রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) তরফে চিহ্নিত সন্ত্রাসবাদী মাসুদ আজহার ও তার সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম) আবারও কেবল ভারতের বিরুদ্ধেই নয়, বরং তালিবান পরিচালিত ইসলামিক এমিরেট অফ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও তার বিদেশি ও নিরাপত্তামূলক নীতি কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাকিস্তানের অ-রাষ্ট্রীয় হাতিয়ার হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। জেইএম সন্ত্রাসবাদী ক্যাডারদের প্রতি দেওয়া আজহারের সাম্প্রতিক বক্তৃতায় তিনি কাশ্মীরে জিহাদ গড়ে তোলার জন্য তার লোকদের পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং ইজরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযানেরও ইঙ্গিত দেন। এর পরে বাবরি মসজিদকে ‘মুক্ত’ করা এবং রামের জন্মভূমি অযোধ্যার মন্দিরে হামলার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। এ কথা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট যে, জেইএম এখন ছায়ার আড়াল থেকে বেরিয়ে আসছে এবং বিশেষ করে ভারতের বিরুদ্ধে তুলনামূলক ভাবে প্রকাশ্যে কাজ করবে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের ‘দ্বৈত ভূমিকা’ নিয়ে সরব হলেও এবং মাসুদ আজহার ও জেইএম-এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানালেও পাকিস্তানের সামরিক সংস্থা তার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিজের সন্ত্রাসবাদী সহযোগীদের পুনরায় কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত যে বদলে ফেলবে, এমন সম্ভাবনা নিতান্তই কম।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের ‘দ্বৈত ভূমিকা’ নিয়ে সরব হলেও এবং মাসুদ আজহার ও জেইএম-এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানালেও পাকিস্তানের সামরিক সংস্থা তার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নিজের সন্ত্রাসবাদী সহযোগীদের পুনরায় কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত যে বদলে ফেলবে, এমন সম্ভাবনা নিতান্তই কম।
গত কয়েক বছর ধরে পাকিস্তান ক্রমাগতভাবে জামাত-উদ-দাওয়া-কে (জেইউডি) তার পছন্দের জিহাদি হাতিয়ার হিসাবে প্রতিস্থাপন করেছে। জেইউডি-র অনেক শীর্ষ নেতাকেই কারারুদ্ধ করা হয়েছিল (বেশির ভাগই টাকা তছরুপ এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের দোষে অভিযুক্ত ছিলেন), এবং তার ক্যাডারদের আপাতত অচল করে রাখা হয়েছিল। পাকিস্তান তার বিদেশি ও নিরাপত্তামূলক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য জিহাদি সন্ত্রাসবাদ ব্যবহারের নিরিখে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে জেইউডি দেশটির জন্য বোঝা হয়ে উঠেছিল। ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) ‘গ্রেলিস্টিং’-এর (ধূসর তালিকায় অন্তর্ভুক্তি) কারণে পাকিস্তানের উপরও অনেক চাপ ছিল, যার জন্য তারা আন্তর্জাতিক ভাবে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে প্রমাণযোগ্য পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছিল। ঠিক সেই সময়ই জেইউডি-কে জেইএম প্রতিস্থাপন করে। জেইএম-কে পাকিস্তানই পুনর্বাসন দেয় ও পুনরুজ্জীবিত করে তোলে। তখন থেকেই জঙ্গিদলটি নিঃশব্দে ও প্রকাশ্যে না এসেই নিজেদের কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে থাকে। জেইউডি-কে সম্পূর্ণ ভাবে সমীকরণের বাইরে না রাখলেও তখন থেকে জেইএম-এর উপর নির্ভরতা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
জেইএম ও মাসুদ আজহারকে ইউএনএসসি নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও এমনটা ঘটেছিল। এফএটিএফ আজহারকে তার বিরুদ্ধে চলা তদন্ত ও বিচারের নিরিখে পাকিস্তানের জন্য একটি আদর্শ উদাহরণ করে তুলেছে। ২৬/১১ হামলার প্রধান কুচক্রী মাসুদ আজহার ছাড়াও লস্কর-ই-তইবার সাজিদ মীর আর একটি উদাহরণ। পাকিস্তান সম্ভবত সাজিদ মীরকে বলিদান দেওয়া এবং আজহারকে বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এ কথা এই উদাহরণ থেকেই স্পষ্ট যখন ২০২২ সালে এশিয়া-প্যাসিফিক জয়েন্ট গ্রুপকে তার ২০১৮ সালের কর্ম পরিকল্পনার অগ্রগতি প্রতিবেদনে পাকিস্তান আবেদন করেছিল যে, তারা আজহারের অবস্থান সম্পর্কে আদৌ অবগতই ছিল না। পাকিস্তানের মতে, ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত রাষ্ট্রপুঞ্জ কর্তৃক সন্ত্রাসবাদী ঘোষিত না হওয়ার দরুন পাকিস্তান আজহারের গতিবিধির উপর নজর রাখেনি। মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক সন্ত্রাসবাদী হিসেবে ঘোষণা করার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে পাকিস্তানের তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি দাবি করেছিলেন যে, আজহার অত্যন্ত অসুস্থ এবং নিজের বাড়িতেই বন্দি রয়েছে।
আশ্চর্যজনক ভাবে, ইউএনএসসি-র তালিকাভুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আজহার দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং হঠাৎ করে ‘গায়েব’ হয়ে যান এবং তার পর থেকে আজহারের সন্ধান পাওয়া যায়নি! তা সত্ত্বেও পাকিস্তানিরা পরে এই দাবিও করেছিল যে, তারা ন’বছর যাবৎ অনুপস্থিতির দরুন ২০২১ সালের অগস্ট মাসে মাসুদ আজহারকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল এবং তার গ্রেফতারিতে সহযোগিতা চেয়ে আফগানিস্তানের তালিবান কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এফএটিএফ তার ধূসর তালিকা থেকে আজহারকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঠিক আগে পাকিস্তানিরা দাবি করেছিল যে, আজহার আফগানিস্তানে লুকিয়ে আছে। এর ফলে তালিবানরা রুষ্ট হয়, যারা শুধু মাত্র আজহারের উপস্থিতির কথা অস্বীকারই করেনি, বরং একই সঙ্গে এ কথাও বলেছিল যে, এই ধরনের ‘সন্ত্রাসবাদী সংগঠন’ পাকিস্তানের মাটিতেই ‘সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা’য় সক্রিয় থাকতে পারে।
এফএটিএফ আজহারকে তার বিরুদ্ধে চলা তদন্ত ও বিচারের নিরিখে পাকিস্তানের জন্য একটি আদর্শ উদাহরণ করে তুলেছে।
২০২২ সাল নাগাদ – যখন পাকিস্তান ও তালিবানের সম্পর্ক চরম পর্যায়ে পৌঁছয় - পাকিস্তানিরা আফগানদের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করে এবং মাসুদ আজহারকে তালিবানের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেছিল। আজহারের সর্বশেষ ভাষণে একই রকমের সুর শোনা গিয়েছিল, যখন আজহার তালিবান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানির সঙ্গে নিজের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল। হাক্কানি অবশ্য আজহারের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন এবং আজহারের দাবিকে অস্বীকার করেছেন। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে পাকিস্তানকে এফএটিএফ-এর ‘ধূসর তালিকা’ থেকে সরিয়ে নেওয়ার পরে জেইএম-এর উপর পাকিস্তানের আরোপিত কিছু বিধিনিষেধও তুলে নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে (জেঅ্যান্ডকে) হিংসার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মধ্যে আছে উচ্চ পর্যায়ের সামরিক কনভয়ের উপর অতর্কিত হামলা।
জেইএম কয়েক বছর ধরে পিপলস অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট (পিএএফএফ) এবং কাশ্মীর টাইগার্সের মতো সামনের সারির সংগঠনগুলির মাধ্যমে কাজ করলেও পাকিস্তানের গলা থেকে এফএটিএফ-এর রাশ আলগা করার পর থেকেই জেইএম-এর কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, জেইএম-এর সামনের সংগঠনগুলি সাধারণত সফট টার্গেট অর্থাৎ অভিবাসী শ্রমিক, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য, পর্যটক ও স্থানীয়দের সুনির্দিষ্ট হত্যার কাজ করে থাকে। সামরিক কনভয়গুলির উপর পেশাদার হামলা আসলে যুদ্ধবাজ জইশ ক্যাডারদের দ্বারা চালানো হয়েছিল বলে মনে করা হয়। তারা এই হামলার দায়ভার নিতে অস্বীকার করে, যাতে অভিযোগের রোষ যেন পাকিস্তানের উপর গিয়ে না পড়ে, ঠিক যেমনটা ২০১৯ সালে পুলওয়ামা আত্মঘাতী বোমা হামলার পরেও জইশ করেছিল। মাসুদ আজহারের সাম্প্রতিক বাগাড়ম্বর এই ইঙ্গিতই দেয় যে, জইশ এ বার থেকে কাশ্মীরে জিহাদি সন্ত্রাসবাদের মুখ্য রফতানিকারক হয়ে উঠবে, যা আবারও পাকিস্তানের বর্তমান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের অধীনে দেশটির সামরিক প্রতিষ্ঠার নীতিতে পরিণত হয়েছে।
বেশির ভাগ জায়গাতেই জেইএম গোপনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং মাঝে মাঝে প্রকাশ্যে আসতে দলটির সম্ভবত একটি সাংগঠনিক এবং নেতৃত্বের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আংশিক ভাবে জেইএম ক্যাডারদের উত্তেজিত করে তোলা, জ্বালাময়ী ও আবেগঘন বক্তৃতা দিয়ে আরও নতুন মুখকে আকৃষ্ট করা এবং যোদ্ধাদের মধ্যে আত্মঘাতী অভিযান গ্রহণের জন্য জিহাদি উত্সাহ জাগানোর কাজ করে থাকে। এমনটা করার আর একটি কারণ হল, সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলির তরফে সুরক্ষা প্রদানকারী ব্যক্তিদের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে কার্যকলাপের পরিসর বৃদ্ধি করা এবং কাজের জন্য বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসন অর্জন করা। এর পাশাপাশি, শত্রুর (ভারত) প্রতি এই ইঙ্গিতও যে, পাকিস্তানের কাছে জিহাদি বিকল্প রয়েছে এবং সন্ত্রাসবাদের আগুন জ্বালিয়ে রাখতে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য পাকিস্তানের কাছে জিহাদিদের অনিঃশেষ সরবরাহ রয়েছে।
মাসুদ আজহারের সাম্প্রতিক বাগাড়ম্বর এই ইঙ্গিতই দেয় যে, জইশ এ বার থেকে কাশ্মীরে জিহাদি সন্ত্রাসবাদের মুখ্য রফতানিকারক হয়ে উঠবে, যা আবারও পাকিস্তানের বর্তমান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের অধীনে দেশটির সামরিক প্রতিষ্ঠার নীতিতে পরিণত হয়েছে।
এ হেন ইঙ্গিতের উদ্দেশ্য ভারতের এই ধারণাই ভেঙে দেওয়া যে, পাকিস্তান আর প্রাসঙ্গিক নয় এবং কাশ্মীর মীমাংসার চেষ্টায় পাকিস্তানকে উপেক্ষা করা যাবে। মাসুদ আজহারের বক্তৃতা এবং বার্তা ভারতকে এ বিষয়েও অবহিত করার জন্যও যে, এ হেন পদক্ষেপগুলি কেবল মাত্র জম্মু ও কাশ্মীরে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং ভারত জুড়ে মুসলমানদের প্রকৃত ও কৃত্রিম ক্ষোভকে কাজে লাগানোর জন্য ব্যবহার করা হবে। পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী (যদিও এ নিয়ে কোনও প্রমাণ মেলেনি), এ ক্ষেত্রে ভারত পাকিস্তানের আন্তঃ-সিন্ধু অঞ্চল জুড়ে অব্যাহত বালোচ ও তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) অভ্যুত্থানকে সমর্থন করার মূল্য চোকাচ্ছে।
জইশের ব্যবহার শুধু ভারতেই সীমাবদ্ধ নয়। দেওবন্দি জিহাদি গোষ্ঠী হিসাবে জইশের শুধু মাত্র তালিবানের সঙ্গেই (আফগান ও পাকিস্তানি উভয়) ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে এমনটা নয়, বরং লস্কর-ই-জাংভি ও তার মতো অতি-উগ্রপন্থী সুন্নি দেওবন্দী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি এবং রাজনৈতিক ভিত্তি হিসেবে সিপাহ-ই-সাহাবা পাকিস্তান অথবা তার নতুন অবতার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত-এর (এএসডব্লিউজে) সঙ্গেও গভীর সম্পর্ক রয়েছে। পাকিস্তানের জন্য – যারা টিটিপি-র আঘাতকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে - জেইএম পঞ্জাবি তালিবানদের দূরে রাখতে এবং তাদেরকে ভারতের পূর্ব প্রান্তে চালিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এটি এমন একটি প্রচেষ্টা, যা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলে এলেও সম্ভবত এখন আরও বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে। এমনকি যদি পঞ্জাবি তালিবান এবং দেওবন্দি মোল্লারা পাকিস্তান রাষ্ট্রের পক্ষে পাশতুন তালিবানদের সঙ্গে মধ্যস্থতা করার জন্য কোনও অবস্থানে না থাকে, তা হলেও তাদের টিটিপি থেকে আলাদা করে দেখা হয় অন্তত পঞ্জাব ও সিন্ধুতে তাদের শৃঙ্খল এবং কার্যকরী ক্ষমতার ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখবে।
নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে তাদের নিয়মাবলি ও অবকাঠামোর পুনর্বিন্যাস করে আরও প্রাণঘাতী কৌশল তৈরি করতে হবে, যাতে জম্মু ও কাশ্মীর ও ভারতের অন্যান্য অংশে যুদ্ধবাজ সন্ত্রাসীদের মুখোশ খুলে দেওয়া যায়।
ভারত অবশ্য এ বিষয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগতে পারে না। এমইএ মুখপাত্রের বিবৃতিতে বিষয়টিকে ভাল ভাবে তুলে ধরা হলেও ভারতের উচিত এই বিষয়টিকে শুধু মাত্র এফএটিএফ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সামনেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশীদারদের সামনেও তুলে ধরা। একই সময়ে নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে তাদের নিয়মাবলি ও অবকাঠামোর পুনর্বিন্যাস করে আরও প্রাণঘাতী কৌশল তৈরি করতে হবে, যাতে জম্মু ও কাশ্মীর ও ভারতের অন্যান্য অংশে যুদ্ধবাজ সন্ত্রাসীদের মুখোশ খুলে দেওয়া যায়। বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহ - যেখানে জেইএম-এর মতো পাকিস্তানি জিহাদি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত দেওবন্দি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির পুনরুত্থান ঘটেছে এবং ডামাডোলের শাসনে দলটি পুনরায় সক্রিয় হচ্ছে – ভারতের সামনে উপস্থিত ঝুঁকির সমীকরণকে আরও জটিল করে তুলেছে। এবং ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডির সঙ্গে ঢাকার অন্তর্বর্তী প্রশাসনের আঁতাঁত গড়ে তোলার প্রেক্ষিতে এই সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে।
সুশান্ত সারিন অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.