে।

ভারত কীভাবে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবে সে সম্পর্কে পাকিস্তানিদের অনুমান করার বিষয়টি ছাড়াও ভারত তার নিজস্ব টিএনডব্লিউ সক্ষমতা অর্জন করতে পারে, যা বর্তমান সরকার–সহ পূর্ববর্তী সরকারগুলি ধারাবাহিকভাবে এড়িয়ে গিয়েছে। একটি মতাদর্শগত দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাপক প্রতিশোধ (এমআর) ভারতের প্রতিক্রিয়ামূলক কৌশলের কেন্দ্রবিন্দু ছিল — যার পুনর্বিবেচনা, পর্যালোচনা ও পরিবর্তন প্রয়োজন হতে পারে — কিন্তু এই কৌশলটি বেশিরভাগ সময়েই গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের (পিআরসি) সঙ্গে অসামঞ্জস্যতা দূর করার জন্য সংরক্ষিত থেকেছে। পাকিস্তানি ও চিনাদের ভারসাম্যহীন করে তুলতে ভারতকে তার এনএফইউ স্ট্রিকচার প্রত্যাহার করার জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে, তবে বেশিরভাগটাই পারমাণবিক ব্যবহারের জন্য পাকিস্তানের চৌহদ্দি হ্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে। প্রকৃতপক্ষে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং স্পষ্টভাবে অন রেকর্ড বলেছেন এটি একটি সম্ভাবনা: ‘‌‘‌…আজ পর্যন্ত, আমাদের পারমাণবিক নীতি হল ‘‌প্রথম ব্যবহার নয়।’‌ ভবিষ্যতে কী ঘটবে তা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।” বিকল্পভাবে, নয়াদিল্লি তার অফিসিয়াল নিউক্লিয়ার ডকট্রিন (ওএনডি)–এ পরিবর্তন না করেই টিএনডব্লিউ সংগ্রহ করতে পারে। এটি ভারতের ভঙ্গি ও স্থাপনায় পরিবর্তন আনবে, তবে তার ঘোষিত মতবাদে নয়।

পরিশেষে, ভারতের নেতারা যদি ভারতের পারমাণবিক মতবাদ বা পারমাণবিক মজুদ ও ভঙ্গিমার পরিমাণগত শক্তি পরিবর্তনের প্রশ্নে খুব বেশি সতর্ক বা দ্বিধাগ্রস্ত হন, তাহলে অ–পরমাণু কৌশলগত ক্ষমতা দেশের বিনিয়োগের একটি মূল ক্ষেত্র হওয়া উচিত। এরকম একটি ক্ষেত্র হল সাইবার যুদ্ধের ক্ষমতা, যা নিয়ে সম্ভবত পাকিস্তানি দুঃসাহসিকতার বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই কাজ চলছে। সাইবার–আক্রমণ ও বৈদ্যুতিন যুদ্ধের সম্মিলিত ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া এবং বিমান হামলার মতো গতিশীল আক্রমণকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। সাইবার অস্ত্রই ভারতের ভান্ডারে একমাত্র তীর নয়;‌ অন্যটি হল পাকিস্তানি স্যাটেলাইটগুলিকে নন-কাইনেটিক্যালি বিকল করার জন্য ভালভাবে উন্নত কাউন্টারস্পেস ক্ষমতা বিকাশে মনোনিবেশ করা। পাকিস্তান তার এফএসডি কৌশলের অংশ হিসাবে বিস্তৃত পরমাণু সক্ষমতা মোতায়েন করা সত্ত্বেও ভারতের শঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন  নেই। নয়াদিল্লিকে ভেবেচিন্তে পরিকল্পনা করতে হবে, এবং সুপ্রশিক্ষিত কর্মীদের সঙ্গে প্রযুক্তি ও ক্ষমতার এমন একটি সম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে যা ভারতের নেতৃত্ব একটি অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে ব্যবহার করতে পারে।


কার্তিক বোম্মাকান্তি অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন–এর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের একজন সিনিয়র ফেলো।