Author : Sameer Patil

Published on Jan 11, 2023 Updated 0 Hours ago

ভারত বর্তমানে একটি নিরাপদ সাইবার পরিসর নির্মাণ করতে এবং সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগকে অগ্রাধিকার দিতে একটি বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে

জি২০ সভাপতিত্বে ভারতের সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত অগ্রাধিকার

২০২২  সালের    ডিসেম্বর  ভারত  জি২০-র  সভাপতিত্বের  ভার  গ্রহণ  করে  জি২০  এমন  একটি  গোষ্ঠী  যা  বিশ্বের  ২০টি  বৃহত্তম  অর্থনীতিকে  এক  ছাতার  তলায়  নিয়ে  আসে।  রাশিয়া-ইউক্রেন  সঙ্কটের  কারণে  অতিমারি-পরবর্তী  অর্থনৈতিক  পুনরুদ্ধারের  শ্লথ  গতি  এবং  বর্ধিত  ভূ-রাজনৈতিক  উত্তেজনার  নিরিখে  গত  দু’বছরে  জি২০-র  অগ্রাধিকারগুলি  বিবর্তিত  হয়েছে।  যদিও  ডিজিটাল  গণপরিকাঠামো,  জলবায়ু  পরিবর্তন    স্থিতিশীলতা,  সরবরাহ  শৃঙ্খল  স্থিতিস্থাপকতা  এবং  সংশোধিত  বহুপাক্ষিকতাবাদের  মতো  বিষয়গুলি  ভারতের  কর্মসূচিতে  প্রাধান্য  পাবে।  বিশ্ব  যখন  একুশ  শতকের  তৃতীয়  দশকে  প্রবেশ  করেছে,  তখন  এই  সভাপতিত্ব  ভারতকে  গুরুত্বপূর্ণ  ক্ষেত্রে  উদ্যোগ  গ্রহণে  সাহায্য  করবে।

জি২০  ফোরামে  উন্নত  সাইবার  নিরাপত্তা  সহযোগিতা  গুরুত্বপূর্ণ  পরিকাঠামো  এবং  ডিজিটাল  গণমঞ্চের  নিরাপত্তা    সংহতি  সুনিশ্চিত  করতে  অবদান  রাখতে  পারে।  সুতরাং  ২০২৩  সালে  ভারতের  সভাপতিত্বে  ডিজিটাল  কর্মসূচির  আওতায়  সাইবার  নিরাপত্তা  একটি  প্রধান  মনোযোগের  কেন্দ্র  হতে  চলেছে।

তবে  এমন  একটি  গুরুত্বপূর্ণ  ক্ষেত্র  যা  এখনও  অস্থিতিশীল  রয়ে  গিয়েছে  এবং  জি২০  স্তরে  যা  ধারাবাহিক  মনোযোগের  দাবি  রাখে,  তা  হল  সাইবার  নিরাপত্তা।  একটি  নিরাপদ  সাইবার  পরিসরের  প্রয়োজনীয়তা  অত্যাবশ্যক।  কারণ  সাইবার  হুমকির  সংখ্যা    ধরনে  একটি  তাত্পর্যপূর্ণ  বৃদ্ধি  লক্ষ  করা  গিয়েছে,  বিশেষ  করে  গুরুত্বপূর্ণ  পরিকাঠামোতে:  সর্বশেষ  উদাহরণ  হল  একটি  র‍্যানসমওয়্যার  আক্রমণের  কারণে  নয়াদিল্লির  অল  ইন্ডিয়া  ইনস্টিটিউট  অফ  মেডিক্যাল  সায়েন্সেসে  সৃষ্ট  বিপর্যয়ের  ঘটনা।  ২০২২  সালের  মাইক্রোসফ্ট  ডিজিটাল  ডিফেন্স  রিপোর্ট  অনুসারে,  রাষ্ট্র-সমর্থিত  শক্তিগুলি  তথ্যপ্রযুক্তি  ক্ষেত্র,  আর্থিক  পরিষেবা,  পরিবহণ  ব্যবস্থা  এবং  যোগাযোগ  পরিকাঠামো-সহ  গুরুত্বপূর্ণ  পরিকাঠা্মোর  উপর  অত্যাধুনিক  সাইবার  আক্রমণের  পরিমাণ  বৃদ্ধি  করেছে।  যদিও    ধরনের  হুমকির  সম্ভাব্য  সর্বগ্রাসী  প্রভাব  এই  গুরুত্বপূর্ণ  পরিকাঠামোগুলির  সীমা  ছাড়িয়ে  যাওয়ার  এবং  ডিজিটাল  গণমঞ্চগুলিকে  বিপর্যস্ত  করার  ক্ষমতা  রাখে  অর্থা  সেই  সব  পরিকাঠামো  যা  সরকারি  পরিষেবা  সরবরাহ  করতে  সক্ষম  করে।  সুতরাং  সাইবার  সুরক্ষিত  গুরুত্বপূর্ণ  পরিকাঠামো  এবং  ডিজিটাল  গণমঞ্চগুলি  জাতীয়  নিরাপত্তা,  উন্নত  প্রশাসন    সর্বোপরি  নাগরিকদের  আস্থা  বজায়  রাখার  জন্য  অত্যন্ত  জরুরি।

জি২০  ফোরামে  উন্নত  সাইবার  নিরাপত্তা  সহযোগিতা  গুরুত্বপূর্ণ  পরিকাঠামো  এবং  ডিজিটাল  গণমঞ্চের  নিরাপত্তা    সংহতি  সুনিশ্চিত  করতে  অবদান  রাখতে  পারে।  সুতরাং  ২০২৩  সালে  ভারতের  সভাপতিত্বে  ডিজিটাল  কর্মসূচির  আওতায়  সাইবার  নিরাপত্তা  একটি  প্রধান  মনোযোগের  কেন্দ্র  হতে  চলেছে।

জি২০  পূর্ববর্তী  সাইবার  নিরাপত্তা  উদ্যোগ

২০১৫  সালে  জি২০  আন্টালিয়া  শীর্ষ  সম্মেলনে  বৈশ্বিক  নেতারা  স্বীকার  করে  নিয়েছেন  যে,  আমরা  ইন্টারনেট  অর্থনীতির  যুগে  বাস  করছি  যা  আমাদের  সামনে  সুযোগ  এবং  প্রতিবন্ধকতা  দুইই  নিয়ে  এসেছে।  ২০১৬  সালে  চিনা  প্রেসিডেন্সির  সময়  একটি  জি২০  ডিজিটাল  ইকোনমি  টাস্ক  ফোর্স  গঠিত  হয়,  যার  উদ্দেশ্য  ছিল  ডিজিটাল  প্রযুক্তি  সম্পর্কিত  সমস্যাগুলি  মোকাবিলায়  একটি  অভিন্ন  সাধারণ  বোঝাপড়া  তৈরি  করা,  তবে  সাইবার  নিরাপত্তা  সেই  পরিসরের  অন্তর্ভুক্ত  ছিল  না।  ২০২০  সালে  সৌদি  প্রেসিডেন্সি  জি২০  সাইবার  সিকিউরিটি  ডায়লগের  (ডিজিটাল  ইকোনমি  টাস্ক  ফোর্সের  অংশ  হিসাবে)  সূচনা  করে  এবং  এমএসএমই-গুলির  (ক্ষুদ্র,  ছোট  এবং  মাঝারি  আকারের  উদ্যোগ)  সাইবার  স্থিতিস্থাপকতার  উপর  মনোযোগ  দিয়ে  ডিজিটাল  অর্থনীতি  এবং  সাইবার  নিরাপত্তার  ব্যবধানের  মাঝে  সেতুবন্ধন  করে।  ডিজিটাল  অর্থনীতি  মন্ত্রীদের  বৈঠকে  ভারত  ডিজিটাল  মঞ্চগুলিকে  বিশ্বস্ত,  নিরাপদ  এবং  সুরক্ষিত  করার  তাত্পর্যকে  তুলে  ধরে।

২০২১    ২০২২  সালে  যথাক্রমে  ইতালি    ইন্দোনেশিয়ার  সভাপতিত্বে  সাইবার  নিরাপত্তার  উপর  মনোযোগ  বহাল  ছিল,  যা  ডিজিটাল  ইকোনমি  ওয়ার্কিং  গ্রুপের  আলোচনায়  সাইবার  পরিসরের  উপর  জোর  দেওয়ার  মাধ্যমে  প্রকাশ  পেয়েছে।  বিশেষ  করে  ইন্দোনেশিয়ার  সভাপতিত্বে  সাম্প্রতিকতম  বালি  লিডারস  ডিক্লেয়ারেশনে  সাইবার  নিরাপত্তার  উপর  গুরুত্ব  দেওয়া  হয়েছে।  অন্য  বিষয়গুলির  মধ্যে  বিশেষ  করে  যেগুলির  উপর  আলোকপাত  করা  হয়েছে,  সেগুলি  হল:

১)  বিভ্রান্তিমূলক  প্রচার    সাইবার  হুমকি  মোকাবিলা  এবং  সংযোগ  পরিকাঠামোয়  নিরাপত্তাকে  সুনিশ্চিত  করার  গুরুত্ব  প্রদান;

২)  সাইবার  সংক্রান্ত  ঘটনার  প্রতিবেদনে  বৃহত্তর  অভিন্নতা  অর্জনের  বিষয়ে  ফিন্যান্সিয়াল  স্টেবিলিটি  বোর্ডের  পরামর্শ  প্রদান।

এটি  জি২০-র  এই  স্বীকৃতিই  প্রদর্শন  করে  যে,  গুরুত্বপূর্ণ  পরিকাঠামো  এবং  ডিজিটাল  মঞ্চগুলির  নিরাপত্তা  এবং  নিরবচ্ছিন্ন  কার্যকারিতার  উপর  ডিজিটাল  অর্থনীতির  বিশ্বাসযোগ্যতা  নির্ভর  করে।  এই  ব্যবস্থাগুলিকে  উন্নততর  সুরক্ষা  জোগানোর  নিরিখে  ভারত  বাকি  সদস্যদের  সঙ্গে  নির্দেশিকা  নীতিগুলি  গ্রহণ  এবং  ব্যবহারিক  উপায়ে  অভিযোজনের  মাধ্যমে  সাইবার  নিরাপত্তা  বিষয়ে  জি২০-র  কাজকে  এগিয়ে  নিতে  পারে।

জি২০  জন্য  ভারতের  সাইবার  নিরাপত্তা  কর্মসূচির  রূপরেখা  নির্মাণ

জি২০  মূল  উদ্যোগে  সাইবার  নিরাপত্তাকে  আরও  স্পষ্ট  ভাবে  তুলে  ধরার  সময়  এসেছে,  বিশেষ  করে  যখন  সাইবার  পরিসরে  নিয়মভিত্তিক  ব্যবস্থা  সৃষ্টির  প্রচেষ্টা  সীমিত  সাফল্য  অর্জন  করেছে

ভারতের  কর্মসূচিতে  বিশেষ  করে  নিম্নলিখিত  বিষয়গুলিকে  অন্তর্ভুক্ত  করা  উচিত:

  • ন্যাশনাল  কম্পিউটার  ইমার্জেন্সি  রেসপন্স  টিমগুলির  (সিইআরটি)  মধ্যে  সমন্বয়  সাধন:  সংশ্লিষ্ট  জাতীয়  সিইআরটি-গুলি  চিরাচরিত  ভাবে  সীমান্তের  ভিতরে  বা  তার  ওপার  থেকে  সম্ভাব্য  সাইবার  হুমকি  শনাক্ত  করার  ক্ষেত্রে  একটি  অপরিহার্য  ভূমিকা  পালন  করেছে।  তারা  সাইবার  নিরাপত্তা  লঙ্ঘন  এবং  ঘটনা  প্রতিবেদিত  করার  ক্ষেত্রেও  এগিয়ে  আছে।  বর্তমানে  সাইবার  নিরাপত্তার  ঘটনা  সম্পর্কিত  সংবেদনশীল  তথ্য  এবং  সেই  তথ্য  আদান-প্রদানের  বিষয়ে  বিভিন্ন  দেশের  সিইআরটি-এর  মধ্যে  দ্বিপাক্ষিক  চুক্তি  রয়েছে।  গুরুত্বপূর্ণ  পরিকাঠামোকে  লক্ষ্য  করে  যে  কোনও  উল্লেখযোগ্য  আসন্ন  আক্রমণের  দ্রুত  প্রতিক্রিয়া  সুনিশ্চিত  করতে  এগুলি  অগ্রগামী  হিসেবে  কাজ  করে।  এখনও  পর্যন্ত  বিভিন্ন  সিইআরটি  টিমের  মধ্যে  দ্বিপাক্ষিক  সমন্বয়  স্বাভাবিক  হলেও,  দুই  দেশের  মধ্যে  ভাগ  করা  তথ্যের  বিষয়ে  স্পষ্টতার  অভাব  ছিল।  এটি  সাইবার  হুমকির  প্রতিক্রিয়া  এবং  সাইবার  যুদ্ধের  কৌশলগুলির  বিরুদ্ধে  প্রতিরোধ  গড়ে  তোলার  জন্য  একটি  আন্তর্জাতিক  প্রচেষ্টার  প্রয়োজনীয়তাকে  দর্শায়।  জি২০  সভাপতিত্বের  আওতায়  ভারত  বহুপাক্ষিক  সিইআরটি  সহযোগিতা  সুনিশ্চিত  করার  জন্য  একটি  কাঠামো  তৈরি  করে  আন্তর্দেশীয়  সমন্বয়  উন্নত  করার  উদ্যোগকে  রূপ  দান  করতে  পারে।  এটি  অন্যান্য  সিইআরটি  গ্রুপের  সঙ্গে  ভাগ  করে  নেওয়া  তথ্যের  প্রকার  এবং  সাইবার  ঘটনাগুলিকে  কী  ভাবে  রিপোর্ট  করতে  হবে  তার  বিশদ  বিবরণ  অন্তর্ভুক্ত  করতে  সক্ষম।    ছাড়াও  জি২০  সদস্যরা  আন্তর্দেশীয়  সাইবার  হুমকির  প্রতি  সিইআরটি-র  প্রতিক্রিয়া  নির্ধারণের  জন্য  একটি  বিস্তৃত  পরিকাঠামো  তৈরি  করতে  পারে  এবং  স্থিতিস্থাপক  সাইবার  ব্যবস্থা  তৈরি  করার  সময়  বিভিন্ন  সিইআরটি  গ্রুপের  মধ্যে  অনুসরণযোগ্য  আদর্শ  পদ্ধতি  নির্মাণ  করতে  পারে।
  • সাইবার  অপরাধের  বিরুদ্ধে  প্রতিরোধ  গড়ে  তোলা:  ২০২২  সালের  অক্টোবর  মাসে  ইন্টারপোলের  ৯০তম  সাধারণ  অধিবেশনে  ভাষণ  দেওয়ার  সময়  ভারতের  প্রধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র  মোদী  অপরাধমূলক  কার্যকলাপের  বিরুদ্ধে  লড়াই  করার  জন্য  একটি  বিশ্বব্যাপী  প্রচেষ্টার  প্রয়োজনীয়তার  উপর  জোর  দিয়েছিলেন৷  অর্থনৈতিক  কর্মকাণ্ডের  জন্য  একটি  নিরাপদ  সাইবার  পরিসর  তৈরি  করতে  এবং  ডিজিটাল  অর্থনীতিকে  এগিয়ে  নেওয়ার  জন্য  ভারতের  কাছে  এখন  বিশ্বব্যাপী  অংশীদারিত্বের  নেতৃত্ব  দেওয়ার  সুযোগ  রয়েছে।  এর  অংশ  হিসেবে  নয়াদিল্লিকে  অবশ্যই  র‍্যানসমওয়্যারের  হুমকির  প্রভাব  পরীক্ষা  করতে  হবে  এবং  গুরুত্বপূর্ণ  পরিকাঠামো  এবং  ডিজিটাল  গণমঞ্চগুলির  উপর  ডিনায়েল-অব-সার্ভিস  আক্রমণ,  সাইবার  অপরাধ    র‍্যানসমওয়্যার  হুমকিকে  ব্যর্থ  করার  উপর  মনোযোগ  দিয়ে  একটি  সাইবার  নিরাপত্তা  সংলাপের  আহ্বান  জানাতে  হবে।  ডার্কনেট  কার্যক্রম  এবং  ক্রিপ্টোকারেন্সি  লেনদেন  তদন্ত  করার  জন্য  সাইবার  ফরেনসিক  সক্ষমতা  বৃদ্ধির  উপর  মনোনিবেশ  করা  জরুরি,  যা  সাইবার  অপরাধে  সহায়তা  করে।  এই  ধরনের  উদ্যোগ  সাইবার  ফরেনসিক  বিষয়ে  জি২০  সদস্য  দেশগুলির  দক্ষতা  এবং  বিশেষ  করে  এই  ক্ষেত্রে  ভারতের  সাম্প্রতিক  প্রসারিত  অভ্যন্তরীণ  ক্ষমতার  উপর  ভিত্তি  করেই  গড়ে  উঠবে।
  • সাইবার  নিরাপত্তা  দক্ষতা  বৃদ্ধি:  বর্তমানে  বিদ্যমান  একটি  উল্লেখযোগ্য  দুর্বলতা  হল  সাইবার  হুমকির  বিপরীতে  নিয়মিত  ব্যবহারকারী  এবং  পেশাদারদের  মধ্যে  সুবিশাল  দক্ষতার  ব্যবধান।    ছাড়াও  আর্থিক  সত্তা,  সরকারি  সংস্থা  এবং  আইন  প্রয়োগকারী  সংস্থার  মতো  বিভিন্ন  পক্ষ  যেহেতু  ক্লাউডে  নিজস্ব  তথ্য  সংরক্ষণ  করে,  তাই  সংবেদনশীল  তথ্য  সুরক্ষিত  করার  জন্য  উন্নত  সাইবার  নিরাপত্তা  ব্যবস্থারও  প্রয়োজন  রয়েছে।  এর  জন্য  পর্যাপ্ত  সাইবার  নিরাপত্তা  বিশেষজ্ঞ  এবং  যাঁরা  এই  ক্ষেত্রে  সক্ষমতা  বা  দক্ষতা  তৈরিতে  অবদান  রাখতে  পারেন,  এমন  মানুষদেরও  প্রয়োজন  রয়েছে।  জি২০  সভাপতিত্বের  অংশ  হিসাবে  ভারত  সমাজের  বিভিন্ন  অংশে  সাইবার  নিরাপত্তা  দক্ষতা  প্রদান  বা  শেখানোর  জন্য  একটি  পথ  নির্দেশিকা  দিতে  পারে।  সমস্ত  বয়সের  এবং  স্তরের  মানুষদের  জন্য  একটি  সাইবার  নিরাপত্তা  দক্ষায়ন  কর্মসূচি  তৈরি  করা  কঠিন  হলেও  জি২০  সদস্যরাষ্ট্র    তাদের  সমাজে  সাইবার  দক্ষতা  কর্মসূচি  চালু  করার  জন্য  বিভিন্ন  কৌশল  গ্রহণ  করতে  পারে।  জি২০  সদস্য  দেশগুলির  সম্মিলিত  দায়িত্ব  হবে,  তাদের  নাগরিকদের  সম্ভাব্য  সাইবার  হুমকি  শনাক্ত,  প্রতিবেদন,  প্রতিরোধ  করতে  এবং  তথ্য  লঙ্ঘন  এড়াতে  প্রয়োজনীয়  দক্ষতা  প্রদান  করা।

সংক্ষেপে    কথাই  বলা  যায়  যে,  সাইবার  নিরাপত্তা  আন্তর্জাতিক  ঘটনাবলির  একটি  অপরিহার্য  প্রেক্ষিত  হয়ে  উঠেছে,  যা  তার  অর্থনৈতিক    ভূ-রাজনৈতিক  প্রভাবের  দরুন  যথেষ্ট  মনোযোগের  দাবি  রাখে।  জি২০-র  মূল  উদ্যোগে  সাইবার  নিরাপত্তাকে  আরও  স্পষ্ট  ভাবে  তুলে  ধরার  সময়  এসেছে,  বিশেষ  করে  যখন  সাইবার  পরিসরে  নিয়মভিত্তিক  ব্যবস্থা  সৃষ্টির  প্রচেষ্টা  সীমিত  সাফল্য  অর্জন  করেছে।  ২০২৩  সালে  জি২০-র  সভাপতি  হিসাবে  ভারত    কথাই  সুনিশ্চিত  করতে  পারে  যে,  ক্ষেত্রটি  যেন  বৈশ্বিক  মঞ্চে  তার  প্রাপ্য  গুরুত্ব  পায়।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.

Author

Sameer Patil

Sameer Patil

Dr Sameer Patil is Senior Fellow, Centre for Security, Strategy and Technology and Deputy Director, ORF Mumbai. His work focuses on the intersection of technology ...

Read More +