Published on Mar 28, 2025 Updated 0 Hours ago

হস্তক্ষেপ না করার নীতি বজায় রেখে বিআরআই বিনিয়োগ সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে চিনের ক্ষমতার জন্য মায়ানমার একটি লিটমাস পরীক্ষা হয়ে  উঠেছে

মায়ানমার: চিনের বেসরকারি নিরাপত্তা সম্প্রসারণের জন্য একটি লিটমাস পরীক্ষা

Image Source: Getty

এই নিবন্ধটি রাইসিনা এডিট ২০২৫-এর অংশ।


২০১৩ সালে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) চালু করার পর থেকে চিন বিদেশে বিনিয়োগ কর্মীদের সুরক্ষার জন্য তার সীমিত বৈশ্বিক সামরিক উপস্থিতির পরিপূরণে ক্রমবর্ধমান ভাবে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থাগুলির (পিএসসি) উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেরাশিয়ার আধা-বেসরকারি সামরিক ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলির (পিএমসি) বিপরীতে - যারা প্রায়শই গোপন সামরিক অভিযানে জড়িত থাকে - চিনা পিএসসিগুলি আরও নিয়ন্ত্রিত উদ্দেশ্য পূরণ করে এবং পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) মোতায়েন না করেই বিআরআই প্রকল্পগুলিকে রক্ষা করে।

পাকিস্তান থেকে সাব-সাহারান আফ্রিকা পর্যন্ত চিন-বিরোধী সহিংসতা বৃদ্ধি মায়ানমারে বিদ্যমান গৃহযুদ্ধ পিএসসিগুলির ভূমিকাকে আরও বৃদ্ধি করেছে, যার ফলে বেজিং পেশাদারিত্ব কঠোর তদারকিকে অগ্রাধিকার দিতে বাধ্য হয়েছে। মস্কোর কালাশনিকভ কূটনীতির বিপরীতে চিনের পিএসসি কৌশল অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত এবং একটি পরোক্ষ নিরাপত্তা সাধনী হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। ভেবেচিন্তে গৃহীত পদ্ধতিটি বিআরআই গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ-এর (জিএসআই) অধীনে তার বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা সংঘর্ষের পরিবর্তে নিয়ন্ত্রিত স্থিতিশীলতার মাধ্যমে প্রভাবের উপর বেজিংয়ের জোরকে শক্ত করে।

পাকিস্তান থেকে সাব-সাহারান আফ্রিকা পর্যন্ত চিন-বিরোধী সহিংসতা বৃদ্ধি মায়ানমারে বিদ্যমান গৃহযুদ্ধ পিএসসিগুলির ভূমিকাকে আরও বৃদ্ধি করেছে, যার ফলে বেজিং পেশাদারিত্ব কঠোর তদারকিকে অগ্রাধিকার দিতে বাধ্য হয়েছে।

২০২৫ সাল ইতিমধ্যেই বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধির দ্বারা সংজ্ঞায়িত হয়েছে এবং চিনের নিকটবর্তী প্রতিবেশী দেশগুলি ক্রমশ অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। মায়ানমার এ ক্ষেত্রে বিশিষ্টতম উদাহরণ, যেখানে সংঘাত গভীরতর হচ্ছে এবং অর্থনীতি নিম্নগামী ধারা অব্যাহত রেখেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বেজিং বড় বিনিয়োগ করা থেকে পিছিয়ে রয়েছে, সম্ভবত স্থিতিশীলতার জন্য অপেক্ষা করছে এবং এখন এই অঞ্চলে বিআরআই সম্প্রসারণের ঝুঁকি নিচ্ছে না। চাপ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিআরআই একটি সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। এক সময় চিনের বিশ্বব্যাপী আধিপত্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিত এই প্রকল্পটি এখন ক্রমবর্ধমান প্রতিকূল ভূ-রাজনৈতিক পরিসরের সম্মুখীন, যা প্রকল্পটির ভবিষ্য এবং বিশ্বব্যাপী বেজিংয়ের প্রভাবকে নতুন করে আকার দিতে  পারে। মায়ানমার তার নিকটবর্তী প্রতিবেশ অঞ্চলে চিনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক করিডোরের অন্যতম - প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চিন-মায়ানমার ইকোনমিক করিডোর (সিএমইসি) উপস্থাপন করছে এবং অন্যটি হল ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইসি)। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, উভয় ক্ষেত্রেই বেজিং তার বিনিয়োগ নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা মোতায়েনের কথা বিবেচনা করছে। তবে এই খবর সন্দেহ এমনকি ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সমালোচকরা যুক্তি দিয়েছেন যে, এটি হয় রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে দিয়েছে অথবা সরাসরি তা লঙ্ঘন করে। প্রতিবেদনগুলিতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, চিনা বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই মায়ানমারে কাজ করছে। তা সত্ত্বেও মায়ানমারের সামরিক হুন্তা এবং একটি চিনা বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিপক্ষের মধ্যে বহুল আলোচিত যৌথ নিরাপত্তা সংস্থা প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা এই অভিযানের মাত্রা পরিধি উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রসারিত করতে পারে।

বেজিং চিনা কর্মী বিনিয়োগ রক্ষার জন্য সরাসরি হস্তক্ষেপের সুবিধা অসুবিধাগুলি বিবেচনা করলেও চিনা বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থাগুলি বিদেশে চিনা স্বার্থ রক্ষা এবং নিরাপত্তা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এটি এমন একটি ক্ষেত্রে যেখানে ব্যক্তিগত জনসাধারণের মধ্যে সীমানা প্রায় অস্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বেজিং যখন হস্তক্ষেপ না করার নীতি বজায় রেখে চলেছে, তখন তার নিকটবর্তী প্রতিবেশ অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা স্থানীয় প্রকল্প আঞ্চলিক সংযোগের জন্য চিনের বৃহত্তর ভূ-কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

মায়ানমারে সিএমইসি এবং অন্যান্য চিনা ব্যবসায়িক কার্যকলাপের ঘটনা সংঘাত বৃদ্ধির জন্য চিনের দুর্বলতাকেই দর্শায় এবং বিদ্যমান গৃহযুদ্ধে চিনের ভূমিকা সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। চিন-মায়ানমার সম্পর্কের বিশেষজ্ঞ পাস্কাল অ্যাবের মতে, অভ্যুত্থান-পরবর্তী সংঘাতের আগে সিএমইসি ইতিমধ্যেই একটি উচ্চাভিলাষী বিতর্কিত প্রকল্প ছিল। ব্যাপক চিন-বিরোধী মনোভাবের ঊর্ধ্বে উঠে প্রকল্পটি মায়ানমারের রাজনীতিতে দুটি গভীর-মূলযুক্ত ত্রুটিরেখাকে স্পষ্ট করেছে: বামার-অধ্যুষিত কেন্দ্রীয় সরকার জাতিগত সংখ্যালঘু অঞ্চলের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী উত্তেজনা এবং ২০২১ সালের অভ্যুত্থানে পরিণত হওয়া বেসামরিক-সামরিক ক্ষমতার লড়াই। সিপিইসি-র পাশে গোয়াদর বন্দরের চারপাশে চিন-বিরোধী সহিংসতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিএমইসি-র কিয়াকফিউ বন্দরটি বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে প্রকল্প রাজস্ব নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এটি এখন স্থানীয় সঙ্কটের আঁতুড়ঘর। চিনের সঙ্গে প্রধান সীমান্ত নিয়ন্ত্রণকারী স্থানীয় বিদ্রোহী যোদ্ধাদের অগণিত প্রচেষ্টা এবং চিনা নাগরিকদের লক্ষ্য করে আক্রমণকারী অপরাধমূলক সংগঠনগুলির উত্থান নিয়ে মায়ানমারে পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই জটিল।

মায়ানমারে সামরিক হুন্তা প্রকাশ্যে চিনা নিরাপত্তা বাহিনীর দৃশ্যমান উপস্থিতিকে সমর্থন করে এবং সক্রিয় ভাবে চিনা বেসরকারি নিরাপত্তা ক্ষেত্রের সঙ্গে একটি যৌথ উদ্যোগ অনুসরণ করছে।

পাকিস্তানের মতোই — যেখানে চিনা পিএসসি-র কার্যক্রমের প্রতিবেদনে তাদের পূর্ণ মালিকানার সম্ভাবনার কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে অস্বীকার করা হয়েছে — চিনা পিএসসিগুলি মায়ানমারে সক্রিয় রয়েছে। তবে মায়ানমারে সামরিক হুন্তা প্রকাশ্যে চিনা নিরাপত্তা বাহিনীর দৃশ্যমান উপস্থিতিকে সমর্থন করে এবং সক্রিয় ভাবে চিনা বেসরকারি নিরাপত্তা ক্ষেত্রের সঙ্গে একটি যৌথ উদ্যোগ অনুসরণ করছে। একই সময়ে প্রস্তাবিত বেসরকারি নিরাপত্তা যৌথ উদ্যোগ মডেল বেজিংয়ের জন্য দ্বৈত উদ্দেশ্য পূরণ করে: এর ফলে হিতে বিপরীত কিছু হলে চিন প্রকাশ্যে তা অস্বীকার করার ধারা বজায় রাখতে পারবে এবং একই সঙ্গে নিজের ভাবমূর্তি বাঁচাতে মায়ানমারে সামরিক হুন্তাকে সক্রিয় করার মাধ্যমে এ দাবি জানাবে যে, সার্বভৌম কর্তৃত্ব কোনও বিদেশি সত্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ইউনানের নিকটবর্তী হওয়ার কারণে কুনমিং মায়ানমার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে কর্মরত চিনা পিএসসি-র জন্য পছন্দের লঞ্চ পয়েন্ট হয়ে উঠেছে।

চিনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ: নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সম্প্রসারণের ভারসাম্য বজায় রাখা

এতে অবাক করার কিছু নেই যে, চিনে প্রাদেশিক পর্যায়ে স্থানীয় সরকারগুলিকে একটি নির্ভরযোগ্য, উচ্চ-কার্যক্ষমতাসম্পন্ন বেসরকারি নিরাপত্তা বাহিনী তৈরি ও সেই বাহিনী বজায় রাখার জন্য সক্রিয় ভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

তা সত্ত্বেও, ২০২৪ সালের জুন মাসে কার্যকর হওয়া চিনা বেসরকারি নিরাপত্তা খাতের উন্নয়ন তত্ত্বাবধানকারী সাম্প্রতিকতম নিয়মকানুনে এখনও চিনা পিএসসির নিয়োগের নিয়ম বিদেশে কর্মরত অবস্থায় সশস্ত্র কর্মী মোতায়েন করার পদ্ধতি সম্পর্কে প্রত্যাশিত নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। ১৯৯০-এর দশকে দেং শিয়াওপিংয়ের অধীনে চিনের বৃহত্তর অর্থনৈতিক উদ্বোধনের অংশ হিসেবে লাইসেন্সিং অনুমোদনকারী বিধিনিষেধমূলক আইনের মাধ্যমে চিনা বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থাগুলির বিবর্তন শুরু হয়। প্রাথমিক ভাবে, শুধুমাত্র প্রাক্তন সামরিক ও পুলিশ কর্মীরা এই ধরনের সংস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারতেন এবং বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ২০০৯ সালের একটি আইনি সংশোধনী এই ক্ষেত্রের পরিধি প্রসারিত করে, নগদ অর্থ ও মূল্যবান জিনিসপত্রের জন্য অস্ত্র পরিষেবা প্রদানের অনুমতি দেয় এবং প্রতিষ্ঠাতাদের প্রাক্তন সরকারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা হওয়ার প্রয়োজনীয়তার নিয়মটিকে অপসারণ করে। তা সত্ত্বেও, চিনের বেশিরভাগ বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা এখনও প্রাক্তন সামরিক ও পুলিশ কর্মীদের দ্বারা প্রভাবিত।

বিদেশে চিনা বিনিয়োগের ঊর্ধ্বগতি স্থানীয় আন্তর্জাতিক পিএসসি-র উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি করলেও চিনা বেসরকারি নিরাপত্তা ক্ষেত্রের পেশাদারিত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবেই রয়ে গিয়েছে

২০১৩ সালে বিআরআই চালু হওয়ার পর থেকে চিন তার ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক অবস্থান রক্ষার জন্য ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা চাহিদার সম্মুখীন হয়েছে। বিদেশে চিনা বিনিয়োগের ঊর্ধ্বগতি স্থানীয় আন্তর্জাতিক পিএসসি-র উপর নির্ভরতা বৃদ্ধি করলেও চিনা বেসরকারি নিরাপত্তা ক্ষেত্রের পেশাদারিত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হিসেবেই রয়ে গিয়েছে। নিরাপত্তা চাহিদা ও চিনের দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অ-হস্তক্ষেপ নীতির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন বলে প্রমাণিত হয়েছে, যার ফলে বেজিং নিয়মকানুন কঠোর করতে এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের জিএসআই-এর সঙ্গে  পিএসসি উন্নয়নের সামঞ্জস্য করতে প্ররোচিত করেছে, যা আসলে পশ্চিমী কাঠামো থেকে আলাদা একটি নতুন সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্য এক অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি। পিএসসি-র সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টার মধ্যে রয়েছে চিনা দূতাবাস, রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় এবং উন্নত কর্মক্ষম মান। তবে চিনা পিএসসি-র প্রকৃত ভূমিকা, বিশেষ করে চিনেমিলিটারি-সিভিল ফিউশন (এমসিএফ) কৌশলের অংশ হিসাবে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে তাদের সম্ভাব্য অংশগ্রহণ সম্পর্কে পশ্চিমী বিশ্বে সন্দেহ রয়েছে, যা বেসামরিক সামরিক সম্পদকে সমন্বিত করার চেষ্টা করে।

এই ঝুঁকিগুলি হ্রাস করার জন্য চিন আরও কঠোর তদারকি, কঠোর নিয়ন্ত্রণ চিনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) অনুগত অভিজাত পিএসসি-র প্রচারের দিকে এগিয়ে এসেছে। তবে এমনকি সাম্প্রতিক নিয়মাবলিতেচিনা পিএসসি বিদেশে অস্ত্র বহন করতে পারবে কি না, সেই বিষয়টি এখনও অমীমাংসিত রয়ে গিয়েছে। এমনকি এই প্রবণতা ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলিতে নিরাপত্তা কৌশলগুলিকে পুনর্গঠন করছে। এই পদ্ধতির একটি প্রাথমিক উদাহরণ হল মধ্য এশিয়া কারণ চিনা বিনিয়োগগুলি সেখানে কম দৃশ্যমান, স্থানীয় সম্পৃক্ততা হ্রাস পেয়েছে, আবার অন্য দিকে আফ্রিকায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন উদ্যোগের (এসওই) বিনিয়োগ দুর্বল সঙ্কট প্রতিক্রিয়ার মিল প্রধান  দুর্বলতাকেই উপস্থাপন করেছে।

পরিশেষে, বিআরআই-এর ভবিষ্যৎ চিনের নিরাপত্তা-বিনিয়োগ সম্পর্ককে আরও উন্নত করার ক্ষমতার উপর নির্ভরশীল এবং মায়ানমার সে ক্ষেত্রে একটি লিটমাস পরীক্ষাসমমায়ানমারে ঝুঁকি বেশি চিনা প্রাদেশিক কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ উভয়ই পিএসসি কার্যক্রমের উপর কঠোর নজরদারি আরোপ করে এবং তা দর্শায় যে, চিনের ‘বিদেশের কাছাকাছিঅবস্থানে যে কোন ভুল পদক্ষেপ মূল ভূখণ্ডে অস্থিতিশীলতার তীব্র অনুরণন ঘটাতে পারে। এই বিদেশের কাছাকাছিঅবস্থানে অস্থিতিশীলতার কারণে চিনা বেসরকারি নিরাপত্তা ক্ষেত্রের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার মাঝেই বেজিং একটি পথ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে চিনকে তার পিএসসিগুলি পেশাদারিকরণ করতে হবে, পিএলএ-এর বিদেশে উপস্থিতি বৃদ্ধি করতে হবে অথবা একটি মিশ্র কৌশল নিতে হবে। এই প্রতিটি বিকল্পই চিনের বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা অবস্থানের উপর গভীর প্রভাব ফেলবে।

 


আলেসান্দ্রো আরদুইনো লন্ডনের কিংস কলেজের লাও চায়না ইনস্টিটিউটের অ্যাফিলিয়েট লেকচারার।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.