Author : Abhishek Kumar

Published on Feb 07, 2023 Updated 0 Hours ago

জাপানের এনএসএস–এ কৌশলগত পরিবর্তন চিন ও কোরীয় উপদ্বীপের সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে

জাপানের এনএসএস এবং কোরীয় উপদ্বীপে এর প্রভাব

উত্তর কোরিয়ার লড়াইক্ষ্যাপা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং তাইওয়ানের কাছাকাছি অঞ্চলে চিনের সামরিক মহড়ার কারণে পূর্ব এশিয়ায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। সিওল যখন এর মোকাবিলা করার জন্য তার কূটনৈতিক ও সামরিক সক্ষমতা জোরদার করছে, তখন যা নজর কেড়েছে তা হল জাপানের প্রতিরক্ষা ব্যয়বৃদ্ধির প্রস্তাবিত পরিকল্পনা। জাপানের নতুন প্রতিরক্ষা পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ডোকডো দ্বীপপুঞ্জের উপর নতুন করে দাবি পেশ, যা দক্ষিণ কোরিয়াকে ক্ষুব্ধ করেছে। এই সংক্ষিপ্ত নিবন্ধটিতে আমরা জাপানের সংশোধিত নিরাপত্তা কৌশল এবং কীভাবে তা কোরীয় উপদ্বীপকে প্রভাবিত করেছে তা বিশ্লেষণ করব।

জাপানের নিরাপত্তা উদ্বেগ

যুদ্ধোত্তর জাপানের দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল একটি অর্থনৈতিক পাওয়ার হাউসে পরিণত হওয়ার দিকে, এবং জাপানের সংবিধানে অনুচ্ছেদ ৯ –এর মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা উদ্বেগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। যখন থেকে জাপান অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে, তখন থেকে এটি মূলত বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই), অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্স (ওডিএ) এবং সংস্কৃতি, খাদ্য, বাণিজ্য ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে কূটনীতির মাধ্যমে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত থেকেছে। উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, জাপান সীমান্তের কাছে চিনের ক্রমাগত দুঃসাহসিক অভিযান এবং তাইওয়ানের কাছে মহড়া, এবং নিজের নিরাপত্তার প্রয়োজনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভর করার জন্য ক্রমবর্ধমান সমালোচনা জাপানকে তার শান্তিবাদী পথ সংশোধন করতে বাধ্য করেছে। ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল (এনএসএস) প্রকাশ করে দেশটি নিরাপত্তা কৌশল জোরদার করার দীর্ঘকালের দাবি মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। একটি সাংবিধানিক সংশোধনী আনা পর্যন্ত না–এগোলেও নিরাপত্তা নথিগুলি ইঙ্গিত করে যে জাপান যুদ্ধ বর্জন করার শান্তিবাদী সংবিধান থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।

জাপানের নতুন প্রতিরক্ষা পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ডোকডো দ্বীপপুঞ্জের উপর নতুন করে দাবি পেশ, যা দক্ষিণ কোরিয়াকে ক্ষুব্ধ করেছে।

এনএসএস এবং কীভাবে তা পরিবর্তিত হয়েছে?

নতুন এনএসএস হল একটি সংশোধিত, শক্তিশালী জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল ও পরিপূরক প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা নথি। এনএসএস জাপানের নিরাপত্তা এবং তার জাতীয় স্বার্থ ও উদ্দেশ্যগুলির চালিকা নীতিসমূহ উপস্থাপিত করেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ–সহ এর চারপাশের নিরাপত্তা পরিবেশের ছবি তুলে ধরেছে, এবং তার নিকটবর্তী প্রতিবেশীদের তুলনায় জাপান কতটা অরক্ষিত তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান আশঙ্কার অনুভূতি প্রতিফলিত করেছে। এই কৌশল নথিটি প্রায় ১০ বছরের মধ্যে জাপানের প্রথম, এবং সামগ্রিকভাবে দ্বিতীয়, কৌশল নথি। ১০ বছর আগে জাপান যে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলির সম্মুখীন ছিল তার বেশিরভাগই ছিল চিন সম্পর্কিত, আর সেই সময় চিনের পদক্ষেপগুলিকে ‘‌ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগের বিষয় ’‌ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল। তুলনায় নতুন এনএসএস চাঁছাছোলা ভাষা ব্যবহার করেছে এবং চিনকে তার ‘‌সব থেকে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’‌ হিসাবে বর্ণনা করেছে। অতিরিক্তভাবে, এতে এমন বিধান রয়েছে যা দেশটিকে শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র–উৎক্ষেপণ ঘাঁটিতে সরাসরি পাল্টা আক্রমণ চালানোর ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম করবে। এটি  সম্ভাব্যভাবে জাপানকে উত্তর কোরিয়া ও চিনের ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির বিরুদ্ধে সরাসরি হামলা চালানোর অনুমতি দেবে।

ক্রমবর্ধমান বিপদ প্রশমিত করার জন্য জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা তাঁর মন্ত্রিসভাকে পর্যাপ্ত তহবিল জোগাড় করতে বলেছেন, যাতে প্রতিরক্ষা ব্যয় আগামী পাঁচ বছরে জিডিপি–র ২ শতাংশে উন্নীত করা যায়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী কিশিদা তাঁকে এবং অর্থমন্ত্রী শুনিচি সুজুকিকে ২০২৭ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা বাজেট জরুরিভাবে বাড়াতে বলেছেন। হামাদা আরও যোগ করেছেন যে কিশিদা চান প্রশাসন সরকারি ব্যয় ও রাজস্ব প্রবাহ পর্যালোচনা করুক এবং কীভাবে প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত অর্থায়ন সম্ভব হতে পারে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিক। প্রতিরক্ষা খাতে জাপানের সাধারণভাবে ব্যয় তার জিডিপির ১ শতাংশের বেশি নয়; তাই ২ শতাংশে প্রস্তাবিত বৃদ্ধির জন্য পরবর্তী পাঁচ বছরে প্রায় ২৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন হবে। তুলনায়, ২০২৩ সালের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবর্ষের জন্য জাপানের প্রতিরক্ষা বাজেট ছিল ৩৯.৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যাই হোক, জাপানের সংশোধিত পদক্ষেপগুলি তার প্রতিবেশে ক্ষোভ তৈরি করছে, এবং জাপানের নৃশংস সাম্রাজ্যবাদী অতীতের স্মৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করছে।

১০ বছর আগে জাপান যে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলির সম্মুখীন ছিল তার বেশিরভাগই ছিল চিন সম্পর্কিত, আর সেই সময় চিনের পদক্ষেপগুলিকে ‘‌আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগের বিষয়’‌ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল।

কোরিয়ার প্রতিক্রিয়া

নিঃসন্দেহে, এই আক্রমণাত্মক পরিবর্তনটি সমালোচিত হয়েছে চিনের তরফে যারা দৃঢ়ভাবে তাদেরকে ‘‌সব থেকে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’‌ হিসাবে জাপানের বর্ণনার বিরোধিতা করেছিল। সংশোধিত এনএসএস–এ পাল্টা হানার ক্ষমতা এবং ডোকডোর আঞ্চলিক দাবি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা কোরীয় উপদ্বীপ থেকে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সংশোধিত এনএসএস উত্তর কোরিয়াকে ‘‌জাপানের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আগের চেয়ে আরও গুরুতর এবং আসন্ন বিপদ’‌ হিসাবে বর্ণনা করেছে। জবাবে উত্তর কোরিয়ার বিদেশমন্ত্রক পাল্টা হানার ক্ষমতা অনুমোদনের জন্য জাপানের পদক্ষেপের নিন্দা করেছে, এবং বলেছে যে তারা টোকিওর নতুন নিরাপত্তা কৌশলের বিরুদ্ধে ‘‌প্রকৃত ব্যবস্থা’‌ নেবে। নথিটি ডোকডো দ্বীপপুঞ্জের, যাকে টোকিও তাকেশিমা বলে, তার উপর দাবির পুনর্নবীকরণ করে বলেছে তা চিরকালই জাপানের এলাকা। এই দাবি দক্ষিণ কোরিয়ায় হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার বিদেশমন্ত্রকের কর্মকর্তারা সংশোধিত এনএসএস–এর সমালোচনা করেছেন এবং প্রতিরক্ষা ইস্যুতে ঘনিষ্ঠ আলোচনার পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। তাঁরা কোরীয় উপদ্বীপের নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে এমন বিষয়গুলিতে অগ্রিম অনুমোদন নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। গ্যালাপ ইনস্টিটিউট–এর ডেটা দেখায় যে জাপানের এনএসএস নিয়ে প্রগতিশীল ও রক্ষণশীলদের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য রয়েছে। কোরিয়ার জাতীয়তাবাদী বামেরা জাপানের সংশোধিত এনএসএস–কে ঔপনিবেশিক সামরিকবাদ, কোরিয়ার সার্বভৌমত্বের জন্য বিপদ, এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে বর্তমান প্রশাসনের প্রচেষ্টার উপর আঘাত বলে মনে করেছেন। তবে রক্ষণশীলরা এই পরিবর্তন সম্পর্কে প্রগতিশীলদের চেয়ে শান্ত ছিলেন। ডোঙ্গা ইলবো সংবাদপত্রের কলাম একটি হালকা সতর্কবার্তা দিয়েছে: ‘‌জাপানি সাম্রাজ্যবাদকে জাগানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া কঠিন’‌। ইতিমধ্যে, অন্যান্য প্রধান রক্ষণশীল সংবাদপত্র, যেমন চোসুন ইলবো, এনএসএস–এর সমালোচনা করা থেকে বিরত থেকেছে।

উত্তর কোরিয়ার বিদেশমন্ত্রক পাল্টা হানার ক্ষমতা অনুমোদনের জন্য জাপানের পদক্ষেপের নিন্দা করেছে, এবং বলেছে যে তারা টোকিওর নতুন নিরাপত্তা কৌশলের বিরুদ্ধে ‘‌প্রকৃত ব্যবস্থা’‌ নেবে।

অন্যদিকে, প্রগতিশীল মিডিয়া হাউসগুলো জাপানবিরোধী মনোভাব নিয়ে সোচ্চার হয়েছে। যেমন, কিউংহ্যাং ডেইলি দাবি করেছে যে জাপানের প্রতিরক্ষা নীতিতে পরিবর্তন ‘‌একটি উদ্বেগের বিষয় হওয়া উচিত কারণ কিশিদা শান্তির সংবিধান বাতিল করেছেন এবং জাপানের একটি সামরিক শক্তি হওয়ার পথ খুলে দিয়েছেন’। এমবিসি–র সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে মুন জায়ে–ইন প্রশাসনের বিদেশ-বিষয়ক প্রাক্তন উপমন্ত্রী চই জং–গুন বলেছেন যে জাপান ‘‌কোরিয়ার ভূখণ্ডগত ও ঐতিহাসিক সত্তা অস্বীকার করে’‌। তিনি ইউন সুক–ইওল প্রশাসনের সমালোচনা করে বলেছেন যে এই কথিত কূটনৈতিক অপমানের দিকে নজর দেওয়ার পরিবর্তে ইওল আরওকে–মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র–জাপান সহযোগিতা নিয়ে উল্লাস করতে ব্যস্ত। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধানের  অনুচ্ছেদ ৩ কোরীয় উপদ্বীপের যে কোনও অংশকে সার্বভৌম অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করে। এই বিষয়ে  হানকিওরেহ সংবাদপত্রের একটি কলামে বলা হয়েছে, ‘‌‘‌জাপান তার ‘‌পাল্টা হানার ক্ষমতা’ মতবাদকে আনুষ্ঠানিক করেছে, যা কার্যত শত্রু ঘাঁটিতে পূর্বনির্ধারিত আক্রমণের ক্ষমতায়ন। সুতরাং, তাদের পূর্বনির্ধারিত আক্রমণের মাপকাঠির অধীনে কোরীয় উপদ্বীপে আঘাত করার জাপানিদের সিদ্ধান্তকে আমরা কীভাবে মেনে নিতে পারি?’‌’‌ ইতিমধ্যে, দক্ষিণ কোরিয়ার একাধিক নাগরিক দল জাপানি দূতাবাসের সামনে জাতীয় নিরাপত্তা নীতিতে পরিকল্পিত সংশোধনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের সামগ্রিক প্রতিক্রিয়া কথিত পাল্টা হানার সক্ষমতাকে স্বাগত জানিয়েছে, কারণ তা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় অবদান রাখতে পারে। তবে তারাও ডোকডো দাবিকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং একে ক্রমঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বাধা বলে অভিহিত করেছে।

উপসংহার

এনএসএস  শর্ত দেয় যে শত্রু ঘাঁটিতে আঘাত করা শুধু তখনই অনুমোদিত ‘‌যখন মনে হবে যে গাইডেড মিসাইল বা অন্য (‌অস্ত্র)‌ দিয়ে আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য অন্য কোনও উপায় নেই’‌, কারণ একে ‘‌আত্মরক্ষার উপায়’‌ হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার ক্রমাগত হুমকি শুধুমাত্র দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বলে জাপানের এই বিকল্প বিকাশের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। যাই হোক, ডোকডো/তাকেশিমা দ্বীপপুঞ্জ সংক্রান্ত উদ্বেগ আগুনে জ্বালানি যোগ করেছে। সব মিলিয়ে অবশ্য জাপানের প্রতিরক্ষা নীতির পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া দেখায় যে যদিও জাপানের এনএসএসের প্রতি মনোভাব বিভক্ত, জাপান–বিরোধী মনোভাব কিন্তু এখনও শক্তিশালী। তদুপরি জাপান, চিন ও দক্ষিণ কোরিয়া একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যার কারণে টানা তিন বছর ধরে শীর্ষ সম্মেলন করতে ব্যর্থ হয়েছে। জাপানের জন্য নতুন নিরাপত্তা কৌশল ইয়োশিদা মতবাদ থেকে একটি সুস্পষ্ট পরিবর্তন নিয়ে এলেও এটি কিন্তু একটি বিযুক্তিকরণ কৌশল নয়। এনএসএস একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো–প্যাসিফিকের পক্ষে, এবং তা স্থিতিস্থাপকতা এবং চিননির্ভরতা থেকে সরে অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যের জন্য বিনিয়োগ করে। এনএসএস নিশ্চিত করে যে জাপান কৌশলগতভাবে স্বায়ত্তশাসিত থাকবে, এবং সমমনস্ক দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতা করবে। উপরন্তু, ভবিষ্যতে সংশোধনবাদী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে কাজ করার সুযোগ খুঁজতে গিয়ে এটি চিনা আধিপত্যকে প্রতিহত করছে।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.