Author : Pratnashree Basu

Published on Oct 16, 2024 Updated 0 Hours ago
বহুপাক্ষিকতাই ইন্দো-প্যাসিফিক সমুদ্রতলের কেব্‌লগুলির ঝুঁকি কমাতে পারে

গুপ্তচরবৃত্তি এবং ভূ-রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মাঝেই অনেক দেশ কৌশলগত ভাবে ইন্দো-প্যাসিফিকের চিনা সাবসি বা সমুদ্রতলের কেব্‌লগুলিকে এড়িয়ে যাচ্ছে। সাবসি কেব্‌ল হল সমুদ্রের তলদেশে পাতা এক ধরনের ফাইবার অপটিক তারগুচ্ছ, যা ইন্দো-প্যাসিফিক মহাদেশ জুড়ে তথ্য প্রেরণের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং তাই এই কেব্‌লগুলি ভূ-রাজনৈতিক, প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যাগুলির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িতসাবসি কেব্‌লগুলি বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের জন্য অপরিহার্য এবং ইন্টারনেট ট্রাফিক, আর্থিক লেনদেন সরকারি যোগাযোগ-সহ ৯৭%-এর বেশি আন্তর্জাতিক তথ্য এর মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ডিজিটাল অর্থনীতির মেরুদণ্ডস্বরূপ, যা এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ করে তুলেছে ও বিতর্কের বিন্দুতে পরিণত করেছে। কৌশলগত বা প্রাকৃতিক ব্যাঘাত সেই আঞ্চলিক অর্থনীতিগুলিকে প্রভাবিত করে, যা দ্রুত স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগের উপর খুব বেশি নির্ভরশীল। এই ব্যাঘাত বিশেষ করে অতিমারি পরবর্তী সময়ে বিশ্ব সাবসি কেব্‌ল শিল্পের সামনে উপস্থিত উল্লেখযোগ্য ভূ-রাজনৈতিক এবং লজিস্টিক বাধাগুলিকে তুলে ধরেছে।

ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব

ভূমিকম্প, সমুদ্রের তলদেশে ভূমিধ্বস এবং সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সমুদ্রের তল স্থানান্তর করলে সাবসি কেব্‌ল নেটওয়ার্কের ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং এর ফলে কেব্‌লগুলি ছিন্ন বা স্থানচ্যুত হয়। ইচ্ছাকৃত নাশকতা আবার আরও চাপ সৃষ্টি করে। যেমন ইচ্ছাকৃত ভাবে কেব্‌ল কেটে দেওয়ার মতো কৌশলগত বাধা দেশ বা অঞ্চলগুলিকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে এবং বিশ্ব বাণিজ্য, আর্থিক বাজার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও অর্থনৈতিক তথ্য প্রবাহকে প্রভাবিত করে মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিতে পারে। তথ্যের মর্মোদ্ধার এবং গুপ্তচরবৃত্তি হল অন্যান্য উপায়, যেখানে কেব্‌লগুলিকে ব্যাহত না করে কৌশলগত সুবিধা পাওয়া যায়। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলি দর্শিয়েছে যে, চিনা কেব্‌লের রক্ষণাবেক্ষণকারী জাহাজগুলি আন্তর্জাতিক কেব্‌লের সঙ্গে কারসাজিতে জড়িত থাকতে পারে। এমনটাও অনুমান করা হয় যে, সাবসি কেব্‌লগুলি প্রতিদিন প্রায় ১০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের আর্থিক লেনদেন করে। একই ভাবে, এই কেব্‌লগুলির উপর কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য এবং যে কোনও রকমের ব্যাঘাত সম্ভাব্য ভাবে জ্বালানি, শক্তি এবং তথ্যকে উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রভাবিত করে।

সাবসি কেব্‌লের ইচ্ছাকৃত লক্ষ্যবস্তু হাইব্রিড বা সঙ্কর যুদ্ধের একটি রূপ হিসাবে কাজ করতে পারে, যেখানে রাষ্ট্রীয় এবং অ-রাষ্ট্রীয় শক্তিগুলি কৌশলগত উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য অ-প্রথাগত উপায় ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, ইচ্ছাকৃত ভাবে কেব্‌ল কেটে দেওয়াকে ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতে একটি জবরদস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে নিযুক্ত করা যেতে পারে এবং এ ভাবে প্রকাশ্য সামরিক পদক্ষেপ ছাড়াই চাপ প্রয়োগ করা সম্ভব। এই পদ্ধতিটি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা কার্যকারিতার ক্ষমতাকে ব্যাহত করতে পারে, যা আধুনিক সংঘাতে প্রযুক্তি ভূ-রাজনীতির আন্তঃসম্পর্ককেও দর্শায়। উদাহরণস্বরূপ ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে তাইওয়ানের মাতসু দ্বীপের সঙ্গে সংযোগকারী কেব্‌লগুলিকে চিনা জাহাজ ছিন্ন করে দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ব্যাঘাত স্থানীয় জনগণের উপর অবিলম্বে প্রভাব ফেলেছিল, ইন্টারনেট ফোন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায় এবং এই ধরনের কাজের মাধ্যমে অঞ্চলগুলির কৌশলগত বিচ্ছিন্নতার সম্ভাবনাও প্রকাশ্যে এসেছিল।

সাবসি কেব্‌লের ইচ্ছাকৃত লক্ষ্যবস্তু হাইব্রিড বা সঙ্কর যুদ্ধের একটি রূপ হিসাবে কাজ করতে পারে, যেখানে রাষ্ট্রীয় এবং অ-রাষ্ট্রীয় শক্তিগুলি কৌশলগত উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য অ-প্রথাগত উপায় ব্যবহার করে।

বৃহত্তর প্রভাব হল তাইওয়ানের যোগাযোগ অবকাঠামোর দুর্বলতা, যা তাইওয়ানের  স্থিতিশীলতাকে দুর্বল করার জন্য আরও ব্যাপক কৌশলের পূর্বশর্ত হয়ে উঠতে পারে। যেহেতু তাইওয়ান বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টর বা অর্ধপরিবাহী শিল্পের একটি প্রধান শক্তি, তাই তার যোগাযোগের অবকাঠামোকে ব্যাহত করলে তা বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলের উপর অনুরণনকারী প্রভাব ফেলতে পারে, বিশ্বব্যাপী শিল্পগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে এবং সম্ভাব্য ভাবে আন্তর্জাতিক বাজার বহুজাতিক কর্পোরেশনগুলির তরফে চিনের প্রতি ক্ষোভের জন্ম নিতে পারে। যদি কেব্‌লগুলির বিচ্ছিন্নকরণকে সামরিক অভিযানের পূর্বসূরী বা অংশ হিসাবে দেখা হয়, তা হলে সেই সকল দেশে উত্তেজনা সম্ভাব্য সামরিক সংঘাতের গুরুতর বৃদ্ধি ঘটাতে পারে, যে দেশগুলির সঙ্গে তাইওয়ানের নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি রয়েছে।

চিনের সাবসি শৃঙ্খলকে কেন্দ্র করে

চিনা সাবসি শৃঙ্খলের উপর নির্ভরতা কমানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও চিনা সংস্থাগুলির সঙ্গে সংযুক্ত ২০টিরও বেশি কেব্ল হয় কার্যকরী হয়েছে অথবা ২০২১ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। অর্ধপরিবাহী শিল্পের বিপরীতে - যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ফতানি নিয়ন্ত্রণ চিনা উৎপাদন ও উন্নয়নকে কয়েক বছর ধরে ব্যাহত করেছে - সাবসি কেব্‌লের ক্ষেত্রে যে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা যেতে পারে তা হল, এমন একটি এলাকা তুলে ধরা যেখানে চিনা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই আধিপত্য বিস্তার করেছে। তদুপরি, চিনের সাবসি কেব্‌লগুলি একই রকমের দুর্বলতা ভাগ করে নেয় এবং সেগুলিতে অন্যান্য দেশের প্রতি চিন থেকে উদ্ভূত ইচ্ছাকৃত ব্যাঘাত বা গুপ্তচরবৃত্তির ঝুঁকি বেশি থাকে

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সাবসি কেব্‌লগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের মধ্যে প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। চিনা সংস্থাগুলি যাতে সাবসি কেব্‌শিল্পে আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে সে কথা সুনিশ্চিত করার জন্য ওয়াশিংটন টিম টেলিকম-এর মতো ব্যবস্থা স্থাপন করেছে। টিম টেলিকম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য-পশ্চিম ইউরোপ ৬ কেব্‌লের মতো বেশ কয়েকটি প্রকল্পে চিনা সংস্থাগুলিকে চুক্তি স্বাক্ষর করা থেকে বিরত রাখতে পদক্ষেপ করেছে। এই প্রচেষ্টাগুলির মধ্যে রয়েছে তাদের কেব্‌ল প্রকল্পগুলির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সংযুক্ত সংস্থাগুলিকে বেছে নেওয়ার উদ্দেশ্যে আর্থিক প্রণোদনা জোগানো এবং চিন-নিয়ন্ত্রিত অবকাঠামোর সঙ্গে সম্পর্কিত সম্ভাব্য গুপ্তচরবৃত্তি নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ দর্শিয়ে সেই চিনা সংস্থাগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাএই পদক্ষেপগুলি বেজিং থেকে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থার সৃষ্টি করেছে, যেমন কেব্‌ল অনুমোদনে বিলম্ব ইত্যাদি। উদাহরণস্বরূপ, সিংটেল, মেটা এবং জাপানের কেডিডিআই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-জাপান ২ কেব্‌ল প্রকল্প জাতীয় নিরাপত্তার উদ্বেগের কারণে চিনা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ধীর গতির অনুমতি অনুমোদনের ফলে বিলম্বিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এপ্রিকট এবং ইকো কেব্‌লের মতো প্রকল্পগুলি দক্ষিণ চিন সাগর এড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলিকে সংযুক্ত করার জন্য তৈরি করা হচ্ছেযদিও এ ক্ষেত্রে দীর্ঘ আরও জটিল পথের কারণে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।

জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলি অংশীদারিত্ব, নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা কৌশলগত বিনিয়োগের মাধ্যমে সাবসি কেব্‌লের নিরাপত্তা বাড়ায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া কানাডার সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে জাপান সক্রিয় ভাবে তার সাবসি কেব্‌ল অবকাঠামো সুরক্ষিত করেছে। জাপানি সংস্থাগুলি শিল্পের ক্ষেত্রে দড় এবং দেশটি এই সম্পদগুলিকে রক্ষা করার জন্য আন্তর্জাতিক প্রবিধানকে সমর্থন করে সিঙ্গাপুর অস্ট্রেলিয়া এবং ব্রিটেনের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক ডিজিটাল ইকোনমি এগ্রিমেন্টসে সাবসি কেব্লগুলি পরিচালনাকারী প্রবিধানগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই গুণমানগুলির মধ্যে নিরাপদ তথ্য প্রবাহ সুনিশ্চিত করতে কেব্‌ল বিক্রেতাদের নিরীক্ষণ প্রত্যয়িত করার মানদণ্ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং অনুরূপ উদ্যোগের জন্য একটি মডেলও তুলে ধরা হয়েছে।

এপ্রিকট, বাইফ্রস্ট, পিএলসিএন এবং সিএপি-১-এর মতো আসন্ন কেব্‌ল প্রকল্পগুলির দরুন ফিলিপিন্স একটি মূল তথ্য কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে, যা দেশটির ল্যান্ডিং পয়েন্টকে তুলে ধরে। এই নতুন সংযোগগুলি পথের বৈচিত্র্যকে বাড়িয়ে তুলবে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, উত্তর এশিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ডেটা ট্র্যাফিক বা তথ্য প্রবাহের ক্ষেত্রে বিলম্ব কমিয়ে দেবে। ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করতে এবং সংযোগ উন্নত করতে তাদের সাবসি কেব্‌ল অবকাঠামো প্রসারিত করছে। এই দেশগুলি কেব্‌ল নিরাপত্তা সংক্রান্ত আঞ্চলিক ফোরামে অংশগ্রহণ করার সময় চিন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক শক্তির সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রেখে ভূ-রাজনৈতিক সংবেদনশীলতার মাঝে পথ খুঁজে নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া যৌথ বিনিয়োগ কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সাবসি কেব্‌লগুলিকে সুরক্ষিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে, সাইবার নিরাপত্তার উপর জোর দিয়েছে এবং আকস্মিক পরিকল্পনা তৈরি করছে। দক্ষিণ কোরিয়া প্রযুক্তি শিল্পের সুবিধার প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি এবং উচ্চ গতির নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মোকাবিলা করেছে। উদাহরণস্বরূপ, কেটি কর্পোরেশন জাপান, তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স এবং সিঙ্গাপুরের মতো দেশগুলির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী স্যাভিলস কোরিয়া ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলব্যাপী একটি ৫৬০০ মাইল দীর্ঘ সাবসি কেব্‌ল তৈরি করছে।

এপ্রিকট, বাইফ্রস্ট, পিএলসিএন এবং সিএপি-১-এর মতো আসন্ন কেব্‌ল প্রকল্পগুলির দরুন ফিলিপিন্স একটি মূল তথ্য কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে, যা দেশটির ল্যান্ডিং পয়েন্টকে তুলে ধরে।

বহুপাক্ষিক সহযোগিতা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চতুর্পাক্ষিক নিরাপত্তা সংলাপের মতো আঞ্চলিক অংশীদারিত্বগুলি যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের প্রভাবকে ভারসাম্যহীন করার জন্য, সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সর্বোত্তম অনুশীলনগুলি ভাগ করে নেওয়া এবং বাধাগুলির ক্ষেত্রে আকস্মিক পরিকল্পনা তৈরি করার জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলিকে সুরক্ষিত করার উপর জোর দিচ্ছে এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কেব্‌ল সুরক্ষা কমিটির মতো সংস্থাগুলি অংশীদারদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য এবং জবাবদিহিতা ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য মঞ্চ তৈরি করেছে।

আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থারও প্রয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কেব্‌লের ক্ষয়ক্ষতি নাক্ত করতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে উন্নত পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা স্থাপন, প্রতিরক্ষামূলক আবরণ যোগ করে কেব্লগুলিকে শক্তিশালী করা এবং দ্রুত মেরামতের জন্য নিয়মাবলি স্থির করা। এর পাশাপাশি কৌশলগত অপ্রয়োজনীয়তা - যেখানে একাধিক কেব্‌তথ্য সম্প্রসারণের জন্য বিকল্প পথ প্রদান করে - বাধার সম্মুখে ধারাবাহিকতা সুনিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশ কর্পোরেশনগুলি তাই বিস্তৃত ভাবে এই বাধাগুলি মোকাবিলায় চার ধরনের প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করেছে এবং সেগুলি হল পথের বৈচিত্র্যকরণ; আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সমন্বিত প্রতিক্রিয়া কৌশল জোরদার করা; উন্নত পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা ও দ্রুত মেরামতের জন্য নিয়মাবলি নির্ধারণ; এবং নিরাপদ তথ্য প্রবাহ সুনিশ্চিত করতে কঠোর প্রবিধান প্রণয়ন করা। যেহেতু উচ্চ গতির ইন্টারনেট ডিজিটাল সংযোগের চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করা এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ


এই প্রতিবেদনটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় প্যাসিফিক ফোরাম-এ।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.