Published on Mar 21, 2023 Updated 0 Hours ago

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মলদ্বীপের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ক্রমাগত টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে চলেছে।

মলদ্বীপ: বৈদেশিক নীতিতে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির প্রভাব

নতুন বছর অনেকের জন্য নতুন আশার সূচনা করলেও মলদ্বীপবাসীরা বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং ক্ষমতাসীন ইব্রাহিম ‘ইবু’ সোলি-র জমানার ‘ব্যর্থ অর্থনীতি’র দাবি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন বলে মনে হচ্ছে। মলদ্বীপের রাজনৈতিক পরিসর নানা অসুবিধায় জর্জরিত। এক দিকে ক্ষমতাসীন মলদ্বীপের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এমডিপি) একটি অংশ, সোলি এবং তাঁর প্রাক্তন পরামর্শদাতা ও পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ ‘আন্নি’ নাশিদের মধ্যে বিভাজন বাড়িয়ে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে এবং অন্য দিকে যদি তাদের কারাবন্দি নেতা আবদুল্লা ইয়ামিনকে ভোটে দাঁড়াতে দেওয়া না হয়, তা হলে বিরোধী দল পিপিএম-পিএনসি জোট নির্বাচন মুলতুবি করার হুমকি দিচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট হিসাবে তাঁর মেয়াদে (২০১৩-২০১৮) একটি ‘রিসর্ট বরাদ্দ মামলা’য় আর্থিক জালিয়াতি এবং দুর্নীতির জন্য রাজধানী মালে-র ফৌজদারি আদালত তাঁকে ১১ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমানা করে, যদিও বাদীপক্ষ ১৯ বছরের কারাদণ্ড চেয়েছিল। ইয়ামিন শিবির যাচাইযোগ্য ব্যাঙ্ক নথির উপর ভিত্তি করে ক্রিসমাস দিবসে দেওয়া আদালতের রায়কে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। তিনটি টাকা তছরুপের মামলার মধ্যে এটি দ্বিতীয়, যেখানে আগের একটি মামলায় ট্রায়াল কোর্ট তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমানা করে, এবং উচ্চ আদালত তা বহাল রাখলেও সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে মুক্তি দিয়েছে। তৃতীয় মামলার বিচার এখন পুরোদমে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট মনোনয়নের আগে আপিল স্তরে তাঁর সম্ভাব্য খালাস মুলতুবি থাকায় ইয়ামিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।

প্রতিদ্বন্দ্বীদের পরাজিত করে পিপিএম-পিএনসি জোট সর্বসম্মত ভাবে ইয়ামিনকে অগস্ট মাসে তাদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে এবং তিনিও দ্বীপ ও সংলগ্ন প্রবালপ্রাচীর অঞ্চলে প্রচার শুরু করেন। প্রেসিডেন্ট মনোনয়নের আগে আপিল স্তরে তাঁর সম্ভাব্য খালাস মুলতুবি থাকায় ইয়ামিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন স্থগিত করার জন্য তাঁর শিবিরের হুমকি একটি বিকল্প প্রার্থী সম্পর্কে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকেও প্রতিফলিত করতে পারে। নির্বাচিত হলে প্রার্থী ইয়ামিনের স্বাধীনতা এবং দ্রুত ক্ষমতায় তাঁর প্রত্যাবর্তনকে সুনিশ্চিত করবে বলে আশা করা যায়। জোটের কাছে রমজান মাসের (২৩ মার্চ-২২ এপ্রিল) শেষ পর্যন্ত সময় রয়েছে, যে সময় নির্বাচনী প্রচার তুঙ্গে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ব্যবধান মেটানোর সময়

ক্ষমতাসীন এমডিপি-তে ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে রমজানের সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী মারিয়া দিদির মতো ভাল ভাবমূর্তিসম্পন্ন মানুষদের সঙ্গে ব্যবধান দূরীকরণের সময়সীমা শেষ হবে। কারণ তাঁরা ‘সোলি এবং নাশিদকে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দেখতে চান না’ এবং স্থায়ী ভাঙনের সূচনা করতে চান না। এর নেপথ্যে যুক্তি হল, প্রাথমিক পর্যায়ে যিনিই জয়ী হোন না কেন, দলটিকে ক্ষমতা ধরে রাখতে গেলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে, তা ইয়ামিন ময়দানে থাকুন বা না থাকুন।

এর কারণও হাতের কাছেই রয়েছে। এমডিপি-র ভোটভিত্তিতে স্থায়ী বিভাজন ঘটলে এবং ইয়ামিন ভোটে না-থাকলে, তৃতীয় পক্ষের প্রার্থীরা প্রথম রাউন্ডে অপ্রত্যাশিত উপায়ে ‘ভাসমান ভোট’ বিভক্ত করে ময়দানে নেমে পড়তে পারেন। ইতিমধ্যেই সদ্যোজাত মলদ্বীপ ন্যাশনাল পার্টি (এমএনপি) দলের প্রতিষ্ঠাতা, এবং ইয়ামিনের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, বর্তমানে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কচ্যুত কর্নেল মোহাম্মদ নাজিম (অবসরপ্রাপ্ত)-কে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে। জোটনিরপেক্ষ মলডিভিয়ান ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স-এর (এমডিএ) প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ সিয়াম মহাম্মদ, যিনি ‘সান’ সিয়াম নামে পরিচিত, তিনিও প্রেসিডেন্ট পদের উপর নজর রাখছেন।

সকলের চোখ ছিল ১৪ জানুয়ারি জামহুরি পার্টির (জেপি) কংগ্রেসের দিকে। জামহুরি পার্টি দলের মধ্যে প্রাথমিক নির্বাচনের পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেপি ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য চার-দলীয় এমডিপি জোটের একটি অংশ ছিল, যেটিতে সোলি একটি ঐতিহাসিক প্রথম পর্যায়ের রায়ে ক্ষমতাসীন ইয়ামিনের বিরুদ্ধে জয় লাভ করেন। ২০০৮ এবং ২০১৩ সালে জেপির প্রতিষ্ঠাতা গাসিম ইব্রাহিম যথাক্রমে সম্মানজনক ১৬ শতাংশ এবং ২৫ শতাংশ ‘হস্তান্তরযোগ্য ভোট শেয়ার’ করেন, যা এমডিপি-এর নাশিদ এবং পিপিএম-এর ইয়ামিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের বিজয়ে অবদান রেখেছিল। বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে জেপি দলের কেউ কেউ মনে করছেন গাসিমকে প্রার্থী করে এবং ‘আমাদের সুযোগ দিন’ জাতীয় স্লোগানে তারা প্রেসিডেন্ট পদে জিততে পারে।

ঋণের ফাঁদ এবং ইন্ডিয়া আউট

সোলি প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন বিগত চার বছর ধরে এমডিপি প্রধান হিসাবে নাশিদ ইয়ামিন প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ‘হোয়াইট এলিফ্যান্ট’ প্রকল্পে অর্থায়নের  কারণে চিনকে ‘ঋণ ফাঁদ’-এর অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। বেশিরভাগ অংশে সোলি তাঁর দলের ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ নীতি পুনর্ব্যক্ত করার সময়ও চিনের ক্ষেত্রে নীরবতা বজায় রেখেছেন, যা মূলত নাশিদ প্রেসিডেন্ট থাকার সময় প্রণীত হয়েছিল।

জেপি ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য চার-দলীয় এমডিপি জোটের একটি অংশ ছিল, যেটিতে সোলি একটি ঐতিহাসিক প্রথম পর্যায়ের রায়ে ক্ষমতাসীন ইয়ামিনের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন।

এর বিপরীতে কোনও পূর্বাভাস ছাড়াই ইয়ামিন একটি ‘ইন্ডিয়া আউট / ইন্ডিয়া মিলিটারি আউট’ অভিযান চালু করেছেন। তাঁর সাম্প্রতিক আদালতের রায়ের প্রাক্কালে তিনি তাঁর ভারত-বিরোধী বক্তব্যকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন, সম্ভবত প্রথম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম তুলে দাবি করেছিলেন যে, সোলি সরকার ভারতকে খুশি করার জন্য তাঁকে কারারুদ্ধ করতে চাইছিল। ইয়ামিনের একজন সহযোগী, প্রাক্তন পার্লামেন্ট সদস্য আব্বাস আলি রিজা মালেতে ভারতীয় হাইকমিশনে অগ্নিসংযোগের ঘটনার উস্কানিতে জড়িত থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

এই পথে চলতে থাকলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কিয়দংশে ভারত ও চিন সংশ্লিষ্ট একটি ‘প্রক্সি যুদ্ধ’-এ পরিণত হতে দেখা যেতে পারে। বৈদেশিক নীতির বিষয়গুলি যা-ই থাকুক না কেন, ক্ষমতায় নির্বাচিত হলে বর্তমান প্রতিযোগীরা তাঁদের বর্তমান অবস্থানেই আটকা পড়তে পারেন। ব্যাপারটি এত দূর গড়ায় যে, প্রেসিডেন্ট সোলি-কে যখন একটি সংবাদ সম্মেলনে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তখন তিনি ঘোষণা করেছিলেন, তাঁর সহপ্রার্থী হিসাবে এক বছরের জন্য ইউএনজিএ সভাপতি হওয়া একমাত্র মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লা শহিদের নাম বলার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ভারতের তরফে কোনও চাপের সম্মুখীন হননি।

সোলি এবং নাশিদ প্রাথমিক পর্যায়ে কোনও ফাঁক রাখতে চান না। প্রেসিডেন্ট সোলি তাঁর নববর্ষের বার্তায় ‘শান্তি, সম্প্রীতি ও ঐক্য’র কথা বলেছেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে, অর্থনীতি কোভিড-পূর্ব স্তরে পুনর্বহাল হয়েছে, যখন অন্য দিকে নতুন বছরের দিনে কার্যকর হওয়া উচ্চতর জিএসটি এবং টিজিএসটি (পর্যটন জিএসটি) হার বৃদ্ধি এবং মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় নাশিদ জাতীয় এবং ব্যক্তিগত স্তরে ঘটা অর্থনৈতিক সঙ্কটে মনোনিবেশ করেছিলেন। বর্তমানে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে কর কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এমডিএ-র সিয়ামও সরকারের কাছে জনগণের ‘অর্থনৈতিক ধাক্কা প্রশমন’ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

নীতি ঘোষণার ঊর্ধ্বে উঠে সোলি ঘোষণা করেছেন, এমডিপি কেবল মাত্র তাঁকে প্রার্থী করেই প্রেসিডেন্ট পদ ধরে রাখতে সক্ষম। এর পাশাপাশি তিনি এ কথাও বলেন, কীভাবে নাশিদের সঙ্গে মতবিরোধ তাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল এবং কীভাবে তিনি তাঁর বর্তমান মেয়াদে পার্লামেন্টারি প্রকল্পে রূপান্তরের জন্য নাশিদের দাবিতে নতি স্বীকার করবেন না। নাশিদ প্রকাশ্যে বলেছেন যে, সোলি মাত্র ২০ শতাংশ ভোট পেতে পারেন। এর আগেও তিনি বলেছিলেন যে, এমডিপি কেবলমাত্র ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট পার্লামেন্টারি প্রকল্পের অধীনেই ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ব্যবস্থার অধীনে নয়। পিছু হঠে এবং তাঁর অ-এমডিপি সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করার জন্য নাশিদ আরও বলেছেন যে, তিনি ‘ইসলামি সরকার প্রতিষ্ঠা’র জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উভয়পক্ষই প্রাথমিক পর্যায়ের দৌড়ে এমডিপি-র সদস্যপদ নিয়ে লড়াই করেছে এবং নাশিদ ব্যক্তিগতভাবে অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে ৩৯০০০ জন ব্যক্তির নাম তালিকা থেকে ছাঁটাই করার অভিযোগ এনেছেন, যাঁরা প্রাথমিক স্তরে সোলিকে ভোট দেবেন না বলে মনে করা হয়েছিল। নাশিদ তাঁর প্রাক্তন পত্নী লায়লা আলি এবং ভাই ডক্টর আহমেদ নাশিদের উদাহরণ দর্শিয়ে বলেছেন যে, পার্টির অনেক প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের নাম ৫৭০০০-এর বেশি সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

নীতি ঘোষণার ঊর্ধ্বে উঠে সোলি ঘোষণা করেছেন যে, এমডিপি কেবল মাত্র তাঁকে প্রার্থী করেই প্রেসিডেন্ট পদ ধরে রাখতে সক্ষম। এর পাশাপাশি তিনি এ কথাও বলেন, কীভাবে নাশিদের সঙ্গে মতবিরোধ তাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল এবং কীভাবে তিনি তাঁর বর্তমান মেয়াদে পার্লামেন্টারি প্রকল্পে পরিবর্তন আনার নাশিদের দাবিতে নতি স্বীকার করবেন না।

সামগ্রিকভাবে, নাশিদের দাবির প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবং দলভিত্তিক বিশ্লেষণ করে সোলিপন্থী পার্টির চেয়ারম্যান ও সাংগঠনিক বিষয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী ফয়াজ ইসমাইল বলেছেন যে, এমডিপি রেজিস্ট্রিতে নির্বাচন কমিশনের রেকর্ডে অন্যান্য দলের ১৬০০০ ভোটারের নাম রয়েছে। এবং আরও ২৪০০০ ভোটার কোনও দলের সদস্য নন— যা মোট ভোটারের সংখ্যাকে ৯৪০০০ থেকে ৫৭০০০-এ সীমাবদ্ধ করেছে।

মলদ্বীপের গণতন্ত্র কি ঝুঁকির মুখে?

ভারত-চিন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রার্থী হিসাবে ইয়ামিনের সঙ্গে বা তাঁকে ছাড়া একটি পিপিএম-পিএনসি বিজয় ইঙ্গিত করে যে, নতুন সরকার তাঁদের ভারত-বিরোধী কর্মসূচিকেই পুনরুজ্জীবিত করবে এবং তাঁদের বর্তমান ‘ইন্ডিয়া আউট / ইন্ডিয়া মিলিটারি আউট’ প্রচারের ঊর্ধ্বে উঠে একটি নীতি তৈরি করবে। অন্য দিকে, সোলি এবং নাশিদের মধ্যে যে কেউ এমডিপি প্রাথমিক পর্যায়ে বিজয়ী হলে এবং তিনি যদি প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হন, তা হলে তারা চিনের প্রেক্ষিতে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখার পাশাপাশি ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ নীতিও চালিয়ে যাবে।

নির্বাচনী পরিপ্রেক্ষিতে ইয়ামিন যদি প্রার্থী হিসাবে ফিরে আসেন, তা হলে তাঁকে ২০১৮ সালের সম্মানজনক ৪২ শতাংশ ভোট শেয়ার এবং ৮ শতাংশের বেশি ভোট ধরে রাখতে হবে। তাঁর বিকল্প প্রার্থীর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। একই ভাবে এক জন এমডিপি প্রার্থীর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সফল হওয়ার জন্য তাঁর প্রাথমিক পর্যায়ে একটি বড় ব্যবধানে বিজয়ী হওয়া জরুরি। অন্যথায় দল এবং সম্ভবত দেশের গণতন্ত্রকে পেছনে ফেলে কেবল মাত্র অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সমাধানের জন্য পরাজিত ব্যক্তিকে স্বাধীন প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে উৎসাহিত করতে হবে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.