Published on Sep 24, 2021 Updated 0 Hours ago

২০২২ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে উঁচু হারে অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের পথে কী ভাবে পৌঁছনো গেল।

ভারতীয় অর্থনীতি — ফের মাথা তোলার লড়াই

অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের পথে ১৫ মাস কাটানোর পরে এখন সবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে অর্থনীতি শেষ স্বাভাবিক বছর ২০১৯–২০–র জায়গায় ফিরছে। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে (‌২০২১–২২ এপ্রিল থেকে জুন)‌ মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি দাঁড়িয়েছে ৩২.‌৪ লক্ষ কোটি ভারতীয় টাকা (কনস্ট্যান্ট টার্মস–এ)‌। এই অঙ্কটা ২০১৯–২০–র প্রথম ত্রৈমাসিকের ৩৫.‌৭ লক্ষ কোটির থেকে ৯ শতাংশ কম। তবে ভাল খবর হল, এই অঙ্কটা তার ঠিক আগের ত্রৈমাসিকের (‌২০২০–২১ অর্থবর্ষের জানুয়ারি–মার্চ) ‌থেকে ২১ শতাংশ বেশি। প্রতি মাসেই অতিমারির ফাঁস একটু একটু করে আলগা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই প্রবণতা আরও বাড়ছে।

বৃদ্ধি — আজ আছে, কাল নেই, ‘‌বেস এফেক্ট’‌–এর ঝাপসা কারসাজি

এটা মনে রাখা ভাল যে অতিমারির মতো একটা ক্রমিক বহিরাগত ধাক্কার সময় পুনরুজ্জীবনের প্রয়াস কখনওই অতীতের স্বাভাবিক সময়কার ২০১৯–২০–র মতো জিডিপি–র প্রকৃত অর্থে ক্রমাগত বৃদ্ধির ধাঁচে এগোবে না। ‘‌পুনরুদ্ধার পর্ব’‌ থেকে উত্তীর্ণ হয়ে ‘‌পুনর্বাসন পর্বে’‌ পৌঁছনোর (‌যা পার হলে ‘‌সব চালিকাশক্তির একত্রিত উন্নয়ন’‌ শুরু হবে)‌ জন্য প্রয়োজন বছরের বাকি তিন ত্রৈমাসিকে ৮.‌৫ শতাংশ গড় বৃদ্ধি। তা হলেই ২০১৯–২০–র ১৪৫.‌৭ লক্ষ কোটি টাকার (‌কনস্ট্যান্ট টার্ম্‌স–এ)‌ জিডিপি–স্তর পেরিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

এটা মনে রাখা ভাল যে অতিমারির মতো একটা ক্রমিক বহিরাগত ধাক্কার সময় পুনরুজ্জীবনের প্রয়াস কখনওই অতীতের স্বাভাবিক সময়কার ২০১৯–২০–র মতো জিডিপি–র প্রকৃত অর্থে ক্রমাগত বৃদ্ধির ধাঁচে এগোবে না।

গত বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের থেকে এ বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ২১ শতাংশ বৃদ্ধির পর এই লক্ষ্যমাত্রাটা খুবই সহজ বলে মনে হবে। কিন্তু নীচের লেখচিত্র থেকে স্পষ্ট যে ঘটনা তা নয়। গত বছরের দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ ত্রৈমাসিকে জিডিপি শুধু ২০১৯–২০ অর্থবর্ষের থেকে সামান্য বেশিই ছিল না, প্রথম ত্রৈমাসিকের (যখন অর্থনীতি V, U বা L আকারের বক্ররেখার তলানিতে ছিল)‌ থেকে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বেশি ছিল। যে লাল রেখা এ বছরের ত্রৈমাসিক বৃদ্ধি দেখাচ্ছে, তার সঙ্গে গত বছরের ত্রৈমাসিকের তুলনা টানলে বোঝা যাবে প্রথম ত্রৈমাসিকের ২১ শতাংশ থেকে নেমে গিয়ে পরের ত্রৈমাসিকগুলোতে বৃদ্ধি ৪ থেকে ৫ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। সে ক্ষেত্রে পুরো বছরের হিসেবে বৃদ্ধির গড় হার দাঁড়াবে ৮.‌৫ থেকে ৯.‌৫ শতাংশ।

এবার এই তথ্যের মধ্যেকার বিভ্রমের ছবিটা দেখা যাক। প্রথম ত্রৈমাসিকে ২১ শতাংশ বৃদ্ধির পরেও প্রকৃত অর্থে মূল্যযুক্তি (‌৩২.‌৯ লক্ষ কোটি টাকা)‌ গত বছরের শেষ ত্রৈমাসিকের থেকে ১৭ শতাংশ কম (২০২০–২১‌ চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৩৯ লক্ষ কোটি টাকা)। আরবিআই–এর ভবিষ্যদ্বাণী হল এই বছরের বৃদ্ধি দাঁড়াবে ৯.‌৫ শতাংশ, আর তা অর্জন করা গেলে বেশ কিছু সামাজিক সুরক্ষা–সহ ভারতীয় অর্থনীতির পুনর্নির্মাণের ‘পুনর্বাসন’‌ পর্বের সূচনা হবে।

এর মূল বিষয় হবে ভোক্তা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, যা এখন উপরের সীমায় ৬ শতাংশ বরাবর থাকছে।

এই সময়ে অর্থনীতির যেগুলো মূল স্তম্ভ — আমাদের উৎপাদনশীল বিনিয়োগ বাড়ানোর ক্ষমতা, চলতি বিনিয়োগ থেকে আরও বেশি উৎপাদনের ক্ষমতা, এবং ভারতীয় অর্থনীতিকে পরবর্তী প্রজন্মের পর্যায়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য গবেষণা বা উন্নয়নের অগ্রগতিতে বিনিয়োগ করা বা তা কেনার ক্ষমতা — সেগুলি কতটা মজবুত তার পরীক্ষা হবে। এগুলো পরের বছরের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে:‌‌ এই বছরের নয়, কারণ এই বছরটা যাবে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে। এই উদ্যোগের মূল বিষয় হবে ভোক্তা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, যা এখন উপরের সীমায় ৬ শতাংশ বরাবর থাকছে।

ত্রাণের জন্য বাজার ও মূল্যযুক্তির বিভিন্ন উৎস

আমাদের পক্ষে আশীর্বাদ, এই অতিমারির সময় প্রকৃতি সদয় হয়েছে। কৃ্ষিতে ২০১৯–২০–র থেকে গত বছরে বেশ ভাল হারে (‌৩.‌৬ শতাংশ)‌ বার্ষিক বৃদ্ধি হয়েছে, এবং তা এখনও বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের ভাল উৎস হিসেবে কাজ করছে। এ বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে গত বছরের ওই সময়ের তুলনায় ৪.‌৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি হয়েছে। এই সুখের পরিস্থিতি অবশ্য পরের ত্রৈমাসিকে বদলে যেতে পারে যদি এই গ্রীষ্মে বিঘ্নিত বৃষ্টিপাতের কারণে খরিফ শস্য দেরিতে বোনা হয় এবং তার ফলে ফলন মার খায়।

কৃষি ও রফতানি দেখিয়ে দিচ্ছে অভ্যন্তরীণ নিম্নগামিতা থেকে বেরিয়ে আসতে বৈচিত্রময় অর্থনীতি ও বৈচিত্রময় বাজার কতটা কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে।

আর এক ত্রাণকর্তা হতে পারে রফতানি, যা এই ত্রৈমাসিকে গত বছরের একই ত্রৈমাসিকের থেকে বেড়েছে ৭.‌৭ শতাংশ। কৃষি ও রফতানি দেখিয়ে দিচ্ছে অভ্যন্তরীণ নিম্নগামিতা থেকে বেরিয়ে আসতে বৈচিত্রময় অর্থনীতি ও বৈচিত্রময় বাজার কতটা কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে। কৃষি যদি আরও গতি পেত এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সুযোগ নিতে পারত, যদি তা মূলত অভ্যন্তরীণ ভোগের জন্য ভর্তুকি–নির্ভর শস্য উৎপাদনের মধ্যে আটকে না–যেত, তা হলে অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও আয়ের ক্ষেত্রে সদর্থক ফলাফল আরও বেশি হত।

বিনিয়োগের সুফল না–পাওয়া

বিনিয়োগের পরিমাপগুলো থেকে বৃদ্ধির ভাল পূর্বাভাস পাওয়া যায়। দুঃখের কথা, ২০২১–২২–এর প্রথম ত্রৈমাসিকে বিনিয়োগ (‌সরকারি ও বেসরকারি)‌ ছিল মাত্র ১০.‌২ লক্ষ কোটি টাকা। যদিও এই অঙ্কটা গত বছরের ওই ত্রৈমাসিকের থেকে যথেষ্ট বেশি, কিন্তু ২০১৯–২০ অর্থবর্ষের একই ত্রৈমাসিকের ১২.‌৩৩ লক্ষ কোটি টাকা (‌কনস্ট্যান্ট টার্মস)‌ থেকে তা ১৭.১ শতাংশ কম।

ব্যবসায়িক ক্ষমতা ব্যবহারের স্তর যেখানে নিচে রয়েছে, সেখানে শুধু নির্বোধেরা, বা যাঁরা অতিমারিতে ক্ষতিগ্রস্ত হননি, তাঁরাই বড়সড় মূলধনী বিনিয়োগ করতে এগোবেন।

বিনিয়োগ–স্তর ২.‌১ লক্ষ কোটি টাকা পড়ে যাওয়া প্রমাণ করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া নগদে যে ৭ থেকে ৮ লক্ষ কোটি টাকা ঢালল, তা উৎপাদনশীল প্রকৃত সম্পদ তৈরির কাজে এল না। পরিবর্তে তা অন্য কাজে চলে গেল। যেমন ব্যাঙ্কের মাধ্যমে যাঁরা কাজ করেন তেমন মধ্যবিত্ত ভোক্তা বা সংস্থার কাছে তা পৌঁছল সহজ ঋণ হিসাবে, আর তার দৌলতে টেকসই ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বাড়ল;‌ যেখানে ঋণখেলাপির মাত্রা দুই সংখ্যার নীচের দিকে, সেই মুদ্রা (MUDRA)‌ ‌ঋণ বেকার যুবা বা ছোট উদ্যোগপতিদের কাছে টাকা পৌঁছে দিল;‌ অথবা টাকা চলে গেল শেয়ার বাজারে, যেখানে সংস্থাগুলোর উৎপাদন তেমন না–বাড়লেও শেয়ারের দাম বেড়ে গেল। এই ঘটনা বিস্ময়কর নয়। ব্যবসায়িক ক্ষমতা ব্যবহারের স্তর যেখানে নিচে রয়েছে (৭০ শতাংশের আশেপাশে), সেখানে শুধু নির্বোধেরা, বা যাঁরা অতিমারিতে ক্ষতিগ্রস্ত হননি, তাঁরাই বড়সড় মূলধনী বিনিয়োগ করতে এগোবেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের বোঝা কমানো

এর মধ্যে উৎসাহব্যঞ্জক ঘটনা হল রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের কার্যকর সম্পদ দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের লিজ দিয়ে মুদ্রাকরণের উদ্যোগ। এর ফলে সরকারের পরিবর্তে বেসরকারি ক্ষেত্র মূলধন আনবে, এবং সরকারি ক্ষেত্রের মূলধনও প্রস্থানের সুযোগ পাবে।

২০১৭ সালে শেষ হওয়া দ্বাদশ যোজনার লক্ষ্য ছিল অর্ধেক বিনিয়োগ বেসরকারি ক্ষেত্র থেকে আনা, যা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে। ফলে যেখানে যোজনার শেষ বছরে পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ জিডিপি–র ৯ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল, সেখানে প্রকৃত গড় ছিল জিডিপি–র ৫.‌৮ শতাংশ।

গত দশকে ২০১১–১২ সালে বিনিয়োগ সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছিল (‌ জিডিপি–র ৩৪ শতাংশ)। তারপর সরকারি–বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই তা কমতে কমতে ২০১৮–১৯ অর্থবর্ষে ৩২.‌২ শতাংশে, ২০১৯–২০ সালে ৩০ শতাংশে এবং ২০২০–২১–এ ২৮ শতাংশে নামে, এবং সেই সঙ্গেই গত ন’‌টি ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির উপর এর খারাপ প্রভাব পড়ে।

২০০৮–০৯ সালে পশ্চিমী আর্থিক সঙ্কটের সময় যা ভাবা হয়েছিল, ঠিক সেই ভাবে পরিকাঠামোয় বিশাল বিনিয়োগের ভার থেকে সরকারকে মুক্ত করা অতএব খুবই প্রয়োজনীয়।

ইউরোপে বা পূর্ব এশিয়ায় এখন যা স্বাভাবিক তার থেকে আমাদের দেশে সরকারি বাজেটে সামাজিক ক্ষেত্রের ব্যয় অনেক কম, কারণ জিডিপি–র অনুপাতে করের মাত্রা একই জায়গায় আটকে থাকছে। অতিমারির একটা শিক্ষা হল, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বা পরিষেবার খরচে কার্পণ্য করলে তার অর্থনৈতিক পরিণতি মারাত্মক হতে পারে। এটাও ভাল ভাবেই দেখা গেছে যে ভারতে সরকারি বা সরকারের অনুদানে চলা শিক্ষার মান মোটেই আগ্রহী যুবাদের উৎপাদনশীল কাজ করার উপযোগী প্রশিক্ষণ দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট নয়। সামাজিক ক্ষেত্রে বরাদ্দ অনেকটা বাড়ানোকে এখন অগ্রাধিকার দিতে হবে।

২০০৮–০৯ সালে পশ্চিমী আর্থিক সঙ্কটের সময় যা ভাবা হয়েছিল, ঠিক সেই ভাবে পরিকাঠামোয় বিশাল বিনিয়োগের ভার থেকে সরকারকে মুক্ত করা অতএব খুবই প্রয়োজনীয়।

২০২১–এর জুলাইয়ের কেন্দ্রীয় সরকারের হিসেবও এই ভাবনাকেই সমর্থন করছে যে সরকারের টাকা সেই সব জায়গায় বেশি করে যাওয়া প্রয়োজন যেখানে বেসরকারি বিনিয়োগ সহজে পৌঁছবে না, এবং সেই সব জায়গা থেকে বেরিয়ে আসা উচিৎ যেখানে বেসরকারি বিনিয়োগ স্বচ্ছন্দ। ২০২১–এর জুলাইয়ের মধ্যে বিনিয়োগের জন্য ব্যয় ছিল বাজেটের ৫.‌৫ লক্ষ কোটি টাকার মাত্র ২৩.‌২ শতাংশ (‌মোট বাজেট ব্যয়ের ১৬ শতাংশ)‌, যেখানে সব রকম ব্যয় ধরলে এই হিসেব ২৮.৮ শতাংশ। তার বিপরীতে বকেয়া ঋণের সুদবাবদ ব্যয় ছিল মোট ব্যয়ের ২৩ শতাংশ।

অনিশ্চিত বেসরকারি মূলধনের বিপরীতে রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রকে ট্রয়ের ঘোড়া হিসেবে ব্যবহার করে বিরক্তিকর নিয়ামকজনিত বাধাবিপত্তি পেরনোর চেষ্টা করা হলে, তা দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে বিনিয়োগ–উপযুক্ত বিত্তের উৎপাদনশীল ব্যবহার হয় না।

আর্থিক ঘাটতি বেড়ে চলার ফলে সম্পদের উপর চাপ বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। জাতীয় মুদ্রাকরণ নালিকায় (ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন) তালিকাভুক্ত কার্যকর সম্পদ লিজ দেওয়ার পাশাপাশি বিলগ্নিকরণ কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলে জিডিপি–র ১ শতাংশ (ভারতীয় টাকায় ২ লক্ষ কোটি) আর্থিক পরিসর তৈরি হতে পারে, যা হবে কেন্দ্রের বাজেট ব্যয়ের ৬ শতাংশের মতো।

আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা এবং আমাদের দেশের সীমিত বেসরকারিকরণের অভিজ্ঞতা (‌১৯৯৯–২০০৩)‌ প্রমাণ করে, বেসরকারি বিনিয়োগ পরিবেশগত নিয়ামকের শাসন ও ব্যবসা করার নিয়মবিধির সীমাবদ্ধতার মধ্যেও যদি স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারে, তা হলে শিল্প পণ্য উৎপাদন ও জন–পরিষেবা দেওয়ার প্রশ্নে সরকারের কাছে তা একটা দক্ষ বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। অনিশ্চিত বেসরকারি মূলধনের বিপরীতে রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রকে ট্রয়ের ঘোড়া হিসেবে ব্যবহার করে বিরক্তিকর নিয়ামকজনিত বাধাবিপত্তি পেরনোর চেষ্টা করা হলে, তা দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে বিনিয়োগ–উপযুক্ত বিত্তের উৎপাদনশীল ব্যবহার হয় না। যেখানে সরকারি পরিচালন ব্যবস্থা আরও পরিশীলিত ও দক্ষ, সেই উন্নত দেশগুলোতেও একথা সত্য।

ব্যবসার ক্ষেত্রে সরকারি মূলধনের পরিবর্তে বেসরকারি মূলধন আনা;‌ সরকারের মূলধন সামাজিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য কাজে লাগানো, এবং বাণিজ্যিক ও পরিবেশগত নিয়মবিধি দক্ষ ও কম–ব্যয়সাধ্য করার জন্য সব রকম চেষ্টা করা — এই তিনটি বিষয়ে এখন মনোনিবেশ করা প্রয়োজন।

The views expressed above belong to the author(s). ORF research and analyses now available on Telegram! Click here to access our curated content — blogs, longforms and interviews.