-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
নেভিক (NavIC) ২.০ শুধুমাত্র ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতাই মজবুত করে না, বরং এটিকে বিশ্বব্যাপী স্যাটেলাইট নেভিগেশনে নেতৃস্থানীয় দেশগুলির সমকক্ষ করে তোলে
ইন্দো-প্যাসিফিক এবং তার বাইরে ভারতের প্রভাব বৃদ্ধির সময় মহাকাশ একটি শক্তিশালী স্প্রিংবোর্ড হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, যা তার আকাঙ্ক্ষাকে অকল্পনীয় গতিতে চালিত করেছে। এই আকাশ আরোহণের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে নেভিক (NavIC) , ভারতের স্বদেশী স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম। এটি ছোট আকারে হলেও ভারতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (জিপিএস), ইউরোপ (গ্যালিলিও), রাশিয়া (গ্লোনাস) এবং চিন (বেইদু)-এর পাশে রাখবে। নেভিক ২.০-এর আসন্ন আগমনের সাথে ভারত বিদ্যমান আঞ্চলিক নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম থেকে স্নাতক হয়ে বিশ্বব্যাপী নেভিগেশন আধিপত্য অর্জন করবে।
বিবেচনা: নেভিক ২.০
নেভিক বর্তমানে ১০টি উপগ্রহের (নয়টি উপগ্রহ আইআরএনএসএস-১এ থেকে আইআরএনএসএস-১আই এবং দশম উপগ্রহ হিসাবে সর্বশেষ উৎক্ষেপিত এনভিএস-০১) একটি নক্ষত্রমণ্ডল নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে মাত্র পাঁচটি বর্তমানে কার্যকর, এবং সেগুলি জিওস্টেশনারি ও জিওসিঙ্ক্রোনাস কক্ষপথে অবস্থান করছে। এই দেশীয় সিস্টেমটি ভারত এবং এর প্রতিবেশী অঞ্চলের মধ্যে সুনির্দিষ্ট, নির্ভরযোগ্য ও সুরক্ষিত পজিশনিং, নেভিগেশন ও টাইমিং (পিএনটি) পরিষেবা প্রদান করে, যা এর সীমানা থেকে ১,৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
নক্ষত্রমণ্ডলটি তৈরি করার উদ্দেশ্যে ছিল প্রয়োজনের সময়ে কৌশলগত সার্ভিসেস-এর স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করা, আর বেসামরিক পরিষেবাগুলি ছিল একই মহাকাশ ও স্থল বিভাগের পরিকাঠামো থেকে অতিরিক্ত প্রাপ্তি।
ইন্ডিয়ান রিজিওনাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেমের (আইআরএনএসএস) সূত্রপাত হয়েছিল ১৯৯৯-এ; কার্গিল সংঘর্ষের সময়ই একটি স্বাধীন স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেমের কৌশলগত প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রাথমিকভাবে, নক্ষত্রমণ্ডলটি তৈরি করার উদ্দেশ্য ছিল প্রয়োজনের সময়ে কৌশলগত সার্ভিসেস-এর স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করা, আর বেসামরিক পরিষেবাগুলি ছিল একই মহাকাশ ও স্থল বিভাগের পরিকাঠামো থেকে অতিরিক্ত প্রাপ্তি। এটি দুটি স্বতন্ত্র প্রয়োগ উপস্থাপন করে: বেসামরিক উদ্দেশ্যে স্ট্যান্ডার্ড পজিশনিং সার্ভিসেস (এসপিএস) এবং কৌশলগত কাজের জন্য সীমাবদ্ধ পরিষেবা (আরএস)। ১ জুলাই, ২০১৩-এ তার প্রথম উপগ্রহ, আইআরএনএসএস ১এ উৎক্ষেপণের পর থেকে ১২ এপ্রিল ২০১৮-এ শেষতম প্রথম প্রজন্মের স্যাটেলাইট আইআরএনএসএস-১আই উৎক্ষেপণ পর্যন্ত, নেভিক এল৫ ও এস ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড এবং ইজরায়েল থেকে আনা বিদেশী রুবিডিয়াম পারমাণবিক ঘড়ি নিয়ে কাজ করছে।
প্রথম প্রজন্মের সিরিজ সমন্বিত নক্ষত্রমণ্ডলটি সংকেত অনুপ্রবেশ, পরিসর, পরিকাঠামোগত ও নকশার সামঞ্জস্য, ব্যয়-কার্যকারিতা, আন্তঃকার্যযোগ্যতা এবং সুনির্দিষ্ট ঘড়ির স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে অন্তর্নিহিত ত্রুটির সম্মুখীন হয়েছিল — ২০২২ সালের মধ্যে সাতটি পারমাণবিক ঘড়ির মধ্যে তিনটি ব্যর্থ হয়েছিল। এই চ্যালেঞ্জগুলির কারণে প্রায় এক দশক ধরে নক্ষত্রপুঞ্জের আদর্শ স্তরের চেয়ে কম ব্যবহারের পর কোনও উল্লেখযোগ্যভাবে দৃশ্যমান পুনর্মূল্যায়ন ছাড়াই এনভিএস-০১ আনা হয়, যা অবশেষে একটি কৌশলগত পরিবর্তনের জন্ম দিয়েছে সম্পূর্ণ নতুন অবতারে নেভিক-কে তৈরি করা, টেকসই করা এবং প্রসারিত করার মাধ্যমে।
দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রথম উপগ্রহ এনভিএস-০১-এর সাম্প্রতিক উৎক্ষেপণ একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি চিহ্নিত করে৷ এটি আইআরএনএসএস-১জে নামেও পরিচিত এবং আইআরএনএসএস নক্ষত্রমণ্ডলের দশম উপগ্রহ। এটি নাগরিক মোবাইল ব্যবহারের জন্য এল১ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড প্রবর্তন করে, যা নেভিক সিস্টেমের সক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। এনভিএস-০১ স্যাটেলাইটে একটি অত্যাধুনিক পারমাণবিক ঘড়ি রয়েছে, যা পূর্ববর্তী ইজরায়েলি রুবিডিয়াম ঘড়ি প্রতিস্থাপন করার জন্য দেশীয়ভাবে তৈরি করা হয়েছে। উন্নত এনক্রিপশন সিস্টেমের পাশাপাশি এই উপগ্রহ নিশ্চিত করে উচ্চতর অভ্রান্ততা, উন্নত সংকেত স্থিতিস্থাপকতা, এবং শহুরে ঘিঞ্জি এলাকা বা জঙ্গলের মতো চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে সর্বোত্তম কর্মক্ষমতা।
কৌশলগত স্বনির্ভরতা
বর্তমানে, পরিষেবা এলাকায় খালি ন্যূনতম নেভিগেশন সংকেত প্রদানের জন্য নেভিক শুধুমাত্র পাঁচটি সম্পূর্ণরূপে সক্রিয় উপগ্রহ (সম্প্রতি চালু হওয়া এনভিএস-০১ সহ) নিয়ে কাজ করে। ২০২৪ সালে আইআরএনএসএস-১বি ও ১সি তাদের পরিকল্পিত জীবনকাল সম্পূর্ণ করতে পারে, যার ফলে তাদের অবিলম্বে প্রতিস্থাপনের জন্য উৎক্ষেপণের প্রয়োজন হবে। এইভাবে, প্রতিস্থাপন চক্রটি উপগ্রহগুলির নক্ষত্রমণ্ডলকে কোনওক্রমে বজায় রাখে যা মাঝারি অভ্রান্ততার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সংকেত প্রদান করে।
সামগ্রিকভাবে এ কথা বুঝতে হবে যে পরিকল্পিত ১১টি উপগ্রহ-সহ একটি সম্পূর্ণ কার্যকর নক্ষত্রমণ্ডল সীমিত পরিষেবা অঞ্চলের মধ্যে অভ্রান্ততা এবং নির্বিঘ্ন ডেটা প্রবাহকে উন্নত করলেও বৈশ্বিক প্রাপ্তিযোগ্যতা অর্জনের জন্য কভারেজ এলাকার সম্প্রসারণ সামরিক অভিযানের ক্ষেত্রে অনিবার্য।
নেভিক ২.০ প্রবর্তনের সারমর্ম হল বর্তমান কাজ চালিয়ে যাওয়ার অবস্থা থেকে একটি অত্যধিক কার্যকর বৈশ্বিক কৌশলগত পিএনটি সমাধানে উন্নীত হওয়া। অতএব, সামগ্রিকভাবে এ কথা বুঝতে হবে যে পরিকল্পিত ১১টি উপগ্রহ-সহ একটি সম্পূর্ণ কার্যকর নক্ষত্রমণ্ডল সীমিত পরিষেবা অঞ্চলের মধ্যে অভ্রান্ততা এবং নির্বিঘ্ন ডেটা প্রবাহকে উন্নত করলেও বৈশ্বিক প্রাপ্তিযোগ্যতা অর্জনের জন্য কভারেজ এলাকার সম্প্রসারণ সামরিক অভিযানের ক্ষেত্রে অনিবার্য। আজ না হলেও সম্ভবত অর্ধ দশকের মধ্যে আমরা আবারও আজকের মতোই সমস্যার জায়গায় ফের পৌঁছে যাব, যখন পুরনো ভুলভ্রান্তি সংশোধন করাটাই প্রধান কাজ হয়ে উঠবে। নক্ষত্রমণ্ডল বজায় রাখার প্রথাগত অনুশীলনকে শক্তিশালী করা, যা প্রাথমিকভাবে উৎক্ষেপণের সময় প্রযুক্তিগত প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে ছিল, অপারেশনাল সাফল্য অর্জনের জন্য বুদ্ধিমান কৌশল নাও হতে পারে।
ভারত একটি বৈশ্বিক শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হওয়ার সময় গ্রহ জুড়ে দেশীয় পিএনটি পরিষেবাগুলির সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা একটি বাধ্যতামূলক প্রয়োজন হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং আউট অফ এরিয়া কন্টিনজেন্সি অপারেশন (ওওএসি)-এর জন্য। একটি আঞ্চলিক নেভিগেশন সিস্টেম থেকে একটি বৈশ্বিক নক্ষত্রমণ্ডলে স্থানান্তরকে অবশ্যই পর্যায়ক্রমিক হতে হবে, এবং এর মধ্যে জিওসিঙ্ক্রোনাস অরবিট (জিএসও) বা জিওস্টেশনারি অরবিট (জিইও) এবং মিডিয়াম আর্থ অরবিটে (এমইও) দুটি স্যাটেলাইট ফ্লিটের একটি আদর্শ ও অনন্য সমজাতীয় মিশ্রণকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, যার লক্ষ হল প্রাথমিক এলাকায় অভ্রান্ততা জোরদার করা এবং সারা বিশ্ব জুড়ে নিশ্চিত সুরক্ষিত কৌশলগত পরিষেবা দেওয়া। ব্যাপক বৈশ্বিক নক্ষত্রপুঞ্জের স্থাপনা শুধুমাত্র প্রযুক্তিগতভাবে চ্যালেঞ্জিং নয়, তা একত্রিত করতে কয়েক বছর সময় লাগবে। ইতিমধ্যে আমাদের ব্লুপ্রিন্টগুলি ঠিক জায়গায় রাখা দরকার।
জিএসও ও এমইও স্যাটেলাইট স্তরগুলির সঙ্গে নেভিক ২.০ সংমিশ্রণ নক্ষত্রটি বিস্তৃত কভারেজ, নমনীয়তা, পরিমাপযোগ্যতা এবং স্থিতিস্থাপকতার ক্ষেত্রে অনেক বেশি কাজের। প্রস্তাবিত এমইও ফ্লিট পৃথিবীব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন পিএনটি কভারেজ প্রদান করে, এবং এটিকে গ্রহে নজরদারির জন্য পুনরায় ব্যবহার করার ক্ষমতা প্রদান করে; কিন্তু জিএসও ফ্লিট ভারতীয় উপমহাদেশে নিবেদিত এবং উন্নত পিএনটি কভারেজ ব্যতীত সামরিক প্রয়োগের জন্য সমন্বিত বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করে। প্রাথমিক পিএনটি পরিষেবাগুলি ব্যতীত কাঙ্ক্ষিত সামরিক সুবিধা অর্জনের জন্য একটি শক্তি-গুণক হিসাবে নেভিক-এর ভবিষ্যৎ জিএসও নেভিগেশন ফ্লিটের সর্বোত্তম ব্যবহারের লক্ষ্যে, প্ল্যাটফর্মটি বিভিন্ন কৌশলগত প্রয়োগের জন্য যৌগিক পেলোডগুলির জন্য একটি আদর্শ ভিত্তি প্রদান করে এবং আগ্রহের ক্ষেত্রগুলিতে অবিরাম নজরদারি, মহাকাশ পরিস্থিতিগত সচেতনতা (এসএসএ), টেলিমেট্রি, ট্র্যাকিং ও কমান্ডিং (টিটিঅ্যান্ডসি), সম্প্রচার বার্তা পরিষেবা, ট্র্যাকিং এবং ডেটা রিলে স্যাটেলাইট সিস্টেম (টিডিআরএসএস) এবং ইন্টার-স্যাটেলাইট লিঙ্ক (আইএসএল) ব্যবহারের সুযোগ দেয়। এই প্রয়োগগুলি নজরদারি, যোগাযোগ এবং কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সামরিক সক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে।
এমইও ফ্লিট পৃথিবীব্যাপী নিরবিচ্ছিন্ন পিএনটি কভারেজ প্রদান করে, এবং এটিকে গ্রহে নজরদারির জন্য পুনরায় ব্যবহার করার ক্ষমতা প্রদান করে; কিন্তু জিএসও ফ্লিট ভারতীয় উপমহাদেশে নিবেদিত এবং উন্নত পিএনটি কভারেজ ব্যতীত সামরিক প্রয়োগের জন্য সমন্বিত বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করে।
পিএনটি পরিষেবাগুলিতে কৌশলগত স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য একটি শক্তিশালী এবং সম্পূর্ণ সুরক্ষিত ব্যবহারকারী অংশকে পুনরুজ্জীবিত করতে অটোমেশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং মেশিন লার্নিং (এনএল)-এর ক্ষেত্রে প্রযুক্তির উপযুক্ত ফিউশন সহ গ্রাউন্ড সেগমেন্টের সম্প্রসারণ বাধ্যতামূলক। সমস্ত সামরিক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে নেভিগেশন, টার্গেটিং, ওরিয়েন্টেশন, কমপ্যাটেবিলিটি, পজিশনিং, রেফারেন্সিং ও অন্য সহযোগী প্রয়োগগুলির জন্য পিএনটি পরিষেবার প্রয়োজন আছে, সেগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে এবং সুরক্ষিত দেশীয় নেভিক ব্যবহারকারী আরএস মডিউলগুলির সঙ্গে একত্রিত করতে হবে। একটি বিস্তৃত ও ব্যাপক ব্যবহারকারীর ভিত্তি নিশ্চিত করার জন্য যে সব সামরিক সরঞ্জামে বর্তমানে ওপেন-সোর্স জিপিএস ব্যবহার করা হচ্ছে সেখানে তা নেভিক আরএস মডিউলগুলি দিয়ে প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। একবার সম্পূর্ণরূপে স্থাপিত ও কার্যকরী হয়ে গেলে নেভিক ২.০ ভবিষ্যৎ সি৪আইএসআর সিস্টেমের জন্য একটি আদর্শ সুরক্ষিত যোগাযোগ ব্যবস্থার ভিত্তি প্রদান করে।
কৌশলগত রোডম্যাপ: নেভিক ২.০
হারানো সময় পূরণ করতে ভারতকে অবশ্যই নেভিক ২.০-এর উন্নত বৈশ্বিক কভারেজ বৈশিষ্ট্য-সহ মহাকাশ, স্থল ও ব্যবহারকারী বিভাগের জন্য সমন্বিত ব্লুপ্রিন্ট প্রস্তুত করতে হবে। নেভিক ২.০-এর বর্ধিত প্রয়োগগুলি শুধুমাত্র নেভিক ২.০-এর সামরিক উপযোগিতাকে তীক্ষ্ণ করবে না, সেইসঙ্গে ভারতকে বাণিজ্যিকভাবে বৈশ্বিক চার — মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, রাশিয়া ও ইউরোপ — এর সমান সমান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করবে। ২০২৮ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী নেভিক পরিষেবাগুলির ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য আলোচনার মতো বিভিন্ন কৌশলগত দিকগুলির উপর কাজ শুরু করতে হবে।
❒ মহাকাশ পরিসর: ২০২৫ সালের মধ্যে বার্ধক্য এবং ত্রুটির কারণে বিদ্যমান উপগ্রহের প্রতিস্থাপন এবং ২০২৮ সালের মধ্যে এমইও-তে অতিরিক্ত ১২টি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হবে (পরবর্তীতে ২০৩৫ সালের মধ্যে ২৪ বা তার বেশি করা হবে)। প্রতিরক্ষা ব্যবহারের পরিকল্পনার জন্য ইন্টিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফ-এর সদর দফতর (এইচকিউ আইডিএস) ও ডিআরডিও-এর সঙ্গে মিলিতভাবে নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড (এনএসআইএল)/ ইসরো/ প্রাইভেট স্পেস সেক্টরকে দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে।
❒ স্থল পরিসর ও কার্যকরী ইউনিট: ২০২৫ সালের মধ্যে মহাকাশ পরিসরের পাশাপাশি কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, সময়গত সুবিধা, অখণ্ডতা পর্যবেক্ষণ স্টেশন এবং দ্বিমুখী রেঞ্জিং স্টেশনগুলির জন্য একটি উচ্চগতির সুরক্ষিত ও পরিমাপমতো নেটওয়ার্ক তৈরি করা প্রয়োজন। মানসম্মত সামরিক গ্রেডের সম্পূর্ণ নিরাপদ ব্যবহারকারী নক্ষত্রমণ্ডল সম্প্রসারণের আগে পরিষেবা/সংস্থার জন্য নির্দিষ্ট মডিউলগুলিকে বিকশিত এবং ব্যবহার করতে হবে।
❒ পরিষেবা: অত্যাবশ্যক একমুখী অবস্থান ব্যতীত নেভিক দ্বারা প্রদত্ত নেভিগেশন, টাইমিং ও টার্গেটিং পরিষেবা, মেসেজিং সম্প্রচার পরিষেবা, এবং দ্বিমুখী ট্রান্সমিশন হল জাতীয় নিরাপত্তার জন্য দেশি নক্ষত্রমণ্ডলীকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে অপরিহার্য৷
সুরক্ষা প্রয়োগগুলির জন্য মহাকাশ ও স্থল অংশগুলিকে শক্তিশালী করার সহজাত কৌশলগত বিবেচনাগুলি নেভিক ২.০ -এর একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সক্রিয় আকৃতির জন্ম দিয়েছে।
উপসংহার
নেভিক ২.০ একটি দৃষ্টান্ত পরিবর্তনের প্রতিনিধিত্ব করে, যা ভারতকে আঞ্চলিক নেভিগেশন থেকে বৈশ্বিক নেভিগেশনে নিয়ে যায়। সুরক্ষা প্রয়োগগুলির জন্য মহাকাশ ও স্থল অংশগুলিকে শক্তিশালী করার সহজাত কৌশলগত বিবেচনাগুলি নেভিক ২.০ -এর একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সক্রিয় আকৃতির জন্ম দিয়েছে। উল্লিখিত কৌশলগত রোডম্যাপ উন্নত বৈশিষ্ট্য, বৈশ্বিক কভারেজ এবং সামরিক সূক্ষ্মতা সহ নেভিক ২.০-এর বিবর্তন নিশ্চিত করে। যেহেতু ভারত পুরনো উপগ্রহ প্রতিস্থাপন, নতুন উৎক্ষেপণ এবং একটি শক্তিশালী স্থল পরিসর তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, নেভিক ২.০ পিএনটি পরিষেবাগুলিতে বিশ্বব্যাপী প্রধানদের মধ্যে ভারতের স্থান সুরক্ষিত করতে প্রস্তুত৷ এই কৌশলগত উদ্যোগটি শুধু ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতাই মজবুত করে না, বরং একে বাণিজ্যিকভাবে বিশ্বব্যাপী স্যাটেলাইট নেভিগেশনে নেতৃস্থানীয় দেশগুলির সমকক্ষ করে তোলে। নেভিক থেকে নেভিক ২.০ পর্যন্ত যাত্রা হল জাতীয় মহাকাশ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত উন্নতি এবং স্বনির্ভরতার প্রতি ভারতের দায়বদ্ধতার প্রমাণ।
কর্নেল বালক সিং বর্মা, ভিএসএম, একজন আর্মি এয়ার ডিফেন্স অফিসার, আইএমএ থেকে ১৯৯৭ সালে একটি শিলকা রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। তিনি বর্তমানে অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে স্পেস ডোমেনে একটি রিসার্চ ফেলোশিপ করছেন।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.