২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রথম দিন থেকে এখনও পর্যন্ত জুন্টার অমানুষিক অত্যাচারের হাত থেকে নিস্তার পেতে সে দেশের প্রায় এক লক্ষেরও বেশি নাগরিক ভারত অথবা তাইল্যান্ডে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন। আনুমানিক ১৬,০০০-এরও বেশি মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মায়ানমারের সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের চারটি সীমান্তবর্তী রাজ্য — মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচল প্রদেশে প্রবেশ করেছেন। এই জনপ্রবাহের সিংহভাগ ঘটেছে মিজোরামে। জুলাই মাসের মাঝামাঝি যখন মায়ানমারের চিন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মিজোরামে আশ্রয় নেন, তখন থেকে শুরু করে সে রাজ্যে মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯২৪৭।
নিগ্রহের হাত থেকে রেহাই পেতে ভারতে পালিয়ে আসা মানুষদের জন্য মায়ানমার এবং মিজোরামের মধ্যবর্তী ৫১০ কিলোমিটার সীমান্ত প্রধান প্রবেশপথ হয়ে উঠেছে। মায়ানমারে ক্রমশ বেড়ে চলা উদ্বাস্তু সংকটের ফলে ভারত সরকার এক কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে, কারণ তারা দেশের অভ্যন্তরে ও দেশের বাইরে দুই পক্ষেরই মন জুগিয়ে চলার চেষ্টা করছে। এক দিকে সম্ভাব্য সংঘাত এড়াতে ভারত মায়ানমারের জুন্টাকে চটাতে চায় না। অন্য দিকে মিজোরামের রাজ্য সরকারের সঙ্গে মতানৈক্যের বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়াও কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম দায়িত্ব। মায়ানমার থেকে আরও উদ্বাস্তুর প্রবেশ রুখতে ভারত তার সীমান্তের বেড়া না দেওয়া এলাকা বরাবর সমস্ত প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ১০ মার্চ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক মায়ানমার সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিকে সীমান্ত পেরিয়ে উদ্বাস্তু আগমন রুখতে নির্দেশ দেয়, এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিতকরণ, আটক এবং অবিলম্বে মায়ানমারে ফেরত পাঠাতে বলে।
মায়ানমারে ক্রমশ বেড়ে চলা উদ্বাস্তু সংকটের ফলে ভারত সরকার এক কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে, কারণ তারা দেশের অভ্যন্তরে ও দেশের বাইরে দুই পক্ষেরই মন জুগিয়ে চলার চেষ্টা করছে।
অবশ্য মিজোরাম ভারত সরকারের এই আদেশ ভাল ভাবে নেয়নি। মিজোরামের মানুষজন ও মায়ানমারের চিন প্রদেশের বাসিন্দাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সুগভীর জাতিগত এবং পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। ফলে মায়ানমারের উদ্বাস্তু মানুষদের সংকট মিজোরামের বাসিন্দাদের কাছে একটি অত্যন্ত আবেগপ্রবণ ও সংবেদনশীল বিষয় হয়ে উঠেছে। মিজোরাম প্রশাসন ইতিমধ্যেই ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে এবং চিন প্রদেশের মানুষদের সঙ্গে জাতিগত আত্মীয়তার কথা বলে কেন্দ্রের কাছে ‘ভ্রাতৃসম’ উদ্বাস্তুদের সুরক্ষা প্রদানের জন্য আবেদন জানিয়েছে।
সীমান্ত এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চল
দু দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষ বহুদিন ধরেই ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক সূত্রে পরস্পরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। রাজনৈতিক কারণে তৈরি করা সীমান্ত সেই মানুষদের মধ্যে বিভাজন ঘটিয়েছে। পূর্বপুরুষদের দিক থেকে এবং জাতিগত ভাবে উভয় সম্প্রদায়ই ‘জো’ জনজাতির অন্তর্গত হওয়া সত্ত্বেও ‘মিজো’ এবং ‘চিন’দের মধ্যে বিভাজন এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যকার বিভাজন এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তের উভয় দিকেই বিচ্ছিন্ন ভাবে ছড়িয়ে পড়ার সূত্রপাত হয় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক নীতির ফলে। ইংরেজরা জাতিগত দিকটি বিবেচনা করার বদলে রাজনৈতিক সুবিধার্থে সীমা নির্ধারণ করেছিল। তবে সীমানার দু’পাশে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য এবং তাঁদের ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে মায়ানমারের সীমান্ত বরাবর মণিপুর এবং মিজোরামের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বেড়া দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি, ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম বা এফএমআর নামক এক বিশেষ ব্যবস্থার সুবাদে সীমান্তের উভয় দিকের বাসিন্দাদেরই সীমার অন্য দিকে ভিসা ছাড়া ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রবেশাধিকার আছে।
মিজোরামের মিজো ছাত্র সংগঠনের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে মানবিকতার খাতিরে এই সমস্ত অসহায় মানুষদের আশ্রয় ও আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এবং সেখানে তাঁরা ১৪ দিন পর্যন্ত বসবাস করতে পারেন। এ ছাড়াও, সীমান্তের দুই ধারের মানুষই পড়াশোনা এবং জিনিসপত্র কেনাকাটার কাজে প্রায়শই সীমান্ত পেরিয়ে নির্বিবাদে যাতায়াত করেন। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্কের বাস্তব চিত্রটা এ রকম হলেও গত কয়েক দশক ধরেই অসংখ্য মানুষের উদ্বাস্তু হয়ে ওঠার সংকটটি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। মায়ানমারের সংখ্যালঘু জনজাতী গোষ্ঠীগুলির অন্যতম চিন প্রদেশে বসবাসকারী মানুষ ১৯৬২ সাল থেকেই মায়ানমারের সামরিক বাহিনী তামাদও-এর দ্বারা ব্যাপক ভাবে জাতিগত এবং ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। এঁদের বছরের পর বছর ধরে বাধ্যতামূলক শ্রম, যথেচ্ছ গ্রেফতার, বেআইনি ভাবে আটক এবং হত্যার মতো নির্মম অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। এর ফলে হাজার হাজার মানুষ নিজের দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলিতে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। ভৌগোলিক ভাবে সন্নিহিত হওয়ার কারণে এবং জাতিগত ভাবে সম্পর্কিত হওয়ার সুবাদে স্বাভাবিক ভাবেই ভারত এই উদ্বাস্তু মানুষদের প্রধান গন্তব্য হয়ে উঠেছে। যদিও এই সমস্ত শরণার্থীদের ‘উদ্বাস্তু’ তকমা দেওয়া হয়নি, কারণ ১৯৫১ সালের রিফিউজি কনভেনশন বা ১৯৬৭ সালের প্রোটোকল– দুটির কোনওটিতেই ভারত স্বাক্ষর করেনি। ফলে বর্তমানে এই বিপুল সংখ্যক মানুষ এমন এক নিরাপত্তাহীন, বিপজ্জনক অবস্থায় বেঁচে আছেন, যেখানে তাঁদের জন্য কোনও আইনি স্বীকৃতি, জীবিকা, শিক্ষার ব্যবস্থা এবং স্বাস্থয় পরিষেবার কোনও সুযোগই নেই।
২০২১ সালের অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে উদ্বাস্তুদের সংখ্যাবৃদ্ধি
সাম্প্রতিকতম সামরিক অভ্যুত্থানের পরে অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে এবং গণতন্ত্রের সমর্থনকারীদের ও বিভিন্ন জনজাতী গোষ্ঠীগুলির উপর অত্যাচারের তীব্রতাও বেড়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ৯০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে মেরে ফেলা হয়েছে এবং এক লক্ষেরও বেশি মানুষ আহত অথবা বন্দি হয়েছেন। মায়ানমারের চিন সম্প্রদায়ের মানুষ সামরিক অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পেতে দেশের অন্যান্য জনজাতীয় গোষ্ঠী এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ দলগুলির সঙ্গে একত্রে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছেন। ভারতে প্রবেশকারীদের মধ্যে একটা বড় অংশ আইন প্রণেতা, পুলিশকর্মী এবং তাঁদের পরিবার। এ ছাড়াও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদরত বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালাতে রাজি না হওয়া সেনা জওয়ানরাও ভারতে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন। এমনকি মায়ানমারের চিন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সালাই লিয়ান লুয়াইও ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।
এই শরণার্থীদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন বা সমাজকল্যাণমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত নাগরিক সংগঠন ও ছাত্র সংগঠনগুলি। শরণার্থীদের জন্য তাঁরা প্রয়োজনীয় খাদ্য ও মাথা গোঁজার বন্দোবস্ত করেছেন। অনেক শরণার্থীই ঠাঁই পেয়েছেন স্থানীয় মানুষদের বাড়িতে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা নথি ছাড়া যে সমস্ত শরণার্থী বেআইনি ভাবে সীমা টপকে এ দেশে এসে থাকছেন, তাঁদের সকলকে চিহ্নিত করে মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর মর্মে ভারত সরকারের তরফে আদেশ জারির পরই একাধিক মিজো গ্রাম পরিষদের কর্তৃপক্ষ আপত্তি তুলেছেন। একাধিক চিঠি ও বিবৃতির মাধ্যমে তাঁরা এ কথা বলেছেন যে, এই সংকটের মুহূর্তে তাঁরা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ারই পক্ষে। মিজোরামের মিজো ছাত্র সংগঠনের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে মানবিকতার খাতিরে এই সমস্ত অসহায় মানুষদের আশ্রয় ও আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কেন্দ্র-রাজ্য বিরোধ
মায়ানমার থেকে ভারতে আগত শরণার্থীদের ব্যাপারে মিজোরাম সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণ বিপরীত মত পোষণ করছে। মায়ানমারের বর্তমান অভ্যুত্থান নিয়ে নয়াদিল্লির অবস্থান তার আগের অবস্থানের চেয়ে অনেকটাই আলাদা। ১৯৮৮ সালে মায়ানমারে যখন শত শত গণতন্ত্র সমর্থনকারী বা প্রো-ডেমোক্রেসি অ্যাক্টিভিস্টদের গুলি করে মেরে ফেলা হয় এবং সে দেশে জুন্টার নিগ্রহ চরম পর্যায়ে পৌঁছয়, তখন ভারত মণিপুর ও মিজোরামের শরণার্থীদের জন্য রিলিফ ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল এবং তাঁদের আশ্রয় দিয়েছিল। সেই সময়ে স্বদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য কোনও চাপ সৃষ্টি না করেই তাঁদের এ দেশে থাকতে দেওয়া হয়েছিল। যদিও বিগত বছরগুলিতে নিজস্ব সুরক্ষার স্বার্থে ভারতের কাছে তামাদও-এর গুরুত্ব অনেকটাই বেড়েছে। এবং এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে দুই দেশের মধ্যে ভূ-কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক বোঝাপড়ায়।
তাই মায়ানমার নিজের অবস্থান দৃঢ় করার উদ্দেশ্যে ভারত সরকার সে দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নয়াদিল্লির অবস্থান এই সব বিষয় দ্বারা গভীর ভাবে প্রভাবিত হয়েছে। এই মুহূর্তে ভারত তার কৌশল নির্ধারণে অত্যন্ত সতর্ক এবং তারা দুই পক্ষের মধ্যে আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে চায়।
যদিও মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান এবং সাধারণ মানুষের উপর জুন্টার অত্যাচারের ঘটনা ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে এক চরম আবেগময় প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা রাজ্যবাসীর আবেগকে প্রতিধ্বনিত করে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে জানিয়েছেন যে, এই তীব্র মানবিক সংকট থেকে কেন্দ্রীয় সরকার মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে না। কেন্দ্রের জারি করা নির্দেশিকা পুনর্বিবেচনা করার জন্য তিনি আর্জি জানিয়েছেন।
এ কথা ঠিক যে সুরক্ষা এবং ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থে মায়ানমারের ব্যাপারে ভারতকে সতর্ক পদক্ষেপ করতে হবে। তবুও সরকার দেশের উত্তর-পূর্বাংশের নাগরিকদের আবেগ ও মতামতকে সম্পূর্ণ অবহেলা করতে পারে না।
এ কথা ঠিক যে সুরক্ষা এবং ভূ- রাজনৈতিক স্বার্থে মায়ানমারের ব্যাপারে ভারতকে সতর্ক পদক্ষেপ করতে হবে। তবুও সরকার দেশের উত্তর-পূর্বাংশের নাগরিকদের আবেগ ও মতামতকে সম্পূর্ণ অবহেলা করতে পারে না। পাশাপাশি যদি মায়ানমারে অবস্থার আরও অবনতি হয়, তা হলে সে দেশ থেকে শরণার্থীরা অরক্ষিত সীমান্ত অতিক্রম করে পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতেও অনুপ্রবেশ করবেন। সর্বোপরি, সাম্প্রতিক মাসগুলিতে নয়াদিল্লি তামাদও-কে সমঝে চলার যে অবস্থান নিয়েছে, তা উত্তর-পূর্ব ভারতে তীব্র প্রতিবাদ এবং ভারত বিরোধী গণ অভ্যুত্থানকে আরও জোরালো করে তুলতে পারে।
ভারত সরকার ও রাজ্য সরকারের অবস্থানের ভিন্নতা এবং জুন্টার সঙ্গে দিল্লির সম্পর্কের জটিলতা ভারতে উদ্বাস্তু আইন বা রিফিউজি ল-এর প্রয়োজনীয়তাকে আরও প্রকট করে তুলেছে। এ রকম কোনও আইন বর্তমানে ভারতে নেই। যে হেতু ভারতীয় আইনে উদ্বাস্তু মানুষের কোনও সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই, তাই সরকার সমস্ত উদ্বাস্তু এবং এ দেশে আশ্রয়প্রার্থী যে কোনও দেশের নাগরিককে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’র তকমা দিতে পারে। বিধিবদ্ধ আইনি পরিকাঠামো না থাকার জন্য অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক স্তরে উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধানে ভারত সব সময়ই তাৎক্ষণিক নীতি গ্রহণ করেছে। সুসংহত আইনি এবং প্রাতিষ্ঠানিক পরিকাঠামো না থাকায় বর্তমান মায়ানমার উদ্বাস্তু সংকট ভারত সরকারের সামনে এক প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।
একটি সুচিন্তিত এবং সঠিক সূত্র সমন্বিত জাতীয় উদ্বাস্তু আইন দেশের অভ্যন্তরীণ আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিবেশের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে মানবিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা করতে পারে। পাশাপাশি মানবাধিকার ও জাতীয় সুরক্ষার মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে ভারসাম্যও রক্ষা করতে পারে। এই ধরনের আইনব্যবস্থা ব্যবহারিক ও আদর্শগত দিক থেকে কার্যকরহয়ে উঠতে পারে এবং পরোক্ষ ভাবে বহুসাংস্কৃতিক এবং বিবিধ জনজাতির মিলনক্ষেত্র দক্ষিণ এশিয়ার নেতৃত্বের লক্ষ্যে ভারতকে দু’কদম এগিয়ে দিতে পারে।
তারুশি সিংহ রাজাউরা ওআরএফের ইন্টার্ন।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.