Published on May 02, 2023 Updated 0 Hours ago

মালদ্বীপের অনুসৃত ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি এই বিষয়টি তুলে ধরে যে কীভাবে প্রেসিডেন্ট সোলি’‌র অধীনে মালদ্বীপের বিদেশনীতি বিকশিত হয়েছে

বিশ্বব্যাপী বিস্তারে মালদ্বীপের ভারসাম্য রক্ষা

বার্লিনে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলি যখন তাঁর জার্মান সমকক্ষ ফ্রাঙ্ক–ভাল্টের স্টেইনমায়ারের সঙ্গে বৈঠক করছেন,, সেই সময় ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের বিষয়ে মালদ্বীপের বিদেশমন্ত্রকের ঘোষণা দ্বীপপুঞ্জ–রাষ্ট্রটির বৈশ্বিক পৌঁছের ক্ষেত্রে নতুন ‌মাত্রা যোগ করেছে। বর্তমান সরকার ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই পৌঁছ প্রসারিত হচ্ছে। তা করতে গিয়ে সোলির নেতৃত্ব নির্দ্বিধায় এবং অকপটভাবে ‘‌ইন্ডিয়া ফার্স্ট’‌ নীতিতে অটল থেকেছে, কিন্তু চিন–সহ বিদ্যমান বা নতুন সম্পর্ককে আঘাত না–করে। বাস্তবে একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ও সামগ্রিক ইতিবাচক ফলাফল–সহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাঁর দেশের ক্রমবর্ধমান অভিযানের জন্য সোলি ‘‌ইন্ডিয়া ফার্স্ট’‌-কে একটি বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত লঞ্চ প্যাড করেছেন।

বেজিংয়ে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের উপস্থিতিতে ঐতিহ্যগত প্রতিপক্ষ সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক জোড়া লাগার প্রায় সঙ্গেসঙ্গেই মালদ্বীপ ইরানের সঙ্গে আবার সম্পর্ক স্থাপন করেছে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে সোলি সরকার কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করেছিল। সেই দিনেই সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (ইউএই), বাহরাইন ও মিশরও তাই করেছিল। মালদ্বীপের আগের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিনের (২০১৩–১৮) প্রশাসন এই সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছিল।

মালদ্বীপ একটি মধ্যপন্থী ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে তার পরিচয় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে, যেখানে ভূ–রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার বাইরে সম্প্রদায়গত বিভাজন কোনও বিচার্য বিষয় নয়।

সোলির নীরব বার্তা স্পষ্ট ছিল। একটি সুন্নি ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে মালদ্বীপ সৌদি আরবকে ইসলামিক উলেমাদের পথপ্রদর্শক তারকা হিসেবে দেখে থাকে;‌ কিন্তু শিয়া ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করে মালদ্বীপ একটি মধ্যপন্থী ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে তার পরিচয় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে, যেখানে ভূ–রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার বাইরে সম্প্রদায়গত বিভাজন কোনও বিচার্য বিষয় নয়।

বার্লিনে মালদ্বীপের নেতা কোভিড–প্ররোচিত তিন বছরের বিরতির পরে ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিসমাস বোর্সে (আইটিবি) পরিদর্শন করেছিলেন নিজের দেশকে একটি পর্যটন গন্তব্য হিসাবে বাজারজাত করার জন্য। পর্যটন ক্ষেত্রটি দেশের অর্থনীতিতে একক বৃহত্তম অবদানকারী, এবং বিশ্বব্যাপী লকডাউনের মাত্র ছয় মাস পরে সোলি সরকার দেশটিকে উন্মুক্ত করে দিয়ে একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিল। সেই সময় বাকি বিশ্ব এর কাছাকাছি কিছু করতেও ভয় পেয়েছিল।

সেই সঙ্কটময় পর্যায়ে, যা মালদ্বীপের অর্থনীতির উপর বিধ্বংসী আঘাত হেনেছিল, ভারত থেকে ‘বাবল ট্যুরিজম’ ধারণাটি পার্থক্য তৈরি করে দিয়েছিল। সরকারের প্রচেষ্টা নিশ্চিত করেছিল যাতে পর্যটকেরা অতিমারিতে আক্রান্ত না হন। এটি ইউরোপ ও অন্যত্র থেকে তুলনামূলকভাবে ধনী পর্যটকদের মালদ্বীপে ভ্রমণ করতে উৎসাহিত করেছিল। সেই সময় যখন বিশ্বের বেশিরভাগ অংশে অন্যান্য পর্যটন গন্তব্য বন্ধ ছিল।

বার্লিন মেলায় সোলি সৌদি পর্যটন মন্ত্রী আহমেদ আল–খতিবের সঙ্গে  পর্যটন প্রচার নিয়ে আলোচনা করেন। ঘটনাচক্রে সৌদি আরবের বাজেট এয়ারলাইন ফ্লাইনাস মালদ্বীপকে তার নতুন গন্তব্যের অন্তর্ভুক্ত করেছে। স্বাধীনভাবে সৌদি আরব রাজধানী মালের পুনরুদ্ধারকৃত শহরতলির হুলুমালে দ্বীপে ৪০০টি আবাসন ইউনিট নির্মাণে অর্থায়ন করছে। কারাবন্দী প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিনের পূর্ববর্তী জমানায় নির্মিত চিনের অর্থায়নে সিনামালে সমুদ্র সেতু দিয়ে হুলুমালে দ্বীপটি মালের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছিল।

সোলি–শহিদ জুটি

জার্মানির পথে সোলি থেমেছিলেন সার্বিয়ায় প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিকের সঙ্গে দেখা করতে। তিনি কাতারে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও  গুতেরেস, প্রেসিডেন্ট ডঃ মাহমুদ আব্বাস (প্যালেস্তাইন), ওয়েভেল রামকালাওয়ান (সেশেলস), ডঃ হোসে রামোস–হর্ট (তিমর–লেস্তে), ও ডঃ লাজারাস চাকওয়েরার (মালাউই) সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। প্রেসিডেন্ট সোলি তাঁর তিন দেশের সফরের সময় যে সব রাষ্ট্রনায়কের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তার সংমিশ্রণটিই বুঝিয়ে দেয় সোলির জমানায় মালদ্বীপের বৈদেশিক নীতি বিভিন্ন স্বার্থরক্ষায় ও উদ্বেগের মোকাবিলায় কীভাবে বিকশিত হয়েছে।

দোহাতে সোলির প্রধান ব্যস্ততা ছিল স্বল্পোন্নত দেশগুলির পঞ্চম রাষ্ট্রপুঞ্জ সম্মেলন (ইউএনসিএলডিসি) ঘিরে। একটি উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র (এসআইডিএস) হিসাবে মালদ্বীপের অভিজ্ঞতা থেকে কথা বলতে গিয়ে তিনি স্মরণ করেছিলেন কীভাবে দেশটি ‘‌স্বল্পোন্নত দেশ’‌ (এলডিসি) বিভাগ থেকে মধ্য আয়ের দেশে উত্তীর্ণ হওয়ার সময় কোনও ছাড় পায়নি। তিনি বলেন এলডিসি ও এসআইডিএস উভয়ই জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণতি ভোগ করেছে। সত্তরের দশকের শেষের দিক থেকে তাঁর পূর্বসূরিরা যে বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন তাও তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন।

ঘরের কাছাকাছি, সোলির বৈদেশিক নীতি প্রচারে কোভিড লকডাউনের আগে এবং পরে বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার ও বিদেশমন্ত্রীদের সফর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এইভাবে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেচ আক্কা মোহা সেনা পড়েই তেকো হুন সে মালেতে আমন্ত্রিত হন। এই ধরনের সফরের উচ্চবিন্দু তৈরি হতে শুরু করেছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দিয়ে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে সোলির জমানা শুরুর সময় আমন্ত্রিত একমাত্র বিশ্বনেতা ছিলেন মোদী। এর পরে মন্ত্রী জয়শঙ্কর একাধিক সফর করেছেন, এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মারিয়া দিদি–সহ অন্য ভিভিআইপি বা ভিআইপি’‌রা মালে থেকে দিল্লি সফর করেছেন। ২০২০ সালের অক্টোবরে তৎকালীন মার্কিন বিদেশসচিব মাইকেল  পম্পেওর স্বল্পকালীন মালে সফর ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শহিদও তাঁর কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে মালদ্বীপের বিদেশনীতিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। তিনি বার্লিনে ছোট জাতি–রাষ্ট্রগুলির অর্থনীতির উপর একটি সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময় তাঁদের বৈশ্বিক সমর্থনের প্রয়োজনের উপর জোর দিয়েছিলেন। তিন দেশের সফরে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আগে শহিদ জেনিভাতে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাউন্সিলে (ইউএনএইচআরসি) ভাষণ দেন, যেখানে মালদ্বীপ ২০২৫ সাল পর্যন্ত দুই–বছরের মেয়াদে ভোট দেওয়ার অধিকার–সহ ৪৭ সদস্যের একটি হিসাবে নির্বাচিত হয়। পরে তিনি নয়াদিল্লি সফর করেন, দক্ষিণ এশিয়ায় সিঙ্গাপুরের শাংরি–লা সংলাপের সমমর্যাদাপূর্ণ ‘‌রাইসিনা ডায়ালগ’‌–এ ভাষণ দেন, এবং ভারতের জয়শঙ্কর ও অন্যান্য দেশের তাঁর সমকক্ষদের সঙ্গে দেখা করেন।

‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ কেন?

এ কথা সত্য যে সোলি প্রশাসন তাঁর মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) ‘‌ইন্ডিয়া ফার্স্ট’‌ বিদেশনীতির দৃষ্টিভঙ্গি পুনঃনিশ্চিত করেছে। এই নীতিটি দলের প্রধান মোহাম্মদ নাশিদের সময়কার, যিনি ২০০৮ সালে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রকল্পের অধীনে নির্বাচিত দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। নাশিদের আগে প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইয়ুম, যিনি দীর্ঘ ৩০ বছর (১৯৭৮–২০০৮) দেশ শাসন করেছিলেন, তিনিও ভারতের দিকে ঝুঁকে থাকা একটি সরল বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করেছিলেন।

দুই দেশের ভৌগোলিক নৈকট্যের উপর ভিত্তি করে এই ধরনের একটি পথের অনুসরণ সম্পূর্ণরূপে বাস্তবতা দ্বারা নির্দেশিত হয়েছিল। মালদ্বীপের ক্ষেত্রে ভারত নিকটতম সম্পদশালী প্রতিবেশী, এবং প্রতিবেশী হিসাবে তার সেই মূল্য ভারত প্রথম প্রমাণ করেছিল ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) অপারেশন ক্যাকটাস (১৯৮৮)–এর মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার তামিল ভাড়াটেদের অভ্যুত্থান প্রয়াস ব্যর্থ করে দিয়ে। এর সঙ্গে মানবিক কার্যক্রমও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যেমন সুনামি পরবর্তী উদ্ধার, ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজ (২০০৪)। ভারত ২০১৪ সালে  বিশাল পরিমাণ পানীয় জল সরবরাহ করে দুটি ডিস্যালিনেশন কেন্দ্র বন্ধ করার ক্ষেত্রেও সহায়তা করেছিল, এবং কোভিডের সময় ওষুধ, খাদ্য ও তহবিল পাঠিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিল।

এর পাশাপাশি নয়াদিল্লি ‘হাই–ইমপ্যাক্ট প্রোজেক্টস’ প্রকল্পের অধীনে ব্যাপক সহায়তা প্রসারিত করেছে, বিশেষত যেখানে উন্নয়ন এখনও পৌঁছয়নি সেই দূরবর্তী দ্বীপগুলিতে ভৌত ও সামাজিক পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য। এর উল্লেখযোগ্য দিকটি ছিল নয়াদিল্লি কোন প্রকল্পগুলিকে অর্থায়ন করবে তা বেছে নেওয়ার পরিবর্তে তহবিলের পরিমাণটি নির্ধারণ করে মালদ্বীপের সরকারকে প্রকল্পগুলি বেছে নিতে দিয়েছিল।

ফের কার্যকরী ভারসাম্য

এই দৃষ্টিভঙ্গি ইয়ামিন শাসনের অধীনে মালদ্বীপে চিন যেভাবে উচ্চমূল্যের প্রকল্পে অর্থায়ন করেছিল তার থেকে ভিন্ন হতে পারে। তবুও, প্রত্যাশিত বিপরীতে, প্রেসিডেন্ট সোলি চিনের ফ্রন্টে প্রায় তাঁর পুরো মেয়াদ জুড়ে নীরবতা বজায় রেখে সেই ধরনের ভারসাম্য নিশ্চিত করেছেন যা তাঁর পূর্বসূরী ইয়ামিনের চিনপন্থী জমানায় দেখা যায়নি। শি জিনপিং তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর সোলি তাঁকে অভিনন্দন জানাতে সময় নষ্ট করেননি। তাঁর সরকার রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং অন্যভাবে চিনের ক্ষেত্রে সমস্ত সঠিক কাজ করেছে।

সোলি–শাহিদ জুটি বিগত চার–পাঁচ বছর ধরে বেশ অনায়াসে পুনরায় ভারসাম্য নিয়ে এসেছে। ফলস্বরূপ, মালদ্বীপের বিদেশনীতি গত দশকের যে কোনও সময়ের চেয়ে শক্তিশালী হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে সোলি প্রশাসন দলের প্রধান ও পার্লামেন্টের স্পিকার নাশিদের সঙ্গে একাত্ম হয়নি, যিনি ইয়ামিন শাসনের সময় মালদ্বীপকে ‘‌ঋণের ফাঁদে’‌ ঠেলে দেওয়ার জন্য চিনের সমালোচনা করছেন। প্রেসিডেন্ট নাশিদ (নভেম্বর ২০১১) দ্বারা উদ্বোধন করা মালের দূতাবাসের মাধ্যমে বিদেশমন্ত্রী শহিদ চিনের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রেখেছেন। এর বিপরীতে, ইয়ামিন সরকার চিনের কোনও প্রেসিডেন্টের প্রথম সফরের (সেপ্টেম্বর ২০১৪) কৃতিত্ব নেওয়ার পাশাপাশি মালদ্বীপকে শুধু ভারত নয়, বাকি গণতান্ত্রিক বিশ্বের থেকেও দূরে সরিয়ে দিয়েছিল।

সোলি–শহিদ জুটি বিগত চার–পাঁচ বছর ধরে বেশ অনায়াসে পুনরায় ভারসাম্য নিয়ে এসেছে। ফলস্বরূপ, মালদ্বীপের বিদেশনীতি গত দশকের যে কোনও সময়ের চেয়ে শক্তিশালী হয়েছে। ব্রিটিশ প্রটেক্টরেট থেকে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে এই ঘটনাটি মালদ্বীপের জাতীয়তাবাদ, সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতার জন্য অনেক কিছু তুলে ধরেছে। এই ঘটনাটিই বুঝিয়ে দেয় যে কেন ইয়ামিনের ‘‌ইন্ডিয়া আউট/ইন্ডিয়া মিলিটারি আউট’‌ প্রচারাভিযান সেই মানুষদের মনে দাগ কাটতে ব্যর্থ হয়েছে, যাঁরা বিগত ৪৫ বছরে একবার নয়, তিন তিনবার কেউ কিছু বলার আগেই ভারতীয় সৈন্যদের দেশে ফিরে যেতে দেখেছেন।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.