এনডিএ সরকার তার তৃতীয় মেয়াদে প্রবেশ করার পর আগের ১০ বছরের বিদেশনীতি ভবিষ্যতের ধারাবাহিকতা খুঁজে পেয়েছে। প্রধান বিদেশনীতি উদ্যোগগুলি — যেমন নেবারহুড ফার্স্ট, অ্যাক্ট ইস্ট, এবং অ্যাক্ট ওয়েস্ট — ২০২৪ সালের জুনে ভারতীয় সাধারণ নির্বাচনের আগে যেখানে ছিল সেখান থেকে আরও এগনোর জন্য তৈরি হচ্ছে। ভারতের নেবারহুড ফার্স্ট উদ্যোগ, যা দক্ষিণ এশিয়ায় তার নিকটবর্তী প্রতিবেশী এবং মধ্যপ্রাচ্যের দূরবর্তী প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতার প্রতি তার নীতিগত গুরুত্ব নির্দেশ করে, তার লক্ষ্য হল ডিজিটাল, পরিবহণ, এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সঙ্গে সমুদ্র ও বাণিজ্য সংযোগ বৃদ্ধি করা।
ভারতের নেবারহুড ফার্স্ট উদ্যোগ, যা দক্ষিণ এশিয়ায় তার নিকটবর্তী প্রতিবেশী এবং মধ্যপ্রাচ্যের দূরবর্তী প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতার প্রতি তার নীতিগত গুরুত্ব নির্দেশ করে, তার লক্ষ্য হল ডিজিটাল, পরিবহণ, এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সঙ্গে সমুদ্র ও বাণিজ্য সংযোগ বৃদ্ধি করা।
দক্ষিণ এশিয়ায় সংযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে আঞ্চলিক একীকরণ একটি ক্রমাগত বিকশিত দৃষ্টান্ত। গত ১০ বছরে ভারত সরকার পরিবহণ সংযোগ বাড়ানো এবং দক্ষিণ এশিয়ায় আন্তঃসীমান্ত শক্তি বাণিজ্য সহজতর করার দিকে মনোনিবেশ করেছে। ভারতের দক্ষিণ এশীয় সংযোগ কৌশলের একটি মূল উদ্যোগ হল বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল (বিবিআইএন) মাল্টিমোডাল করিডোর। করিডোরটির লক্ষ্য বাণিজ্য, আন্তঃসীমান্ত চলাচল, এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি করা, এবং স্থলবেষ্টিত নেপাল ও ভুটানকে ভারতীয় ও বাংলাদেশী বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত করা। করিডোরটি আঞ্চলিক শক্তি সুরক্ষার জন্য আন্তঃসংযুক্ত গ্রিডগুলির কথাও ভেবেছে।
মানচিত্র ১: বিবিআইএন করিডোর
সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার
শক্তি বাণিজ্য, আঞ্চলিক পরিবহণ ও সংযোগে ভারত সরকারের উদ্যোগগুলি দীর্ঘমেয়াদি পরিস্থিতিতে করিডরকে ভৌতভাবে গঠন করার লক্ষ্যে কাজ করে। এই নিবন্ধটি বিবিআইএন করিডোরের পরিবহণ ক্ষেত্রে তার প্রতিবেশী দেশ ভুটান, বাংলাদেশ ও নেপালের সঙ্গে ভারতের আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং সেখানকার উন্নয়ন বিশ্লেষণ করে। এটি এই করিডোরের পিছনে ভূ-রাজনৈতিক যৌক্তিকতার দিকটিও পর্যালোচনা করে।
বিবিআইএন-এর ভূ-রাজনৈতিক যুক্তি
ভারত কীভাবে তার প্রতিবেশীদের কাছে পৌঁছচ্ছে, এবং কীভাবে আঞ্চলিক একীকরণ ও সংযোগ উপলব্ধ করছে, তাতে গত এক দশকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। দীর্ঘতম সময়ের জন্য এই অঞ্চলের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর যে কোনও প্রয়াস ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পার্থক্যের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। এই পার্থক্যগুলি দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) সফল কার্যকারিতাকেও ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল, এবং তারপর এটির বিলোপ ঘটিয়েছে। ২০১৪ সালে যখন এনডিএ সরকার প্রথম ক্ষমতায় আসে, তখন ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করার জন্য বা সম্মিলিতভাবে সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন বিষয়গুলি দেখার জন্য কিছু সংকেত দেওয়া হয়েছিল। নেপালে ২০১৪ সালের নভেম্বরে ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে সদস্য দেশগুলির সংযোগকে এগিয়ে নিয়ে চলার জন্য একটি মোটর যানবাহন চুক্তির প্রস্তাব এসেছিল। সে সময় পাকিস্তানের আপত্তির কারণে প্রস্তাবটি নিয়ে এগনো যায়নি। কিন্তু আগের মতপার্থক্যের বিপরীতে এবার ভুটান, বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের মধ্যে একটি উপ-আঞ্চলিক পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছিল, যার ফলে ২০১৫ সালে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন ট্রাফিক (এমভিএ) নিয়ন্ত্রণের জন্য মোটর ভেহিকেল চুক্তি নিয়ে একটি পৃথক চুক্তি স্বাক্ষর করার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছিল। উপমহাদেশে সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য একে এই অঞ্চলে উপ-আঞ্চলিক সংযোগের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ভারতের প্রচেষ্টার সূচনা হিসাবে দেখা হয়। চুক্তিটিকে আঞ্চলিক সংযোগ এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি 'বিশাল কাঠামো' হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল, এবং ৩০টি অগ্রাধিকারমূলক পরিবহণ সংযোগ প্রকল্পকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। ভারতের জন্য ধারণাটি হল পরিবহণ করিডোরগুলি ব্যবহার করা এবং সেগুলিকে অর্থনৈতিক করিডোরে রূপান্তর করা।
ভারত কীভাবে তার প্রতিবেশীদের কাছে পৌঁছচ্ছে, এবং কীভাবে আঞ্চলিক একীকরণ ও সংযোগ উপলব্ধ করছে, তাতে গত এক দশকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে।
গত এক দশকে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পৃক্ততা কমে গেলেও, এই অঞ্চলে চিনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নয়াদিল্লির জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিম ও পূর্ব উভয় ক্ষেত্রেই বেজিং ধীরে ধীরে তার প্রভাব বিস্তার করেছে। এর বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এর ধারণার মাধ্যমে দেশটি তার পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ সম্প্রসারণ করতে, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে, এবং বন্দরগুলিতে প্রবেশাধিকার পেতে সক্ষম হয়েছে। বিআরআই প্রকল্পগুলি বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পর্যায়ে থাকলেও, এই অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য চিনের অবিরাম প্রয়াস অব্যাহত থেকেছে। তাই আঞ্চলিক একীকরণের পাশাপাশি বিবিআইএন তৈরি করাও ভারতের জন্য একটি কৌশলগত বিবেচনা। ভুটান, নেপাল ও ভারতের সঙ্গে চিনের সীমান্ত বিরোধ রয়েছে এবং চিন সীমান্ত অঞ্চলে ক্রমবর্ধমানভাবে পেশীশক্তি বাড়াচ্ছে।
চিনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি হ্রাস করতে নয়াদিল্লি তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে পারস্পরিক অভিন্নতার ক্ষেত্রগুলিতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে, এবং বিভিন্ন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে সম্পর্ক আরও প্রসারিত করার জন্য নিজেকে একটি ইতিবাচক বাহক করে তোলার চেষ্টা করছে। নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যুৎ বাণিজ্য চুক্তি, যার অধীনে নেপাল বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে, ভারতীয় পাওয়ার গ্রিডের মাধ্যমে সহজতর করা হবে। উভয় দেশের পাওয়ার বোর্ড এই চুক্তি নিয়ে এগিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। এটি প্রতিবেশীদের মধ্যে সেতু হিসাবে কাজ করার জন্য ভারতের ক্ষমতার প্রমাণ। সমমনস্ক দেশগুলির সঙ্গে, যাদের ভারতের সঙ্গে কাজ করার রাজনৈতিক ইচ্ছা আছে, উপ-আঞ্চলিক উদ্যোগের এই অগ্রাধিকার স্বল্পমেয়াদে ইতিবাচক বাহ্যিকতা তৈরি করবে, এবং তা দীর্ঘমেয়াদে আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য একটি কাঠামো তৈরি করতেও সাহায্য করতে পারে। এরকম একটি আঞ্চলিক উদ্যোগ হল বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে বিবিআইএন পরিবহণ করিডোর।
বিবিআইএন এর পরিবহণ ক্ষেত্রের পরিধি ও ফাটল
আঞ্চলিক একীকরণ ও আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্যের জন্য যে কোনও অঞ্চলে পরিবহণ সংযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনৈতিক অসদিচ্ছা ও ভঙ্গুর আঞ্চলিক নিরাপত্তার কারণে এই অঞ্চলে পরিবহণ পরিকাঠামোর অভাব এর আঞ্চলিক একীকরণে একটি বড় ফাঁক তৈরি করেছে। এই সমস্যার প্রতিকারের জন্য ভারত সরকার দক্ষিণ এশিয়ায় সংযোগের পাশাপাশি বাবসা, বাণিজ্য, জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং এই অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য বেশ কয়েকটি আন্তঃসীমান্ত পরিবহণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
আঞ্চলিক একীকরণ ও আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্যের জন্য যে কোনও অঞ্চলে পরিবহণ সংযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনৈতিক অসদিচ্ছা ও ভঙ্গুর আঞ্চলিক নিরাপত্তার কারণে এই অঞ্চলে পরিবহণ পরিকাঠামোর অভাব এর আঞ্চলিক একীকরণে একটি বড় ফাঁক তৈরি করেছে।
বাংলাদেশে ভারত পাঁচটি রেলপথ নির্মাণ ও অর্থায়ন করেছে, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলকে সংযুক্ত করেছে এবং পশ্চিমবঙ্গের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। বাংলাদেশে ভারতের রেলওয়ে ফাইন্যান্স বাংলাদেশের পরিবহণ পরিকাঠামোকে উন্নত করে, এবং বাংলাদেশের মংলা বন্দরকে পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত করে। উল্লেখ্য, মংলা বন্দরের উন্নয়নেও ভারত অর্থায়ন করছে। পরিবহণ সংযোগে ভারত-ভুটান উন্নয়ন সহযোগিতাও বেশ বিস্তৃত। ভারত ভুটানে দুটি রেলওয়ে করিডোর (কোকরাঝার-গেলুপু ও বানারসাত-ঝাম্বে) নির্মাণ করছে, যা শুধু ভারত ও ভুটানকে সংযুক্ত করবে না, বরং বাংলাদেশের মংলা বন্দরের সঙ্গে ঘেলেপু অঞ্চলকে সংযুক্ত করে ভূবেষ্টিত ভুটানের জন্য আরও সামুদ্রিক সংযোগের ব্যবস্থা করবে। আগরতলা-আখাউড়া রেল লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত মংলা বন্দরের সঙ্গে বাংলাদেশের খুলনা রেল টার্মিনালকে সংযুক্ত করার মাধ্যমে এই সংযোগ করিডোরটি বাস্তবায়িত হয়েছে। আখাউড়া থেকে ভারতীয় রেললাইনগুলি করিডোরটিকে কোকরাঝাড়ের সঙ্গে যুক্ত করবে, এবং এটিকে গেলফু পর্যন্ত নিয়ে যাবে। নেপালে ভারত ১৭১-কিলোমিটার দীর্ঘ কাঠমান্ডু-রাক্সাউল রেললাইন তৈরি করছে, যা কাঠমান্ডুর মধ্য দিয়ে বিদ্যমান ভারত-নেপাল রেললাইনের মাধ্যমে ভারতীয় রেলওয়ে নেটওয়ার্কে আরও একীভূত হবে।
একত্রে, এই প্রকল্পগুলি বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে একটি অবিচ্ছিন্ন পরিবহণ করিডোর গঠন করতে পারে। ভারত যাত্রী, ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী যানবাহন ট্রাফিক (বিবিআইএন-এমভিএ) নিয়ন্ত্রণের জন্য বিবিআইএন মোটর ভেহিকেল চুক্তির মাধ্যমে করিডোর অংশীদারদের সঙ্গে নীতিগত পদক্ষেপের সমন্বয় করেছে। বিবিআইএন-এমভিএ-র লক্ষ্য হল আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্য ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য প্রতিবন্ধকতা ও প্রবিধান অপসারণ করা। চুক্তিটি ২০১৪ সাল থেকে অচলাবস্থায় থাকলেও নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশ ২০২২ সালে বিবিআইএন-এমভিএ সমঝোতা স্মারক অনুমোদন করে। যদিও ভুটান তার পরিবেশগত উদ্বেগ ও পরিকাঠামোর অভাবের কারণে ২০২২ সালে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি, ২০২৪ সালের মার্চ মাসে থিম্পু সেইসব নীতিগত শূন্যতা পূরণের জন্য কাজ করার ইচ্ছার ইঙ্গিত দেয় যার কারণে বিবিআইএন-এমভিএ ভুটান সরকার অনুমোদন করেনি।
তবুও, রেল সংযোগের অগ্রগতি এবং বিলম্বিত ও অসম্পূর্ণ চুক্তি এই করিডোরের পূর্ণ সম্ভাবনা উপলব্ধি করার জন্য যথেষ্ট নয়। করিডোরের রেল উন্নয়নকে দ্রুত সামগ্রিক ও সমন্বিত নীতি বাস্তবায়ন এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) দ্বারা পরিপূরণ করতে হবে, এবং আঞ্চলিক একীকরণকে জোরদার করার জন্য আন্তঃসীমান্ত সড়ক ও মহাসড়ক দ্বারা পরিবর্ধিত করতে হবে। দেশগুলির সীমান্ত এলাকা সড়ক পরিবহণে ব্যাপক পরিকাঠামোগত ঘাটতির সম্মুখীন হয়, যা পণ্য ও পরিষেবার অতিক্রমণকে বাধাগ্রস্ত করে। এই অঞ্চলের আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্যের নিম্ন হার দ্বারা এই ঘটনাটি প্রমাণিত, যা মোট বাণিজ্যের ৫ শতাংশ। দক্ষিণ এশীয় সীমান্ত দুর্বল সড়ক পরিকাঠামো, আঁকাবাঁকা সীমান্ত রুট, অত্যধিক এবং জনাকীর্ণ চেকপোস্ট, একাধিক শাসন কাঠামো ও একাধিক আমলাতান্ত্রিক অনুমোদন দ্বারা জর্জরিত। একইভাবে, করিডোর অংশীদারদের দ্বিপাক্ষিক ও ক্ষুদ্রতর এফটিএ নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন। দক্ষিণ এশিয়া মুক্ত বাণিজ্য এলাকা ২০০৫ সাল থেকে বিদ্যমান থাকলেও অংশীদার দেশগুলির মধ্যে রাজনৈতিক অসদিচ্ছা, একটি বিস্তৃত সংবেদনশীল তালিকা, এবং পছন্দের অগ্রাধিকারের আওতায় অব্যাহতিপ্রাপ্ত পণ্যগুলির উপর সদস্য দেশগুলির প্যারা-শুল্কের মতো অনেক কারণে এটি অকার্যকর হয়েছে।
উপসংহার
বিবিআইএন করিডোর উন্নয়নের জন্য ভারতের লক্ষ্যগুলি কৌশলগত ও তার পাশাপাশি অর্থনৈতিক। একটি ক্রমবর্ধমান শক্তি হিসাবে, যার একটি মূল নীতি হল স্থিতিশীল প্রতিবেশ, ভারতের জন্য আঞ্চলিক একীকরণ বাড়ানো কাজের হবে। অধিকন্তু, প্রতিবেশীদের সঙ্গে স্থিতিস্থাপক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভারতের ভূখণ্ডগত অখণ্ডতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে, যেখানে চিন অরুণাচল প্রদেশের উপর নয়াদিল্লির সার্বভৌমত্ব চ্যালেঞ্জ করে। অংশীদার দেশগুলিতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রদানের এবং ভারতের সঙ্গে তাদের বৃদ্ধির গতিপথকে সংযুক্ত করার জন্য বিবিআইএন একটি বড় পদক্ষেপ। যাই হোক, নয়াদিল্লিকে এই অঞ্চলে চিনা উপস্থিতি ঠেকাতে, এবং যার জন্য বেশিরভাগ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি এখনও চিনের উপর নির্ভর করে তেমন বৃহৎ আকারের প্রকল্পগুলি সফলভাবে কার্যকর করতে, অর্থ, জ্বালানি, ডিজিটালাইজেশন ও সামাজিক উন্নয়নের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রজুড়ে বহুমুখী উন্নয়নকে সহজতর করতে হবে, এবং দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সংযোগের অগ্রগতি বজায় রাখতে হবে।
পৃথ্বী গুপ্ত অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের জুনিয়র ফেলো।
শিবম শেখাওয়াত অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ প্রোগ্রামের জুনিয়র ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.