Author : Abhishek Sharma

Published on Aug 30, 2024 Updated 0 Hours ago

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ন্যাটোর কেন্দ্রিকতায় জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব সম্পৃক্ত থাকবে, যাতে প্রতিরক্ষা জোরদার করা যায় এবং এই অঞ্চলে নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা যায়।

ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতি ন্যাটোর কেন্দ্রিকতা: জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি মনোযোগ

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ন্যাটোকে আন্তর্জাতিক নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতার জন্য উপস্থিত একই ধরনের ঘটনা গুরুতর  ঝুঁকির বিষয়ে অতি সচেতন করে তুলেছে। সর্বোপরি, এটি এখন পশ্চিম ফিলিপিন্স সাগর এবং তাইওয়ান প্রণালিতে নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধাচরণ করে, এ হেন চিনা পদক্ষেপগুলি খতিয়ে দেখছে। এই আঞ্চলিক ঘটনাগুলি ন্যাটোকে সমস্যা সমাধানে তার ইন্দো-প্যাসিফিক চার (বা আইপি৪) দেশ অর্থাৎ জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব বাড়াতে প্ররোচিত করেছে যাই হোক, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ন্যাটো তার উত্তর-পূর্ব এশীয় অংশীদার অর্থাৎ জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলাকে এই অঞ্চলের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করে।

জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ন্যাটোর সম্পর্কের বিবর্তন

দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের সঙ্গে ন্যাটোর সম্পর্ক গত কয়েক বছরে দ্রুত অগ্রসর হয়েছে, যদিও তারা বিভিন্ন পথ বরাবর এগিয়েছে। ১৯৯০ সাল থেকে জাপানের সঙ্গে ন্যাটোর সম্পর্ক এগোলেও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ন্যাটোর সম্পর্ক গড়ে ওঠে শুধু মাত্র ২০১০-এর দশকের শেষ দিকে। ন্যাটোর সঙ্গে জাপানের সম্পর্ক ক্রমবিকশিত হলেও রাশিয়ার আক্রমণ ঘটার সঙ্গে সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব টোকিয়োএককাট্টা নিরাপত্তা দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা চালিত সমীকরণে একটি নতুন গতি অর্জন করেছে, যা ইউরেশীয় এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহকে আন্তঃসম্পর্কিত বলে মনে করেজি৭ হিরোশিমা সম্মেলনে জাপানের প্রাইম মিনিস্টার ফুমিও কিশিদার বক্তৃতায় এ কথা স্পষ্ট হয়েছিল যখন তিনি বলেছিলেন, ‘ইউক্রেন ভবিষ্যতের পূর্ব এশিয়া হতে পারে। একই ভাবে, ২০২৩ ন্যাটো সম্মেলনের সময় কিশিদা বলেছিলেন যে, ইউরো-আটলান্টিক এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের নিরাপত্তা অবিচ্ছেদ্য এবং তিনি ইউরো-আটলান্টিক অঞ্চলে জাপানের সমমনস্ক দেশের মধ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আগ্রহ এবং সম্পৃক্ততার বৃদ্ধিকে স্বাগত জানান। এই কৌশলগত চিন্তাধারা নতুন নয় এবং ১৯৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে যখন প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগ তৈরির চেষ্টা করা হয়েছিল, তখন এটি স্পষ্ট হয়ে যায় যে, টোকিয়ো এই অঞ্চলে উদীয়মান নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় ন্যাটোর সঙ্গে তার নিরাপত্তা সম্পর্ককে বৈচিত্র্যময় ও গভীরতর করার চেষ্টা করছে।

প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের গ্লোবাল পিভোটাল স্টেট (জিপিএস) দৃষ্টিভঙ্গির অধীনে দক্ষিণ কোরিয়া তার তাৎক্ষণিক পরিধির ঊর্ধ্বে উঠে দেশগুলির সঙ্গে কৌশলগত, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব বিকাশের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে। এই কেন্দ্রিকতা ন্যাটো এবং এর সদস্যদের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক বিকাশে সিওলের আগ্রহকে চালিত করেছে। ২০২৩ সালে ভিলনিয়াসে ন্যাটো সম্মেলনের সময় ইউন এককাট্টা নিরাপত্তা দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে তাঁর চুক্তি প্রকাশ করে বলেন: এই অতি সম্পৃক্ততার যুগে ইউরোপ এবং এশিয়ার নিরাপত্তাকে আলাদা করা যাবে না। রাশিয়া আক্রমণের মতো পরিস্থিতিগত কারণকে এ বিষয়ে দায়ী করা হলেও বেন্স নেমেথ এবং সেমে কিমের মতো গবেষকরা ন্যাটোর সঙ্গে সম্পর্ককে দৃঢ় করার জন্য কাঠামোগত এবং পরিস্থিতিগত কারণগুলি চিহ্নিত করেছেন। যাই হোক, জাপানের বিপরীতে সিওলের কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি সঙ্কীর্ণ এবং তা শুধু মাত্র উত্তর-পূর্ব এশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া দ্বারা উত্থাপিত চ্যালেঞ্জগুলির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। চিন সম্পর্কে উদ্বেগ বিদ্যমান থাকলেও দক্ষিণ কোরিয়া সাবধানতা অবলম্বন করেছে এবং কৌশলগত সমন্বয়ের সম্ভাবনা এবং বেজিংয়ের অযথা মনোযোগ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছে

গত কয়েক বছরে সিল এবং টোকিয়ো জলবায়ু পরিবর্তন, তথ্য ব্যবস্থাপনা এবং ন্যাটোর সঙ্গে সামরিক গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানকে সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে মনে করেছে। এর পাশাপাশি সাইবার, মহাকাশ, উদীয়মান এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। তাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের কাঠামোর একটি সংস্কারের কারণে এই সম্প্রসারণ সম্ভব হয়েছে, যা ব্যক্তিগত অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা কর্মসূচি (আইপিসিপি) থেকে স্বতন্ত্র ভাবে উপযোগী অংশীদারিত্ব কর্মসূচিতে (আইটিপিপি) উন্নীত হয়েছে। শেষোক্ত কর্মসূচিটি আরও কৌশলগত এবং লক্ষ্যভিত্তিক কাঠামো’র কথা বলেছে এবং পূর্ববর্তী দু’বছর ব্যাপী সাধারণ ও সংক্ষিপ্ত কাঠামোর তুলনায় ব্যাপক, বিশদ এবং দীর্ঘমেয়াদি (চার বছর ব্যাপী)এই সংস্কারকৃত অংশীদারমূলক কাঠামো ন্যাটো এবং এর উত্তর-পূর্ব এশীয় অংশীদারদের মধ্যে বৃহত্তর কৌশলগত সাযুজ্য স্থাপনের চেষ্টা করে। এ ছাড়াও, এটি ন্যাটো এবং এর সদস্যদের সঙ্গে তাদের নিরাপত্তা অংশীদারিত্বকে প্রসারিত এবং গভীর করার জন্য একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক সদিচ্ছার ইঙ্গিত দেয়।

আইটিটিপি কাঠামোর অধীনে আইপি৪ অংশীদারিত্ব এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে এবং ওয়াশিংটন ডিসি-তে আসন্ন ন্যাটো সম্মেলনের সঙ্গে তা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আইটিটিপি কাঠামোর অধীনে আইপি৪ অংশীদারিত্ব এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে এবং ওয়াশিংটন ডিসি-তে আসন্ন ন্যাটো সম্মেলনের সঙ্গে তা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ন্যাটোর উত্তর-পূর্বমুখী পদক্ষেপ: কৌশলগত যুক্তি কী?

জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ন্যাটোর সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়টিকে অবশ্যই পরিবর্তনশীল আন্তর্জাতিক সাযুজ্য এবং ইউরেশিয়া ও ইন্দো-প্যাসিফিকের মেরুকৃত নিরাপত্তা পরিবেশের উপর ভিত্তি করে কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত, যা ন্যাটো এবং এর সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য এক উল্লেখযোগ্য হুমকি। এই ক্রমবর্ধমান হুমকির উপলব্ধি ন্যাটোর ২০২২-এর কৌশলগত ভঙ্গিতে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছিল, যা দুটি অঞ্চলের নিরাপত্তার মধ্যে যোগসূত্র উল্লেখ করেছে। ন্যাটো এ কথা সম্পর্কে অবগত যে, বেজিং, মস্কো এবং সমগ্র অঞ্চল জুড়ে তার অন্যান্য সমমনস্ক অংশীদারের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সমন্বয়ের দরুন এই হুমকি মোকাবিলায় ব্যাপক এবং দক্ষ কৌশল প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, ন্যাটো মস্কো এবং তার বন্ধু অর্থাৎ উত্তর কোরিয়া এবং রানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার বিষয়টি লক্ষ করছে এবং এই দু’টি দেশ ন্যাটোর পরিকল্পনার জন্য ক্ষতিকারক গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র রাশিয়াকে সরবরাহ করেছে। এই ভাবে ন্যাটো ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের মতো সমমনস্ক অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা গঠনের সুবিধাগুলি সম্পর্কে অবগত, যারা ইউক্রেনকে যথেষ্ট সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করেছে এবং অন্যান্য অঞ্চলের ভিত্তিতে অংশীদারদের উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব প্রদর্শন করে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের প্রতি তার সমর্থন জুগিয়ে ন্যাটো মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এমন একটি শক্তিশালী সংকেত পাঠায়: যখন রাশিয়ার মতো দেশগুলি আন্তর্জাতিক নিয়ম ও আইন লঙ্ঘন করার চেষ্টা করেছে এবং তখন আমরা আমাদের জীবনযাত্রা ও সমৃদ্ধি রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী ভাবে একজোট হয়ে দাঁড়িয়েছি।’

জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ন্যাটোর সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়টিকে অবশ্যই পরিবর্তনশীল আন্তর্জাতিক সাযুজ্য এবং ইউরেশিয়া ও ইন্দো-প্যাসিফিকের মেরুকৃত নিরাপত্তা পরিবেশের উপর ভিত্তি করে কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত, যা ন্যাটো এবং এর সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য এক উল্লেখযোগ্য হুমকি।

অন্য দিকে, ইউক্রেনের ঘটনাপ্রবাহ যাতে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পুনরাবৃত্তি না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য ন্যাটোর সঙ্গে সিল এবং টোকিয়োর ব্যাপক সম্পর্ক গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ। এই অংশীদারিত্বের লক্ষ্য হল অর্থনীতি, প্রযুক্তি এবং সামরিক ক্ষেত্র জুড়ে সংযোগ তৈরি করা এবং এটি আঞ্চলিক হুমকির বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে। রাশিয়াকে প্রায়ই একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়। যাই হোক, ব্যাপারটা আদতে তা নয়। ইউ কোজুমির মতো গবেষকরা যুক্তি দিয়েছেন যে রাশিয়া-জাপান সম্পর্ক সহজাত ভাবে প্রতিপক্ষ নয় এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যেতে পারে। ইউক্রেনের পরিস্থিতি উদার গণতন্ত্র হিসাবে উভয় রাষ্ট্রের জন্য উদ্বেগজনক হলেও এটি দুই দেশের জন্যই অস্তিত্বগত হুমকি উপস্থাপন করে না। যাই হোক, তাইওয়ান প্রণালিতে চিনা পদক্ষেপ সম্পর্কে এটি বলা যায় না, যে দেশটি জাপানের জন্য অস্তিত্বগত হুমকি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য জাতীয় নিরাপত্তার উপর গভীর প্রভাব সৃষ্টি করেছে। এই প্রেক্ষাপটে, এই অঞ্চলে সামরিক ভাবে জাপান দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য একমাত্র উল্লেখযোগ্য উদ্বেগ হল চি, রাশিয়া নয়। অতএব, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ন্যাটোর সম্পর্ক একটি পদ্ধতিগত কারণ দ্বারা চালিত হয়: চিনের উত্থান, যা কিনা পরিস্থিতিগত ঘটনা নয়। এই ভাবে এই অংশীদারিত্ব এই অঞ্চলে প্রতিরোধ জোরদার করা এবং বেজিংয়ের যে কোন সম্ভাব্য যুদ্ধবিরোধী পদক্ষেপ মোকাবিলা করার জন্যও এক প্রচেষ্টা

আসন্ন সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ

সন্ত্রাসবাদ, মহাকাশ এবং অস্ত্র হ্রাস ছাড়াও, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান সামরিক গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান এবং সাইবার নিরাপত্তার মতো ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব জোরদার করবে। ক্রমাগত কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী আইটিপিপি কাঠামোর অধীনে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করার সঙ্গে সঙ্গে অংশীদারদের জন্য পরিসর জুড়ে সমস্যা-নির্দিষ্ট আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জগুলিতে সহযোগিতা করার বিষয়টি আরও জরুরি হয়ে উঠবে। সিল এবং টোকিয়োর প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করা এই অংশীদারিত্বের সাফল্যকে আরও বৃদ্ধি করবে, ইউরো-আটলান্টিক এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে কৌশলগত সংযোগ স্থাপন করবে। এই অংশীদারিত্বে সিল বিশেষত ন্যাটোর কো-অপারেটিভ সাইবার ডিফেন্স সেন্টার অফ এক্সিলেন্স-এর (সিসিডিওএই) সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী এবং জাপান তথ্য যুদ্ধ অর্থনৈতিক নিরাপত্তার মতো হাইব্রিড হুমকি মোকাবিলায় ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায়। অন্য দিকে, ন্যাটো সামরিক-প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পরিস্থিতিগত সচেতনতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য পদ্ধতি বিকাশের পরিবর্তে সামরিক-প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের দিকে মনোনিবেশ করার পাশাপাশি কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার দিকেও নজর দিচ্ছে।

সন্ত্রাসবাদ, মহাকাশ এবং অস্ত্র হ্রাস ছাড়াও, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান সামরিক গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান এবং সাইবার নিরাপত্তার মতো ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব জোরদার করবে।

ইউক্রেনের উপর হামলার ফলে তাইওয়ানের জন্য হুমকি এখন ন্যাটো এবং এর সদস্যদের উপর বর্তায়, যখন বিষয়টি ইন্দো-প্যাসিফিককে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। যাই হোক, রাশিয়ার ক্ষেত্রে, যেখানে ন্যাটো একটি বিস্তৃত ঐকমত্যে  পৌঁছেছিল, সেখানে বর্তমানে ন্যাটো এবং তার ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারদের মধ্যে চিনের বিষয়ে কোনও স্পষ্ট চুক্তি নেই। আইপিঅংশীদারদের মধ্যে, বিশেষ করে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চিনের ব্যাপারে অনুরূপ আন্তঃ-অসম্মতি বিদ্যমান। উপরন্তু, আসিয়ান সদস্যরা বাইরের হস্তক্ষেপের বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করায় এটি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। ইন্দো-প্যাসিফিকের কৌশলগত চ্যালেঞ্জগুলির অভিন্ন সাধারণ উপলব্ধিগুলি ভাগ করে নেওয়া এবং সেগুলির উপর কাজ করার সময় এই অনিশ্চয়তাগুলি দুই অংশীদারের মধ্যে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে একটি বাধা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। এই ভাবে এই অঞ্চলে ন্যাটোর ভূমিকা সামরিক ভাবে সম্প্রসারিত না হলেও জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ন্যাটো সদস্যদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ এবং গভীর কৌশলগত অংশীদারিত্ব দেখা যাবে যাতে প্রতিরোধ জোরদার করা যায় এবং ইন্দো-প্যাসিফিকে নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা বজায় রাখা যায়।

 


অভিষেক শর্মা অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.