Author : Kabir Taneja

Published on Aug 15, 2023 Updated 0 Hours ago

পারমাণবিক অস্ত্রের আকাঙ্ক্ষা পশ্চিম এশিয়ার একটি প্রাচীন লক্ষ্য, যা দুর্বল পরমাণু অস্ত্র প্রসার রোধ সংক্রান্ত নিয়মের কারণে আগামী দিনে বাস্তবায়িত হতে পারে

পোখরান-২-এর পর থেকে পশ্চিম এশিয়ায় পারমাণবিক বিতর্ক

এই প্রতিবেদনটি ‘টোয়েন্টি ফাইভ ইয়ারস সিন্স পোখরান টু: রিভিউয়িং ইন্ডিয়া’জ নিউক্লিয়ার ওডিসি’ সিরিজের অংশ।


রাজস্থান মরুভূমির পোখরানে ভারত তার দ্বিতীয় পর্যায়ের পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর পঁচিশ বছর পর পারমাণবিক শক্তি প্রতিরোধ ও বিস্তার এবং সেই শক্তিকেন্দ্রিক বিতর্কগুলি উল্লেখযোগ্য ভাবে বিবর্তিত হয়েছে। পারমাণবিক হুমকির মৌলিক বিষয়গুলি প্রাসঙ্গিক থেকে গেলেও এবং কেউ কেউ এমনকি আগের চেয়ে আরও বেশি যুক্তিযুক্ত বলে সওয়াল তুললেও পারমাণবিক শক্তিকে কেন্দ্র করে ভূ-রাজনীতিও পরিবর্তিত হয়েছে।

পশ্চিম এশিয়ায় (মধ্য প্রাচ্য) পারমাণবিক শক্তির আকাঙ্ক্ষা বাস্তবে না হলেও, বাগাড়ম্বরের প্রেক্ষিতে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। ১৯৯৮ সালে ভারতের পোখরান-টু পারমাণবিক পরীক্ষার প্রায় ১০ দিন পরে ভারতকে অনুসরণ করেই পাকিস্তান তার পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়, যেটিকে ইসলামাবাদ দক্ষিণ এশিয়ার দু’টি বৃহত্তম রাষ্ট্রের মধ্যে একটি ‘বিশ্বাসযোগ্য সর্বনিম্ন পারমাণবিক প্রতিরোধ’ বলে উল্লেখ করেছিল। এর মাধ্যমে পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্রধারী প্রথম ইসলামিক দেশ ও সামরিক শক্তিতে পরিণত হয়। এটিকে কেউ কেউ ‘ইসলামিক বোমা’র উত্থান হিসাবেও উদযাপন করেন। এই আখ্যান মধ্য প্রাচ্য এবং বৃহত্তর আরব বিশ্বেও নিজের স্থান করে নিয়েছে। একাধিক দৃষ্টিকোণ থেকে ইজরায়েলের ব্যাপক ভাবে স্বীকৃত পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিক্রিয়া ছিল অনুরূপ পারমাণবিক দক্ষতার বিকাশ; এ কথা উল্লেখ্য যে, ইজরায়েল কখনওই আনুষ্ঠানিক ভাবে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করেনি বা প্রকাশ্যে তার ঘোষণা করেনি। ১৯৯০-এর দশকে এই আখ্যানটি নতুন ঘটনা ছিল না এবং ১৯৬০-এর দশক থেকেই এই অঞ্চলের কিছু অংশে রাষ্ট্র এবং তার কর্মকর্তা-সহ অ-রাষ্ট্রীয় সামরিক শক্তি, উভয়ের মধ্যে এর প্রচলন লক্ষ করা যায়। একটি উল্লেখযোগ্য সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর প্যালেস্তাইনি হামাসের প্রয়াত আধ্যাত্মিক গুরু শেখ আহমেদ ইয়াসিন বলেন, ‘পাকিস্তানের পারমাণবিক শক্তির অধিকারকে আরব এবং মুসলিম দেশগুলির একটি সম্পদ হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।’ ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্তরে পাকিস্তানের পারমাণবিক ঘোষণার বিষয়ে ব্যাপক ভাবে ইতিবাচক এবং প্রায়শই গা-জোয়ারি বক্তব্য পেশ করা হলেও, স্বতন্ত্র রাষ্ট্রগুলি সার্বভৌমত্ব এবং প্রতিরোধের বিষয়ে ইসলামাবাদকে সমর্থন জোগানোর জন্য আরও পরিমিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

মধ্য প্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক ত্রুটি, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা সমর্থিত ইজরায়েলের কাছ থেকে অনুভূত পারমাণবিক হুমকির মাধ্যমে এই অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলির মধ্যে পারমাণবিক ক্ষমতা প্রদানকারী প্রতিরোধের ধারণার গভীরতা ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল।

সিরিয়া, সৌদি আরব এবং ইরানের মতো পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা-সহ এই অঞ্চলের অন্য দেশগুলি পাকিস্তানের পরীক্ষাকে অনুপ্রেরণা হিসাবে গ্রহণ করেছিল এবং ভবিষ্যতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ পরমাণুভিত্তিক প্রতিরোধ হতে চলেছে, সে সম্পর্কে এটিকে একটি নিদর্শন রূপে ব্যবহার করেছিল। কিছু মতামত অনুসারে, পাকিস্তানি বোমার অর্থ হল সৌদিরা ইসলামাবাদের মাধ্যমে প্রয়োজন হলে ‘ইচ্ছামাফিক’ অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। অন্য দিকে, পাকিস্তানের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী গোহর আইয়ুব খানের দাবি ছিল যে, ইজরায়েল ইলেকট্রনিক সুইচ প্রদানের মাধ্যমে পারমাণবিক পরীক্ষায় নয়াদিল্লিকে সাহায্য করেছে। সিরিয়ার রাষ্ট্রপন্থী গণমাধ্যমে পাকিস্তানের পরীক্ষাকে নিরাপত্তা, অধিকার এবং সার্বভৌমত্বের লক্ষ্যে আসীন প্রতিটি দেশের ইচ্ছা এবং অধিকার হিসাবে স্বাগত জানায়। মধ্য প্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক ত্রুটি, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বারা সমর্থিত ইজরায়েলের কাছ থেকে অনুভূত পারমাণবিক হুমকির মাধ্যমে এই অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলির মধ্যে পারমাণবিক ক্ষমতা প্রদানকারী প্রতিরোধের ধারণার গভীরতা ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল। সিরিয়া এই অঞ্চলে রাষ্ট্র দ্বারা সমর্থিত পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ রয়ে হয়েছে। ১৯৭৯ সাল থেকে দামাস্কাস পারমাণবিক দক্ষতা অর্জনের প্রচেষ্টা শুরু করে। ১৯৯১ সালে চিন দামাস্কাসকে একটি নিউট্রন সোর্স রিয়্যাক্টর সরবরাহ করে। এটি অবশেষে ২০০৭ সালে ইজরায়েলের ‘অপারেশন আউটসাইড দ্য বক্স’-এ পরিণত হয়, যার অংশ হিসাবে ইজরায়েলি বিমান বাহিনী সিরিয়ার দেইর ইজ-জোর অঞ্চলে একটি পারমাণবিক পরিকাঠামো নির্মাণ করে। বিতর্কিত ভাবে উত্তর কোরিয়ার সহায়তায় এটি গড়ে তোলা হয়েছিল। এই ধরনের আঘাতের ঘটনা প্রথম ছিল না। ১৯৮১ সালে ইজরায়েল ‘অপারেশন অপেরা’র অংশ হিসাবে ফরাসি সহায়তায় নির্মিত ইরাকের একটি পারমাণবিক পরিকাঠামোর উপর আক্রমণ চালায়। ভারতে অনেকেই যুক্তি দর্শান যে, যে কোনও মূল্যে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের অর্জন ঠেকাতে ভারতের এই ধরনের কৌশলগত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল।

বর্তমান সময়ে  পারমাণবিক বিতর্ক

২০১০-এর দশকে ফেরত আসা যাক। এই সময়ে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রসঙ্গ এবং তার অধিকার আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতি ও উত্তেজনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। পাকিস্তানের ভারতের সঙ্গে ‘নিউক টু নিউক’ বা ‘পারমাণবিক শক্তির নিরিখে টক্কর দেওয়া’কে প্রায়শই উভয় পক্ষের মধ্যে একটি পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধকে স্থগিত রাখার সফল কৌশল হিসেবে দেখা হয়। পোখরান-২- এর ঠিক এক বছর পরে ১৯৯৯ সালের মে মাসে ভারত ও পাকিস্তান কারগিলে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ২০০১ সালে নয়াদিল্লিতে ভারতীয় সংসদে হামলা, মুম্বইতে ২৬/১১ সন্ত্রাসবাদী হামলা, ২০১৯ সালে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং তার প্রতিবর্ত ক্রিয়া রূপে ভারতীয় বিমান বাহিনী দ্বারা পরিচালিত পাকিস্তানের অভ্যন্তরে প্রতিশোধমূলক বালাকোট বিমান হামলার মতো উল্লেখযোগ্য ঘটনাপ্রবাহ পারমাণবিক ছত্রচ্ছায়ার নীচে প্রথাগত এবং প্রচলিত চাপানউতোরকেই দর্শায়, যা ইজরায়েল, সৌদি আরব এবং ইরানের মতো মধ্য প্রাচ্যের আঞ্চলিক শক্তিগুলি দ্বারা গভীর ভাবে পর্যবেক্ষিত হয়েছে।

২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন রাষ্ট্রপতিত্বের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একতরফা ভাবে জেসিপিওএ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করলে ইরানে মার্কিন-বিরোধী জোটের ক্ষমতা পুনর্নবীকরণ করার সময় ইজরায়েল (এবং অন্য দেশগুলি) সুযোগ পায়।

এ দিকে, গত এক দশকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কূটনৈতিক আলোচনা সমসাময়িক মধ্য প্রাচ্যে এ ধরনের বিতর্কের মাপকাঠিতে পরিণত হয়েছে। যখন পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত ইরান ইজরায়েল, সৌদি আরব এবং বৃহত্তর আরব বিশ্বের মতো একই ভাবে নিদ্রাহীন রাত কাটিয়েছে, তখন তেহরান আন্তর্জাতিক শক্তির সঙ্গে আলোচনার সময় কৌশলগত দর কষাকষি এবং একটি আধা-কৌশলী হাতিয়ার হিসাবে তার পারমাণবিক কর্মসূচিকে চাতুর্যের সঙ্গে ব্যবহার করেছে, যা কূটনীতির ব্যর্থতার ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদে সামরিক এবং রাজনৈতিক উভয় প্রতিরোধকারী হিসাবে কাজ করার উচ্চ সম্ভাবনা রাখে। ২০১৫ সালে পি৫+১ গ্রুপ অব নেশনস এবং ইরান একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল (যা জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন বা জেসিপিওএ নামে পরিচিত) যা আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) নেতৃত্বাধীন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উপর নজরদারি চালাবে। এবং বিনিময়ে ইরান নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে আনবে ও আন্তর্জাতিক বাজারে তার অর্থনীতিকে মূলধারায় ফিরিয়ে আনবে। এই কূটনৈতিক অভ্যুত্থানকে অঞ্চলের অন্যান্য বিতর্কিত সমস্যা সমাধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে প্রশংসা করা হলেও ইজরায়েল এই চুক্তির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে এবং তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অধীনে ওয়াশিংটনকে তেহরানের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে আস্থা রাখা থেকে বিরত রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল। ২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন রাষ্ট্রপতিত্বের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একতরফা ভাবে জেসিপিওএ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করলে ইরানে মার্কিন-বিরোধী জোটের ক্ষমতা পুনর্নবীকরণ করার সময় ইজরায়েল (এবং অন্য দেশগুলি) সুযোগ পায়। ইরানের মধ্যপন্থী রাষ্ট্রপতি হাসান রুহানি তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব হারান এবং ২০২১ সালে রক্ষণশীল ইব্রাহিম রাইসি স্থলাভিষিক্ত হন।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে কাজে লাগানোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ প্রমাণিত হয়। যাই হোক, কূটনীতির অভাবের কারণে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে কূটনৈতিক কৌশলের সঙ্গে দর কষাকষি হিসাবে ব্যবহার করার পরিকল্পনাকেও প্রভাবিত করেছে, যা এখন অনেকাংশেই অচল অবস্থায় রয়েছে। মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি অব ডিফেন্স ফর পলিসি কলিন কাহল অনুমান করেছেন যে, তেহরান ১২ দিনের সময়সীমার মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য বিচ্ছিন্ন উপাদানসামগ্রী তৈরি করতে সক্ষম। এই বাস্তবতা অঞ্চলটির ঝুঁকি বেশ কিছু অংশে কমাতে সক্ষম হয়েছে। সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে চিনের মধ্যস্থতায় সাম্প্রতিক সুরাহাটি কাগজে-কলমে একটি পূর্ণ মাত্রার সংঘাতের সম্ভাবনাকে হ্রাস করে এবং সহযোগিতার মাধ্যমে রিয়াধকে পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন ইরান সম্পর্কে ইজরায়েলের অস্তিত্বগত উদ্বেগ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। তবে ইজরায়েল বরাবরই এই অবস্থানে অনড় থেকেছে যে, ইরান যাতে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের পথে ধাবিত না হয়, তা সুনিশ্চিত করার জন্য তারা সম্ভাব্য ‘সকল পন্থা’কে কাজে লাগাবে। এবং সৌদি আরব ও ইরান যখন সম্পর্ক ভাল করা ও একটি কার্যকর সম্পৃক্ততা পুনরায় শুরু করার চেষ্টা চালাচ্ছে, তখন পারমাণবিক ক্ষমতা অর্জনে ইরানের প্রচেষ্টা আঞ্চলিক ভাবে অস্বস্তিকর সম্ভাবনা হয়ে উঠেছে। সৌদি প্রতিবেদনকারী রামি আল খলিফা আল আলি ২০২১ সালের এপ্রিলে লিখেছিলেন যে, আরব পারমাণবিক বোমার প্রয়োজনীয়তা দ্রুত বাস্তবে পরিণত হচ্ছে এবং আরব রাষ্ট্রগুলি ভারত, পাকিস্তান থেকে শুরু করে ইজরায়েল এবং বর্তমানে সম্ভাব্য ইরানের মতো ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক শক্তি দ্বারা বেষ্টিত হয়ে পড়ছে। তুর্কিয়ে তার ন্যাটো (নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন) সদস্যপদের অংশ হিসাবে মার্কিন পরমাণু অস্ত্রের উপস্থাপন করেছে। আলি দাবি করেন যে, এই ধরনের ক্ষমতার প্রেক্ষিতে একটি আন্দোলন ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে।

সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে চিনের মধ্যস্থতায় সাম্প্রতিক সুরাহাটি কাগজে-কলমে একটি পূর্ণ মাত্রার সংঘাতের সম্ভাবনাকে হ্রাস করে এবং সহযোগিতার মাধ্যমে রিয়াধকে পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন ইরান সম্পর্কে ইজরায়েলের অস্তিত্বগত উদ্বেগ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে।

পোখরান-২ প্রকৃতপক্ষে পারমাণবিক প্রতিরোধ নিয়ে মধ্য প্রাচ্য জুড়ে বিতর্ককে পুনরায় উস্কে দিয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্রের আকাঙ্ক্ষা এই অঞ্চলে একটি প্রাচীন লক্ষ্য হলেও উত্তর কোরিয়ার সাফল্য এবং বর্তমানে ইরানের সম্ভাবনার পাশাপাশি পারমাণবিক বিস্তার প্রতিরোধ করতে আন্তর্জাতিক নিয়মের তর্কসাপেক্ষ ব্যর্থতা ভবিষ্যতে এই ধরনের ক্ষমতা অর্জনকে একটি বৃহত্তর আলোকে তুলে ধরতে পারে। একটি ক্রমবর্ধমান প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা দেশগুলিকে আরও সাহসী করে তুলেছে।


কবীর তানেজা ওআরএফ-এর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের ফেলো।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Author

Kabir Taneja

Kabir Taneja

Kabir Taneja is a Fellow with Strategic Studies programme. His research focuses on Indias relations with West Asia specifically looking at the domestic political dynamics ...

Read More +