Author : Rituraj Kumar

Published on Jun 21, 2023 Updated 0 Hours ago

স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার উপর অধিকতর জোর দেওয়ার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা সংক্রান্ত বর্তমান আইনি ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন

ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা: নিরাপত্তা ও অধিকারের ভারসাম্য রক্ষা করা প্রয়োজন

ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের ঘটনা ভারতে নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে উঠেছে। এই পরিষেবা বন্ধের নেপথ্যে কারণ হিসেবে সরকার আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা এবং ভুল তথ্য প্রচার রোধের কথা বলে থাকে। যাই হোক, ইন্টারনেট বন্ধ করা প্রায়শই তথ্য এবং অভিব্যক্তির অবাধ প্রবাহের উপরে গুরুতর প্রভাব ফেলে।

সম্প্রতি কোনও তথ্যমূলক গবেষণা ছাড়াই ঘন ঘন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি ঘটনাগুলি নথিভুক্ত না করার জন্য টেলিযোগাযোগ বিভাগের সমালোচনা করেছে। প্যানেলটি পরিষেবা স্থগিত করার নিয়মগুলির অপব্যবহার রোধ করতে টেলিকম বিভাগকে (ডিওটি) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য সমানুপাতিকতা এবং পদ্ধতিগত সুস্পষ্ট নীতি নির্ধারণ করতে বলেছে।

কোনও তথ্যমূলক গবেষণা ছাড়াই ঘন ঘন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি ঘটনাগুলি নথিভুক্ত না করার জন্য টেলিযোগাযোগ বিভাগের সমালোচনা করেছে।

ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা এবং তার প্রভাব সম্পর্কে ধারণা

এ কথা অস্বীকার করা যায় না যে, ইন্টারনেট আমাদের জীবনযাত্রায় নাটকীয় পরিবর্তন এনেছে। ইন্টারনেট বর্তমানে অর্থনৈতিক ও সামাজিক কার্যকলাপের মৌলিক থেকে জটিলতম পর্যন্ত একাধিক দিককে প্রভাবিত করে। ঘন ঘন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হওয়ার ফলে ই-কমার্স, পর্যটন এবং তথ্য প্রযুক্তির মতো ইন্টারনেট পরিষেবার উপর নির্ভরশীল ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভারতীয়রা বর্তমানে অন্য যে কোনও দেশের নাগরিকদের তুলনায় অধিক সংখ্যক ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের শিকার। অ্যাকসেস নাও-এর তথ্য অনুসারে, ২০১২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে ভারত জুড়ে ৬৪৭টি সরকার-আরোপিত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের ঘটনা ঘটেছে, যা এখন পর্যন্ত এই নিরিখে পৃথিবীতে সর্বোচ্চ।

ইন্টারনেট পরিষেবা প্রায়শই স্থগিত করা হয়েছে অযৌক্তিক কারণে। যেমন পরীক্ষা পরিচালনার সময় টোকাটুকি বন্ধ করা বা কোনও এলাকায় প্রতিবাদ রোধ করা। এই  জাতীয় সমস্ত ক্ষেত্রে হুমকির ধারণাটি প্রাথমিক ভাবে ত্রুটিযুক্ত, কারণ বিভিন্ন রাজ্যের জেলা প্রশাসন প্রশাসনিক উদ্দেশ্যে একটি সমগ্র অঞ্চলের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করেছে এবং তা আনুপাতিকতার নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, অবাধে এবং সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করার একাধিক উপায় রয়েছে। কিন্তু টোকাটুকি ঠেকাতে ইন্টারনেট বন্ধের আশ্রয় নেওয়া সেই অঞ্চলের অন্যান্য মানুষের দৈনন্দিন জীবনকেও প্রভাবিত করে। এই  ধরনের পরিষেবা বন্ধের ফলে সৃষ্ট প্রতিকূল প্রভাব যে কোনও আনুমানিক সুবিধার তুলনায় বেশি।

পর্যাপ্ত পরিকাঠামো এবং সুরক্ষা ব্যবস্থার অভাব

একটি পর্যাপ্ত পরিকাঠামো এবং সুরক্ষা ব্যবস্থার অভাব ইন্টারনেট পরিষেবা বারংবার বন্ধ করার প্রধান কারণ। আসলে আমলাদের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা নিয়ন্ত্রণের মতো বিশেষ বিধিব্যবস্থা নেই। ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করা প্রাথমিক ভাবে টেম্পোরারি সাসপেনশন অব টেলিকম সার্ভিসেস (পাবলিক ইমার্জেন্সি অর পাবলিক সেফটি) রুলস, ২০১৭ এবং কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৯৭৩-এর (সিআরপিসি) ১৪৪তম ধারার অধীনে হয়।

অবাধে এবং সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করার একাধিক উপায় রয়েছে। কিন্তু টোকাটুকি রোধ করতে ইন্টারনেট বন্ধের আশ্রয় নেওয়া সেই অঞ্চলের অন্যান্য মানুষের দৈনন্দিন জীবনকেও প্রভাবিত করে।

১৮৮৫ সালের টেলিগ্রাফ আইন হল একটি ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার। এটি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের স্বার্থ রক্ষায় তৈরি করা হয়েছিল। কারণ এটি সরকারকে  কোনও টেলিগ্রাফিক বার্তা বাজেয়াপ্ত করা বা তা পাঠানো বন্ধ করার ক্ষমতা দেয়। এই সুপ্রাচীন আইনটি কেন্দ্রীয় সরকারকে নিয়ম প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান করে। এই ক্ষমতার জোরে স্থগিত বিধি প্রণীত হয়। এই বিধি অনুযায়ী, শুধুমাত্র যুক্তিযুক্ত  আদেশের মাধ্যমে টেলিকম পরিষেবা স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া যায় এবং শুধু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব বা রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব নিজ নিজ সরকারের পক্ষে তা জারি করতে সক্ষম। এটি কেবল মাত্র ‘ জনসাধারণের কোনও জরুরি অবস্থার  ক্ষেত্রে’ বা ‘জননিরাপত্তার স্বার্থে’ জারি করা যায়, এবং যদি ভারপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয় যে ‘ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার স্বার্থ রক্ষা, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক , আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বা অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা রোধ করার জন্য’ স্থগিতাদেশ প্রয়োজন, তবেই এই আদেশ দেওয়া যেতে পারে। পরবর্তী কার্যদিবসের মধ্যে আদেশটিকে অবশ্যই তিন সদস্যের একটি পর্যালোচনা কমিটির কাছে পেশ করতে হবে, যে কমিটি পাঁচ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবে যে, আদেশটি ১৮৮৫ সালের ভারতীয় টেলিগ্রাফ আইনের ধারা ৫(২)-এর অধীনে ‘জনসাধারণের জরুরি অবস্থা’ বা ‘জননিরাপত্তা’র জন্য হুমকি তৈরি করবে কি না।

এই স্থগিতকরণের বিধি বিভিন্ন কারণে ত্রুটিপূর্ণ। নিয়মগুলিতে বলা হয়েছে যে, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার ঘটনাটি রিভিউ কমিটির তত্ত্বাবধানে প্রয়োগ করা হবে, যা সম্পূর্ণ রূপে নির্বাহী সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত। এটি একটি ন্যায্য মূল্যায়নের প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়, যেহেতু এ ক্ষেত্রে সরকারি ব্যবস্থার একটি মাত্র শাখা অনুমোদন, বাস্তবায়ন এবং পর্যালোচনার কাজটি করে, যা স্বার্থের দ্বন্দ্বকেই তুলে ধরে।

রিভিউ কমিটিকে স্থগিতকরণের বিধির অধীনে শুধু মাত্র ‘তার অনুসন্ধানের ফলাফল নথিভুক্ত করা’র ক্ষমতা দেওয়া হলেও অবৈধ ভাবে পরিষেবা বন্ধ করার আদেশ স্থগিত করার ক্ষমতা দেওয়া হয় না, যা এটিকে একটি অকার্যকর কমিটিতে পরিণত করে। এর পাশাপাশি, পর্যালোচনার জন্য পাঁচ দিনের অনুমতি দেওয়াও যুক্তিসঙ্গত নয়। কারণ বেশির ভাগ ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিতকরণের মেয়াদ পাঁচ দিনের হয়। অতএব, পর্যালোচনা একটি পদ্ধতিগত নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা হিসাবে কাজ করতে ব্যর্থ হয়। এ ছাড়াও স্থগিতাদেশ বা রিভিউ কমিটির ফলাফল প্রকাশের কোনও বাধ্যবাধকতা এই বিধিতে নেই। সংক্ষুব্ধ পক্ষগুলির কাছে এই আদেশ উপলব্ধ হওয়া দরকার যাতে তারা আদালতে স্থগিতাদেশকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে৷

২০১৭ সালে স্থগিতকরণের বিধি প্রণয়ন করা সত্ত্বেও সিআরপিসি-র অধীনে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। এটির ১৪৪তম ধারা স্থগিতকরণের বিধিগুলির উপর একটি সুস্পষ্ট অগ্রাধিকার প্রদান করে। কারণ এতে উল্লিখিত বিধিগুলিতে দেওয়া পদ্ধতিগত সুরক্ষাগুলি অন্তর্ভুক্ত নয়৷ ১৪৪তম ধারার অধীনে সিদ্ধান্ত স্বরাষ্ট্রসচিব স্তরের পরিবর্তে জেলাশাসক স্তরে নেওয়া হয়। ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদেশের বৈধতা পরীক্ষা করার জন্য কোনও রিভিউ কমিটির প্রয়োজন হয় না এবং কোনও পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনা চালানো হয় না। এই বিষয়গুলি এটিকে ব্যবহারিক ভাবে উন্নততর করে তোলে।

ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার ঘটনাটি রিভিউ কমিটির তত্ত্বাবধানে প্রয়োগ করা হবে, যা সম্পূর্ণ রূপে নির্বাহী সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত।

এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নও উত্থাপন করে: সরকারগুলির জন্য সিআরপিসি-র ১৪৪তম ধারা অবলম্বন করা কি আইনত অনুমোদিত হওয়া উচিত – একটি সাধারণ আইন যা সর্বজনীন শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ব্যবহৃত হয় –  এমন আইনি ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও যা বিশেষ ভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের বিষয়টি বিবেচনা করে। সুপরিচিত লিগ্যাল ম্যাক্সিম ‘জেনারেলিয়া স্পেশালিবাস নন ডিরোগ্যান্ট’ অনুসারে, ‘যদি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে একটি বিশেষ বিধান জারি করা হয়, তবে সেই বিষয়টি সাধারণ বিধান থেকে বাদ দেওয়া হয়।’ বিশেষ আইনের আওতাভুক্ত ক্ষেত্রগুলি থেকে সাধারণ আইনগুলি বাদ দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্ট এই নীতিটি প্রয়োগ করেছে।

সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা

২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে অনুরাধা ভাসিন বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় যে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য লব্ধতা ভারতীয় সংবিধানের ১৯(১) অনুচ্ছেদের অধীনে একটি মৌলিক অধিকার। তিন বিচারকের বেঞ্চের আদেশে আরও বলা হয় যে, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা একটি ‘কঠোর ব্যবস্থা’, যা শুধু মাত্র আইনানুগ, প্রয়োজনীয় এবং আনুপাতিক হলেই আরোপ করা যেতে পারে এবং শুধু মাত্র ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিতের আদেশ প্রকাশ করার পরেই এমনটা করা সম্ভব।

উল্লিখিত রায়টি একটি আশার আলো হিসাবে প্রতিভাত হলেও এ কথা লক্ষ্যণীয় যে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি অনুরাধা ভাসিন মামলার নির্দেশিকার বিরুদ্ধে গিয়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের আদেশ জারি করছে। এর প্রাথমিক কারণ হল কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে বিধিবদ্ধ ভাবে স্বীকৃতি দেয়নি।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একুশ শতকের বাস্তবতার সঙ্গে আইনি কাঠামোকে আরও মানানসই করে তুলতে যোগাযোগ মন্ত্রক ২০২২ সালের ভারতীয় টেলিকমিউনিকেশন বিলের ৪০ পৃষ্ঠার একটি খসড়া প্রকাশ করে। তবে প্রস্তাবিত বিলে ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিতকরণ সংক্রান্ত আইনে অনুরাধা ভাসিনের যুগান্তকারী রায়-সহ সংস্কারের দাবিটিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। খসড়া বিল ঔপনিবেশিক আইনের মূল ভাবনা বজায় রেখে ষষ্ঠ অধ্যায়ে ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করার জন্য একটি সুস্পষ্ট আইনি বিধান প্রদান করে।

টেলিকম স্থগিতকরণ বিধিমালার বয়ানের মধ্যে একটি বাধ্যতামূলক দায়িত্ব হিসাবে সক্রিয় প্রকাশনা এবং পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনা অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ ছিল। তা এই বিচারবিভাগীয় প্রবর্তনা এবং সরকারের সেটি মেনে চলার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করত। কিন্তু খসড়া বিলটি সে সুযোগ হারিয়েছে। খসড়াটিতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের বিষয়ে সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। জনসাধারণের জরুরি অবস্থা এবং জননিরাপত্তা বলতে ঠিক কী বোঝায় তা বিধিবদ্ধ করা দরকার এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের আবশ্যকতা নির্ধারণের জন্য একটি ব্যবস্থার বাস্তবায়ন করতে হবে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এবং সাধারণ মানুষের মতো বেসরকারি সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে তদারকি পর্যালোচনা কমিটির গঠন আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া উচিত।

খসড়া বিল ঔপনিবেশিক আইনের মূল ভাবনা বজায় রেখে ষষ্ঠ অধ্যায়ে ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করার জন্য একটি সুস্পষ্ট আইনি বিধান প্রদান করে।

এর পাশাপাশি জনসাধারণের অসুবিধা ন্যূনতম সীমার মধ্যে রাখার জন্য নিয়মগুলিকে অবশ্যই পরিবর্তিত প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। কমিটি সুপারিশ করেছে যে, ডিওটি এমন একটি নীতি প্রণয়ন করুক যা একটি ব্ল্যাঙ্কেট শাটডাউনের পরিবর্তে বেছে বেছে সুনির্দিষ্ট পরিষেবাকে সীমাবদ্ধ করে। যাতে সাধারণ জনগণের কোনও অসুবিধার সৃষ্টি না হয় তা সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি ভুল তথ্য প্রচার রোধ করার মতো লক্ষ্যগুলিও পূরণ করা যায়।

উপসংহার

এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আজকের বিশ্বে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য ইন্টারনেট সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এবং উপলব্ধ মাধ্যম। স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার উপর অধিকতর জোর দেওয়ার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা সংক্রান্ত বর্তমান আইনি ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন। পরিষেবা স্থগিত করার ন্যায্যতা মূল্যায়নের জন্য একটি সঠিক প্রক্রিয়া প্রয়োগ করতে হবে। যাতে শুধু মাত্র ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতেই এমনটা আরোপ করা হয়, তা সুনিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশিকা এবং প্রোটোকল স্থাপন করা উচিত।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.