-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত বিদেশনীতির দৃষ্টিভঙ্গি ও চিনের দক্ষিণ চিন সাগর সংক্রান্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষার মাঝেই ম্যানিলাকে অবশ্যই স্বাধীন ভাবে কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে এবং তার প্রতিরক্ষা ও সামুদ্রিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।
ট্রাম্প ২.০-এর অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন আন্তর্জাতিক গতিশীলতার সঙ্গে যুঝছে, তখন প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা জোটের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ফিলিপিন্স জটিল চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। ওয়াশিংটন ফিলিপিন্সের প্রতি তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করলেও ম্যানিলাকে তার দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্য সক্রিয়, নমনীয় ও সতর্ক থাকতে হবে।
গত দু’বছর ধরে চায়না কোস্ট গার্ড (সিসিজি) ফিলিপিন্সের ২০০ নটিক্যাল মাইল এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন বা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (ইইজেড) গুরুত্বপূর্ণ অংশে তার কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে সেকেন্ড টমাস শোল, সাবিনা শোল এবং স্যান্ড কে (যা বাইলান দ্বীপ নামেও পরিচিত)। এর পাশাপাশি সিসিজি সম্প্রতি ম্যানিলাকে ভয় দেখানোর জন্য ফিলিপিন্সের পাঙ্গাসিনান এবং জাম্বালেস প্রদেশের তীরে অনুপ্রবেশকারী টহলও পরিচালনা করছে (যদিও চিন এই পর্যবেক্ষণগুলির বিষয়ে মুখ খোলেনি)।
ট্রাম্পের লেনদেনমূলক বৈদেশিক নীতির দৃষ্টিভঙ্গি মার্কিন-ফিলিপিন্স জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে, বিশেষ করে পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক পরিসর ও নতুন উদীয়মান বৈশ্বিক অগ্রাধিকারের প্রেক্ষিতে।
চিন এবং ফিলিপিন্সের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতার কারণে ম্যানিলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা চালিয়েছে। এটি বেজিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে প্রতিহত করার জন্য একটি বৃহত্তর আঞ্চলিক কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে ফিলিপিন্সকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ট্রাম্পের লেনদেনমূলক বৈদেশিক নীতির দৃষ্টিভঙ্গি মার্কিন-ফিলিপিন্স জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছে, বিশেষ করে পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক পরিসর ও নতুন উদীয়মান বৈশ্বিক অগ্রাধিকারের প্রেক্ষিতে।
ট্রাম্পের বৈদেশিক নীতি পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে পথ খুঁজে নেওয়া
ট্রাম্প প্রশাসনের প্রাথমিক বৈদেশিক নীতির পদক্ষেপ - যেমন পানামা খাল ও গ্রিনল্যান্ড সম্পর্কে সম্প্রসারণবাদী বক্তব্য - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থ রক্ষার উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার ইঙ্গিত দেয়। চিন পানামা খাল-সহ গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক প্রাচীরগুলিতে তার ক্রমবর্ধমান উপস্থিতিকে কাজে লাগাতে পারে… এ হেন উদ্বেগ বিশ্বব্যাপী সামুদ্রিক পরিসরগুলিতে ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের মধ্যে বৃহত্তর প্রতিযোগিতাকে তুলে ধরে।
মূলত তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-এর (বিআরআই) মাধ্যমে চিন একই সঙ্গে দক্ষিণ আমেরিকায় তার অর্থনৈতিক উপস্থিতি আরও গভীর করছে। পানামা বিআরআই-এর একটি সদস্য। উত্তরে চিন উত্তর সমুদ্রপথে তার ক্রমবর্ধমান সামুদ্রিক উপস্থিতিকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য নিজেকে ‘আর্কটিকের কাছাকাছি’ একটি দেশ বলে উপস্থাপন করছে। যে ঘটনাপ্রবাহ ওয়াশিংটনের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে তা হল, চিন অবশেষে আটলান্টিক মহাসাগরকে আর্কটিকের সঙ্গে সংযুক্তকারী জিআইইউকে গ্যাপে গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও
যুক্তরাজ্যের মধ্য দিয়ে নিজের সামরিক জাহাজ পাঠিয়েছে।
ট্রাম্পের নীতির গতিপথ পরিবর্তিত হলেও ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের মতো অঞ্চলে সামরিক সংযমের উপর জোর দেওয়া হয়েছে এবং ট্রাম্প প্রশাসনের মনোযোগ এখনও চিনকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থের জন্য একটি কেন্দ্রীয় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে।
তা সত্ত্বেও, ট্রাম্প প্রশাসন পানামাকে বেজিংয়ের বিআরআই থেকে বেরিয়ে আসতে রাজি করাতে সক্ষম হয়েছে। তবুও ওয়াশিংটন তার নিকটবর্তী প্রতিবেশ অঞ্চলে বেজিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাব রোধ করার জন্য একটি সামগ্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে কি না, তা সময়ই বলবে।
তবে ম্যানিলায় উদ্বেগ স্পষ্ট যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্ভাব্য ভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদের পথে হাঁটবে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে, বিশেষ করে ম্যানিলার সঙ্গে তার জোটের নিরিখে তার প্রতিশ্রুতি বজায় রাখবে না। এখন প্রশ্ন হল এই যে, বিশ্ব জুড়ে অন্যান্য জোটের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা করেছে, ঠিক সে ভাবেই আমেরিকা ইন্দো-প্যাসিফিক প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসবে কি না।
ট্রাম্পের বিদেশনীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলি অবশ্যই এই অঞ্চলে মার্কিন ভূমিকাকে প্রভাবিত করতে পারে, পাশাপাশি ম্যানিলার নিরাপত্তার উপরও তার কঠোর প্রভাব পড়বে।
ট্রাম্পের বিদেশনীতিতে দু’টি বিপরীতমুখী বিষয় উঠে এসেছে - একটি হল বিশ্বব্যাপী মার্কিন সামরিক সম্পৃক্ততা হ্রাসের পক্ষে এবং অন্যটি হল চিনের সঙ্গে সংঘাতে আরও বেশি করে মনোযোগ দেওয়া। এই বিষয়গুলি পারস্পরিক ভাবে একচেটিয়া নয় বরং প্রকৃতিগত ভাবে পরিপূরকই বটে, যা এই বাস্তবতাই দর্শায় যে, চিন কেবল সক্ষমই নয়, বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ও বৈশ্বিক অবস্থানকে উল্লেখযোগ্য ভাবে চ্যালেঞ্জ করার মতো রাজনৈতিক সদিচ্ছাও চিনের রয়েছে। একই সঙ্গে এই দ্বন্দ্ব ফিলিপিন্সের জন্য সমান সুযোগ ও চ্যালেঞ্জও উপস্থাপন করে। ট্রাম্পের বিদেশনীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলি অবশ্যই এই অঞ্চলে মার্কিন ভূমিকাকে প্রভাবিত করতে পারে, পাশাপাশি ম্যানিলার নিরাপত্তার উপরও তার কঠোর প্রভাব পড়বে।
পরিবর্তনশীল ক্ষমতার গতিশীলতা
একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক অংশীদার হিসেবে ফিলিপিন্স ওয়াশিংটনের বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে উচ্চ ঝুঁকির কারণে এ কথা স্পষ্ট যে, বেজিংয়ের সঙ্গে আলোচনার জন্য কেবল মার্কিন কূটনৈতিক শক্তির চেয়েও বেশি কিছুর প্রয়োজন হবে। একই সঙ্গে ম্যানিলা এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন যে, ট্রাম্প এমন ভাবে প্রতিযোগী শক্তিগুলির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করেন, যাতে প্রায়শই মিত্রদের স্বার্থ এড়িয়ে যাওয়া হয়… যেমনটা উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হোক বা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ইউক্রেন নিয়ে সম্ভাব্য চুক্তির ক্ষেত্রে লক্ষ করা গিয়েছে।
এই উদ্বেগগুলি যুক্তিসঙ্গত হলেও ট্রাম্প শক্তি ও আধিপত্যের অবস্থান থেকে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে চিন দক্ষিণ ও পূর্ব চিন সাগরে তার উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি ও প্রসার এবং তার সুবিশাল আর্থিক প্রভাবের মাধ্যমে ক্ষমতার ভারসাম্যকে বদল করতে সক্ষম হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মার্কিন নির্বাচনের আগেও, চিন পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলিতে তার সামুদ্রিক সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। এই ক্ষেত্রে, ট্রাম্পের জন্য শক্তিশালী অবস্থান থেকে আলোচনা করা আরও কঠিন হবে। কারণ বেজিং এই অঞ্চলে তার অবস্থান থেকে পিছু হঠবে না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ফিলিপিন্সের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা আলোচনায় ম্যানিলার কণ্ঠস্বর ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
এই আলোকে ওয়াশিংটনের আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গিতে তার ইন্দো-প্যাসিফিক মিত্র ও অংশীদারদের গুরুত্ব আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের প্রশাসনের অ-শ্রেণিবদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলেও এ কথা স্বীকার করা নেওয়া হয়েছে। তবে তার নিকটবর্তী অঞ্চলে কেন্দ্রীয় ভূমিকা নেওয়ার বদলে ওয়াশিংটন সম্ভবত চিনের আঞ্চলিক আধিপত্যকে সীমাবদ্ধ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে আরও সুনির্বাচিত সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করবে। এমনটা করা সম্ভব হবে মূল অংশীদারদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মতো সমমনস্ক আঞ্চলিক শক্তিগুলিকে সমুদ্র অঞ্চলে চিনের কার্যকলাপকে ভারসাম্যপূর্ণ করে তোলা ও তা নিয়ন্ত্রণে আরও জোরালো ভূমিকা গ্রহণ করতে বাধ্য করার মাধ্যমে। ট্রাম্পের সেক্রেটারি অফ ডিফেন্স পিট হেগসেথ যেমন উল্লেখ করেছেন, ‘আমরা যুদ্ধ করতে চাই না, বরং যুদ্ধ নিবৃত্ত করতে চাই।’ এই প্রেক্ষাপটে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ফিলিপিন্সের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা আলোচনায় ম্যানিলার কণ্ঠস্বর ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
বহু-মেরুকৃত বিশ্ব ব্যবস্থায় ফিলিপিন্সের ভূমিকা
প্রেসিডেন্ট মার্কোস জুনিয়রের অধীনে ফিলিপিন্স তার ইইজেড সুরক্ষিত করা এবং তার জোটগুলিকে শক্তিশালী করার জন্য দৃঢ় সংকল্প দর্শিয়েছে। মূল আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব বজায় রেখে ম্যানিলা ক্রমবর্ধমান জটিল নিরাপত্তা পরিবেশে পথ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করছে। সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিওর সাম্প্রতিক মন্তব্য তুলে ধরেছে যে, মার্কিন-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে বেজিং ফিলিপিন্সের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করবে কি না তার উপর। সর্বোপরি, তিনি ফিলিপিন্সের প্রতি ওয়াশিংটনের সুদৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এই প্রতিশ্রুতির আওতায় ওয়াশিংটন সম্ভবত সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সামুদ্রিক উপস্থিতি অভিযানের মাধ্যমে ফিলিপিন্সের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে।
তবুও, ওয়াশিংটনের লেনদেনমূলক বৈদেশিক নীতি পদ্ধতি বারংবার আশ্বাস প্রদান করার পাশাপাশি ফিলিপিন্সের জন্য একটি সতর্কতামূলক বার্তা বহন করে। এটি ফিলিপিন্সের কাছ থেকে সতর্কতার দাবি রাখে, বিশেষ করে তার নিরাপত্তা স্বার্থ নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে। ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত বৈদেশিক নীতির ধরন অনুসারে ম্যানিলাকে বহু-সামঞ্জস্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখতে হবে, অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এই কৌশলটি ফিলিপিন্সকে সম্ভাব্যতা এবং মার্কিন নীতিতে পরিবর্তন থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে যা বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জগুলির বিবর্তন থেকে উদ্ভূত হতে পারে।
ফিলিপিন্সের লক্ষ্য চিনের আগ্রাসী দাবির প্রতি আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করা এবং নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার এক গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক হিসেবে নিজের অবস্থান জোরদার করা।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, ফিলিপিন্স বহুপাক্ষিক কূটনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছে। দেশটি ২০২৭-২০২৮ মেয়াদের জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) অস্থায়ী সদস্যপদ অর্জনের চেষ্টা করছে। এটি ম্যানিলাকে আঞ্চলিক বিরোধ, বিশেষ করে দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের ভূখণ্ড সংক্রান্ত দাবি সমাধানের জন্য একটি মঞ্চ প্রদান করবে। চিনকে লক্ষ্য করে যে কোনও প্রস্তাব বেজিং কর্তৃক ভেটো পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও এই ধরনের প্রচেষ্টার প্রতীকী মূল্য অস্বীকার করা যাবে না। ফিলিপিন্সের লক্ষ্য চিনের আগ্রাসী দাবির প্রতি আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করা এবং নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার এক গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক হিসেবে নিজের অবস্থান জোরদার করা।
ফিলিপিন্সের অবশ্যই সক্রিয় থাকতে হবে
আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক কূটনীতিতে ফিলিপিন্স নিজেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে তুলে ধরার পাশাপাশি দেশটিকে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কেও সচেতন থাকতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার জোট গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন প্রদান করলেও পরিস্থিতির দাবি অনুসারে ম্যানিলাকে স্বাধীন ভাবে কাজ করার জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে, যার ফলে দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অংশীদারিত্বের প্রয়োজন হতে পারে। ফিলিপিন্সকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতার বিষয়টিকেও অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং তার সামুদ্রিক সক্ষমতা জোরদার করতে হবে।
পরিবর্তনশীল জোট ও অপ্রত্যাশিত বৈশ্বিক রাজনীতির এই বিশ্বে ফিলিপিন্স আত্মতুষ্টিতে ভুগতে পারে না। দেশটিকে তার সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত করার জন্য সতর্ক, নমনীয় ও সক্রিয় থাকতে হবে, যাতে ফিলিপিন্স স্থিতিস্থাপকতা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জটিলতাগুলি মোকাবিলা করতে পারে।
জেনেভিভ ডনেলন-মে এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউট এবং এশিয়া সোসাইটি অস্ট্রেলিয়ার রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট।
ডন ম্যাকলেন গিল ফিলিপিন্সভিত্তিক ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও লেখক এবং দে লা সালে ইউনিভার্সিটির (ডিএলএসইউ) ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধ্যাপক।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Genevieve Donnellon-May is a research associate at the Asia Society Policy Instituteand Asia Society Australia. ...
Read More +Don McLain Gill is a Philippines-based geopolitical analyst author and lecturer at the Department of International Studies De La Salle University (DLSU). ...
Read More +