Published on Sep 16, 2021 Updated 0 Hours ago

বিমস্টেক অঞ্চলে সীমান্তের উভয় পাশে অবস্থিত দেশগুলির মধ্যে গ্রিড সংযোগের আদৌ কি কোনও সম্ভাবনা আছে?

এসডিজি লক্ষ্যমাত্রাগুলির বাস্তবায়ন এবং বিমস্টেকের সদস্য দেশগুলির মধ্যে শক্তি সংক্রান্ত সহযোগিতার সম্ভাবনা

এই প্রতিবেদনটি অতিমারি পরবর্তী জরুরি উন্নয়ন সিরিজের অন্তর্গত।


সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি)-এর কার্যক্রমে সপ্তম উদ্দেশ্যটি হল ২০৩০ সালের মধ্যে সুপরিকল্পিত, সুকৌশলী, আন্তর্দেশীয় ও নির্দিষ্ট সময় ভিত্তিক কার্যক্রমের মাধ্যমে নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ ও জীবিকার সংস্থান করে ঘরে ঘরে শক্তি পৌঁছে দেওয়া, শক্তির কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির বহুল ব্যবহারে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা। ‘লিভ নো ওয়ান বিহাইন্ড’ বা ‘সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলা’র আদর্শ অনুসরণ করে এসডিজি ৭-এর প্রধান লক্ষ্য হল- সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিদ্যুতের ব্যবহারিক বৈষম্যের নিরসন এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের চাহিদা পুরণের সামর্থ্য সুনিশ্চিত রেখে সমকালীন প্রয়োজন মেটানোর উন্নয়নের অন্য লক্ষ্যমাত্রাগুলির সঙ্গে এসডিজি ৭-এর পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত করা। কার্যক্রম অনুযায়ী, এসডিজি ৭-এ সীমান্তের উভয় পাশে অবস্থিত দেশগুলির মধ্যে গ্রিড সংযোগ, অন-গ্রিড পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার এবং বিকেন্দ্রীভূত বিকল্প উপায়ের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। কারণ দেশ ও অঞ্চলভেদে শক্তির অবিরত পরিবর্তনশীল চাহিদা মেটাতে এই বিষয়গুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অঞ্চলটিতে বিদ্যুতের জোগান সুরক্ষিত করতে সীমান্তের উভয় পাশে অবস্থিত দেশগুলির মধ্যে বিদ্যুতের আমদানি-রফতানির ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, বিশ্বব্যাপী কয়েকশো কোটি মানুষ এসডিজি ৭-এর ফলে উপকৃত হয়েছেন। ফলে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন অঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদা ও জোগানের অসাম্যের দিকে নজর দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনুমান করা হচ্ছে যে, এই অসাম্য ২০৩০ সালের মধ্যে অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে । বর্তমান পরিস্থিতিতে এই অঞ্চলে সীমান্তের উভয় পাশের দেশগুলির মধ্যে গ্রিড সংযোগের মাধ্যমে শক্তির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর কোনও উপায় আছে কি? এসডিজি ৭-এর লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কোন কোন বিষয় অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে? এই সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনটিতে মূলত প্রচলিত শক্তির উৎসগুলিকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে এবং পাশাপাশি বিদ্যুতের সর্বজনীন অধিকারের ব্যাপারটিতেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এক নজরে বিমস্টেক

অর্থনৈতিক উন্নয়নের দ্রুততা, শিল্পায়ন এবং পণ্য ও পরিষেবার ক্রমবর্ধমান চাহিদার ফলে বিমস্টেকের অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড এবং মায়ানমারের মতো দেশগুলিতে মাথাপিছু প্রাথমিক শক্তির ব্যবহার বেড়েছে অনেকটাই। বিমস্টেক এনার্জি আউটলুক ২০৩০ অনুযায়ী, ২০০৮ সালে বিমস্টেক অঞ্চলে প্রাথমিক শক্তি সরবরাহের পরিমাণ ছিল ৭৭২ মিলিয়ন টন তেলের সমতুল্য (এমটিওই), যা বেড়ে ২০৩০ সালের মধ্যে ১৭৫৮ এমটিওই হতে চলেছে। একই সময়সীমার মধ্যে, ২০০৮ সালে এই শক্তির চাহিদা ছিল ৫৩৯ এমটিওই এবং ২০৩০ সালের মধ্যে আনুমানিক ভাবে যা বেড়ে হতে পারে ১২১০ এমটিওই। এই অঞ্চলে কয়লাই এখনও শক্তি সরবরাহের প্রাথমিক উৎস। প্রাকৃতিক শক্তি ব্যবহারের সাপেক্ষে তেলের পরিমাণ ২০৩০ সালের মধ্যে ২৯%-এ নেমে আসতে পারে, যা ২০০৮ সালে ছিল ৩১%। যদিও শতাংশের নিরিখে এটি সবচেয়ে বেশি। এর পাশাপাশি বিদ্যুতের ব্যবহার, যা ২০০৮ সালে ছিল ১৩%, ২০৩০ সালের মধ্যে বেড়ে হতে চলেছে ২০%।

বিমস্টেকের অন্তর্গত অধিকাংশ দেশই তাদের শক্তির চাহিদা মেটাতে আমদানির ওপরে নির্ভরশীল। ২০১৮ সালে ভারতের মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ৪১.৫%। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের শক্তি আমদানির পরিমাণ ছিল ১৬.৮% এবং একই বছরে নেপালের শক্তি আমদানির পরিমাণ ছিল ১৬.৭%। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার এবং ২০১৮-১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে তাইল্যান্ডের শক্তি আমদানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৫৭.৫% এবং ৬৪%। যদিও এই দেশগুলি তাদের প্রয়োজনীয় শক্তির চাহিদা মেটাতে অঞ্চল বহির্ভূত অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল, তবু এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বিমস্টেক-এর অন্তর্ভুক্ত ভৌগোলিক অঞ্চলটি জ্বালানিযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ। এই অঞ্চলটিতে ৩২৪ বিলিয়ন টন কয়লা, ৬৬৪ মিলিয়ন টন তেল, ৯৯ ট্রিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস, ১১ বিলিয়ন টন জৈববস্তু, ৩২৮ গিগাওয়াট জলবিদ্যুৎ এবং ১,০০০ গিগাওয়াটের বেশি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির সম্ভাবনা আছে।

পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ জোগানের ব্যাপারটি সুনিশ্চিত করা সত্ত্বেও বিমস্টেকের অন্তর্গত অধিকাংশ দেশেই মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য ভাবে কম। ভুটান ছাড়া বিমস্টেকের অন্তর্গত বাকি সব ক’টি দেশের মাথাপিছু বিদ্যুতের ব্যবহার ২০১৯ সালে বিশ্বের মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহারের গড় ৩,৫০১ কিলোওয়াট-ঘণ্টার চেয়ে কম। বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্বের অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী দেশগুলির তুলনায় যেমন — আমেরিকায় (মাথাপিছু বিদ্যুতের ব্যবহার ১৩,৩৭৫ কিলোওয়াট-ঘণ্টা), অস্ট্রেলিয়ায় (ওই, ১০,৫১৯ কিলোওয়াট-ঘণ্টা), ফ্রান্সে (ওই, ৮,৮৩৫ কিলোওয়াট-ঘণ্টা) এবং ইংল্যান্ডে (ওই, ৪,৭৯৪ কিলোওয়াট-ঘণ্টা) — অবিশ্বাস্য রকমের কম। নেপালে মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ অত্যন্ত কম (১৭৭ কিলোওয়াট-ঘণ্টা) হলেও ভুটানে তা ৯,০০০ কিলোওয়াট-ঘণ্টার বেশি। ২০১৯ সালে মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ মায়ানমারে ৪৪২ কিলোওয়াট-ঘণ্টা, বাংলাদেশে ৫৫০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা, শ্রীলঙ্কায় ৭৫৯ কিলোওয়াট-ঘণ্টা এবং ভারতে ১১৪১ কিলোওয়াট-ঘণ্টা। ফলে বিমস্টেকের অন্তর্গত দেশগুলিকে এই অঞ্চলে লভ্য প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগানোর কথা ভাবতে হবে। অন্যথায় আগামী দিনে অঞ্চলটিতে প্রাথমিক শক্তি ব্যবহারের মধ্যে বিদ্যুতের অংশ বৃদ্ধি পেলেও বিদ্যুতের জোগান যথেষ্ট থাকবে না । অঞ্চলটিতে বিদ্যুতের জোগান সুরক্ষিত করতে সীমান্তের উভয় পাশে অবস্থিত দেশগুলির মধ্যে বিদ্যুতের আমদানি-রফতানির ব্যাপারটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিমস্টেক অঞ্চলে সীমান্তের উভয় পাশে বসবাসকারী দেশগুলির মধ্যে শক্তিকেন্দ্রিক সহযোগিতা: কিছু জরুরি প্রসঙ্গ শক্তি সংক্রান্ত প্রথম বিমস্টেক মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকটি ২০০৫ সালে হয়েছিল নয়াদিল্লিতে, যেখানে ‘প্ল্যান অফ অ্যাকশন ফর এনার্জি কো-অপারেশন ইন বিমস্টেক’ অর্থাৎ বিমস্টেকের অন্তর্গত দেশগুলির মধ্যে শক্তি নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়। এ ছাড়াও, ২০১৮ সালে সদস্য দেশগুলি সীমান্তের উভয় পাশের গ্রিডের আন্তর্যোগাযোগ বা বিমস্টেক গ্রিড ইন্টার-কানেকশন সংক্রান্ত একটি সমঝোতাপত্র (মউ) স্বাক্ষর করে।

বিমস্টেক অঞ্চলে সীমান্তের উভয় পাশে বসবাসকারী দেশগুলির মধ্যে শক্তিকেন্দ্রিক সহযোগিতাকিছু জরুরি প্রসঙ্গ

শক্তি সংক্রান্ত প্রথম বিমস্টেক মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকটি ২০০৫ সালে হয়েছিল নয়াদিল্লিতে, যেখানে ‘প্ল্যান অফ অ্যাকশন ফর এনার্জি কো-অপারেশন ইন বিমস্টেক’ অর্থাৎ বিমস্টেকের অন্তর্গত দেশগুলির মধ্যে শক্তি নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়। এ ছাড়াও, ২০১৮ সালে সদস্য দেশগুলি সীমান্তের উভয় পাশের গ্রিডের আন্তর্যোগাযোগ বা বিমস্টেক গ্রিড ইন্টার-কানেকশন সংক্রান্ত একটি সমঝোতাপত্র (মউ) স্বাক্ষর করে।

ভারত-ভুটান, ভারত-বাংলাদেশ ও ভারত-নেপালের মতো দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলি বর্তমানে কার্যকর এবং বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের (বি বি আই এন) সংলগ্ন অঞ্চল আগামী দিনে বিমস্টেকের অন্তর্গত দেশগুলির জন্য একটি শক্তিসম্পদের কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।

বিমস্টেক গ্রিড ইন্টার-কানেকশনের প্রধান লক্ষ্যগুলি হল — সদস্য দেশগুলিকে নিজেদের মধ্যে শক্তির আদানপ্রদানে উৎসাহিত করা, নতুন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা, বিদ্যুৎ ও প্রাকৃতিক গ্যাসের গ্রিডগুলির মধ্যে আন্তর্যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করা, সম্ভাব্য পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি সংক্রান্ত প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন এবং সর্বোপরি আগামী দিনে প্রাকৃতিক শক্তির সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে নিজেদের মতামত, জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা সদস্য দেশগুলির সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, সীমান্তের দু’পাশের দেশগুলির মধ্যে বিদ্যুৎ আদানপ্রদানের ব্যবস্থা শুধু মাত্র স্বল্প মূল্যে বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন জোগানই সুনিশ্চিত করবে না, তা শক্তির সাশ্রয়ও করবে। যদিও মূলধনের অভাব এ ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সীমান্তের উভয় পাশে আন্তঃআঞ্চলিক শক্তি বাণিজ্যের সম্ভাবনা 

সূত্র: এম হোসেন, ওপেন বর্ডারস, পাওয়ার লাইন, মে ২০১৯

এ কথা উল্লেখযোগ্য যে, বিমস্টেক অঞ্চলে শক্তি সংক্রান্ত সহযোগিতার বিষয়টি সব সময়েই দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে উঠে এসেছে। এবং ভারত বরাবরই তার ভৌগোলিক অবস্থান ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার জন্য এই সমস্ত আলোচনায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছে। ভারত-ভুটান, ভারত-বাংলাদেশ ও ভারত-নেপালের মতো দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলি বর্তমানে কার্যকর এবং বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের (বি বি আই এন) সংলগ্ন অঞ্চল আগামী দিনে বিমস্টেকের অন্তর্গত দেশগুলির জন্য একটি শক্তিসম্পদের কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। সঙ্গত কারণেই ক্রস-বর্ডার ইলেকট্রিসিটি ট্রেড (সিবিইটি) বা সীমান্তের ও পাশে অবস্থিত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বিদ্যুতের আদানপ্রদান সংক্রান্ত ভারতের জাতীয় নীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ২০১৬ সালে প্রকাশিত সিবিইটি-র প্রথম খসড়া নির্দেশিকার বিরোধিতা করে নেপাল এবং ভুটান। তাদের মতে, নেপাল এবং ভুটান সরকারের অধীনস্থ সংস্থা অথবা এমন কোনও সংস্থা যেখানে ভারতীয় নাগরিকদের অন্তত ৫১% শীদারিত্ব আছে, অথবা কোনও বেসরকারি সংস্থা যারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এককালীন অনুমতি নিয়েছে, তারাই ভারতে বিদ্যুৎ রফতানি করতে পারবে। ২০১৮ সালের সংশোধিত নির্দেশিকা অনুযায়ী এই সমস্ত বিধিনিষেধকে আর মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না। যদিও রফতানি (ভারতের ক্ষেত্রে আমদানি)-র ব্যাপারটি চাহিদার অতিরিক্ত উৎপাদনের (ঘাটতি) উপরে নির্ভরশীল।

এখনও পর্যন্ত সীমান্তের উভয় পাশের দেশগুলির মধ্যে তেমন কোনও বহুপাক্ষিক উদ্যোগ লক্ষ করা যায়নি। এই উদ্যোগের পথে অন্তরায়ের কারণগুলির সুচিন্তিত পর্যালোচনা করার সময় হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার উপরে অতি-নির্ভরতা সীমান্তের এপারে ওপারে বহুপাক্ষিক সহযোগিতার পথে কখনও কখনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সাধারণ ভাবে বিমস্টেক অঞ্চলে এবং বিশেষ করে বি বি আই এন অঞ্চলে শক্তিসম্পদ ও ভোটের রাজনীতি অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত হওয়ায় শক্তি সম্পদকে অর্থনীতির বদলে রাজনৈতিক আঙ্গিকে দেখা হয়। অর্থনৈতিক আঙ্গিকটি প্রাধান্য পেলে তা আদতে সীমান্তের উভয় পাশে বসবাসকারী সাধারণ মানুষজনের ক্ষেত্রে লাভজনক হত। শক্তিসম্পদের রাজনীতিকরণের ফলে বিমস্টেকের অন্তর্গত দেশগুলিকে পারস্পরিক অসহযোগিতার অর্থনৈতিক মূল্য চোকাতে হচ্ছে। এ ছাড়াও, পরিবেশ সংক্রান্ত উদ্বেগ এবং উন্নয়নমূলক উদ্যোগগুলির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখাটাও কখনও কখনও গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এসডিজি ৭-এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এবং সকলের জন্য শক্তির জোগান সুনিশ্চিত করতে সদস্য দেশগুলির পারস্পরিক রাজনৈতিক বোঝাপড়া এবং সদিচ্ছা থাকা একান্ত প্রয়োজন। অন্যথায় বিমস্টেক অঞ্চলে শক্তি সম্পদের প্রাচুর্য থাকা সত্ত্বেও সদস্য দেশগুলিকে আগামী দিনেও আমদানিকৃত শক্তির উপরেই নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে।


ঋণ স্বীকার: প্রতিবেদনটির লেখিকা ওআরএফ কলকাতার জুনিয়র ফেলো রোশন সাহার কাছে তাঁর গবেষণালব্ধ তথ্যের জন্য কৃতজ্ঞ।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.