Published on Feb 04, 2024 Updated 0 Hours ago

ভারতে রূপান্তরকামীদের বিরুদ্ধে বৈষম্য মোকাবিলায় এসডিজি-র সঙ্গে সংযুক্ত অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

কাউকে পিছনে ফেলে না রাখা: ভারতের স্থিতিশীল উন্নয়নে রূপান্তরকামীদের অন্তর্ভুক্তি

স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য ২০৩০-এর কর্মসূচি বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করার উদ্দেশ্যে এবং সকলের জন্য আরও ন্যায়সঙ্গত ও স্থিতিশীল ভবিষ্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি সর্বাঙ্গীন কাঠামো প্রদান করে। এর ১৭টি সাস্টেনেবল  ডেভেলপমেন্ট গোলস বা স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) শুধু মাত্র পৃথিবী এবং তার জনগণ উভয়ের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনের উদ্দেশ্যে একটি নীলনকশাই প্রদান করা হয়নি, বরং একই সঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জ (ইউএন) সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য একটি স্পষ্ট আহ্বান জানানো হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হল আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অর্জন করা। এর অন্তর্নিহিত ভাবনা হল ‘লিভিং নোওয়ান বিহাইন্ড’ বা ‘কাউকে পিছনে ফেলে না রাখা’ (এলএনওবি) এই ভাবনাটি দরিদ্রতমদের সাহায্য করার ঊর্ধ্বে উঠে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কাঠামোর উপর ভিত্তি করে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং বিশ্বব্যাপী বৈষম্য হ্রাস করা লক্ষ্যে আসীন।

 

রূপান্তরকামী হল একটি আমব্রেলা টার্ম বা গোষ্ঠী-পরিচিতির পরিভাষা, যেটিকে ব্যবহার করে এমন ব্যক্তিদের একই অভিধায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়, যাঁদের লিঙ্গ পরিচয় জন্মের সময় উল্লিখিত লিঙ্গের চেয়ে আলাদা।

 

এই প্রবন্ধটিতে ভারতের স্থিতিশীল উন্নয়ন যাত্রায় রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের অবস্থা অন্বেষণ করা হয়েছে। ভারতে রূপান্তরকামীদের অধিকার বিশ্লেষণ করে এই সংক্ষিপ্ত নিবন্ধে দেখানো হয়েছে যে, এসডিজি কী ভাবে এই সম্প্রদায়ের জন্য অন্তর্ভুক্তি, সাম্য এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা প্রদানকারী একটি পরিবেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।

 

রূপান্তরকামী হল একটি আমব্রেলা টার্ম বা গোষ্ঠী-পরিচিতির পরিভাষা, যেটিকে ব্যবহার করে এমন ব্যক্তিদের একই অভিধায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়, যাঁদের লিঙ্গ পরিচয় জন্মের সময় উল্লিখিত লিঙ্গের চেয়ে আলাদা। দক্ষিণ এশীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে ভারত হিজড়াদের (তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের) সমৃদ্ধতম ইতিহাস বহন করেঅন্যান্য লিঙ্গ আনুঙ্গিক পরিচয়ের মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের শুধুমাত্র একটি অংশেরই প্রতিনিধিত্ব করে। এই সম্প্রদায়ের প্রমাণ বিভিন্ন মন্দিরের গায়ে খোদাই করা আছে এবং ধর্মীয় গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি মুঘল আমলেও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা রাজদরবারে মর্যাদাপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। যাই হোকএই সম্প্রদায়টি লিঙ্গ সম্পর্কে পশ্চিমী ধারণা স্থান করে নিতে পারেনি এবং ব্রিটিশ পনিবেশিকদের দ্বারা ১৮৭১ সালের ক্রিমিনাল ট্রাইবস অ্যাক্টের অধীনে অপরাধী হিসাবে এদের চিহ্নিত করা হয়েছিল। এটি রূপান্তরকামী সম্প্রদায়কে প্রান্তিক করে রাখার বিষয়টিকে প্রাতিষ্ঠানিক করেছে এবং এ পরিস্থিতি আজও অব্যাহত রয়েছে।

এই প্রান্তিকতার প্রকৃতি স্পষ্ট এবং রূপান্তরকামী সম্প্রদায় ধারাবাহিক ভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবাশিক্ষাআবাসন এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বাধার সম্মুখীন হ। তাঁদের দৈনন্দিন জীবন কলঙ্কবৈষম্য  হিংসা্র ব্যাপক প্রভাবের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার গভীরে প্রোথিত রয়েছে সামাজিক পক্ষপাতিত্ব এবং অমীমাংসিত প্রাতিষ্ঠানিক অপ্রতুলতা। ফলে তাঁর সমাজের মূল পরিসর ছেড়ে প্রান্তিক স্থানে নির্বাসিত হয়েছেন।

 

২০১১ সালের আদমসুমারি প্রথম বারের মতো লিঙ্গ শনাক্তকরণের জন্য পুরুষ ও মহিলার পাশাপাশি অন্যান্য’ বিভাগ চালু করেছিল। যাই হোক কথা উল্লেখ করা জরুরি যে, আদমসুমারিতে ট্রান্সজেন্ডার’ বা রূপান্তরকামী ব্যক্তি সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করা হয়নি। এই অন্যান্য’ শ্রেণিতে ৪,৮৭,৮০৩ জন মানুষ রয়েছে এবং রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের জন্য এই সংখ্যার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন কল্যাণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এই পরিসংখ্যান সঠিক না হওয়ার দরুন লিঙ্গ নাক্তকরণের বিষয়টি ত্রুটিপূর্ণই রয়ে গিয়েছে।

 

২০১৪ সালে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক এলএএলএসএ বা নালসা রায় একটি যুগান্তকারী মাইলফলকযা রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের জন্য লিঙ্গের স্ব-পরিচয় প্রদানের অধিকারকে নিশ্চিত করে, যেটির অবশ্য নিজস্ব কিছু প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে।

 

গত এক দশকে ভারত রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের অধিকার এবং আর্থ-সামাজিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি করেছে। ২০১৪ সালে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক এলএএলএসএ বা নালসা রায় একটি যুগান্তকারী মাইলফলকযা রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের জন্য লিঙ্গের স্ব-পরিচয় প্রদানের অধিকারকে নিশ্চিত করে, যেটির অবশ্য নিজস্ব কিছু প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। উপরন্তু, ২০১৮ সালে ৩৭৭ ধারাটির অপরাধমুক্তকরণ করা হয় এবং সম্মতিপূর্ণ সমকামী প্রাপ্তবয়স্কদের সম্পর্ককে বৈধতা দেওয়া হয়। এই আইনি পদক্ষেপগুলি ২০১৯ সালে রূপান্তরকামী ব্যক্তি (অধিকার সুরক্ষা) আইন প্রণয়নের দ্বারা পরিপূরক হয়ে ওঠে, যা ২০২০ সালে গৃহীত পরবর্তী নিয়মের সঙ্গে শিক্ষাস্বাস্থ্যসেবা এবং কর্মক্ষেত্র-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের সামগ্রিক কল্যাণের উন্নতির দিকে মনোযোগ দিয়ে রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের অধিকারকে স্পষ্ট ও সুরক্ষিত করে দেয়। এই সব কিছুই রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের জন্য ন্যাশনাল পোর্টাল চালু করা এবং তার পাশাপাশি বেশ কিছু কল্যাণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দিকে চালিত করে। তবে আইনটি নিজেই প্রবল রকমের বিরোধপূর্ণ। এর পাশাপাশি আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া একটি কলঙ্কজনক পদ্ধতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে আইনের বাস্তবায়নের পথকে কঠিন করে তুলেছে

 

এসডিজি-র সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ করে তুলে ভারত লিঙ্গ সমতাঅন্তর্ভুক্তি এবং মানবাধিকার সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি  সর্বোত্তম অনুশীলনের সম্পদ কাজে লাগাতে পারে। মানবাধিকার সংক্রান্ত সর্বজনীন ঘোষণা -  যা বিশ্বব্যাপী প্রত্যেক ব্যক্তির সমতা  মর্যাদার উপর জোর দেয় – নিজস্ব কিছু সংকল্প রয়েছে এবং যোগ্যকর্তা নীতিতে তার রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। এই কাঠামোগুলি সম্মিলিত ভাবে বিশ্বব্যাপী রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের অধিকার এবং কল্যাণ সুনিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। সুতরাং, আমরা বিবেচনা করতে পারি যে, এসডিজি-র মধ্যে ট্রান্স রাইটস বা রূপান্তরকামীদের অধিকার অন্তর্ভুক্ত করার ভিত্তিটি নিজেদের লক্ষ্য এবং আন্তর্জাতিক চুক্তির মধ্যে নিহিত।

এসডিজি ১-এ বহুমাত্রিক দারিদ্র্য দূর করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এবং অর্থনৈতিকআবাসন  কর্মসংস্থান কাঠামো থেকে পদ্ধতিগত ভাবে বহিষ্কৃত হওয়ার কারণে রূপান্তরকামী ব্যক্তিরা আরও বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। পরিবার এবং/অথবা সামাজিক সহায়তা শৃঙ্খল থেকে তাঁদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে এই বহিষ্কারের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

মানবাধিকার সংক্রান্ত সর্বজনীন ঘোষণা -  যা বিশ্বব্যাপী প্রত্যেক ব্যক্তির সমতা  মর্যাদার উপর জোর দেয় – নিজস্ব কিছু সংকল্প রয়েছে এবং যোগ্যকর্তা নীতিতে তার রূপরেখা দেওয়া হয়েছে।

 

এসডিজি -এ মূলত শিক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়েছে এবং তা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে তুলে ধরে, যা রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক সুযোগকে বাধা দান করে। ভারতে ২০১৮ সালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, বিস্ময়কর ভাবে ৯৬ শতাংশ রূপান্তরকামী ব্যক্তি কর্মসংস্থান বৈষম্যের সম্মুখীন হন; তাঁরা প্রায়ই কম বেতন বা যৌনকাজ ও ভিক্ষার মতো শোষণমূলক পেশার সঙ্গে নিযুক্ত হন এবং ৯২ শতাংশ মানুষই কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হ। এটি লিঙ্গ-বিচ্যুত শিশুদের প্রতি স্কুলগুলির অ-অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রকৃতির কারণে ঘটে থাকে। ‘অন্যান্য শ্রেণিভুক্ত শিশুদের মধ্যে ব্যাপক ড্রপআউটের হার লক্ষ করা যায় এবং তাদের উত্তীর্ণ হওয়ার নিম্ন হার এক উল্লেখযোগ্য শিক্ষাগত বৈষম্যকেই নির্দেশ করে। রূপান্তরকামীদের সাক্ষরতার ৫৬.১ শতাংশ হার জাতীয় গড় ৭৪.০৪ শতাংশের তুলনায় উল্লেখযোগ্য রকমের কম।

 

তবে আশ্চর্যজনক ভাবে এসডিজি ৫-এ স্পষ্টতই লিঙ্গ সমতার উপর জোর দেওয়া হলেও কোনও প্রচলিত লিঙ্গ-পরিচয় বেছে নিতে অনাগ্রহী ব্যক্তিদের পরিচয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। যাই হোকএসডিজি ৮ অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, গুণমানসম্পন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং নিরাপদ কর্মসংস্থানকে উন্নত করতে আগ্রহী, যা রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের মতো প্রান্তিক গোষ্ঠীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এসডিজি ১০-এ আবার বৈষম্য হ্রাস করার উপর মনোযোগ দেওয়ার পাশাপাশি বৈষম্য ছাড়াই অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিকঅর্থনৈতিক  রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তির উপর জোর দেওয়া হয়। তাইএই এসডিজি-কে রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের মতো প্রচলিত লিঙ্গ-পরিচয় বেছে নিতে অনাগ্রহী ব্যক্তিদের পরিচয়কে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এসডিজি-র ধারণার পরিসর বৃদ্ধি করা জরুরি।

ভারতের বেশ কিছু রাজ্য রূপান্তরকামীদের অধিকার রক্ষায় এগিয়ে রয়েছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ওড়িশা এই সম্প্রদায়ের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কল্যাণ বৃদ্ধির জন্য একটি নিবেদিত রূপান্তরকামী নীতির পথপ্রদর্শক। ২০২১ সালের্নাটক 

রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের জন্য  শতাংশ সংরক্ষণ চালু করার উদ্দেশ্যে নিয়োগের নিয়ম সংশোধন করে ইতিহাস গড়েছে। রাজ্যটি কল্যাণমূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করেছে এবং ৫৮ শতাংশ ড্রপআউটের হার এবং বৃত্তি প্রদানের মতো সমস্যাগুলি মোকাবিলা করেছে। এর পাশাপাশি তামিলনাড়ু রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের সর্বাধিক অনগ্রসর শ্রেণি বা মোস্ট ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস (এমবিসি) বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেএই পদক্ষেপ গোষ্ঠীটিকে ওবিসি-র সঙ্গে সমান্তরালে এনেছে এবং এই পদক্ষেপ তাঁদের সামাজিক  অর্থনৈতিক চাহিদাগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি তার মোকাবিলা করেছে

 

র্নাটক রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের জন্য ১ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করার উদ্দেশ্যে নিয়োগের নিয়ম সংশোধন করে ইতিহাস গড়েছে।

 

রূপান্তরকামীদের সমস্যা সমাধানের জন্য ভারতে আইন থাকা সত্ত্বেও ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক অনুশীলনের মূলে প্রোথিত গভীর সামাজিক কলঙ্কের কারণে চ্যালেঞ্জ অব্যাহতই রয়েছে, যা আমাদের সংবিধানে জায়গা করে নিয়েছে। তাই ঔপনিবেশিক যুগে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে বিদ্যমান বৈষম্যগুলির মোকাবিলায় বর্তমানে এসডিজি-র সঙ্গে সমন্বিত অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য একটি আন্তর্জাতিক নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করে এসডিজিগুলি অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি নির্মাণে নেতৃত্ব দেয়। এসডিজি ৫-এ লিঙ্গ সমতার উপর মনোযোগ দেওয়া হলেও স্পষ্টতই রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের কথা নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়নি এবং এই পরিচয়গুলি উপেক্ষা করা কাউকে পিছিয়ে না রাখার মতো মৌলিক নীতিরই বিরোধিতা করে। আমাদের অবশ্যই একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়নের পথ অন্বেষণ করতে হবে এবং বিবেচনা করতে হবে যে, এই লক্ষ্যগুলিকে কী ভাবে রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের জন্য ভারতের উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

 


শ্যারন সারা থাওয়ানে অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টরের (কলকাতা) এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.