-
CENTRES
Progammes & Centres
Location
ভারতের সিন্ধু চুক্তি ‘স্থগিত’ পরিবর্তিত জোয়ারের ইঙ্গিত দেয়: আন্তর্জাতিক আইনি প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন না করে কি চুক্তি আইনকে কৌশলগত চাপের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে?
পহেলগামে বেসামরিক নাগরিকদের উপর পাকিস্তানের মদতে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর, ভারত সরকার ঘোষণা করে যে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি (আইডব্লিউটি) এখন থেকে ‘স্থগিত’ রাখা হবে । গুরুত্বপূর্ণ জল বণ্টন চুক্তিটি তত দিন স্থগিত থাকবে "যত দিন না পাকিস্তান বিশ্বাসযোগ্যভাবে এবং অপরিবর্তনীয়ভাবে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের প্রতি তার সমর্থন বন্ধ করে।"
একাধিক যুদ্ধ এবং দীর্ঘ সময় ধরে শত্রুতার পরেও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আইডব্লিউটি সবচেয়ে স্থিতিশীল রাজনৈতিক চুক্তিগুলির মধ্যে একটি। যাই হোক, চুক্তিটিকে 'স্থগিত' রাখার ভারতের পদক্ষেপ একটি গুরুতর উত্তেজনার লক্ষণ, কারণ এটি বৃহত্তর রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা থেকে জল বণ্টন সহযোগিতাকে বিচ্ছিন্ন করার দীর্ঘস্থায়ী ঐতিহ্য থেকে পৃথক। তবুও, এটি আন্তর্জাতিক আইন থেকে পশ্চাদপসরণ নয় — এটি একটি কৌশলগত আইনি রাষ্ট্রীয় কৌশল। 'স্থগিত' করা শব্দবন্ধের প্রয়োগ ইচ্ছাকৃত। ভারত চুক্তি থেকে সরে আসেনি বা নদীর প্রবাহ পরিবর্তন করেনি, বরং পদ্ধতিগত সহযোগিতা থামিয়ে দিয়েছে - জল নয়, আইন ব্যবহার করে সুবিধা গ্রহণ করেছে। এটি আইনি কূটনীতি, যেখানে সংযম প্রভাবকে বাড়িয়ে তোলে।
ভারতের এই অভূতপূর্ব পদক্ষেপ বেশ কিছু জটিল আইনি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এই প্রবন্ধে দুটি মূল বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়েছে: প্রথমত, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী স্বীকৃত কোনও চুক্তি 'স্থগিত' রাখা যায় কি না; দ্বিতীয়ত, 'স্থগিত' রাখা অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ন্যায্য হতে পারে কিনা। এই প্রশ্নগুলি এই প্রবন্ধের বিশ্লেষণের ভিত্তি তৈরি করে।
আন্তর্জাতিক আইনে 'স্থগিত'
'স্থগিত' শব্দটি সাময়িকভাবে ব্যবহারের অযোগ্যতা বা স্থগিতের অবস্থাকে বোঝায়, তবে এটি আন্তর্জাতিক চুক্তি আইনের অধীনে আইনত স্বীকৃত ধারণা নয়। আইডব্লিউটি বা ভিয়েনা কনভেনশন অন দ্য ল অফ ট্রিটিজ, ১৯৬৯ (ভিএলসিটি), কোনওটিতেই স্থগিতাদেশকে চুক্তির বাধ্যবাধকতা বাতিল করা বা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ভিত্তি হিসাবে স্বীকার করা হয় না।
আইডব্লিউটিতে একতরফা স্থগিতাদেশের অনুমতির কোনও বিধান নেই। পরিবর্তে, আইডব্লিউটির ধারা ১২ (৪) বলে যে, চুক্তিটি "যতক্ষণ না সেই উদ্দেশ্যে সম্পাদিত একটি যথাযথভাবে অনুমোদিত চুক্তি দ্বারা বাতিল করা হয় ততক্ষণ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।" একইভাবে, ভিএলসিটি-র অধীনে, একটি চুক্তি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কারণের ভিত্তিতে স্থগিত বা বাতিল করা যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে বস্তুগত লঙ্ঘন (ধারা ৬০), অসম্ভাব্যতা (ধারা ৬১), মৌলিক পরিবর্তন (ধারা ৬২), এবং সাধারণত পক্ষগুলির পারস্পরিক সম্মতি (ধারা ৫৭)। ভিএলসিটি ধারা ৬০-৬২-এর অধীনে উল্লিখিত কোনও কারণ ব্যবহার না করে একতরফাভাবে কোনও চুক্তি স্থগিত রাখার অনুমোদন নেই।
সংঘাতের সময় বা রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির সময় কোনও চুক্তি স্থগিত বা সংশোধন করা যেতে পারে কি না সে সম্পর্কে ভিএলসিটি কোনও নির্দেশনা দেয় না।
তার উপর, ভিএলসিটি চুক্তির বাধ্যবাধকতার উপর সশস্ত্র সংঘাত, যুদ্ধ বা শত্রুতার প্রভাবের বিষয়টি বিবেচনা করে না। আন্তর্জাতিক আইন কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবে ভিএলসিটি-র পরিধি থেকে এমন ধরনের পরিস্থিতি বাদ দিয়েছে যা প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন দ্বারা পরিচালিত হবে। ভিএলসিটি-এর ৭৩ অনুচ্ছেদ এই পদ্ধতির প্রতিফলন করে, যেখানে বলা হয়েছে, "রাষ্ট্রগুলির মধ্যে শত্রুতার সূত্রপাতের ফলে চুক্তি সম্পর্কিত যে সব প্রশ্ন উঠতে পারে তা নিয়ে কনভেনশন পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত নেবে না"। অতএব, সংঘাতের সময় বা রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির সময় কোনও চুক্তি স্থগিত বা সংশোধন করা যেতে পারে কি না সে সম্পর্কে ভিএলসিটি কোনও নির্দেশনা দেয় না।
ভারতের রাষ্ট্রীয় অনুশীলন
যদিও ভারত ভিএলসিটি-তে স্বাক্ষরকারী নয়, তবুও এটি এর নীতিগুলি প্রত্যাখ্যান করেনি। বাস্তবে, ভারত ধারাবাহিকভাবে তার অনেক নিয়ম অনুসরণ করেছে, হয় প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ হিসাবে অথবা এর সুবিধাজনক নির্দেশিকা গ্রহণ করে। উদাহরণস্বরূপ, ভারত বঙ্গোপসাগরীয় সমুদ্র সীমানা সালিশে ভিএলসিটি-ভিত্তিক নীতিগুলি প্রয়োগ করেছে এবং ভারতীয় আদালতগুলিও একইভাবে সেগুলি গ্রহণ করেছে।
যদিও ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে ভিএলসিটি দ্বারা আবদ্ধ নয়, তবুও ভারত পরোক্ষভাবে তার আদর্শগত কাঠামোকে সমর্থন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে প্যাকটা সওন্ট সেরভানডা নীতি, অর্থাৎ চুক্তিগুলিকে সৎ বিশ্বাসে সম্মান করতে হবে। তবে, এই নীতিটি পরম নয়; এটি পাল্টা ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয়তা এবং রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্বের মতো মতবাদের সঙ্গে সহাবস্থান করে, যা ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে, চুক্তির বাধ্যবাধকতা থেকে সাময়িকভাবে প্রস্থানকে ন্যায্যতা দিতে পারে। এই পদ্ধতি ভারতকে তার চুক্তি আচরণে নমনীয়তা প্রদান করে, বিশেষ করে স্থগিতকরণ বা সমাপ্তির ক্ষেত্রে, যেমনটি আইডব্লিউটি-এর সাম্প্রতিক পদ্ধতিতে দেখা গেছে।
আইনগত ধূসর অঞ্চলে ‘স্থগিতকরণ’
আইডব্লিউটি বা ভিএলসিটি-র অধীনে 'স্থগিতকরণ'-এর কোনও আনুষ্ঠানিক ভিত্তি নেই বলে মন্তব্যের অভাব নেই। সমালোচকরা সঠিকভাবে উল্লেখ করেছেন যে, কোনও দলিলই চুক্তি স্থগিত রাখার জন্য কোনও স্পষ্ট ব্যবস্থা প্রদান করে না। তবে, এই ধরনের পাঠগুলি প্রায়শই গভীর বিন্দুটি দেখতে পায় না। শীতল যুদ্ধযুগের অনেক চুক্তির মতোই আইডব্লিউটি ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের জন্য বিশেষভাবে খসড়া করা হয়েছিল এবং এটি সমসাময়িক হুমকির প্রকৃতি, বিশেষ করে সীমান্ত-পার সন্ত্রাসবাদের অসম এবং অবিরাম কার্যকলাপ যা সহযোগিতামূলক সম্পৃক্ততার ভিত্তিকে দুর্বল করে দেয়, তা বিবেচনা করে না।
ভারতের চুক্তিকে ‘স্থগিত’ রাখার সিদ্ধান্তকে লঙ্ঘন হিসেবে নয় বরং প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন এবং রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের উদীয়মান মতবাদের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত একটি যুক্তিসঙ্গত আইনি অবস্থান হিসাবে বোঝা উচিত।
যখন পদ্ধতিগত সহযোগিতা বাধার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হয় অথবা যখন এক পক্ষ অন্য পক্ষের আইনগত উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য চুক্তি প্রক্রিয়া ব্যবহার করে, তখন রাষ্ট্রগুলি কীভাবে এগিয়ে যাবে সে বিষয়ে আইডব্লিউটি নীরব। এই আইনি শূন্যতার মধ্যে, ভারতের চুক্তিকে ‘স্থগিত’ রাখার সিদ্ধান্তকে লঙ্ঘন হিসেবে নয় বরং প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন এবং রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের উদীয়মান মতবাদের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত একটি যুক্তিসঙ্গত আইনি অবস্থান হিসাবে বোঝা উচিত।
ভারতের আইনি কৌশল: আনুপাতিক সংযম
ভারত চুক্তি থেকে সরে আসেনি; এমনকি এটি জলপ্রবাহকে ভিন্ন দিকে ঠেলে দেয়নি বা বরাদ্দ কোটা লঙ্ঘন করেনি - প্রকৃতপক্ষে, প্রয়োজনীয় পরিমাণে প্রবাহিত জল ব্যাহত করার জন্য পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। বরং, ভারত অস্থায়ীভাবে পদ্ধতিগত সহযোগিতা স্থগিত করেছে, অর্থাৎ বিরোধ নিষ্পত্তি ফোরাম, যৌথ প্রক্রিয়া এবং চুক্তি পরিচালনার সঙ্গে সম্পর্কিত নিয়মিত কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ স্থগিত হয়েছে। এটি পরিত্যাগ নয়; এটি আইনি সংযমের একটি পরিবর্তিত রূপ, যা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অমীমাংসিত রাষ্ট্র-পুষ্ট সন্ত্রাসবাদের এমন অন্যায় কর্মকাণ্ডের কারণে গৃহীত হয়েছে যা কি না আইডব্লিউটি যে আস্থার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল তার মূলে আঘাত করে।
সুতরাং, চুক্তি আইনে ‘স্থগিত’ শব্দটি না থাকলেও, এই প্রেক্ষাপটে এর আবাহন একটি অভিনব প্রতিক্রিয়া প্রতিফলিত করে, যা কিন্তু বেআইনি নয়। বরং তা পাল্টা ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয়তার মতো প্রথাগত মতবাদ থেকে বৈধতা লাভ করে। এই নীতিগুলি একটি রাষ্ট্রকে অন্য পক্ষের গুরুতর লঙ্ঘনের আনুপাতিক প্রতিক্রিয়ায় সাময়িকভাবে বাধ্যবাধকতা স্থগিত করার অনুমতি দেয়, তবে শর্ত থাকে যে এই ধরনের পদক্ষেপ বিপরীতমুখী থাকে এবং আইনসম্মত সহযোগিতায় ফিরে আসার চেষ্টা করে।
পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ‘স্থগিত’
যদিও আইডব্লিউটি বাতিল করার অনুমতি দেওয়ার জন্য কোনও স্পষ্ট ধারা নেই, ভিএলসিটি-র ৬২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে পরিস্থিতির মৌলিক পরিবর্তন হলে একটি চুক্তি বাতিল বা প্রত্যাহার করা যেতে পারে, যেমনটি ভারতের প্রাক্তন সিন্ধু জল কমিশনার উল্লেখ করেছেন। ভারত পাকিস্তানের জল সম্পদ মন্ত্রকের কাছে পাঠানো চিঠিতে এই বিধানটি প্রয়োগ করেছে, এবং ‘টেকসই আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ’কে একটি মৌলিক পরিবর্তন হিসাবে উল্লেখ করে বলেছে, এটি ‘নিরাপত্তা অনিশ্চয়তা’ তৈরি করেছে যা চুক্তিটি যে ভিত্তির উপর হয়েছিল তা ক্ষুণ্ণ করে। এই প্রেক্ষাপটে, আইডব্লিউটি 'স্থগিত' রাখাকে যথাযথভাবে লঙ্ঘন হিসাবে নয়, বরং একটি আইনসম্মত প্রতিকার হিসাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।
আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে, প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা হল একতরফা, বলপ্রয়োগবিহীন পদক্ষেপ যা অন্য রাষ্ট্র কর্তৃক আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়ায় একটি আহত রাষ্ট্র কর্তৃক গৃহীত হয়। এ সবের উদ্দেশ্য হল অন্যায় কাজ বন্ধ করতে চাপ তৈরি করা বা ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা। নির্দিষ্ট শর্তাবলি এই প্রতিকার প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে; তবে সেগুলিকে অবশ্যই সমানুপাতিক, বিপরীতমুখী এবং আইনসম্মত আচরণ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে হতে হবে।
আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে, প্রতিকার হলো একতরফা, বলপ্রয়োগবিহীন পদক্ষেপ যা অন্য রাষ্ট্র কর্তৃক আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়ায় একটি আহত রাষ্ট্র কর্তৃক গৃহীত হয়।
ভারতের পদক্ষেপ — নদীর প্রবাহ বজায় রেখে পদ্ধতিগত সহযোগিতা স্থগিত করা — এই মানদণ্ডগুলি মেনে চলে বলে মনে হয়। এটি আইনি নিয়ন্ত্রণের কাঠামোর মধ্যে গৃহীত আন্তর্জাতিকভাবে অন্যায় কাজের একটি পরিমাপিত, অস্থায়ী প্রতিক্রিয়া। এইভাবে, 'স্থগিত' হল একটি বৈধ প্রতিকার, যা ভারতের চুক্তির বাধ্যবাধকতা প্রত্যাখ্যানের পরিবর্তে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব এবং প্রয়োজনীয়তার মতবাদের উপর ভিত্তি করে তৈরি।
'স্থগিত' নজির
অসাধারণ পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া হিসাবে রাষ্ট্রগুলির চুক্তির বাধ্যবাধকতা স্থগিত করা বা স্থাপন করার সীমিত কিন্তু উল্লেখযোগ্য উদাহরণ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৮৬ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৫১ সালের অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড-মার্কিন নিরাপত্তা চুক্তির অধীনে নিউজিল্যান্ডের প্রতি তার নিরাপত্তা বাধ্যবাধকতা স্থগিত করে, যখন নিউজিল্যান্ড একটি পারমাণবিক-মুক্ত অঞ্চল ঘোষণা করে মার্কিন পারমাণবিক-সশস্ত্র জাহাজ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। আঞ্চলিকভাবে, ১৯৭০-এর দশকে, ভারতের বাংলাদেশের সঙ্গে জল বণ্টন ব্যবস্থা একতরফাভাবে স্থগিত করার ফলে ১৯৭৭ সালের ফারাক্কা চুক্তি নিয়ে আলোচনা না-হওয়া পর্যন্ত আন্তঃসীমান্ত জলপ্রবাহ কার্যকরভাবে বন্ধ হয়ে যায়। অতি সম্প্রতি, ২০২৩ সালে, নিউ স্টার্ট-এর অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘আইনি প্রতিকার’ গ্রহণ করে তথ্য ভাগাভাগি বন্ধ করে, কিন্তু যুদ্ধাস্ত্রের সীমা বজায় রাখে — একটি আংশিক স্থগিতাদেশ, রাশিয়ার অ-মান্যতার জন্য বিপরীত আইনি প্রতিক্রিয়া, যা আইডব্লিউটি-তে ভারতের বর্তমান পদ্ধতির অনুরূপ।
বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা বা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মতো নিয়মিত কূটনৈতিক পদক্ষেপের বিপরীতে, জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করা অভূতপূর্ব, যেখানে শর্ত পরিবর্তন হলে চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত হতে পারে এই আশা করা হচ্ছে।।
'স্থগিত' চুক্তিগুলির এই উদাহরণগুলি বিরল এবং প্রেক্ষাপট-নির্দিষ্ট। রাষ্ট্রগুলি মাঝে মাঝে রাজনৈতিক চাপের একটি রূপ হিসাবে চুক্তির বাধ্যবাধকতা স্থগিত করেছে। আইডব্লিউটি-র ক্ষেত্রে, ভারত নতুন ভিত্তি তৈরি করছে। বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা বা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মতো নিয়মিত কূটনৈতিক পদক্ষেপের বিপরীতে, জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত করা অভূতপূর্ব, যেখানে শর্ত পরিবর্তন হলে চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত হতে পারে এই আশা করা হচ্ছে।
উপসংহার
এই আলোকে, ভারতের পদক্ষেপ একটি আইনি ধূসর অঞ্চলে রয়েছে যা লিখিত বয়ানে না হলেও আন্তর্জাতিক আইন বাস্তবে স্বীকার করে। এটি আইনি হাতিয়ারগুলির একটি পরিমাপিত ব্যবহার প্রতিফলিত করে — চুক্তি ব্যবস্থাগুলিকে অস্থিতিশীল করার জন্য নয়, বরং তাদের কার্যকরতার জন্য মৌলিক পূর্বশর্তগুলি, অর্থাৎ পারস্পরিক সদিচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করার জন্য।
আন্তর্জাতিক আইনকে অবমূল্যায়ন করা তো দূরের কথা, ভারত এর মাধ্যমে তার অধিকার জোরদার করছে, নিষ্ক্রিয় চুক্তি সম্মতি থেকে সক্রিয় চুক্তি চালনার দিকে একটি পরিবর্তন চিহ্নিত করছে। সংক্ষেপে, ভারতের 'স্থগিতাদেশ' আহ্বান তার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা প্রত্যাখ্যান নয়, বরং একটি কৌশলগত আইনি সংকেত। এটি একটি স্মারক যে চুক্তির শাসনব্যবস্থা ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা থেকে মুক্ত নয়, এবং বিশ্বাসযোগ্যতা ও পারস্পরিকতা তাদের স্থায়িত্বের জন্য অপরিহার্য।
নিশান্ত সিরোহি ট্রানজিশন রিসার্চ-এর আইন ও সমাজবিষয়ক ফেলো।
The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.
Nishant Sirohi is an advocate and a legal researcher specialising in the intersection of human rights and development - particularly issues of health, climate change, ...
Read More +