-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
স্থিতিশীল বর্জ্য হ্রাসের উদ্দেশ্যে পদক্ষেপ করা মিশন লাইফের লক্ষ্য, তাই এর মাধ্যমে অপ্রাতিষ্ঠানিক ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নারীদের ক্ষমতায়নের সম্ভাবনা রয়েছে
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত পণ্য সংগ্রহ করার তীব্র উন্মাদনা আসলে অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রের পাশাপাশি ই-বর্জ্যের পাহাড় সৃষ্টি করছে৷ ই-বর্জ্যের মধ্যে দৈনন্দিন ব্যবহারযোগ্য প্লাগ, স্মার্টফোন এবং এলইডি টেলিভিশনের মতো গ্যাজেট অন্তর্ভুক্ত, যেগুলি ব্যবহার করার পরে ফেলে দেওয়া হয়। ২০২০ সালের গ্লোবাল ই-ওয়েস্ট মনিটর অনুযায়ী, ২০১৯ সালে মোট ৫৬.৩ মিলিয়ন টন বাতিল ই-বর্জ্য পণ্যের মধ্যে শুধুমাত্র ১৭.৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সংগৃহীত এবং পুনর্ব্যবহৃত হয়। অবশিষ্ট বর্জ্যের স্থান হয় জমি ভরাট করায়, স্ক্র্যাপ কেনাবেচার বাজারে অথবা সেগুলি অসংগঠিত বাজারে পুনর্ব্যবহৃত হয়। চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারত হল তৃতীয় বৃহত্তম বর্জ্য উৎপাদনকারী দেশ, যেখানে ২০১৯-২০২০ সালে উত্পাদিত বর্জ্যের পরিমাণ ছিল ১,০১৪,৯৬১.২১ টন। এর মধ্যে মাত্র ২২.৭ শতাংশ সংগৃহীত, পুনর্ব্যবহৃত হয়েছে বা নষ্ট করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেললেও, অসংগঠিত বর্জ্য ক্ষেত্রে কর্মরত ১২.৯ মিলিয়ন নারীর জন্য বর্জ্য বৈদ্যুতিক এবং বৈদ্যুতিন সরঞ্জামগুলি (ডব্লিউইইই) হল জীবনদায়ী, কারণ তার মধ্যে মূল্যবান পুনর্ব্যবহারযোগ্য ধাতু থাকে।
অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী দ্বারা প্রায়ই বর্জ্য পোড়ানো এবং অ্যাসিড দিয়ে মূল্যবান ধাতু নিষ্কাশন সরাসরি পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলছে এবং গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করছে।
এই অসংগঠিত পুনর্ব্যবহারকারীরা যাঁরা আমাদের শহরে ক্রমবর্ধমান পরিমাণ ই-বর্জ্য সংগ্রহ, বাছাই, ভেঙে ফেলা এবং পুনর্নবীকরণের কাজগুলি করেন, তাঁরা লিঙ্গ এবং বর্জ্যের সম্পর্ক প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন এবং আমাদের সমাজের সব স্তরে বিদ্যমান অন্তর্নিহিত বৈষম্যকে শক্তিশালী করে তোলেন। এই কারণেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি ২০৩০ সালের স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে নিজের স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে এবং একটি ন্যায়সঙ্গত বর্জ্য ক্ষেত্র তৈরির জন্য লিঙ্গ ও দারিদ্র্যের সঙ্গে এর যোগসূত্রকে সূচিত করে। জি২০ বালি নেতাদের ঘোষণায় পরিবেশগতভাবে ভাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তাকেই তুলে ধরা হয়। ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টিও আসন্ন জি২০ দিল্লি শীর্ষ সম্মেলনের আলোচনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে, যা এই ক্ষেত্রকে একটি সুবিধা প্রদান করে মিশন লাইফ (লাইফস্টাইল ফর এনভায়রনমেন্ট) নামক ভারতীয় ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগের প্রচার করার পাশাপাশি ক্ষেত্রটির সংস্কার এবং নারী শ্রমশক্তির সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশের বিনিয়োগের সুযোগ করে দেবে।
প্রায়ই ‘বর্জ্য সংগ্রহকারী’ হিসাবে উল্লিখিত অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা রাস্তা থেকে উঠে আসা সেই অদৃশ্য স্বর, যাঁরা স্বাস্থ্য পরিষেবা, খাদ্য নিরাপত্তা, বেতন-বৈষম্য, কাজের মর্যাদা এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনার বৈশ্বিক প্রতিবন্ধকতা দ্বারা সমান ভাবে প্রভাবিত হন। সিদ্ধান্তগ্রহণকারী ভূমিকায় বাধার দরুন বৃদ্ধি পাওয়া বৈষম্যগুলি এই বৃহত্তর লিঙ্গ-নিরপেক্ষ সেক্টরে মূল্যশৃঙ্খল জুড়ে বিশেষ ভাবে স্পষ্ট। এই ক্ষেত্রে তেমন নির্ভরযোগ্য তথ্যের অভাবে সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলি দর্শায় যে, আনুমানিক ০.১ শতাংশ বর্জ্য সংগ্রহকারী ভারতের শহুরে কর্মশক্তি হিসেবে চিহ্নিত এবং এই অর্থনীতির নিম্ন স্তরে থাকা নারীরা জমি ভরাট করার জায়গাগুলিতে সংগ্রাহক এবং বর্জ্য পৃথগীকরণে যুক্ত। এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে ম্যানেজার, মেশিনারি অপারেটর বা যন্ত্রচালক, ট্রাক ড্রাইভার, স্ক্র্যাপ ডিলার বা ছাঁট ব্যবসায়ী, মেরামত কর্মী এবং পুনর্ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী হিসাবে দক্ষ পদগুলিতে আশ্চর্যজনক ভাবে পুরুষরা আধিপত্য বিস্তার করে। এই ‘ধূসর ক্ষেত্র’-র কর্মীরা হল সবচেয়ে প্রান্তিক, দারিদ্র্যপীড়িত, সামান্য সামাজিক বা আর্থিক নিরাপত্তা-সহ দুর্বল প্রেক্ষাপটের অশিক্ষিত মানুষ। তাঁরা নিজেদের কর্মক্ষেত্রে অরক্ষিতই থাকেন এবং প্রায়শই তাঁদের যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়। পণ্য বিক্রিতে তাঁদের দর কষাকষির ক্ষমতা থাকে না। বর্জ্য পণ্যের কার্যকর নিয়ন্ত্রণের জন্য শহরের বর্জ্যক্ষেত্রগুলি আনুষ্ঠানিক ভাবে সংগঠিত হতে শুরু করার দরুন তাঁদের ক্রমশ সরে যেতে হচ্ছে।
অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী দ্বারা প্রায়ই বর্জ্য পোড়ানো এবং অ্যাসিড দিয়ে মূল্যবান ধাতু নিষ্কাশন সরাসরি পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলছে এবং গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করছে, বিশেষ করে শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য, প্রজনন ক্ষমতা, ফুসফুস, কিডনি এবং সামগ্রিক সুস্থতার জন্য। ভারতে এই অদক্ষ শ্রমিকদের মধ্যে অনেকেই অরক্ষিত এবং প্রান্তিক এলাকা থেকে আসেন। এর ফলে তাঁদের ভাষায় ‘কালো প্লাস্টিক’ বলে পরিচিত বস্তুটি যে ব্যাপক জীবিকাগত স্বাস্থ্য বিপর্যয় ডেকে আনে – বিশেষ করে যখন সেগুলি তামা এবং অন্যান্য মূল্যবান ধাতু নিষ্কাশনের জন্য পুড়িয়ে ফেলা হয় – সে সম্পর্কে তাঁরা অবহিত নন। রাসায়নিক চুক্তির একটি আন্তর্জাতিক ফোরামে বর্ণিত পৃথিবীতে উৎপন্ন ‘ই-বর্জ্যের সুনামি’ ক্ষেত্রটিতে কর্মরত মহিলাদের জন্য একাধিক স্বাস্থ্য বিপর্যয় ডেকে আনে, কারণ তাঁরা বেশিরভাগই নিজেদের গৃহস্থালির অবশিষ্ট বিষাক্ত উপাদানগুলির সংস্পর্শে থাকেন এবং শিশুদের উপরেও এর প্রভাব পড়ে। হু-র একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, ১৮ মিলিয়ন শিশু – যার মধ্যে পাঁচ বছর বয়সিরাও রয়েছে – প্রায়শই নিম্ন এবং মধ্য উপার্জনকারী দেশগুলিতে প্রতি বছর ই-বর্জ্য ক্ষেত্রগুলিতে নিজেদের পরিবারের সঙ্গে কাজ করে। সিসার মতো ভারী ধাতু, ডাইঅক্সিনের মতো স্থায়ী জৈব দূষিত পদার্থ (পিওপি), পরিবেশে নির্গত শিখা প্রতিরোধক (পিবিডিই) ইত্যাদি বায়ু, মাটি এবং জল দূষণের অন্যতম কারণ।
কোভিড-১৯ অতিমারি-প্ররোচিত লকডাউনগুলি এই ক্ষেত্রের কর্মীদের মধ্যে ছাঁটাই বৃদ্ধির পাশাপাশি ই-বর্জ্য সংগ্রহের পৌনঃপুনিকতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। এছাড়া ক্ষেত্রটি স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিত্যক্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাহাড়প্রমাণ কাজ দ্বারাও প্রভাবিত। যেমন পিপিই-সহ (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম) সাধারণ বর্জ্যের বিপর্যয়কর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রভাব সম্পর্কে অবগত না থাকা।
ই-বর্জ্যের ফলে সৃষ্ট নানা ঝুঁকি সত্ত্বেও অনেক দেশে এখনও তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যথাযথ আইনি ব্যবস্থার অভাব রয়েছে। ই-বর্জ্য এবং অনুমোদিত পুনর্ব্যবহৃত বৈদ্যুতিন পণ্যের রফতানির মধ্যে পার্থক্যের বিষয়ে স্পষ্টতার অভাবের কারণে নিষিদ্ধ ই-বর্জ্য আমদানির একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ এখনও অসংগঠিত ক্ষেত্রে জায়গা করে নিয়েছে। বাসেল, রটারডাম এবং স্টকহলম কনভেনশনের মতো আন্তর্জাতিক চুক্তি – যা দেশগুলির মধ্যে বিপজ্জনক পণ্যের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রণীত হয়েছিল – অবৈধ রফতানি এবং ই-বর্জ্য বর্জন প্রতিরোধে খুব কম সাফল্য পেয়েছে। কারণ প্রাপক দেশে সেগুলি প্রায়শই ‘পুনর্ব্যবহৃত সরঞ্জাম’ হিসেবে পরিগণিত হয়।
ই-বর্জ্য এবং অনুমোদিত পুনর্ব্যবহৃত বৈদ্যুতিন পণ্যের রফতানির মধ্যে পার্থক্যের বিষয়ে স্পষ্টতার অভাবের কারণে নিষিদ্ধ ই-বর্জ্য আমদানির একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ এখনও অসংগঠিত ক্ষেত্রে জায়গা করে নিয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক (এমওইএফসিসি) দ্বারা প্রকাশিত ২০১৬ সালের ভারতের ই-বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা) আইনে ই-বর্জ্য শ্রেণিবিন্যাস, বর্ধিত উৎপাদক দায়িত্ব (ইপিআর), সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা এবং বিপজ্জনক ই-বর্জ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পরিচ্ছন্ন শহর অসংগঠিত অর্থনীতির অবদান এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তাদের অন্তর্ভুক্তির স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি এই আইনটি ভারতের স্বচ্ছ ভারত (পরিচ্ছন্ন ভারতীয় মিশন), স্মার্ট সিটিজ এবং অটল মিশন ফর রিজুভেনেশন অ্যান্ড আরবান ট্রান্সফরমেশন-এর (অম্রুত) সঙ্গে প্রযুক্তি ও পিপিপি মডেলের ব্যবহারের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। ২০২২ সালের সংশোধিত বৈদ্যুতিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খসড়া আইনে – যা আগামী বছরের শুরুর দিকে কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে – সমগ্র বৃত্তাকার অর্থনীতি জুড়ে মেয়াদ-ফুরোনো বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। যদিও এই প্রগতিশীল পদক্ষেপগুলিতে অসংগঠিত পুনর্ব্যবহারকারীদের ভূমিকার বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা নেই এবং বিশেষ করে ন্যায়সঙ্গত বৃদ্ধিতে নারীদের ভূমিকার জন্য সৃষ্ট ঘাটতির বিষয়ে প্রাধান্যই দেওয়া হয়নি। এটি উল্লেখ করার মতো, বেজিং প্ল্যাটফর্ম অফ অ্যাকশন স্পষ্টতই এই অবস্থান গ্রহণ করেছে যে, একটি সঠিক ভাবে পরিকল্পিত ই-বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থা অসংগঠিত অর্থনীতিতে মহিলাদের অবস্থার উন্নতির নিরিখে অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত উভয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেই সক্ষম। একটি বৈচিত্রপূর্ণ সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে এই ব্লু প্রিন্ট সম্ভবত বিশ্ব জুড়ে সর্বোৎকৃষ্ট অনুশীলন এবং সাফল্যকে খতিয়ে দেখার কাজটি করবে।
একটি সর্বাত্মক লিঙ্গ সংবেদনশীল ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রকে প্রাথমিকভাবে নারীদের সরেজমিনে বাস্তব জমিতে একটি ন্যায্য সূচনার সুযোগ পাওয়া সংক্রান্ত নির্দিষ্ট চাহিদা এবং চ্যালেঞ্জের প্রতি নজর দিতে হবে। ই-বর্জ্য ব্যবস্থা জুড়ে লিঙ্গবৈষম্যের একটি গভীর ও জটিল আন্তর্জাল কাজ করে। শ্রমের লিঙ্গগত বিভাজন এই পরিবারগুলি দ্বারা পরিচালিত জীবিকাগুলির মধ্যে সুগঠিত, যেখানে নারী এবং শিশুরা সংগ্রহ ও পৃথগীকরণের কাজ করে এবং পুরুষরা সামগ্রীর পরিবহণ, দর-কষাকষি ও শেষ পর্যন্ত অর্থের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখে। এই ক্ষেত্রের সঙ্গে সংযুক্ত সামাজিক কলঙ্ক ক্রমান্বয়ে বৈষম্য এবং মর্যাদাহানির মাধ্যমে ফুটে উঠছে। বস্তুগত প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটের ব্যবসার মালিক হিসাবে মূল্যশৃঙ্খলের অন্তিম প্রান্তে নারীদের মালিকানার অভাব রয়েছে এবং ব্যবসায়িক উদ্যোগ শুরু করার জন্য তাঁদের কাছে পুঁজি লভ্য নয়। অশিক্ষিতদের শিক্ষিত করে তোলা কেবলমাত্র প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিকল্পনাতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং দক্ষতা বিকাশ এবং ই-বর্জ্য সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলার বিষয়টিও বাস্তব প্রেক্ষিতের জন্য উপযুক্ত, যেখানে কর্মীরা তাঁদের দৈনন্দিন কাজের সময়সূচি ব্যাহত না করেই কাজ করতে পারেন। লিঙ্গ-পৃথগীকৃত তথ্যের গুরুতর অভাবের কারণে এই সমস্ত কারণ একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা গঠনের জন্য নির্দিষ্ট লিঙ্গ সংক্রান্ত তহবিলের প্রয়োজনকে তুলে ধরে।
মিশন লাইফ-এর তত্ত্বাবধানে উন্নয়ন বৃত্তাকার অর্থনীতি কেন্দ্রে উঠে আসায় এটির সাফল্য সম্ভবত একটি স্ব-পরিপূরক উৎপাদন প্রবাহে অংশগ্রহণের সুবিধার্থে নারীদের বাস্তবতাকে ধারণ ও নির্মাণের উপর নির্ভর করবে।
মিশন লাইফ-এর তত্ত্বাবধানে উন্নয়ন বৃত্তাকার অর্থনীতি কেন্দ্রে উঠে আসায় এটির সাফল্য সম্ভবত একটি স্ব-পরিপূরক উৎপাদন প্রবাহে অংশগ্রহণের সুবিধার্থে নারীদের বাস্তবতাকে ধারণ ও নির্মাণের উপর নির্ভর করবে। সৌভাগ্যবশত, ভারত কয়েক বছর ধরে নারী বর্জ্য সংগ্রহকারীদের কাজের অবস্থার উন্নতির জন্য নাগরিক সমাজের সক্রিয়তা প্রত্যক্ষ করেছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি সফল সমন্বিত উদ্যোগ গবেষণা, নীতিগত হস্তক্ষেপ, সক্ষমতা বৃদ্ধির স্বীকৃতিতে প্রতিফলিত হয়েছে এবং স্থিতিশীল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থায় সংযুক্ত করার জন্য ভোক্তা ও উৎপাদকদের দায়িত্ব সচেতনতামূলক প্রচারে রূপান্তরিত হয়েছে। এই সাফল্যের আখ্যানগুলির মধ্যে কয়েকটি শহরের পৌরসভা, উৎপাদক এবং ভোক্তা ও অন্য অংশীদারদের সহযোগিতা প্রদানে কার্যকরভাবে ই-বর্জ্য সংগ্রহের সরবরাহ শৃঙ্খল পরিচালনায় পাইলট প্রযুক্তির হস্তক্ষেপ, বর্তমান পুনর্ব্যবহার এবং সংগ্রহের সুবিধার মধ্যে ফারাক ঘোচাতে এবং দূষণমুক্ত চাকরির সুযোগ দিতে পারে। থ্রি আর-এর ধারণা অর্থাৎ মিশন লাইফ-এর অধীনে পরিকল্পিত রিডিউস, রিইউজ, রিসাইকলের প্রক্রিয়াটিতে একটি দায়িত্বশীল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অর্থনীতির চালক হিসাবে নারীদের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে এবং শূন্য বর্জ্যের চূড়ান্ত উদ্দেশ্যের পাশাপাশি বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস করার জন্য তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিতে হবে। এটি মহিলা ই-বর্জ্য সংগ্রহকারীদের একটি কৌশলী জীবনচক্র পদ্ধতি প্রদানের সুযোগ করে দেবে এবং একটি পুনরুদ্ধারমূলক, পুনরুত্পাদনশীল ও স্থিতিস্থাপক ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আখ্যানে ভারতের প্রচেষ্টায় সমান অংশগ্রহণ করার পথকে প্রশস্ত করবে।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Arundhatie Biswas, Ph.D was Senior Fellow at ORF. Her research traverses through multi-disciplinary research in international development with strong emphasis on the transformative approaches to ...
Read More +