-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
নাইজেরিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা খনিজ চুক্তি আফ্রিকান-নেতৃত্বাধীন শিল্পায়ন, আঞ্চলিক সমন্বিতকরণ এবং মহাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের উপর কৌশলগত নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নতুন পথ নির্দেশ করে।
আফ্রিকার খনির ভূ-পরিসর পুনর্গঠনের লক্ষ্যে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা একটি খনি সহযোগিতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। ২০২৫ সালের ১৭ এপ্রিল আবুজায় নাইজেরিয়ার মিনিস্টার অফ সলিড মিনারেলস ডেভেলপমেন্ট ডঃ ডেলে আলেক এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মিনিস্টার অফ মিনারেল রিসোর্সেস অ্যান্ড এনার্জি গেদে মানতাশের তরফে স্বাক্ষরিত এই চুক্তির লক্ষ্য হল অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য এবং আন্তঃআফ্রিকান সহযোগিতা ত্বরান্বিত করা। ড্রোন ব্যবহার করে যৌথ ভূতাত্ত্বিক ম্যাপিং, খনিজ তথ্য ভাগাভাগি এবং লিথিয়াম ও লৌহ আকরিকের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির অনুসন্ধানের সঙ্গে জড়িত এই সহযোগিতা আসলে আফ্রিকান শ্রমশক্তি, বাজার ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কারণে মহাদেশের বহিরাগত শক্তি ও বিদেশি বিনিয়োগের উপর চিরাচরিত নির্ভরতা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমাতে সাহায্য করবে।
২০২৫ সালের ১৭ এপ্রিল আবুজায় নাইজেরিয়ার মিনিস্টার অফ সলিড মিনারেলস ডেভেলপমেন্ট ডঃ ডেলে আলেক এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মিনিস্টার অফ মিনারেল রিসোর্সেস অ্যান্ড এনার্জি গেদে মানতাশের তরফে স্বাক্ষরিত এই চুক্তির লক্ষ্য হল অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য এবং আন্তঃআফ্রিকান সহযোগিতা ত্বরান্বিত করা।
দুই আফ্রিকান মহাশক্তির মধ্যে একটি রূপান্তরমূলক চুক্তি
নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা আসলে আফ্রিকার দু’টি বৃহত্তম অর্থনীতির প্রতিনিধিত্ব করে। উন্নত খনিজ প্রযুক্তি ও শক্তিশালী খনিজ নীতি কাঠামো ব্যবহারের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দীর্ঘস্থায়ী খ্যাতি থাকলেও নাইজেরিয়ার ৩৬টি রাজ্যে বিস্তৃত বিশাল, অনাবিষ্কৃত খনিজ সম্পদ রয়েছে। তবে নাইজেরিয়ার খনি খাত এখনও অনুন্নত রয়ে গিয়েছে, যা দেশের জিডিপিতে ১ শতাংশেরও কম অবদান রাখে। এটি দক্ষিণ আফ্রিকার সম্পূর্ণ বিপরীত, যেখানে এই খাতটি জিডিপির প্রায় ৮ শতাংশ এবং অর্ধ মিলিয়ন মানুষের জীবিকা নির্বাহ করে।
এই বৈষম্য মূলত কয়েক দশকের অবহেলা, অপ্রতুল অবকাঠামো ও পেট্রোলিয়ামের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতার কারণে উদ্ভূত। আফ্রিকার বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী হওয়া সত্ত্বেও নাইজেরিয়া অপরিশোধিত তেলের উপর নির্ভরতার কারণে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল। তেলের রাজস্ব তার রফতানি আয়ের ৯০ শতাংশ এবং সরকারি রাজস্বের ৭০ শতাংশের জন্য দায়ী। তবুও এই খাত জাতীয় কর্মীবাহিনীর ১ শতাংশেরও কম নিয়োগ করে।
আফ্রিকার বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী হওয়া সত্ত্বেও নাইজেরিয়া অপরিশোধিত তেলের উপর নির্ভরতার কারণে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল।
খনিজ অংশীদারিত্বে প্রবেশের মাধ্যমে নাইজেরিয়া এই ভারসাম্যহীনতা দূর করার লক্ষ্যে কাজ করছে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্ব মানের খনির দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে তার সুপ্ত খনিজ সম্পদ উন্মোচন করবে। এর প্রভাব কেবল নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার জন্যই নয়, বরং আফ্রিকার শিল্পায়ন, সম্পদের সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীল উন্নয়নের বৃহত্তর সাধনার জন্যও গভীর।
কৌশলগত মনোযোগ এবং বাস্তবায়নমূলক পথনির্দেশিকা
অংশীদারিত্বকে একটি বহু-পর্যায়ের কৌশল হিসাবে ধারণা করা হয়েছে, যার মধ্যে ভূতাত্ত্বিক ম্যাপিং, যৌথ অনুসন্ধান এবং নিম্ন প্রবাহের মূল্য সংযোজন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ২০২৬ সালের শেষের দিকে একটি সময়সীমা নির্ধারণের পাশাপাশি উভয় দেশের ভূতাত্ত্বিক সংস্থাগুলি একটি বিস্তৃত ড্রোন-ভিত্তিক ভূতাত্ত্বিক ম্যাপিং প্রকল্পে সহযোগিতা করবে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল ভূতাত্ত্বিক তথ্যের সমন্বয় সাধন, উচ্চ-সম্ভাব্য খনির অঞ্চল চিহ্নিত করা ও অনুসন্ধান প্রক্রিয়াগুলিকে সুবিন্যস্ত করা।
অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খনিজ সমৃদ্ধ অঞ্চলে প্রাথমিক অনুসন্ধান নাসারাওয়া (লিথিয়ামের জন্য) এবং কোগি (লোহা আকরিকের জন্য) পাইলট সাইট দিয়ে শুরু হবে। নাসারাওয়াতে নাইজেরিয়ার লিথিয়াম মজুত আনুমানিক ১৫০,০০০ টন এবং তা ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী চাহিদার ৫ শতাংশ পর্যন্ত সরবরাহ করতে পারে। ক্রমবর্ধমান বৈদ্যুতিক যানবাহন শিল্পের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান। কোগি স্টেটে উচ্চ মানের লৌহ আকরিক মজুত আছে, যার মধ্যে লোহার পরিমাণ ৬৮ শতাংশে পৌঁছেছে এবং যা ব্রাজিল ও অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া অত্যন্ত ভাল মানের আকরিকের সঙ্গে তুলনীয়।
সফল অনুসন্ধানের পর, অংশীদারিত্ব পূর্ণ-মাত্রার খনির কার্যক্রম ও স্থানীয় প্রক্রিয়াকরণ সুবিধা বিকাশের উপর কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। অবশেষে, উভয় দেশ মূল্য শৃঙ্খলকে পরিশোধন ও উৎপাদনে উন্নীত করার লক্ষ্য রাখে, যা কাঁচামাল রফতানির উপর নির্ভরতা হ্রাস করবে এবং দেশীয় মূল্য সংযোজন বৃদ্ধি করবে।
পারস্পরিক সুবিধা এবং কৌশলগত লাভ
চুক্তির সফল বাস্তবায়নের ফলে খনি মূল্য শৃঙ্খলে প্রায় ৫,০০,০০০ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার ফলে নাইজেরিয়ার শিল্প ও উৎপাদন খাতে আনুমানিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। সর্বোপরি, ২০৩০ সালের মধ্যে নাইজেরিয়ার জিডিপি বার্ষিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা খনি খাতের বর্তমান অবদানের দশগুণ বৃদ্ধির প্রতিনিধিত্ব করে। এর পাশাপাশি, দেশীয় লৌহ আকরিক প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার ফলে ইস্পাত আমদানির উপর দেশটির নির্ভরতা উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস করে বার্ষিক প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই অংশীদারিত্ব পশ্চিম আফ্রিকায় একটি কৌশলগত প্রবেশদ্বার খুলে দেয়, যা দক্ষিণ আফ্রিকার সংস্থাগুলিকে নাইজেরিয়ার সমৃদ্ধ কিন্তু মূলত অব্যবহৃত খনিজ সম্পদে অগ্রাধিকারমূলক প্রবেশাধিকার প্রদান করে।
নাইজেরিয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত দক্ষতা, বিনিয়োগ এবং অবকাঠামো অর্জনের জন্য প্রস্তুত হলেও দক্ষিণ আফ্রিকাও বিভিন্ন উপায়ে উপকৃত হবে। প্রথমত এই অংশীদারিত্ব পশ্চিম আফ্রিকায় একটি কৌশলগত প্রবেশদ্বার খুলে দেয়, যা দক্ষিণ আফ্রিকার সংস্থাগুলিকে নাইজেরিয়ার সমৃদ্ধ কিন্তু মূলত অব্যবহৃত খনিজ সম্পদে অগ্রাধিকারমূলক প্রবেশাধিকার প্রদান করে। বিশেষ করে নাইজেরিয়ার লিথিয়াম মূল্যবান, যা বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকার অভাব রয়েছে।
দ্বিতীয়ত, এই সহযোগিতা দক্ষিণ আফ্রিকার খনি সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক ও প্রযুক্তি সরবরাহকারীদের জন্য রফতানির সুযোগ তৈরি করে। নাইজেরিয়ার ক্রমবর্ধমান খনি খাতকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকার সংস্থাগুলি তাদের বাজার সম্প্রসারণ করতে এবং দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে।
বাণিজ্যিক লাভের বাইরে, এই অংশীদারিত্ব দক্ষিণ আফ্রিকাকে আসলে আফ্রিকার খনিজ উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গঠনে তার নেতৃত্বের ভূমিকা জোরদার করার সুযোগ দেয়। এটি একটি ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ বুরকিনা ফাসো, মালি ও নাইজারের মতো দেশ আরও সার্বভৌম ও জাতীয় ভাবে নিয়ন্ত্রিত সম্পদ কৌশলের পক্ষাবলম্বন করার দরুন প্রাক্তন ঔপনিবেশিক শক্তি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
আন্তঃআফ্রিকান সংহতির দিকে একটি পরিবর্তন
নাইজেরিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা খনিজ চুক্তি আফ্রিকান দেশগুলির সম্পদ ব্যবস্থাপনার পদ্ধতিতে একটি বৃহত্তর রূপান্তরকে প্রতিফলিত করে। চিরাচরিত মডেলের বিপরীতে - যেখানে বিদেশি সংস্থাগুলি খনিজ উত্তোলনের উপর আধিপত্য বিস্তার করে এবং মহাদেশ থেকে মুনাফা প্রবাহিত হয় - এই অংশীদারিত্ব আফ্রিকান সংস্থা, পারস্পরিক সুবিধা ও আঞ্চলিক সংহতিকরণের উপর জোর দেয়।
যেহেতু তাদের জাতীয় বা আঞ্চলিক সক্ষমতার অভাব রয়েছে, তাই এই দেশগুলি বর্তমানে বিদেশি সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বাধ্য - যদিও তারা পুনর্বিবেচনার শর্তে তা করছে। যদি নাইজেরিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা অংশীদারিত্ব সফল হয়, তবে এটি মহাদেশের জন্য একটি নতুন নজির স্থাপন করতে পারে।
এই পদ্ধতি পশ্চিম আফ্রিকার সাম্প্রতিক উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে বুরকিনা ফাসো ও মালির মতো দেশ তাদের প্রাকৃতিক সম্পদের উপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করছে। উদাহরণস্বরূপ, বুরকিনা ফাসো পশ্চিমি সংস্থাগুলিকে বহিষ্কার করে তার খনি খাতের কিছু অংশের জাতীয়করণ করেছে এবং অন্য দিকে মালি রাশিয়ার সঙ্গে একটি সম্পদ-নিরাপত্তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। যেহেতু তাদের জাতীয় বা আঞ্চলিক সক্ষমতার অভাব রয়েছে, তাই এই দেশগুলি বর্তমানে বিদেশি সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বাধ্য - যদিও তারা পুনর্বিবেচনার শর্তে তা করছে। যদি নাইজেরিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা অংশীদারিত্ব সফল হয়, তবে এটি মহাদেশের জন্য একটি নতুন নজির স্থাপন করতে পারে।
বিদেশি নির্ভরতার পরিবর্তে আঞ্চলিক সহযোগিতা বেছে নেওয়ার মাধ্যমে, নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা আক্ষরিক অর্থেই আফ্রিকার জন্য একটি নতুন পথ তৈরি করছে এবং এই পথ নির্মিত হচ্ছে অংশীদারিত্ব, ভাগ করে নেওয়া প্রজ্ঞা এবং মহাদেশীয় স্বনির্ভরতার উপর ভিত্তি করে।
আফ্রিকান শিল্পায়নের উপর প্রভাব
যদি সফল হয়, তা হলে নাইজেরিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা অংশীদারিত্ব সমগ্র মহাদেশ জুড়ে খনিজ-ভিত্তিক শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করতে পারে। উত্তোলনের বাইরেও চুক্তিটি স্থানীয় প্রক্রিয়াকরণ ও মূল্য সংযোজনের উপর জোর দেয়। এই মনোযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আফ্রিকা চিরাচরিত ভাবে কাঁচামাল রফতানি করেছে এবং পরিশোধিত পণ্য আমদানি করেছে, ফলে শিল্প ও কর্মসংস্থানের সুযোগ হাতছাড়া করছে।
কাঁচা খনিজ পদার্থকে ব্যবহারযোগ্য শিল্প উপকরণে প্রক্রিয়াকরণ আফ্রিকান দেশগুলিতে কর্মসংস্থান তৈরিতে সহায়তা করতে পারে। স্থানীয় সুবিধা তাদের প্রযুক্তিগত ক্ষমতাও বৃদ্ধি করবে এবং দেশগুলিকে তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে আরও অর্থনৈতিক মূল্য ধরে রাখতে সক্ষম করবে। নামিবিয়ার মতো দেশগুলি একটি নতুন ‘খনিজ নীতি’ তৈরি করেছে, যা রফতানির আগে স্থানীয় মূল্য সংযোজন ও প্রক্রিয়াকরণকে অগ্রাধিকার দেয়, বিশেষ করে ইউরেনিয়ামের মতো কৌশলগত খনিজ পদার্থের জন্য।
এটি আফ্রিকান ইউনিয়নের এজেন্ডা ২০৬৩-এর সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির স্তম্ভ হিসাবে শিল্প উন্নয়ন, অবকাঠামোগত বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক সমন্বিতকরণের উপর জোর দেয়।
শক্তি একত্রিত করে, জ্ঞান ভাগ করে নিয়ে এবং মূল্য সৃষ্টির উপর মনোযোগ দিয়ে, এই অংশীদারিত্ব অন্যান্য আফ্রিকান দেশের জন্য তাদের খনিজ সম্পদের উপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য একটি শক্তিশালী মডেল প্রদান করে।
সম্পদ সহযোগিতার একটি নতুন যুগ
নাইজেরিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা খনিজ চুক্তি কেবল দ্বিপাক্ষিক চুক্তির চেয়েও বেশি কিছু। এটি আফ্রিকান-নেতৃত্বাধীন সম্পদ উন্নয়নের দিকে একটি কৌশলগত পদক্ষেপের প্রতিনিধিত্ব করে। শক্তি একত্রিত করে, জ্ঞান ভাগ করে নিয়ে এবং মূল্য সৃষ্টির উপর মনোযোগ দিয়ে, এই অংশীদারিত্ব অন্যান্য আফ্রিকান দেশের জন্য তাদের খনিজ সম্পদের উপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য একটি শক্তিশালী মডেল প্রদান করে।
যখন বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ খনিজগুলির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সম্পদের উপর ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা তীব্র হচ্ছে, তখন আফ্রিকার জনগণের জন্য তার সম্পদ ব্যবহার করার ক্ষমতা আগের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নাইজেরিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা জোট সঠিক দিকে একটি পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়, যা আগামী প্রজন্মের জন্য আফ্রিকার অর্থনৈতিক গতিপথকে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করতে পারে।
সমীর ভট্টাচার্য অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অ্যাসোসিয়েট ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Samir Bhattacharya is an Associate Fellow at Observer Research Foundation (ORF), where he works on geopolitics with particular reference to Africa in the changing global ...
Read More +